Driving Experience Canada 2023 | ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ১ এবং ২)

Sharing Is Caring:
Driving Experience Canada 1

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ১)  – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

সকাল সাতটা।
প্রতিদিনের মতো সকালে প্রাতঃরাশ না সেরে ব্যাগে ভরে রওয়ানা হলাম। কাজের জায়গায় পৌঁছে খাওয়া দাওয়া সারা যাবে।

করোনা অতিমারীতে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে চোখের পলকে। বাসা থেকে আমার কর্মস্থলে যেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘন্টা। দূরত্ব পঁচিশ কিলোমিটার। করোনার থাবা ব্যাগরা বাধিয়েছে বাসের নিয়মাবলী আর সিডিউলেও! প্রতি বাসের যাত্রী সংখ্যা কমে দাঁড়ালো বার জনে। প্রথম দিন বিষয়টা জানতাম না। প্রতিদিনের মতো আগেভাগেই উঠে বসে পড়েছি। দেখলাম ড্রাইভার সটান নিষেধ করে দিলো কয়েকজন যাত্রীদের! তাদের চেহারার আদল দেখে যা বুঝলাম ওরা আমার মতোই চাকরিতে যাচ্ছে। এখন ওদের উপায়?? এর পরের বাস পাক্কা এক ঘন্টা পরে। নিশ্চিত ওদের গলাকাটা ভাড়ায় ট্যাক্সিতে চেপে কাজে যেতে হবে। তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও খারাপের দিকে চলে গেল।
পরের দিন দেখলাম আরও বেশি যাত্রী অপেক্ষা করছে বাসের জন্য। আর সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছি যখন দেখছি ওখানে আগে থেকে লাইন দিয়ে ছেলেপেলেরা দাঁড়িয়ে গেছে। শুধু নিজে লাইনে থেকেছে তাই নয়, এর আগেরদিন যারা বাসে উঠতে পারেনি, তাদের জন্যও জায়গা রেখে দিয়েছে! যাতে অন্য কেউ জায়গা নিতে না পারে। বিষয়টা বেশ কাঠখোট্টা ঠেকছে। যাদের বাসা বাসস্টপের কাছাকাছি তারা যদি এভাবে প্রতিদিন এসে জায়গা দখল করে বসে থাকে, তাহলে যারা দূর থেকে আসছে তারা কি করবে??

কারও কাছে কোন উত্তর নেই! কাউকে জিজ্ঞেস করবো সে অবস্থাও নেই। এখানে যে আগে আসবে সে আগে জায়গা নেবে – এটাই নিয়ম। বাসা থেকে এখানে আসার প্রথম বাস সাতটা বিশ এ। ওই ছোকরাদের দল তারও অনেক আগে থেকেই জায়গা দখল নিয়ে রেখেছে। বুঝলাম, এভাবে চলতে পারে না। এর একটা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান দরকার।

সবাই তখন একটা কম দামি গাড়ি কেনার পরামর্শ দিলো। ভবিষ্যতে গাড়ি ছাড়া চলাচল এমনিতেই করা যাবে না। ‘কানাডা’ মানে ‘কার’। এখানে গাড়ি ছাড়া কেউ চলতে পারে না! জীবনের একটা না একটা সময় গাড়ির প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে। কেন না এখন থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া যাক! সেক্ষেত্রে এখানকার ধাপ মূলত দুটো – প্রথমে লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর ওটা পাশ করে গেলে রোড টেস্ট দিতে হয়। ব্যস! পাশ করলে লাইসেন্স নিয়ে বাড়ি যাও। তবে যাদের নিজ দেশের লাইসেন্স কার্ড নেই, তারা এক বছর পর্যন্ত ড্রাইভিং করতে পারেন না। এরপর ড্রাইভিংয়ের রোড টেস্ট। নিজের গাড়িতে দেওয়া যায় বা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত গাড়ি দিয়েও। প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক না হলেও কমবেশি সবাই যারা নিজেরা গাড়ি কেনেনি, নিয়ে রাখে।

