কুহেলী দাশগুপ্ত – সূচিপত্র [Bengali Story]
কাউন্ট ডাউন 99 – কুহেলী দাশগুপ্ত [Countdown 99]
শুক্লা চতুর্দশীর রাত। খোলা জানালা পথে ঘুমহারা চোখ দুটি কোথায় হারিয়েছে! পূর্ণতা পাওয়ার আগে চাঁদ বুঝি ওই চোখের তারায় প্রতিবিম্ব খুঁজছে! রাস্তায় দলবদ্ধ ভাবে টহল দেয়া সারমেয়দের আর্তনাদে রাতের নিস্তব্ধতা খান খান হয়। দেয়ালে একটা টিকটিকি ডেকে উঠে কোনদিকে ছুটল যেন! বহ্নির চোখের পাতাগুলো এক হতে না পেরে টলটলে দীঘির দুপাশে দাঁড়িয়ে জোছনা ভরা আকাশ আর পূর্ণ চাঁদের ছবি খুঁজছে।
জেগে থাকা রাতের গভীর অন্তর্দৃষ্টিতে আকাশ পাতাল ভাবনার ছবি ভাসে কবেকার স্মৃতির পাতা উল্টে।
সাতচল্লিশ নম্বর সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ভাবছে বহ্নি, এক একটা বছর ধরে সবে ছেচল্লিশটা সিঁড়ি সে পার করেছে। এই সিঁড়ি অবধি মা পৌঁছতে পারেনি। তেতাল্লিশেই ছবি ঘরে আটকে পড়েছে। কোন দুঃখ বা যন্ত্রণা কি দগ্ধ করছে তাকে? অনেক খুঁজে ও উত্তর মেলে না। পরিপূর্ণ সংসার । ছেলে মেয়ে দুজন স্বাবলম্বী। সুচাকুরে দায়িত্ববান স্বামী। তবে! কি এতো ভাবছে সে!
আসলে, বাস্তবতার কঠিন পথ ধরে অনেকটা এগিয়েছে সে। মনের কাছে আড়াল থাকেনা কিছুই। দৃষ্টি আর কথার ভাঁজে আসলটা বুঝতে বেগ পেতে হয় না। তবে কি! হারাতে হারাতে সে হারানোর ভয়কে জয় করতে পারেনি! প্রতিনিয়ত কাছের জনদের ছবিঘরে আটকে পড়ার ভীতি তাকে তাড়া করে। জড়িয়ে থাকা সম্পর্ক শেকলের আংটার মতো। একটা খুলে গেলে বিচ্ছিন্ন, এলোমেলো ও। বহ্নি অনেকটা হারিয়ে নতুন করে পেয়েছে। সযতনে আগলে চলা তাই। জঙ্গলে পথ হারানোর মতো। কিংবা অথৈ সাগরে খাবি খাওয়ার মতো। প্রতি মুহূর্তে তলিয়ে যাওয়ার ভয়। সময় ও বয়সের পরিণতিতে অনেকটা ধাতস্থ হলেও বিষণ্ণতার গভীর হতে বেরুতেই পারছে না যেন! অর্থ প্রতিপত্তির প্রাবল্যের কাছে কি হারানোর ভয় তুচ্ছ! পোশাকি ব্যবহার কি সুচতুর অবহেলাকে আড়াল করতে পারে! মায়ের অনেক কথা কানে বাজতে থাকে।
— মানুষ অভিশাপ দেয় না। ক্ষুরধার কথার আঘাতে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ, দুর্বল স্থানে আঘাতের পর চোখ উপচে নামা গরম তরল প্রকৃতির খেয়ালে অভিশাপ হয়ে ফিরে যায়। উদ্ধত মানসিকতা তোয়াক্কা করেনা এসবকে। সবটাই তো মনের ব্যাপার। মানলে আছে।
ভবঘুরে বীরেশ্বর কাকাকে বাবা পছন্দ করত না। সংসার ফেলে আশ্রম , পথে পথে ঘুরে দিন কাটানো!নিরামিষ খেতেন বলে মায়ের আলাদা আয়োজন করতে হত। দু’চারদিন থেকে গেলে বাবা রেগে যেত। মাথা ভর্তি সরষের তেল মেখে সোফার তাকিয়াতে হেলান দিয়ে ঝিমাতো। বাবা রেগে বলতো,
— যাও, তোমার গুরুদেব এসেছেন। পদধূলি নাও, সেবা কর।
মা চুপ। এই কাকা বহ্নির পিসির দেওর। পিসি, পিসেমশাই এলেও বীরেশ্বর কাকা আসতেন। তখন বাবা চুপ। সেবা, যত্নে কোন আপত্তি নেই। যত আঁচর কেবল নরম মাটির বুকে!
