প্রদ্যোৎ পালুই – সূচিপত্র [Bengali Article]
শ্রমের শোষণ [Bengali Article]
কথা হচ্ছিল এক যুবকের সঙ্গে। গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে অনেক চেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরের অধীনে একটি স্থানীয় ফিল্ড লেবেল কাজে চুক্তিভিত্তিক জয়েন করেছিল। করোনার সময়ে সেই কাজ চলে যায়। তারপর কাঠ বেকার। কিন্তু কিছু একটা করতে হবে। শেষে একটি বেসরকারি নার্সিং ট্রেনিং কলেজে অশিক্ষক কর্মী হিসেবে কাজে ঢুকেছে। মাইনে মাসিক মাত্র ছ’হাজার টাকা। কাজের সময় দশ ঘন্টা। রবিবারেও ছুটি নির্দিষ্ট নয়। ডাকলেই যেতে হবে। কাজের জন্য অনেক সময় বাইরে যেতে হয়। বাইরে পাঠানো হলে না বলা যাবে না। কোন কর্মী ইউনিয়ন করার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করা যাবে না। দাবি করা যাবে না। এমন হাজারো বাঁধন। অন্য একটি ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানা গেল, অনেকটা একই রকম সমস্যা। অনেকক্ষেত্রে নিয়োগপত্র পর্যন্ত দেওয়া হয় না। কোন মাইনের স্লিপ নেই। ইউনিয়ন নেই, বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানোর তেমন সুযোগ নেই। কাজের সময়ের কোন নির্দিষ্ট মাপ নেই। প্রয়োজনে ছুটির দিনে এবং বাড়িতে নিয়ে গিয়েও কাজ করতে হয়। নেই-এর তালিকা অনেক দীর্ঘ। কিন্তু পাওনার তালিকা সংকুচিত। শুধু উপরোক্ত দুজন নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সর্বত্রই কমবেশি একই চিত্র উঠে আসে। বেসরকারী নার্সিং হোমগুলির কাজের অবস্থাও তথৈবচ। নামমাত্র মাইনেতে কাজ করিয়ে নেয় একাধিক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা এক নার্স এরাজ্যে একাধিক নার্সিং হোমে ঘুরেও ন্যূনতম বেতনে একটা কাজের যোগাড় করতে পারে নি। অনেক প্রতিষ্ঠান বাইরের রাজ্যের ডিগ্রি দেখে কাজে নিতেই চায় না। কোন কোন প্রতিষ্ঠান নিতে চাইলেও মাসে তিন-চার হাজার টাকার বেশি মাইনে দিতে রাজি নয়। ১লা জুলাই ২০২২ রাজ্য সরকার শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন ঘোষণা করেছে। সেখানে গ্রামাঞ্চলে অদক্ষদের জন্য মাসিক মজুরি ৮৩৮০ টাকা, অর্ধদক্ষদের জন্য ৯২১৬ টাকা এবং দক্ষদের জন্য ১০১৩৯ টাকা। শহরাঞ্চলে তিন ক্ষেত্রেই একটু বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান এই সামান্য মজুরিটুকুও দিচ্ছে না। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে দৈনিক দক্ষ শ্রমিকের মজুরি ৪২৬ টাকা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সেই পারিশ্রমিক পান না। সর্বত্রই শ্রমের শোষণ চলছে।
শ্রমিক শোষণের বিরুদ্ধে ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় প্রথম আট ঘন্টা কাজ এবং শ্রমিক শোষণের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনেক আলোচনার পর বর্তমানে বিশ্বের আশিটি দেশে ১লা মে আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত হয়ে আসছে। ন্যায্য মজুরির দাবিতে কলে, কারখানায়, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন কম হচ্ছে না। আশা কর্মী থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা শ্রমের ন্যায্য মূল্য আদায়ের জন্য বারে বারে আন্দোলন করে পথে নেমেছে। কেন্দ্র সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে জাতীয় শ্রম কোড তৈরি করেছে সকলের জন্য। সেখানে সর্বাধিক দৈনিক ১২ ঘন্টা পর্যন্ত শ্রম দেওয়ার কথা বলা থাকলেও একইসঙ্গে সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা শ্রম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ফলে সপ্তাহে তিন দিন পর্যন্ত ছুটির পাওয়ার কথা। এছাড়া কর্মচারী প্রভিডেন্ড ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, সামাজিক নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, ন্যূনতম মজুরি-সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথাও উল্লেখ রয়েছে। তা সত্ত্বেও সকলের চোখের সামনে