Bengali Article 2023 | সুভাষচন্দ্রের আত্মজীবনীঃ বিভিন্ন মনীষী প্রসঙ্গ

Sharing Is Caring:
BENGALI ARTICLE
Bengali Article

সুভাষচন্দ্রের আত্মজীবনীঃ বিভিন্ন মনীষী প্রসঙ্গ [Bengali Article]

সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, আশৈশব তাঁর জীবনে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং মনীষীর প্রভাব সক্রিয় ছিল। তাঁর স্কুলের প্রধানশিক্ষক ছিলেন বেনীমাধব দাশ। এই শিক্ষক যখন স্কুল ছেড়ে চলে যান, সেই প্রেক্ষিতে সুভাষচন্দ্র তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, “এই প্রথম আমি উপলব্ধি করেছিলাম যে, যখন বিচ্ছেদকে মেনে নিতে বাধ্য হই, তখনই শুধু আমরা বুঝি আমাদের ভালবাসা কত গভীর।”

সুভাষচন্দ্রের জীবনে যাঁর প্রভাব প্রথমেই স্বীকার করতে হয়, তিনি হলেন রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩৩)। রামমোহন প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র লিখেছেন, “রাজা রামমোহন রায়ই পাশ্চাত্য শিক্ষার একজন অগ্রনায়ক।” ১৮২৮ সালে রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঊন-বিংশ শতকের প্রত্যুষে দেশে এক নবজাগরণ দেখা দেয়। এই জাগরণ ছিল সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্বন্ধীয়। ব্রাহ্মসমাজ ছিল এর পুরোধা। ভারতীয় সংস্কৃতির পুনর্জীবন ও ধর্ম সংস্কারই ছিল নবজাগরণের উদ্দেশ্য। এব্যাপারে ব্রাহ্মসমাজের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ছিল পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও চিন্তাধারার প্রভাব। টমাস ব্যাবিংটন মেকলে রাজা রামমোহন রায়ের চিন্তাধারা দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবান্বিত ছিলেন। রামমোহন রায়ের উত্তরাধিকারী হিসাবে সুভাষচন্দ্র চিহ্নিত করেছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৮-১৯০৫) এবং কেশবচন্দ্র সেন (১৮৩৮-১৮৮৪)-কে।

কেশবচন্দ্র সেন সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র লিখেছেন, “কেশবচন্দ্র যেখানেই গেছেন, জনগণ তাঁকে অনুসরণ করেছে। বাস্তবিকই তখন তিনি যুগনায়ক। তাঁর ওজস্বিনী বক্তৃতায় যে আধ্যাত্মিক ব্যাকুলতা ছিল, তা সমগ্র সমাজের, বিশেষত তরুণ সম্প্রদায়ের নীতিবোধকে জাগ্রত করে তুলেছিল।
আমার বাবার জীবন ও চরিত্রের উপর কেশবচন্দ্রের একটি স্থায়ী প্রভাব ছিল। পরবর্তীকালে সুদূর কটকে, তাঁর বাড়ির দেওয়ালে এই মহাপুরুষের বহু প্রতিকৃতি শোভা পেত।”

রাজা রামমোহন রায়ের পরই সুভাষচন্দ্র যাঁর কথা লিখেছেন তিনি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি লিখেছেন, “প্রাচীন ও নবীন, রক্ষণশীল ও গণতন্ত্রবাদী, ব্রাহ্ম ও পন্ডিত, এদের এই পারস্পরিক বিরোধের মধ্যে জন্ম হলো এক নতুন আদর্শের যার মহোত্তম প্রতিরূপ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ভারতীয় আদর্শের এই নতুন চরিত্র-রূপটি প্রগতিতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তাঁর মধ্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সমন্বয়ে ঘটেছিল। এই ধারা সাধারণভাবে সংস্কারের জন্য যে উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তা মেনে নেয় কিন্তু হিন্দু সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া কিংবা পশ্চিমকে অতিরিক্ত অনুসরণ করার ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে যে প্রবণতা প্রথমে লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তা অস্বীকার করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ঈশ্বরচন্দ্রের জীবন নিষ্ঠাবান পন্ডিতের মতোই গড়ে উঠেছিল। তিনি হয়ে ওঠেন আধুনিক বাংলা গদ্যের জনক। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির নায়ক, শ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক ও মানব প্রেমিক।”

সুভাষচন্দ্র আরও লিখেছিলেন, “ঈশ্বরচন্দ্রের মধ্যে যে আদর্শ ফুটে উঠেছিল তাই শেষ পর্যন্ত ধর্ম ও দর্শনের ক্ষেত্রে রূপ পরিগ্রহ করে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (১৮৩৪-১৮৮৬) এবং তাঁর যোগ্য শিষ্য বিবেকানন্দের (১৮৬৩-১৯০২) মধ্যে।” বিশেষ করে বিবেকানন্দের সম্পর্কে অনেক কথাই লিখেছেন সুভাষচন্দ্র। তিনি লিখেছেন, “একদিন নেহাতই দৈবক্রমে এমন একটি জিনিস পেয়ে গেলাম, এই সংকটকালে যা আমার প্রধান হয়ে দাঁড়ালো। আমার এক আত্মীয় পাশের বাড়িতেই থাকতেন। তার বই গুলির উপর চোখ বোলাতে বোলাতে নজরে পড়ল স্বামী বিবেকানন্দের রচনাবলী। কয়েকটি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে বুঝলাম, এতে এমন কিছু আছে যা আমি খুঁজছি। বইগুলি তার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বাড়িতে এসে সাগ্রহে পড়তে আরম্ভ করলাম। দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের-পর মাস তাঁর রচনাগুলি মনোযোগের সঙ্গে পড়তে লাগলাম। কলম্বো থেকে আলমোড়া পর্যন্ত তাঁর পত্রাবলী ও বক্তৃতাগুচ্ছ, স্বদেশবাসীকে প্রদত্ত বাস্তব উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণ যা আমাকে সর্বাপেক্ষা অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর জীবনচরিত লেখিকা ও প্রধান শিষ্যা ভগিনী নিবেদিতা বলেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দের আরাধ্যা দেবী ছিলেন তাঁর মাতৃভূমি।”

Subhas Chandra Bose
Subhas Chandra Bose

তিনি আরও লিখেছেন, প্রাচীন শাস্ত্রগুলির তিনি (বিবেকানন্দ) এক আধুনিক ব্যাখ্যা উপস্থিত করেছিলেন। শক্তিই যে উপনিষদের বাণী, তা তিনি প্রায়ই ঘোষণা করতেন। প্রাচীনকালে নচিকেতা যা করেছে, তোমরাও সেই রকম নিজেদের উপর বিশ্বাস, শ্রদ্ধা রাখো। আমার জীবনে যখন বিবেকানন্দের আবির্ভাব ঘটে, তখন আমার বয়স পনেরো। তারপর আমার মধ্যে শুরু হয় এক বিপ্লব এবং সমস্ত কিছু ওলট পালট হয়ে যায়। মনকে সংস্কার মুক্ত করার কাজে বিবেকানন্দ আমার অনেকখানি সহায় হয়েছিলেন।”

স্বামী বিবেকানন্দ প্রসঙ্গ সূত্র টেনে সুভাষচন্দ্র শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সম্পর্কে লিখেছেন, “বিবেকানন্দ থেকে ক্রমে ক্রমে তাঁর গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রতি আকৃষ্ট হলাম। বিবেকানন্দ বক্তৃতা দিয়েছেন, চিঠিপত্র লিখেছেন, এবং বহু পুস্তক প্রকাশ করেছেন যেগুলি সাধারণ মানুষের কাছে দুর্লভ নয়। ‌ কিন্তু রামকৃষ্ণ প্রায় একেবারেই নিরক্ষর ছিলেন বলে তেমন কিছু করেননি। তবুও রামকৃষ্ণের উপদেশের সার্থকতা ছিল এই যে, তিনি যে কথা বলতেন, সেইভাবে চলতেন এবং তাঁর শিষ্যদের মতানুসারে, আধ্যাত্মিক দিক থেকে তাঁর চরম উন্নতি ঘটেছিল। রামকৃষ্ণের ত্যাগ ও শুদ্ধতার দৃষ্টান্তের ফল হয়েছিল এই যে আমার সমস্ত কুপ্রবৃত্তির সঙ্গে লড়াই হয়ে উঠেছিল অনিবার্য।”

ঋষি অরবিন্দ! তাঁর সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র লিখেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০২ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন, কিন্তু ধর্ম ও দর্শনের ক্ষেত্রে অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে আন্দোলন চলতে থাকে। অরবিন্দ রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারেননি, বরং এর গভীরে একেবারে ডুবে গিয়েছিলেন। ১৯০৮ সালের মধ্যে তিনি ভারতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হয়ে ওঠেন। তাঁর অন্তরে রাজনীতির সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মিলন ঘটেছিল।” সুভাষচন্দ্র আরও লিখেছেন, “…. অরবিন্দ “আরজ” নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর দর্শন ব্যাখ্যা করতেন। …. । রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দ যা প্রচার করেছেন, বাস্তবিকই আমার মনে রেখাপাত করেছিল কিন্তু তখনও পর্যন্ত তা মায়ার বন্ধন থেকে আমাকে মুক্তি দিতে পারেনি। এই মুক্তির পথে অরবিন্দ আমার আর এক সহায় রূপে দেখা দিলেন। দর্শনের দিক থেকে তিনি আত্মা ও জড়, ঈশ্বর ও সৃষ্টির মধ্যে একটি সমন্বয় সাধন করেছিলেন এবং সত্যকে লাভ করবার উপায় থেকে যোগ সাধন করে তাঁকে সম্পূর্ণতা দিয়েছিলেন, যার নাম দিয়েছিলেন তিনি যোগের সমন্বয়।”

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র লিখেছেন, “অরবিন্দ থেকে সম্পূর্ণ এক পৃথক ধরনের ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি একসময় বাংলার নায়ক এবং অবশ্যই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম স্রষ্টা ছিলেন। তাঁর ভাষার অলংকার ও উৎকৃষ্ট বাগ্মিতা সত্বেও তাঁর মধ্যে সেই গভীরতরও ভাবাবেগ ছিল না, যা পাওয়া যেত অরবিন্দের কথাগুলোর মধ্যে। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় যে জীবনান্তে সরকারি উপাধির মুকুট পড়ে মন্ত্রিত্বের গদিতে আসীন হয়েছিলেন তার কারণ তিনি ছিলেন এডমন্ড বার্কের তত্ত্বে বিশ্বাসী।”

প্রফুল্লচন্দ্র রায়। এসেছে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের কথা। লিখেছেন, “বিখ্যাত রসায়নবিদ ও মানব প্রেমিক স্যার পি.সি. রায়, যিনি আমাদের বিভাগে ছিলেন না, কিন্তু ছাত্রদের বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিলেন, তাঁর মত অধ্যাপকদের সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে আলাপ করতাম।” দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আকস্মিক মৃত্যু ছিল সুভাষচন্দ্রের জীবনে এক চরম আঘাত। ‌”ইন্ডিয়া স্ট্রাগল” গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, “১৯২৫ সালের ১৬ জুন দেশবন্ধুর মৃত্যু ছিল ভারতের পক্ষে বিরাটতম জাতীয় বিপর্যয়। যদিও তাঁর সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন মাত্র পাঁচবছর স্থায়ী হয়েছিল, তবুও এই অল্প সময়ে তাঁর সাফল্য ছিল একটি অসামান্য ঘটনা। বৈষ্ণব ভক্তের অকুণ্ঠ ত্যাগকে পাথেয় করে তিনি সর্বান্তকরণে রাজনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং স্বরাজের জন্য তিনি কেবল নিজেকেই উৎসর্গ করেননি, তাঁর সর্বস্ব দান করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুকালে, পার্থিব সম্পত্তির যা কিছু তাঁর অবশিষ্ট ছিল,
তিনি জাতিকে দান করে যান। গভর্নমেন্ট তাঁকে যেমন ভয় করতেন, তেমনি শ্রদ্ধাও করতেন।”

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর আত্মজীবনীতে (“সমগ্র রচনাবলী” – সুভাষচন্দ্র বসু) এই ভাবেই তাঁর জীবনে বিভিন্ন মনীষীর কথা উল্লেখ করে গেছেন।

ঋণস্বীকার:

“সমগ্র রচনাবলী”– সুভাষচন্দ্র বসু। প্রকাশ: কলিকাতা, ১৯৬২.
প্রকাশক: ‘ফার্মা কে. এল. এম. প্রাইভেট লিমিটেড। বি.বি. গাঙ্গুলি স্ট্রিট, কলিকাতা-১২.
প্রচ্ছদ: ও. সি. গাঙ্গুলি।

সৌম্য ঘোষ | Soumya Ghosh

New Bengali Article 2023 | অযোধ্যা গ্রামে প্রাচীন জমিদারদের আশ্চর্য স্থাপত্য নিদর্শন

New Bengali Article 2023 | প্রেমাবতার ঠাকুর হরনাথ ও সহধর্মিণী কুসুমকুমারী কথা

New Bengali Article 2023 | স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন

New Bengali Article 2023 | বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ সামান্যই

সুভাষচন্দ্রের আত্মজীবনীঃ বিভিন্ন মনীষী প্রসঙ্গ | সুভাষচন্দ্র বসু – উইকিপিডিয়া | অখণ্ড ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেতাজি | মৃত্যুঞ্জয় বসু কোথাকার সুপ্রসিদ্ধ উকিল ছিলেন | সুরেশ চন্দ্র বসু | শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপ | আজাদ হিন্দ বাহিনী প্রথম কোন শহর দখল করে | আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিলেন | আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী বাহিনী টীকা | নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জীবনী | নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনী | নেতাজীর জীবনী | নেতাজী জন্ম জয়ন্তী | নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য | সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবার | নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জন্ম | নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু তারিখ কত | নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম কি ছিল | নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রচনা বাংলায় | সুভাষ বসুর জীবনের শেষ মুহূর্ত | সুভাষচন্দ্র বসু সমগ্র রচনাবলী | নেতাজী ও তার আজাদ হিন্দ ফৌজ | ঢাকায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু | বীর বিপ্লবী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | রূপালী পর্দায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা ২০২২ | কবিতাসমগ্র ২০২২ | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

bengali article writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali article rewriter | article writing | bengali article writing ai | bengali article writing app | bengali article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Netaji Subhas Chandra Bose Biography | Netaji Subhas Chandra Bose | Why is Subhash Chandra Bose so famous? | Who called Netaji first time? | What was Netaji famous speech? | What did Bose call Gandhi? | netaji subhas chandra bose death | short note on netaji subhas chandra bose | subhash chandra bose biography in english pdf | subhash chandra bose essay | subhash chandra bose photo | subhash chandra bose wife | subhash chandra bose – wikipedia | Netaji Research Bureau

Leave a Comment