সময় ফুরিয়ে যায়, জীবন প্রদীপ নিভে যায়। কথাগুলি কারো হৃদয়ে লুকিয়ে থাকে আমরণ। ঠাম্মির কথা মনে পড়ে তার। কতরকম প্রবচন, সংস্কারের বুলি আওড়াতো ঠাম্মি! কাতর স্বরে বেড়াল কাঁদলে বলতো, অমঙ্গল বার্তা। কত তর্ক জুড়তো সে!
— সব বাজে কথা। ওদের ও দুঃখ হয়। ওরা কাঁদবে না!
আজকাল বেড়ালের কান্না, দাঁড়কাক, চিল, শকুন সকল নিয়েই আশঙ্কিত হয় সে। মনে শঙ্কা নিয়ে ভাবে,
— দিন গোণার পালা কি শুরু হোল তার! কে জানে!কখন ছবির ফ্রেমে আটকে পড়ার ডাক আসবে! মা হারানো যন্ত্রণাময় আর্তনাদ শুনে সে ছুটে যায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া ছেলেবেলার স্মৃতিতে। কোথাও সে খুঁজে পায় না মায়ের নিথর দেহ। সে তো চলে ফিরে বেড়ানো মানুষটাকে ভিন দেশে যাওয়ার কালে বিদায় জানিয়েছিল। যথা সাধ্য চিকিৎসার পর ও মা ছবি ঘরেই আটকে পড়েছিল। তার বার্তার খবর
বধির করে দিয়েছিল তাকে। কয়েক মুহূর্তের জন্য শব্দহীন জগৎ যেন!
ওর বহ্নিশিখা নাম রেখেছিল দাদু। কেন যে রেখেছিল!স্মৃতির পাতায় জ্বলে ওঠা চিতার আগুন এখনো তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। কাউন্ট ডাউন শুরু হোল কি তাহলে? ফুরিয়ে যাওয়ার? আবার এলোমেলো, বিশৃঙ্খল জীবনের,আশঙ্কা মনে। নিরানব্বই, আটানব্বই, সাতানব্বই … গুণতে গুণতে চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে।
বিধি রে – কুহেলী দাশগুপ্ত [Bengali Story]
১.
তিন দিনের প্রবল জ্বরে হীরা হঠাৎ মারা গেল। দুটি ছোট্ট বাচ্চা জীবন আর পরাণ কে নিয়ে তার বউ সনকা পড়ল অথৈ জলে। একমাত্র ভরসার মানুষ রয়েছে দেওর ধীরা।শ্মশান থেকে ফিরে ধীরা পাথর হয়ে বসে থাকা সনকা কে বলে,”বউ মণি গো, কি করাম, দাদা গ্যাছে আমাগো ফ্যালাইয়া, তুমি ভাইঙ্গা পড়লে ছাওয়াল গো ক্যাডা দ্যাখবো।”সনকা আর চাপতে পারে না, ছেলেদের জড়িয়ে ধরে অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়ে। কয়দিন আগে ও দু’ভাই জমির কাজ করে ফিরলে সনকা যত্ন করে বসে খাওয়াতো, আজ একজন নেই। সোমত্ত বয়সে স্বামীহারা হয়ে বাচ্চা দুটিকে কিভাবে আগলাবে-দিশাহীন দৃষ্টি কূল পায় না। ধীরা সাহস জোগায় । মনমরা হয়ে সনকার দিন কাটে। কাজে মন নেই। কখনো উনুনে ভাত চড়িয়ে আপন খেয়ালে ডুবে থাকে। ভাতের হাঁড়ি উতরে ফ্যান পড়ে আগুন নিভে ধোঁয়া হয়, তখন সম্বিৎ ফিরে পায়। তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে হাঁড়ি নামিয়ে উনুন ঠিক করতে যায়। বছর তিন আর পাঁচ এর বাচ্চা দুটি উঠোনে আপন মনে খেলে। বড়টি জীবন এসে হঠাৎ জিজ্ঞেস করে, “বাবা কই গ্যাছে গো মা?আয়ে না ক্যান?”কি বলবে ভেবে পায়না সনকা, শুধু চোখ ভেজে তার।ধীরা ক্ষেতের কাজ থেকে ফিরে, কাছে টানে বাচ্চা দুটিকে, বোঝায়,”বাবা ম্যালা দূর কামে গ্যাছে। আইবো যখন, তগো লাইগ্যা বহুত কিছিমের খ্যালনা আইনব।” ভুলে থাকে ছেলে দুটি।এমনি করে দিন যায়। ধীরা আর সনকা কে নিয়ে পাড়ায় কানাঘুষো চলতে থাকে।একদিন পুকুর ঘাটে গোবির মা বলে সনকাকে, “তরা এক লগে আছস যহন , পোলা পানের কথা ভাইব্যা বিয়া বইয়া যা। মাইনষে নানান কথা কয়।”সনকা ক্ষেপে যায়। বলে, ” আমাগো লাইগ্যা তোমাগো অ্যাত্তো চিন্তা ক্যান। ধীরা রে মুই ভাইয়ের লাহান দ্যাখি। “মুখ বেঁকিয়ে যাওয়ার সময় গোবির মা বলে,”ভাই না আর কিছু, তুই কত সতী আমাগো জানা আছে। মর গ্যা।” এমন নানা কথা চলতে থাকে পাড়া গাঁ য়ের মুখে মুখে। এসব ধীরার কানে ও যায়। বরাবরই ঠান্ডা স্বভাবের ছেলে সে। দাদা -বৌদি অন্ত প্রাণ তার। সনকাকে ভরসা দেয়, “তুমি মন বিষাইয়ো না বৌমণি, মাইনষের কথা তাগো কইতে দ্যাও। ” শেষ রক্ষা পায় না। গ্রামের প্রভাবশালীদের নিয়ে প্রতিবেশীরা সালিশী সভা ডাকে। ধীরা র ডাক পড়ে সেখানে। সবাই একমত হয়ে সনকা আর ধীরা র বিয়ের কথা বলে। বউদিদির সম্মানে যতই ধীরা তাদের বোঝাতে চায় , তারা এককাট্টা হয়ে কিছুই মানতে চায় না। শেষে ভেবে ধীরা দুদিন সময় চেয়ে নেয়।
বাড়ি ফিরে বৌমণি জানতে চাইলেও কিছু বলে না সে। বলে, “ছাড়ান দ্যাও। আমি আছি তো।”সনকার মনে ও দ্বন্দ্ব চলে। ভাইয়ের মতো স্নেহ যে তার ধীরার জন্য। পরদিন ক্ষেতের কাজ শেষে কোথায় যেন যায় ধীরা।অনেক রাতে ফেরে। বলে,” আমাগো ইহানের পাট চুকলো গো। গুছাইয়া লও। শহরে যামু গা। কাইল বিহান্যা ভোরে বাইর হমু।”অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে সনকা,”কডি যাবা নে?জমি জিরেত, ভিডার কি হইব?”ধীরা অভয় দেয়,”চিন্তা নাই ক্যা। ব্যাবাক বাঁধা দিছি বাবুল মহাজনের দ্বারে। পরে ছাড়াইয়া লমু নে। শহর যামু কাইল। চিন্তা নাই, একখান কাম ঠিক জুটাইয়া লমু। ইহানে আমাগো শান্তি দিবো না হগ্গলে। তোমারে দিদি ছাড়া কিছু ভাবি নাই কুনোদিন। আইজ হালায় রঙ ছড়াতি চায়! ভাই বুইনে ঠিক পারুম পোলা দুইডারে বড় করতি।”সনকা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। ধীরার মুখ খানা যেন মায়ায় ভরা। ছলছল চোখে সারা রাত সব গুছিয়ে নেয়। কাক ডাকা ভোরে শহরের উদ্দেশ্যে অজানা পথে এগিয়ে যায় তারা। যেখানে প্রশ্নের তীর এসে হয়তো তাদের বিদ্ধ করবে না প্রতিনিয়ত।
এদিকে গ্রামে রটে যায়, হীরার সোমত্ত বেধবা বউটা আর বাচ্চাদের নিয়ে ধীরা পালিয়েছে। এই কান্ড যদি করে তো পালানোর দরকার কি? নানা কথা মুখোরোচক হয়ে ফেরে। বিধি হাসেন, নিরব সত্যের আড়ালে।
২.
