How are Religion and Politics Connected – Sanjit Kumar Mandal
ধর্মযুদ্ধ, রাজনীতির প্রেক্ষিতে – সঞ্জিত মণ্ডল
মানুষের গোটা জীবনটাই তো যুদ্ধের, দেশ, কাল ও সময়ের প্রেক্ষিতে। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করেই বাঁচতে চাই বা বলা ভালো লড়াই করেই বাঁচতে হয়। এই তো এসে গেল জীবনের কথা। লোকে বলবে এতো রাজনীতির গন্ধ মাখা, আমি বলি, ধর্মেরও কি গন্ধ ছড়াচ্ছে না, পরিবারে সমাজে, রাজনীতিতে, চলায় বলায় কলা কৌশলে, ভেদাভেদের আত্মগ্লানিতে? তাহলে আসুন আগে দেখি ধর্ম কাকে বলে। আর রাজনীতি কাকে বলে। সংবিধান মতে ও সাধারণ ভাবে, সমাজ বদ্ধ মানুষের ন্যায়সঙ্গত আচরণই ধর্ম। আর সেই সমাজের রাজনৈতিক মানুষের ইচ্ছা, কর্ম, চলন বলন ও আত্মকথনই রাজনীতি। আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক। ধর্মের প্রাথমিক আবির্ভাব সমাজকে ধারণ করার জন্য, পাপের চিন্তাকে প্রতিহত করার জন্য। এবার তাহলে বলতে হয় পাপ কি, পাপের সংজ্ঞাই বা কি। সাধারণভাবে পাপ বলতে আমরা বুঝি অন্যায়। সমাজ ও পরিবেশের পক্ষে যা মঙ্গল জনক নয় তাকেই সাধারণত পাপ বলে অভিহিত করা হয়। কবিগুরু বলেছেন, পাপের চিন্তা মরে যেন দহি দুঃসহ লাজে। আর বঙ্কিম চন্দ্রের কথায়, এদেশে আধুনিক ধর্মের আচার্যরা সনাতন ধর্মের মধ্যে যে হিন্দু ধর্ম ব্যাখ্যাত ও রক্ষিত করেন তাহার মূর্তি বড় ভয়ানক। উপবাস, প্রায়শ্চিত্ত, পৃথিবীর সকল সুখে বৈরাগ্য, আত্মপীড়ন, আর কৃচ্ছসাধন ইত্যাদিই ধর্মের ধ্বজাধারীদের নিকট ধর্ম।
ধর্মের নামে অবৈজ্ঞানিক এবং পৈশাচিক কান্ড কারখানাকে প্রাধান্য দিয়ে, প্রকৃত মানব ধর্মের অবমাননা করাকেই যারা অভিপ্রেত মনে করেন, জাত পাতের দোহাই দিয়ে যারা ধর্মের নাম করে মর্যাদা হত্যায় মদত দেয়, যারা অবৈধ সন্তান এবং কন্যা সন্তানের ভ্রূণ হত্যা করে তাকে ধর্মের আবরণ পরিয়ে দেয় কিংবা যারা নিজ ধর্ম বিপন্ন এই ধূয়া তুলে বিদ্বান, সজ্জন ও বিজ্ঞানমনস্ক সত্যদ্রষ্টাকে খুন করে তারা আর যাই হোক মানুষ নয়। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা করে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে ধর্মের নাম করে নিজের আখের গুছানোই তাদের মূল অভিপ্রায়। তারা আসলে ঠগ, প্রতারক ও প্রবঞ্চক। ধর্মের নামাবলি গায়ে জড়িয়ে তারা একের পর এক কুকর্ম করে বেড়ায়। মানুষের চোখে ধুলো দিতে তারা সাধুর ভেক ধারণ করে। বিপন্ন প্রাণী, অর্থাৎ মনুষ্য বা মনুষ্যেতর প্রাণীকে রক্ষা করা, জীবে প্রেম ও বিভেদ হীন সমতাই যে প্রকৃত মানব ধর্ম তা বিভেদ কামী মানুষেরা ভুলে যায় বা তাদের ব্রেন-ওয়াশ করে ভুলিয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের বঙ্গীয় তথা অবিভক্ত ভারতীয় সমাজে অশিক্ষার যে অন্ধকার গভীরভাবে ছায়া বিস্তার করে ছিল এবং সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেই সময়ে বিভিন্ন ভাষায় সুপণ্ডিত ও ইউরোপীয় উদারনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গীর সম্যক দর্শন এবং ভারতীয় বেদ, পুরাণ, সংহিতা ও বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানে সমৃদ্ধ, যুক্তি নির্ভর মানবিকতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ যুগান্তকারী যুগপুরুষ রাম মোহন রায়ের সমাজ সংস্কারের বৈপ্লবিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ধর্মীয় কুসংস্কারের খানিক অবলুপ্তি ঘটেছিল। তার পরবর্তী সময়ে ডিরোজিওর ইয়ং বেঙ্গল সমস্ত ধরনের কুসংস্কারকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিতে চাইলেও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবা বিবাহের কম বিরোধিতা করেনি সেই সময়ের গোঁড়া বর্ণ হিন্দু সমাজ। ঠিক যেমন করে পৈশাচিক সতীদাহপ্রথা রক্ষা করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছিল বিধবা বিবাহ প্রচলনের ক্ষেত্রে ও বিরোধিতা করে সমাজকে আরও কুসংস্কারের অন্ধকূপে নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল সেই তারাই। তাদের স্বার্থও ছিলো, বিধবাকে পুড়িয়ে মারলে তার পারিবারিক সম্পত্তিও লুঠপাট করা যেমন যেতো তেমনই বিধবা বিবাহ রদ করতে পারলে তাকে সমস্ত বিষয় থেকে বঞ্চিত করে বিনা পয়সার দাসী বৃত্তি করানো যেতো।
একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে এই দুই ক্ষেত্রেই অতিভক্তি চোরের লক্ষণ প্রবাদই বলবতী হয়েছিল। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি যে, মানব ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম, মানবিকতা ই শ্রেষ্ঠ আচরণ এবং সাম্যবাদ বা ভেদাভেদ হীন সমতাই শ্রেষ্ঠ মতবাদ। এবার আসি রাজনীতির কথায়। সংক্ষেপে বলি রাজার নীতিই রাজনীতি। যখন রাজারা বিদ্যমান ছিল, তখন দু রকম ভাবে তাদের চেনা যেত। একরকম, প্রজাবৎসল, অন্য রকম, প্রজা উৎপীড়ক। কে ভালো কে মন্দ তার ঠেলা বুঝত প্রজারাই। এখন সব পেয়েছির দেশে রাজা নাই।এখন মন্ত্রীরাই রাজা। নামের পরিবর্তন যতই হোক না কেন, পালক আর উৎপীড়ক এই দুটো সংজ্ঞাই এখনও রয়েছে। এর উপরেও আর এক নতুন সংজ্ঞার রাজা থুড়ি মন্ত্রী আর রাজনৈতিক নেতারা এসেছে, যারা আবার ধর্মের ধ্বজাধারী ও বটে।
প্রবল ধর্মীয় টানে তারা ঠিক করে দেয় কে কি খাবে, কে কি আর কিভাবে পরবে, কে কার সাথে বিয়ে করবে আর কার সাথে করবে না, কে কি ধরনের শিক্ষা নেবে, কে শিক্ষার আলো পাবেনা, কে প্রকাশ্যে ঘোমটা দেবে কে দেবে না। কে রেশনের চাল গম চিনি পাবে, কে পাবে না, কে বন্যা ত্রাণ পাবে কে পাবে না। কোন কৃষকের আত্মহত্যা ক্ষিধের জ্বালায়, কোনটা ঋণের জ্বালায় আর কোনটা ও কিছুনা, তাও ঠিক করে দেবে এই নতুন দা রা। এরাই আবার প্রবল ধর্মীয় টানে নিজেরাই ঠিক করে অবাধ্য প্রজার ঠিক কি শাস্তি দেওয়া হবে। কারো ধোপা নাপিত বন্ধ হবে না টোটাল বয়কট হবে, মাথা নেড়া হবে না তাতে ঘোলও ঢালা হবে, অথবা বেত্রাঘাতের বিধান হবে অথবা গরু মোষ ছাগল মুর্গি সিধে দিয়ে রেহাই পাবে। অথবা গ্রাম শুদ্ধু লোক পালা করে ধর্ষণের অধিকার পাবে।