অসংখ্য বেসরকারি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমের শোষণ অব্যাহত। আইন থাকছে আইনের জায়গায়। বাস্তবে তার প্রতিফলন অনেকক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের অফিস রয়েছে জেলায় জেলায়। প্রতি ছ’মাস অন্তর ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করাও হচ্ছে সরকারিভাবে। সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্প চালু করা হয়েছে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য। এতসবের পরেও সরকারি বেসরকারি সকল স্তরে আজও ন্যায্য কাজের জন্য ন্যায্য মজুরি, কাজের নির্ধারিত সময়ের দিকটি অনেকাংশে অবহেলিত।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কেন এমন শোষণ এবং অবহেলা ? উত্তর, চাহিদা এবং যোগানের অসমতা এই বৈষম্যের জন্য মূলত দায়ী। দেশে কাজের অভাব আছে, অথচ শ্রম দেওয়ার মানুষ অনেক। করোনা অতিমারির শুরুতে ২০২০ সালের মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ২৩.৫ শতাংশে পৌঁছেছিল। বাংলায় তা পৌঁছেছিল ১৭.৩ শতাংশ। ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে অনেক শ্রমিকের বেকারত্ব ঘোচে নি। সংগঠিত ক্ষেত্রেও কাজ অনিয়মিত। ফলে সি-এম-আই-ই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমি) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে এসেও দেশের গড় বেকারত্ব ৮.৩ শতাংশ আর পশ্চিমবঙ্গে এই হার ৭.৪ শতাংশ। যা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। ফলে অনেক মানব সম্পদ উদ্বৃত্ত। কোন একটা সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলে আবেদনপত্রের অস্বাভাবিকতা থেকে বেকারত্ব সহজেই অনুমান করা যায়। সামান্য অষ্টম শ্রেণী পাশ ডোমের চাকরির জন্য এরাজ্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ ছেলেরা ভিড় জমাচ্ছে।
চিন, জাপান, আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বয়স্ক লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে শ্রমশক্তির হ্রাস ঘটছে, যা সেইসব দেশের উদ্বেগের কারণ। এখনও আমাদের দেশে শ্রম দেওয়ার মতো সক্ষম মানুষের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হওয়া এবং উন্নত চিকিৎসাবিজ্ঞানের সৌজন্যে ষাটোর্দ্ধের সংখ্যা এদেশেও ক্রমবর্ধমান। তা সত্ত্বেও এখনও এদেশে শ্রম উদ্বৃত্ত। কারণ শিল্প-কারখানার বৃদ্ধি ঘটে নি। বিনিয়োগ আশানুরূপ নয়। উলটে সরকারি উদ্যোগগুলিকে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের পরিবর্তে কম বেতনে, ইচ্ছেমতো ছেঁটে ফেলার সুযোগ রেখে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পথ প্রশস্ত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। তাতেও অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে বিরাট সংখ্যক বেকার ছেলেমেয়ে কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বিদেশেও পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু দক্ষ-অদক্ষ নির্বিশেষে অনেকক্ষেত্রে পারিশ্রমিক আশানুরূপ নয়। শ্রমের সময় এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যকর নয়। তা সত্ত্বেও বেকারত্ব ঘোচাতে কম পারিশ্রমিকেও কোন একটা কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে দেশের প্রায় চল্লিশ কোটি মানুষ নিযুক্ত থাকলেও তাঁদের কাজের সুস্থিতি এবং পারিশ্রমিক দুটিই অনিশ্চয়তায় ভরা।
