New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | গৌতম তালুকদার

Sharing Is Caring:
BENGALI POETRY

এমন নীলিমায় – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

নীলাভ মেঘ ভেসে চলে সাদা বকের ডানায়-
গোধূলির আকাশ পানে চেয়ে মনটা যে হারায়।

আমি যদি পাখী হতাম থাকতো যদি দু’টি ডানা
উড়াল দিতাম ভুবন ডাঙ্গায় শুনতাম না মানা।

শরৎ এর আকাশকে দেখি শোলার মুকুট পরে,
কাশফুলেদের হাত ছানি দেয় মেঘ মল্লার দেশে।

এমন ছন্দ বাতাস জুড়ে পাতার ফাঁকে ফাঁকে
আকাশ দেখি ওদের ছুঁতে নেমেছে নদীর বাঁকে।

ঈশ।আমি যদি হতাম পাখী ,থাকতো দু’টি ডানা
উড়ে যেতাম স্বপ্নলোকে মুক্ত মনের হত জানা।

এমন অসীম দিগন্ত দেখে ঘর যেন আমার মনে
বন্দি একটা লোহার তৈরি ছোট জেলখানা!

সুনীল আকাশ মুক্ত বাতাস আর মনমোহিনী রূপ
সন্ধ্যা বেলায় পবন পুত্র ছড়িয়ে দেয় সুগন্ধী ধূপ।

মাঝে মাঝে নীলাম্বরে হরেক পাখির আনাগোনা
ফিরে এসে গাছের ডালে বানায় ওদের আস্তানা।

তুলোর মতো ভাসে মেঘ ছড়িয়ে আকাশ গঙ্গায়
ওদের পায় নেইকো শিকল নেই শাসন দরজায়।

এমন নীলিমায় আমিও যে দিন যাবো হারিয়ে
কল্পলোকের আকাশ তুমি দিও হাত বাড়িয়ে।

গোলাপ মাহাত্ত্ব – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

লাল গোলাপের পাপড়িতে
শিশির ফোটা সাজিয়ে
কালো মেয়ের চোখেতে
আকাশ কুসুম স্বপ্ন ভাসে।

বাগান ভরা লাল গোলাপ
বসন্ত বাতাসে
সকাল বিকেল দোলে দোদুল
ভ্রমরা করে গুন গুন।

প্রথম প্রেমের প্রথম উপহার
লাল গোলাপ ফুল
বই এর পাতায় লুকিয়ে রেখে
বুক করে দুরদুর।

প্রেমিক হৃদয়ের চাওয়াতে
লাগে কাঁটার আঘাত
তবু তো লাল গোলাপ
এতো প্রিয় সবার।

উদ্যানে উদ্যানে গোলাপের মেলা
কতো শত মন-ময়ূরী করে খেলা
গোলাপের মাহাত্ত্ব ঘরে ঘরে
ফুলশয্যায় গোলাপ প্রেমময়।

অঙ্কুরিত হয়ে – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

অঙ্কুরিত হয়ে বৃক্ষ শিশু জন্ম নিলো
মাটি ভেদ করে প্রকৃতির বুকে
বনবিবির কোমল হৃদয় জুরে;
ওরা যেন প্রহরী সকল প্রাণীর কল্যাণে।

ওরা বড় হবে ছড়াবে ডাল পালা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বরণ করে নেবে
ছড়াবে অক্সিজেন বাতাসে বাতাসে
ওরা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ ঈশ্বরের আদেশে।

ওরা জানে না হানা হানি রাহা জানি
জানে কেবল ভূমন্ডলের মঙ্গল কামনা
ওরা তো প্রতিদানে কিছুই চায় না তবু
দিতে কৃপণ নয় আপনারে আহুতি।

আমাদের আছে প্রাণ ওদেরও আছে
একথা প্রমাণ তো করেছেন গুনি জনে।
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই কড়াতে কাটি
আগুনে পোড়াই ছুড়ে ফেলি জঞ্জাল ভেবে।

নিথর শিরের খন্ড খন্ড অংশে সাজাই গৃহ
প্রকৃতি চন্ডাল হলে ওদের করি ঢাল
আদিম যুগে পূর্ব পুরুষ শীত নিবারণে,
লজ্জাও ঢেকেছে ওদের ছাল বাকলে।

তবু করেনা করতেও জানেনা প্রতিবাদ
জন্ম জীবের সেবায় দিতে বলিদান
নস্যর এ দেহের ওরা এক মাত্র সঙ্গী
চিতা জ্বালায় আপনাকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে।

