Natun Bangla Galpo 2023 | বাংলা গল্পগুচ্ছ | কুহেলী দাশগুপ্ত

Sharing Is Caring:
Natun Bangla Galpo 2023

বীণাপাণির কৃপা – কুহেলী দাশগুপ্ত [Natun Bangla Galpo 2023]

সিংহ রায় বাড়িতে প্রতিবছর জমজমাট সরস্বতী পুজো হয়। সেই কবে ছোট্ট রাকার শখ হয়েছিল, পুজো করা চাই। ঠাম্মি বীণাপাণি দেবীর কাছে রাকার যত আবদার, বায়না। কখনো পায়রা পোষার শখ, কখনো ঘুড়ি ওড়ানোর বায়না। এটা ,ওটা চলতেই থাকে। রাকার বাবা মা প্রথমে পুজোর ঝক্কি নিতে রাজি ছিলেন না। রাকার সেই একগুঁয়ে আবদার। মা সরস্বতীর পুজো হবে, তার বন্ধুদের নেমন্তন্ন করা হবে। বীণাপাণি দেবী ছেলেকে বলেছিলেন, “দিদিভাই আমার সারাদিন একা থাকে। তার ও ইচ্ছে করে বন্ধুদের নিয়ে একটু আনন্দ করতে। বছরের একটা দিন হোক না রে বাবু একটু জমাটি। সরস্বতী মায়ের বন্দনায় দিদিভাইয়ের সাথে আমরাও মেতে উঠি”।

“মা গো, ঠাকুর, আলো, প্যান্ডেল এতো কিছুর তদারকি সামলে আমায় আবার কাজে ছুটতে হবে। সময়ের দিকটা ও ভাবতে হবে”।
“ভাবছিস কেন রে বাবা, আমি আর নবীন মিলে সব সামলে নেব”।

নবীন সিংহরায় বাড়ির অনেক পুরনো লোক। সারা বাড়ির দেখভাল করে। বিশেষ করে গিন্নীমার ফরমায়েশ পালন করে সে। সে বারের ছোট্ট করে আয়োজন দিয়ে শুরু হয়েছিল বাগদেবীর আরাধনা। আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো বাড়ি। রাকার বন্ধুদের সাথে সারাদিন আনন্দে কাটানো। সিংহরায় বাড়ির উল্টোদিকের রাস্তায় এক বিরাট কদম গাছের নিচে কিছু পথ শিশুরা খেলা করে। বীণাপাণি দেবী দোতলার বারান্দা থেকে তাদের দেখতে পান রোজ। পুজোর দিন তাঁর অনুরোধে নবীন বাচ্চাগুলোকে ডেকে দু’বেলা খাওয়ায়। তাদের চোখে মুখে পেট ভরে খাওয়ার পরিতৃপ্তি। নবীন ও খুব আনন্দ পেয়েছিল। পরের বছর থেকে রাকা ও নবীন কাকার সাথে পরিবেশন করত।এভাবে এক একটা বছর পার করে পুজোটা অনেক বড় আয়োজনের আকার নিয়েছে। ছোট্ট রাকা ও বছর পেরিয়ে বড় হচ্ছে,সাথে পথের কলিরা ও। বীণাপাণি দেবীর মনে একটা দুঃখ কাঁটার মতো খচখচ করে। তাঁর নাতনী পড়াশুনো করে এগুচ্ছে।অথচ বাচ্চাগুলোর কোন পড়াশোনার বালাই নেই। শুধু খেলাধুলো আর ঝগড়া ঝাটি। একদিন চায়ের আসরে ছেলে গৌতম আর পুত্রবধূ নিভার সামনে তিনি কথাটা বললেন। যদি বাচ্চাগুলোর পড়াশোনার ব্যবস্থা করা যেত!গৌতম একটু আপত্তি জানালেন।

“এসব হাঙ্গামার ভেতর কেন আবার ঢুকতে যাওয়া! রাস্তার পরিবেশ, তুমি সব তো দেখতে পাও মা। এদের কালচার বলে কিছু আছে? পুজোতে খেতে দাও, ঠিক আছে, মন চাইছে। বেশি গভীরে ভাবতে চেও না। এরা নূন্যতম সম্মান ও দিতে জানে না।”
“শিক্ষার অভাব যেখানে সেখানে এমনটাই হবে। কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। দিদিভাই আর আমি যদি বিকেলে সময় করে বসে এদের একটু অক্ষর পরিচিতির সুযোগ করে দিই!”
“এসবের মাঝে রাকাকে আবার কেন? ওর নিজের কি পড়াশুনো নেই? টিউশান আছে। গানের ক্লাস আছে, সেসবের কি হবে? আমার এতে মত নেই।”
“বাবু, রাগ করিস কেন বাবা? রোজদিনের ব্যাপার তো নয়। সপ্তাহে তিন দিন। অমত করিস না বাবা। বিদ্যা দানে বাড়ে। দিদিভাইয়ের কোন ক্ষতি হবে না। আমরা একতলার হলঘরে কাজ শুরু করি”।
নিভা এতক্ষণ চুপ ছিলেন। বীণাপাণি দেবীর সমর্থনে তিনি ও বলেন,”মামনি, আমিও আছি তোমাদের সাথে। সময় করে আমিও আসতে চাই তোমাদের সাথে।”
“সানন্দে।”বীণাপাণি দেবীর চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। গৌতম আর কিছু বলেন না।
বীণাপাণি দেবী নিজেও স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। সেই কবে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ততার জীবন কাটিয়েছেন। সত্তরের ওপর বয়স তাঁর। ওনার তত্বাবধানে রাকা ও বউমা নিভাকে সাথে নিয়ে পথের ধুলোয় বেড়ে ওঠা বাচ্চাদের হাতে খড়ি হোল।

দু’বছর পার হয়েছে। ছেলেমেয়ে গুলো এখন অনেকটাই লিখতে পড়তে জানে। এই দু’বছরের পুজোয় তারা ও সরস্বতী পুজোয় অঞ্জলি দিতে আসে।মন ভরে দেখেন বীণাপাণি দেবী।ওদের দৃষ্টিতে তিনি ভবিষ্যতের স্বপ্ন খুঁজে ফেরেন।

আজি এ বসন্তে – কুহেলী দাশগুপ্ত [Natun Bangla Galpo 2023]

দক্ষিণের জানালা পথে ঝিরি ঝিরি হাওয়ার অবাধ আনাগোনা। চুলগুলো এলোমেলো উড়ে কখনো কপালে, কখনো গালে ছুঁয়ে জ্বালাতন করছে।আনমনা রিনির স্বপ্নের ঘোর লাগা চোখের দৃষ্টি ভাবনা অন্য কোথাও পথ হারিয়েছে। বইয়ের ভাঁজে রাখা ছোট ছোট চিঠিগুলো তাকে ভাবাচ্ছে। হস্তাক্ষর খুব চেনা যেন! কিন্তু সেই চেনা জনের স্বভাব বিরুদ্ধ এমন কাজ-রিনি তেমনটাই জানে।তবে এই চিঠিগুলো? কে লিখেছে তাহলে? মৈনাকদা কি সত্যিই তাকে…..?

কিছুদিন ধরে এই ঘটনা হয়ে চলেছে। বাড়ির সামনের খোলা চাতালে শুকোতে দেয়া রিনির স্কুলের ইউনিফর্মের পকেটে একটা চিরকুট পাওয়া যাচ্ছে। ছোট্ট কাগজ, ভাঁজ করা। স্কুল যাওয়ার সময় তৈরি হতে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে প্রথম কাগজটা যেদিন পেয়েছিল, অবাক হয়েছিল রিনি।

— “ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে, আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে”।
কে লিখেছে?এমন বার্তা তার জন্য? পড়ে রিনির ফর্সা গালে লালিমা ছড়িয়েছিল। ঝটপট লুকিয়ে ফ্যালে। ভাই, মা, বাবা কেউ এসে পড়লে!

আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রিনি পড়াশোনার ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। মাঝে মাঝে পাড়ার মৈনাকদার কাছে কখনো ফিজিক্স বুঝতে যায়। সময় পেলে মৈনাকদাও আসে। মৈনাক কলেজের পর্ব গুছিয়ে এবার ইউনিভার্সিটিতে। রিনির ভালো লাগে মৈনাককে। কিন্তু পড়াশোনার চাপ আর রোজকার বাঁধা নিয়মের বাইরে তার অন্য কিছু ভাবা হয়ে ওঠে না। আরেক দিন সকালে আবার কাগজ বার্তা জামার পকেটে।

— “আমার প্রাণের গভীর গোপন, মহা আপন সে কি”
রিনি ভাবনায় পড়ে যায়। তার কি মায়ের কাছে জানানো উচিত? শুকোতে দেয়া জামার পকেটে কে, কখন রাখছে এসব? নাহ্! থাক। আবার ফালতু ঝামেলা হবে। দেখাই যাক কতদূর গড়ায় ব্যাপার। রিনির কেবল মনে হচ্ছে, হাতের লেখা মৈনাকদার।

আজকাল পড়তে বসে আনমনা হয় রিনি। কখনো বাবা এসে পেছনে দাঁড়িয়ে। টের পায় না সে।

— কি রে মা? পড়ছিস তো? মন দিয়ে পড়। কি এতো ভাবছিস?
— কিছু না বাবা, এমনি।

মনে মনে লজ্জা পায় সে। যে লিখেছে, লিখুক। সে কিছুতেই আর এসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করবে না। মান্থলি এক্সামে বাজে রেজাল্ট হলে, পেরেন্ট টিচার মিটিং, বকাঝকা।
এক ছুটির দিনে বিকেলে ঘর থেকে শুনতে পায় ,মা কাকে খুব ধমকের স্বরে কিছু বলছে। দোতলার বারান্দা থেকে দেখতে পায় সে, ফেলুদাকে মা খুব বাজেভাবে ঝাড়ছে।

— কি মনে করে পল্লব? যদি কোন দরকারে এসে থাকিস, এই কাপড় জামার মাঝে কি করছিস?

— না মানে একটু-ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া পল্লব (ফেলু) র কোন সদুত্তর নেই। পল্লব মৈনাকদের পাশের বাড়িতে থাকে। তিন বছর ধরে স্কুল ফাইনালের গন্ডীতে খাবি খাচ্ছিল বলে, পাড়াতে আড়ালে ফেলু বলে অনেকে। রিনির মা তো রেগে ডিনামাইট একেবারে।

— দ্যাখ পল্লব, পড়াশোনা না হয় করলি না। তাই বলে, কোন ভুলভাল কাজ করে মা বাপের নাম খানা ডুবাস না। তোর মতি গতি কেমন যেন সন্দেহ জনক।

— না কাকিমা, এমনিই এসেছিলাম। বলে কোন রকমে পালিয়ে বাঁচল।
রিনির ভয় হল। এসব কি তবে পল্লবদার কাজ? মা কি কিছু জেনেছে? রিনিকে আবার ভুল ভাববে না তো? পল্লবদার মুখের অভিব্যক্তি দেখে রিনির হাসি পাচ্ছিল।

কি মনে করে রাতে আবার চিঠির হরফের সাথে মৈনাকদার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখল রিনি। একদম হুবহু। এক ধরন। কিছু ব্যাপার তো রয়েছে। তাকে জানতে হবে। সরাসরি মৈনাকদার কাছে জানতে চাইবে? যদি কিছু মনে করে? মনে মনে মৈনাকদাকে তার ভালো লাগে।

দোলের দিন মৈনাকদের বাড়িতে বড় আয়োজনের পুজো হয়। আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশীদের সমাগম হয়। সপরিবারে রিনিরাও। আবীর খেলা হয়। আবীর নিয়ে চুপি চুপি মৈনাকের ঘরে গিয়ে এক মনোযোগী পাঠককে আবিষ্কার করে সে। ধীর পায়ে এগিয়ে দু’গালে আবীর মাখিয়ে বলে,
— বাব্বা! আজকের দিনে ও পড়া!তোমার হবে।
মৈনাক একটু বিরক্তি নিয়ে,
—কি করলি বল তো! এটা আবীর মাখানোর জায়গা? বইতে সব পড়ল!
রিনি চিরকুটগুলো দেখিয়ে বলে,-এগুলো তোমার লেখা ?
মৈনাক একটু চমকে বলে, “তোর কাছে কিভাবে?পল্লবটা ক’দিন ধরে খুব জ্বালাচ্ছিল। বলে, তোর হাতের লেখা ভালো। দুটো গানের কলি লিখে দিতে বলল। ওর বান্ধবীর জন্য”।
রিনি স্মার্টলি বলে,” আর তুমিও লিখে দিলে। এগুলো আমার কাছেই এসেছে। তোমার কি মনে হয়? আমি এসব অ্যাকসেপ্ট করব?”

— তা আমি কি জানি! তোর ব্যাপার তুই বুঝবি।
রিনি আরো কাছে এগিয়ে-“তাই তো। তবে কি জানো তো, এই লিপিকারকে আমার খুব ভালো লাগে। যদি তুমি মানতে না পারো, তোমার ব্যাপার”।

মৈনাক রিনির চোখে তাকিয়ে যেন অন্য ভাষা খুঁজে পায়। তার অচেনা, কিছুটা পরিণত। ভালো লাগার আবেশ তো তার মনেও। বাইরে রঙ খেলার হট্টগোলের আড়ালে নিভৃতে দুটি মন কাছাকাছি এগিয়ে গেল।

2023 New Bengali Story

জ্বালা – কুহেলী দাশগুপ্ত [Natun Bangla Galpo 2023]

হন্তদন্ত হয়ে এসে মতি এক ধাক্কায় দরমার বেড়ার দরজা খুলে ফ্যালে। বাতাসী ছেলেমেয়ে দুটিকে সবে ভাত বেড়ে দিয়েছে। মতি চেঁচিয়ে বলে,
— তুই আবার রতনের দুকান থ্যাইক্যা বাকি আনছস!
তরে না মানা করছি! অ্যাত্ত দ্যানা ক্যাডা চোকাইবো? তর বাপ?

— এক্কেরে বাপ তুলবানা কইলাম। কতায় কতায় বাপ তুলো ক্যান? আমার বাপে তুমার কুন ক্ষেতি করছে? ঘরে চাইল বাড়ন্ত আছিল। পোলাপান গো খাতি দেওনের লাইগ্যা বাকি করছিলাম।

মতি সজোরে ভাতের থালায় লাথি মারে। ছেলে মেয়ে দুটি চমকে ওঠে।
— চঅপ্! বেয়াদ্দপ মাইয়া মানুষ। তর বড্ড চোপা হইছে। দুই বাড়ি কাম করনের অ্যাত্ত ত্যাজ! তর রোজগারে আমি থুক দিই। অ্যাত্ত খাওন কিসের তগো? ট্যাহায় কুলায় না?

— তোমার শরম হয় না?কুন কামে অ্যাত্ত প্যাচাল পারো? যা কামাও ব্যাবাকই ত জুয়ার ঠ্যাকে খুইয়া আসো। পোলাপানগো খাওয়াইবো ক্যাডা?আর একখান কতা কইলে তোমার অ্যাই সোমসারের মুখে ঝ্যাঁটা মারি যেখাইন পারি অগো লইয়া যামু গা। তুমি থাইক্যো তুমার জুয়ারী গো লইয়া।

মতি গজ গজ করতে করতে বেড়িয়ে যায়।

বাতাসীর বুক ঠেলে কান্না আসে। ছেলে মেয়ে দুটি সকাল থেকে খিদের জ্বালায় কাঁদছিল। খাল পাড়ের জমি থেকে কিছু মালঞ্চ শাক তুলে এনেছিল। ভেজে রেখেছে। দু’দিন হোল একটি কাজের বাড়ি সে যায় না। মাসের মাইনেটা ও বাকি পড়ে। ছোট বাবুটি একলা পেয়ে জাপটে ধরতে, বাতাসী হাত কামড়ে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে এসেছে। আর ওমুখো হয়নি। মাথা গরম মতিকে সে কথা বললে, তো আর এক ঝামেলা! আরেকটি কাজ তাকে খুঁজে নিতে হবে। জ্বালাময় জীবন তার। জুয়ারী, বদরাগী স্বামী, পেটের জ্বালা, সন্তানদের ভরনপোষণের চিন্তা, সোমত্ত শরীর নিয়ে কাজ করতে যাওয়ার জ্বালা। কারে কবে তার দুঃখের কথা! চোখের জল ফেলতে ফেলতে ভাতগুলি কাচিয়ে তুলতে থাকে। ভালো করে ধুয়ে পান্তা করে ছেলেমেয়েদের খেতে দেবে। সেই কখন থেকে তারও খিদের জ্বালায় পেট চুঁই চুঁই করছে।

কুহেলী দাশগুপ্ত | Kuheli Dasgupta

Shankhakshetra Puridham and Madala Panji | শঙ্খক্ষেত্র পুরীধাম ও মাদলা পাঁজির রাজবৃত্তান্ত

Gaai | গাই | শওকত নূর | New Bengali Story 2023

Sunglass and our friendship | সানগ্লাসেই সৃষ্টি আমাদের বন্ধুত্ব | Bangla Galpo 2023

Love and nature | প্রেম ও প্রকৃতি | Bengali Article 2023

Shabdoweep Founder | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Writer | Shabdodweep Poetry | Natun Bangla Galpo 2023 | Natun Bangla Galpo 2023 book | Natun Bangla Galpo 2023 pdf book | Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Top Writer – Natun Bangla Galpo 2023 | Top poet – Natun Bangla Galpo 2023 | Poet list – Natun Bangla Galpo 2023 | Top poetry – Natun Bangla Galpo 2023 | Best seller – Natun Bangla Galpo 2023 | Full pdf book – Natun Bangla Galpo 2023 | Free download pdf – Natun Bangla Galpo 2023 | Video book – Bangla Kabita 2023 | Video poetry – Bangla Kabita 2023 | Audio poetry – Natun Bangla Galpo | New Poetry book | Shabdodweep poetry book | Shabdodweep International Web Magazine | International Bengali poetry | Bengali Poetry publisher | Shabdodweep Publisher | Shabdodweep Publisher 2023 | Shabdodweep Video Publisher | Shabdodweep Audio Book | Shabdodweep Video Book

Leave a Comment