এর থেকে উত্তরণের দুটি পথ। এক, সরকারি বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে যথেষ্ট কাজের বাজার সৃষ্টি করে দেশের শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা। দুই, নির্দিষ্ট শ্রমের জন্য কাজের উপযুক্ত পরিবেশ, পেনশন, গ্রাচ্যুইটি, নিরাপত্তা-সহ ন্যায্য মজুরি দিতে বাধ্য করার পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রকেও বিভিন্ন অত্যাবশ্যক সুযোগসুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ই-পোর্টালের মাধ্যমে অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তিকরণের ব্যবস্থা করেছে যাতে তাদেরকে দুর্ঘটনাজনিত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। কিন্তু মুল সমস্যার ক্ষেত্রে তার প্রভাব সামান্যই। আমাদের দেশ মূলত কৃষিনির্ভর। এখনও শতকরা প্রায় ৫০ শতাংশ পরিবার মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। ফলে কৃষিক্ষেত্রে শ্রমের বাজার অনেকটা তৈরি হয়েই আছে। কিন্তু সেখানে সমস্যা একাধিক। কৃষিকাজ এখনও অনেকখানি বৃষ্টিনির্ভর। অতিরিক্ত উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফসলের ন্যায্য মূল্য নির্দিষ্ট নয়। নানা কারণে খরচ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক চাষে অনেকে পটু নয়। ফলে লাভ মোটেই সন্তোষজনক নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলে বীমা সংস্থার মাধ্যমে দীর্ঘসূত্রিতা এবং সঠিক ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ আছে। তাই অনেকে কৃষিক্ষেত্র ছেড়ে অন্য পেশায় চলতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে কৃষিতে ক্রমশ সঙ্কট বাড়ছে। অথচ শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক উদ্বৃত্ত এবং ছোট-বড় ব্যবসা ক্ষেত্রে উদ্যোগপতির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ফলে সেখানেও তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে অনেকে ক্রমশ কর্মহীন হয়ে যাচ্ছেন। বৃহৎ উদ্যোগপতিরা বাজার ধরে নিয়ে শ্রমের মূল্য কমিয়ে নির্বিচারে শ্রমের শোষণ ঘটাচ্ছেন। বর্তমানে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে যেভাবে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে সেখানে যদি কড়া নিয়ন্ত্রণ বিধি না চালু রাখা হয় তাহলে একদিকে পরিষেবা পাওয়ার জন্য যেমন সাধারণ মানুষকে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে, তেমনই যাঁরা সেখানে কাজের জন্য নিয়োজিত হবেন তাঁরাও যথাযথ মজুরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং হবেন। শুধু আইন করে সকল সমস্যার সমাধান হবে না। উপযুক্ত নজরদারির দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। না হলে রাঘববোয়ালদের দাপটে শ্রমের শোষণচক্র থেকে অসহায় বেকার যুবক-যুবতীদের মুক্তি নেই।
প্রদ্যোৎ পালুই | Pradyut Palui
New Bengali Article 2023 | অঘোষিত প্রতিযোগিতার ফল
New Bengali Article 2023 | অযোধ্যা গ্রামে প্রাচীন জমিদারদের আশ্চর্য স্থাপত্য নিদর্শন
New Bengali Article 2023 | প্রেমাবতার ঠাকুর হরনাথ ও সহধর্মিণী কুসুমকুমারী কথা
New Bengali Article 2023 | স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন
বন্ধ হোক শ্রম শোষণ | শ্রমের শোষণ | শ্রম শোষণের শেষ কোথায় | আধুনিক সমাজেও শ্রমিক শোষণ দৃশ্যমান | শ্রম অধিকার | শ্রম শোষণ | শ্রমিক-বিরোধী শ্রমকোড | শ্রমিকের জীবন কি এতই ঠুনকো | সহিংসতা ও শোষণ থেকে রক্ষা | ভারতে শিশুশ্রমের অভিশাপ | ২০১৩ সনের ২৪ নং আইন | শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় | শোষণ খরচ উদাহরণ | শ্রমজীবী মানুষের অধিকার | জোরপূর্ব শ্রমের অবসান | পুঁজিবাদী সমাজ ও নারীর শ্রম শোষণ | শ্রম শোষণ কাকে বলে | শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব | শ্রমিকই কি আসল খলনায়ক | শ্রমের মূল্য সমান হোক | দৃশ্যমান কাজ | শ্রমিক শোষণ নয় | চাই শ্রমের মর্যাদা | জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক | পোশাক শিল্পে শ্রম শোষণ | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ ২০২২ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
bengali article writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali article rewriter | article writing | bengali article writing ai | bengali article writing app | bengali article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder