May Day History Review | ঐতিহাসিক মে দিবস

Sharing Is Caring:
May Day History Review

ঐতিহাসিক মে দিবস – প্রবোধ কুমার মৃধা [May Day History Review]

ভূমিকা

সাঁঝের প্রদীপ জ্বালাতে গেলে সলতে পাকানো থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক ক্রিয়াগুলো সকাল থেকে সেরে রাখতে হয়, তবেই সন্ধ্যায় নির্বিঘ্নে প্রদীপ প্রজ্বলন মসৃণ হয়। তদ্রূপ ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে যে সমবেত শ্রমিক আন্দোলনের গণ বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছিল বহুদিন ধরে বহু বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে সংঘটিত ঘটনাবলীর মাধ্যমে ।

১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে’র ঘটনাটিকে বিচ্ছিন্ন বা একক ঘটনা রূপে দেখা কোন মতেই সমীচীন হবে না। স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার যে কোন আন্দোলন, তা সে স্বাধীনতা আন্দোলন হোক বা সাম্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হোক, তার পিছনে থাকে বহুদিনের বহু সংগ্ৰাম, আত্মত্যাগ ও বহু রক্তপাতের ইতিহাস। বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনা পঞ্জীর সমষ্টিগত নীট ফল। শ্রমিক শ্রেণির সেদিনের যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, তার পিছনে লুকিয়ে ছিল সুদীর্ঘ শতাব্দীকাল ধরে চলে আসা শোষণ, পীড়ন, বঞ্চনা ও একতরফা নির্যাতনের করুণ কাহিনী। নির্যাতিত হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অগণিত নিরুপায়, অসহায় শ্রমজীবী মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ।

পটভূমিকা

আন্দোলনের পথ সব সময় কণ্টকাকীর্ণ। শ্রমিকদের এই আন্দোলনের পথে ছিল নানা ঘাত-প্রতিঘাত, জুলুম, অত্যাচার, প্রতিরোধ, প্রতিবাদ, মিটিং, মিছিল, ধর্মঘট আর ছিল রক্তরঞ্জিত সংগ্ৰামী ঐক্য। জন্মলগ্ন থেকেই শ্রমিক শ্রেণির ইতিহাস ছিল সংগ্ৰামী ইতিহাস। ১৮০৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কল কারখানায় কাজের সময়সীমা নির্দিষ্ট ছিল বাধ্যতামূলক ২০ ঘন্টা। শ্রমিক শ্রেণিকে উদয়াস্ত‌ কাজ করতে হতো। তাদের কাজের পরিবেশ ছিল অস্বাস্থ্যকর। ‘মেকানিকস ইউনিয়ন অব ফিলাডেলফিয়া’ নামে বিশ্বের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে ওঠে ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দে। ১০ ঘন্টা কাজের দাবিতে সংগঠিত হয়‌ প্রথম শ্রমিক আন্দোলন। ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা কর্ম প্রহরের প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কের বেকারী শ্রমিকরা ধর্মঘট করে।

শ্রমিক আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল দেড়শ’ বছরেরও অধিককাল পূর্বে অস্ট্রেলিয়াতে‌। সেই আন্দোলন ছিল ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে এপ্রিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের শ্রমিকরা সমবেতভাবে কর্মবিরতি ঘটিয়ে আলোচনা সভা ও বিনোদনের আয়োজন করেছিল। তবে এই ধরণের কর্মবিরতি মাত্র‌ একবার‌ই সংগঠিত করতে সমর্থ হয়েছিল তারা। ব্য‌র্থ ‌হলেও অস্ট্রেলিয়ার শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন বিশেষ প্রেরণা যুগিয়েছিল আমেরিকার আন্দোলনকারী শ্রমিকবৃন্দকে। এছাড়া অস্ট্রেলীয় শ্রমজীবী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ৮ ঘন্টা কাজের দাবির পালে লাগিয়েছিল‌ অনুকূল হাওয়া। ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে শ্রমিকরা ৮ঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণ এবং মজুরি না কাটার প্রথম দাবি জানায়,‌ কিন্তু শ্রমিকদের কোন সংগঠন না থাকায়‌ তাদের দাবি গতি হারায়‌।

১৮৬২-১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে ট্রেড ইউনিয়নের রাজনৈতিক ভিত্তি। ইতিমধ্যে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের মহানুভবতায় দাসপ্রথা উচ্ছেদ হ‌ওয়ার‌ ফলে নিগ্ৰোরা শ্বেতাঙ্গদের অনেকটা কাছাকাছি চলে আসে। শিল্প‌ কারখানায় নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে থাকে কারণ নারী শ্রমিকের মজুরি ছিল কম, এতে মালিক পক্ষের মুনাফা থাকত বেশি। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকায়‌ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটলে শিল্পের প্রসার দ্রুত হারে ঘটতে থাকে, সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে শ্রমিক আন্দোলন। এতদিন দমনপীড়ন করে যাদের প্রাপ্য‌‌ অধিকার থেকে সর্বতোভাবে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল, মরিয়া হয়ে তারা আজ স্বাধিকার লাভের সংগ্ৰামকে দিন দিন ক্ষুরধার করে তোলার চেষ্টা চালাতে লাগল ।

১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকরা ন্যা‌য্য মজুরি, ৮ ঘন্টা কাজ ও কর্ম-পরিবেশের মানোন্নয়নের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে। কিন্তু মালিকপক্ষ রাষ্ট্রশক্তির সহায়তায় আন্দোলনে অংশ গ্ৰহণকারী শ্রমিকদের উপর নির্মম দমনপীড়ন নীতি গ্ৰহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অনধিক ৩০০ শ্রমিক প্রাণ হারায়‌। এমন এক বাতাবরণের মধ্যে ১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’ নামের শ্রমিক সংগঠন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর আমেরিকার ‘ফেডারেশন অব লেবার’ সংগঠন তাদের জাতীয় সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘোষণা করে যে, সংগঠনের দাবি অগ্রাহ্য হলে ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে সারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ আন্দোলন ও ধর্মঘট সংগঠিত করা হবে।

ঐতিহাসিক তাৎপর্য

১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে। আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে জমায়েত হয়ে শ্রমিক র‌্যালিতে‌ যোগ দেয় হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ‌। পুলিশ ছিল তাদের ঘিরে। তার‌ই মাঝে এক অজ্ঞাত নামার বোমা ছুটে আসে ঘিরে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে। তারপর ক্ষিপ্ত পুলিশ কর্মীরা নির্বিচারে গুলি চালায় সমবেত শ্রমিকদের উপর। হতাহত হয় অনেক। পূর্ব ঘোষণা থাকায়‌ ওই দিনটিতে সারা আমেরিকা জুড়ে প্রায় ৫ ল‌ক্ষ শ্রমিক প্রত্য‌ক্ষভাবে অংশগ্ৰহণ করেছিল ধর্মঘটে। মুখে তাদের শ্লোগান ছিল ‘আট ঘন্টার শ্রম, আট ঘন্টার ঘুম এবং আট ঘন্টার বিনো‌দন।’

ন্যায্য মজুরি ও ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ১লা মে তারিখে ধর্মঘটে অংশগ্ৰহণ করেছিল। শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ বিশাল সমাবেশ ও ধর্মঘট দেখে বোধকরি এই প্রথম শাসকদলের বুক কেঁপে গিয়েছিল। উনিশ শতকের অন্যতম ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল এই মহান মে দিবসের রক্তাক্ত ইতিহাস। সেদিনের সেই গণহত্যায়‌ নিহত ম্যাসাকার শহিদদের মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালন করা হয় শ্রমিক দিবস। যে দিবসটি বর্তমানে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ বা ‘মহান মে দিবস’ নামে বিশ্ব‌স্বীকৃতি লাভ করেছে।

মে দিবসের মূল প্রতিপাদ্য‌ বিষয়‌ ছিল কল-কারখানায়‌ নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রাপ্য‌ ন্যায্য দাবি দাওয়া আদায়‌ করা। মে দিবস ছিল দুনিয়ার মেহনতি মানুষের সংকল্প গ্ৰহণের দিন। যে সংকল্পের‌ লক্ষ্য‌ ছিল সামাজিক পরিবর্তন ঘটিয়ে শ্রেণি বৈষম্যের বিলোপ সাধন। পুঁজিবাদী অর্থনীতির দাসত্ব-শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভের দৃ‌ঢ়‌ অঙ্গীকার। মে দিবস দুনিয়ার মেহনতি জনতার চিন্তা চেতনায় এনেছে এক বৈপ্লবিক তাৎপর্য। সুনামির মতো যার ঢেউ ফ্রান্স‌, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জার্মানি, কিউবা,চীন, কানাডা প্রভৃতি বিশ্বের বহু দেশে আছড়ে পড়েছিল।

ভ্লাদিমির লেনিন ও মে দিবসটিকে কাজে লাগিয়েছিলেন শ্রমিক শ্রেণির অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক হাতিয়ার রূপে। ১৯১৭‌খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর বিপ্লব ছিল তার‌ই সার্থক ফলশ্রুতি।একটা কথা কোনভাবেই অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে‌, মহান মে দিবসে সূচিত শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে কমিউনিস্টদের কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যুক্ত‌ হ‌ওয়ার কারণে পরবর্তী পর্যায়ে শ্রমজীবী মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই ও তার উপযোগিতা সারা বিশ্ব জুড়ে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। যার ফল হয়‌ সুদূর প্রসারী। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই জুলাই। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ফ্রান্সে এবং সেখানেই ঘোষণা করা হয়, ১লা মে শ্রমিক দিবস। পরের বছর অর্থাৎ ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১লা মে বিশ্বব্যাপী ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ সাড়ম্বরে পালিত হয়। বিশ্ব মঞ্চে এই স্বীকৃতি লাভের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ‘শ্রমিক-মালিক’ সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য ‌ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়‌।

গ্ৰেট ব্রিটেনের হাইড পার্কে ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষের সম্মিলিত সভায়‌ মে দিবস পালন করা হয়। শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম বিশ্ব‌ যুদ্ধের পর ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই এপ্রিল গঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক‌ শ্রম সংস্থা’ International Labour Organization (ILO)। প্রতি বছর মে মাসের ১লা তারিখটি ‘আন্তর্জাতিক‌ শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের বহু দেশে দিনটি জাতীয় ছুটির দিন রূপে গণ্য করা হয়। ১লা মে তারিখটি বিশ্বের প্রায়‌ ৮০টি দেশের জাতীয় ছুটির দিন। এছাড়া অ-সরকারিভাবে ও অনেক দেশে ১লা মে ছুটির দিনের মান্যতা পায়‌। বহু লড়াই ও বহু রক্তক্ষয়ী সংগ্ৰামের পর শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিনটি সারা বিশ্বের শ্রমিক সম্প্রদায়ের কাছে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন।

ভারতের অবস্থান

ভারতে প্রথম কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছিল ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে। তবে তখন ও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক‌ মে দিবস পালন ভারতের শ্রমিক আন্দোলনের অংশ হয়ে ওঠেনি। ভারতে প্রথম মে দিবস পালন করা হয় ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে মাদ্রাজের (বর্তমান চেন্নাই) সমুদ্র সৈকতে। ‘লেবার কিষাণ পার্টি অব হিন্দুস্তান‌’ -এর উদ্যোগে এবং শ্রমিক নেতা কমরেড সিঙ্গারা ভেলু চেট্টিয়ারের নেতৃত্বে। হাতের নাগালে ছিল না লাল ঝান্ডা। চেট্টিয়ার নিজ কন্যা‌র পরনে‌র শাড়ি ছিঁড়ে তৈরি করেছিলেন লাল ঝান্ডা। এরপর ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকারিভাবে সারা ভারতে ১লা মে তারিখটি বাধ্যতামূলক ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়।

শেষ করব শ্রমজীবী জনগণেশের উদ্দেশ্যে দুই মহান কবির প্রশস্তি বাণী দিয়ে, যার আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠবে শহিদ স্মরণের স্মারক রূপে মে দিবসের মাহাত্ম্য।‌‌

‘সব চেয়ে কম খেয়ে, কম পরে, কম শিখে বাকি সকলের পরিচ‌র্যা করে।সকলের চেয়ে বেশি তাদের অসম্মান। কথায় কথায় তারা রোগে মরে, উপোসে মরে, উপর ওয়ালাদের লাথি-ঝাঁটা খেয়ে মরে। তারা সভ্য‌‌তার‌ পিলসুজ, মাথায়‌ প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, উপরের সবাই আলো পায়‌, তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে‌ পড়ে।’

– রবীন্দ্রনাথ

‘তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের‌ই গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে‌ পা ফেলে আসে নব উত্থান!’
– নজরুল

পরিশিষ্ট

বছরের অন্যান্য মাসের মতো মে মাসে ও বেশকিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক‌ স্তরে পালনীয়‌ দিবস আছে। যেমন, ১লা মে, মে দিবস। ৩রা মে, বিশ্ব‌ সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস। ৪ঠা মে, বিশ্ব‌ বাণিজ্য ‌দিবস / বিশ্ব‌ হাঁপানি দিবস, ইত্যাদি ইত্যাদি আরও দিবস আছে‌। তবে ১লা মে, অর্থাৎ মহান মে দিবসটি‌ ধারে-ভারে, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের নিরিখে আর সমস্ত দিবসের থেকে বিশ্বব্যপী‌ স্বতন্ত্র‌ বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে।

প্রবোধ কুমার মৃধা | Probodh Kumar Mridha

New Bengali Article 2023 | প্রেমাবতার ঠাকুর হরনাথ ও সহধর্মিণী কুসুমকুমারী কথা

New Bengali Article 2023 | স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন

New Bengali Article 2023 | শ্রমের শোষণ

New Bengali Article 2023 | বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ সামান্যই

May Day History Review | May Day History Review 2023 | Article 2023 – May Day History Review | New Journal – May Day History Review | May Day History Review – Viral article | May Day History Review – Trending article | Trend article 2023 – May Day History Review | Journal 2023 – May Day History Review | Bengali article – May Day History Review | May Day History Review – article in pdf | pdf article – May Day History Review | Pdf 2023 – May Day History Review | Best article – May Day History Review | India May Day History Review | USA May Day History Review 2023 | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bangla article rewriter | bengali article writing format | bengali article writing ai | bengali article writing app | article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | article writing example | bengali article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | bengali article writing pdf | bengali article writing practice | Bengali article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Bengali Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Founder

Leave a Comment