Amar Pujo Special | Best Story 2023 | আমার পুজো স্পেশাল

Sharing Is Caring:

আমার পুজো স্পেশাল – জয়ন্ত কুমার সরকার

মনে হয় এই তো সেদিন, ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে হৈ-চৈ করে দল বেঁধে দুর্গাপূজার চাঁদা তুলছি, শালবাগান, সেনহাটি ময়রাপুকুর একসঙ্গে মিটিং-এ বসে আলোচনা করছি, রাত জাগছি, নাওয়া-খাওয়া ভুলে ঘুরছি পাড়ায় পাড়ায়, দোকানে… অনেক টাকা তুলতে হবে যে…..! দেখতে দেখতে পঁয়ত্রিশটা বছর পেরিয়ে গেল, সময়… সময় আর স্রোত কখনও থেমে থাকে না, নদীর স্রোতকে যদিও বাঁধ দিয়ে আটকে দেওয়া যায়, কিন্তু সময়কে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। পেরিয়ে যাওয়া সময় আর ফিরে আসে না, মহাকালের গর্ভে বিলীন হয় অতীত। বুঝতে পারি বয়স বাড়ছে,শরীর জানান দিচ্ছে মাঝে মাঝেই । এখন বসবাস আমার পাশের পাড়ায় হলেও সর্বদা মন পড়ে থাকে আমার সেই পুরানো পাড়ায়, পুজো এলেই কেমন যেন আবেগতাড়িত হয়ে যাই, নস্টালজিক হয়ে পড়ি… মনে হয় এই তো সেদিন……। আমার পূজা স্পেশাল মানে পূজা মণ্ডপে পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা । আড্ডায় বসলেই কথায় কথায় আগের সেই সহজ সরল জীবন, শৈশব, কৈশোরের সুন্দর স্মৃতির রোমন্থন করি, ছেলেবেলার সঙ্গী, আমার বন্ধুদের সান্নিধ্য খুব উপভোগ করি। মনে পড়ে কৈশোরের সেই ভালোলাগা দিনগুলোর কথা; ক্লান্ত দুপুরে মায়ের চোখ এড়িয়ে ঘুড়ির পিছনে দৌড়, সাঁতার কেটে জল দু-ফাঁক, টিক-ডাং, ধাপসা আর বৃষ্টির বিকেলে বাতাবি লেবুর ফুটবল, কাদায় মাখামাখি, শাঁখের মার্বেলে টোক-চেরা, হাতের তালুতে লাট্টু ঘোরানোর মুন্সীয়ানা, আরও কত কি! কিন্তু এখন আগের মত উদ্যম নেই, বয়সের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বেড়েছে, আমার কৈশোরের সঙ্গীরাও একমত, এখন আর আগের পরিবেশ, আগের আবেগ আর নেই; তবুও মানুষগুলো তো এক, স্মৃতির সরণী বেয়ে কৈশোর পেরিয়ে চলে যাই যৌবনের সেই সোনাঝরা দিনগুলোয়, স্মৃতিমেদুর করে তোলে টুকরো কথার হাসির ফুলঝুরি, কত ছোটখাটো ঘটনার মন ভালো করা মুহূর্ত। ষষ্টী, বাপী, মুন্না, মুকুল, বাবুল, জনা, অশোকদা, ঝন্টুদা এরাই ছিল আমার সহচর, গাইড, পরামর্শদাতা; বেশ ভালই লাগছিল ওদের সাহচর্য, আমার ছেলেবেলার বন্ধু সবাই আছে, একজন নেই; জগন্নাথের অকাল প্রয়াণ ব্যথিত করে ভীষণ, খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম একসময়; কথা বলার সময় লক্ষ্য করছিলাম, আগের উচ্ছ্বাস প্রাণোচ্ছলতা কমলেও সময়ে সময়ে ওদের মুখ আনন্দ বিহ্বলতায় কেমন উদ্ভাসিত হচ্ছিল । পুজোর ক’দিন বেশ কেটে যায় আমার শৈশব-কৈশোরের গন্ধ মাখা ময়রাপুকুরে, আমার পুরানো পাড়ায়। সেদিন মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন হল, ছিলাম সারাক্ষণ, সঞ্চালনা করলাম, অতিথিরা চলে গেলে বন্ধুদের পেলাম।

কথায় কথায় এসে পড়ল দুর্গাপূজা শুরুর কথা, দেখতে দেখতে পঁয়ত্রিশটা বছর পার হয়ে গেল, মনে হয় এই তো সেদিন, দুর্গাপূজা শুরু করলাম। সালটা ১৯৮৭, তার আগের বছর, তিনটি ক্লাবকে একত্র করে ইউনাইটেড ক্লাব গঠিত হয়েছে, আমিই প্রথম সেক্রেটারি । ডাঃ ইউ.বি. পাল. মনোরোগ বিশেষঞ্জ, ময়রাপুকুরের চেম্বারে প্রাকটিস করতেন, কাজের ফাঁকে আমরা কয়েকজন প্রায়ই যেতাম ওনার কাছে। ময়রাপুকুরে দুর্গাপূজা করার বিষয়ে প্রথম থেকেই খুব উৎসাহিত করেছিলেন। ওনার পরামর্শে ময়রাপুকুর, শালবাগান সেনহাটি কলোনীর বরিষ্ঠ সম্মানীয় ব্যক্তিদের রাজি করিয়ে সভাতে বসানো হল, তিন পাড়া মিলিয়ে কমিটি গঠন হল, বাজেট নির্ধারণ,চাঁদা ফেলা আরও কত আয়োজনের রূপরেখা তৈরী হল । আমি তখন ক্লাবের দায়িত্বে ছিলাম, আমার টিমের সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, একেবারে নাওয়া-খাওয়া ভুলে লেগে থাকতাম, কয়েকবার সভা বসেছে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরামর্শ ভীষণ কাজে আসত; আমার একটা সহজাত পারদর্শিতাও ছিল সকলকে নিয়ে চলার, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করার। পূজা প্যাণ্ডেলে রাতের পর রাত কাটিয়েছি, পাহারা দিয়েছি দল বেঁধে। তিন পাড়ায় পালা করে চাঁদা তোলা সবচেয়ে কঠিন কাজ, নতুন পুজো, বুঝিয়ে, অনুনয়-বিনয় করে চাঁদার রসিদ ধরানো, খুব বক বক করতে হত, তখন মনে ফুর্তি, অফুরন্ত উদ্যম, বুক ভরা আবেগ, টগবগ করে ফুটছে আমাদের টীম, লক্ষ্য মিশন দুর্গোৎসব; আমি প্রতিদিনই সকলকে টেনে বের করতাম, নিজে তো থাকতামই, পুজোর মাসখানেক আগে থেকে চাঁদার রসিদবই হাতে ছেলের দল ঘুরছে গোটা এলাকা, তিন পাড়ার অলিতে-গলিতে, পরিচিত দৃশ্য ছিল । ট্রাক-বাস-বাইরের ব্যবসায়ী থেকে চাঁদা তোলার অন্য একটা দল ছিল, ওরা একটু জোরজুলুম করত, প্রয়োজনে আমি দুই পক্ষের মাঝে সমাধান করতাম, প্রায় প্রতিদিনই চলত এসব । মনে পড়ে, শালবাগানের বাসিন্দা অনেকে দিনমজুরের কাজ করতেন,রাতে কাজ থেকে ফিরলে তখন যেতাম, চাঁদা দিতেন খুশি মনে, দাদা-ভাই-কাকা সম্পর্কের বাঁধনে একটা ভাললাগা তৈরী হত চাঁদা আদায়ের মধ্য দিয়ে, গোটা শালবাগান -সেনহাটী চষে বেড়িয়েছি, শালবাগানের লাল্টু ফটিক নীলা সেনহাটীর নাঙ্কু, মিন্টু, বিষ্ণু সহ কয়েকজন খুব সক্রিয় ছিল, চাঁদা তোলার টিমে থাকত, ঘর চিনিয়ে নিয়ে যেত; সেনহাটির দিলীপ চক্রবর্তী ময়রাপুকুরে সর্বদাই থাকতেন ব্যবসার কাজে, ভীষণ সাপোর্ট করতেন, পরামর্শ দিতেন, দায়িত্বও নিতেন, প্রথমবার বলির ছাঁচি-কুমড়ো, আখ, পদ্মফুল যোগাড়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন; পাড়ার বয়:জ্যেষ্ঠ সত্তরোর্ধ চণ্ডীদাদু খুব সাহায্য করতেন, সর্বদা পূজামণ্ডপে থাকতেন, পুজোর ক’দিন আগে থেকেই রাত্রি দশটার আগে উঠতেন না।

