জয়নাল আবেদিন – সূচিপত্র [Bengali Novel]
খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১৬) – জয়নাল আবেদিন [Bengali Web Novel]
আজ সকাল থেকেই আরশাদের ঘরের সামনে জটলা। গুমটির চায়ের দোকানে কথার ফিসফিসানি। পূব আকাশে সূর্যটা কিছুটা মাথা তুলেছে ।বস্তির চরিত্র অনুযায়ী মানুষের ব্যস্ততা। কল তলায়, চায়ের গুমটিতে, সকালের প্রস্তুতি সেরে। যে যার বেরিয়ে যাওয়া সারাটা দিনের মতো। দুজন ছেলে আরশাদের ঘরের সামনে গিয়ে একটু শব্দ করে ডাকলে।
— আরশাদ ভাই ঘরে আছো? আরশাদ ভাই।
— হ্যাঁ, আছি গো। এই বেরোবো। ভিতর থেকে আরশাদের সাড়া দেওয়া।
— একটু বাইরে এসো। কথা আছে।
কথাটায় কেমন খটকা লাগে তার। শাটের বোতাম লাগাতে লাগাতে বাইরে আসে। হ্যাঁ, বলো দাদা।
— তুমি আজ বাইরে কাজে যাবে না। কাশীনাথ দা আরো কজন লোক আসবে। তোমাদের ব্যাপারে কথা আছে।
— কাল রাতে বললে ভালো হতো দাদা। আমার একটা মাস কাবার ভাড়া আছে তো? না নিয়ে গেলে তেনার অসুবিধা হয়ে যাবে। আরশাদ বললে।
— ও একটু আধটু অসুবিধে মেনে নিতে হবে। অনেক বড় সমস্যার সমাধানে, ছোটখাটো জিনিস বাদ দিতে হবে। কিছু করার নেই। একটু জোর গলায় বলল ছেলেটা।
মুখটা কেমন তেতো হয়ে যায় আরশাদের। দুনিয়ার কেমন সব আজব নিয়ম- কানুন। বিনা দোষে কেমন চোর-পুলিশের চক্করে পড়ে নাকানি-চোবানি খেয়ে একটু থীতু হলাম। আবার এক মানুষকে আশ্রয় দিয়ে – কপালে কি আছে কে জানে! বস্তির কিছু মানুষ আজ বেশ কৌতূহল মনে গুমটির দোকানে। দোকানের আশেপাশে জড়ো হয়েছে। চায়ের সঙ্গে এরকম একটা মুখরোচক খবরে, চোখাচোখি ইশারায়- বাতাস বেশ ভারী হতে থাকে। ক্রমশ জমতে থাকা মানুষগুলো, কথাবার্তায় একটু চাঞ্চল্য তৈরি করে।
— ন’টা বাজে। কাশী বাবু কখন আসবে গো ?
বাবলু বললে, – সকালেই তো আসার কথা। কোন কাজের কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে।
— আরে এটাও তো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আজকের সমাধান হতেই হবে।
— হয়ে যাবে, চিন্তা করছ কেন। বাবলুর আশ্বস্ত করা কথা।
— চিন্তা হবে না। এমন একটা পাপ কাজ বস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তার কোন প্রতিকার নেই। মাবুদ চাচার বিজ্ঞের মতো বয়ান।
নাজির খান প্রতিবাদের সুরে বললে, – না চাচা। এভাবে বলো না। আর যাই হোক, আরশাদ দোষ করেছে। অনেকদিন মেয়েটাকে ঘরে রেখেছে। কিন্তু পাপ কাজ করছে, এটা না জেনে বলো না। আর ওই মানুষটা যে খারাপ নয় – বস্তির সবাই জানে।
— বাবু, ভালো কাজ করতে যতটা সময় লাগে ।পাপ করতে তার সিকি ভাগ সময়ও লাগে না গো। ভালো- মন্দের বিচার তখন কাজে লাগে না।
— তুমি বয়স্ক লোক চাচা, তোমার বিবেক- বিবেচনা দেখে অবাক হচ্ছি। এই কথাগুলো বললে কি করে? মুখে আটকালো না। নাজির একটু ক্ষিপ্ত।
চেঁচিয়ে ওঠে নজরুল গায়েন – ঠিক বলেছে, নাজির ভাই। চাচা কি প্রমাণ দিতে পারবে, যে পাপ কাজ হয়েছে। না হলে কিন্তু এই আনসান বলার জন্য শাস্তি পেতে হবে। অচিরেই দুটো পক্ষ তৈরি হয়ে গেল। বেশ কিছু গোলমেলে শব্দ উচ্চারণ হলো দুপক্ষের মুখেই। একটা হট্টগোল হইচই। এমন খবরে কিছু মানুষ হাতে কাঠি নিয়ে ঘোরে। অযাচিত মুখরোচক শব্দে বেশ মজা পায়। এমন কিছু শব্দ ব্যবহার হতে লাগলো, যেন অসভ্য আচরণ তার চোখের সামনে হয়েছে। বস্তির চরিত্র টাই এমন। নেশায় নিজের পা টললেও-অপরকে জ্ঞান দেওয়ার কথায় কেউ পিছিয়ে নেই। এমন সময় কাশিনাথ বাবু জনা তিনেক সঙ্গীসহ উপস্থিত হতেই, হঠাৎ সব থেমে গেল। বাবলু সামনে এগিয়ে এসে বললো, – বড্ড দেরি হয়ে গেল দাদা।
— আরে বলিস না ! বেরোনোর মুখে একটা ঝামেলায় পড়ে গেলাম। তাই দেরি হয়ে গেল। চল কোথায় বসা হবে?
