New Bengali Article 2023 | সার্বজনীনতার খোঁজে

Sharing Is Caring:
BENGALI ARTICLE

সার্বজনীনতার খোঁজে – আবদুস সালাম [Bengali Article]

সার্বজনীন কথাটার একটা আলাদা ঐতিহ্য আছে ।এই সার্বজনীনতা আমরা বেশি বেশি করে লক্ষ্য করি বিভিন্ন রকম পরব বা উৎসব এলে। ধর্মীয় ও দলমত নির্বিশেষে তখন আমরা সবাই সার্বজনীন হয়ে যায়। ভারতবর্ষ চিরকাল মিলিত সংস্কৃতির দেশ। বিবিধের মাঝে মিলন রচনা করতে সর্ব প্রথম যিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি আমাদের সবার অতি প্রিয় সম্রাট মহামতি আকবর। মহামতি আকবর হিন্দু-মুসলমান দুই ভিন্ন ধর্মী ফুলকে একই মালায় গেঁথে আরাধ্য দেবতা পায়ে উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়ে ছিলেন। এই দূরদর্শিতার জন্যই তিনি ভারত বিখ্যাত সেরা শাসকের সম্মানে সম্মানিত।

স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে মিলিত সংস্কৃতির বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা সবাইকে একই মালায় গেঁথে দেবতার চরণে অর্পণ করতে আমাদের ভয় হয় । আমরা ভুলে যায় যে আগে আমরা মানুষ, আমাদের রুজি রোজগার, তার পরে আমাদের ধর্ম। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষ আজ উত্তাল। ধর্মীয় ভাবাবেগ নাড়িয়ে দিচ্ছে মিলিত সংস্কৃতির খুঁটি। আমরা বেসামাল হয়ে পড়ছি দিন দিন।এই ধর্মের ঘুঁটি নিয়ে খেলা করতে শুরু করেছে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো। আমরা গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে দিচ্ছি আমাদের বিবেক, আমাদের শুভ বুদ্ধিকে। এর অবশ্য কিছু কার্যকারণ সম্পর্ক বিদ্যমান। যা এই নিবন্ধে তূলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র । (১) বিশ্বাস সম্বন্ধীয় (২) আরাধনার ধরন (৩) খাদ্য তালিকা (৪) জাতিগত বিদ্বেষ (৫) রাজনৈতিক রাজনীতিগত কারণ।

বিশ্বাস সম্বন্ধীয়

তথাকথিত (হিন্দু বৌদ্ধ জৈন) বংশোদ্ভূত ব্যাক্তিগণ বিশ্বাস করেন বহুত্ববাদে। আর মুসলমান জনগণ বিশ্বাস করেন একেশ্বরবাদে। তবে একটা কথা এখানে বলে রাখা ভালো যে তারা বহুত্ববাদে বিশ্বাসী হলেও কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করেন তারা এক ঈশ্বরেরই পূজা করছেন। বহুত্বের মাঝেই একত্বকে খোঁজেন। ধর্ম বিশারদগণ ধর্ম কে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। তারা মনে মনে বিশ্বাস করেন সকল সৃষ্টির পেছনে যিনি বর্তমানে তিনি সর্বময় কর্তা একজন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগণ বলেন ভগবান, খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বলেন গড, ইসলাম ধর্মাবলম্বীগণ বলেন আল্লাহ। এখানে অন্য কোনো উপাস্যের কথা মনে আনতেই পারে না । প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থই বলে ঈশ্বরের কোন প্রতিমূর্তি নেই। কোরআন তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছে ঈশ্বর বা আল্লাহ এক। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে পয়দাও করেননি ।

আরাধনার ধরন

ঈশ্বর হবে সম্পূর্ণ নিরাকার। আর এই বিশ্বাস থেকে নড়াচড়া করলে সে আর যাই হোক মুসলমান থাকতে পারে না। অন্যদিকে হিন্দু জনগণ দেবদেবীর মূর্তি সামনে যে আরাধনা করেন তা তারা ধর্ম গ্রন্থ মেনে করেন না ।বেদ বলছে ঈশ্বরের কোন প্রতিমূর্তি নেই। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তথাপি তথা কথিত ধর্মগুরুগণ আমাদের মতো বোকা মানুষের অন্ধ বিশ্বাস কে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে নিচ্ছেন। আমরা বোকা জনগণ ধর্মের আফিম খেয়ে ভালো মন্দ বিচার বুদ্ধিকে হারিয়ে ফেলেছি। যা হোক এনিয়ে তর্কে গিয়ে লাভ নেয় ।

