Modern Story Reading – Jayanta Kumar Sarkar
ব্যাগ চোর – জয়ন্ত কুমার সরকার
ছুটতে গিয়ে হাঁপিয়ে একশা, শেষে ছেলেটাকে ধরেই ফেললেন পঞ্চানন, আর একটু হলেই সাঁকোটার ভাঙা গর্তে পা পড়ত, বুড়ো বয়সে পা ভাঙলে কি হয় তা ভালোই জানেন। এই তো গতবছর, শখ করে ওপাড়ার নিবারণের পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে কি বিপদ! সেবার বেশ জাঁকিয়ে ব্যবস্থা করেছিলেন নিবারণ বন্ধুর জন্য। পাড়ার একটা ক্যাটারিং দোকান থেকে দুপুরে খাবারের এলাহি ব্যবস্থা করেছিলেন নিবারণ। সঙ্গে চা-বিড়ি-পান তো আছেই। নিবারণের কাঠের ব্যবসা রমরমিয়ে চলে, সঙ্গে এম.আর.ডিলার, ব্লক অফিসের গোডাউন ভাড়া, টুকটাক কন্ট্রাটটারিও করেন নিবারণ। নির্বিবাদী মানুষ, চাঁদা-ডোনেশনও দেন, অনাথ আশ্রম থেকেও নিয়ে যায় সাহায্য, সব মিলিয়ে ভাল লোক বলা চলে নিবারণবাবুকে। পাড়ায় পয়সাওয়ালা হিসাবে পঞ্চাননের যতটা নাম তার চেয়ে কিপটে খিটখিটে হিসেবে বদনাম বেশি। নিবারণের মত না হলেও তেজারতি-বন্ধকীর কারবার ভালই চলে সঙ্গে। গভ: সাপ্লাই-এর কাজও করেন মাঝে মাঝে। খুব ভাব দুই বন্ধুর। কাঠচেরাই কারখানার পাশেই পুকুরটা বেশ বড়সড়। ফ্লাক্সে লিকার চা-দুধচা, চিনি ছাড়া চা, বিড়ি সিগারেট পান গুটখা, দোক্কা-মশলা মজুত করে বসেছিল নিবারণের সঙ্গে এঁটুলির মত সেঁটে থাকা গাঁট্টাগোট্টা ছোকরা হাবলু। জলখাবার খেয়ে বসে পড়লেন দুই বন্ধু, নিজ-নিজ-মাচায়। হুইল লাগানো বড় ছিপ দুজনের, ছোট ছিপও রয়েছে, ফাৎনার দিকে চেয়ে বসে থাকাটাই ধৈর্যের পরীক্ষা। তবে বিরক্তিকর হলেও মজা আছে। স্থির জলে সাদা ফাৎনার দিকে নিষ্পলক চেয়ে বসে আছেন পঞ্চানন, প্রথমে থেমে থেমে, পরে বেশ নড়ছে ফাতনাটা, আরও বেশি যেন নড়ছে, নড়ুক, ধৈর্যটাই আসল এখানে। একনাগাড়ে যেই নড়তে শুরু, বুঝতে পেরে জোরে ঘিচ মেরেছেন পঞ্চানন। ওরে ব্যস, কি টান। হুইল লাগানো ছিপ, সুতো ছেড়ে চলছেন। হঠাৎ বিশাল টান। জেদ চেপে গেল, কিছুতেই ছাড়তে রাজি নয়। হঠাৎ হাত ফসকে হুইল-ছিপটা জলে পড়ে গেল, কাৎলা বাবাজী টেনে নিয়ে চলেছেন ছিপ, চোখের সামনে এমনটা ঘটলে থাকা যায় চুপ করে! ভেবে নিয়েছেন, যে করে হোক, কাৎলাটা তুলতেই হবে পাড়ে, পুরানো মাছ, যা টান দুকেজি তো হবেই, মাছ নিয়েই ফিরবেন আজ, নবনীর টিপ্পনীর উচিত জবাব আজ দিতেই হবে। কিন্তু ফল হল উল্টো। লাফাতে গিয়ে ধুতি ফেঁসে গেল মাচার খুঁটিতে, পাটা খুঁটিতে জড়িয়ে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগল। জলে পড়ে ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন, অস্থির অবস্থা, মাছ ধরবেন কি, পা যে গেল!
