New Mukto Gadya | Best Collection 2023

Sharing Is Caring:

জীবিজ সরণ যন্ত্রণায় – স্বপন নাথ

প্রিয় কণ্ঠ,

একটু জল তুলসী নিই। একটু স্পষ্ট কথা হোক। কিংবা চেটো চ্যাপ্টায় মরিচ বেটে একটু মধু নিই মুখে। ল্যারিংস ফ্যারিংস সমূহ একটু স্বস্তি বোধ করুক। কিম্বা জষ্ঠিমধু রাখো মুখে। বনৌষধি গুণাগুণে সবল হোক গলা।

আমাদের শিবরাত্রির সলতে (অভিভাবক) শ্রীযুক্ত শঙ্খ ঘোষ আর নেই; যে বলবে –“কে চায় সুন্দর কথা আরো/দু একটা সত্য শুধু বলো”1।

তুমি কিছু বলো কণ্ঠ? কে আর বলবে, তুমি ছাড়া? একা শঙ্খ নাই হতে পারো! বহু গলা একত্র হয়ে শঙ্খ হয়ে বাজো। বাজো, ভীম নিনাদে বাজো —।

বড় মিস করছি তোমায়। কোথায় আছো? কী করছো? আশেপাশে শব্দও উঠছে না কোনো। অনেকটা কী দূরে সরে গেছো? নাকি বয়সের ভারে ন্যুব্জ? গলা বসে গেছে? নাকি স্বার্থের ঝোল টানতে টানতে পুরো গলাটাই অভিসন্ধিময়! বুঝতে পারছি না।

ডারউইনের “সারভাইভ্যাল অফ দ্য ফিটেস্ট”2 –এ কোথায় নিয়ে গিয়ে ফেললো তোমায়? কোনো দিক থেকেই তো অমানুষের মতো দেখাচ্ছে না। বেশ ভদ্র সভ্য বেশ! শরীরী চড়াই উতরাইয়ের খাঁজে খাঁজে গ্রস্ত উপত্যকা প্রকৃষ্ট প্রদর্শ। সংহিতা যোজক। মেপে কথা। আপাত সঙ্গত।

কিন্তু খুব সন্তর্পণে টের পাই কোথাও না কোথাও আণ্ডার উইয়ার লিঙ্ক। সমঝোতা।

হতে পারে বিভা মেলে ধরা। প্রতিভা ছিটকে ছিটকে পড়া। একটা কীট ও তো চায় তার ডানার উদ্ভাস হোক। বিস্তার হোক সীমা। আর মানুষ! সে তো সর্বোৎকৃষ্ট জীব। দণ্ড মুণ্ডের কর্তা। তার চাওয়াতে দোষ? হতেই পারে না।আরো আরো উদ্ভাস হোক। আভা হোক বনময় — মনোময় —।

তা বলে এতো এঁড়েলিপনা! হিংসা! ক-দিন থাকবি রে বাবা! স্বল্পয়ে জীবদ্দশাতেই বুকে গজাল পুঁতে দিবি!

জীবনানন্দ বলেছিলেন “সৃষ্টির মনের কথা মনে হয় দ্বেষ “3। জার্মান দার্শনিক লোথার ল্যুৎসে বলেছিলেন “মানুষ সবচেয়ে বাজে ব্যাসিলাস”4। কিন্তু মানুষ সম্পর্কে এমন ঘৃণাবাদ মানতে পারেননি তিনি। তিনি বিজ্ঞানী ই হেকেল;—- “অনটোজেনি রিপিটস্ অফ ফাইলোজেনি”5 র প্রবক্তা।

অনুসন্ধান করলেন ঊনিশ বছর। সত্য কী? মানুষ কী? এই তাঁর অন্বেষণ। অবশেষে ম্যাথামেটিক্যালি প্রুডভ্ করলেন -“মানুষ সবচেয়ে বড় স্বার্থপর প্রাণী”6। কিন্তু নিজের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে ও মান্যতা দিলেন না তিনি। কারেকশান মেথডে চললো আরো গবেষণা। আরো সতেরটা বছর। কিন্তু উত্তর একই।

“এ জীবন লইয়া কী করিব7”–বঙ্কিমের এই প্রশ্নের উত্তর সাধক স্বার্থপরতাকে মেনে নিতে পারলেন না। নিজেকে নিয়ে গেলেন ডাস্টবিনে।আর নরুন দিয়ে হাতের শিরা কেটে হত্যা করলেন নিজেকে। এবং স্বীকারোক্তিতে আগেভাগেই লিখে রাখলেন, — “তথাকথিত শিক্ষিতরা যেন তাঁর মৃতদেহ স্পর্শ না করে। কেননা শিক্ষিতদের সজ্ঞান ভণ্ডামি অসহ্য8″।
তারই সার্থক উত্তরসূরি নাট্যাচার্য শম্ভুমিত্র এবং কবি শ্রীযুক্ত শঙ্খ ঘোষ।

তারপর সবই নিষ্প্রভ!

তুমি একটু কথা বলো কণ্ঠ? তোমার দ্যোতনার ডাক চরাচর চষে ফেলুক। তুলে আনুক নতুন ধান্যক্ষেত্র।

আপোস করতে করতে পাপোষ ব’নে যাওয়া, তোমাকে মানায় না কণ্ঠ! হতে পারে পদন্নোতি সংক্রান্ত সন্তর্পণ। হতে পারে ক্যাটাগরি সঙ্গত খেয়ালি বিমোচনবাদ। কিংবা পুতুপুতু রসকলি সহবস্থান। অথবা ধর্মীয় ষাঁড়ের আস্থাভাজন; সামাজিক স্বীকৃতির প্রমাণ। কিংবা
নিছকই জীবনানন্দীয় শ্লাঘা -“ধরা যাক দু-একটি ইঁদুর এবার9″। অর্থাৎ ঘুঘু দেখেছ,ফাঁদ দেখনি -গোচের। তাই ফাঁদ পাতার কৌশল!

ফাঁদে ফেলে নিরোর বাঁশি বাজানোয় রোম নগরীর উপকার দেখিয়েছে কী ইতিহাস? কিংবা ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে কুরুক্ষেত্র; বিবাদমান দুই ভাই, কেউ কী পেরেছিল স্থাপনা সংশয় জয় করতে! মানে মানবীয় শৌর্যের পীনোন্নত প্রতিষ্ঠা?

আসলে ঐ যে “সিসিফাস10”; তার কাছে মানবতা হলো জগদ্দল পাথরের গোলীয় চাঙর পর্বতের গা বেয়ে খাড়াই ঠেলে ঠেলে তুলে শীর্ষে স্থাপন। সবদিক থেকে সমভাবে প্রযুক্ত বল সম্মিলিত ভাবে ভার লাঘব করবে তার। কিন্তু তা সম্ভবপর নয়। বহুভাষিক বহুরৈখিক ও বহুমাত্রিক চেতনার বহুস্বর একই বিন্দুতে মিলিত হতে পারা দুরূহ কাজ। মেটাফিজিক্স বলছে দুটি বস্তু একই সময়ে একই স্থান দখল করতে পারে না।
সুতরাং অসম্ভবপর জেনেও; পড়ে যাবে জেনেও চেষ্টাটুকু চালিয়ে যাওয়া। লিনিয়ার ডিসস্ট্যান্সে সন্তুষ্টি রেখে সাম্যাবস্থা বজায় রাখা । এরই নাম মানবতা।

সেই চেষ্টার স্ফুরিত কণ্ঠ, কোথায় গেল তোমার ? মানবীয় শৌর্যের মধ্য গগন থেকে উত্তরায়ণে ঢলে গেছ নাকি? নাকি তেরছা আলোয় ছায়াময়ী শীতলতাটুকুকে ও সরিয়ে ফেলেছ দূরে? নাকি খর প্রহরের ভার্টিক্যালি লাঞ্ছনা রোদ পায়ের তলায় দাবিয়ে দিয়েছে আপাদমস্তক?

আকুলি বিকুলি করছো উঠে দাঁড়াতে। কিন্তু পারছো না। চলতেও চায়ছো। কিন্তু অপারক। অবলম্বনহীন —।
হু হু কেঁদে ফেলছো —! রক্ত ক্ষরণ! ক্ষরণ মনোজাত পাপবোধে —-!

বেশ, তবে চলো; শেকড়ের সন্ধানে। কিন্তু কোথায় সেই শেকড়? তা কি থাকে জাতি সত্ত্বার অন্দরে?

তুমি তো জানোই কণ্ঠ; জাতিসত্তা জন্ম দেয় আচরণ সর্বস্ব ধর্মের। অর্থাৎ রিলিজিয়নের। এবং রিলিজিয়নিজিম ভেদাভেদের প্রাচীর ছাড়া আর কিসের জন্ম দেয় কণ্ঠ?

ইতিহাস কী বলে?

কত রক্ত! কত কান্না! কত হত্যা! কত ধ্বংস! কত না মা বোনের বে-আব্রু অসম্মান! এত আত্মক্ষয় পরিয়ে এসেও তুমি কণ্ঠ : নির্লজ্জ সাক্ষীর মতো উদাসীন! রিচ্যুয়ালিটিরই পৃষ্ঠপোষক, আজো?

বলা হচ্ছে, রিচ্যুয়ালিটিই নাকি স্পিরিচ্যুয়ালিটি বা আধ্যাত্মবাদের প্রাথমিক সোপান। সেই স্পিরিচ্যুয়ালিটির অর্জন কী অভ্যাস দ্বারা আয়ত্ত করা সম্ভব? তা যদি হতো; তবে, মানুষের ঘরে ঘরে ধর্মীয় কৃচ্ছসাধনের যে ঘটা;তাতে কৃষ্ণ, বুদ্ধ, মহাবীর, খ্রিষ্ট, হজরত মহম্মদ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ ঘরে ঘরে উপচে পড়ার কথা। কিন্তু তা হয়েছে কী?

কাজেই “অভ্যাস নামক পোষা পশুর সেবা”– করতে করতে “সোনার গাছে চেয়েছিলে হীরের ফুল; সোনা নিয়েছে ডাকাতে; হীরেগুলো সব অঙ্গার11″।
কাজেই ধর্মাত্ত্ববাদ ও অধ্যাত্মবাদের মধ্যে যত মাহত্মই থাকুক না কেন তা উৎপল দত্তীয় “আফিম 12” ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং আফিম মানেই ক্যান্সার; তা বর্জনীয় হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।

তুমি কী আবুল ফজলের কথাগুলো ভুলে গেলে কণ্ঠ? “পরকালের অনস্তিত্ববাচক অলৌকিককে মর্ত্যলোকের লৌকিকে স্থাপন করলে মুহূর্তে সেই বেরোধ হয়ে ওঠে বারুদ12″।

বিভেদন বিস্ফোরক থেকে তুমি ফিরে এসো কণ্ঠ। অনিবার্য ধ্বংস থেকে ফেরাও আমাদের।ফিরে এসো ফলিত বিজ্ঞানে। রবীন্দ্র দর্শনে।

ভুলে গেলে ‘রক্তকরবীর রঞ্জনে’? ‘যক্ষপুরী’র সর্দারের শয়তানি ভুলে গেলে নাকি?– “চলতেই বা দেব কেন? আমরাই চালিয়ে নিয়ে যাবো13″।

রবীন্দ্র দর্শনের সার্ধশত উত্তরায়ণের আলো প্রজ্ঞান রোভর্সকেও চালিয়ে নিয়ে গেল। এভাবেই কী আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি গ্রাস কর নেবে মানব মস্তিষ্ক?
সেই সংশয়াকীর্ণ উত্তরণই তো রঞ্জন। সে প্রসঙ্গ এখানে থাক।

আপাতত জ্যোতিরীন্দ্র মৈত্রর কথা মতো “মেরুদণ্ডহীন
মানুষগুলিকে সম্মান করে,
ঘৃণা করে আর হিংসা করে,
নগ্ন নগণ্য যে সন্ধ্যাকে পাই “14 —- তাকে বরণ করে নেওয়া ছাড়া সিদ্ধির বুনিয়াদি কারবারির করার কিছু নাই!

তাহলে কী বুঝলে কণ্ঠ? রঞ্জনের মৃত্যুই ভবিতব্য! রঞ্জন মানেই রাষ্ট্রযন্ত্রের কোপে বলি! রঞ্জন মানেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় ফাঁসির দড়ি!
তা স্বত্বেও তোমাকেই তো আসতে হবে কণ্ঠ। তুমি না এলে, বিপ্লব আনবে কে? পাপে পঙ্কিল কবওয়েবি যক্ষপুরীতে আলো ফেলবে কে?

কবওয়েবি স্তরান্তরে মজুত দলতন্ত্রের মূর্তিমান সর্দার। তোমাকে নিয়েই যাবে গোঁসাইয়ের কাছে। কিংবা ফৌজির থাবায়। কেননা সাধারণের মন্ত্র নেওয়ার কান তো তৈরি করবে ওরাই।

যে দিকেই হাত বাড়াও গোঁসাই। কত রং ঢং।ছলা কলা। হেসে কথা। কেঁদে কথা। রাধা রাধা বাঁশি বাজা কথা। কৃষ্ণ বিরহে বিরহিণী কথা। হাই ধরে হাই ধরে ঘাই মারা তঞ্চকতা কথা। তোমাকে মন্ত্র নেওয়ার মতো কান তৈরি করলো বলে! কাজ না হলে ফৌজির চাপ।

গোঁসাইজীর কথাগুলো ভুলে গেলে কণ্ঠ? “ফৌজির চাপে অহংকারটা দমন হয়; তারপরেই তো “15 গোঁসাইজীর কৃতসখা কথা। দাস্য সখ্য কথা। তুমি কী সেই দাস্যতায় নেমে গেলে সখা? নাকি সখ্যতায়? মানে “প্রভুর সঙ্গে প্রভু মিলায়ে যায় ” – অর্থাৎ প্রভুর পা চাটা অন্ধ কীটাণুর সঙ্গতিতে দাসানুদাস? তাই নির্বিকার!চুপচাপ! প্রভুর পা ছাড়া “দূরে তাকিয়ো নাকো / ঘাড় বাঁকিয়ো নাকো / চলো সরল পথে/চলো সমান পথে ” 16 — মানে শাসকের নির্দেশিত পথে। শাসকের শৃঙ্খল যেখানে প্রাণের আরামটিকে পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে! চলো সেই “তাসের দেশে”।
এবার ভেঙে পড়ার পালা।হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে সব। ভেঙে তো যাবেই;

হে প্রিয় কণ্ঠ, ইহকালের মানব সন্তান; পরকালের গর্ভ কোরকে জীবিজ সরণ যন্ত্রণায় এভাবে “কীটাণুর চালে চলা “17– তোমাকে মানায় না। এবার শ্রাবণে ভেজো। এসো,”রঞ্জন” থেঁতলে যাচ্ছে মাটিতে কাদায়। ওকে ডেকে তোলো। একটু জল তুলসী নাও। কিংবা চেটো চ্যাপ্টায় মরিচ বেটে একটু মধু। যাতে গলাটা পরিষ্কার হয়।

স্বপন নাথ | Swapan Nath

Bangla Prabandha Rachana | মনের কুলুঙ্গিতে আমার ভিক্ষে মায়ের স্মৃতি | New 2023

Adrishya Alor Poth | অদৃশ্য আলোর পথ | কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | Top New 2023

100 questions and answers about Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

Pralambasura badha besha of Jagannath | প্রলম্বাসুর বধ বেশ | অভিজিৎ পাল

New Mukto Gadya Reading | Top Bangla Golpo Online Reading | New Mukto Gadya | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Famous Story – Read Online Bangla Galpo | Pdf New Mukto Gadya | New Mukto Gadya Reading App | Full New Mukto Gadya | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | New Mukto Gadya in English | New Mukto Gadya Ebook | Full Bangla Galpo online | Read Online Bangla Galpo 2023 | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | New Mukto Gadya Video | Story – Read Online Bangla Galpo | New Mukto Gadya Audio | New Bengali Web Story Video | Read Online Bangla Galpo Netflix | Audio Story – New Mukto Gadya | Video Story – New Mukto Gadya | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trending New Mukto Gadya | Recent story Read Online Bangla Galpo | Top New Mukto Gadya | Popular New Mukto Gadya | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep New Mukto Gadya | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Read Online Bangla Galpo Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Read Online Bangla Galpo mp4 | Read Online Bangla Galpo Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Bengali Story – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Story Collection – Read Online Bangla Galpo | Modern bangla golpo reading pdf free download | Modern bangla golpo reading pdf download | Modern bangla golpo reading pdf | Modern bangla golpo reading in english pdf | Modern bangla golpo reading in english | Modern bangla golpo reading book pdf | choto golpo bangla

Leave a Comment