বন্দনা পাত্র – সূচিপত্র [Bengali Poetry]
অদ্ভুত সকাল – বন্দনা পাত্র
অদ্ভুত সকাল এসেছে এই পৃথিবীতে
যাদের হিংসা সবচেয়ে বেশি চারিদিক আলো তার
হৃদয়ে প্রেমের লেশমাত্র নেই- ভালোবাসা নেই-
তাদের কাছেই পৃথিবীর সব হাতের মুঠোয় বন্দী।
যাদের সকাল সূর্যোদয়ের সাথে সংকল্প নিয়ে
শুরু করতে হয়, নিজের প্রতি আস্থা রেখে
পথ চলতে হয় …
হিংসার রাজ্যে নিজেকে অহিংস রাখতে হয়
তাদের জীবন কত কঠিন!
তবু মন সাগরের ঢেউ গোনে,
স্বপ্ন দেখে যায় দিন ভর
উদাসীন বালি মুছে দেয় আল্পনা
সাগর বালির অদ্ভুত মেলামেশা
এও বোধহয় এক অদ্ভুত নেশা ….।।
আগত শরৎ – বন্দনা পাত্র
গগনে-গগনে মেঘেদের কানাকানি আর চুপকথা
ঐ যে শরতের ঢোল বাজে দূরে কাশে কাশে…
বাদল শেষে মেতেছে ওরা নদীর পারে,
আগমনী গান আকাশে মৃদু ভাষে ভাসে।
পলাতক-শ্রাবণ-বারি আকাশের নীচে বসে
জলাশয়ে ফুটিয়েছে শালুক ফুল,
অনন্ত লাবণ্যে আশ্বিন হয়েছে শ্যামল-নীল …
চারিদিক মেঘের ছায়া আর শিউলি-সজল।
নির্মল আকাশ খুঁজে চলে শরতের দর্পণ
শালুকেরা সরোবরে মুখ দেখে তখন…
একঝাঁক বলাকার ওড়া-উড়ি বাদল শেষে
ভাদ্রের আকাশে মেঘের চুপকথার দেশে
ঐ যে আসছে শরৎ …
শিশিরে শিশিরে নির্জনে শিউলি তলে
কে যেন যায় ছুটে শরৎ আসছে বলে।।
উত্তুরে নয় দখিনা বাতাস – বন্দনা পাত্র
এখন সবে ভাদ্র মাস,
আশ্বিন আসতে দেরি আছে..
এই বেলাতেও বইছে শুধুই বাদল বাতাস
আর কতদিন এই ভাবেতে এ ভবেতে
গরম চলে বারো মাস …!
যোজনের পর যোজন পথে দখিন হাওয়ায়
শীত আসতে অনেক দেরি উত্তুরে নয়…
উন্মাদিনী ভাদ্র এখন সূর্য চিনেছে।
ফাল্গুনী এক সময় এলেই দখিন বাতাস
বয়েই যাবে,
উত্তুরে শীত আসবে যখন পৌষ এলে
শরৎ-কথা গেঁথে মালা হারিয়ে গেলে
হেমন্তের এক সুর সেধে ভাটিয়ালি তালে
ভাদর আশ্বিন এমনি করেই নাও ভাসালো জলে।
শিউলি তলায় – বন্দনা পাত্র
চিঠি লেখা শরৎ এলে শুধুই ঘুড়ি ওড়ানোর কথা
মনে পড়ে।
কাঠবেড়ালির দৌড়ানো দেখি জামরুল গাছের ডালে…
নীল পাখিরা ডানা মেলে উড়ে যায় দূ—র,বহু—দূরে।
আমার বুকের ভেতর তখন লক্ষ্য শিউলির মালা সাদা আর গেরুয়ার।
ত্রিনয়নী ত্রিশূল হাতে যুদ্ধ শেষে ঢাকের বোলে আনন্দেতে
হৃদয় তখন শিউলি তলায় শিউলি ফুলে সবুজ শরতে,
রানীর মতোই ঋতু তখন সেজেই চলে শালুক আর কাশে।
মা আসার আগাম ধ্বনি আমার এই ছোট্ট আঙিনাতে
পাখিরা সব কিচির মিচির কিসের এত আনন্দ ওদের?
বুঝি ঐ ঋতু সাজছে দেখে আনন্দে মশগুল।
তারপর,
চেনা অচেনা সময়গুলো নৃত্য করে আবোল তাবোল…
আকাশ কুসুম ইচ্ছেগুলো তাল বেতালের সুরে
প্রজাপতি হয়ে
উড়ত ভীষণ নিজের মালঞ্চ গৃহে …।
শিউলি-ঝরা পথ তো তখন গুপ্ত পথের বাঁকে
চিরকুটেতে মন ঢেলে দেয় হাজার কাশের ঝাঁকে।।
যেদিন নীলকন্ঠী হলাম – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
ক্লান্ত পাখির মত একদিন নীলকন্ঠী হলাম,
বাঙালি মহিলাদের এটাই সু-অভ্যাস—।
সব কিছুই ক্যামেরাবন্দী হয় আজকাল
কেবল অনুভব বন্দী হয় না ক্যামেরায়
সেদিন নীলকন্ঠী হলাম সংসার বিষ পান করে।
পাঁচ হাজার, সাত হাজার, হাজার হাজার
বিষ গলাধঃকরণ হোল-
বিষধর সর্পের থেকেও বিষাক্ত,
ক্যামেরাবন্দী হয়নি সেই বিষ
কন্ঠে ধারণ করেছি আর মস্তিষ্ককে নিষেধ করেছি
‘প্রতিবাদী হওয়া না, সহ্যের তুল্য বস্তু নেই ‘।
যেদিন নীলকন্ঠী হলাম
রাত পেঁচার মত শুধুই সঞ্চয় করেছি
জ্ঞানের পাহাড়।
আমি সেই মেয়ে – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
আমি সেই মেয়ে
ভোরের রেওয়াজ তানপুরাতে
তারপর, স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে,
ঠাকুর ঘর থেকে রান্নাঘরে-
রান্নাঘর থেকে খাবার টেবিলে
খাবার পরিবেশনে-
আমি সেই মেয়ে
বিকেল হলে ফুল গাছে জল দিয়ে
চুলের খোঁপা বেঁধে
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে
হারমোনিয়ামে কোমল স্বর থেকে
শুদ্ধ স্বরে
ইমন থেকে কাফী, কাফী থেকে ভূপালি
ভূপালি থেকে ভৈরবী বাজাতে থাকি….
আমিই সেই মেয়ে
কোলের খোকার যত্ন করে ঘুম পাড়িয়ে
ক্লান্ত হয়ে পড়ি।
আমিই সেই মেয়ে, খোকার খাবার
তৈরি করি।
গুরুজনের সেবা করি,
কোন্ বারেতে কোন্ উপবাস
মঙ্গল কামনা করে ব্রত পালন করি,
আমি সেই মেয়ে, প্রতি ভোরে
তানপুরাতে ভৈরবী তান তুলি।
রাতের গাড়ি – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
পৃথিবীর আঁধারগুলো কেমন রহস্যে ভরা
গভীর রাতে গাড়িগুলো ছুটতে থাকে—
ঐ গাড়িতে কি আছে?
জানতে বড় ইচ্ছে করে।
কিন্তু, ভয়ে বুক কাঁপে, যদি ঐ গাড়ি
বুকের উপর দিয়ে চলে যায়-
যে গাড়ি যেদিকে যাচ্ছে যাক
প্রাণ বাঁচলে নিজের নাম,
দূর থেকে দেখি, কারা যেন
শাল সেগুনের গুঁড়ি তুলছে গাড়িতে
একাকী চাঁদের আলোয় দাঁড়িয়ে
আমার বুক কাঁপছে !
ও যে কাঠ নয় ও যে সোনা
দূরে থাকি,যদি গাড়িটা আমার
বুকের উপর দিয়ে চলে যায়!
শান্ত থাকতে চেয়েছি – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
নির্ভীক শান্ত স্থির একটা দিন চেয়েছি
তখনও ভয়–
প্রতিবাদ করতেও ভয় হয়
আমি কি আমার মুঠোয় করে চাঁদটাকে
আকাশ থেকে এনে দিতে পারি?
যেখানে মানুষে মানুষে ভয়ংকর খেলা হয়,
অবাস্তব কথাগুলোর মাঝখানে চাঁদ স্থির
আর আমি—!আমি শুধুই অস্থির।
অশান্ত সাগরের মত আমার দুপুর
সূর্যটা মাথার উপরে একটু হেলেছে
সেদিন শীত ছিল না,হেমন্ত ছিল না
ঢেউগুলো আছাড় খেয়ে পড়ল-
চৌকাঠ থেকে দুয়ার,দুয়ার থেকে উঠানে
আমি শুধু শান্ত চাঁদের মত শান্ত
থাকতেই চেয়েছি।
হাসতে জানো না – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
তুমি হাসতে জানো না
বড় নিঠুর !
তোমার নীরবতা আমাকে খুন করে
কেন হাসো না?
সেদিন যে দেখলাম রাত-পার্টিতে
মদের গ্লাস হাতে মুখে হাসি
কই, তুমি তো আমার কাছে
হাসো না!
বুড়ো গাছগুলো কালো দাঁত বের করে
ওরা হাসতে জানে,
ভালোবাসতে জানে,
আঠা থেকে ধুনো হয়ে সুগন্ধী দেয়
তুমি কেন হাসো না,ভালোবাসো না,
কী উদ্দাম জীবন তোমার-!
স্মৃতিহীনতায় ডুবে থাকো
আর আমি?
আমি স্মৃতির শঙ্খ বাজাই,
তুমি হাসতেই জানো না।।
বর্ষা-হাওয়া – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
এ কেমন হাওয়া—!
মনের ভেতর আনজানি মেঘ
চোখের কোণে শুকনো জল-
বাদল বাতাস শুকায় আঁচল।
ভুবন জুড়ে বাদল খেলা
জট পাকিয়ে বৃষ্টি হাওয়ার অবহেলা।
আকাশ জুড়ে জলের প্রলেপ
ভাবনাগুলো দিচ্ছে নাড়া
জীবন যেন নৌকা বাওয়া
বর্ষা-রোদের পরিযায়ী কদম ঝরা।
স্মৃতির ভীড়ে বাদল-প্রণয়
জোট বেঁধে দেয় নীরব সময়।
মেঘগুলো সব হাজার ডাকেও
দেয় না সাড়া,
ওদের যখন সময় হ’লো মেঘও
হারিয়ে গেল বৃষ্টি হয়ে বর্ষা-হাওয়া,
এ কেমন হাওয়া—!
বেলফুলেরা এদিক ওদিক ঘাড় নাড়ে
অনুরাগের বর্ষা কথা আকাশ জুড়ে,
নাচ জুড়েছে পাগল হাওয়া—-।।
পুরুষ তুমি কাঁদছো কেন? – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
পুরুষ তুমি কাঁদছো বুঝি?
কার মতো—?
রামের মতো—?
পুরুষ তুমি কাঁদছো কেন
রাধার মতো?
পুরুষ তোমার যন্ত্রণারা
কোথায় থাকে?
সহজ জীবন জটিল করো
কার ল’গে-?
মা তোমাকে শিখিয়েছিল
কাঁদতে বুঝি?
ঈ-টা মাথার উপর সোজাসুজি
সংসারেতে থাকবে ভুল বোঝাবুঝি
কাঁদছো বুঝি—!
লোকাল ট্রেনের জীবন যেন এরোপ্লেনের মতো
কর্তা সাজো বনেদী সেই নারীর মতো
কাঁদছো কেন তবে-
পুরোনো সেই রাধার মতো ?