নিবারণ পাশের মাচায় ছিলেন, জলে নামতে নিষেধ করেছিলেন, কে শোনে কার কথা। জেদ মহা বিপদের বস্তু, মাথা চাড়া দিলে রক্ষে থাকে না। এখন ঠ্যালা সামলাও। হাবলু তাগড়াই ছোকরা, পঞ্চাননকে টেনে তুলে আনল ডাঙ্গায়। পাটা নাড়াতে পারছেন না, ছড়ে গিয়ে রক্তপাতও হয়েছে। মাছ বাবাজি তখন ছিপসহ পুকুরের মাঝে। ভ্যান ডেকে পঞ্চাননকে পাঁজাকোলা করে তুলে বাড়িতে দিয়ে গেল ছোকরা। বরফ দিয়ে ব্যথা খানিকটা কমলেও পা ক্রমশঃ ফুলতে লাগল। ব্যথায় টনটন করছে, রাতে ভাল ঘুম হল না পঞ্চাননবাবুর, গিন্নীর ঠেলায় পরদিন সকালে ডাক্তারখানায় ছুটতে হল খোঁড়া পা নিয়ে। এক্স-রে হল, এখন ডিজিটাল এক্স-রে, পরিষ্কার দেখা গেল চিড় খেয়েছে, ডাক্তারের নিদান মাসখানেক ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘরে চুপচাপ বসে থাকতে হবে। ব্যথার ওষুধ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি লিখে দিলেন। আসা-যাওয়া ডাক্তারের ফিস, ওষুধের দাম, এক্সরে খরচ সব মিলিয়ে কড়কড়ে দুটি হাজার টাকা বেরিয়ে গেল। নবনীর যত ঝামেলা,কর্তা ঠ্যাং বেঁধে পড়ে থাকলে সংসারের যত ঝক্কি তো তাকেই সামলাতে হবে। রাগের মাথায় টিপ্পনী দিলেন, মাছ ধরার শখ এবার মিটল তোমার, পই পই করে বলি, হতচ্ছাড়া নেশাটা ছাড়, বয়স হচ্ছে বিশ্রাম নাও, তা না, আজ এপাড়া, কাল ও পাড়া, চললেন মাছ ধরতে! বলি, কটা মাছ এপর্যন্ত ধরেছ তুমি, তোমার নিবারণই বা কত কুইন্টাল ধরেছেন, যত নষ্টের গোড়া ঐ নিবারণ, টোরকে নিয়ে চলেছেন খালি মাছ ধরতে যাবেন। শখ মন্দ নয়, এখন কষ্টটা কার হচ্ছে, তিনি তো উঁচু মাচায় বসে আছেন! গিন্নীয় ট্যাসমারা কথায় জ্বলে উঠলেও চুপ রইলেন শ্রীমান পঞ্চানন তখনকার মতন। মাস তিনেক লাগল সেরে উঠতে। এখন, আবার একটা ফাঁড়া থেকে বেঁচে গেলেন শ্রী পঞ্চানন।
ঘটনাটা ঘটেছিল গতকাল, সক্কালবেলা ভাঙা-চোরা…টিনভাঙা….লোহাভাঙা…..চেঁচিয়ে মাথাটা খারাপ করে দিচ্ছে ছেলেটা, ‘’রেগে খেঁকিয়ে উঠলেন, আরে ব্যাটা, ভাঙাচোরা কিছু থাকলে তবেই না দি তোকে, মাথাটা খারাপ করিস কেন বাপু, আয়, ভাল জিনিসগুলো ভেঙে ভেঙে দিই তোকে। নেই বলেছি, তবুও নাছোড়বান্দা। এদিকে ভীষণ দয়ার শরীর গিন্নীমার, কি মায়ায় ভরা মুখ ছেলেটার; নবনীর বাড়ি থেকে দু:স্থ গরীব কেউ ফিরে যায় না খালি হাতে। বসিয়ে রাখলেন লাল্টুকে বারান্দায়, খুঁজতে লাগলেন টিন ভাঙা-লোহা ভাঙা, একটা আধভাঙা লোহার চেয়ার, সাইকেলের হ্যাণ্ডেল কয়েকটা লোহালক্কড় গোয়ালে তোলা ছিল, না চিলেকোঠায়, মনে পড়ছে না। টিনভাঙা ছেলেটা বেশ চালাক, মাসী-মাসী করে পটিয়ে ফেলেছে নবনীকে। খুঁজে না পেয়ে উনি বললেন, “পেলুম না বাবা, কাল আসিস। দেখে রাখব’খন।” একটা বাটিতে খানিকটা মুড়ি আর দুটো নারকেল নাড়ু দিয়ে জল দিলেন। ছেলেটার মুখটা খুব মায়ামাখা। গিন্নীমার মনটা সরল, দু:খের কথা শুনলে কাতর হয়ে পড়েন, এটা ওটা সাহায্য করেন, আর কর্তার ধমক খান, তবুও শোধরান না। কর্তা পঞ্চানন ঠিক তার উল্টো, এত কৃপণ যে একটা ফতুয়া-ধুতিতে সারা গরমকাল পার করে দেন। তবু গির্ন্নীর কথার ভয়ে পেটে কিছু পড়ে। অভাব তো নেই, বেশ পয়সাওয়ালা মানুষ পঞ্চানন, কিন্তু ঐ, মনটা ছোট, সামান্য ত্রুটি হলে বাপান্ত করেন কাজের লোকগুলোকে। সেই পঞ্চাননের অতগুলো টাকার শোক আবার উথলে উঠল ছেলেটাকে ধরতে গিয়ে। সেদিন কিছু বুঝতে পারেন নি। পরদিন খেয়াল হল ছোট নাতিটার জন্য কেনা নতুন স্কুলব্যাগটা নেই। বারান্দার তাকে গতকাল তুলে রেখেছিলেন। নতুন কেনার দিকে ভীষণ ঝোঁক নাতিসাহেবের, যা দেখবে চাই ই চাই। নিজে কষ্টে থাকলেও নাতির কষ্ট মোটেও দেখতে পারেন না, বলা মাত্রই নিয়ে এলেন, ভাল দেখে স্কুলব্যাগ একটা। ক্লাস ফাইভে পড়ে নাতিটা, ভীষণ ন্যাওটা দাদুর, এবার সিক্সে উঠবে, বড় হাইস্কুলে ভর্তি করবে নাকি শহরের হোস্টেলে রেখে বড় স্কুলে পড়াবে ওর বাবা-মা ই জানে। ব্যাগটা একবারও হাতে নেয়নি ছেলেটা, এখনও কোম্পানির ছাপ জ্বলজ্বল করছে মনে। মনটা খচখচ করছে, কি হল তাহলে, কার এত সাহস! ভাবতে লাগলেন, হঠাৎ বদ্ধির ঝলক, টিনভাঙা ছেলেটার কথা মনে পড়ে গেল, মাথাটা চিনচিন করে উঠল। ঠিক, হতেই পারে, এতক্ষণে বোধহয় পগারপার দিয়েছে। বড় রাস্তায় বেরিয়ে আন্দাজ করে পাশের গ্রামে যাওয়ার মোরাম রাস্তাটায় উঠে এলেন, জোরে হাঁটছেন, দূরে সাঁকোটার কাছে মাথায় ঝাঁকা, বগলে ব্যাগ দেখেই বুঝতে পারলেন ওই ছেলেটাই হবে। আরও জোরে পা চালালেন, ছোটার মতই, কিন্তু জোরে হাঁটতে গিয়ে পা-টা চিনচিন করে ব্যথাটা জেগে উঠল। দূর থেকে দেখছেন, এখন নিশ্চিত ওই ছেলেটাই, ওকে ধরতেই হবে, সাঁকোটা পেরেলেই নামো চাতরা, বেপাড়ায় গিয়ে ঝামেলায় পড়া চলবে না।
ছেলেটা কিন্তু মোটেই ছুটছিল না,জোরে হাঁটছিল, এ পাড়ায় বেশি ভাঙাচোরা, পুরানো মালপত্র পায়নি, পরের গ্রাম নামো-চাতরায় বেশি করে টিনভাঙা কিনতে হবে, নইলে কি জমা করবে ঝঞ্ঝটপাটির দোকানে। টাকা না পেলে খাবে কি, মায়ের হাতে দেবেই বা কি! ভীষণ গরীর লালটুরা, বাবা থেকেও নেই। ওইটুকু টাকাতেই মা কুলিয়ে গুছিয়ে চালায়। সাঁকোটার আগে গর্তটায় পড়তে পড়তে সামলে নিয়ে দাঁড়ালেন পঞ্চানন, কিন্তু সময় নেই, হাঁপাতে হাঁপাতেই পিছন থেকে ঘাড়টা খামচে ধরলেন, ছেলেটার নড়নচড়ন বন্ধ প্রায়। জোরে ধমক দিলেন প্রথমে, খুব মজা না, দিনের আলোয় চোখের সামনে হাতসাফাই, এইমাত্র টিনভাঙা কিনতে গিয়ে যা সামনে যা পেলি তুলে নিয়ে চলে এলি। দে ব্যাগটা দে, ওটা আমার গতকাল কেনা নতুন ব্যাগটা, দে…দে বলছি। দিনে-দুপুরে ডাকাতি! পঞ্চাননের দাবড়ানিতে ছেলেটা কাঁচুমাচু স্বরে বলল, না, দাদু, এটা আমার, আমি বাজার থেকে গতকালই কিনেছি, মালপত্র বেশি ছিল বলে নিয়ে যেতে পারিনি, একজনের ঘরে রেখে গেছিলাম, আজ বেশি মাল নাই, তাই সঙ্গে নিয়েছি। ক্যাশ মেমো আছে ঘরে মায়ের কাছে। চোপ হারামজাদা, মিথ্যে কথা , বলেই কষে চড় বসিয়ে দিলেন পঞ্চানন! ব্যাগটার দাম কত জানিস! চড় খেয়ে, দাবড়ানির চোটে নিজের নতুন কেনা ব্যাগটা দিয়েই দিল ছেলেটা। পঞ্চানন ব্যাগটা সদর্পে প্রায় ছিনিয়েই নিলেন। আমার সাথে চালাকি না! মিলিয়ে দেখেও নিয়েছেন, হ্যাঁ একই কোম্পানি, এটা তারই। ব্যাগ হাতে নিয়ে হনহন করে দোকানের পথে চললেন, চুরির জিনিসটা আদায় করে গর্বে যেন বুকটা ফুলে উঠেছে এমন মনোভাব আজ তার। দোকান খুলতে দেরী হয়ে গেল। আজ বেশ খুশী, যেন রাজ্য জয় করেছেন।
এদিকে, বাড়িতে এক অন্য ঘটনার মুখোমুখি হতে হল। দুপুরে উদ্ধার করা চুরির ব্যাগ হাতে বাড়ি ফিরলেন পঞ্চানন, বাড়িতে ঢুকেই, চেঁচিয়ে বাড়ি মাৎ, ধান্দাবাজি, আমার সঙ্গে চালাকি, বলে কি না ও কিনেছে ব্যাগটা, বুঝলে গিন্নি,এই নাও তোমার নাতিসাহেবের সাধের ব্যাগ। নবনী কর্তার হাঁকডাক শুনে রান্নাঘর থেকেই বললেন, শোন, বুবলুর ব্যাগ পাওয়া গেছে, কাজের মেয়ে ঝিন্টি সরিয়ে রেখেছিল। তুমি ওটা ফেরৎ দিয়ে এস। ব্যস, শুনে তো একবারে ‘থ’ পঞ্চানন, যাঃ! এটা কি করে হল! ব্যাগ চুরি হয় নি তাহলে! ছেলেটাকে শুধু শুধু মারলেন! বেচারা গরীব, ভাঙা জিনিস বিক্রি করে খায়। এমনিতে পঞ্চাননের বেশ বদনাম আছে এলাকায়, কষাই, অর্থপিশাচ এসব বলে লোকে, আড়ালে। আজ পঞ্চানন বেশ মুষড়ে পড়লেন। খামখা, হেনস্তা সহ্য করতে হল ছেলেটাকে, খুব জোরেই চড়টা মেরেছিল, গালে আঙ্গুলের দাগ দেখেছেন, নিজে। কেঁদেই ফেলেছিল, কতই বা বয়স, বুবলুর চেয়ে সামান্য বড় হবে। মনটা হু হু করছে, কি করা যায়, কোথায় পাওয়া যাবে ছেলেটাকে।
ব্যাগটা ক্যারিয়ারে এঁটে সাইকেলটায় চেপে বেরিয়ে পড়লেন, নবনী পিছনে ডাকলেন. ওগো, শুনছ, এখন যেও না, খাওয়াদাওয়া করে বিকেলে যেও… শুনতে পেলেন না পঞ্চানন। জোরে, পক্ষীরাজের বেগে সাইকেল ছোটালেন, যাতে বেশি দূর যেতে না পারে। ব্যাগটা ফেরৎ দিতেই হবে, বড় অন্যায় হয়ে গেছে। সাঁকোটা পেরিয়ে পাশের দুই পাড়া, বড় রাস্তা, অলিগলি ঘুরলেন, না, কোথাও নেই ছেলেটা, আধ ঘন্টাও হয়নি। দুপুর পর্যন্ত ঘুরলেন, লোককে জিজ্ঞাসা করতেও পারছেন না, কৈফিয়ত দিতে হবে। দুপুর দুটার পর খালি হাতে ফিরে এলেন। অনুতাপে দগ্ধ পঞ্চানন খেতে বসেও খেতে পারলেন না। ছেলেটার করুণ মুখটা গভীর বেদনামাখা। নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছেন না। সেদিন রাতেও ঘুম হল না।
সক্কালেই গঞ্জের বড় এক ঝঞ্ঝট-ওয়ালার দোকানে হাজির। দোকানদার বিবরণ শুনে বললেন, মনে হচ্ছে রায়পাড়ার লালটুই হবে। ছেলেটা খুব গরীব, ভাঙাচোরা বিক্রি করে সংসারের খরচ চালায় পড়াশুনাও করে কষ্ট করে। লালটুর আজ স্কুল ছুটি, দেরীতে আসবে। ঝঞ্ঝাট কারবারি হরকালিবাবু চিনতেন তেজারতি কারবারি পঞ্চাননকে, অনুরোধ করাতে একটু বসলেন পঞ্চানন। কমবয়সী, মাঝবয়সী অনেকেই আসছে পুরানো টিনভাঙা-লোহাভাঙা, কাঁথে বস্তা নিয়ে বিক্রির জন্য। না:! ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পর উঠে পড়লেন পঞ্চানন। ইতিমধ্যে হরকালির পয়সায় দু কাপ চা সেবন হয়ে গেছে, বেলা এগারোটা টা বাজে, পাত্তা নেই, আজ কি আর আসবে। শেষে হরকালিবাবুর কাছে রায়পাড়ার হদিশ নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মাঝিরডাঙা গ্রাম, রায়পাড়া খুঁজে বার করতেই লেগে গেল অনেকটা সময়, শেষে দেখা পাওয়া গেল। কিন্তু, নাঃ, এ তো সে ছেলে নয়। মিলল না, ওর মতই বয়স, ভাঙাচোরা কেনাবেচার কাজই করে অন্য একজন। তার কাছে জানা গেল লালটুর স্কুলেই পড়ে ছেলেটি, ও বলল, একটু আগেই দেখা হল, লালটুর হাতে পায়ে ব্যাণ্ডেজ, বলছিল একটু আগে, গঞ্জে গিয়েছিল কি একটা কাজে, ওখানে কাকে যেন বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে জোরে আঘাত লেগেছে হাতে পায়ে, মাথাতেও। গতকাল আবার কে যেন ওর নতুন কেনা ব্যাগটা কেড়ে নিয়েছে। ভীষণ মনমরা ছিল। কিন্তু এখন ওকে পাবেন না। ব্লকের হাসপাতালে গেল, ওর মাথার ছবি হবে, ড্রেসিং করাবে, তারপর ফিরে আসবে। হতাশ, বিফল মনোরথ পঞ্চানন ফিরে এলেন।
বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় পঞ্চানন। ট্রাজেডিটা্ এখানেই। বাড়ির সামনের বড় রাস্তা পার হতে গিয়ে নাতি বুবলু ট্রাকটরের সামনে পড়ে যায়। সেদিনের টিনভাঙা ছেলেটা পাড়ায় ঘুরছিল, হঠাৎ করে বুবলুকে গাড়ির সামনে থতমত অবস্থায় দেখে লাফিয়ে পড়ে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়, বুবলুর কিছু হয়নি, ছেলেটা নিজে খুব জখম হয়। ব্লক অফিসের সামনে চৌমাথা মোড়ের কাছেই পঞ্চাননের বাড়ি, ঘটনাটা বাড়ির সামনেই হয়েছে। ব্যস্ত রাস্তা, প্রচুর গাড়ি, মোটর সাইকেল সারাদিন যাতায়াত করে, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অনেক লোক জমা হয়েছিল। ট্রাকটর চালক ছেলেটা ভয় পেয়ে গিয়ে স্টিয়ারিং ঠিক রাখতে পারেনি, সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ছিল, কিন্তু ঘাবড়ে যায়, সামলাতে পারে নি। টিনভাঙা ছেলেটাকে ঘষড়ে অনেকটা নিয়ে গিয়ে তবে দাঁড়ায় গাড়ি। বুবলু একটু দুরে ঘাস জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে পড়েছিল, ওর কিছু হয় নি। ড্রাইভার ছোকরা নিজেই গাড়িতে বসিয়ে ব্লকের হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছিল। ডাক্তার দেখেছেন, মাথার ছবি করতে বলেছেন। পরে হাসপাতাল থেকে ওকে বাড়িতে দিয়ে আসা হয়েছে।
অপরাধীর মত অনেকক্ষণ ভাবলেশহীন হয়ে বারান্দায় বসে রইলেন পঞ্চানন। ছেলেটার সঙ্গে ব্যবহার শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নবনী। ছিঃ! কি মানুষ তুমি, ছেলেটাকে মেরেছ, ব্যাগটা চুরিই করে নি, নিজে কিনেছে, কত কষ্টের পয়সা ওর! চোর তো নয়ই, ওর জন্য তোমার নাতি আজ বেঁচে আছে, কি করলে তুমি! এ অন্যায়ের শাস্তি পেতে হবে, লজ্জায় ঘেন্নায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে! কি করলে প্রায়শ্চিত্ত হবে! তুমি খোঁজ নাও, ওর বাড়ি যাব আমি। ওর হাত ধরে ক্ষমা চাইব। চিকিৎসার খরচ সব দিতে হবে তোমাকে, বেচারার রোজগার বন্ধ হবে, তার সব দায় নিতে হবে তোমাকে, বুঝলে ! কবে শোধরাবে তুমি। নির্বাক পঞ্চানন শুধু তাকিয়ে রইলেন বারান্দায় পড়ে থাকা স্কুলব্যাগটার দিকে। কি অদ্ভুত সমাপতন!
