Driving Experience Canada 2023 | ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ৩ এবং ৪)

Sharing Is Caring:
Driving Experience Canada 2

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ৩) – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

ফোন ধরলেন ওই প্রান্তের কোন এক মহিলা কর্মকর্তা। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমি অ্যাকসেস নোভা স্কসিয়ার বাইরে আছি। ভেতরে কখন আসবো। উনি জানালেন, এটা তো হ্যালিফ্যাক্স! আমাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারেন? আমি জানতে চাইছিলাম, ভেতরে ঢুকতে হলে কি করণীয়? প্রথমবার এসেছি, তাই বুঝতে পারছি না। উনি বললেন, অপেক্ষায় থাকো। সময় হলেই তোমার কাছে কল আসবে। তখন চলে যেও!

মিনিট দশের মধ্যে কল এলো। আমার নাম ধরে বলে ভেতরে আসতে বললো। ভেতরে যাওয়ার আগে দেখলাম সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়ে, কিসের তা বুঝলাম না। কাউন্টারের টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। ডাক এলো, আমার লাইসেন্স কনফার্মমেশনের কাগজটা জমা দিলাম। সেটা দেখে লাইসেন্স প্লেটের খরচটা জানিয়ে দিলেন কর্মকর্তা। পে করে প্লেট যখন হাতে নিচ্ছি তখনকার অনুভূতি ঠিক বোঝানো যাবে না! কানাডার মাটিতে এসে গাড়ির মালিক হলাম… বিষয়টা নিজের কাছে বেশ জমিদারি জমিদারি ঠেকছিল! বাইরে এসে জুয়েলের গাড়িতে বসলাম। বসেই একটা ছবি তুলে নিলাম! সারাজীবনের মোক্ষম স্মৃতি!! জুয়েল তো বেশ খুশি। ওর সাথে ড্রাইভিং শেখা নিয়ে কথা হচ্ছিল। ও বললো, রাতের বেলা বেরিয়ে কোথাও ঘুরে আসবে।

আমি ওকে আবারও বলেছিলাম কি না জানি না তবে এক রাতে দশটা নাগাদ দেখলাম দরজায় টোকা দিচ্ছে জুয়েল। পাশের ঘরেই থাকতো ও। বললো, ” চলেন দাদা, ড্রাইভ করে আসি”!
বেরিয়ে পড়লাম সবাই। এক গাড়িতে আমি আর জুয়েল আর অন্য গাড়িতে নূর, রাহুল, আকিব। ওরা পেছন থেকে আমাদের ফলো করবে। তখনও জানি না জুয়েল কোন দিকে যাবে। গাড়ি এগিয়ে চললো। আমরা ধীরে ধীরে সিডনির রাস্তা পেরিয়ে গ্লেস বে হয়ে কোন দিকে মোড় নিয়ে লুইসবার্গের পথে চললাম। এমন জায়গা বেছে নেওয়ার কারণ এখানে অন্যান্য রাস্তার তুলনায় গাড়ির আনাগোনা কম আর এটা ওয়ান ওয়ে রোড। মূলত একদিক একটা সিঙ্গেল পথে গাড়ি যাবে, একইভাবে অন্য দিকে থেকে আসবে। ডবল হাইওয়ে রোডে গাড়ির আনাগোনা অনেক বেশি। বেশ কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পর সুযোগ বুঝে একটা জায়গায় গাড়ি সাইড করে আমাকে ড্রাইভিং সিটে বসতে বললো।

শুরু হলো আমার গাড়ির পথ চলা….

