Parijayi 2023 | New Bengali Story | পরিযায়ী | জয়নাল আবেদিন

Sharing Is Caring:
Parijayi 2023

পরিযায়ী – জয়নাল আবেদিন [Parijayi 2023]

সংসার-ছেলেমেয়ে রেখে ভিন-রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া মানুষগুলো পাল-পার্বণে ঠিক ঠিক বাড়ি ফেরে। জমানো রসদে ছেলে বউয়ের পছন্দসই জিনিস কেনে। ঘরে ফেরা এই মানুষগুলো কেমন যেন প্রাণ-প্রাচুর্যে যে ভরপুর থাকে । পড়শি-আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে। দীর্ঘদিনের দেখা না হওয়ার ব্যাকুলতাই হয়তো অনেক অনেক কথা বলিয়ে নেয়। কাজের খবর। ভিন রাজ্যে থাকার সুবিধা ও অসুবিধার খবর । এমন তরো হাজারো কথা। একসময়ের মুখচোরা রিয়াসাদ আজ যেন কথার ফুলঝুরি ফোটাচ্ছে। আনপড় রিয়াসাদ সংসারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মাসের পর মাস বাড়ির বাইরে পড়ে থাকে। থাকতে হয়। কষ্ট পায়। কষ্ট হয়। সহ্য করে, সহ্য করতে হয়।

— পুরুষ মানুষের জীবনটাই তো খাটার জন্য। পরিশ্রম করো রোজগারের জন্য। সে নিজের এলাকায় হোক কিংবা বাইরে। যেতে তো হবেই, রিয়াসাদ বলতো।

সত্যিই আজ যেন রিয়াসাদদের জীবন পরিযায়ী পাখির মতো, কিছুদিনের জন্য বসবাস করে- আবার মায়া কাটিয়ে ফিরে যাও। যান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থায় নিজেকে সঁপে দাও। এহেন রিয়াসাদ নিজের এলাকায় রাজমিস্ত্রি হিসাবে পরিচিত। অনেক বাড়িতেই তার হাতের ছোঁয়া আছে। কিন্তু এই পেশায় মানুষ বাড়তে থাকলে, কাজের বরাত ক্রমশ কমতে থাকে। ঘাটতি পরে রোজগারে। সংসারে অভাব অভিযোগ সহ্য করতে পারে না রিয়াসাদ। দলবল নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল ভিন রাজ্যে – কেরলে। বছরের পর বছর চলে নতুন নতুন প্রজেক্ট এর কাজ। একটার পর একটা চলতেই থাকে। প্রজেক্ট এই থাকার জায়গা রান্না করে খাওয়া। যেন এক স্রোতস্বিনী নদীর মত জীবন। গতির সঙ্গে তাল রেখে চলা এক জীবন। শিকড়ের বন্ধনে জড়িয়ে থাকা এক চলমান গতিময় জীবন। বৈচিত্র্য ভরা জীবন থেকে মানুষ পালিয়ে থাকতে পারে না। বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজন, পড়শি চেনা-জানা মানুষজন। নিজের আ-শৈশব কাটানো পরিবেশ। কেমন যেন একটা মোহময়। কাছে এলেই যেন প্রাণে একটা আলাদা পরশ-আলাদা একটা অনুভূতি।

রিয়াসাদের মতো মিল্লাতও গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলো পার্বণের জন্য। না – ঠিক বাড়িতে ফিরেছিলো না, বরং বলা যাক এসেছিলো। কিছু সময়ের জন্য, কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। বিজয়ার কোলাকুলি দেখে মনটা বড় উতলা ছিল হয়তো বা। তাই ঈদের কোলাকুলিটা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারল না মিল্লাত। সদ্য কেনা অল্ট্রো গাড়িতে ছেলে মেয়ে বউকে নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। ঈদের নামাজ পড়েছিল গ্রামের ঈদগাহে। বাড়ির লোকেদের আদর আপ্যায়নে ত্রুটি ছিল না ঠিকই, কিন্তু নিজেকে কেমন যেন কুটুম কুটুম মনে হচ্ছিল মিল্লাতের। ছেলে মেয়ে অন্যদের সঙ্গে ঠিকমতো মিশতে পারছিল না অথচ এই পরিবারের রক্তই তাদের শরীরে বয়ে চলেছে। বিয়ের পরই মিল্লাত প্রমোশন পেয়ে ব্যাংকের অফিসার পদে এলো। বন্ধুদের বলতো,-এটা আমার স্ত্রী ভাগ্যে পাওয়া। বউয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ও থাকতো, কেন জানিনা-নিজের পারফরমেন্স কে কোন পাত্তা না দিয়ে বউ ভাগ্যে এত বিশ্বাসী হলো মিল্লাত। সারাক্ষণই এমন নস্টালজিয়ায় ডুবে থাকতো।