গাড়ি কেনার ব্যাপারে তখনও টাকা পয়সা আর বাকি সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারিনি। এর মধ্যে ঘটে গেল এক আজব ঘটনা! যথারীতি সকাল সকাল গিয়ে বাস স্টপে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু এ কি?? বাস তো দাঁড়ালো না! সোজা চলে গেল!! যেখানে বাসের নাম্বার প্লেট থাকে সেখানে লেখা আছে “আউট অব সার্ভিস”। কিভাবে সম্ভব? ভেতরে তো দিব্যি যাত্রীরা বসে রয়েছে। তাহলে আউট অব সার্ভিস হয় কি করে?? এত কিছু মাথায় যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন চটজলদি ফোন করলাম ট্যাক্সি সার্ভিসকে। সকালের সাতটা বিশের ওই নয় নাম্বার বাস চলে গেলে মূল কাজের জায়গায় যাওয়ার পাঁচ নাম্বার বাস মিস হয়ে যাবে। এই বাসে বাসার বাইরে থেকে উঠে মূল বাস স্টেশনে পৌঁছে পরবর্তী বাসে যেতে হয়। বেশি দেরী না করে চলে এল ট্যাক্সি। ওকে ডরচেস্টারের বাস স্টেশনে নামিয়ে দিতে বললে ও নামিয়ে দিল। নেমে ভাবলাম বাসে আর জায়গা পাবো না। দেখলাম আমাদের পাঁচ নাম্বার বাস তখনো আসেনি। তখনও মাথায় ঘুরছে আগের বাসের কীর্তি! ড্রাইভার -কে জিজ্ঞেস করলাম। উনি জানালেন, এখন থেকে নিয়ম করা হয়েছে যদি কোন কারণে গাড়ির মোট যাত্রী সংখ্যা বারো এর অধিক হয়ে যায় তখন আর বাড়তি যাত্রী নেওয়া হবে না কারণ প্রতি বাসে অতিমারী সময়কালীন মোট যাত্রী সংখ্যা ওটাই। কি করা যাবে ? শিরে সংক্রান্তি। এতদিন ভাবছিলাম বাস স্টেশনে গিয়ে কিভাবে কাজে যাওয়ার পরবর্তী পাঁচ নাম্বার বাসে চড়বো? এখন তো বাসে চড়াও মুশকিল হয়ে যাবে দেখছি! প্রতিদিন যদি এভাবেই বাসে যাত্রী সংখ্যা বারো হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আমার ট্যাক্সি করে বাস স্টেশনে যাওয়া ছাড়া আর অন্য কোন গতি থাকবে না। তবে এতেই কি সমস্যার কোন হাল হবে?? না, ওখানে পৌঁছে যদি আগে লাইনে দাঁড়ানো ছেলেছোকরাগুলোর ঠেলায় জায়গা না পাই, তখন কি হাল হবে?? মোদ্দা কথায় ত্রিশ ডলারের শ্রাদ্ধ করতে হবে, অন্য কোন উপায় নেই। ওইদিন অবশ্য পাঁচ নাম্বার বাসে জায়গা পেতে আর কোন ঝক্কি পোহাতে হয়নি। আসার সময়ও বেশ ঠিকঠাক মতই ফিরে এলাম। প্রতিদিন এভাবে চলবে না এটা ও-ই দিন বোঝা হয়ে গেল। সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে আমার বাসার বাকি ছেলেদের সাথে সলাপরামর্শ করতে লাগলাম। এটাই ঠিক করলাম কম দামে একটা গাড়ি কিনে আপাতত বেহাল পরিস্থিতি কিছুটা সামালে উঠে তারপর দেখা যাক কি হয়! আর আমি গাড়ি চালাতেও জানি না, এক্ষেত্রে কাজটা এখন থেকেই পরিচিত মানুষের সংস্পর্শে থেকেই শিখে নেওয়া উত্তম। পরে এই বিদেশ বিভূঁইয়ে কোথায় না কোথায় গিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় কে জানে? এক্ষেত্রে পুরো দায়িত্ব অপ্রত্যাশিতভাবে একাই কাঁধে তুলে নিলো আমার রুমমেট জুয়েল। প্রথমে এটা ঠিক করা হলো আমার মোট কত টাকা হাতে রয়েছে। সর্বসাকুল্যে বাজেট নির্ধারিত হল তিন হাজার থেকে পঁয়ত্রিশ। এর বেশি সাধ্যে কুলোবে না। আমার ব্যাংকে সবকিছু মিলিয়ে এর চেয়ে কিছুটা বেশি আছে। আমরা ফেসবুকের মার্কেট প্লেসে গাড়ি দেখে পঁয়ত্রিশ টাকার কাছাকাছি একটা গাড়ি দেখলাম। মূলত জুয়েলই যাচাই বাছাই করে সব ঠিকঠাক করে নিলো। এক্ষেত্রে আমি শুধু খরচা- পাতির ব্যাপারটা সামাল দিলাম। ও আমাকে ড্রাইভ করে নিয়ে না গেলে সেটাতেও অনেক সমস্যা পোহাতে হতো।