হিন্দু জনগণ বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি স্থাপন করে যে আরাধনা করেন। তত্ত্বের দিক থেকে বিরোধ দেখা দিলেও একে অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে তাদের বাধা হয়ে দাড়ায় না।। ধর্মের গ্রহণযোগ্যতা নিজ নিজ বিচারের উপরে নির্ভরশীল। ধর্মের কোন দিকটা ভালো তা জনগণ গভীরভাবে উপলব্ধি করলে জানতে পারবে ।মনে রাখা ভাল সব ধর্মের তত্ত্ব কথা এক। কোন ধর্মই বলেনা চুরি কর, গুণ্ডামি করে পরের জিনিস কেড়ে নেওয়া কথা। ।

খাদ্য তালিকা

খাদ্য তালিকার দিকে দৃষ্টি দিলে দেখি যে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ নিরামিষ ও আমিষ দুই রকম খাবার খেতে ভালোবাসে। যদি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মাংসাশী না হতেন তবে কোন সমস্যায় হতো না। জৈনদের বেলায় যেমন কোন সমস্যা হয় না। যত সমস্যা কেবলমাত্র মাংস ভোজীদের নিয়ে। হিন্দু মতাবলম্বী মানুষ যখন মাছ কাটেন তখন কোন মুসলমান মতাবলম্বী প্রশ্ন করেন না মাছটা তুমি দুভাগ করে কেটেছো না পেঁচিয়ে কেটেছো। যত ঝামেলা পশু পাখির মাংস কাটা নিয়ে। কোন হিন্দু কসাই খাসি, মুরগিকে ছ্যাং করে গলা কেটে তার মাংস বানাতে লাগলেন। এতে হিন্দু জনগণের কোন অসুবিধা নেই। এখন সে যদি পেঁচিয়ে ও কাটে তার হলেও কোনো হিন্দু মানুষ প্রশ্ন করে না।বলেও না যে তুমি মাংস পেঁচিয়ে কেটেছো নেবো না। অন্যদিকে মুসলিম কসাইদেরকেও প্রশ্ন করেন না দাদা আপনি কি খাসিটা দুভাগ করে কেটেছেন না পেঁচিয়ে কেটেছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের এই মাংস খাওয়ার পক্ষেও কোনো বাধা নেই। অন্যদিকে কোন মুসলিম লোক হিন্দু কসাইদের কাছ থেকে মাংস কিনবেই না। এর কারণ আমাদের সবারই জানা। মুসলিম জনগণের ধর্মগত দিক দিয়ে খেতে নিষেধ করা হয়েছে। কোরআনে এটা হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই কথাগুলো যদি মাথায় রাখি তবে হয়তো নিজেদেরকে অনেকটা কাছে আনতে পারি। তবে মুসলিম কসাইদের মাংস কাটা খেতে হিন্দু ভাইদের খেতে আপত্তি নেই। এখন কোন উৎসব বা পার্বণ এলে যদি বন্ধু-বান্ধবীদের ডেকে এনে মিলন উৎসব পালন করি তবে বাধা হয়ে দাড়ায় না।

যেখানে বাধা তা হলো মুসলিম জনগণ গোমাংস ভক্ষণ করে। এখন আমরা একে অপরের স্বার্থে যদি গোমাংস খাওয়াকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিই তবে এ সমস্যা থেকে আমরা উদ্ধার হতে পারি। কিন্তু প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। বহু রকমের কুসংস্কার, প্রচলিত রীতি, ধর্মবেত্তাগণের সুড়সুড়ি বিষয়টাকে জটিলতা দান করবে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে চাই উন্নত মন ও শিক্ষা। শিক্ষার চেতনা মানুষকে কাছে টেনে আনার প্রেরণা জোগাবে।

জাতিগত বিদ্বেষ

একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে সকল ধর্মের লোক বুঝতে পারছি কোন ধর্মই মানুষকে কাছে টানেনি। বরং দূরে, বহু দূরে ঠেলে দিয়েছে।ঠেলে দিয়েছে অন্ধকারের দিকে। মানুষ লিপ্ত হয়েছে হানাহানি মারামারি, কাটাকাটিতে। এতে ধার্মিকদের কতটুকু লাভ হয়েছে জানিনা কিন্তু লাভ হয়েছে সমাজের স্বার্থান্বেষী মহলের। বিভাজন সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নিয়েছে । উন্মত্ত কিছু মানুষ রক্তাক্ত করেছে ধর্মীয় উঠোন। দেশের ও দশের স্বার্থে যদি স্বচ্ছ দৃষ্টি দিয়ে দেখি এবং সবাই যদি আমাদের গোঁ ধরা থেকে সরে আসার চেষ্টা করি তবে হয়তো আমরা সার্বজনীন হতে পারবো। এতে আবার ধর্ম শাস্ত্র বিশারদগণ ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে বলবেন নিরপেক্ষ এই দেশে যে যার খুশিমতো আহার করবে এটাই তো নিয়ম। আমাদের বাঁচার স্বার্থে একগুঁয়েমি না করে যদি গোমাংসকে আমরা খাদ্য তালিকায় না রাখি তবে এমন কিছু ধর্মের ক্ষতি হবে না। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো যদি আমরা পড়ি তবে কোথাও খুঁজে পাবো না যে গোমাংসকে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। যদি তুমি গোমাংস ভক্ষণ না করো তবে তুমি মুসলমান থাকবে না। আর ইসলাম কি এতই ঠুনকো ধর্ম নয় যে গোমাংস না খেলে তোমার ধর্ম থাকবে না। অতএব উৎসবের দিন গুলোতে গোমাংস খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে নিরামিষ কিংবা গোমাংস বহির্ভূত খাবার আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখি তবে অন্য ধর্মের লোকদেরকে সাথে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি।

