Values and Hopes for Freedom – Akhtarul Islam Khandokar
স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং আশা আকাঙ্ক্ষা – মোঃ আখতারুল ইসলাম খোন্দকার
স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে আমরা কে কি পেয়েছি আর পাইনি এই হিসাব কষে কোন লাভ নেই। শুধু আগামী সোনালী দিন গুলোতে সুন্দর ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ কামনা করি। কেননা, অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ৬৮ হাজার গ্রামের বাংলাদেশকে। এই জন্য সুজলা-সুফলা দেশ নিয়ে অনেক অহংকার ও গর্বোবোধটুকু অসম্ভব রকমের। আর এই জন্য বুকভরা প্রত্যাশাও যে একেবারে কম নয়। কিন্তু আমাদের বয়সীরা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং অবদান আছে বলে মনে হয়না। যেহেতু জন্মটাও হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর পর। তবে হাজারো স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা আমরা না করলেও যারা নয় মাস সংগ্রাম করে স্বাধীন করেছে তাঁদের ছিল ঢের বেশি। বছরে দু’একবার নির্দিষ্ট দিনে শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে ফুলের স্তূপ দিয়েই সম্মানিত করা যাবেনা। তাঁদের আত্মতুষ্টির জন্য আরও অন্য কিছু প্রয়োজন। যদি স্বাধীন দেশের জনগণ হয়েও স্বাধীনতাহীনতায় ভোগে , কারো জীবনের সঠিক নিরাপত্তা না থাকে , অনাহারীরা ক্ষুধার্থ অবস্থায় ঘুমায়, পথে-ঘাটে মেয়েরা নিশ্চিন্তে চলতে পারে না লাঞ্ছিত – ধর্ষিত হবার ভয়ে, যেখানে ধর্ষণের হাত থেকে শিশুরাও রেহাই পাইনা, রাস্তায় পড়ে থাকে মানুষের লাশ, সন্ত্রাসীদের চলে মধ্যযুগীয় নৃশংসতা, বিচারের নামে হয় প্রহসন, বাক স্বাধীনতা যখন থমকে যায়, তাহলে শহীদের আত্মা কি শান্তি পাবে? এরকম স্বাধীন দেশের জন্য তাঁরা যুদ্ধ করেনি। দামাল ছেলেরা জীবন দিয়েছিল আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়তে। কিন্তু বাস্তবে তা রূপ নেইনি।
আজকাল সবাই সত্য বলা ছেড়ে দিয়ে মিথ্যাকে পুঁজি করে বেঁচে আছে। কেননা সত্য বলার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বরং মিথ্যা বলাতে গৌরম্বিত মনে হয় ও নিরাপদে থাকা যায়। এটাই এখনকার কালচার হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। সত্য বলাতে মান-মর্যাদা এবং প্রাণ নাশের হুমকির সম্মুখীন পর্যন্ত হতে হয়। তাহলে কি দরকার অহেতুক ঝুঁকি-ঝামেলা বাড়িয়ে? অনেককে সন্তুষ্ট করতে মিথ্যা বলা খুব একটা দোষের কিছু দেখছিনা। হয়তো নিজের মূল্যবোধকে উজ্জীবিত রাখা সম্ভব নয় তবে অন্তত পরিবার – পরিজনের কাছে তো নিরাপত্তার পথপ্রদর্শক হবে। স্রোতের বিপরীতে চলা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ও দুষ্কর আর নদীতে বাস করে কুমিরের সাথে ধৃষ্টতা বাঞ্ছনীয় মনে করা বোকামি। কিন্তু কেউ কেউ ঘাড়তেড়া তার ধারের কাছ দিয়েও যায় না। ভুল হোক কিংবা সঠিক হোক সেটাও বাঁধবিচারের আওতার পরওয়া করেনা। নিজের খেয়াল খুশী মোতাবেক নির্দেশিত পথ অবিবেচকের সামিলও বটে। আমিও কার্পণ্য করিনা চিরন্তন বাস্তবতাকে গুছিয়ে সুকেশে পুরে রাখতে।
যা সত্য তা বলতে আমার দ্বিধা কোথায়, বাঁধা কোথায়? কেনই বা মুখ বুঝে সব সহ্য করবো, ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকা চায়। ওদের ভয়ে তো আর শামুকের মতো গুটিয়ে যেতে পারি না। তাদের দলে আমি নই, যারা স্বাধীনতার মূল্যবোধকে স্বীকৃতি দেয়না বরং এটাকে পুঁজি করে অর্থ, সম্মান, পতিপত্তি অর্জন করছে। ভয় করলে চলবে না, আমাকে যে বলতেই হবে। আমি একজন নির্ভীক আমজনতা। আমার চরম সত্য বলবার অধিকার আছে বৈকি? আমি সুযোগ পেলে কথা বলবোই! দেশের কথা, জনতার কথা, লোপাটকারীর কথা ও স্বাধীনতার কথা। প্রচণ্ড ক্ষোভে মাঝে মধ্যেই মনে হয় সব ভেঙে চূড়ে গুড়িয়ে দেই রক্তে মাখানো শত সহস্র শহীদের স্মৃতিশোধ। ইচ্ছে করে এই সমাজকে দুমড়ে-মুচড়ে ছুঁড়ে ফেলি দুরের কোন এক গহীন সাগরে যেন কোনদিন আর জীবন্ত হতে না পারে। আমি আরও অসহ্যে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে উঠি যখন দেখি কোন দেশ মাতৃকার সৈনিক সূর্য সন্তান মাথা ঝুঁকিয়ে বিকিয়ে দিচ্ছে আপন সত্তা বিসর্জন। নিজের স্বার্থ লোপাট করে দেশ দ্রোহিতার পদ লেহনে লিপ্ত। তখন একা একাই গুমরে মরি অজানা কোন এক ভয়ানক দৃশ্যের চিত্রপটে। আশ্চর্য হই যখন দেখতে পাই গণতন্ত্রের নামে চলছে স্বৈরশাসন আর অরাজকতা।
স্বাধীন বাংলাদেশ এটা ভাবতে কেমন যেন কষ্ট হয়। এই সোনার দেশের জন্যই কি মুক্তিকামী তিরিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। রক্তের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিল পিচ ঢালা রাজপথ, শত সহস্র শহীদ বীর বাঙালী বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার জন্য যুদ্ধ করেছিল? শহীদদের জন্য তাই সর্বদাই আমার অন্তঃকোণে অসামান্য ব্যথায় চিন চিন করে বুকের পাঁজর, কেননা এদেশ স্বাধীন হলেও পরাধীনতার আবদ্ধকরণে বন্দী মানুষ। কই আজ-কাল তো মেয়েরা ইচ্ছামতো কোথাও চলতে পারে না, ব্যবসায়ীরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারে না,কারো জীবনের তেমন কোন নিরাপত্তা নেই, আল্লাহর নির্দেশনা ছাড়াই পথে-ঘাটে পড়ে থাকছে জনতার লাশ। দলাদলি, সন্ত্রাস, রাহাজানি, ছিনতাই, ঘটছে অহরহ। রাতে বাসায় নিজের ঘরে ঘুমিয়েও শান্তি নেই সকালে রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। কোন খানেই যেন নিরাপত্তার লেশমাত্র দেখা যায় না। সোনালী স্বপ্নে আঁকা সোনার বাংলাদেশের এটাই কি মূল্যবোধ? আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, এদেশে এক সময় বাংলার দামালেরা ভেদাভেদ ভুলে মুক্তি পাগল হয়ে যুদ্ধ করেছে। দখল মুক্ত করায় ছিল স্বাধীনতা প্রেমী সব মানুষের দীপ্ত চেতনার প্রতীক। তাহলে সত্যিই কি এরা একাত্তরের বিজয়ী?
কিন্তু কখনো স্বাধীন এ বাংলাদেশ ভাবতে গেলেই ভুলে যায় এক লাখ মা-বোনের ইজ্জত হারানোর ব্যথা, ভুলে যায় তিরিশ লক্ষ বুকের জ্যান্ত পাঁজর খুলে নিয়েছিল পাকিস্তানিরা। কত বড় বড় ব্রিজ-কালভাট, শস্য শ্যামলে ভরা মাঠের সম্পদ, প্রেম জড়ানো মায়ার সংসার নির্যাতন আর আঘাতে হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত। তবু্ও মনে প্রশান্তি পায় স্বাধীনতা পেয়ে। কিন্তু বর্তমানে স্বাধীনতার সার্থকতা কি দাঁড়িয়েছে? জন্মের পঞ্চাশ গত হলেও আজ সত্যকে বলতে এতো দ্বিধা কেন? গণতন্ত্রের সোনার হরিণের কাঠি হাতে পেয়েও নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক মূল্যবোধ তুলে ধরতে আমাদের দশ রকম প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করতে হয়। অজো জাতি কেন এতো ভাগে বিভক্ত। আরো কতো দিন বিজয় দিবসগুলো আমরা এমন হিপোক্রেসি আর ভণ্ডামের মাঝে ডুবে কাটাবো?
থুতু ছিটাই তাদের মুখে যারা স্বাধীনতার নাম করে সামাজিক মূল্যবোধ কে বিলুপ্ত করছে। কেবল অর্থ – সম্পদের জোরেই সমাজের প্রায় সর্বক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে তারাই আজ জ্ঞানী-মানী ও সম্মানিত বলে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষটা কেমন সৎ না অসৎ, ভাল না মন্দ, চোর না সাধু, নীতিবান না নীতিহীন এটা আপাতত এখন আলোচ্য বিষয় না। যা ভাববার বা বিবেচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হলো লোকটার অর্থ-বিত্ত আছে কিনা, কতো টা ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী। অথচ সে চোর বা ডাকাত হোক, সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ হোক,শিশু বা নারী পাচারকারী হোক, হেরোইন বা মাদক ব্যবসায়ী হোক তা দেখার প্রয়োজন হয়না। কেননা, যেই ক্ষমতাবান সেই সমাজের মস্তক। আর এই নীতির উপরই মনুষ্যত্বের মূল্য নির্ণয় করা হয়। অর্থ ও দাপটের জোরে নীতিবোধ ও বিবেক বর্জিত মানুষেরা দখল করে নিচ্ছে সমাজের সম্মানিত আসন। ব্যক্তিগত সততা, আদর্শ ও মূল্যবোধের দ্বারা কিছু সংখ্যক মানুষকে এ জগতে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু এদের সংখ্যা অনেকাংশেই কম। এমন নৈরাজ্য পূর্ণ বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল বাংলামৃত্তিকার নির্ভীক মুক্তি পাগল সৈনিকের দল। নাহ, আমি চাইনা স্বাধীনতার সামাজিক মূল্যবোধের কথা বলতে গিয়ে সম্মানিত শহীদদের কতোটুকু অপমানিত করতে। আর কেনই বা বলবো না, আজকাল মাটির পুতুলের মতো চুপ করে থাকতে পারিনা। যখন দেখি আলবদর, সামস, রাজাকার, বেনিয়ার দল শহীদের রক্তে বাংলাদেশের ধৌত করা সংসদে বিবেক বর্জিত যোদ্ধা পুরুষের পাশে বসে মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুখে বড়ো বড়ো বুলি ছাড়ে তখন শরীরের মধ্যে অসহ্যে ঘিন ঘিন করে উঠে। বাংলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কতো করুণ পরিস্থিতির উপর দিয়ে চলছে সেদিকে কারোর খেয়াল নেই। তাহলে এর জন্য কার কাছে কৈফিয়ৎ চাইবো যে, ফিরিয়ে দাও শ্রদ্ধেয় মা ও আদরের বোনের সম্ভ্রম, ফিরিয়ে দাও জন্মদাতা পিতা আর বড় ভাইকে? এ রকম অবমাননায় মুখ থুবড়ে পড়া মেরুদণ্ডহীন স্বাধীনতা তো আমরা কখনো প্রত্যাশা করিনি।
স্বাধীনতা মানে শুধু শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পাঠ আর বঙ্গবন্ধুর মহান বিপ্লবী কন্ঠে জ্বালাময়ী ভাষণের বাংলাদেশ নয়। স্বাধীনতা মানে আঠারো কোটি মানুষের প্রেম-ভালোবাসা, শক্তি-সাহসের সঞ্চার, জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা, সজীব তারুণ্যে ভরা সাহসী যুবকের মুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার অধিকার আর অতীত বর্তমানের ইতিহাস। অথচ যা আমাদের পাবার কথা ছিল তার কিছুই পাওয়া হয়নি। সময় এখন উল্টো রথের সারথি। আগের মতো মানুষের রক্ত আর টগবগ করে দোলে না।
স্বাধীনতার মূল্যবোধের কোন গুনাগুণ এ দেশে লক্ষ্য করা যায় না। যার যত বেশি অর্থ সে ততই প্রতিষ্ঠিত। তাই কারো যতো থাকছে তার আরও বেশি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। কিভাবে রাতারাতি সাফল্য অর্জন করা যায়, বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া যায় এই নীতিতে বিশ্বাসী সবাই। ক্রমেই যেন ভাল-মন্দের ভেদাভেদ দিন দিন উঠে যাচ্ছে। কারণ সততা ও আদর্শের যত সামান্য গুণাবলী পুঁজি নিয়ে এখন কেউ তৃপ্ত থাকতে চায় না। যে কোন উপায়েই হোক প্রতিষ্ঠিত লাভই মানুষের কাম্য। আমরা মিথ্যা কথা বলা ছাড়া সত্য বলা ছেড়েই দিয়েছি। অথচ, উন্নত দেশের মানুষ ভাবতেই পারে না কেন মিথ্যা বলবে, কেমন করে বলবে। তারা সর্বদা সত্য কথা বলতেই অভ্যস্ত। তবে এর জন্য তাদের বাড়তি সাহস সঞ্চার করতে হয় না। স্বাধীনতার মধ্যেই তারা বেড়ে উঠেছে। আমরাও আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
মোঃ আখতারুল ইসলাম খোন্দকার | Akhtarul Islam Khandokar
Shree Jagannath Bijay Kabya | ‘শ্রীজগন্নাথবিজয়’ কাব্য প্রসঙ্গে | 2023
Anabasarakalina besha of Jagannath | অনবসরকালীন বেশ | অভিজিৎ পাল
Role of parents in raising children | Bengali Article 2023
Political Consciousness of Marquez | মার্কেসের রাজনৈতিক চেতনা | Article 2023
Values and Hopes for Freedom | Article – Values and Hopes for Freedom | Best Article in Bengali | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | Values and Hopes for Freedom – essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | Best Article – Values and Hopes for Freedom | Best Article in Bengali pdf | writing competitions in africa 2023 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions 2023 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla – Values and Hopes for Freedom | bengali article rewriter | article writing | Values and Hopes for Freedom – writing ai | bengali article writing app | Best Article in Bengali book | Best Article in Bengali – Online | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples – Values and Hopes for Freedom | Viral Video – Best Article in Bengali | Best Article in Bengali Source | bengali article writing format | Best Article in Bengali News | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | Ebook – Values and Hopes for Freedom | PDF Values and Hopes for Freedom | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | Best Article in Bengali Font | article writing on global warming | bengali article writing pdf | article writing practice | Best Article in Bengali Ebook 2023 | what is article writing | content writing topics 2023 | Bangla Prabandha | The Best Article in Bengali | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Article | Best Article in Bengali in pdf 2023 | Trending Best Article in Bengali | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Trend – Values and Hopes for Freedom | Values and Hopes for Freedom of life | Values and Hopes for Freedom – Article in Bengali