মুসাফিরখানার গলিতে কয়েক ঘর বসত । সবাই ভাড়া বাবদ মালিক কালু সরকার কে হাজার টাকা করে দেয়। ধীরা সনকা আর ভাইপো দুটিকে নিয়ে এইখানে এক ঘর ভাড়া নেয়। জমি আর বাড়ি বন্দকীর টাকায় কিছুদিন চালিয়ে এক মুদি দোকানে কর্মচারীর কাজ নেয়। প্রথমে প্রতিবেশীরা নানা প্রশ্ন করলে ও পরে উৎসাহে ভাটা পড়ে। সনকা ধীরা কে ভাই বলে ডাকত আর ধীরার বউমণি ডাক -শুনে কৌতূহলীদের প্রশ্নে সনকা বলেছিল, “দেওর হইলে ও অরে ভাই জাইন্যা আসছি। “জীবন আর পরাণ কে একটা অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। এভাবেই চলছিল কোন রকমে। এরই মাঝে সনকা কাজের ডাক পায়। তার প্রতিবেশী একটি বউ কয়েক বাড়ি ঠিকে কাজ করে। সে ই বলে বড় লোক বাড়িতে কেনা রুটির চাহিদা রয়েছে। সনকা রুটি বানিয়ে দিলে সে পৌঁছে দেবে বাড়ি বাড়ি। কিছু বাড়তি আয় হলে ধীরার যদি কিছু ভার লাঘব হয়। রুটি বিক্রীর টাকার কিছু কমিশন যেত প্রতিবেশিনী বউটির কাছে , বাকিটা সনকার। অল্প, অল্প করে জমছিল ভালো।
তাদের বাড়িওয়ালা কালু সরকারের এক মেয়ে ছিল। গায়ের রঙটা একটু বেশী চাপা। তবে ছিপছিপে তন্বী। মাথার চুল গোছা ভরা, দীঘল কালো। আড়ালে লুকিয়ে দেখত সে ধীরাকে। যখন কল তলায় স্নানে যেত ধীরা, ফর্সা মেদবিহীন শরীর অবাক হয়ে দেখত । নাম তার বিন্তি। মাজা গায়ের রঙ বলে মেয়েকে পাত্রস্থ করতে বেগ পেতে হচ্ছিল কালুর। মেয়ের গতি বিধি দেখে কালুর বউ স্বামীকে সবটা জানায়। তখন থেকে মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে ছক কষে নেয় কালু। ধীরার স্বভাব গুণে ভাল পাত্র হলে ও একমাত্র মেয়েকে হাড়-হাভাতে ঘরে পাঠাবে না সে। কিছুদিন পর কালুর বউ প্রস্তাব নিয়ে যায় সনকার কাছে। “মাইয়া আমাদের খুব লক্ষ্মীমন্ত গো। মুখে রা টি কাড়ে না। তোমাগো মত হইলে বিন্তির বাপে কথা কইব। “সনকা ধীরার মত জেনে নেবে আশ্বাস দেয়।
রাতে বাড়ি ফিরে , সব জেনে ধীরা কিছুক্ষণ চুপ থাকে। পরে বলে,” বিয়া বইলে তোমাগো দ্যাখবো ক্যাডা?সবটি ভাবন লাগে বউমণি। আমার অহন হেইসব চিন্তায় মন নাই। তুমি মানা করি দ্যাও”।
সনকা অনেক বুঝিয়ে রাজি করায় ধীরাকে। বিয়ে হলেও তারা ভেন্ন হবে না ,কথা দেয় সনকা।
শুভ দিনে চারি চক্ষের মিলনে গাঁটছড়া বাঁধে বিন্তি ও ধীরা। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই কালু তার ব্যবসার দায়িত্ব ভার নেয়ার জন্য ধীরাকে চাপ দিতে থাকে। ধীরা কিছুতেই মানতে চায় না। বিন্তিরে দুই-চাইর কতা শোনায়। তাইরপর বউমণিরে কয়, ” ভালা আছিলাম, তোমাগো সইলোনি। ন্যাও, অহন দুই ভেলার মাঝে মুই খাবি খাই”!
সনকা বোঝায় ধীরারে, “অ ভাই, চটো ক্যান? আমাগো লাইগ্যা ভাইবো না। বিয়া করছ। সোমসার গোছাও। ভার নিছ, সামলান লাগবো”।
— “ক্যাডা নিতি চাইছিল? তুমি জোর সাধলা। আমার কুনো কতার মান দিছ?আমি পারুম না। অন্যের কামের ভার নেওনের দায় নাই”।
পরদিন কালু, বিন্তির মা এসে বলে, ধীরাকে তাদের সাথেই থাকতে হবে বিন্তিরে নিয়ে। অ্যাত্ত ছোট ঘরে তাদের মেয়ের কষ্ট হচ্ছে। অন্যথা হলে, কালু সনকাদের এই ভাড়ার ঘরে ও থাকতে দেবে না। ধীরার জেদ চেপে যায়। রেগে কিছু বলতে যাবে, তখন সনকা বাধা দিয়ে বলে,” আপনেরা চিন্তা কইরেন না। ভাই যাবে আপনেগো ঘরে। আমাগো কুনো চিন্তা নাই।”। বিন্তির বাবা মা মেয়েরে নিয়ে বাড়ি যায়।
সারারাত ধীরা ঘুমোয় না। অভিযোগের অন্ত নাই তার। সনকার চোখে জল।বলে, “ভাই, তুমি আর কিছু কবা না। আমাগো লাগি গোটা জেবন তুমি বরবাদ দিবা, এইডা মুই সইতে পারি ,কও?তুমি উপায় কইরা জমি ,বাড়ি ছাড়াই দিও। পোলা গো লইয়া দ্যাশে যামু”।
— “উহানে তুমি থাকতি পারবা বউমণি! ব্যাবাক তুমারে জ্বালাইবো। তুমি যাবা না”।ধীরা কয়।
— “কিচ্ছু হইবো না। তুমার বিয়া হইছে। আর কওনের কিছুই নাই”।
সেদিনকার পর থেকে ধীরার শ্বশুর ঘরে জীবন যাপন। মাঝে বৌমণি আর ভাইপো দের খোঁজ নিয়ে যায়। সনকার রুটি বানানোর কাজে আরও চাহিদা বাড়ে। দু’এক বছর বাদে কালু অ্যাকসিডেন্টে পা ভেঙে বিছানা নেয়। ধীরা শ্বশুরের তেজারতি কারবারে ভালো রকম জড়িয়ে যায়। বউমণিদের খোঁজ খবর করা কমতে থাকে। কখনো বিন্তি আসে। এটা ,সেটা নিয়ে। খবর দেয় তাদের উত্তরসূরী আসতে চলেছে। সনকার খুব আনন্দ হয়। মন চায় শ্বশুর ভিটে ফিরে যেতে। সেকথা ধীরার কাছে জানায়। কে জানে সনকার কেন যে মনে হোল, ধীরা আগের মতো আর নেই। বৈষয়িক দের মতো বল, “ইহানে মন্দটা কি আছ? জমি বাড়ি ছাড়াতি ম্যালা ট্যাহা লাগবো। অহন পারুম না। দ্যাহি, ক্যামনে ছাড়ান যায়। সবুর কর”।
সনকা কথা বাড়ায় না। সনকার দিন কাটে গুমোট এক ঘর কষ্ট নিয়ে। ছেলেরা পাস দিয়ে বড় কেলাসে যায় ।কে জানে তারা কবে আবার গাঁয়ের পথে ফিরতে পারবে!ফেলে আসা উঠোন, তুলসী তলা – সব কেমন কাছে টানে। পরমুখাপেক্ষী জীবনে নিশ্চয়তা পায় না সে।
কুহেলী দাশগুপ্ত | Kuheli Dasgupta
Andaman Cellular Jail | আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেল | 2023
New Bengali Article 2023 | রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তি জীবনে নারী প্রেম
Odisha Goddess Durga | ওড়িশার পটচিত্রে দেবী দুর্গা | 2023
Bengali Article 2023 | জীবানন্দ মহাশয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
Countdown 99 timer | Countdown 99 minutes | Countdown 99 shorts | Countdown 99 videos | Countdown 99 story | Countdown 99 thriller | Countdown 99 thriller pdf | Countdown 99 story pdf | Countdown 99 book | Countdown 99 viral videos | Countdown 99 days | Countdown 99 seconds | Countdown 99 numbers | Countdown 99 serials | Countdown 99 goals | Countdown 99 lucky number | bengali story new | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali story books for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali story books pdf | bengali story for kids | bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | short bengali story generator | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder