Education Quality of Public Representatives | Best 2023

Sharing Is Caring:

জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা – প্রদ্যোৎ পালুই

ভারতবর্ষের রাজনীতিতে জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি থাকা উচিত কিনা এই প্রশ্নে দেশবাসী দ্বিধাবিভক্ত। অনেকের মতে, যাঁরা দেশের আইন তৈরি করবেন, আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিবেচনা করবেন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি কিছুই না থাকে বা নামমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তবে সেই শিক্ষা নিয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়টি তাঁরা মূল্যায়ন করবেন কী করে? এছাড়া যে আইন দেশে চালু আছে সেই আইন ভাল করে না জানলে তার ভালমন্দ বিচার করা এবং কার্যকরী করার দিকটিও অবহেলিত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্য এক দলের মতে, দেশের সংবিধানে জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য বয়স, নাগরিকত্ব, দেউলিয়া ঘোষণা-সহ বিভিন্ন যোগ্যতার মাপকাঠি থাকলেও শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে উল্লেখ নেই। ফলে শিক্ষার যাঁতাকলে অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হওয়া থেকে আটকে রাখা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, এমনকি সেটা রাজনীতিকে সমাজের উচ্চশ্রেণীর মধ্যে কুক্ষিগত করে দেওয়ার সামিল, যা সংবিধানের পরিপন্থী। এই বিতর্ক স্বাধীনতার সময় থেকে আজও শেষ হয় নি। কারণ যত দিন এগোচ্ছে ততই জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব বাড়ছে এবং বিচারবোধ, যুক্তিবোধ, আইন-কানুন, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা ইত্যাদির উপর তাঁদের সচেতন থাকা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।

জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণকে যদি সঠিক যুক্তি এবং আইনি মাপকাঠিতে কার্য কারণ বুঝিয়ে দেওয়া না যায় তবে জনপ্রতিনিধির গ্রহণযোগ্যতা যে কমে এতে কোন দ্বিমত থাকার কথা নয়। তাছাড়া জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করতে হয়। সেখানে প্রশাসনের আমলা থেকে সাধারণ কর্মচারী, সকলের একটা মিনিমাম শিক্ষাগত যোগ্যতামান থাকে। তাঁদেরকে দক্ষতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হয়। তাঁদের সঙ্গে যুক্তি, বুদ্ধিতে পাল্লা দিতে গেলে নিজেকে অনেকটা যোগ্য করে তুলতে হয় বৈকি। এই টানাপড়েন থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে এখনও কোন আইনি বাঁধন দেওয়া সম্ভব হয় নি। এমনকি এমন মতও চালু আছে যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কম শিক্ষিতদের বেশি করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ দেয়, কারণ তাহলে তাঁদের উপর দলের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা অনেক সহজ হয়।

শুধুমাত্র দেশের এবং রাজ্যের আইনসভার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন এমনটা নয়। বর্তমানে সংবিধানের ৭৩ এবং ৭৪ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশের সকল রাজ্যে পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে অসংখ্য জনপ্রতিনিধি স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাঁদের প্রত্যক্ষভাবে এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয়। সেখানে পঞ্চায়েত বা পুরসভা পরিচালনা, ন্যায্য দাবি আদায়, সরকারি সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলি ভাল করে না জানলে চলে না। তাই সেখানেও সর্বনিম্ন শিক্ষার প্রয়োজন আছে বলে অনেকে মনে করেন। এবিষয়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকার পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের জন্য মিনিমাম শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে ২০১৫ সালে আইন পাশ করে। সেখানে সাধারণ শ্রেণী, তপশীলি জাতি-উপজাতি, মহিলা ইত্যাদি ক্যাটাগরি অনুযায়ী সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি রাখা হয়েছে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা হলে সর্বোচ্চ আদালত এই শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি সংবিধান বিরোধী বলে মনে করে নি। তাই সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিয়ানা সরকারের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সংশোধনী সর্বোচ্চ আদালত বহাল রাখে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই সংশোধনের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, “কোনও রাজ্য সরকার এমন আইন করতে পারে না, যা সংবিধান বিরোধী।” যদিও সংবিধানে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা বা না থাকার ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি। বরং সংবিধানের ২৪৩এফ ধারার ১(বি) উপধারায় পঞ্চায়েতে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বা সদস্যপদ খারিজের ক্ষেত্রে যোগ্যতা-অযোগ্যতার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভাকে আইন প্রণয়নের অধিকার দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যই সেই আইনি বলে পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে মিনিমাম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার বিষয়কে গুরুত্ব দেয় নি। এমনকি হরিয়ানা সরকারের পঞ্চায়েতে জন-প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নকে কংগ্রেস, বাম-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল সকল শ্রেণীর মানুষের জন-প্রতিনিধিত্বে অবাধে অংশগ্রহণ আটকাতে হরিয়ানা সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা বলে কটাক্ষ করেছিল। যদিও এর আগে রাজস্থানের বিজেপি সরকার একইভাবে পঞ্চায়েতের জন-প্রতিনিধিত্বে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সংক্রান্ত আইন পাশ করেছিল। বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পঞ্চায়েতে জন-প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে বিজেপির সমালোচনা করলেও সেইসব দলের অনেক জনপ্রতিনিধি কিন্তু সুষ্ঠুভাবে নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের তৎকালীন নেতা মানস ভূঁইয়া মন্তব্য করেছিলেন, “ছাত্রজীবন থেকে শুনে আসছি রাজনীতি নোংরা। ভাল শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা রাজনীতিতে না এলে গাল-কাটা, কান-কাটা মস্তানরাই রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়াবে। তাই সাংসদ, বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সব স্তরেই জনপ্রতিনিধিদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা উচিত।” গ্রামেগঞ্জে একান্তে কথা বললে জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষের থেকে একই মতামত উঠে আসে। যদিও ওই দলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র তথা সংবিধান বিশেষজ্ঞ অভিষেক মনু সিংভি-এর উলটো মত প্রকাশ করে এই আইন প্রণয়ন বিজেপির বৃহত্তর চক্রান্তের অঙ্গ বলে মন্তব্য করেছিলেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইন্দিরা জয়সিংহ মনে করেন, আদালতের এই রায় গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যে প্রায় চূড়ান্ত আঘাত। এটা চলতে থাকলে ক্ষমতা এলিট শ্রেণীর হাতে চলে যাবে।