শীতের বেলায় আমি একা – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

ভোরের উঠোনে শীতের বেলায় আমি একা একা
তবু ওদের দেখা নেই জানালায়, ফুলের বাগানে।
আজ আর ওদের দেখা পাই না-
দুরন্ত চড়ুই, শালিক, কাক, এমন কি প্রজাপতি।
রোদ্দুর উঁকি দেয় শীতের জামা গায়ে,
শীত আসে শীত যায় কেন যে ওরা আসে না।
বহু বার জানতে চেয়েও উত্তর পাইনি আজও
আমার যে এখন ওদের ভীষণ প্রয়োজন যাপনে।

ওরা স্বার্থ দেখে না হিসেবও বোঝে না লেনদেনের
এতো দিনের অঙ্ক কষে দেখলাম শুধু গড়মিল।
আসলে আমিতো লাস্ট বেঞ্চে বসা একটি ছেলে;
স্বপ্ন আমায় নিয়ে খেলা করে অধরার বাস্তবে।

ওরা ভালোবাসা দিতেই ছুটে আসতো উঠোনে
লাউ, ছিমের মাচার (জাঙ্গলার) নীচে বসন্তের ;
বাসন্তী গেঁদা, রক্ত গেঁদা, হলুদ গেঁদা, ধনে ফুল
এমনকি সরিষা ফুলের প্রেম জোয়ারে ভাসতে।

আজ, ইট কাঠ পাথরে খুঁজে পায় না শিশির বিন্দু
দূর থেকে দেখে চলে যায় কেবল অট্টালিকার
কঠিন হাসি আর দেখে আমার যন্ত্রের হাত
অথচ শীতের বেলায় ফিরে আসে কতো স্মৃতি।

ইস্কুলেতে যাবো – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে-

আবার যাবো ইস্কুলেতে আসবে ভ্যান গাড়ি
মা দেবে টিফিন কৌটো কাঁধে বইয়ের ব্যাগ
মিলবো সবাই আগের মতো চলবো পাশাপাশি।

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে-

আবার আমরা সকল ছাত্র-ছাত্রী স্যার আন্টি
এক সাথে মিলবো সবাই পড়বো খুশী মনে
শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়বে দেশ দেশান্তরে।

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে-

খেলার ছলে পড়বো সবাই জ্ঞানের আলো ফুটবে
মানুষের মতো মানুষ হলেই অন্ধকার ঘুচবে
শিক্ষা গুরু পিতা মাতা দেশের মুখ করবো উজ্জ্বল।

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে-

পড়ার সময় পড়বো আমরা ইস্কুলেতে যাবো
গুরু জনের আদেশ মেনে গুড বয় হয়ে থাকবো
আমাদের দুঃখ কিসের ভয় কিসের সবাই মিলে লড়বো

আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে-

যতোই আসুক মহামারী,অতিমারী,ঝড়-বাদল
ভয় আর কুসংস্কার মূর্খ অশিক্ষার বাঁধন ছিঁড়বো
ইস্কুলেতে যাবো আমরা মন দিয়ে পড়বো রে ভাই।

আলতায় রাঙা চরণ – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

আলতায় রাঙা চরণ দুখানি তোমার
যেন মা লক্ষ্মীর প্রবেশ গুটি গুটি পায়।

আলোয় আলোয় ভরবে ঘর- গৃহস্থালি
মঙ্গল শঙ্খ, ঘন্টার ধ্বনি পবিত্রতার প্রার্থনায়।

রূপে তুমি সরস্বতী গুনেও তেমন লক্ষ্মী
মেয়ে বা পুত্র বধূ হলেও মানব কুলের জননী।

পায়ে তোমার আলতার হাসি আঁচলে মমতা
তোমার মনে বিরাজ করে স্নেহ ভালোবাসা।

নারী কূলে জন্ম তোমার মায়ের আসল রূপ
সবাই কে সুখ শান্তি দিতে নিজেকে করো ধূপ।

সকল ব্রত, পুজো-পার্বণে আলতায় রাঙাও পা
নূপুর গুলো জড়িয়ে থাকে তোমার চলার ছন্দে।

ছন্দ আর সুখের ঠিকানা আঁচলে বাঁধা তোমার
তোমার কারণেই সুখের সাগরে ভাসে এ সংসার।

ডান পা তোমার চলে আগে বা পা চলে পিছে
পায়ের পাতায় আলতা রাঙ্গা টিপ যেন হাসে।

পায়ের খাঁচে পায়ের বাঁকে আলতায় তুলির টান
অপরূপ তোমার চরণ এযে আলতার অবদান।

আলতা বিনা নারীর রূপ পায় না পরিপূর্ণতা
আলতার সৃষ্টি আলতা ধন্য রমণীর চরণ স্পর্শে।

যে পথ গেছে দূর বহু দূর – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

সাদা ক্যানভাসে ঢেকে যে পথ গেছে দূর বহু দূর
সে পথ ধরে আমরাও হেঁটে ছিলাম কোনো-
একদিন একথা কি আজও মনে আছে তোমার?

সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে সারি সারি গাছেরা;
আগন্তুক যে চলতে চলতে ক্লান্ত বুঝতে পেরে
স্নেহের পরশে কাছে ডেকে জুড়িয়ে দিয়ে প্রাণ।

তোমার মনে আছে সেদিন দুটো অচেনা পাখি
আমাদের দেখে উড়ে এসে বসেছিল পাশা-পাশি।
যেন ওরাও বোঝাতে চেয়েছিল একে অপর কে
চিরতরে বেঁধেছে বন্ধনে এক আত্মা এক প্রাণ ।

তুমি কি বুঝেছিলে সেদিন ঝাউ পাতারা কেন
হাওয়ার স্পর্শে শিরশির শব্দ করে আবার পাখি
হয়ে ডানা মেলে উড়ে যেতে চায় মুক্ত মনে
কেন ওরা শীতল বাতাস ছড়ায় পলকে-পলকে?

ওরা তো জানে কিছু দুর গেলেই পেয়ে যাবে
সাগরের উথাল পাথাল ঢেউ যা কিনা মানে না
মানা, শোনে না বারণ জড়ায় বন্ধনে ছুটে এসে।

আমরাও বহু বার গিয়েছিলেম এই পথ সাক্ষী
আজও আছে সে পথ ঝাউ বীথী সারি সারি
কেবল আমরা হ্যাঁ আমরাও আছি; কেবল….!

সাগর পারে – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

এক দিন বহু দিন
সাগর পারে হাঁটতে হাঁটতে
রং-বেরং-এর পাথর টুকরোর মাঝে
খুঁজেতে তোমার প্রিয় পাথর
পেয়েছো কি আজও?
নাকি এখনো খোঁজো
নাকি পেয়ে আঁচলে ভরেছো
গেঁথেছো মালা বাহারি ঝিনুকে মিলিয়ে?
তোমার তো স্বপ্ন ভরানো চোখ
জাগে কেবল কল্পনায়!
সাগর কি আনে
ভাসিয়ে রঙিন পাথর
তোমায় দিতে প্রীতি উপহার
তরঙ্গে ভেসে এসে ওরা খোঁজে তোমায়
তুমি কি স্পর্শ করেছিলে জড়িয়ে ছিলে বন্ধনে?

যেতে চেয়েও
পারিনি যেতে সাগরে
দেখা হয়নি শঙ্খচিলের দেশে
তুমি কুড়িয়ছো কতটা রঙিন পাথর
কেমন করে স্বপ্নে ভেসেছো নিজের অজান্তে !

অবাক পৃথিবীতে তুমি – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

চোখ দু’টি তোমার
দেখছে নতুন পৃথিবী,
পেছনে পড়ে আছে তাই
প্রাচীরের মতো নিথর স্মৃতি।

তোমার কবি মন সর্বদা
খুঁজে ফেরে কল্পনার জগত,
তুমি নিজেকে হারাও
অবাক পৃথিবীর মঞ্চে।

তুমি তো কাব্য প্রেমিক
আগুন গিলে গিলে-
তামাটে হতে ভয় নেই
প্রমাণ করেছো বহু বার।

তোমায় মঞ্চে ফুল দিতে
ডাকে না এ সব্য সমাজ
বিষধর কেউটের ভয়ে
কেন্ন হয়ে যায় নৈতিকতা।

আসলে তোমার তো মুখোশ নেই
রঙিন চশমায় ঢাকতে পারো না তীক্ষ্ণ চোখ
কলমের নীপে শব্দের এক একটা বারুদ বুলেট
অবাক পৃথিবীতে তুমি; অবাক কিছুর সন্ধানেই !

বিশ্ব সুন্দরী – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

ঘুরছে শহর ঘুরছে দেশ ভন্ ভনি্য়ে
আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে।।
জীবন যাত্রার মান ছুটছে
যাতা কলের চাকায় পড়ে
আহা কি আনন্দ কি আনন্দরে রে।।
ছাদের মাথায় ব্রিজ দেখো নামছে ঢালে
উঠছে আবার সাপের মতোই একেবেকে
গায়ে তার নক্সা কাটা রঙের ছোঁওয়া
ব্যস্ত দিনে ব্যস্ত রাতে কর্ম পালনে
আহা কি আনন্দ কি আনন্দরে রে।।
লোহা বালি ইট পাথর সিমেন্ট আর স্টিলে
আলোয় আলোয় ঝলমলিয়ে
রূপের রূপবতী যে নয়ন কাড়ে ।
সাজিয়ে অঙ্গ করে কতো রঙ্গ
আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে।।
রিমোটেই চলে গাড়ি চালক সব আনাড়ি
বাঁশের পালঙ্ক নাই যন্ত্রের যানে দেয় পাড়ি।
শহর যে রানীর রানী মহারানী
মাথায় তার চাঁদের তাজ
কোমরেতে নেই বেষ্টনী;
ইচ্ছে মতো উঠছে বেড়ে
নাম হয়েছে বিশ্ব সুন্দরী।
আহা কি আনন্দ কি আনন্দ রে।।

শুভ সূচনা – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

নতুন বছর বয়ে আনুক
যাপনের নতুন দিশা;
পুরনো কে ভুলে যাই
ভালো টুকু রেখে।
ভোরের সূর্য উঠুক
কমলার রং মেখে
পাতায় পাতায় সবুজে সবুজে।।

যা কিছু ফেলে এসেছি
ইতিহাস হয়ে থাক,
যা কিছুর হবে শুরু;
হোক শুভ সূচনায়।
আগামী দিনের স্বপ্ন
বেড়ে উঠুক অবলিলায়।
নতুন বরণে পৃবিবীহোক আলোময়।।

দুধ আলতার নব শিশু
কিশোর-কিশোরী উদিয়মান সূর্য
বাধা-বিঘ্ন কুসংস্কার অশিক্ষা ভেঙ্গে
চাঁদের জোৎস্না ছড়াক পৃথিবীর বুকে
আর্বজনা ধূঁয়ে যাক সুখো ঝর্ণার স্রোতে
শুভ সূচনা হোক নববর্ষের শুভ আগমনে।।

চোখে চোখ রেখে – গৌতম তালুকদার [Bengali Poetry]

একটি আলতা রাঙা ফুলে দেখি
নয়নে তার কালো ভ্রমর খেলা করে।
সারা বিশ্ব যেন সে নয়ন সাগরে ভাসে
পূর্ণ স্নিগ্ধ সহজ সরলতায় আদো আদো বোল
কি অপরূপের মমতা মহিমায় আমি কে হারাই
ভুবন ভোলানো মায়াময় হাসি খুশির জোয়ারে
বার বার শত বার বাঁধে আমায় পলকে পলকে
নয়নে নয়ন মিলিয়ে ঠোঁটে ফোটায় গোলাপ
ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ভেজা তুলতুলে গাল
অভিমানে লুকায় মাএর স্নেহ আঁচলে।

মায়া ভরা চোখ রেখে চোখ খোঁজে অজানা
হয়ত বোঝাতে চায় কিছু চোখের ঐ ভাষায়।

আমি কি বুঝি ওরে আমার কি আছে-
ওর মতো প্রবিত্র মন আর নিঃস্পাপ হৃদয়!
আছে কি স্বার্থহিন আলো জ্বালে দেবার শক্তি!
যা দিয়ে জয় করেই নেবো মহামূল এমনি সম্পদ।
তবু ঐ দুটি আকাশ গঙ্গার চোখে আমাকে হরাই
যেন মনে হয় জননী বৃক্ষের কোল থেকে
শিশু ফুল কুড়াই অবিরাম ভালোবেসে
ঘোচাই লোভাতুর এ মনের কালিমা ।

গৌতম তালুকদার | Goutam Talukder

Andaman Cellular Jail | আন্দামানের কুখ্যাত সেলুলার জেল | 2023

মানব কল্যাণে রামকৃষ্ণ মিশন | Ramakrishna Mission | 2023

পতিতাবৃত্তি ও চন্দননগর | Bengali Article 2023

Bengali Article 2023 | পরিবেশবাদী দৃষ্টিকোণ ও রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’ নাটক

bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdoweep Founder

Leave a Comment