অতনু দাশ গুপ্ত – সূচিপত্র [New Bengali Novel 2023]
অকপটে অগ্রজকে (পর্ব ৫) – অতনু দাশ গুপ্ত [New Bengali Novel 2023]
(প্রাণের পত্রের পরবর্তী সংযোজন, প্রতিবিম্বের উত্তর)
দেশের পড়াশোনার সাথে সাথে সবসময়ই স্বপ্ন দেখেছি বাইরে গিয়ে থিতু হওয়ার। বিষয়টা বাসার সবার জানা। বাবাও তোমাকে জানিয়েছেন। আমাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে নানান দিক নির্দেশনাও দিতে বলেছেন তোমাকে। বর্তমানে তোমার আচরণে মনে হচ্ছে এসবই বিস্মৃত হয়েছ। আমি এখানে একা এসে স্থায়ী হতে চাইনি। বাবা আর মা পরবর্তীতে আসবেন এটা জেনেই আমাকে এখানে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এত বড় অংকের টাকা বাবা এমনিতেই আমার হাতে তুলে দেননি! ভবিষ্যতে কথা ভেবেচিন্তেই দিয়েছেন।
বাবা সবসময় নিজের সময়ের চেয়ে একধাপ এগিয়ে চিন্তা করতেন। এজন্যই ওনার আয়ের সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও সবকিছুই বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন। তোমার পড়াশোনার পুরোটাই ইন্ডিয়াতে, পরে আবার অষ্ট্রেলিয়াতে। আমার পড়াশোনার অর্ধেকটা দেশে আর এখানে আসার সময়েরটা। শেষ সময়ে এসেও ভড়কে যাননি! বাবার চিকিৎসার সময় দায়ভার মায়ের কাছে চলে যাওয়ায় হিসাব নিকাশে অনেক হেরফের হওয়ার অন্যতম কারণ মায়ের পূর্ব অভিজ্ঞতার অভাব। আর কিভাবে ওনারা ইন্ডিয়ায় একা গেল, বলতে গেলে মা কি করে নিয়ে গেলেন ওগুলো পরের চিঠিতে লিখে জানাবো।
আজকে আপাতত এই থাক। অনেক লম্বা হয়ে গেছে!
পিচ্চিকে আদর দিও।
ইতি
প্রাণ
বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতির পাশাপাশি আরও যা ঘটেছে বা ঘটে চলেছে তা হল পরস্পরের ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি। এর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করা ছাড়াও আত্ম-সমালোচনার অভাবের কথাও বলতে হয়। কোন বিষয়ের উভয় দিক না জেনে ঢালাওভাবে মন্তব্য করা। এর সাথে যোগ হয়েছে যে কোন বিষয় সম্পর্কে বিশেষ পড়াশোনার অভাব বা না জেনে অন্য কারও খুঁজে পাওয়া যে কোন সস্তা তথ্যের উপর নির্ভরশীলতা। সবকিছু মিলিয়ে একটা বেশ হযবরল অবস্থা।
হয়তো এগুলোও দুই সহোদরের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতির ক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। তবে হৃদয়ের বন্ধনই শেষ কথা।
প্রতিবিম্ব নিজের অফিসের কাজে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে ইদানীং। কোম্পানির কাজে ওকে সিডনির বাইরেও যেতে হচ্ছে কখনো সখনো। দুই মাস আগে চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ন্যানজিং এ গিয়েছিল অফিসের প্রজেক্টের কাজে। ওদের কোম্পানির আন্তর্জাতিক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্বে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কোম্পানিই সবকিছু খরচাপাতির ব্যবস্থা করে। ফিরে এসে যদি কোন কাজ সঠিকভাবে কার্যকর না হয় বা শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ না দেখে তখন বিশেষ কিছু না হলেও বড় কর্তাদের টুকটাক কথা শুনতে হয়। কাজেই পারিবারিক জীবনে বা আনুষঙ্গিক আরও নানা বিষয়ে অগোছালো একটা ভাব না চাইতেও চলে আসে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই প্রত্যেকের জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে তাদের কাজের জায়গা। যে জায়গার উপর নির্ভরশীলতা বেশি থাকবে সেটা ততই মাথা ব্যথার কারণও হবে। দুর্ভাগ্যজনক এই যে বাকি পৃথিবীর কারও এসবে কিছু যায় আসে না, সেটা স্ত্রী-সন্তান হোক বা মাতা-পিতা। প্রযুক্তির উৎকর্ষে দিনে দিনে ছোট হয়ে আসা পৃথিবীতে মানুষের মন-মানসিকতাও কেমন যেন ছোট হয়ে আসছে। খুব দ্রুত মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে! না চাইতেও এমন সব কাজ করতে হয় যা কেবল প্রয়োজনেই করতে হয়, মনের কোন সায় থাকে না।
প্রাণের ইমেইল আইডিতে পরবর্তী চিঠি লেখার জন্য সময় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে দেখে খন্ড আকারে চিঠি লেখা শুরু করে দিল ও। সকালে কম্পিউটারে সাইন ইন করার পর অফিসের শিডিউল দেখছিল। মহাব্যস্ত থাকতে হবে আগামী কয়েকমাস। দু’মাস পর জার্মানি যাওয়ারও একটা সুযোগ রয়েছে। তখন কি ও প্রাণের সাথে দেখা করবে??
