Netaji Gumnami Baba | Subhas Chandra Bose Secrets

Sharing Is Caring:

গুমনামি’র নেতাজী: রহস্যের কলহ – ড. নজরুল ইসলাম মণ্ডল

২০১৯ সালে ভারতে মুক্তিপ্রাপ্ত সমস্ত সিনেমার মধ্যে বিশেষ একটি হল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্যকে কেন্দ্র করে সৃজিত মুখার্জী নির্মিত ‘গুমনামি’। হিন্দি ‘গুমনামি’ শব্দের বাংলা অর্থ হল ‘নাম গোপন রাখা’, আরো স্পষ্ট করে বলতে হয় ছদ্মবেশ ধারণ করা। আমাদের বাংলা সাহিত্যে ও সমাজে এই ছদ্মবেশ ধারণ করার একাধিক চটকদারী নমুনা আছে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে দেবী চন্ডীকে দেখেছিলাম সুন্দরী রমণীর ছদ্মবেশ ধারণ করে কালকেতুর স্ত্রী ফুল্লরার সামনে হাজির হতে। আজকের যুগে আবার সরকারী আমলাদের মধ্যে দেখি অপরাধচক্রের আসামীদের পাকড়াও করার কাজে ছদ্মবেশীর ব্যবহার করতে। যাইহোক যখন শুনেছিলাম নেতাজীর মৃত্যুরহস্য নিয়ে একটা সিনেমা হতে চলেছে যার নাম হল ‘গুমনামি’; তখন আমার মনে হয়েছিল নেতাজী যেহেতু ছিলেন গান্ধীজীর মতাদর্শ বিরোধী চরমপন্থী, সেহেতু বোধহয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ‘নেতাজীর গুন্ডামী ও ফলশ্রুতিতে মৃত্যু(!)’ –কে ইঙ্গিত করেই বোধহয় এই সিনেমা! এই শব্দ সাদৃশ্যে অর্থের ভ্রান্তি বোধহয় বাঙালির সহজাত, আমিও যে তার ব্যতিক্রম নই; সেকথা ঠারে ঠারে টের পেয়েছিলাম স্টার থিয়েটারের দর্শকাসনে বসে।