যখন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পঞ্চায়েত সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্নে সমালোচনা করা হয়েছে তখন দেখা যাচ্ছে, গুজরাতের সর্বশেষ বিধানসভায় ৫২ শতাংশ মন্ত্রী দ্বাদশ শ্রেণীও পাশ নয়, এমনকি সেখানকার পশুপালন মন্ত্রী মাত্র চতুর্থ শ্রেণী পাশ হওয়ায় গুজরাত কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাজ সিং পরমার বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষিত এবং সেবা-অনুপ্রাণিত মানুষ রাজনীতিতে এগিয়ে না আসে, ততক্ষণ এই পরিস্থিতি একই থাকবে।” তিনি আরও বলেন, বিজেপি অশিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটে দাঁড় করায়, সেই প্রার্থীও জয়ী হয়, এই কারণে রাজ্যের নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচনে শিক্ষার পরিবর্তে বর্ণবাদের উপর জোর দেওয়া হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতি প্রাধান্য পায়। এভাবে রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তিদের স্থান-কাল বিবেচনা করে পরস্পর বিরোধী মতামত প্রকাশ আখেরে রাজনীতির ক্ষতি করছে।

দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে কোন ধরনের জন-প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে শিক্ষার যে প্রয়োজন আছে সেকথা অনেকেই স্বীকার করেন। কিন্তু রাজনৈতিক মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদেরই মত ভিন্ন হয়। এটা হওয়া কাম্য নয়। মনে রাখা দরকার, লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত-সর্বত্র শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা প্রতিনিধি পিছনের সারিতে থেকে মৌন অবস্থান করেন। দলের নির্দেশ মতো হাত তুলে দলের মতকে সমর্থন করা ছাড়া বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এই পরিস্থিতির বদল হওয়া দরকার। গুরুত্ব অনুযায়ী তাই প্রত্যেক স্তরের জন-প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শিক্ষার প্রয়োজন আছে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের উচিত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।

তথ্য সহায়তা

১।পঞ্চায়েতে আবশ্যিক শিক্ষা, রাজ্য নারাজ- আনন্দবাজার অনলাইন, ১২ই ডিসেম্বর ২০১৫
২। বিশ্ব বাংলা রিপোর্ট, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রদ্যোৎ পালুই | Pradyut Palui

Countdown 99 | বিধি রে | কুহেলী দাশগুপ্ত | New Story 2023

Poila Baisakh 1430 | স্মরণে-বরণে ১লা বৈশাখ

Sea expedition of fisherman | মৎস্যজীবীর সমুদ্র অভিযান | Article 2023

Adonis | অ্যাডোনিসঃ আধুনিক আরবি কবিতার রূপকার | 2023 Article

Education Quality of Public Representatives | Article – Education Quality of Public Representatives | Best Article in Bengali | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | Education Quality of Public Representatives – essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | Best Article – Education Quality of Public Representatives | Best Article in Bengali pdf | writing competitions in africa 2023 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions 2023 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla – Education Quality of Public Representatives | bengali article rewriter | article writing | Education Quality of Public Representatives – writing ai | bengali article writing app | Best Article in Bengali book | Best Article in Bengali – Online | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples – Education Quality of Public Representatives | Viral Video – Best Article in Bengali | Best Article in Bengali Source | bengali article writing format | Best Article in Bengali News | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | Ebook – Education Quality of Public Representatives | PDF Education Quality of Public Representatives | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | Best Article in Bengali Font | article writing on global warming | bengali article writing pdf | article writing practice | Best Article in Bengali Ebook 2023 | what is article writing | content writing topics 2023 | Bangla Prabandha | The Best Article in Bengali | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Article | Best Article in Bengali in pdf 2023 | Trending Best Article in Bengali | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Trend – Education Quality of Public Representatives | Education Quality of Public Representatives in World | Know Education Quality of Public Representatives

Leave a Comment