শীতের আমি শীতের তুমি – জয়ন্ত কুমার সরকার [রম্যরচনা]
উত্তরের হিমেল হাওয়া, কুয়াশার অবগুণ্ঠন ভেদ করে হেঁটে যাওয়া শীতার্ত পথিকের কম্পিত হৃদয়, পর্ণমোচী বৃক্ষের পাতাখোসা, ধীর স্রোতা নদীর কুলকুল শব্দ, টিনের চালে, ঘাসের ডগায়, সবুজ পাতায় জমা রূপালী মুক্তো বিন্দু, শীতের নীরব প্রকৃতির এমনই সব বিমূর্ত সৌন্দর্য রচনা করে। শীতের হলুদ সর্ষে ক্ষেত অলির গুঞ্জনে মুখরিত হয়, আশ্চর্য নিস্তব্ধতায় মগ্ন হয় স্নিগ্ধ পৃথিবী। একটু পরেই কুয়াশার চাদর ভেদ করে প্রভাকর অংশুমালী যখন উঁকি দেন, ঝলমলে আলোর কিরণের এক অপার্থিব সৌন্দর্যের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর কোণায় কোণায়। প্রকৃতির এই মনোরম সৌন্দর্য শীতের সকাল ছাড়া দেখা যায় না।
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ আর শীত ছাড়া অন্য ঋতুর অনুভূতি থাকে খুব কম সময়ের জন্য। শারদীয়া দুর্গোৎসব কালীপুজো-ভাইফোঁটার পর শীতের আগমন বার্তা দিতেই যেন হেমন্তের আবির্ভাব; তবে অনাড়ম্বরে অবহেলায় আগমন হলেও শরতের মত হেমন্তেরও স্বতন্ত্র রূপ ও গুণ আছে। প্রকৃতির বর্ণচ্ছটার সঙ্গে নবান্নের আমেজ, ফসলের মাঠে কৃষকের মুখে হাসি বাংলার ঘরে ঘরে ছড়ায় সুখের আবেশ, মাঠঘাট প্রান্তরে চুঁইয়ে নামে হালকা কুয়াশা, উঠোনে এসে পড়ে শিউলির অকৃপণ সৌন্দর্য, দোলনচাঁপার হৃদয়গ্রাহী সুগন্ধ আর ঘাসের ডগায় শিশিরের সকরুণ মিনতি নিয়ে আসে হেমন্ত। প্রকৃতিতে সব ঋতুরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে, কোন ঋতুর প্রকৃতি রুদ্র, কোন ঋতু স্নিগ্ধ, শান্ত সুস্থির, হেমন্ত সুস্থির ঋতু হলেও প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা এমন হৃদয়গ্রাহী মনোলোভা দৃশ্য ভাবাই যায় না। উৎসব আড়ম্বরতার শেষে প্রকৃতি যেন মানুষকে একটু জিরিয়ে নিতে বলছে, তাই হেমন্ত আড়ম্বরহীন। বর্ষা শেষে বোনা আমন ধান শরতে বেড়ে হেমন্তে পরিপক্কতা লাভ করে। ফসল তোলার ধূম পড়ে যায় চাষীর ঘরে; মাঠে মাঠে কাস্তে হাতে কৃষকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ধান কাটা, আঁটি বেঁধে খামারে তোলা, ঝাড়াই-মাড়াই করে মরাই ভর্তি করার অনাবিল আনন্দ অনুভব করে গ্রামের সব কৃষক পরিবার। হেমন্তে বাংলার আবহমান এই ফসল তোলার লোক উৎসব হল নবান্ন। নতুন চালের পায়েস, পিঠা, ক্ষীর পরিবারের আত্মীয়স্বজন,বন্ধু, পড়শিদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রেওয়াজ আছে বড় কৃষক পরিবারে। তাই বাংলার প্রকৃতিতে প্রাচুর্যময়ী হেমন্ত যেন কল্যাণময়ী নারীর অকৃত্রিম স্নেহ আর ভালবাসার স্পর্শ। গরমের হাঁসফাঁস থেকে স্বস্তি পেতে শীতের অপেক্ষায় থাকি আমরা। শারদীয়া শেষে হেমন্তের আঘ্রাণ শেষ হতে না হতেই শীতসুন্দরী গুটি গুটি পায়ে উঁকি দেন প্রকৃতির দোরগোড়ায়। প্রকৃতি রুক্ষ হলেও শীতের আলাদা একটা ভাললাগা আছে। আবার শীত একটু বাড়তেই জুবুথুবু হয়ে পড়ি আমরা।
আসলে শীতকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে হয়। প্রকৃতির এক দুর্মূল্য উপহার এই শীত। শীত মানেই মায়াবী একটা সকাল, মিষ্টি একটা সূর্য, বিশাল একটা আকাশ,এলোমেলো উত্তুরে বাতাস আর শিশিরে ভেজা অপরূপ গোলাপের পাপড়ি। শীত মানেই পরিযায়ী পাখির আনাগোনা, মেলা-উৎসব আর পশম-উলের যুগলবন্দী। শীতের শেষ লগ্নে আসে পৌষ সংক্রান্তি, নানান মুখরোচক পিঠের আয়োজন। সরু চাকলি, পাটিসাপটা, পুরপিঠে, দুধশিউলি, ক্ষীরপিঠে, নলেনগুড়ের পায়েস আরও কত কিছু, আছে ক্ষেতভরা নতুন শাকসবজি। শীত এলেই তো ছাদবাগানে ফুলের সমারোহ, ইনকা গাঁদা চন্দ্রমল্লিকা ডালিয়া জিনিয়া সূর্যমুখীর রঙিন বাহার। সর্দিকাশি, হাঁপানির টান বাড়লেও শীতেই তো মেরী ক্রিসমাস, নিউইয়ার্স ইভ, সরস্বতী পুজো, রান্না-পান্তা, বনভোজনের আয়োজন। প্রকৃতির ঋতুরঙ্গ বৈচিত্র্যময়।
শীতের পোশাক ঝলমলে হয়
শীতের কামড় ভীষণ
শীতপোশাকের অভাব যখন
শীত দুঃখের কারণ।
বৈচিত্র্যময় পোশাকের ঋতু হল শীত। শীত ঋতুরাণী হলেও শীতের প্রকৃতি রুক্ষ ও কর্কশ, শীতের এই রুক্ষ চেহারা ঢাকা পড়ে রঙবেরঙের শীতপোশাকের আড়ালে। শীত একটু একটু বাড়তে থাকে আর একে একে মাফলার, টুপি, গরম জামা, সোয়েটার,জ্যাকেট বের হয় বাক্স-তোরঙ্গ, সুটকেস থেকে। বহু পুরানো রঙচটা সোয়েটার, ফেলতে না পারা বিবর্ণ জাম্পার কিম্বা সুতো ওঠা রঙচটা জামা চাপা পড়ে যায় চকচকে শীতপোশাকের আড়ালে, রংচঙে জ্যাকেটের নিচে চাপা পড়ে বিবর্ণ সোয়েটার, তাপ্পিমারা হাফশার্ট যা একসময় যত্নে তোলা থাকত টিনের নড়বড়ে সুটকেসে যা ছিল গরিবের আভিজাত্য। সুমনের স্ত্রী ছেলেকে এতগুলো শীতপোশাক পরপর পরিয়ে দেন যে আসল চেহারা বোঝাই যায় না, সব পোশাক গুলোই তো প্রকৃত মাপের অনেকটা বড়, ঢোলা শীতপোশাকের ভিতর রোগা পাতলা আসল ছেলেটাকে তখন খুঁজেই পাওয়া যেত না, চেনাই যেত না ওকে। সুমন বলত, “ছেলেটাকে অতগুলো সোয়েটার গরম জামা মাঙ্কি-ক্যাপ পরিও না, গরমে হাঁসফাঁস করবে যে।” স্কুলের তাড়ায় স্নানের সময় সাত-আটটা খুলতে বিরক্তির একশেষ হত প্রতিদিন। সুমনের বাবার কথা খুব মনে পড়ে। ওর বাবার সাধারণ অফিস পোশাক ছিল বরাবর ধুতির উপরে গেঞ্জি, তার উপর কলার দেওয়া ঢোলা ফুলহাতা শার্ট। শীতে তার উপরে চাপত হাফহাতা একটা সোয়েটার, কাঁধে নিতেন পাটকরা একটি পুরাতন শাল। শীত চলে গেলেও শালটা দোল উৎসব পর্যন্ত থাকত বাবার কাঁধে। বাবার পরে এই শালটা এখন সুমনের কাছে। প্রতি বছর বের করে, সুতো ওঠা বিবর্ণ শালটা গায়ে দিলে বাবার অনুভূতিটা টের পায় সুমন, মনে হয় বাবার কাছেই রয়েছে, মনে হয় এই তো সেদিন, বাবার কাঁধে ঘুরত শালটা, বড় আরামদায়ক, ওম নিতে বড় ভাল লাগে শালটার, তাই সুমন যত্ন করে কেঁচে তুলে রাখে সেই বাক্সটায় যেটায় ওর বাবার শীতপোশাক থাকত। মায়ের জন্য উলের একটা সোয়েটার বুনে দিয়েছিল সুমনের এক সহপাঠিনী, আমৃত্যু সেই সোয়েটারটা মা পরতেন, এখনও মায়ের সেই ট্রাঙ্কে পুরানো চাদরের সঙ্গে পরম যত্নে রাখা আছে ঘিয়ে রঙের পুরানো সোয়েটারটা, সময় পেলে ট্রাঙ্কটা খুলে, মায়ের সঙ্গে থাকে সুমন কিছুক্ষণ, মায়ের গন্ধ অনুভব করে।