কিছুদিন পর বাড়ির বাইরে নতুন ঘর বাঁধার পরিকল্পনা এলো মিল্লাতের। পুরনো বাড়ির ঘেরা টোপ থেকে একটু নিজেকে সৌন্দর্যে-স্বাচ্ছন্দ্যে আনার চেষ্টা করেছিলো। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও প্রশস্ত রাস্তার অভাবে সেই গোপন আশা পরিপূর্ণতা পাচ্ছিল না। শত চেষ্টাতেও পাশের জন ,সে জায়গা ব্যবহার করতে দিলো না। বিনিময়ের চেষ্টা, ভালো দামের লোভ, পুরোপুরি নস্যাৎ করেছিল জমি ওয়ালা। বিরক্তিতে মনটা কেমন যেন তেতো হয়েছিল মিল্লাতের, প্রতিবেশীর মনে হিংসার আগুন দেখেছিল সে। অন্যদের চেষ্টাতেও যখন বিফল হল মিল্লাত, তখন পুরোপুরি বাড়ি তৈরীর পরিকল্পনা বাতিল করল মন থেকে। এই সন্ধিক্ষণে মিল্লাতের সংসারে এলো নতুন অতিথি। এক পুত্র সন্তান। মেঘলা আকাশে এক ফালি সোনালী রোদ্দুর, ছেলের মোহে অন্য সবকিছু ভুলে গেল যেন। নিজের পরিবেশ-প্রতিবেশী। নিজের ভূমি-পরিজন। এসবে কোনদিনই পরিবিষ্ট ছিলো না মিল্লাত। নিজেকে নিজের মতো রাখাকেই পছন্দ করতো। হাতেগোনা দুটো বন্ধু, তাও প্রয়োজন মত কথাবার্তা-তারপর নিজের মতোই। আজও সেই ধারা বজায় রয়েছে। ছোট্ট তুলতুলে শরীরটায় মোহাবিষ্টের মতো চোখ রেখে, দিনের পর দিন কেটেছে- রাতের পর রাত। ছোট্ট শরীরখানা হাতের মধ্যেই একটু একটু বেড়েছে। হাত-পা নেড়ে খেলেছে। তারপর একদিন দু হাত দিয়ে বাপের গলা জড়িয়ে ধরেছে। মিল্লাতের চোখে নতুন স্বপ্ন। ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করা, যেটা এই পরিবেশে হওয়া সম্ভব নয়।

দাদা বলেছিল, – কেন তুই কি তাহলে মানুষ হোসনি এখানে ?
— বাচ্চাদের তেমনি স্কুল কোথায়? আজকের দিনে পাতি স্কুলে পড়ে কিছু হবে না। মিল্লাত বলেছিলো।
দাদা ম্লানমুখে বলেছিলো, – দেখ কোথায় ভালো স্কুল পাস।

কিছুদিনের মধ্যেই বেহালায় ফ্ল্যাট নিলো মিল্লাত। আটতলা বাড়ির, ছ’তলায় দুটো বেডরুম, কিচেন ডাইনিং ,বাথরুম – এক চিলতে ব্যালকনি। সুন্দর করে সাজিয়ে নিলো সব কিছু, স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যমাত্রায় সূচ পরিমাণ ছাড় দিলো না মিল্লাত। রোজিকেও পছন্দ-অপছন্দের ভাগীদার হিসাবে শুরু থেকেই দেখে নিয়ে যাচ্ছে। রোজি অদ্ভুত রকমের খুশি। মাটি থেকে অনেক উঁচুতে থাকার স্বাদই আলাদা। প্রথম দিনে অনুভব করেছিল সে। খোলা জানালায় দাঁড়ালে দিগন্তের অনেকটাই দেখা যায়, আকাশটা যেন কতো কাছে- সিঁড়ি ভেঙে ওঠার ঝুঁকি নেই, তরতরিয়ে ওঠানামা লিফটে।

মিল্লাত রোজিকে বলেছিলো, – জীবন মানে চার দেওয়ালে বাক্সবন্দি হয়ে থাকা নয়। জীবন মানে টাকা রোজকার করো, সংসারে খাও-দাও আত্মীয় -পরিজন, পরিবেষ্টিত হয়ে দিন কাটানো নয়। এইভাবে চলতে থাকা মানুষগুলো কতো পিছিয়ে পড়ছে ভাবতে পারবে না। সকলেই কেমন সংস্কার আঁকড়ে পড়ে আছি আমরা। নতুন জেনারেশনের কোন ডেভলপমেন্ট নেই। চিন্তা-ভাবনা নেই। কেমন যেন গয়ংগচ্ছভাব।

অবশেষে মিল্লাত একদিন শহরবাসী হলো, ফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দা হলো। সাজানো গোছানো নতুন বিষয় -বৈভবে রোজি কেমন বিভোর হয়ে রইলো। মিল্লাত ও সুখী জীবনের একটা নতুন ঠিকানা গড়ে তুলল। ফ্ল্যাট বাড়ির আদব-কায়দা একটু একটু করে রপ্ত করতে লাগলো।
অফিস থেকে ফিরে, একটু চা খেয়ে ছেলেকে নিয়ে পড়তো দুজনেই। “সাউথ পয়েন্ট” স্কুলে ভর্তি করেছে ছেলে অয়নকে। এখন থেকে ঠিকমতো তৈরি করতে না পারলে, জিনিয়াস হওয়া সম্ভব হবে না। অফিস কলিগ অমিতদাই পরামর্শ দিয়েছিলো ছেলেকে সাউথ পয়েন্টে ভর্তি করার। ওর মেয়ে ওখানেই পড়ে, অমিত দার রেফারেন্সেই ডোনেশনটা কম লেগেছে। মিল্লাতের আবাসনে ডি-ব্লকে ফ্ল্যাট। অমিতদার জি ব্লক। আবাসনের গেট থেকে স্কুলের গাড়ি এসে নিয়ে যায় সকাল সাতটায়, বিকেল চারটে স্কুল ফেরত দিয়ে যায়।গ্যাঁটের কড়ি ফেললে একটু নির্ঝঞ্ঝাট হওয়া যায় এ ব্যাপারে। তবে ইস্কুলের চাহিদা মতো যোগান না থাকলে, সে আবার মস্ত ঝঞ্ঝাট। ছেলে অয়ানকে তিলে তিলে গড়ে তোলার গণ্ডি ছেড়ে বাইরে আসার, অন্যদের অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা-আড্ডা, পরিচিতি এ পর্যায়ে আসার মতো সময় বার করতে পারে না মিল্লাত।

আ-শৈশব জীবনের পদ্ধতিগত কোন তফাৎ আজও হলো না। নিজের প্রয়োজন টুকু ছাড়া, অ-প্রয়োজনীয় সময় খরচ করার মতো মানসিকতা কোন কালেই ছিল না, আজও নেই। অথচ মিল্লাত জানে-বোঝে, অন্যের কাজে যদি কেউ সময় বা মদত না দেয়। তার প্রয়োজনে- কাজে, অন্য কেউ সময় দেবে না। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সমাজ- বহির্ভূত জীবন চাইলে বেঁচে থাকা যাবে, কিন্তু মরা চলবে না। কারণ মৃত্যুর পর নিজের কিছুই করার থাকেনা। তখন অন্যের সাহায্য ছাড়া শেষ যাত্রা অসম্ভব। বৈভব-সৌন্দর্যে ভরপুর মিল্লাতের সংসার। মেয়ের আগমনে চতুর্থ জন প্রাপ্তি ফ্ল্যাট বাড়ির।

কাজের মেয়ে শিলাদি বড় ভালো মানুষ। তারই সেবা যত্নে আদরে বড় হয়েছে মেয়ে অস্মিতা। তাকেও অয়নের স্কুলে ভর্তি করেছে মিল্লাত। ছেলে মেয়ে স্কুলে যায়। মিল্লাত অফিসে যায়। সকালের সময় থেকে বড় একা লাগে রোজির। কাজের মেয়ে শিলাদি কাজ ছেড়ে চলে গেলে চার দেয়ালে বাক্সবন্দি হয়ে যাওয়া রোজি। খাওয়া ঘুম আর টিভি দেখা ছাড়া কোন কাজ নেই। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকা রোজি এবার ক্রমশ হাঁপিয়ে উঠতে থাকে। দরজার বাইরে এলে করিডোর সিঁড়ি আর লিফটের দরজা ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। সকলেরই ব্যস্ত জীবন। অন্যদের দিকে তাকানোর সময় কোথায়, অথচ গ্রামের একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে রোজি সুখ খুঁজতে এসে কেমন অসুখে পড়তে শুরু করেছে। রোজির ভালো না লাগার সময়কে, অসুখী মন টাকে সারাতে-মিল্লাত নতুন “অল্ট্রো” গাড়ী নিলো। প্রতি রবিবার সহ ছুটির দিনগুলো বেরিয়ে পড়তো সারা দিনের মতো। হৈ- হুল্লোড় খাওয়া-দাওয়া সেরে রাতে বাড়ি ফিরতো সকলে। নতুন আনন্দের রেশ দুদিনেই ফিকে হয়ে যেতো, আবার মনটা সেই তেতো হয়ে থাকতো রোজির। মিল্লাত এবার মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাড়িতে সঙ্গ দিতো রোজিকে, অনুভব করার চেষ্টা করলো স্ত্রীর একাকীত্বের। আত্মীয়-স্বজন, সমাগম হয়নি কোনদিন তেমন ভাবে, শ্বশুর-শাশুড়ি মাঝেমধ্যে এলেও থেকে যাওয়ার স্বপ্ন তারা দেখে নি কোনদিন। মেয়ের সম্পদ-বৈভবে চোখ ভরে নিয়ে চলে যেতো তারা। সুখ যে অনুভূতির, বাইরে থেকে বোঝবার কোন উপায় নেই। দুঃখী মন, অসুখী শরীর- তার মুখের ছবি বলে দেবে, কিন্তু সুখের সাগরে ভাসা নৌকো ফুটো থাকলে- বোঝা বড় দায়। মিল্লাত হয়তো বা বুঝেছিলো রোজির অসুখী মনটাকে। ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো মিল্লাত রোজিকে নিয়ে, শারীরিক কোন সমস্যা নেই। কিন্তু “মেন্টালি ডিপ্রেশনে” ভুগছে, একাকীত্ব গ্রাস করেছে মনটাকে। সকলের মাঝে থাকতে হবে ওকে।

— আসলে, ছেলে- মেয়ে সকালেই স্কুলে চলে যায়, আমি অফিস বেরোলে- ফ্ল্যাটে ও একাই থাকে। দুই পাশের ফ্ল্যাটের দুজনেই চাকরি করে তারাও বেরিয়ে যায়। ফলে সারাদিন একাই থাকতে হয়। এক দমে ডাক্তারকে বোঝায় মিল্লাত।
— সমস্যা তো সেখানেই। আমরা সুখ খুঁজতে শহরে আসি, ফ্ল্যাট নিয়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চাই । তারাই তো তলে তলে মরছি ।ডাক্তার বললে মিল্লাতকে।
— তাহলে এখন কি করনীয় ?
— ওষুধ ঠিকঠাক খাওয়ান। কিছুটা সময় সকলেই ওর সঙ্গে শেয়ার করুন। বছরে এক- দু’ বার লম্বা ট্যুরে বের হবেন। তাতে পরিবর্তন হবে মনের, আস্তে আস্তে কেটে যাবে এটা। আর বাড়ির কিছু কাজ নিজে হাত লাগাতে হবে, তাতে অনেক টাইম পাস হয়।
প্রেসক্রিপশন হাতে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হলো মিল্লাত আর রোজি।

শহরের গতিময় জীবন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে। মিল্লাতের ছুটির দিনে চারজনের কলবলানী ফ্ল্যাট বাড়িটা কিছুটা প্রাণ পায়‌। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো আবার সেই নীরব- নিথর। সামনের ফেব্রুয়ারিতে মিলাদ ঠিক করেছে পাহাড়ে কোথাও বেড়াতে যাবে সে সিকিম বা গ্যাংটক। মাঝে মাঝে মিল্লাতেরও মনে হয়। ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাট বাড়ি জীবনটা এমনই। সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ কাজে। কেউ কারো খোঁজ নেয় না, খোঁজ নেবার সময় থাকে না- আবার তেমন চেষ্টাও করা হয় না। ছেলে -মেয়ের খেলাধুলার কোন জায়গা নেই। সারাদিন ইস্কুল। সন্ধ্যে টিউশন। নিজের পড়া, একটু আনন্দ টিভির সামনে বসে। অবসর জীবনে সময় কাটানোর ভাবনা, এখন মিল্লাতও ভাবতে বসেছে। রোজির মত একাকীত্ব তখন থাকবে না। ওকে পাশে পাবে। দুজনে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব কষ্টের হবে না।

ঈদগাহ থেকে বেরিয়ে আমারই মুখোমুখি মিল্লাত। অবাক বিস্ময় মুখের দিকে তাকিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলো আমাকে।
— কেমন আছো, মাষ্টার দা?
— আমি তো লাট খাওয়া ঘুড়ির মতো ঘুরতে ঘুরতে আবার সোজা হয়ে গেছি। কৌতূহল রেখে বললাম, – কিন্তু তুমি কেমন আছো? এতদিন পর হঠাৎ এমন দিনে।
— মনটা ভালো নেই গো মাস্টার দা।
— কেন, তোমার তো ভালোই থাকার কথা। ভালো চাকরি, ভালো বাড়ি, ছেলে মেয়ের তৈরি হওয়া স্ট্যাটাস। কম কিসে ?
— সুখের আসল সংজ্ঞা বলতে পারবে মাস্টারদা? হঠাৎ এমন প্রশ্নে আমি একটু অবাক।
— “এর সংজ্ঞা তুমি নিজেই ” । হয়তোবা কথাটা একটু ব্যঙ্গ হয়ে গেলো।

ম্লান হাসলো মিল্লাত। কিছুটা সময় একটু আনমনা হলো যেন। মুখের উপর অদ্ভুত একটা ছায়া খেললো। বলল, “বনে গিয়েও মনের হাত থেকে রেহাই পেলাম কোথায়”!

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

New Bengali Article 2023 | হুগলী জেল ও কাজী নজরুল ইসলাম | প্রবন্ধ ২০২৩

New Bengali Story 2023| এসো করুণা ধারায় | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা

New Travel Story 2023 | লাচুং-নাথালু’র সীমান্ত ছুঁয়ে | জয়ন্ত কুমার সরকার

Top Bengali Poetry 2022 | সুশান্ত সেন | কবিতাগুচ্ছ

পরিযায়ী | পাখি পরিযান | ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা | পরিযায়ী অর্থ | পরিযায়ী পাখি বলতে কী বোঝায় | পরিযায়ী শ্রমিক | পরিযায়ী পাখি অনুচ্ছেদ | পরিযায়ী পাখি | পরিযায়ী প্রাণীর নাম | ‌পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের দুর্দশা | পরিযায়ী পাখিদের স্বর্গরাজ্য | পরিযায়ী পাখি দেখতে যাবেন | পরিযায়ী পাখির বন্ধু হই | পরিযায়ী পাখিদের কথা | পরিযায়ী এসেছে কত | শীতের বাংলায় স্বাগত পরিযায়ী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

World Migratory Bird Day 2023 | Porijayi Tour Travel & Trek | Migratory Bird | 10 migratory birds of India | What are Migratory Birds | 10 migratory birds | migratory birds with names | migratory birds of india | 5 migratory birds | migratory birds paragraph | migratory birds and animals | migratory birds wikipedia | Migratory Bird Center | International Migratory Bird Day | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Parijayi 2023 | Parijayi 2023 new story | New story Parijayi 2023 | Parijayi 2023 – new movie | Bengali Story – Parijayi 2023 | Parijayi 2023 pdf download | Trending topic – Parijayi 2023 | Viral Video – Parijayi 2023 | Video download – Parijayi 2023 | New Journal – Parijayi 2023 | Parijayi 2023 – Bengali Story | Reading book – Parijayi 2023 | Full story – Parijayi 2023 | New presentation – Parijayi 2023 | Parijayi 2023 – New song | Parijayi 2023 song download | Parijayi 2023 – story book

Leave a Comment