Bengali Article Writing Online – তন্ময় কবিরাজ – সূচিপত্র
নোবেল ফোসে আর শঙ্খ ঘোষ – তন্ময় কবিরাজ
জন অলাভ ফোসে লিখেছিলেন,”যখন তুমি বিরহে থাকো তখন পারবে সুখী হতে?” এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ,”আমরা গুমরোই, গান গাই / আমরা কথা বলি, পিঁপড়ে হয়ে এগোই। “সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাবার পর ফোসেকে আজ সবাই চেনে। শৈশব, যন্ত্রণা, বাস্তবের বেনারসী গলি থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন নির্বাকের ভাষা,”এ ভয়েস টু দা অনসেব্যাল”, যেখানে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখছেন,”এতো বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো / শব্দহীন হও।”ফোসে লিখেছেন ৪০টির বেশি নাটক, উপন্যাস, গল্প, কবিতা। ৫০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে তাঁর লেখা। চলতি বছরে সালমান রুশদির নোবেল মিথকে ভেঙে ফোসে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ভাষার ধরন নিনোরাক। লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে ইবসেন, পিন্টার, ব্রেখেটের দর্শন। তাঁর সামওয়ান ইজ গোয়িং টু কাম যেন ব্রেখটের ফটোকপি, অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি। শুরু করেছিলেন প্রথম উপন্যাস “রেদুলট, সভার্ট”, আর প্রথম নাটক “অগ আল্ড্রি স্কাল ভি স্কিলজস্ট”। তাঁর ড্রিম অফ অটাম পড়ে দা গার্ডিয়ান প্রশংসা করেছে। ফোসে বিবর্তনের নব অধ্যায়। ফোসের শব্দে মিশে গেছে অবচেতনার সব রঙ, এবার হয়তো হবে শেষের শুরু। ফোসে বিবর্তনে মিশ্রণ, প্রবাহের সঙ্গম, বিমূর্তর শেষের কবিতা। একা স্বপ্ন চারদিকে শুধু ভাঙা তাসের দেশ। তাঁর শব্দে কথা বলেন আমাদের কবি শঙ্খ ঘোষ, “আজ আর কেউ নেই, মাঝে মাঝে কার কাছে যাবো। “ফোসে পরদেশীবাবু তবু রাজা হিন্দুস্তানির ভাবের ঘরে সে আজ প্রতিবেশী, খোলা জানালায় উঁকি দেয় ফোসে মিনিমালিজম।
ফোসে যখন লেখেন, “হুইল হেভেন অ্যান্ড সি স্ট্রোক অ্যান্ড বিট দা মাউন্টেন হোল্ডস ইটস ব্রিথ”, তখন ডোভার বীচ পেরিয়ে মনে পড়ে যায় বিভূতিভূষণের আরণ্যক বা জীবনানন্দের নস্টালজিক বরিশাল। ফোসে বলছেন,”প্লটের জন্য আমার লেখা পড়ো না। “সত্যি কথা। হাঁসুলি বাঁকের উপকথায় নদী জীবনের পাশাপাশি লুকিয়ে আছে চাওয়া পাওয়ার দ্বন্দ্ব। ফোসের লেখায় বাস্তব আর জীবনের সহবাস যেন সনাতন বৈষ্ণব আর শাক্ত পদাবলীর জলছবি। জীবনে প্রথম উপলব্ধি আসে সাত বছর বয়সে যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছিল।সে অভিজ্ঞতা শব্দ রূপ পেয়েছে তাঁর লেখায় _দা নেম, উইন্টার, নাইটসং নাটকে। সমালোচক অ্যান্ডারস ওলসন লিখেছেন, “ফোসের গভীর জীবনবোধ অসার করে দেয়। “ফোসের নিস্তব্ধতার সাক্ষীতে আজ পেন ডাউন, “টু কম্পোজ আ পইট্রি ইজ অবউট লিস্টেনিং।”
লেখক হিসাবে ফোসেকে সম্মান এনে দেয় সেপ্তলজি। তিন খন্ডে বিভক্ত গল্পে আছে থমাস গ্রয়ের এলিজির ইতিকথা, প্রিয়তমার মৃত্যু।কবি শঙ্খ ঘোষ অনুভব করেন,”দুঃখের পাশে বসে আছি। “হার্ডির নিয়তিবাদ অতিথির মত এসে শেষ করে দেয় সব। যা হবার নয়, তাই হবে। এ তো আইরিশ রাইডার্স টু দা সির ট্রাজেডি। যার নীতিকথা, “ছিল, নেই _মাত্র এই। “মেলাঙ্কলিতে তিনি মানসিক অবসাদের গল্প করেছেন। আমরা শুনেছি,”রাত্রে কখন ঘুমের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ছে সব। “কারণ কাফকা বলছেন, “পৃথিবীর সমস্ত ভাষাই দুর্বল অনুবাদ। “ফোসের দা ডেড ডগস এর খবর জানেন শঙ্খ ঘোষ, “মাগো, আমার মা/তুমি আমার দৃষ্টি ছেড়ে কোথাও যেয়ো না।”মাদার টেরেসা বলেছিলেন, প্রতিবেশীকে ভালোবাসলে ঈশ্বরকে ভালবাসা যায়। ফোসে বহুদূরে, নরওয়ে। তবু মনের শহরে তাঁর ব্রিগেডেই আমাদের সভা হয়। বোটহাউজের গল্পটা শঙ্খ ঘোষই বলুক,”যারা ভেতরের দিকে যায়, তারা আর ফিরে আসে না।”ফোসে আমাদের মনখারাপের আদুরে কোলবালিশ। হেলাল হাফিজ তাই লিখছেন, “হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি/নয়তো গিয়েছি হেরে/থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা / কে কাকে গেলাম ছেড়ে।”
আমরা সংবিধান হারাচ্ছি? – তন্ময় কবিরাজ
কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “ভেঙে পড়ে ঝাউ, বালির উত্থান, ওড়ে ঝড় / তোমার চোখের নীচে আমার চোখের চরাচর / ওঠে জেগে।”রাজ্যের শাসকদলের রাজভবন অভিযান দেখে কথাগুলো মনে পড়ে গেলো। আদর্শগতভাবে, রাজভবন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের আবাসন। সেখানে ধর্নার অর্থ দুভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এক, সংবিধান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না রাজ্যে। দুই, সংবিধানের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে শাসক। যেটাই সত্যি হোক, দুটি হাইপোথিসিস কিন্তু মারাত্মক। যদিও রাজনীতিতে আদর্শ, মূল্যবোধ থাকে না। পরিস্থিতি গরম রেখে মাছের তেলে মাছ ভেজে কেটে পড়ো। সংবিধানের নামে শপথ করে মন্ত্রীরা রাস্তায় বসে ধর্না দিচ্ছে, রাস্তা অবরোধ, হয়রানি হচ্ছে সাধারণ জনগণ। তাহলে আর শপথের মূল্য কি থাকলো? শাসক দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজেদের মাইনে থেকে তাঁরা বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা বঞ্চিত মানুষদের বকেয়া পরিশোধ করবে। খুব ভালো কথা। তাহলে রাজ্যে যেসব আর্থ সামাজিক দুর্নীতি হয়েছে যেগুলোতে খোদ শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের নাম আছে, তাঁদের টাকাও তো ফিরিয়ে দেওয়া উচিত?তখন শাসক দল বল ঠেলছে ইডি সিবিআই এর কোর্টে, “ওঁরা দুর্নীতির প্রমাণ করুক। “ইডি সিবিআই এতটাই অপটু যে তাঁরা কিছুই প্রমাণ করতে পারছে না। বিরক্ত হয়ে হাইকোর্ট তাই তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিল। এখানেই সিপিএম সেটিংয়ের তত্ত্ব আনছে। আগুনে ঘি ঢালার মতো অস্ত্র যোগাচ্ছে বিজেপি। সাধ্বী জ্যোতি বলেছেন, অভিষেককে বাঁচতে তদন্ত হয়নি। তাই সবাই প্রশ্ন করছে, তদন্তকারি সংস্থাগুলো কি বিজেপির অফিস? বিচারপতি অমৃতা সিংহা ইডিকে তাঁর ক্ষমতা মনে করাচ্ছেন। আইনের উপর বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ।
নবসংসদে উদ্বোধন হলো সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘন করে, বিশেষ ধর্মের প্রাধান্য দিয়ে। সংসদের প্রথম দিনেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতন্ত্র শব্দ বাদ। এসব দেখে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ সংসদকে মোদি কমপ্লেক্স বলে কটাক্ষ করেছেন। বিধূরি কান্ডে যখন সারা দেশ উত্তাল,তখন সংসদে বসে দেখছেন হর্ষবর্ধন আর রবিশংকর প্রসাদ। মোদি তো বলছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের শত্রু। এদিকে ধর্মকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে রাহুল গান্ধী। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মের। পাঞ্জাবে করসেবা করছেন।ধর্ম নিয়ে সস্তা রাজনীতির সুযোগ কেউ ছাড়বে না। সিপিএম আবার আরো এগিয়ে। মহমদ সেলিম বলছেন, ইডি সিবিআই না পারলে মানুষ বিচার করবে। কথার অর্থ কি? মানুষ কি মারামারি করবে?নাকি ভোটে জবাব দেবে?আর ভোটে জবাব দিলে কারচুপি হবে। সিপিএম যেভাবে রিগিংকে একটা শিল্পতে নিয়ে গেছে সেটা সবার জানা।আজ বামফ্রন্ট ভাবে মানুষ সব ভুলে গেছে। বুদ্ধবাবুর জমানায় নির্বাচন কমিশনকে বিরোধীদের এজেন্ট বলা হতো। মদটা একই,শুধু পেয়ালাটা আলাদা। শাহরুখ যেভাবে পাঠান ,জাওয়ানে তাঁর “রাহুল কিরণ” ইমেজ ভাঙতে পরেছে, রাজনীতি কিন্তু একই রয়ে গেছে।তাই প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের বোর্ড গঠন হয়। ইসরাইলের মত বিচার ব্যবস্থাকে ভেঙে দেবার চেষ্টা। কিরণ রিজিজু বারবার বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের শাসকও একই। রাজ্যপাল বিতর্কে নেতাদের মুখে প্রায় শোনা যায়,কে বড়ো _মনোনীত না নির্বাচিত?একটা নির্বাচিত মন্ত্রী রাজ্যপালকে বলছে “হনু”, “গোপাল ভাঁড়”।কি বার্তা যাচ্ছে? কিপলিং লিখেছিলেন, নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতা অন্যের সাফল্য বা ব্যর্থতা দিয়ে বিচার করো না।
ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ইন্ডিয়া জোটের অভিযোগ, অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না। রাজ্যেও সরকারি সুবিধা পেতে ওরা আমরা রাজনীতি, সঙ্গে কাট মানি। সংবিধানের ২১নম্বর ধারা আর রইল কোথায়? মানুষের কথা কে বলবে? মিডিয়া তো রাজনীতির পক্ষপাতদুষ্ট।নাহলে নিউজ ক্লিকের মত গ্রেপ্তার করা হবে। মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসেও ফায়দা তোলার চেষ্টা। মধ্যপ্রদেশ তো ভোটের এজেন্ডা করেছে বিলকে।যদিও বিশাখা কমিটির রিপোর্ট কেউ পড়েনি।কতো মহিলা কাজের ক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার শিকার! সঞ্জয় কুমার তাঁর “ওমান ভোটারস”বইতে লিখছেন,কম পড়াশোনা করা মহিলাদের রাজনীতিতে আগ্রহ বেশি।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। ট্রেডিং চাই। ভাইরাল হবার লোভ। পাবলিক লাইটে থাকতে হবে। তথ্য বিকৃতি একটা প্রাক্টিস। সেই জন্য রাকেশ রোশন চাঁদে যায়, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। মানুষ হয়তো আর সত্য মিথ্যা বিচার করে না।মাসিক ভাতার সুখে দিব্যি আছে? কোথায় রইলো সংবিধানের আদর্শ? মরা দেশে কে আর কথা বলবে?কবি শঙ্খ ঘোষের কথাই মনে করি শুধু, “এতো বেশি কথা বল কেন?চুপ করো / শব্দহীন হও।”
তন্ময় কবিরাজ | Tanmoy Kabiraj
Gaai | গাই | শওকত নূর | New Bengali Story 2023
Sunglass and our friendship | সানগ্লাসেই সৃষ্টি আমাদের বন্ধুত্ব | Bangla Galpo 2023
Do not let the towel sink | গামছাটা ডুবতে দিও না | Bangla Galpo 2023
Shree Jagannath Bijay Kabya | ‘শ্রীজগন্নাথবিজয়’ কাব্য প্রসঙ্গে | 2023
Bengali Article Writing Online | Short Article | Best Article – Violence against women and its solution | Short News | Viral News | Best Bengali Article Writing Online | Trending News | Trending Videos | Bengali Article Writing Online pdf | High Challenger | Full Article Review | Bengali Article Writing Online Review | Bengali Article Writing Online 2023 | New Bengali Article Writing Online | Bengali Article Writing Online in pdf | Women Protection Law | Trending Bengali Article Writing Online | Bengali Article Writing Online Collection | Sabuj Basinda | Bengali Article Writing Online reading | Pdf Bengali Article Writing Online