স্নেহের প্রাণ,
তোমার চিঠি পড়ে যা বুঝলাম ভেতরে ভেতরে অনেক ক্ষোভের পাহাড় পুঞ্জীভূত করে রেখেছ। সেটাই আংশিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে তোমার লেখায়। তবে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাতে রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার পরিস্থিতিও তো জানা প্রয়োজন। যে কোন ঘটনা দুটো দৃশ্যের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। একপক্ষ যেমন আক্রান্ত হয়, অন্যপক্ষকে আক্রমণকারী হিসেবে দেখা হয়। আমাদের ঘটনায় কেউই আক্রমণকারী ছিল না বা ক্ষতি চায়নি। যখন দুঃসময় হাজির হয় তখন হয়তো এভাবেই হয়। বাবার সাথে যোগাযোগ ছিল কিন্তু এটা ঠিক শেষের দিকে আমার অফিস থেকে ট্যুরে বাইরে পাঠিয়েছে। তখন আমার প্রথমদিকের অভিজ্ঞতা ছিল ওটা। যোগাযোগ করার ক্ষেত্রেও অনেক বাধ্য তা ছিল। তাই যেভাবে ওনাদের সাথে কথা বলা উচিত ছিল সেভাবে করতে পারিনি। আর যখন শেষ সময়ে অসুস্থ হয়ে গেছেন তখন আমি খুব সম্ভবত ট্রানজিটে ছিলাম। তাই ওরা আমাকে পায়নি। পরে যোগাযোগ করেছি। তখন দেরী হয়ে গেছে। আমি ছোটকাল থেকে বাইরে পড়াশোনা করার সুবাদে নানান মানুষের সাথে যত সহজে মিশে যেতে পেরেছি। তুমি ঠিক এর বিপরীত মেরুতে বেড়ে ওঠা। হোস্টেলে পড়াশোনার সময়কালে এমন অনেক রাত,দিন কেটেছে যখন পেটে দানা পানি কিছু পড়েনি। তোমার এমন রাতে কখনো কাটেনি। মা-বাবার সাথে আমার সময় কাটানো কখনোই সম্ভব হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তোমার উপর প্রত্যাশা ছিল অনেক।
ডেন্টালে পড়ার সময় হঠাৎ যখন জানালে তোমার বেতন বেড়ে গিয়েছে, তখন আমি এক জায়গায় ক্লিনার হিসেবে কাজ নিই। শুধুমাত্র ওই অল্প কিছু টাকার জন্য যাতে পরিবারের মাসিক খরচের উপর কোন প্রভাব না পড়ে। এমন রাত কেটেছে যখন উচ্ছিষ্ট খাবার, প্লেট এসব পরিষ্কার করতে গিয়ে হয়তো ব্যাগ খুলেছি, এখানকার উৎভট, গা গোলানো দুর্গন্ধে বমি করার পর রাতে আর মুখে খাবার তুলিনি। তোলা সম্ভব ছিল না। আর এসমস্ত চাকরি কনট্রাক্ট হিসেবে হত। প্রতি চার-পাঁচ মাস পরপর নতুন চাকরি খুঁজতে হত। কখনো কাজের সাথে আপোষ করিনি। সবসময় এটা ভেবেছি যে তোমার প্রতি মাসের বেতন বাবা দিতে পারবেন না। তখন উনি অবসর নিয়েছেন। যদিও এরপরে আবার জয়েন করলেন ওনার পরিচিত জায়গায় কারণ কাজ ছাড়া কখনো কিছু উনি ভাবতেন না। সংসারের খরচ প্রতি মাসেই বেড়েছে। আমার এখানেও। দামের উঠা- নামার মাঝে সামঞ্জস্যতা রেখে চলা অনেক কঠিন ছিল। আমি তখন যা ই করতাম, তোমার কথা ভেবেই করতাম। এসব কথা কখনো সরাসরি বলা হয়নি। আমার এখানে আসার সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে বাবাকে যতটা কম পারা যায় ততোটা জানিয়েছি। আমার জীবনের কঠিন দিকগুলো অধিকাংশই তোমার অজানা।
অতনু দাশ গুপ্ত | Atonu Das Gupta
Bishnupur Fair | ফিরে দেখা – বিষ্ণুপুর মেলা (১৯৮৮-২০২১)
New Bengali Story 2023 | খুনসুটি | প্রসেনজিৎ মজুমদার
New Bengali Article 2023 | সার্বজনীনতার খোঁজে
Sea expedition of fisherman | মৎস্যজীবীর সমুদ্র অভিযান | Article 2023
new bengali novel 2023 | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | new bengali novel 2023 for adults | bengali story books | bengali story books for child | new bengali novel 2023 pdf | bengali story for kids | new bengali novel 2023 reading | short story | new bengali novel 2023 analysis | new bengali novel 2023 characteristics | new bengali novel 2023 competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | new bengali novel 2023 length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | new bengali novel 2023 writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | new bengali novel 2023 ai | new bengali novel 2023 app | article writing book | new bengali novel 2023 bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder