গৌতম তালুকদার – সূচিপত্র [Bengali Story]
এক জোড়া ঝুমকো – গৌতম তালুকদার [Online Bengali Story Reading]
আজ তাপসীর বিয়ে।ঠিক এক বছর পার করে দিন ক্ষণ লগ্ন দেখে মেয়ের বিয়ে দিতে সমস্ত কিছু সাধ্যমতো আয়োজন করেছে জীবন। বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের আনাগোনা।কাজ কর্ম নিয়ে সকলেই ব্যস্ত। দুপুরে মেয়েকে আশীর্বাদ করতে বরপক্ষের লোক এসে হাজির। সেই সময় মেয়ের বাবাকে বিশেষ কারণে দরকার কিন্তু, কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে ফোন করছে, ফোনের রিং হয়েই চলেছে তবু ফোন তুলছে না।এর কারণ কি সেটাও কেউই বলতে পারছে না। প্রায় ঘন্টা খানেক পর জীবন এসে দাঁড়ায় মেয়ে তাপসীর সামনে। তাপসীকে বুকে জড়িয়ে ধরে গোপনে চোখের জল মোছে মেয়ের হাত ধরে নিয়ে এসে দাঁড়ায় ওর শোবার ঘরে।এক জোড়া ঝুমকো মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে বলে আগে মায়ের কাছে রেখে মাকে বল মা আমি তোমার ঝুমকো পড়েই শ্বশুর বাড়ি যাবো। তুমি খুশি তো মা। বাবা -মেয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে ছবির দিকে।
জীবন একজন ছোট মাপের ব্যবসায়ী। প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে।পূর্বদিকে দাঁড়িয়ে সূর্য প্রণাম করে।রাতে ভিজিয়ে রাখা চিরতার জল এক গ্লাস পান করেই বেড়িয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য মর্ণিংওয়াকে। রমলা রাতের এঁটো বাসন নিয়ে বসে কলতলায়।বাসি কাজ সারতে সারতে ছেলে মেয়েকে ডেকে তোলে ঘুম থেকে। টিফিন তৈরী করে।জীবন ঘুরে এসে গজা সাউ’র মিল থেকে আনা সরিষা তেল গায়ে,হাতে,পায়ে মেখে পায়খানায় ছোটে।নিম ডাল দাঁতে চিবুতে চিবুতে, গামছা মাজায় বেঁধে নদীতে স্নান সেরে ফিরে আসে।চার-পাঁচ দানা চাল মুখে ফেলে, চিবিয়ে এক গ্লাস জল পান করে। জামার পকেট থেকে টাকা-পয়সা বের করে হিসেব মিলিয়ে বেড়িয়ে যায় বাজারের দিকে। কোনো কোনো দিন রমলার সাথে রাগা রাগী হয়,হিসেব মেলাতে বসে। রমলাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে,
— পকেট থেকে টাকা নিয়েছে কিনা।
রমলা রাগ দেখিয়ে সোজা বলে দেয়,
— আমারতো কাজ নেই রোজ রোজ ওনার পকেট থেকে টাকা পয়সা সরাতে যাবো।
সেদিন মন মেজাজ ভালো থাকলে বলে,
— তোমায় কত দিন বলেছি, না বলে পকেট থেকে টাকা নেবে না।চোর কোথাকার। দাও ফিরত দাও কতো নিয়েছো দেখি?
আর যদি মন মেজাজ খারাপ থাকে, কোনো কথা না বলে, টিফিন না খেয়ে, রেগে মেগে বেড়িয়ে যায় ঘর থেকে।
তপন আর তাপসী বইপত্র নিয়ে বসে।পাশের বাড়ির শেফালি এসে বলে,
— ও দিদি দুটো কাঁচামরিচ হবে? তোমার দেয়র বাজার থেকে এলো,অথচ কাঁচামরিচ আনতে ভুলে গেছে।
রমলার চোখ আটকে যায় শেফালীর ডান হাতে থাকা দু’গাছা চুড়ির দিকে। ভাবতে থাকে, শেফালীর হাতে আগে দেখেছে কিনা!
— কবে বানালি বলিস নি তো এক বারও ?
— এই তো ও দুদিন আগে এনে দিয়েছে তোমার দেওর। আমি কিছু টাকা জমিয়ে ছিলাম ও কিছু দিয়েছে । কেমন হয়েছে বললে না তো?
— খুব সুন্দর হয়েছে রে। খুব সুন্দর।
মনে মনে ভাবতে থাকে অনেক কিছু। রমলার ভারী সখ, এক গাছা ঝুমকো কানের দুল পড়বে।কবে থেকে ভেবেই চলছে। আজো তা বানাতে পারলো না।ওর কি সে কপাল ! স্বামীর কাছে আবদার করলেই গড়িয়ে দেবে। আবদার যে করেনি তাতো নয়,এ জনমেও ওর সখটুকু পূরণ হবে না। ইমিটেশন এর দুলে কানের লতি কেটে ঝুলে গেছে।আর ভালো লাগে না এসব পড়তে। কিন্তু কি করবে। কি করে পারবে। যে কটা টাকা স্বামীর পকেট থেকে সরিয়ে রাখে তাও জমাতে পারছে না।এমনি কপাল।নানারকম খরচে সে টাকা আর থাকে কোথায়। একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে রমলা।
— খুব ভালো করেছিস। ঠাকুরপো তোর দিকে সবসময় নজর রাখে এটা সেটা দেয় বেড়াতেও নিয়ে যায়। আর আমাদের উনি ….!
— নজর রাখে না ছাই। আমি টাকা জমিয়ে দিয়েছি বলেই ও কিছু দিয়ে এনে দিয়েছে।
— সেটাই বা কম কিসের। তোর দাদা তো সেটুকু করে না। কবে এক জোড়া…….. তা কতো টাকা লাগলো রে ?
২৪ হাজার। সোনার যা দাম হয়েছে আজকাল। কি করে বানাবে বলো ?
কথাটা রমলার বুকে তীর বেঁধার মতো মনের ভিতরে একটা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করে কিন্তু সেটা শেফালীকে বুঝতে দেয় না। অথচ শুনেছে সতীশ ঠাকুরপো প্রায় নাকি তাপসীর বাবার কাছ থেকে টাকা ধার নেয় তাও আবার ফিরত দেয় না সময় মতো। ওদের মাত্র দুজনের সংসার সেটা ঠিক মতো চালাতে পারে না সতীশ।অথচ প্রায় এটা সেটা কেনে, দেখাতে আসে। মাঝে মাঝে ঘুরতে যায়। কি করে পারে !
দোকানের কর্মচারী ছেলেটা বাজার নিয়ে এসে ডেকে বলে,
— বৌদি। বাজার রেখে গেলাম। দাদা বলেছে, ঝাল ঝাল করে চুনো মাছের চচ্চড়ি রাঁধতে। লাউ দিয়ে ডাল আর বেগুন দিয়ে নিম পাতা ভাজা করতে বলেছে।
রান্নার ফরমায়েস শুনে রমলার মাথা গরম হয়।
— তোর দাদাকে বল গিয়ে, দাসী ঝি রাখতে।আমি এসব পারবো না। রোজ রোজ যদি চুনো মাছের চচ্চড়ি নিম পাতা ভাজা খেতে ইচ্ছে হয়। আর কোনো মাছ চোখে দেখিস না তোরা? যেমন দাদা তেমন তার সাকরেদ। বলগে এসে রেঁধে খেতে। ঘুম থেকে উঠে এক দণ্ড বসবার উপায় আছে।আমার কোনো সখ আল্লাদ নেই। শুধু তোদের হাড়ি ঠেলবো বাসন মাজবো তিন বেলা।
তপন – তাপসীর স্কুল যাবার সময় হয়ে গেছে। এখনো রান্না কিছু হয়নি।তপন ডিমের ওমলেট করতে বলেছিল। আলু ভাজা আর ডাল দেখে, মাথা গরম। তেজ দেখিয়ে উঠে পরে না খেয়ে। রমলা চিৎকার করে বলে,
— নবাব পুত্র। ওর রোজ রোজ ডিম ভাজা মাছের ঝোল ছারা মুখে রোচে না।তোর বাবা কে বলিস বড় বড় রুই কাতলা হালি হালি ডিম,দাসী বান্দি এনে রাখতে। খাবি না,না খাবি। যা দেখ গে, কে আদর করে ডেকে খাওয়ায়। বাপ ছেলের হুকুম চলতেই থাকে।
তাপসীর মুখে কোনো কথা নেই। যা পাবে তাই খেয়ে নেবে চুপচাপ। ওরা দুই ভাই বোন স্কুলে চলে যায়। রমলা রান্না শেষে সব কিছু পরিষ্কার করে স্নান সেরে আসে। কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকে খাটের এক কোনে।দুপুর গড়াতে থাকে।জীবন দুপুরের খাবার খেতে আসে। ঘরে ঢুকে রমলাকে এভাবে শুয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করে,
— কি ব্যাপার। এভাবে শুয়ে আছো কেন, শরীর খারাপ করেনি তো ?
রমলা কোনো কথার উত্তর না দিয়ে চুপচাপ উঠে এগিয়ে যায় রান্না ঘরের দিকে।জীবন ভাবে, সকালে চুনো মাছ পাঠিয়েছি বলেই কি….কিন্তু গদাইকে তো জিজ্ঞেস করলাম। ওতো বলল বৌদি রাগ করেনি আরো বলেছে দাদাকে বলিস তাড়াতাড়ি খেতে আসতে। এমন কি হলো যে, এভাবে মুখ গোমড়া করে আছে ! সকালে রাগ হবার মতো তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসে বলে,
— আজ আবার কি হলো তোমার। মুখটা গোমড়া করে আছো কেন ? হয়েছেটা কি ? রমলা কোনো সারা দেয় না।খেতে খেতে জীবন বলে,
— বিকেলে নয়ন জুয়েলারি যাবে,বলে রেখেছি। তোমার যে রকম দুল পছন্দ ওরা বানিয়ে দেবে। একা যেও না মেয়েকে সাথে নিয়ে যেও। আজ হাট বার আমি দোকান ফেলে বেড়তে পারবো না। পরে গিয়ে দেখে নেবো বলে উঠে পরে।
রমলা নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।ঠিক শুনেছে তো! লোকটা যা বলল। হাসবে না কাঁদবে বুঝে উঠতে পারছে না। কোনো রকমে এঁটো বাসনা সরিয়ে রেখে যায়গা মুছে, হাসি মুখে এসে দাঁড়ায় জীবনের সামনে। রমলা কেনো এসেছে সেটা জীবন বুঝতে পেরেও না বোঝার ভান করে ভুরু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করে,
— এর মধ্যে খাওয়া হয়ে গেলো তোমার ?
— না। এখনো খাইনি।একটু পরেই খাবো ওদের স্কুল থেকে আসার সময় হয়ে এলো ওরা আসুক । এক সাথেই খাবো। তোমার ছেলে তো না খেয়ে তেজ দেখিয়ে চলে গেলো।
— কেন, কি হয়েছে বকেছ ?
— কি আবার হবে।তুমি কি তোমার ছেলেকে চেনো না। মাছ ডিম, ছাড়া খেতে পারে না। অথচ কতো গুলো চুনো মাছ পাঠিয়ে দিয়েছো। ওগুলো বেছে কেটে রান্না করতে সময় লাগে না বুঝি ?
— ডিম পাঠাতে ভুলে গেছি। রাতে নিয়ে আসবো।
রমলা স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বোঝার চেষ্টা করে। পাশে বসে জিজ্ঞাসা করে,
— সোনার তো অনেক দাম শুনছি। কত টাকা ভরি?
— সে তো হবেই।তাই বলে কি শখ পূরণ করবে না।
— কৈ এতো দিন তো একথা বলোনি আজ হঠাৎ কি মনে করে…..
— হ্যাঁ বলিনি, তাতে কি এখন বলছি।
— হঠাৎ দরদ উথলে উঠল যে।যাক তাও ভালো। তা,কতোটুকু সোনার মধ্যে বানাতে দেবো সেটা তো বললে না।একটু শক্তপোক্ত করে না বানালে কি ভালো হবে। তাছাড়া মেয়ের বিয়েতে এটাই দিয়ে দেবো বার বার বানানো তো সম্ভব না। কি বলো ?
— আগে যাও কেমন ডিজাইনের বানাবে পছন্দ করো ওরাই বলে দেবে কতোটা সোনা লাগবে।
— তুমি একটু সময়ের জন্য গদাইটাকে দোকানে বসিয়ে আসতে পারবে না?
জীবন বিছানা ছেড়ে উঠে বসে।
— উঠে পড়লে কেন আর একটু বিশ্রাম করো।
— না। দেরি করলে হবে না, খরিদ্দার বসে থাকবে।
খুশিতে আটখানা রমলা। ও ভাবতেও পারেনি। আজ কার মুখ দেখে উঠেছে ঘুম থেকে। আবার এই ভেবে মন খারাপ করে, সকালে চুনো মাছ পাঠিয়েছে বলে শুধু শুধু লোকটাকে কতগুলো কথা শোনালো। গাদাই কি সেগুলো আবার বলে দিয়েছে নাকি! রাতে খেতে বসে জীবন জিজ্ঞেস করে-
— পছন্দ মতো ডিজাইন দেখে নিয়েছো তো। পরে আবার বলো না, কি বানালে পছন্দ মতো হয়নি।
— তুমি যেতে পারলে আরো ভালো হতো। ওরা একটা ডিজাইন দেখালো, খুব সুন্দর আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু … স্যাকরা বলল ওটার দাম নাকি অনেক হবে, তাই অন্য রকম পছন্দ করলাম।
— তুমি ওদেরকে যে ডিজাইন দেখে দিয়েছো সেটা কি তোমার পছন্দ হয়নি।
— পছন্দ হবে না কেন। তবে ওরা যেটা দেখালো ওটাই আমার বেশী পছন্দের। ওরা বলল অনেক দাম হবে তাই….
— আচ্ছা। দেখছি।
— থাক। অতো বেশি দাম দিয়ে বানাতে হবে না। একটা হলেই হলো। অনেক দিনের শখ তাই…. সামনেই আবার ছেলে মেয়ের স্কুলের জন্য টাকা লাগবে। এখন এতো টাকা খরচ হয়ে গেলে …..
— হুঁ। ঠিক আছে দেখছি ওদের সাথে কথা বলে।
জীবন বুঝতে পারে রমলার মন মতো হয়নি শুধু টাকার কথা ভেবেই পিছিয়ে গেছে। নিজেও তো অনেক দিন আগে থেকে ভেবে রেখেছে রমলার শখ পূরণ করবে কিন্তু পেরে উঠছিল না। সামান্য ব্যবসা করে।ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চাইলেও তো সব শখ পূরণ করে উঠতে পারেন না।এতো বছর ব্যবসা করেও তো তেমন কিছুই করতে পারছে না। করোনার পর থেকে বর্তমানে বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে ওর মতো অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীর পক্ষে ব্যবসা চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি, ডিলার ডিস্ট্রিবিউটার, এমন কি বাজারের বড় ব্যবসায়ীর সাথে ধারে লেন-দেন প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। যার ফলে নগদে কারবার করে তেমন কিছু লাভের মুখ দেখা যায় না। অথচ দিন দিন খরচ বেড়েই চলছে। এবার যখন একটা সুযোগ পাওয়া গেল বেশ কিছু অঙ্কের টাকা বাড়তি লাভ হয়ে হাতে এলো, অবশ্য এর জন্য মনে মনে ধন্যবাদ জানায় বাজারের বড় ব্যবসায়ী লতিফ মিঞাকে। উনি যদি বুদ্ধি-পরামর্শ না দিতেন মাল কেনা বেচার ব্যাপারেও সাহায্য না করতেন তাহলে ওর পক্ষে এতো গুলো টাকা লাভ করা সম্ভব হতো না। লতিফ মিঞা এমনিতে লোকটা ভীষণ ভালো পর উপকারী, সবসময় পাশে থাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।ওর কাছে হিন্দু মুসলমান বলে কোনো বাদ বিচার নেই হিন্দুদের যে কোনো পুজো পার্বণে নিজেই এগিয়ে এসে সহযোগিতা করে। ওর একটাই কথা আমরা মানুষ একে অপরের জন্য। এর থেকে বড় কিছু নেই।
[Online Bengali Story Reading]
সেদিন সতীশের বৌ কাঁচালঙ্কা নেবার নামে করে চুড়ি দেখিয়ে গেছে কথাটা রমলা না বললেও, ও জানতে পারে। তারপর থেকে দেখছে রমলার মন ভালো না। আগে যেমন পকেট থেকে না বলে দু চার টাকা নিতো এখন কয়েক দিন তা নিচ্ছে না। বাজার সদাই নিয়েও কিছুই বলে না।কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকে। জীবন সব বুঝতে পারে,তবু কিছু বলে না। মাঝে মাঝে নিজেকে খুব ছোট মন হয় রমলার সামনে। কোনো কিছুই তো দিতে পারেনি ওকে। অবশ্য ও যখন তখন এটা- সেটা চেয়েও বায়না করেনি, করেও না। এক জোড়া কানের ঝুমকো দু’বছর আগে চেয়েছিল।দেবো দেবো করেও দেওয়া হয়ে ওঠেনি। আজ যখন সুযোগ এসেছে তখন ওর পছন্দের টাই দেবে।