এসব স্মৃতি আজীবন আগলে আমি বেঁচে থাকবো হয়তো আর জুয়েল যেহেতু সবার জন্যই এমনটা করে ওর এসব ছোটখাটো ঘটনা ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না! আমিও আজ পর্যন্ত কতজনকে পড়াশোনার সময়ে এসাইনমেন্ট দিয়ে বা দেখিয়ে সাহায্য করেছি এখন তার কানাকড়িও মনে নেই। এরপর ইউনিভার্সিটির চাকরিতেও যাদের সাহায্য করেছিলাম পরবর্তীতে তারা অনেকেই আমাকে আগের কথা বললেও আমি বেমালুম ভুলে গেছি! এরই নাম জীবন। জুয়েল গাড়ি খুঁজে বের করলো বাসার বেশ কাছাকাছির মধ্যে। আমরা রওয়ানা দিলাম।

BENGALI NOVEL

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ২) – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

আমরা মিনিট পনেরর মধ্যে পৌঁছে গেলাম ওই বাসায়। জুয়েল কল দিলো গাড়ির মালিককে। এর আগে আমাকে বলে দিল, দামাদামি বা গাড়ি পর্যবেক্ষণ সব ও করবে। আমার কাজ, শুধু মনোযোগী ছাত্রের মতো সবকিছু অবলোকন করা যাতে পরের বার নিজেই এসব করতে পারি। মাস্ক পরিহিত এক মধ্যবয়সী ভারতীয় যুবক বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের অভিবাদন জানিয়েই ওর আনা স্যানিটাইজারে হাত স্যানিটাইজ করে নিতে বললো। ও দক্ষিণ ভারতের। বুঝলাম ওর কথা বলার বাচনভঙ্গিতে, দক্ষিণ ভারতের অনেক সহপাঠীদের সাথে ক্লাস করছি। অনেকের সাথে সখ্যতাও আছে। ওর নাম টিজু। তখন অতিমারীতে ইতালিতে মড়ক লেগেছে। লাশের বহর নেওয়ার ছবি সকালে পেপারে দেখেছি। বেঘোরে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।

গাড়ির কথায় ফেরত আসি – রূপালি রঙের হায়উন্ডাই এক্সেন্ট ২০১০ মডেল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সামনের দিকের বাম্পারের নিচের অংশটা কিছুটা ভাঙা। ওখানে টেপ লাগানো রয়েছে। জুয়েল গাড়ির হুড তুলে ভেতরে কলকব্জা বেশ ভালোভাবে দেখতে লাগলো। এরপর ওটা বন্ধ করে গাড়ির নিচে কিছু একটা দেখলো। পুরোপুরি না দেখতে পাওয়ায় অনেকটা শুয়ে গিয়েও দেখে নিল। তখন বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস আট কি নয় হবে! ও এসবে ভ্রুক্ষেপহীন। জিজ্ঞেস করাতে জানালো শীতের সময় এখানকার রাস্তায় বরফ গলানোর জন্য লবণ ছিটানো হয় আর এতে গাড়ির নিচের তলদেশ ক্ষয়ে যায়। সেটাকে একটা কোডিং করিয়ে নিতে হয় যাতে ক্ষয়রোধ করা যায়।

বাকি গাড়ির ভেতরে ঢুকে আমরা বসে দেখলাম। এরপর জুয়েল চালিয়ে দেখলো। আমরা তিনজনে সিডনির মেইন হাইওয়ে ধরে এগিয়ে চললাম অনেক দূরে। আমরা সিডনি রিভারের প্রধান সড়ক হয়ে ফেরত আসলাম গাড়ির মালিকের বাসায়। যাওয়ার পথে জুয়েল গাড়ির পার্টস, কতদিন চালিয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে কেমন সার্ভিস দেয় – খুঁটিনাটি জেনে নিলো। টিজুও আরও বেশ কিছু তথ্য দিল। কেন বিক্রি করতে চাইছে এটাও জানা দরকার। টিজুর বাসার সামনে আমরা যখন পৌঁছাই তখন জুয়েল ওর নতুন হোন্ডা সিভিক ব্যান্ড্রের গাড়িটার বেশ প্রশংসা করেছিল। মূলত ওটা কেনা হয়েছে বলেই এটা বিক্রি করছে ও। এখানকার সবাই এমনই করে, আলাদিনের “নতুন প্রদীপ নাও, পুরোনো প্রদীপ দাও” লাইনের কথা মনে আছে?? যখন দুষ্ট জাদুকর আলাদীনের অনুপস্থিতিতে ওর প্রদীপ হাতিয়ে নিয়েছিল তখন এ কথা বলেই কাজ সেরেছিল। এখানকার চলনও “নতুন গাড়ি নাও, পুরোনো গাড়ি দাও” এমন হয়ে গেছে!

আমরা মিনিট বিশের মধ্যে টিজুর বাসায় ফিরে এলাম। এরপর শুরু হলো আসল কাজ – গাড়ি দামাদামি! ও তিন হাজার পাঁচশ থেকে কমিয়ে তিন হাজার তিনশ করলো। জুয়েল আরও কমিয়ে তিন হাজার করতে বললো। ও বললো রাজি হলে এই মূহুর্তে ক্যাশ টাকা পে করবে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে ও তিন হাজার পঞ্চাশে রাজি হলো। আমরা জুয়েলের গাড়িতে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য রওয়ানা হয়ে গ্লেস বে পৌঁছালাম। ওখানে যাওয়ার কারণ হচ্ছে কম দূরত্বের মধ্যে প্রায় সবগুলো ব্যাংকের এটিএম বুথের সুবিধা রয়েছে।

আমরা দুটো ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে প্রয়োজনীয় টাকা তুলে নিলাম। একসঙ্গে এত ক্যাশ ডলার কখনো চোখেও দেখিনি! জোড় সংখ্যায় টাকার পরিমাণ থাকায় ওখানে মোট তিন হাজার ষাট ডলার ছিল। ফেরার সময় জুয়েলকে জিজ্ঞেস করছিলাম, যদি ও বাকি দশ ডলার না দেয়। পুরোটাই রেখে দেয়? তখন জুয়েলের কথা শুনে বেশ অবাকই হয়েছিলাম। সটান জানিয়ে দিল, অমন করলে গাড়ি কেনা বাতিল!! অন্য গাড়ি দেখবো। টিজুর বাসায় পৌঁছে ওর হাতে তিন হাজার চল্লিশ ডলার পুরোটাই ক্যাশ টাকা দিলাম। ও গুনে দশ ডলার কম কেন জিজ্ঞেস করলে জুয়েল বললো, এটিএমে শুধু জোড় সংখ্যার নোট আছে। ওর কাছে দশ ডলার থাকলে বদলে নেওয়া যায়। পরে ও আর কিছু বললো না। আমরা আগেই ধরে নিয়েছিলাম ওর কাছে থাকবে না। এখানকার সবাই কমবেশি কার্ড ব্যবহারের দরুন ক্যাশ টাকা রাখে না। জুয়েলের গাড়িতে আমরা আর হায়উন্ডাই গাড়িতে টিজু আর ওকে ফেরত নিতে ওর হোন্ডা সিভিকে রওয়ানা হলো ওর এক বন্ধু। তিন গাড়ির বহর চললো পিছু পিছু। আমরা বাসায় ফিরে এলাম। টিজু গাড়ি থেকে নেমে ওর গাড়ির নেমপ্লেটটা পেছন থেকে খুলে নিল। আমাদের বিদায় দিয়ে চলে যাওয়ার পর লক্ষ করলাম ও নেমপ্লেটের স্ক্রুসহ খুলে নিয়ে গেছে। মূলত নেমপ্লেটের সাথে থাকা স্ক্রু আমার কেনা গাড়িতে ওর লাগিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। জুয়েল বললো, “এটা কোন কথা??”