শীতের হাত থেকে বাঁচতে যে কোন পোশাক এ সময় পরা যায়। আবার, একদিকে যখন শীতপোশাকের বৈচিত্র্য আত্মহারা হয় আধুনিক সভ্যতা, তখন অন্যদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে গরীবগূর্বো ফুটপাতবাসীর কাছে শীতের এত বৈচিত্র্য কোন স্পর্শই অনুভব করতে পারে না। শীতের প্রচণ্ড কামড় ওরা সহ্য করতে পারে না, একটু উষ্ণতার জন্য জড়সড় হয়ে ছেঁড়া চট কম্বল খুঁজে বেড়ায়। শৈত্যপ্রবাহে মৃত্যুর খবর ব্যথিত করে আমাদের। তাই শীত অন্য সবার কাছে রঙিন বৈচিত্র্যময় ঝলমলে ঋতু হলেও ওদের কাছে শীত এক অভিশাপ। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য।
জয়ন্ত কুমার সরকার | Jayanta Kumar Sarkar
Bengali Article 2023 | ভৃগুর শক্তিপীঠ ও বড়োমা :: বিল্লপত্তন থেকে বড়বেলুন
স্বামী বিবেকানন্দের যোগ ভাবনা | Top Best 4 Yoga by Swami Vivekananda
Bengali Article 2023 | সুভাষচন্দ্রের আত্মজীবনীঃ বিভিন্ন মনীষী প্রসঙ্গ
History of Bengali Poetry | কবিতা কি ও কেন এবং তার ইতিহাস
Modern story reading pdf | Top Bangla Golpo Online Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Famous Story – Read Online Bangla Galpo | Pdf Read Online Bangla Galpo | Read Online Bangla Galpo App | Full Bangla Golpo Online Reading | Bengali Modern Story Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Modern story reading free
Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bangla Galpo online | Read Online Bangla Galpo 2023 | New Bengali Web Story – Episode | Modern story reading for adults | Read Online Bangla Galpo Video | Story – Read Online Bangla Galpo | New Bengali Web Story Audio | New Bengali Web Story Video | Read Online Bangla Galpo Netflix | Audio Story – Read Online Bangla Galpo | Video mp4 – Modern Story Reading | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Modern story reading online | Bengali Writer 2023
Trending Bangla Golpo Online Reading | Recent story Read Online Bangla Galpo | Top Story Read Online Bangla Galpo | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Read Online Bangla Galpo Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Read Online Bangla Galpo mp4 | Read Online Bangla Galpo Library
Modern story reading online free | Full Modern Story Reading pdf | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | Modern story reading ks2 | Bengali Famous Story in pdf | Live Bengali Story – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Modern story reading books | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Story Collection – Read Online Bangla Galpo | Modern Story Reading Ebook
ব্যাগ চোর অসাধারণ লাগলো, অত্যন্ত ভালো মানের লেখা । ঝরঝরে বাংলা একটানা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়। দারুন লাগলো। জয়ন্ত দা আধুনিক কথ্য বাংলার একজন শক্তিশালী লেখক।
শীতের আমি শীতের তুমি ও বেশ চিত্তাকর্ষক । অনেক তথ্য সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে লেখনীর প্রসাদগুণে। চমৎকার।