বাবলু বললে, – আরশাদ ভাইয়ের ঘরেই বসা হবে ।এসব নিয়ে বাইরে বসা ঠিক হবে না।
জন-কয়েক একটু চেঁচামেচি করলে। আমরা তাহলে থাকতে পারবো না কেন ? ঘরের মধ্যে কেন বসা হবে। কতজন বসবে তাহলে ? কাশীনাথ বাবু বললে – সকলের দরকার নেই। সাত আট জনা বসবো। কি ফায়সালা হলো সকলকে জানানো হবে শেষে। যদি কারো কাজ থাকে যাও। সে কাজ সেরে এসো। উশপাশ করা মানুষগুলো চুপসে গেল। বস্তির চেহারাটাই এমন। বিচার- বিবেচনার মানুষ নিতান্তই কম। বেশ একটু হুজুগে-মাতার দল। এই সেদিন যখন পুলিশ নিয়ে গেল আরশাদকে সমস্ত বস্তির লোক এককাট্টা। আরশাদের মতো ভালো ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে, সারা বস্তির আবাল- বৃদ্ধবনিতা থানার মাঠে জড়ো হলো। প্রতিবাদের আওয়াজ তুলে হয়তো সেদিন অঘটন কিছু ঘটে যেতে পারতো। থানা বনাম বস্তির মানুষজন। অথচ আজ অনেকেই আরশাদের বিপক্ষে সুর চড়াচ্ছে। ভালো মানুষের তকমাটা দিনের আলোয় কেমন রং পাল্টে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ কেউ ভাবতেই পারেনি, আরশাদের জীবনের সেই দিনের ঘটনার জের আজও টেনে চলেছে। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। কবে হবে ঈশ্বর একমাত্র জানেন। হয়তো আজই হতে পারে। কিংবা আবার নতুন কোন অঘটন ঘটতে পারে। আরশাদের চৌকিপাতা ফাঁকা দর্মা ঘেরা ঘরটায় জনা দশেক লোক নিচে উপরে করে বসলে। আরশাদ আগন্তুক মহিলা আরশাদের স্ত্রী রিজিয়া পাশাপাশি মেঝেতে বসে। কথা শুরু করলে কাশীনাথ বাবু, – আরশাদ তোমার থানার কেসটা তো প্রায় মাস ছয়েক হলো মিটে গেছে ? তাইতো ?
আরশাদ বললে, – হ্যাঁ বাবু।
— তাহলে কেন যেতে দিচ্ছ না ওনাকে?
— না, না- বাবু। আমি যেতে দিচ্ছি না ঠিক কথা নয়। বরং আমি আমার পরিবার বারবার কলকাতায় ফিরে যাবার জন্য বলেছি। আমরা গিয়ে দিয়ে আসবো বলেছি। উনি সেখানে ফিরে যাবে না।
কাশীবাবু স্বাতী কে প্রশ্ন করলে, – কি ব্যাপার আপনি যেতে চাইছেন না কেন ? এটা কি সত্যি কথা, না আপনাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে ?
স্বাতী বললে, – জোর করে একটা বস্তির ঘরে কোন মানুষকে আটকে রাখা যায়। আমার যাবার কোন রাস্তা নেই, তাই বাধ্য হয়ে আপাতত এখানে রয়ে গেছি। আমার উপর কোন জুলুম হলে- অন্যায় হলে, পাশাপাশি হাজারও লোক রয়েছে। আমি কি তাদের বলতে পারতাম না।
একজন জিজ্ঞেস করলেন, – আপনি বাড়িতে ফিরবেন না কেন তাহলে ?
স্বাতী বললে, – যেদিন রাত্রে ট্রেন মিস করে কলকাতায় ফিরতে পারিনি, রাত্রে স্টেশন মাস্টারের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলাম। তো স্টেশন মাস্টার বলেছিলেন, এখানে রাত কাটানো তোমার জন্য সেফটি নয়। আমি বললাম তাহলে আমি কি করবো ? কোথায় থাকবো ? আমার সঙ্গে ছোট্ট মেয়ে ছিল। তখন স্টেশন মাস্টার নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে এখানে- এই ঘরে থাকার জায়গা পেয়েছিলাম। জীবনের সবথেকে নিরাপদে রাত্রি কেটেছিল। সকালের গাড়িতে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিলাম। আমার স্বামী জেনেছিল একজন মুসলমান রিক্সা চালকের বস্তির ঘরে রাত্রে থেকে ছিলাম। আর কোন কিছুই জানতে চায়নি – প্রচণ্ড মারধর করেছিল আমাকে। রাতের ট্রেনে এখানে এসে স্টেশন মাস্টারের সাথে কি সব কথা বলেছিলেন। তারপর থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে এতসব কান্ড ঘটিয়েছেন ।পরদিন ফিরে গিয়ে আমাকে যখন রাত্রে শোনালো তার বীরত্বের কথা। আমি বুঝে গিয়েছিলাম কি হতে চলেছে। সেদিন ভোরের গাড়িতে এক বস্ত্রে সোজা চলে এসেছিলাম। তারপর তো সবটাই আপনারা জানেন।
বাবলু বললে, – ঘটনাটা শুনেছিলাম আমরা কমবেশি সকলে। আপনার মুখে আবারো শুনলাম। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনি মহিলা- হিন্দু ঘরের বিয়ে হওয়া মহিলা। এভাবে একজন মুসলিম ঘরে এমনি -এমনি দিনের পর দিন থাকতে পারেন না। আইন বলে তো কিছু বিষয় আছে। তাছাড়া এরাই বা আপনাকে এভাবে রাখবে কি হিসাবে ?
আরশাদ বললে, – আমি যতবার যাবার কথা বলেছি দিদিমণিকে। উনি শুধু বলেন মরা ছাড়া আমার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। এরকম কথা শুনে আমরা স্বামী স্ত্রী খুব ভাবনায় পড়েছিলাম। আবার না জানি কোন সমস্যায় পড়তে চলেছি।
কাশীবাবু রিজিয়াকে বললে, – তোমাদের সংসারে এই মহিলা রয়েছেন। তোমার আপত্তি হয়নি কেন ?
রিজিয়া বললে, – আপত্তি করি কেমন করে। দিদি খুব ভালো মানুষ। স্বামী নাকি খুব অত্যাচার করত। বাড়ি ছেড়ে এসেছে, ফিরলে তো মেরেই ফেলবে। তাহলে যায় কোথা। বাপ বাড়িতে ও জায়গা যাওয়া মানে ঠেলে সেই স্বামীর কাছে পাঠাবে। মেয়েটার ছুঁচো গেলা অবস্থা। আমার বাচ্চা দুটোকে পড়ায়। ভালবাসে ওদের। আমি আর কি বলবো।
কাশীনাথ বাবু বললে, – কিন্তু এভাবে তো একটা অচেনা মেয়ে চিরজীবন তোমাদের ঘরে থাকতে পারেনা। যেখানে কোন সম্পর্ক নেই।
আরশাদ বললে, -বাবু আপনারা তো সামনা-সামনি রয়েছেন। বলেন আমাকে আমার পরিবারকে কি করতে হবে। জিজ্ঞেস করেন দিদিমণি কি করতে চায়। কোথায় যেতে চায় ।মোটকথা আমি যেন আর কোন ঝামেলায় না পড়ি নতুন করে।
কাশিনাথ বাবু স্বাতীকে বললে, – সব কথাই তো আলোচনা হল। আপনি সবটাই শুনলেন। এখন আপনার কি করা উচিত বলে মনে হয় একটু ভেবে বলুন।
একটুও সময় নেয়নি স্বাতী। বললে – আমি চলে যেতেই চাই। তবে কোথায় যাব তা জানিনা। বলতেও পারবোনা। একা কোন মেয়ের রাস্তায় দিনরাত কাটানো মৃত্যুর সমান। তাই ভেবে নিয়েছি, আত্মহত্যা ছাড়া দ্বিতীয় কোন বাঁচার রাস্তা আমার জন্য নেই।
— না, না-এটা তো কোনো সমাধান নয়। বিস্মিত কাশিনাথ বাবু।
— আমার এটাই একমাত্র সমাধান। আর কোন অপশন নেই। স্বাতীর চোখে জলের ধারা।
বাবলু বললে – তুমি যেভাবে বলছো দিদি। এখান থেকে চলে গিয়ে কিছু অঘটন ঘটলে, আমরা সকলে দায়ী হয়ে যাব না। তোমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি বলেই এই ঘটনা।
কাশিনাথ বাবু বললে, – শুনুন এভাবে আজেবাজে কথা বলে লাভ নেই। আপনি কলকাতায় ফিরে যাবেন। নিজের ঘরে। আমরা লোকজন দিয়ে আপনাকে পৌঁছে দেব।
— সে দরজা চিরতরে আমার জন্য বন্ধ। আর সেখানে জোরপূর্বক যাওয়া আর চিতায় শুয়ে পড়া একই। স্বাতী একবুক যন্ত্রণা নিয়ে বললে কথাটা।
অনেক কথার পর আরশাদ বললে, – আমিও আমার পরিবার বলেছিলাম। চলেন দিদিমণি আমরা পৌঁছে দিয়ে হাতে পায়ে ধরে একটা মীমাংসা করে নেব। বাপ বাড়িতে যেতেও চাচ্ছেন না। বারবার মরার কথা বলছে। এখান থেকে গিয়ে যদি রেলে জান দেয়। আমার কি দশা হবে একবার বলুন দেখি !
ঘুপচি ঘরটার মধ্যে একটা চরম নিস্তব্ধতা। বস্তির বাইরে একটু কোলাহল। খবরের অপেক্ষায় অনেকেই। বেলা একটু বেড়েছে। রোদের তাপমাত্রায় দরমার ঘরে বেশ গুমোট আবহাওয়া।
কাশীনাথ বাবু বললে – সিদ্ধান্ত তোমাদেরই নিতে হবে আরশাদ। দুটো রাস্তা। হয় মহিলাকে যেকোনো আত্মীয়, বাবা-মা অথবা নিজের সংসারে ফিরে যাওয়া। মোটকথা এখান থেকে চলে যাওয়া। নয়তো একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ও নিতে হতে পারে। আইন কানুন এর ব্যাপারেও আছে। সেসব জানতে হবে। এক সপ্তাহ সময় দেয়া হলো। পরের সপ্তাহে আবার বসা হবে। তোমরাও নিজেদের মধ্যে চিন্তা ভাবনা করো।
জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin
Inspector | ইন্সপেক্টর | New Bengali Story 2023
Foodie Jagannath | ভোজনরসিক জগন্নাথ | New Article 2023
Countdown 99 | বিধি রে | কুহেলী দাশগুপ্ত | New Story 2023
Poila Baisakh 1430 | স্মরণে-বরণে ১লা বৈশাখ
Online Bengali Web Novel | Bangla Upanyas Online | Bangla Upanyas Online 2023 | New Bengali Web Novel Reading | Bangla Upanyas Online Read | Read Bangla Upanyas Online | Bangla Upanyas Online pdf | Download Bangla Upanyas Online | Bangla Upanyas Online Series | Shabdodweep | Sabuj Basinda | High Challenger | Shabdodweep – Bangla Upanyas Online | Bangla Upanyas Online – Joynal Abedin | Bangla Upanyas Online Show | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Novel Writer | New Bengali Novel | Bengali Web Novel Collection in PDF | Free Novel Download | Top Bengali Novel | Famous Bengali Writer | Best Selling Bengali Story | Pratilipi Story | StoryMirror Story | Bangla Upanyas Online Book | Sabuj Basinda Website | Top Bengali Writer | High Challenger Motivational Blog | Full Story in Bengali | Bengali Story Reader | New Bengali Story 2023 | Bangla Galpo | Natun Bangla Galpo | Natun Bangla Galpo 2023 | Story Writing Competition | Bengali Web Novel Reading 2023 | Writing Competiton 2023 | Shabdodweep Bengali Web Novel | Full Web Stories | Bangla Galper Series | Bengali Web Novel in Netflix Bangla | Download Bengali Web Novel | Bengali Story in USA | Bengali Web Novel in Bangladesh | Indian Bengali Story | Google Bengali Web Novel | Search Bengali Web Novel Reading | Sera Bangla Galpo | 18+ Online Bangla Novel Reading | Adult English Story | Adult Bengali Story | Adult Bangla Galpo | Bangla Upanyas 2023 | Natun Bangla Upanyas | Shabdodweep Upanyas | Shabdodweep New Novel | Attractive Bengali Web Novel | Attractive Bengali Story | Bengali Web Novel Collection | Bengali Story Collection | Story in Bangla | Bangla Galper Episode | Bengali Web Novel Episode | Shabdodweep Forum | Shabdodweep Story Collection | Bengali Web Novel APK | Bengali Web Novel Website | Bengali Literature