মুসলিম জনগণ যেখানে গরুকে জবাই করে খাদ্য তালিকায় এনে মচমচ করে খাচ্ছেন। আবার হিন্দু জনগণ সেখানে গোমাতাকে প্রত্যহ দেবতা রূপে পূজা করছেন। দেবতাকে একেবারে সরাসরি হত্যা! একেবারে ধর্মে আঘাত! এটা তো মেনে একেবারে নেওয়া যায় না। তাই ধর্মপ্রাণা জনগণ সামান্য বিষয় নিয়ে মত্ত হয়ে যান। মানুষের সার্বজনীন হওয়ার মুখে চুনকালি দিয়ে একেবারে শিবের নাচন নাচতে শুরু করি। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা সকল ধর্মের লোক বুঝেছি কোন ধর্মই মানুষকে মানুষের কাছে টানে না। বরং দূরে ঠেলে দেয়। স্বার্থান্বেষী মহল এই অতি স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আমাদের মতো বোকা জনগণের পাড়ায়। আমরা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে আমারই পড়শির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হচ্ছি। এ ওর মাথা কাটার জন্য লাফিয়ে উঠছি। আমরা বুঝতে পারছি না (অর্ধ শিক্ষিত, অর্ধ উন্মাদ মৌলভী পুরোহিত) আমাদের সার্বজনীন পরিবেশ, সমাজকে কিভাবে ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে মরণ খেলায় আমাদেরকে নামিয়ে দিতে চাইছে। হায় রে আমাদের কপাল। যারা সমাজের ভালো চায় তাদের কথা না শুনে নেমে পড়ছি যুদ্ধের ময়দানে। উন্মত্ত কিছু উগ্র ছদ্মবেশী রক্তাক্ত করছে ধর্মীয় পরিবেশ। দেশের ও সমাজের প্রতি তাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই। এই দিকে যদি আমরা স্বচ্ছ দৃষ্টি দেয় তবে দেখবো ভারতবর্ষ মিলিত সংস্কৃতির দেশ।

ভারতের সব মানুষের কথা মাথায় রেখে যদি নিজেদের ক্ষমতা থেকে, একগুঁয়েমি থেকে সরে আসি তবে আমাদের সার্বজনীন হওয়ার পথে কোন কিছুই বাধা হয়ে দাড়ায় না। এইভাবেই আস্তে আস্তে আমরা সফল হতে পারব। ভারতের পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই আর্যরা ভারতে আসার পর থেকেই পৌত্তলিক পূজা সর্বোচ্চ ধর্মাচার চালু হয়। অদ্যাবধি সেই পরম্পরা চলে আসছে ১৮১০ সালে প্রথম কোন বিদেশী জাতি কর্তৃক ভারতবর্ষ আক্রান্ত হয়। আর এটা সংগঠিত হয় মুসলিম রাজাদের দ্বারা। অন্য কোন জাতি আক্রমণ করলেও তাদের ধর্মের আঙ্গিনায় পৌত্তলিকতা বিরাজমান তাই তাদের মধ্যে কোনো অসুবিধা হয়নি। অশোক সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন জাতের লোক হলেও ভারত আক্রমণ করল এবং কিছু স্বার্থান্বেষী ইতিহাসবিদ নিজের ইচ্ছামত গল্প করছে আপনাদের মানসিক পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলল আর তখন থেকে আমাদের মনে জাতিগত বিদ্বেষ কাজ করেছে দেশে আর তাই আমাদের সার্বজনীন হওয়া বড্ড কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক কারণ