ইঞ্জিন স্টার্ট করে গিয়ার নিউট্রাল থেকে ড্রাইভে রেখে এক্সিলেটরে ডান পায়ে হালকা চাপ দিতেই গাড়ি সামনে চলা শুরু হল। একটু এগিয়ে পেছনের কোন গাড়ি আসছে না কি তাকিয়ে বাম ইন্ডিকেটর লাইটে সিগনাল দিয়ে রাস্তায় চললাম। চলতে লাগলো হায়উন্ডাই এক্সেন্ট। ধীরে ধীরে বাড়াতে লাগলাম স্পিড লিমিট। প্রথমে পঞ্চাশ, ক্রমে ষাট সত্তর, আশি। যা-ই করছিলাম পুরোটাই জুয়েলের পাশের সিট থেকে বলে দেওয়া। ও-ই মূলত জাহাজের ক্যাপ্টেন। নতুন নাবিক, এখনো ক্যাম্পাস ঠিকঠাক বোঝে না! ক্যাপ্টেনকে সার্বক্ষনিক তদারকির দায়িত্ব রাখতে হচ্ছে। রাতের আঁধারে বেশ কয়েকবার ভুলভাল ইন্ডিকেটর লাইট দিয়ে গাড়ি চালাতে লাগলাম। পেছনের গাড়ি থেকে নূর আর রাহুলের ফোন আসলো! “ড্রাইভারের কি কোন সমস্যা হচ্ছে?” একবার তো কন্ট্রোলই ভুল করে ফেলেছিলাম। তখন প্রায় অনেকক্ষণ ধরে আমি ঠিকঠাক চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎই পেছন থেকে একটা গাড়ি ওভারটেক করতে গেলো তখনই হয়ে গেল বিপত্তি। জুয়েল অবশ্য সামাল দিলো। আর শিখিয়ে দিল,! “কোন গাড়ি পেছন থেকে ওভারটেক করলে আপনি আপনার মতো চালিয়ে যাবেন। কখনও গতিপথ পরিবর্তন করতে যাবেন না। যে যেতে চায় তাকে নির্দ্বিধায় যেতে দিন।” ঠিকঠাক একটা জায়গায় যাওয়ার পর জুয়েল আগের মতো গাড়ির কন্ট্রোল নিজের দায়িত্বে নিয়ে সবাই বাসায় ফেরত আসলাম। বেশ ভালোই একটা প্র্যাকটিস করেছিলাম।

এরপর আরেকদিন নূুরকে নিয়ে চললো গাড়ি শেখা। তবে আমরা অতদূরে কোথাও যাইনি। বাসার পেছনেই ছিল পার্কিং-এর জন্য বিশাল বড় একটা জায়গা। ওখানে বেশ কয়েকটা বড় বড় সুপার শপ, রেস্টুরেন্ট ছিল। তাই এ ব্যবস্হা। যদি কোন কারণে ওখানে জায়গার সংকুলান না হয় তাহলে এখানে এসে যাতে পার্কিং করা যায়। নূর পাশে বসে নিদর্শনা দিতো লাগলো। বামে, ডানে, কখনো রিভার্সে, কখনও স্পিড বাড়াতে বললো, কখনও কমাতে। কোন জায়গায় গিয়ে মোড় নিতে হবে আর কোথায় ভুল হচ্ছে সব বলে দিতে লাগলো। বেশ কয়েকবার গাড়ি থামিয়ে নিজে দেখিয়েও দিলো। আমার অনুশীলনে ও কতোটা সন্তুষ্ট ছিল জানি না। বরাবরই চাপা স্বভাবের মানুষ সে। মোটামুটি ঘন্টার মধ্যে আমরা ফেরত আসি।

তৃতীয়বারে আমাকে শেখানোর দায়িত্ব নেয় শাহরুখ। তবে ওর শেখানোটা বেশ কয়েকটা ধাপে এগিয়েছিল। প্রথমদিন আমরা অবশ্য রাস্তায় গিয়েছি। তবে এক্ষেত্রে ও যেটা করেছিল মূলত সেটাই পরবর্তীতে ড্রাইভিং করতে সবচেয়ে বেশি সাহস জুগিয়েছিল। ওকে ওর কাজের জায়গায় নামিয়ে দিতে বললো। বাসার কাছেই ছিল জায়গাটা। আমি ওকে নিয়ে পেছনে পার্কিং-এ চলে গেলাম। ও যাওয়ার সময় শুধু বলে দিলো, “আপনি রাস্তায় নামার সময় দু’দিকে লক্ষ রেখে নামবেন, তাহলেই হল!” কিন্তু আমি এর আগে কখনো এভাবে গাড়ি নিয়ে মূল সড়কের একেবারে মাঝখানে দিয়ে যাইনি। এ প্রান্ত থেকে গাড়িটাকে ওপাশে নিয়ে সোজা যেতে হবে। কারণ রাস্তার দুইদিকেই ট্রাফিক আছে। আমার গাড়ি যেদিকে বাসায় যাওয়ার পথ ঠিক এর বিপরীতমুখী পথে। যখন এমন কোন পরিস্থিতির অবতারণা হয় যা আপনি আগে কখনো মুখোমুখি হননি তখন নিজের উপর সম্পূর্ণ আস্হা রেখে দাঁতে দাঁত চেপে নেমে পড়া ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকে না। আমিও তাই করলাম।

BENGALI NOVEL

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ৪) – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