আমি গাড়িতে বসে স্টার্ট দেওয়া শিখে নিলাম। এরপর চালিয়েই নিয়ে গেলাম শাহরুখদের বাসার সামনে। আমাদের বাসা থেকে মিনিট দুয়েকের মতো। আমার গাড়ি দেখতে ছেলেপেলেরা সবাই এক জায়গায় জড়ো হল। নানারকম কথাবার্তা চলতে লাগলো। কেউ বললো, ‘পার্টি দেন!’ কেউ বললো, ‘চলেন ভাই, ঘুরে আসি!’ ওদের বাসার উপরের দিকের জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা রিফাত আমার গাড়ির কয়েকটা ছবি তুললো। তখন না বুঝলেও পরে দেখলাম ওর ক্যামেরার হাত বেশ পাকা। আপাতত সবাইকে ওইদিনের মত সান্ত্বনা দিয়ে সরকারি নির্দেশের মতো ‘ সবকিছু পরে বাস্তবায়নের আশ্বাস’ দিয়ে গাড়ি নিয়ে বাসার সামনে ফেরত এলাম।

এরপর লাইসেন্সের প্লেট নেওয়ার পালা। সেটা নিতে যেতে হবে অ্যাকসেস নোভা স্কসিয়াতে – সরকারি অফিস যেখান থেকে আইডি কার্ড, লাইসেন্স সহ যাবতীয় কাজ করতে হয়। ড্রাইভিংয়ের সব টেস্টের পরীক্ষাও এখানেই হয়। তখন অতিমারীর কারণে সবকিছু ফোনে করতে হয়েছিল। ওখানে পৌঁছে কল দিলাম।

অতনু দাশ গুপ্ত | Atonu Das Gupta

Bengali Story 2023 | কর্ণফূলী | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

New Bengali Story | গল্পগুচ্ছ | বিপাশা চক্রবর্তী

History of Bengali Poetry | কবিতা কি ও কেন এবং তার ইতিহাস

Bengali Article 2023 | সুভাষচন্দ্রের আত্মজীবনীঃ বিভিন্ন মনীষী প্রসঙ্গ

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা | ড্রাইভিংয়ের যত গল্প | পথ ও প্রবাসের গল্প | ড্রাইভিংয়ে পেট্রোল খরচ কমানোর উপায় | ড্রাইভিং সিটে নারী | নতুন ড্রাইভারদের জন্য সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২৩ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২৩

Trip to Canada from India | Canada trip cost from India | Canada trip package from India | 7 Days Canada tour package | Canada family Tour Package | Canada Tour Packages with visa from India | USA and Canada Tour packages from India | Canada tour Package Price | snow driving experience | performance driving experience | f1 driving experience near me | bmw i4 driving experience | mosport driving experience | porsche driving experience | bmw m4 driving experience | bmw driving school | Driving license in Canada | Driving in Canada for Visitors | Young Drivers of Canada | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Story | Shabdodweep Writer | Driving Experience Canada 2023 | Pdf guide – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 guide download | Driving Experience Canada 2023 full book | Driving Experience Canada 2023 video download | travel guide – Driving Experience Canada 2023 | guide book – Driving Experience Canada 2023 | Trending video – Driving Experience Canada 2023 | Trend topic – Driving Experience Canada 2023 | Recent video – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada 2023 – Atonu Das Gupta |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada – top guide pdf |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada

Leave a Comment