New Bengali Story 2023 | গল্পগুচ্ছ | বদরুদ্দোজা শেখু

Sharing Is Caring:
Bengali Story

অচেনা যাত্রী – বদরুদ্দোজা শেখু [New Bengali Story 2023]

ইমরুল। সরকারী কর্মচারী।বদলির চাকরি। বছর দুই হলো তার পোস্টিং হয়েছে উত্তর বঙ্গের রায়গঞ্জে। তার পরিবার বহরমপুরে থাকে।সে মোটামুটি দু’ সপ্তাহে একবার শুক্রবারের অফিস সেরে বাড়ি আসে বা আসতে পারে, যদি ছুটির দিনে জেলাশাসক অন্য কোনো কাজ না চাপান ।সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়। আর সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা বা সাতটা নাগাদ শিলিগুড়ি মোড় থেকে সে বহরমপুরে ফেরার বাস ধরে।কখনো রাত দু’টোয় , কখনো রাত তিনটেয় বা ভোর রাতে বহরমপুরে এসে পৌঁছায়।কখনো এক বেলা থেকে বা কখনো একদিন থেকে আবার রায়গঞ্জ ফেরার জন্য রাতের বাস ধরে, কারণ পরদিন সকাল দশটায় অফিসে হাজিরা দিতে হবে।

সেবার খুব শীত পড়েছে। অফিস থেকে বেরোতেই প্রায় অন্ধকার হ’য়ে আসে। শিলিগুড়ি মোড়ে বাস পায় প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ।উত্তর বঙ্গ পরিবহন নিগমের বাস। বাসটি রায়গঞ্জ শহরের ভিতরের ডিপোয় ঢুকে’ বেরোতে বেরোতে প্রায় সওয়া আটটা বেজে যায়।তবু ইমরুল আশা করে যে রাত দু’টো আড়াইটা নাগাদ সে বহরমপুরে পৌঁছে যাবে।

দূরপাল্লার বাস। সকল যাত্রীর টিকিট চেকিং শেষ হ’য়ে গেলে গাড়ির ভিতরের আলো নিভিয়ে দ্যায় কন্ডাক্টর।রাতের বাস যেন রকেট গতিতে চলে।শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারের মধ্যে যেন এক দানব ছুটে চলে।মাঝে মাঝে সামনের দিক থেকে আসা বাস বা ট্রাকের ক্রসিংয়ের সময় চোখে তীক্ষ্ণ আলো এসে পড়ে। ওই গতিতে যাত্রী সাধারণ কোথা দিয়ে যাচ্ছে তা কিছুতেই টের পায় না। তারপর শীতের জন্য জানালা কপাট সব বন্ধ।সেদিন ইমরুল ডানদিকে জানালার পাশে সীট পেয়েছিল। একটাই ব্যাগ নীচে দু’পায়ের ফাঁকে রেখে কখনো ঘুমিয়ে কখনো জেগে সে জার্নিটা পার করে। ভয়ও লাগে, হঠাৎ যদি ড্রাইভারের চোখ ধ’রে আসে তো আর রক্ষে নাই।তবু আসা যাওয়া রাতে করা ছাড়া তার উপায় নাই।তাই সে তার নিরাপত্তার ভার একমাত্র ভাগ্যবিধাতার উপর ছেড়ে দ্যায়। কন্ডাক্টরকে ব’লে রাখে, বহরমপুর বাস-স্টান্ডে যেন তাকে নামিয়ে দ্যান।

বাসে কান্দির দিকে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু যাত্রী থাকে।কান্দি মোড় বহরমপুর ঢোকার আগে ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পারে পড়ে।তারা ড্রাইভারকে ও কন্ডাক্টরকে অনুরোধ করে কান্দি মোড়ে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য।তাতে ওদের নাকি সংযোগকারী বাস ধরতে সুবিধা হয়।ওখানে স্টপেজ নাই। তাই কোনো বাস অনুরোধ শুনে, আবার কেউ কেউ শুনে না। সরাসরি বহরমপুরে স্টপেজ দ্যায়।