সিনেমাটির কাহিনী মোটামুটি এইরকম- বলা হয়ে থাকে ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমান বন্দরে একটি বোমারু বিমান ওড়ার সময়ে আকস্মিক দুর্ঘটনায় বিমানের আরো কয়েকজনের সঙ্গে নেতাজীরও মৃত্যু হয়। এই নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের নানা মতের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়ে মতবিরোধ। কেউ কেউ মনে করেন নেতাজীর মৃত্যু হয়নি; বিমান দুর্ঘটনা হল একটি সাজানো ঘটনা। আসলে তুমুল অকৃত্রিম জনপ্রিয়তার কারণে তৎকালীন ইংরেজ সরকার ও জওহরলাল নেহেরুদের ঈর্ষায় রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু; তাই নেতাজী যখন সোভিয়েত রাশিয়ার কাছে সাইবেরিয়াতে বন্দী অবস্থায় ছিলেন, তখন তাঁকে চক্রান্ত করে হত্যা করা হয়। এমনও একটি জোরালো মত প্রচলিত আছে যে, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে এক গুমনামি বাবার আবির্ভাব হয়, যার ঘরে নেতাজীর কর্মকান্ডের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় এমন অনেক চিঠিপত্রের পাশাপাশি খোদ নেতাজীর পরিবারের বিভিন্ন ছবিও পাওয়া যায়, অতএব স্বাধীনতা পরবর্তীকালে নেতাজী গুমনামি বাবা হিসাবেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এমন হাজারো মত নিয়ে চুলচেরা রাজনীতি থেকে শুরু করে সরকার, কোর্ট-আদালতের মাথার ঘাম পায়ে ফেলার অন্ত নেই। নেতাজীর অন্তর্ধানের রহস্য উন্মোচন করতে ও মূলত গুমনামি বাবাই নেতাজী ছিলেন কিনা তা প্রমাণ করতে সরকারি উদ্যোগে তিন তিনবার গঠিত হল কমিশন ও কমিটি। প্রথম কমিটি বসে ১৯৫৬ সালে জওহরলাল নেহেরুর আমলে, যার নামকরণ করা হয় ‘শাহনওয়াজ কমি্টি’, এরপর ১৯৭০ সালে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে বসে ‘খোসলা কমিশন’ এবং সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ‘মুখার্জী কমিশন’। প্রথম দুই শাহনওয়াজ কমিটি ও খোসলা কমিশন জানায় বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছিল, তবে মুখার্জী কমিশন কিছু তথ্যকে সন্দেহের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গুমনামি তত্ত্বকে সম্পূর্ণ স্বীকার না করলেও তাইহোকুতে নেতাজীর মৃত্যুকে পুরোপুরি অস্বীকার করে দেন। প্রসঙ্গক্রমে মনে রাখা ভালো শাহনওয়াজ কমিটির প্রধান তিন সদস্যের অন্যতম স্বয়ং নেতাজীর ভাই সুরেশচন্দ্র বসু শেষমেশ নিজের অবস্থান বদল করেন। যিনি ‘নেতাজীর তাইহোকু বিমান বন্দরে মৃত্যু ও টোকিয়র ‘রেনকোজি’ মন্দিরের অস্থিভস্ম নেতাজীর’ এমন মতের সপক্ষে তিন পৃষ্ঠার খসড়া রিপোর্টে সই করলেও চূড়ান্ত রিপোর্টে সই করতে রাজী হননি। সুরেশচন্দ্র বসুর মত ছিল নেতাজীর মৃত্যু ও বিমান দুর্ঘটনা দুই-ই মিথ্যা; যা ১৯৫৬ সালের ৩রা আগস্ট সংসদ ভবনে শাহনওয়াজ কমিটির রিপোর্টের পাশাপাশি পেশ করা হয়। ১৯৭০ সালে খোসলা কমিশনের প্রধান জি ডি খোসলা শাহনওয়াজ কমিটির রিপোর্টকে পুনরুচ্চারণ করলেও জানিয়ে রাখেন, ‘নেতাজীর এক অনুরাগীর দাবী ১৯৫৬ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর সোভিয়েত সেনার এক অফিসার সুভাষচন্দ্র বসুকে ক্রেমলিন যেতে দেখেন, তিনি আরও জানান যে এক সাংসদের দাবী যে, সুভাষচন্দ্র বসু সাইবেরিয়া জেলের ৪৫ নম্বর সেলে রয়েছেন’। পরবর্তীকালে অ্যালফ্রেড ওয়াগ নামে শিকাগোর এক সাংবাদিক জানান ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ এর তিনদিন পর তিনি সাইগন এ নেতাজীকে দেখেছিলেন। সংশয়ের দানা আরো বাঁধতে থাকে যখন ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাজী পরিবারের উপর আলাদা নজরদারী চালানোর কথা সর্বসমক্ষে আসে। এরপর নেতাজীর মৃত্যু রহস্য অনুসন্ধানের কাজে ১৯৯৯ সালে গঠিত হওয়া মুখার্জী কমিশন তাঁদের রিপোর্ট ২০০৫ সালে জমা দিয়ে জানায় যে ‘সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে তবে বিমান দুর্ঘটনায় নয়। এমনকি জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা অস্থিভস্মও নেতাজীর নয়।’ মুখার্জী কমিশন আরও জানায় ‘১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহোকু বিমানবন্দরে কোনও বিমান দুর্ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। কেননা তাইওয়ান সরকারের রিপোর্ট বলছে ১৯৪৫ –এ কোন বিমান দুর্ঘটনার প্রমাণ নেই, তৎকালীন খুব কাছাকাছি বিমান দুর্ঘটনা ছিল ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।’ মুখার্জী কমিশনের মনোজকুমার মুখোপাধ্যায় এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনও যুক্তি দেন যে, আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু হচ্ছে ৭০-৮০; কিন্তু আমি যখন কাজ শুরু করি তখন নেতাজীর বয়স হওয়া উচিৎ ১০৫ বছরের অধিক। অতএব এই বয়সে লোক সাধারণত বাঁচেনা। অতএব ধরে নেওয়া যেতে পারে নেতাজী মারা গেছেন।’ আর এইসমস্ত হাজারো বিতর্কের সমাধান করতে গবেষণার প্রোজেক্ট –এ নেমে পড়ে চন্দ্রচূড় ধর নামে এক গবেষক ও তাঁর দল। দিন-রাত-মাস-বছর হাড়মাস কালি করে তাঁরা যে যুক্তিপূর্ণ সম্ভাব্য সমাধানের রিপোর্ট বার করে তা জন্ম দেয় আর এক বিতর্কের। যদিও শেষমেশ সরকারী হস্তক্ষেপে তাঁদের গবেষণার রিপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়; কিন্তু এই গবেষণা-ই নেতাজী রহস্যকে আমজনতার দরজায় পৌঁছে জন্ম দেয় আর এক বিতর্কিত প্রশ্নের। প্রশ্নের মধ্য দিয়েই যেন সাধারণের নেতাজী ফিরে সাধারণ মানুষের দরবারে।

প্রশ্ন হল নেতাজী কি সত্যিই গুমনামী বাবা ছদ্মবেশে ভারতে ফিরে এসেছিলেন? ১৯৯৯ সালে মুখার্জী কমিশন গুমনামী বাবা সন্দেহকে খতিয়ে দেখতে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে গিয়ে গুমনামি বাবার ব্যবহৃত প্রায় তিন হাজার সামগ্রীর মধ্যে ৮৭০টি সামগ্রী পরীক্ষা করে। যার মধ্যে ছিল- নেতাজীর বাবা জানকীনাথ বসু ও মা প্রভাবতীর বাঁধানো ছবি, ভাইবোন দের সঙ্গে নেতাজীর ছোটবেলার ছবি, ৩টি হাঁফ-বেন্ট ডাবলিন ধূমপানের পাইপ, জার্মানি ও ইতালির সিগার, গোল ফ্রেমের চশমা, দূরবীন, রোলেক্স অয়েস্টার পার্পেচুয়াল ঘড়ি, স্পূল ক্যাসেট টেপ রেকর্ডার, পোর্টেবেল বেলজিয়াম টাইপ রাইটার, রেডিও, ভারতীয় রাজনীতির উপর লেখা অজস্র বই এবং স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী বহু সংবাদপত্রের সংগ্রহ। যদিও হিন্দি দৈনিক ‘জনমোর্চা’ ২রা নভেম্বর ১৯৮৫ সালে তাঁদের পাতাতে জানায়, যে গুমনামি বাবা কখনই নেতাজী ছিলেন না। তাঁর আসল নাম ছিল কৃষ্ণদত্ত উপাধ্যায়। গায়ত্রী ভবন আশ্রমের পন্ডিত ব্রহ্মদেব শাস্ত্রীকে খুন করার পর তিনি উধাও হয়ে গিয়েছিলেন এবং পরে গুমনামি বাবার ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তবে গুমনামি বাবা যে সত্যিই কেডি উপাধ্যায় ছিলেন এমতের যথাযোগ্য যুক্তি ও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। ইন্টারনেটে Roar Bangla আবার জানাচ্ছে নেতাজীর দাদা সুরেশচন্দ্র বসু সুনীল ও সুরজিৎ বাবুদের দায়িত্ব দেন নেতাজী সন্ধানলাভের আশায়। ১৯৬২ সাল নাগাত তাঁরা নাকি ফৈজাবাদে নেতাজীর সন্ধান পান। অনেক নিয়মের মধ্য দিয়ে চলে একসময় তাঁরা গুমনামী বাবার সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন, আড্ডা দিতেন। যেখানে নাকি গুমনামী বাবা একবার রাজনৈতিক আলোচনার ফাঁকে ভবিষ্যৎদ্বানী করে বলেছিলেন যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবে। হাজারো কঠোর নিয়মের মধ্যে সেইসব সাক্ষাৎ হলেও একবার সুরজিৎ বাবু নিজের লোভ সংবরণ করতে না পেরে তাকিয়ে ফেলেছিলেন গুমনামী বাবার দিকে। সুরজিৎ বাবুর বর্ণনা অনুযায়ী, “কোনো সন্দেহ নেই ওটা নেতাজিই ছিলেন। মাথার চুল পাতলা হয়ে গিয়েছিল। আমরা ছবিতে যা দেখে অভ্যস্ত, তার তুলনায় অনেক কম চুল ছিল। তাঁর মুখ ভর্তি দাড়ি ছিল। কিন্তু মুখবয়ব যেন অবিকল এক।”

পরিচালক এই সিনেমাটিতে তিনটি কমিটি ও কমিশনের মতামতকে সামনে রেখে নেতাজী সম্পর্কিত তার দীর্ঘদিনের গবেষণা নির্ভর একটি সম্ভাব্য মত দিয়েছেন, এবং বিশেষ করে নেতাজীর গুমনামী বাবা হিসাবে ফিরে আসার দিকে বেশি আলোকপাত করেছেন; যা নিয়ে একদল সমালোচক পরিচালকের দিকে খড়গহস্ত চালনা করে দিয়েছেন। বাংলা টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দের ‘ঘন্টাখানেক সুমন’ এপিসোড (০৫/০৯/১৯) -এ দেখেছি নেতাজীর পরিবারের দুই সদস্য কৃষ্ণা বসু ও সুগত বসু তো সরাসরি পরিচালককে আক্রমণের পথে নেমেছেন। এমনকি তাঁদের দাবী গুমনামী বাবার সঙ্গে মিলিয়ে পরিচালক বোধহয় নেতাজীকে স্বাধীনতার পরে সবথেকে বড় অপমান করে ফেলেছেন। সুগত বাবু আবার এমনও জানাচ্ছেন মুখার্জী কমিশন তাঁর কাছে এক মিলিলিটার রক্ত চেয়েছিলেন, গুমনামি বাবার সাথে ডি এন এ পরীক্ষার সুবিধার্থে; কিন্তু তিনি রাজি হননি। প্রশ্ন উঠতেই পারে সুগত বসু কেন পিছিয়ে গিয়েছিলেন? এর মধ্যে কোন পারিবারিক কলহ কিংবা কায়েমি স্বার্থ লুকিয়ে নেই তো? প্রসঙ্গক্রমে স্মরনীয় একদিকে সুগত বাবুরা স্বয়ং নেতাজীর বংশধর নয়, নেতাজীর ভ্রাতার বংশধর; অন্যদিকে জার্মানিতে বাস করা নেতাজীর একমাত্র কন্যা অনিতা পাফ এর সঙ্গে কলকাতাস্থিত নেতাজীর ভ্রাতার পরিবারের তেমন সুসম্পর্কের কিংবা যোগাযোগের নজির পায়া যায় না। এমনকি নেতাজী পরিবারের রাজনৈতিক অবস্থান একেক জনেক একেকরকম। সম্প্রতি ২০১৯ সালের ২২শে আগস্ট নেতাজীর কন্যা অনিতা পাফ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করে জানান রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক, তাহলেই এতদিনের যাবতীয় বিতর্কের অবসান হবে। এই একই আবেদন বিভিন্ন তরফ থেকে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে হয়েছে, কিন্তু কোন এক অজানা কারণে বিরোধী পক্ষ বারবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, যা মূলত সন্দেহেরই জন্ম দেয়। আর এমন একেকটি সন্দেহ জন্ম দেয় একেকটি প্রশ্নের। প্রশ্ন, সত্যিই যদি গুমনামী বাবা নিয়ে সুগত বাবুদের অবস্থান সৎ থাকে তাহলে তাঁরা সরকার নিয়োজিত মুখার্জী কমিশনকে রক্ত দিয়ে ডিএনএ পরীক্ষায় সহযোগিতা করলেন না কেন? প্রশ্ন, ‘রেনকোজি’ মন্দিরে রাখা অস্থিভস্ম যদি সত্যিই নেতাজীর হয়ে থাকে, তাহলে তা ভারতে নিয়ে আসতে অসুবিধা কিসের? প্রশ্ন কেন নেতাজীর কন্যার সঙ্গে নেতাজীর ভ্রাতার পরিবারের সম্পর্ক ভালো নেই? প্রশ্ন কেন ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাজী পরিবারের উপর আলাদা নজরদারী চালিয়েছিলেন? এই সমস্ত হাজারো প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেতে যদি আজো আমাদের অন্ধকারে থাকতে হয় তাহলে সন্দেহ করতে দোষ কি, এর পিছনে হয়ত লুকিয়ে আছে কোন না কোন রাজনৈতিক অবস্থানগত চক্রান্ত কিংবা পারিবারিক কলহ! হয়ত সে সব সত্য প্রকাশিত হয়ে গেলে কিছু স্বার্থাণ্বেসীর মুখ পুড়ে যাবে; লেখা হবে ভারতের স্বাধীনতার নতুন ইতিহাস।

ভারতবর্ষের মত গণতান্ত্রিক দেশে যেখানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার সব বিষয়ে মত প্রকাশের অধিকার সমান ভাবে দেওয়া হয়েছে সেখানে কোনো প্রশ্নকে গলা টিপে অঙ্কুরেই হত্যা করা নিঃসন্দেহে অসাংবিধানিক। পাশাপাশি বাঙালি জাতির সবচেয়ে ব্যক্তিত্বশালী রাজনীতিবিদের অন্তর্ধান নিয়ে একাধিক মতবাদের রহস্যের উপর প্রশ্নের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়াকে যেভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে তা এককথায় লজ্জার। সর্বোপরি তিনটি কমিটি ও কমিশনের মতামত কে সামনে রেখে নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে নতুন করে ভাববার রসদ যোগাবার সিনেমাটিক সূত্রপাত করলেন সৃজিত মুখার্জী। যার মধ্য দিয়ে একটি হারিয়ে যেতে থাকা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র খুব সহজভাবে গুটিকয়েক মানুষের স্তর কে অতিক্রম করে সাধারণ মানুষের চর্চার বিষয় হয়ে ওঠার ফুরসত পাবে। (১৮ই আগস্ট, ২০১৯) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটের উচ্চারণে বলতে পারি- “১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠার পর, নেতাজি চিরকালের জন্য হারিয়ে যান। তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে আমরা এখনও অন্ধকারে। দেশের একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানের অন্তর্ধান সম্পর্কে দেশবাসীর সমস্ত কিছু জানার অধিকার রয়েছে।”

তথ্য সহায়ক তালিকা

১। গুমনামি সিনেমা, পরিচালক- সৃজিত মুখার্জী, রিলিজ-২রা অক্টোবর ২০১৯

২। ‘ঘন্টাখানেক সুমন’, এবিপি আনন্দ, ইউটিউব, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

৩। ROAR বাংলা, অন্তর্জাল, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

৪। Bengali Indian Express, অন্তর্জাল, ১০ অক্টোবর ২০১৯

৫। আনন্দবাজার পত্রিকা, অন্তর্জাল, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ড. নজরুল ইসলাম মণ্ডল | Dr. Nazrul Islam Mandal

Love and nature | প্রেম ও প্রকৃতি | Bengali Article 2023

Anabasarakalina besha of Jagannath | অনবসরকালীন বেশ | অভিজিৎ পাল

19 types of Mashan Thakur | মাসান ঠাকুর | Ranabir Chanda

Appearance of Jagannath and Patitapawan Srivigraha | 2023

Netaji gumnami baba quotes | Netaji gumnami baba death | Netaji gumnami baba wikipedia | Netaji gumnami baba story | Netaji gumnami baba in english | Netaji Death Mystery | subhash chandra bose wife | subhas chandra bose history | subhash chandra bose short biography | subhash chandra bose biography | when was subhas chandra bose born | subhash chandra bose death age | subhash chandra bose family | subhash chandra bose – wikipedia | Netaji Gumnami Baba | Article – Netaji Gumnami Baba | Best Article in Bengali | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | Netaji Gumnami Baba – essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | Best Article – Netaji Gumnami Baba | Best Article in Bengali pdf | writing competitions in africa 2023 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions 2023 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla – Netaji Gumnami Baba | bengali article rewriter | article writing | Netaji Gumnami Baba – writing ai | bengali article writing app | Best Article in Bengali book | Best Article in Bengali – Online | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples – Netaji Gumnami Baba | Viral Video – Best Article in Bengali | Best Article in Bengali Source | bengali article writing format | Best Article in Bengali News | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | Ebook – Netaji Gumnami Baba | PDF Netaji Gumnami Baba | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | Best Article in Bengali Font | article writing on global warming | bengali article writing pdf | article writing practice | Best Article in Bengali Ebook 2023 | what is article writing | content writing topics 2023 | Bangla Prabandha | The Best Article in Bengali | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Article | Best Article in Bengali in pdf 2023 | Trending Best Article in Bengali | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Trend – Netaji Gumnami Baba | Netaji Gumnami Baba 2023 | Netaji Gumnami Baba – History | Netaji Gumnami Baba Wikipedia | Netaji Gumnami Baba – Conflicts of secrets

Leave a Comment