আজ স্যাকরা দোকান থেকে ঝুমকো জোড়া আনার কথা। রমলার মনের মধ্যে খুশির ঝড়। শেষে এত বছর পরে ওর স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। কি বলে যে তাপসীর বাবাকে ধন্যবাদ জানাবে ভেবেই পাচ্ছে না।এই ভেবে শান্তি পায়। নতুন অবস্থায় নিজে কটাদিন পড়ে যত্নে তুলে রাখবে,মেয়ের বিয়েতে মেয়েকে উপহার হিসেবে দিতে। সকালে তাপসীর বাবা বলে গেছে দুপুরে খেতে আসার সময় নিয়ে আসবে। নানান কথা ভাবতে ভাবতে বেশ বেলা হয়ে যায় তাড়াতাড়ি রান্না সেরে সমস্ত পরিষ্কার করে স্নান সেরে এসে নতুন শাড়ি পড়ে কপালে সিঁদুর ছুঁইয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। হঠাৎ যেন ওর মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠে দু চোখে অন্ধকার দেখে অসম্ভব পেটে ব্যথা শুরু হয়। তপন খবর দিতে ছুটে যায় দোকানে।
সন্ধ্যায় ডাক্তার ডি কে সেন এসে দেখে দুটো টেষ্ট করার কথা লিখে দেয়।পরের দিন টেষ্ট রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানায় আর একদিন এক মুহূর্ত দেরি করা যাবে না প্যানক্রিয়াটাইটিস সমস্যা। গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগে ভর্তি করা জরুরী। ডাক্তার ডি কে সেনের রেফারেন্সে রমলাকে ভর্তি করা হয় বড় নাম করা বেসরকারি হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের ডাক্তার এম কে নাথ এর আন্ডারে।ডাক্তার আসে(হাউজ ষ্টাফ) রুগী দেখে এটা সেটা টেষ্ট লিখে দেয়। বড় ডাক্তারের দেখা মেলে না।একবার মাত্র দেখে গেছে। সেলাইন, ইনজ্যাকেশন, গাদা গাদা ওষুধ, প্রতি দিনের বেড ভাড়া, বড় ডাক্তারের মোটা অঙ্কের ভিজিট, এসব চলতে থাকে টানা সাত দিন।দেখা দেয় জন্ডিস হাই লেভেলের বীলুরবিন। আশ্চর্য বিষয় যে কিছুতেই বীলুরবিন নামাতে পারছে না। পায়খানা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। চলতে থাকে টানাপোড়েন। প্রায় শেষ সময় কয়েকজন ডাক্তার মিটিং করে। পেসেন্ট ঢুকিয়ে দেয় আই-সি-ইউতে। বাধ্য হয়ে জীবনকে সই করতে হয় হাসপাতালের শর্তাবলীতে। মোটা অঙ্কের টাকা জমা করতে হয় ক্যাশ কাউন্টারে। ডাক্তার, হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের লোভ, গাফলতি আর এসব নিয়ে প্রতিবাদ করা লড়াই করার ক্ষমতা আজ এ পোড়া দেশের কজন মানুষ করতে পারে, পেরেছে ? দশদিনের চেষ্টাতেও শেষরক্ষা করতে পারে না।
গৌতম তালুকদার | Goutam Talukder
Padma besha | পদ্ম বেশ | অভিজিৎ পাল
Masi maa | মাসিমা | প্রদীপ মণ্ডল
Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান
Tahiya lagi besha | তাহিয়া লাগি বেশ | অভিজিৎ পাল
Online Bengali Story Reading 2023 | Top Online Bengali Story Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | World’s Famous Bangla Golpo Online Reading | Pdf Bangla Golpo Online Reading | Natun Online Bengali Story Reading | Full Bangla Golpo Online Reading | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English |Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bangla Galpo online | New Live Bengali Story | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Online Bengali Story Reading Video | Horror Live Bengali Story | New Bengali Web Story Audio | New Online Bengali Story Reading | Bangla Golpo Online Reading Netflix | Audio Bangla Golpo Online Reading | Video Online Bengali Story Reading | Shabdodweep Online Bengali Story Reading | Online Bengali Story Reading Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trending Bangla Golpo Online Reading | Recent Online Bengali Story Reading | Top Live Bengali Story | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | Famous Online Bengali Story Reading | Bengali Famous Story in pdf | Golpo Dot Com Download | Online Bengali Story Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Online Bengali Story Reading mp4 | Online Bengali Story Reading Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Online Bengali Story Reading in pdf | Live Bengali Story – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Collection Bangla Golpo Online Reading