বেশ কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে থেকে সুযোগ খুঁজছিলাম কখন রাস্তার অপরপাশে গাড়িটা নিয়ে যাবো। তখন আনুমানিক সকাল দশটা বা সাড়ে দশটা। কাজেই রাস্তায় বেশ ভালোই ট্রাফিক ছিল। দু’দিক থেকেই গাড়ি চলছে। ভাগ্য ভালো যে ওই সময়টায় আমার পেছনদিক থেকে কোন গাড়ি আসেনি। তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন পড়েনি। সুযোগ বুঝে গাড়ির এক্সেলেটরের প্যাডেলে চাপ দিয়ে এক টানে অন্য পাশে নিয়ে গিয়ে সোজা চলতে লাগলাম। এরপর কিছুটা গিয়েই ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়ালাম আর লাইট দেখে বামে ইন্ডিকেটর দিয়ে আমার বাসার যাওয়ার পথে চলে গেলাম। শাহরুখ ওইদিন ওভাবে আচমকা আমাকে অথই সাগরে না ফেলে দিলে যে সাহস সঞ্চার করে বাসায় ফেরত এসেছিলাম তা প্রশিক্ষণ দিয়ে কখনোই রপ্ত করা সম্ভব হতো না। এর জন্য ওর কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। তবে এক্ষেত্রে সবার জন্যই কথাটা প্রযোজ্য যারা আমাকে অনেক সময় দিয়েছে।

এরপর আরেকদিন বিকেলের দিকে দু’জনে বেরিয়ে পড়লাম।আমরা সিডনির বাসা থেকে মিনিট বিশেকের পথ সিডনি রিভারের দিকে যাচ্ছি। ওখানকার ওয়ালমার্টে কাজ করতো ও। আপাতত টুকটাক বাজার করার উদ্দেশ্যেই যাত্রা। নতুন গন্তব্য, নতুন রাস্তায় ড্রাইভিং করা। ওইদিন কয়েকটা কথা বলেছিল যা সারাজীবনের জন্য মনে রাখার প্রয়োজন ছিল। জানালো, “ড্রাইভিংয়ের সময় মাথায় রাখবেন আপনি রাস্তার ডান লেনে আছেন কি না?” এখানকার গাড়িতে ড্রাইভিং সিট বামপাশে থাকে। ঠিক আমাদের দেশের উল্টো।

মাল্টি টাস্কিংয়ের কথা মাথায় রাখতে হবে – এক সাথে অনেক কাজ করতে হয় – অবশ্য এ ব্যাপারে আমার বরাবরই চিন্তা! কারণ একসাথে এক্সিলারেটরে চাপ দিয়ে ব্রেকে পা নিয়ন্ত্রণে রেখে, গিয়ার, ইন্ডিকেটর লাইট ঠিক রেখে, তিনটে রেয়ার ভিউ উইন্ডোতে সর্বক্ষণ চোখ রেখে তবেই গাড়ি চালানো!! এসবের মধ্যে শাহরুখ বলছিলো, যদি কখনো ফোন আসে, সেটাও রিসিভ করার মতো সক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে চলে আসে। কি জানি বাপু আমার কাছে পুরো ব্যাপারটাই প্রথম থেকেই গন্ডগোলের ঠেকছিল। একসাথে এতো বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সবার জন্য কত সহজ! মানুষ তো এর সাথেই আরও কত বিচিত্র কাজ করে থাকে।

আপনাদের নিশ্চয়ই বিখ্যাত অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের মিঃ বিনের ওই পর্বের কথা মনে আছে যেখানে ওর ডেন্টিস্টের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেরী হওয়ায় গাড়ির ভেতরেই জামা-কাপড় পরা থেকে শুরু করে দাঁত ব্রাশ সবকিছু সেরে নিয়েছিল। হাসির হলেও পুরো দৃশ্যটাই কিন্তু রাস্তায় লোক ভর্তি ট্র্যাফিকের মাঝে শুটিং করা হয়েছিল। খুব পাক্কা ড্রাইভার না হলে এমন দৃশ্য ওভাবে শুট করা প্রায় অসম্ভব। আর এদিকে আমি?? বাংলাদেশেও ড্রাইভিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেটা নিতান্তই বাপির পিড়াপিড়িতে বি আর টি সির ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে সপ্তাহ খানেকের জন্য। অভিজ্ঞতা মোটেও সুখের ছিল না। সে গল্প আরেকদিন করবো।

পথে বেশ কয়েকটা জায়গায় সিগনালে ভুলভাল ড্রাইভিং করে বসলাম। পাশ থেকে শাহরুখ যতটা পারছে বলে যাচ্ছে। ও বলতো লাগলো, ” আপনি নিজে সময় বের করে একা একা বেরিয়ে পড়ুন। না হলে ড্রাইভিং শিখতে আপনার আরও সময় লাগবে। সবসময় যতটা সম্ভব রাস্তার ডানপাশে আছেন কি না লক্ষ রেখে চালিয়ে যাবেন। কখনো প্যানিক করবেন না। কোন অবস্থাতেই না! আপনার ভুল হলে পেছনের গাড়ি আপনাকে হর্ণ দেবে, মনে রাখবেন। তবে ক্যানাডিয়ানদের কোন ঠিক নেই। ওরা কিন্তু ড্রাঙ্ক হয়েও গাড়ি চালায়। কাজেই নিজের মাথা ঠিক রাখবেন। আশেপাশে প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে আপনাকে। রাতের বেলায় পার্কিং প্লেসে গিয়ে নিজের মতো যতক্ষণ মনে হবে চালাবেন। আস্তে আস্তে সময়ের সাথে সাথে ভয়, জড়তা এসব কেটে যাবে।”

ওর কথাগুলো খুবই ভালো করে শুনলাম। ওদের বাসার সামনে ফিরে গাড়িটা পার্কিং করতে গিয়ে লক্ষ করলাম আমার রিভার্স ড্রাইভিংয়ে সমস্যা হচ্ছে। ওকে বললাম। ওর রুমে গিয়ে আমরা বসে আরও কিছুক্ষণ আলাপ করলাম। একটা গেম ডাউনলোড করে দিলো। দেখলাম ওখানে প্যারালাল পার্কিংও শেখানো আছে। বললো, এটা খেলতে থাকুন আর মাথায় রাখবেন এখানে কিভাবে করছেন, এটাই গাড়িতে বাস্তবে বসে করবেন, ব্যস! কাজ হবে আশা করি।”

ওর প্রতিটা কথাই বেশ প্র্যাকটিকাল সেন্স করে বলা। মোটামুটি অনুপ্রাণিত হয়েই বাসায় ফিরলাম। তবে ওই যে মাল্টি টাস্কিংয়ের ভূত মাথা থেকে না নেমে বরং আরও জেঁকে বসলো।

এরপর রাতের বেলায় পার্কিং প্লেসে গিয়ে প্র্যাকটিস করলেও বুঝতে পারছিলাম প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ছোটখাটো ভুল থেকে যাচ্ছে। আর রিভার্স পার্কিংও করতে পারছিলাম না। প্যারালাল পার্কিং তো অনেক পরের কথা। ভাবলাম, সুমনকে একবার বললে কেমন হয়!

অতনু দাশ গুপ্ত | Atonu Das Gupta

New Bengali Novel 2023 | অকপটে অগ্রজকে (পর্ব ৫) | অতনু দাশ গুপ্ত

Natun Bangla Kabita 2023 | বন্দনা পাত্র | Top New Poetry

Natun Bangla Kabita 2023 | জয়িতা ভট্টাচার্য | Top New Poetry

Aleya | আলেয়া | আবদুস সালাম | Bangla Galpo 2023

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা | ড্রাইভিংয়ের যত গল্প | পথ ও প্রবাসের গল্প | ড্রাইভিংয়ে পেট্রোল খরচ কমানোর উপায় | ড্রাইভিং সিটে নারী | নতুন ড্রাইভারদের জন্য সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২৩ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২৩

Trip to Canada from India | Canada trip cost from India | Canada trip package from India | 7 Days Canada tour package | Canada family Tour Package | Canada Tour Packages with visa from India | USA and Canada Tour packages from India | Canada tour Package Price | snow driving experience | performance driving experience | f1 driving experience near me | bmw i4 driving experience | mosport driving experience | porsche driving experience | bmw m4 driving experience | bmw driving school | Driving license in Canada | Driving in Canada for Visitors | Young Drivers of Canada | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Story | Shabdodweep Writer | Driving Experience Canada 2023 | Pdf guide – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 guide download | Driving Experience Canada 2023 full book | Driving Experience Canada 2023 video download | travel guide – Driving Experience Canada 2023 | guide book – Driving Experience Canada 2023 | Trending video – Driving Experience Canada 2023 | Trend topic – Driving Experience Canada 2023 | Recent video – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada 2023 – Atonu Das Gupta |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada – top guide pdf |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada

Leave a Comment