পালা-বদল – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
জীবনের ক্ষুদ্র খেয়াঘাটে হিংসার প্রাসাদ
গড়ে ওঠে,কিছুতেই পিছু ছাড়ে না—-
অমৃত-ক্ষুধা গহীন আলোর দেশ ঘিরে
পর্ণমোচীর মতো এসেছে সন্ধ্যা সমীরে।
ইচ্ছেগুলো মৃতপ্রায় ব্যথা পায় তাই
নয়ন মুদি আর শব্দদের কবিতা বানাই।
দ্যাখো তুমি চেয়ে জীবনের ঘাটে
কতো পালা বদল হয়েছে—
মৌন-মুখে রাঁধি ভাত মর্ত্য দুখে
বিনিময় হ’ল শুধু বদল খুঁজে।
কাল যা ছিল অন্যের
আজ হ’ল তা তোমার
এইভাবে বদল ঘটে জীবন-সায়াহ্নে
সে এক যামিনী আসে সময় গেঁথে,
কোথায় রবে হিংসা, কোথায় দুখ
আমি শুধু দিয়ে যাব আনন্দ সুখ।।
থমকে যাওয়া ঘড়ির কাঁটা – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
দু’চোখ ভ’রে দেখি ঘুম চোখে
কাঁটা বুঝি আটকেছে সাড়ে ছ’টার ঘরে,
উৎসব রাতের কন্ঠধ্বনি ছড়িয়েছে
অনেক দূরে—-
কিন্তু এখন সকাল সাড়ে ছ’টা।
সবাই গ্যাছে লম্বা দৌড়ে ক্ষিদের টানে–
আমার ব্যস্ততা ঐ সংসার-মৌচাকে,
বহনবেলা তোমার শুধুই ঘড়ির মতো
শরীর-মন তোমার সাথে আমার লেনাদেনা।
ঘড়ির কাঁটাটা এখনও সাড়ে ছ’টার ঘরে।
কালোমেঘে প্রকৃতি অন্ধকার
ঘরে বিদ্যুতের আলো
সিঁদুর টিপে আরশি দেখি বারবার
তখনও ঘড়ির কাঁটা থমকে আছে।।
আমরা বিপ্লব করি – বন্দনা পাত্র [Bengali Poetry]
আকাশের সূর্য বিপ্লব করে না
তাপে উত্তাপে কোলাহল করে,
রাতের আকাশে ব্যর্থ হয়—,
চাঁদ আসে একলা,
চাঁদ আসে প্রেম নিয়ে
চারিপাশে অসংখ্য তারা
তারারা ফুলের নকশা বোনে।
চাঁদ অগ্নিপরীক্ষা দেয় না
উত্তাপ দেয় না
সে কলঙ্কিনী নয়,
জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই
এখানে ফ্রয়েডীয় তত্ত্ব নেই
কেবল অপার সৌন্দর্য।
জীবন ছুঁয়ে যায় সূর্য, চাঁদ
আমরা বিপ্লব করি
আমরা উৎসব করি
লক্ষ বছর ক্লান্তির বারোমাস,
মিলনে, বিরহে কেবল চাঁদের পরবাস।
বন্দনা পাত্র | Bandana Patra
Salt Water | নোনা জল – জয়নাল আবেদিন | 2023
Living next to tiger | বাঘের পাশে বাস করা | 2023
Mahagai | মহাগাই – শওকত নূর | 2023
New Bengali Story 2023 | রত্নগর্ভা মা | গল্প
যেদিন নীলকন্ঠী হলাম | আমি সেই মেয়ে | রাতের গাড়ি | শান্ত থাকতে চেয়েছি | হাসতে জানো না | বর্ষা-হাওয়া | পুরুষ তুমি কাঁদছো কেন | পালা-বদল | থমকে যাওয়া ঘড়ির কাঁটা | আমরা বিপ্লব করি | কাঁদছো কেন | মাগো তুমি কাঁদছো কেন | কবিতার পালা বদল | মহারাষ্ট্রের পালা বদল | মন বদলের আবহাওয়া | ক্ষমতার পালা বদল নয় | থমকে থাকা ঘড়ির কাঁটা | থমকে পুরনো সময় | যখন সময় থমকে দাঁড়ায় | রুশ বিপ্লবের পটভূমি | রুশ বিপ্লব | রুশ বিপ্লবের ফলাফল | রুশ বিপ্লবের কারণ ও ফলাফল | রুশ বিপ্লবে লেনিনের ভূমিকা | রুশ বিপ্লবের কারণগুলি লেখ | রুশ বিপ্লব কবে সংঘটিত হয় | ১৯০৫ সালের বিপ্লব | বাংলা সাহিত্যে রুশ বিপ্লবের প্রভাব | রুশ বিপ্লবের বই | আমিই সেই মেয়েটি | আমি সেই মেয়ে কবিতা কার লেখা | আমি সেই মেয়ে কবিতা লিরিক | আমি সেই মেয়েটি কবিতা | আমি সেই মেয়ে সিনেমা | আমি সেই মেয়ে কবিতা তসলিমা নাসরিন | আমি সেই মেয়ে কবিতা | কারণ আমি মেয়ে কবিতা লিরিক্স | আমি সেই নারী কবিতা | কামরায় গাড়ি-ভরা ঘুম | চেষ্টা করছি শান্ত থাকতে | অন্ধকার জীবনানন্দ দাশ | অন্ধকার উক্তি | অন্ধকার কবিতা আলোচনা | ভালোবাসা | ভালোবাসি প্রিয় কবিতা | অন্ধকারের কবিতাগুচ্ছ | জীবন থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে গেল | পরকীয়া প্রেমের উক্তি | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdoweep Founder