প্রথমবার পুজোয় চারজন ঢাকীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, ওদের ঢাকীর খাবার-চা-পান-বিড়ি, খুচরো টাকা-পয়সার হিসেব সবই রাখতে হত; মথুর সিংহ কোষাধ্যক্ষ হলেও সহ-কোষাধ্যক্ষ জনার্দনই চাঁদার টাকা জমা-খরচের হিসাব রাখত, আমাকে খুব সহযোগিতা করেছে, সঙ্গে লেগে থাকত সর্বক্ষণ। পুজোর সাতদিন আগেও, যখন প্রতিমায় মাটির দ্বিতীয় প্রলেপ পড়ছে, তখনও অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছিল না সত্যিই ময়রাপুকুরে দুর্গাপুজো হতে চলেছে, আমাকে বলেছে অনেকে, সত্যি হচ্ছে তো! তখন রসিকগঞ্জে বাসস্ট্যাণ্ডে, স্টেশনরোড, ঋদিকে ফটক ওদিকে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত চাঁদা তুলতে যেতাম, কম কম হলেও হত কিছুটা টাকা। ময়রাপুকুরে পুজো যখন ছিল না, পুজোর দিনগুলো ফাঁকা ফাঁকা লাগত, অনেকে দরবারে তোপদাগা দেখতে যেত, আমি যাইনি ছোটবেলায়, বড় হয়ে একবার দেখেছি, যদিও এখন প্রায় প্রতিবছরই যাই দরবারে, প্রশাসনের কাজে । তখন অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের সময় যেতাম রসিকগঞ্জের দুর্গাপুজো মণ্ডপে, সরকারদের পারিবারিক পুজো তো, ওদের নিজস্ব লোকজন থাকত অনেকে, রাস্তার ধারে, ভীষণ ভিড়ে কিছুই দেখা যেত না, তবু ঐ সময় যেতাম, কারণ ময়রাপুকুরে পুজো বলে তো মনেই হত না, মাইক বাজত দূরে কোথাও, হয়তো ঢাকের বাদ্যি শুনতেই পেতাম না, দুর্গাপূজা পেরিয়ে যেত, কাছেপিঠে পুজো বলতে স্টেশনপাড়ায় একেবারে শেষে পেট্রলপাম্পের কাছে একটি পুজো, ষোলআনার না পারিবারিক পুজো বোঝা যেত না, আর গোপালগঞ্জ বাজারে, রবীন্দ্রস্ট্যাচুর পাশে বৈলাপাড়ায় দুর্গাপূজা হত; ব্যস, বিষ্ণুপুরে আর এদিকে কোথাও বারোয়ারী পুজো ছিলই না, কৃষ্ণগঞ্জ, মাধবগঞ্জ এলাকায় অনেকের পারিবারিক পুজো ছিল, শাঁখারিবাজার এলাকায় অনেকের বাড়িতে পটে বা ঘটে পুজো হত। তাই, এত বড় শহরটায় শেষের পাড়া ময়রাপুকুরে দুর্গাপূজা হচ্ছে, এটাই বিশ্বাসই করতে পারছিল না এখানকার ছেলেবুড়ো সকলে।

একটা দুর্গাপূজা হোক চাইছিল অনেকে, কিন্তু হচ্ছিল না, আমার আগে ক্লাবের, ষোলআনার অনেকেই ভেবেছিলেন, কিন্তু পুজোটা হয়ে ওঠেনি, এখন সম্ভব হচ্ছে, এটাই সত্যি! এর আগে আমরা একদিনের পুজো করেছি, কালীপুজো, সরস্বতীপুজো, কার্তিকপুজো, লক্ষ্মীপুজো এসবে অভ্যস্ত ছিলাম, কিন্তু চারদিনের পুজো, কত কিছুর যোগাড় চাই, আচার-উপাচার-শুদ্ধাচারে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে এগোতে হবে, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দেবীর বোধন, পরদিন সপ্তমীর সকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কলাবউ স্নান, ঘট প্রতিষ্ঠা, দোলা নিয়ে বের হওয়া, পালকী, তলোয়ার, নিরামিষ ভোজন, সন্ধিপূজায় বলির ছাঁচিকুমড়ো-আখ নিয়ে রাখা, এককোপে বলিদান এসব নানান চিন্তা ঘুরপাক খেত মাথায়। যারা দায়িত্বে থাকেন তাদের সত্যিই বেশ চাপ থাকে; আগে বুঝতে পারতাম না, পরে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুঝেছি কেন দুর্গাপূজার দায়িত্ব নিতে ভয় হয়, সহজে দুর্গাপূজা করার সাহস করত না সচরাচর তখন। ভাবনাটা নেহাত ফেলে দেবার মত নয়, আসলে তখন মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা যে খারাপ ছিল তা নয়, ময়রাপুকুরে তখন ব্যবসার মৃগয়াক্ষেত্র, বিষ্ণুপুরের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে ময়রাপুকুরে ব্যবসার মাল কিনতে আসতেই হত; জায়গাটা অন্য পাড়ার চেয়ে স্বচ্ছল, ব্যবসা প্রধান জায়গা, গৃহস্থ্য পরিবার এখানে কম ছিল, তাই সামাজিক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ কমই ছিল ময়রাপুকুরে। এখনকার মত সহজলভ্য সব কিছু ছিল না, এখন মোবাইলের যুগ, হাত বাড়ালেই বন্ধু; এক ফোনে একশ’র কাজ হত না, যোগাযোগ বলতে ঐ ল্যান্ডফোন, নইলে লোক মারফৎ বা সরাসরি যেতে হত। তবে দায়িত্ব যখন নিয়েছি, সমাধান তো করতেই হবে, মনে জোর আনতাম, ক্লাবের তরুণতুর্কী আমার বন্ধুরা সাহস যুগিয়েছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করেছি । তাই, দুর্গোৎসব শুরু করার কৃতিত্ব সবার, সমস্ত ক্লাব সদস্যের, শালবাগান, সেনহাটী ময়রাপুকুরের সমস্ত নবীন-প্রবীণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফল এই দুর্গোৎসব। ময়রাপুকুরের বেশ কয়েকজন প্রাজ্ঞ মানুষ, ব্যবসায়ী ভীষণ উৎসাহিত করেছেন, সঙ্গে থেকেছেন। আমার ক্লাবের সকলে, শালবাগানের শরৎ ক্লাব, সেনহাটি কলোনীর ক্লাবের ষোলআনার উৎসাহী সদস্য, কমবয়সী ছেলে সর্বদা একসঙ্গে কাজ করেছে। ভাবতে অবাক লাগে মাত্র ছয় হাজার টাকায় প্যাণ্ডেল, বিকাশের অপরূপা ডেকোরাটার্স, কাশীর হাতে প্রতিমা এক হাজার টাকায় । স্মৃতির পাতায় ভীড় করছিল আমার মত অনেকেরই, রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম সকলে। কি উদ্যম, পাড়ার সকলের উৎসাহ আমাদের ভীষণ সাহায্য করেছিল। আসলে তখন মানুষ অনেক সহজ সরল ছিল, এত সমস্যাও ছিল না।

এখন ব্যবসার ধরণ পাল্টাচ্ছে। হোম ডেলিভারি, অনলাইন কেনাকাটায় দ্রুত অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ, বাড়ীতে বসে পেয়ে যাচ্ছে জাপানের জুতো, থাইল্যাণ্ডের রিষ্ট ওয়াচ, সাউথ কোরিয়ার ট্রাউজার, জেনে যাচ্ছে ফাইভ-জি কবে লঞ্চ করছে । মনের চাঞ্চল্য বেড়েছে, তাই পুরানো আড্ডায় সেই মেজাজ এখন খুঁজে পাই না। কিন্তু তবুও মন টানে। পুজোর এই ক’দিনের আড্ডা আমাকে নতুন করে উজ্জীবিত করে। মনে পড়ে, পুজো শুরুর দুবছর পর পুজোর চাঁদা তোলার সময় পাড়ার গলিতে পোস্ট-পিওনের কাছ থেকে আমার চাকরীতে নির্বাচিত হওয়ার প্রথম চিঠি পাওয়ার ঘটনা, খামটা নিয়েই কাউকে কিছু না জানিয়ে আসছি বলে বাড়ি চলে এসেছিলাম, খাম খুলে আনন্দে আত্মহারা আমি; বাবা-মায়ের সেই উজ্জ্বল চোখ, হাসিতে ভরা মায়ের মুখ এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার; এসব নানান টুকরো মুহূর্ত জড়িয়ে আছে পুজোর দিনগুলোতে, তাই এত স্পেশাল আমার পাড়ার পুজো, পুজোর দিনগুলোতে অদৃশ্য সুতোয় টান পড়ে, ময়রাপুকুরে আমার জন্মভিটের ছোঁয়ায় থাকতে চাই কিছুটা সময়, যেখানে আমার বাবার পাঠশালা ছিল, মায়ের মুড়িভাজার উনুন ছিল, গোয়াল ছিল; সেই মাটির বারান্দা আজ নেই, সেই উনুনও নেই, নেই গরু, নেই গোয়াল, তবু যেন অলক্ষ্যে দেখছেন ওঁরা, আমি এসেছি, পুজোর সময় আমার ছেলেবেলার বড় হয়ে ওঠার জায়গা, ওখানেই, ঐ বাড়িতে মায়ের গায়ের গন্ধ পাই আমি, যে ঘরে মা থাকতেন, আমি বসতাম মায়ের সামনে কাঠের চেয়ারে, সেই চেয়ার, মায়ের সেই খাট আজও আছে অক্ষত, তাই ছুটে যায় বারে বারে!

জয়ন্ত কুমার সরকার | Jayanta Kumar Sarkar

Vivekananda and Kabiguru | বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ | Best Article 2023

Best Gangtok Travel Attraction 2023 | Shibaprasad Purakayastha

Kolkata to Kashmir Trip | আবেগের নাম কাশ্মীর | 2023

Bengali Modern Story 2023 | Ashanto Bonobhumi | Shawkat Noor

Amar Pujo Special 2023 | Top Online Bangla Golpo Reading | New Online Bangla Golpo Reading | Top Best Story Blogs | Amar Pujo Special in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Best Bangla Galpo Online pdf | World’s Famous Online Bangla Golpo Reading | Pdf Amar Pujo Special Online | Natun Best Amar Pujo Special Reading | Full Best Bangla Galpo Online | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Amar Pujo Special Reading | Best Online Bangla Golpo Reading Ebook | Full Amar Pujo Special Story | New Live Online Bangla Golpo Reading | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Web Story in Bengali Video | Horror Live Amar Pujo Special Reading | New Amar Pujo Special Audio | New Amar Pujo Special Video | Bangla Golpo Online Reading Netflix | Audio Amar Pujo Special | Video Best Bangla Galpo Online | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trending Best Bangla Galpo Online | Recent Amar Pujo Special | Top Live Bengali Story | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Bengali Famous Story | Best Online Bangla Golpo Reading in pdf | Amar Pujo Special Story Download | Amar Pujo Special mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Best Amar Pujo Special mp4 | Online Bangla Golpo Reading Library | Online Bangla Golpo Reading Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Online Bangla Golpo Reading – audio | Best Bangla Galpo Online – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Collection Bangla Golpo Online Reading

1 thought on “Amar Pujo Special | Best Story 2023 | আমার পুজো স্পেশাল”

Leave a Comment