কিছু স্বার্থান্বেষী ইতিহাসবিদ নিজেদের ইচ্ছামত গল্প কেচ্ছা ফেঁদে মানসিক পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলেছিলেন এবং অদ্যাবধি বিষাক্ত করে তুলছেন। আর তখন থেকেই আমাদের মনে জাতিগত বিদ্বেষ কাজ করে চলেছে। তুচ্ছ কারণ ও অজুহাতে আমাদের সার্বজনীন হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ইংরেজরা ভারত শাসন করার আগে প্রায় ১৪ শত বছর ধরে মুসলিম শাসনকর্তাগণ শাসন কার্য চালিয়েছেন। দেশে শাসন কার্য চালাবার সময় হিন্দু ধর্মের প্রতি বিভিন্ন সময়ে আঘাত হয়েছে একথা আংশিক সত্য। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল আসল কারণ কে উহ্য রেখে ঢাকঢোল পিটিয়ে অত্যাচারের মিথ্যে গল্প প্রচার করে পরিবেশ কে উত্তপ্ত করে রেখেছে। ওরঙ্গজেব প্রবর্তিত জিজিয়া কর হিন্দু প্রজাগণকে নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিল। হিন্দু জনগোষ্ঠী নিজেদের হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করে। বিন্দু বিন্দু জলে যেমন সাগর গড়ে ওঠে তেমনি চৌদ্দশ সালের জমানো ক্ষোভ মিলেমিশে মুসলিম শাসনের ভিত্তি উল্টে দিয়েছে। অথচ ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে মুসলমান শাসকগণ হিন্দু সমাজের প্রভূত উন্নতি সাধন করেছেন। এদের ইতিহাস কিন্তু আমরা পড়ি না বা পড়তে দেওয়া হয়না। কাশির বিশ্বনাথ মন্দির, পুস্কর হ্রদ এগুলো সবই মুসলমান শাসকদের উন্নত মানসিকতার ফল। মুসলিম শাসকদের হিন্দু অপদার্থ শাসকগণ সহ্য করতে পারত না, কেননা তাদের দমন মূলক চক্রান্তকে মুসলিম শাসকগণ জনগণ কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। মুসলিম শাসকগণ তাদের এই অন্যায় আচরণ সহ্য না করে প্রজাবৎসল হতে সাহায্য করেছে। এটা তাদের সহ্য হচ্ছিল না। জাতিগত এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আমরা পরস্পরের ভেতর বিদ্বেষমূলক আচরণ করে চলেছি। দিন দিন আমরা অযাচিত রাগ পুষে রেখেছি। দেশ ভাগ ভারতকে পৃথিবীর আঙিনায় দুর্বল করে দিয়েছে। সম্মিলিত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আগুন জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে আমাদের ভাতৃত্বের পরিবেশকে। মুসলমানগণ মনে করেন হিন্দুদের চক্রান্তে আমাদের শাসনের উচ্ছেদ হয়েছে আর হিন্দুগণ মনে করেন মুসলমান শাসকদের হিন্দু প্রীতি আমাদের অত্যাচারের ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছে। অত্যাচারিতের আর্তনাদ শুনতে না পেলে অত্যাচারীর মন ভরে না।

এসব পুরনো কথা ভেবে নিজেদের ক্রমশঃ দুর্বল করে না দিয়ে যদি আমরা নিজেদের মধ্যে মেলামেশার বাতাবরণ তৈরি করতে পারি তবেই আমাদের আখেরে লাভ হবে বৈকি। বিশ্ব ভাতৃত্বের শ্লোগান সার্থকতা খুঁজে পাবে। আমরা সার্বজনীনতায় মিশে যেতে পারবো। আমাদের মাথায় রাখতে হবে সব ধর্মেরই মূল কথা এক। কোন ধর্মই খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, কপটতাকে সমর্থন করে না। তবে একটা জিনিষ আমাদের মনে রাখা ভালো ধর্মকে আধুনিকতার গড্ডালিকা প্রবাহে যেন ভাসিয়ে না দিই। সৌভাতৃত্বের বন্ধনে যদি আমরা আবদ্ধ হতে পারি তবে আমাদের দেশ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা হবে। বিরাজ করবে শান্তি। ঐ মহৎ দিনের আশায় রইলাম।

আবদুস সালাম | Abdus Salam

Bengali Poetry 2023 | মহা রফিক শেখ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Article 2023 | চিরায়ত ধর্মমঙ্গলের স্বাতন্ত্র্য | প্রবন্ধ ২০২৩

Bengali Story 2023 | ওরাই আমাদের কর্ণধার (শিশুকিশোর) | গল্পগুচ্ছ ২০২৩

Bengali Story 2023 | স্বপ্নের জোনাকিরা | গল্প ২০২৩

writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bangla article rewriter | bengali article writing format | bengali article writing ai | bengali article writing app | article writing book | bengali article writing bot | bengali article writing description | article writing example | bengali article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali article writing format | article writing gcse | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | bengali article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | article writing on child labour | article writing on global warming | bengali article writing pdf | bengali article writing practice | Bengali article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Bengali Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Founder

Leave a Comment