সেদিন মোটামুটি রাত দু’টো নাগাদ উত্তরবঙ্গের বাসটি কান্দি মোড়ে এসে দাঁড়ালো।যারা কান্দি লাইনের যাত্রী তারা বলাবলি করছিল দুর্গাপুরের বাস দাঁড়িয়ে আছে, তাড়াতাড়ি নামো, ধরতে পারবো। আর এই বাসটিকে থামতে দেখে, কলকাতা-দুর্গাপুর বাসটিও মোড়ের ডানদিকে কান্দি যাওয়ার দিকে মুখ ক’রে দাঁড়িয়েছিল। যাত্রীগুলো নেমে তাড়াতাড়ি ওই বাসটি ধরার জন্য বাসটির সামনে দিয়ে রাস্তা ক্রস ক’রে দ্রুত যাচ্ছিল।উত্তর বঙ্গের বাসটি তখনো দাঁড়িয়েই ছিল। ইমরুল তখন জানালা খুলে দেখছিল বাস কোথায় দাঁড়ালো। ওরা চার জন যাত্রী ছিলো। তখন ইমরুলের বাসের খালাসি চেঁচাচ্ছে, পিছনে ট্রাক আসছে।দাঁড়াও, দাঁড়াও ! ওরা তখন রাস্তার মাঝখানে,দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছে ।পিছনে ফেরার উপায় নাই। এমন সময় একটা বিশাল ট্রাক পিছন থেকে দুরন্ত গতিতে এসে পড়লো আর পেরিয়ে গেল।তিনজন পার হ’তে পারলেও একজন যাত্রী খড়কুটোর মতো ফট ক’রে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লেগে প’ড়ে গেল।কন্ডাক্টর ব’লে উঠলো, যাঃ ! একজন চ’লে গেল ! যারা বেঁচে গেল তারা ঘুরে তাকাতে না-তাকাতেই সেই ট্রাকটি তির বেগে হাওয়া হ’য়ে গেল। উত্তর বঙ্গের বাসটিও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার ভয়ে দ্রুত বাসটি চালিয়ে দিল।কিছু বোঝার আর অবকাশ রইলো না। ইমরুল ভয়ঙ্কর দৃশ্য চোখের সামনে ঘটতে দেখে দুই হাতে চোখ ঢাকলো ! ইয়া আল্লা!

মিনিট পনেরো পরে যখন ইমরুল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ডে নামলো ,তখন ও থরথর ক’রে কাঁপছে। কোনোরকমে একটা রিক্সায় চেপে বললো, স্বর্ণময়ী মোড়। তার মুখে তখন কথা সরছে না।রিকশাওয়ালা অসুস্থ যাত্রী মনে ক’রে তার যথাসাধ্য দ্রুততম বেগে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিল।

যখন তার স্ত্রী গেট খুললো, তখনও সে থরথর ক’রে কাঁপছে ।ওর স্ত্রী ওকে ধ’রে কোনোরকমে বিছানায় বসালো। সে হতভম্ব, কী হয়েছে ? এমন করছো কেন ? ইমরুলকে পানি এনে দিল। এক ঢোক পানি খেলো । ওই শীতের রাতেও সে তখন সমানে ঘেমে চলেছে। ওর স্ত্রী পাখা করতে লাগলো।একটু ধাতস্থ হ’য়ে সে বললো, কান্দি মোড়ে একজন চোখের সামনে বাস থেকে নেমে রাস্তা ক্রস করতে গিয়ে পিছন থেকে আসা ট্রাকের ধাক্কায় প’ড়ে গেল । – – – মোটামুটি বর্ণনা করলো থরথর করতে করতে।স্ত্রী বললো, চোখের সামনে ওই আকস্মিক দুর্ঘটনায় তোমার শক লেগেছে। ওই কথা আর ভাববে না।শুয়ে পড়ো। গরম চা খাবে ? ইমরুল না -সূচক মাথা নাড়লো। ইমরুলকে ধ’রে নিয়ে গিয়ে গরম-করা পানিতে হাতমুখ ধুইয়ে আনলো। বললো, নিয়তি। নিয়তির কাছে আমরা কতো অসহায় ! ইমরুল আর ঘুমোতে পারলো না।

ওই কান্দি মোড় দিয়ে যাওয়া আসার সময় আজো সেই রাতের মর্মান্তিক দৃশ্য তার চোখের সামনে আনামত ভেসে উঠে। সে তখনো যেন অব্যক্ত শক খায়। অজান্তেই শিউরে’ উঠে।

হিংস্র অধিকার – বদরুদ্দোজা শেখু [New Bengali Story 2023]

ইমরুলের বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামের অজ পল্লীতে। তাদের বাড়ির সামনে একটা বড়ো বাউস্ত পুকুর আছে। পাড়ার সবাই সেই পুকুরে স্নান করা বাসন ধোয়া কাপড় কাচা সারে।এমনকি গরু মোষকে নামিয়ে গা ধুইয়ে দ্যায়। পুকুরের উত্তর দিকের গরুর গাড়ি-যাওয়া দশ ফুটের রাস্তাটা ইমরুলদের বাড়ির সামনে । উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই রাস্তাটা বছর বছর সংকীর্ণ হ’তে হ’তে ক্রমে পুকুরে নেমে গেছে। লোকজন বর্ষার সময় ওই কুড়ি ফুট মতো লম্বা রাস্তাটুকু পার হ’তে গেলে হাঁটুর উপরে কাপড় গুটিয়ে রাস্তা পারাপার করে।

এ পাড়ায় মোটে তিনচার – ঘরবাড়ি থাকায় কেউ সারাবার উদ্যোগ নেয় না।ওই ডুবো রাস্তাটার পরেই পুকুরের পাড়ে সবে ফলেছে এমন একটা অল্প বয়সী আমগাছ, একটা মাঝ বয়সী তালগাছ ও কিছু বাঁশঝাড় আর বাবলা গাছ আছে। তারাও সবাই ওই পুকুরের দিকে নেমে গেছে।আমগাছ তালগাছ বাবলাগাছ আর বাঁশঝাড়ের অংশটি মনোয়ার সেখের। সে আমগাছটির খুব পরিচর্যা করে। চারা অবস্থা থেকে জাফরি দিয়ে গোঁড়ায় মাটি দিয়ে সে আমগাছটিকে রক্ষা করেছে। পুকুরটির হাজার ভাগীদার ।অর্থাৎ ওই গ্রামের প্রায় সবাই বংশ বাড়ার জন্য অংশীদার হ’য়ে গেছে। ডুবো রাস্তাটির সংলগ্ন পাড়টি একদিন গ্রামের এক উঠতি চাষী হাসিল সেখ কিনে নিয়েছে। আর শীতকালে মাপজোঁখ ক’রে তার অংশটি সে মাটি ফেলে ঘিরে নেওয়ার জন্য মজুর লাগিয়েছে।আমিন এনে মাপজোঁখ করার সময় দেখা গেল ওই ছোট আমগাছটি মনোয়ার ও হাসিলের বর্ডার লাইনে পড়ছে। এবার হাসিল দাবি করলো আমগাছটি তার অংশে পড়েছে, কাজেই এখন ওটা তার। আর মনোয়ার দাবি করলো, আমগাছটি সে তার নিজের অংশেই লাগিয়েছিল, কাজেই ওটা তার । হয়তো মনোয়ারের কথায় ঠিক। কিন্তু যেহেতু আমগাছটির পাশের অংশটা পুকুরে নেমে গেছে , তাই স্বাভাবিকভাবেই আমগাছটির গোঁড়াটাও পাশের অংশের দিকে ঝুঁকে গেছে। দু’ পক্ষের দাবি পাল্টা -দাবিতে প্রায় মারামারি হওয়ার উপক্রম। পাড়ার বাসিন্দারা গ্রামের মেম্বারকে ডেকে এনে তাদেরকে থামায়। মেম্বার বলে, ভোলা থেকে সরকারী আমিন এনে পুরো জায়গাটা ভালো ক’রে মাপজোঁখ করিয়ে তার রায় নিয়ে এর ফয়সালা হবে।

সেই মতো ভোলার সরকারী আমিন এনে একদিন সকাল থেকে ভূমি দপ্তরের নকশা ধ’রে মাপজোঁখ করা হলো। প্রায় গোটা গ্রামবাসীই ওখানে জড়ো।বেলা দশটার মধ্যেই জানা গেল, আমগাছটির গোঁড়ার সামান্য অংশ হাসিলের অংশে পড়ছে। আমিন এও মন্তব্য করলো যে গাছটা মনোয়ারই লাগিয়েছে, মাটি পুকুরে নেমে যাওয়াই হেলে গেছে।স্বাভাবিকভাবেই এটা মনোয়ারের। কিন্তু হাসিল তা মানতে নারাজ। সদ্য গতবার ওই ঝাঁকড়া আম গাছটায় থোকা থোকা লম্বা লম্বা আম ধরেছিল। সেটা মনোয়ার ও তার ছেলেমেয়েরা অনেক যত্ন ক’রে মানুষ করেছে।তারাই-বা ছাড়বে কেন ? এটা হাসিল পাবে, তারা এটা কিছুতেই মানবে না। মেম্বার আশঙ্কা করলো, ঐ আমগাছ নিয়ে মারামারি কাটাকাটি লেগে যেতে পারে। তখন আমিন মেম্বারের সাথে কথা ব’লে সাব্যস্ত করলো যে আমগাছটা মনোয়ারের ।তবে যেহেতু ওটা বর্তমানে হাসিলের অংশে ঢ’লে গেছে, তাই যদি মনোয়ার মন করে তো গাছটি সে কেটে নিতে পারে। এতে হাসিল আপত্তি করতে পারবে না।গাছটি হাতছাড়া হ’য়ে যাচ্ছে দেখে হাসিল বললো, যখন ওর বলছেন তখন ও আজই গাছটা কেটে নিক। নইলে আমিও এর পর ওই গাছে বা ওর ফলে ওকে হাত দিতে দিব না। মনোয়ার বললো, আমার ছেলেমেয়ের মানুষ-করা গাছ ওর ছেলেমেয়েরা ভোগ করবে তা আমি কখনোই মানবো না। সে সঙ্গে সঙ্গেই তার ছেলেকে দিয়ে কুড়ুল আনিয়ে সব লোকের সামনে নিজে কুড়ুলের কোপে পনেরো বিশ মিনিটের মধ্যেই গাছটিকে গোঁড়া থেকে কেটে ফেললো আর তার ডালপালা শাখা প্রশাখা গুঁড়ি শিকড় সবকিছু তুলে নিয়ে চ’লে গেল। গাছে যখন এক-একটা কুঠারের আঘাত পড়ছিল তখন মনে হচ্ছিল একটা জীবন্ত অবলা শিশুকে পারস্পরিক মালিকানার হিংসার বলি হ’তে হচ্ছে। দুর্বিনীত কুঠারের প্রতিটা আঘাতের শব্দ মনে হচ্ছিল গাছটির অব্যক্ত কান্নার আওয়াজ।আজ সবে যুবতী আমগাছটির নীরব কান্না কেউ শুনতে পেল না বা শুনলো না।কুড়ুল চালানোর সময় মনোয়ারের চোখ দু’টো যেন নিষ্ঠুর পশুর মতো হিংসায় জ্বলজ্বল করছিল। পাড়ার সব লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই নির্মম দৃশ্য দেখলো। কারো মুখে টুঁ-শব্দটি নাই। ইমরুলদের বাড়ির সামনেই বিশ হাত দূরে ওই সুন্দর ঝাঁকড়া যুবতী আমগাছটা ছিল।তার কাটা পড়াতে বাড়ির সবাই মর্মাহত হলো। দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

ইমরুলের বাপ বললো, যাক চিরকালের বিবাদ তো কাটলো। মনোয়ার এবার নিজের জায়গাটা ভালো ক’রে ঘিরে নিয়ে গাছ লাগাক। আমগাছটার জায়গাটা এখন খাঁখাঁ শূন্য, সবুজের শব্দহীন, সৌন্দর্যহীন।

বদরুদ্দোজা শেখু | Badaruddoza Shekhu

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | বিকাশ চন্দ

New Bengali Article 2023 | শ্রমের শোষণ

New Bengali Article 2023 | অঘোষিত প্রতিযোগিতার ফল

New Bengali Article 2023 | প্রেমাবতার ঠাকুর হরনাথ ও সহধর্মিণী কুসুমকুমারী কথা

অচেনা যাত্রী | মধ্যরাতের অচেনা যাত্রী | অনন্তকালের পথযাত্রী লিরিক্স | আঁধারের যাত্রী | যাত্রীদের ব্যস্ততা | যাত্রীর দেখা নেই | এ যেন এক অচেনা রাজধানী | অচেনা পুরুষের স্পর্শ | এ এক অচেনা ঢাকা | অচেনা নির্জন জায়গা | জীবন এক রেলগাড়ি | এখন অচেনা শহর ঢাকা | যাত্রী পরিবহণের জন্য প্রস্তুত রেলওয়ে | অচেনা নীরব শহর ঢাকা | অচেনা বন্ধু | অচেনা অতিথি | চেনা অচেনা | অচেনা মানুষ | অচেনা অতিথি বইয়ের গান | শাবানা আলমগীর বাংলা ছবি | অচেনা অজানা বিবেকানন্দ | অচেনা স্রোত | অচেনা চীন | চেনা কবি অচেনা রবি | চেনা অচেনা শিবরাম | যাত্রী-পরিবহন-সেবা | রাত্রির যাত্রী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Ochena | Chena Achena | Achena Bandhu | Ochena (1991) | Achena Uttam (2022) | Achena Boishakh Lyrics | Watch Chena Achena | Aj Ami Achena Je lyrics | Achena Bengali Book | Jatri | Jatri Song | Jatri Partner | Jatri ticket | Jatri BD | Jatri app | Jatri partner referral code | Jatri services limited | Rail O Jatri | Achena Jatri | bengali story new | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali story books for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali story books pdf | bengali story for kids | bengali story reading | short story | short story analysis | short story characteristics | short story competition | short bengali story definition | short story english | short story for kids | short bengali story generator | bengali story 2023 | short story ideas | short story length | long story short | long story short meaning | long bengali story | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk | poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | bengali story writing | bengali story dictation | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla news article | bengali story news| article writing on global warming | article writing pdf | article writing practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | content writing trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment