কুহেলী দাশগুপ্ত – সূচিপত্র [Bengali Story]
ভাত সরা – কুহেলী দাশগুপ্ত [2023 New Bengali Story]
চিত্র – ১
— অ লখা আ–লখারে এএ–কামে যাবিনে? – বড় দা রামুয়া ডাক ছাড়ে।
বাগদী পাড়ার পোলা দুইডা অভাবের সংসারে ঠিকা কামে লাগি পড়ে। কোয়ানে মেরামতির কাজ, কোয়ানে প্যান্ডেলের কাজ। বিয়া বাড়ি, ছেড়াদ্ধ বাড়ি- যহন যেমন জোটে। পাঁচটি প্যাটের যোগান দিতি হয়। অগো বাপ সুধাংশু অহন আর জমি জিরেতের কামে লাগতি পারে না। দাওয়ায় বসি ঝুড়ি বোনে। আট দশখান হলি পরে হাটে বিকোতি পারে। আট বচ্ছর পার হই গ্যাল, যহন মাইয়াডারে ভালো ঘরে, বরে বে দিছিলো। বাঁজা বলি তারে ফেরত দিছে। দুইখান বচ্ছরও ঘর করতি পারলনি শুকুয়া।
— কডি পান্তা আছে। খায় যা বাপ। ম্যালা দিন পড়ি আছে। মানদা অগো মা। হাঁক পাড়ে।
রামুয়া আর লখা পান্তা দুটি গোগ্রাসে গিলি পাল পাড়া ছোডে। ওইখানে ছেড়াদ্দ বাড়িতে ম্যালা কাম। মাইজ্যা কত্তার ছেড়াদ্ধ হই গ্যাল গতদিন। প্যান্ডেলের কাম আগেই সারছে। বুধোদার কামের বরাত। রামুয়া , লখার সাথে আরো মাইনষে খাটে। ষোল বছরের রামুয়ার তন লখা বছর চাইরের ছোড। দাদার সঙ্গ করি হাত পাকাইছে। অভাবের ঘরে ম্যালা দিন খাওন জোটে না। তাগো অভ্যাস আছে। মাইজ্যা কত্তার ছেড়াদ্ধে জব্বর খাওন অইছে। খাওনের সময় মা, দিদি আর বাপের লাগি লখার মন ক্যামুন করে।
আইজ বিহান থেইক্যা ভাত সরা দেওনের জোগাড় যন্তর চলে। উঠানে পেয়ারা গাছ তলে মাইট্যা উনান বানায় রামুয়া। লখা মাডি,পানি মিশাইয়া যোগান দ্যায়। মাইজ্যা কত্তার পরিবার হগ্গলে শহর থাহে। পাল বাড়ির আট দশ ঘর শরীক। ম্যালা ট্যাহা তাগো। কত কি বাজার আনছে! যে মানুষই নাই, তারে খাওয়ানের লাইগ্যা কত্ত আয়োজন!
— অ দা! অ্যাত্ত খানা মরা মাইনষে খায়!
— চুপ যা লখা। কথা বেশি কইস না।
— না রে দাদা, আমাগো প্যাটে অ্যাত্ত ক্ষুধা! খাওন জোটে না। হ্যারা কত কি রান্ধা করবো আইজ মরা মাইনষের লাইগ্যা।
রামুয়া লখার হাত ধরি টানি খিমচায় ।
সাঁঝ বাতি জ্বালনের বাদে মাইজ্যা কত্তামা মাটির সরায় রান্ধা করে। কতডি আয়োজন! দূর থন দুই ভাই ঠাহর করে। ডাইল, ঘন্ট, মোচা, লাউ কিছুই বাদ নাই। আর কত যে কি! রুই পেটী, কাতল মাছের রসা, ইয়া ব্বড় ইচা মাছ ।হগ্গলে কইছিল গলদা না কি য্যান!লখার জিহ্বার পানি শক্ শক্ করে।
— ক্ষুধা লাগে। দাদা বাড়িত চল।
— খাড়া, কিছু কাম বাকি আছে। খাতি দেওনের কালে পুকুর ধারে গোওর দিয়া নিকোন লাগবো। কাম সারি। তয় যামুনে।
ব্যাবাক রান্ধা আধা সিদ্ধ। মরা মাইনষে নাকি এমতি খায়। দুইখান অবাক চোখ ড্যাব ড্যাবায় চায়। রান্ধা শ্যাষ হলি পরে কত্তার পোলা আর ভাইপুত লগে মাথায় সরা সাজানি ঝাঁকা লই পুকুর ধারে । রামুয়া আগেই নিকান দিছিলো গোওর পানির ছিটা দিয়া । মশাল জ্বালা আলো, আসন পাইত্যা ব্যাবাক খাওন থুইয়া পোলা ডাহে, বউ ডাহে। শ্যাষ খাওন দিছি । খাইয়া লও। দোষ, ত্রুটির লাইগ্যা ক্ষেমা চায়।
রামুয়া ,লখা আঁধারে লুকায়। ব্যাবাক ফিরি যায়। কয়খান কুত্তা চাইরপাশ ঘুরঘুরাইয়া ফিইরা যায়। কেউ তো আয়ে না! একে একে বাত্তি নিভে গেরামের ঘরে ঘরে। ঝোপের কাছ দিয়া দুইখান মাথা বাইর হয়। কতকাইল এমন ধারা খানা জোটে নাই! বাড়িত গেলি পরে হেই তো জুটে নুন ,মরিচ ,ফ্যান ভাত। গো গেরাসে গিলে দুই জনা। কেউ জানতি পারে না।
বিহানে মায়ে ডাহে।
— কামত যাওন নাই আইজ! । অ লখা আ –, রামুয়া রে এ এ ধড়মড়াইয়া উইঠ্যা যায় দুই জনা। আইজ তাগো নিওতা দিসে পাল বাড়িত। প্যাট পুইরা খাইবো দুই ভাইয়ে। সিয়ান সারে । আইজ আর ঘরের পান্তা না খাইলেও চলে । মায়েরে কয়, থুইয়া দেও। আইজ আর খামুনা কিছু।
ভর দুপুরে পংক্তি ভোজনে কতডি পদ! ম্যালা মাইষের ভীড়। দুইজনে খাতি বইস্যা হোনে,
— কাইল সবডা খাইছিলো?
— ভাতসরা দিয়া অত কইলাম, কোন কিছুই তো আয়ে নাই। বিহানে ছোড়দা গেছিলো। দ্যাহে, ব্যাবাক চাইট্যা পুইট্যা শ্যাষ। কেঁডা বাইছ্যা মাছ খাইছে।
— কি কস! এমতি অয়! কুন ব্যাশে আইছিলো ক্যাডা জানে!
মাইজ্যা কত্তার পোলা আর কুটুমের কতা হুনি রামুয়া আর লখার বুক ধুকপুকানি। দুইজন মাথা নামাইয়া খাওনে মন দ্যায়।
চিত্র – ২
— খাবারগুলো আজ আমি রান্না করব।
পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধার কথায় খানিক চমকে ওঠে সীমা। একমাত্র ছেলে হারানোর কষ্ট নিয়ে শাশুড়ি মা আজ ভাতসরা রান্না করবেন বলছেন!
— আচ্ছা মা। তুমি যা বলবে।
সীমা জানে মলিনা দাশের কোন কাজে বাধা দেয়া উনি পছন্দ করেন না। শাশুড়ি মা সব সময় একরোখা। নিজের ভেতরকার বয়ে যাওয়া নদীর জোয়ার ভাটার সময়, তল কোনটাই কাউকে বুঝতে দেননি। তবে সবদিকে তীক্ষ্ণ নজর তার। সীমা বুঝেছিল একমাত্র ছেলের বউ হওয়া ও অনেক চাপের। ওনার মন মেজাজ বুঝে সবটুকু সামাল দিতে হয়। আজকের দিনের শিক্ষিতা বউমা এমন বাধ্য থাকবে, এটা আশা করা উচিত নয়। অনেক অপছন্দের বিষয়ে ও চুপ থাকে সীমা। আসলে ওর বিয়ের পর শ্বশুরমশাই, স্বামী অরিন্দম-এরা কেউই চায়নি সীমা স্কুলে চাকরি করুক।
— কি দরকার? আগে যা করেছ, এখন মন দিয়ে সংসার কর।
শ্বশুরমশাই বলেছিলেন,
— বাবুর যা আয় রোজগার, তাতে তোমার চাকরি করার প্রয়োজন পড়ে না।
একমাত্র শাশুড়ি মা সীমার পাশে ছিলেন।
— তোমরা সবসময় প্রয়োজনের কথা ভাব কেন? এতটা পড়াশুনো করে বউমা কেবল হেঁসেল ঠেলে যাবে! আমাদের সময় ছিল আলাদা। আমরা বেশিদূর পড়াশুনো করিনি। হেঁসেলের ভার নেব ভেবেই তৈরি হয়েছিলাম। আমরা ছেলের বউ আনব শিক্ষিতা,আর চাইব সে সংসারের চাপে গুমরে গুমরে থাক। এটা মানতে পারলাম না। বউমা চাকরি করবে। আমি এখনও অনেকটা সামলে দিতে পারি। তোমাদের কোন অসুবিধে না হলেই তো হোল।
কেউ আর এ ব্যাপারে বাধা দিতে পারেনি। সীমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতার শেষ ছিল না। তবে প্রতিটা দিন, মাস, বছর পার হতে হতে সীমার বুঝেছিল শাশুড়িমা নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অটল থাকেন। চাপা স্বভাবের। শ্বশুরমশাই গত হবার পর খুব যে ভেঙে পড়েছিলেন, এমনটা কাউকে বুঝতে দেননি। সীমার মেয়ে সিলভি তার ঠামুর কাছেই বেড়ে উঠল। স্কুল, হোমওয়ার্ক, আঁকা, নাচ শেখা -এগুলোর বাইরে বাকি সব ওর ঠামুর তদারকিতে চলেছে। সিলভির এখন নয় বছর চলছে। বাবার খুব ন্যাওটা। অরিন্দমের হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছে না মেয়েটা । মাঝে মাঝে ডুকরে কেঁদে উঠছে, কখনো একদম চুপ হয়ে কি যে ভাবছে! সীমার দাদা, বৌদি, মা এসেছে কয়েকবার। গতদিনের শ্রাদ্ধ শান্তির কাজ ও মিটেছে। অরিন্দমের সেজখুড়ী, ছোটমা সকলে আছেন। সকলের আদরের বাবু ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে এভাবে চলে গেল। কথায়, আলোচনায় শোকের কথা ই ছাপিয়ে উঠছে। সীমা নিজের ঘরে, সকলের আড়ালে একটু মন খুলে কেঁদে হাল্কা হচ্ছে। সব চেয়ে অবাক হতে হয় মলিনা দেবীর আচরণে। প্রথমে থম মেরেছিলেন। পরে সমস্ত পারলৌকিক কাজের তদারকি করছেন। যে বাবুকে খেতে দেয়ার ভার উনি বৌমার হাতে কখনো ছাড়তে পারেননি, তার বিয়োগ ব্যথায় কতটা মূহ্যমান হয়ে পড়বেন, এটা সবার চিন্তা ছিল। সীমাই বা কিভাবে এতকিছু সামলাবে! অরিন্দমের চলে যাওয়ার পর থেকে মলিনা দেবী একদিনও ভাত খাননি। খই, চিঁড়ে, সুজি, সাবুদানা ভেজানো এসব খেয়েছেন। তাঁর জায়েরা এমন কি সীমার বলাতেও কাজ হয়নি।সেই এক কথা।
— আমার শরীর, আমি বুঝব।
আজ অরিন্দমের উদ্দেশ্যে ভাতসরা দেয়া হবে। সকাল সকাল সেজ কাকা বাবু তার ছেলে অনিন্দ্য অনেক বাজার সেরেছে। মলিনা দেবী আলাদা করে পাঁঠার মাংস আনতে দেওয়ায় সেজখুড়ী, ছোটমা সকলে হা হা করে ওঠেন। প্রেতের উদ্দেশ্যে ওসব দিতে নেই। একথা সীমাও জানে। সকলে এটাও জানে মলিনা দেবী কারো কথা শুনবেন না।
— এই তো শেষবার খেতে দেবো। ও যা খেতে ভালোবাসে, সবটাই দিতে চাই।
যিনি স্বামী গত হওয়ার পর থেকে কখনো আঁশবটিটাও ছোঁয়নি, তিনি ছেলের জন্য মাছ, মাংস সব রাঁধবেন। অবাক হওয়ার কথা। সকলে কানাঘুষো করলেও সামনে কিচ্ছুটি আর বলে না। সেই দুপুর থেকে এক সন্তান হারা মা মৃত ছেলের জন্যে কত কি রাঁধছেন! এ দৃশ্য চেয়ে দেখার নয়। সীমা সব কিছুর জোগান দিয়ে চলেছে। তেল, নুন, মশলা যা লাগবে হাতের কাছে। একে একে ডাল, সব্জি, ছানার ডালনা, চিংড়ি মালাইকারি, ইলিশ ভাপা, চিতল কালিয়া, পমফ্রেট ভাজা, সর্ষে ট্যাংড়া, পাঁঠার মাংস কষা, পায়েস, মালপোয়া, নারকোল নাড়ু, ছানার জিলিপি কিছুই বাদ যায় না। মলিনা দেবী খুব ঘামছিলেন। সেই সন্ধ্যে অবধি রান্না চলল। শ্রাদ্ধের কাজ সীমা করলেও ভাতসরা বাড়ির বাগানে মাথায় বয়ে নেয় অরিন্দমের খুড়তুতো ভাই অনিন্দ্য। গোবর ও গঙ্গা জলে নিকোন জায়গায় সব নামিয়ে একটা প্রদীপ জ্বেলে রাখা হোল। সীমা ও সিলভি কান্না ভেজা গলায় অনেক অনুনয়, বিনয় করে ডাকলো। মলিনা দেবী দূর থেকে সকলকে ডেকে নিলেন। এ খাওয়া দিয়ে পিছু ফিরে তাকাতে নেই। সকলে দরজার কাছে এগিয়ে এলে মলিনা দেবী মাথা ঘুরে চৌকাঠে বসে পড়েন। ঘামে জামা কাপড় সব ভেজা। সবাই ওনাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ছোটকা গেলেন নিবারণ ডাক্তার কে ডাকতে। কেউ জানলো না পাড়ার সেই খোঁড়া নেড়ীটা এসে খেয়ে গেল। পরদিন সকালে সীমা ই গেলো দেখতে সবার আগে। কেবল মাংস আর পায়েসের সরা দুটি চেটেপুটে সাফ করা। বাকি সব কিছুই যেমন দেয়া হয়েছে তেমনটি রয়েছে। ফাইফরমাশ খাটা বিল্লুকে দিয়ে সব পরিষ্কার করিয়ে পুকুরে ফেলার পর স্নান সেরে আসতে বলল সীমা। ওর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বারণ করে দিলো, কাউকে যেন কিছু না বলা হয়।
মলিনা দেবী একটু বেলায় জাগলেন। মাথাটা ভার হয়ে আছে। সেজখুড়ী, ছোটমা সকলে এসে কাছে বসেছে।
– কেন যে দিদি এতো অনিয়ম করলে! এখন বয়সটা বেড়েছে তো না কি!
ছোটর কথায় কোন জবাব না দিয়ে মলিনা দেবী জানতে চান,
— বাবু সবটা খেয়েছে তো?
– হ্যাঁ মা। একদম পরিষ্কার করে। আমি জায়গা ও সাফ করিয়ে নিয়েছি।
সীমার কথায় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন বৃদ্ধা মা।
কুহেলী দাশগুপ্ত | Kuheli Dasgupta
Top Bengali Article 2022 | বসন্ত উৎসব | প্রবন্ধ ২০২২
Bengali Story 2022 | নকুল পাগলা | প্রবোধ কুমার মৃধা
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | মৌসম সামন্ত (অসুর)
Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022
ভাত সরা | শ্রাদ্ধের সরা থেকে ভাত | ভাত খেতে ভালোবাসেন | ভাত নিয়ে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য | রন্ধনপ্রণালী | ১০০ গ্রাম ভাত | ভাত গল্প | পান্তা ভাত | ভাত কম খান | প্রতিদিন কতটুকু ভাত খাওয়া উচিত | সাদা ভাত খাওয়ার ৬ উপকারিতা | ভাত রান্নার সহজ উপায় | প্রশ্নটা দুমুঠো ভাত নিয়ে | বিভিন্ন ধরনের ভাত | পান্তা ভাত রেসিপিগুলি | ৩ বেলা ভাত খেলে যে ক্ষতি | বাসমতি চালের ভাত | পান্তা ভাত কেন খাবেন | কাজীর ভাত ও কাজীর নাস্তা | ভাত রান্নার সঠিক কৌশল | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
bengali story new | indian poems about death | 2023 new bengali story | 2023 new bengali story books for child pdf | 2023 new bengali story books for adults | 2023 new bengali story books | bengali story books for child | 2023 new bengali story books pdf | 2023 new bengali story for kids | 2023 new bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short 2023 new bengali story definition | short story english | short story for kids | short 2023 new bengali story generator | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | 2023 new Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Bengali Writer | Shabdodweep Bengali Story | Updated Bengali Story 2023 | update 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – top list | 2023 new Bengali Story – best story | 2023 new Bengali Story – top story | Best seller – 2023 new Bengali Story | Best seller 2023 – 2023 new Bengali Story | 2023 new Bengali Story – Best book