সোজা কথা, আমি রাজা,আমি দেশের নেতা, আমার কথাই শেষ কথা। আমি সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে সংবিধানের অমুক অমুক ধারা বদলে আমার পছন্দমাফিক করে নেব। আপত্তি!! ফুঃ, ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেবো। সাম্যবাদ প্রবাদ ও সব ধ্যান ধারনা শিকেয় তুলে রাখতে হবে। কে কবে কোথায় রক্ত ঝরিয়ে আট ঘন্টার কাজের দাবীতে গোটা পৃথিবী কাঁপিয়ে দিয়েছে সে ভেবে বসে থাকলে হবে? আমার প্রফিট চাই, পারলে ষোল ঘন্টার জায়গায় কুড়ি ঘন্টা দাও। ওরা প্রফিটের পাহাড় না গড়লে আমাদের ভাগ দেবে কে। জানো না একটা পার্টি চালাতে কত পয়সা লাগে। লুটে লে, সব তোরা লুটে পুটে ছিবড়ে করে তল্পিতল্পা গুছিয়ে বিদেশে পাড়ি দে। আমি একাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি কে বলল, আমার মতো সব দাদাই ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেয়। আমিও দিয়েছি। আরে বাবা, পাঁচ বছর তো লুটি। সেই লোটার টাকায় পরের পাঁচ বছরও বৈতরণী পার হয়ে যাবো। তারপর কে ঘটিবাটি হারালো আমার বয়েই গেলো। চোদ্দপুরুষ এর জন্যে কামিয়ে তো নিয়েছি। ক্ষমতা হারালেও পায়ের উপর পা তুলে খাবো।
পৃথিবীর সব লোক যে ধার্মিক হবে এমনটা যেমন আশা করা যায় না, তেমনি মুষ্টিমেয় গোঁড়া কিছু লোক ভোটে জেতার আস্ফালন কে জয়ধ্বজা করে আপামর জনগণের ওপর কুপ্রথা, কু-সংস্কারের অবৈজ্ঞানিক বোঝা চাপিয়ে দেবে তা কখনোই কাঙ্ক্ষিত হতে পারে না। সমাজকে ধারণ করার জন্য যদি ধর্মের প্রয়োজনীয়তা থাকে তবে বলবো সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষার এবং সুশিক্ষার। আবার দেশের বা বিদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা পেয়েও যদি কেউ ব্যক্তি হত্যায়,বা দেশদ্রোহীতায় জড়িয়ে পড়েন, সে শিক্ষাকে কুশিক্ষা ছাড়া আর কিছুই বলা যাবেনা। প্রকৃত শিক্ষা তথা সুশিক্ষা দেশ ও সমাজকে আলোর দিশা দেখাবে। কলুষিত মনকে বিশুদ্ধ করবে,ভেদাভেদ জাতপাত, অজ্ঞানতার অন্ধকার ইত্যাদি ক্লেদ গ্লানি থেকে সমাজকে টেনে তুলবে। এই অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণের যাত্রাপথ কেই বলি প্রকৃত মানব ধর্মের আচরণ, সাম্য আর স্বাধীনতার পথে উত্তরণ।
শুধু আমাদের দেশেই নয় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই কিছু বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক নেতা সামাজিক ভারসাম্যের নামে দলীয় নির্যাতন ও ভীতিপ্রদর্শন আর নানান উৎপীড়নের মাধ্যমে কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করে। মুশকিল হচ্ছে গণতান্ত্রিক ধারার একবার কোনো মতে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলে পাঁচ বছরের মৌরসিপাট্টায় গুছিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসা যায় আর প্রচুর লুটে পুটে খেয়ে অচিরেই দেশকে ছিবড়ে করে তল্পিতল্পা গুছিয়ে বিদেশে পাড়ি ও দেয়া যায়। দেশকে ছিবড়ে করে নিজের বা দলীয় তহবিল স্ফীত করার দৌড়ে কোনো পন্থীরাই যে কিছু পেছিয়ে নেই তা আমরা অভিজ্ঞতায় দেখেছি। কেউ দায়িত্ব না নিয়ে শুধু ছড়ি ঘুরিয়ে মধু লুটতে চায়, কেউ বা কাজের নামে অনেক কিচ্ছু কামিয়ে নেয়। কেউ দলদাস জনগণের টাকায় শুধু দলের সেবা করে, কেউ বা বখরা না পেয়ে গোঁসা করে দলত্যাগ করে।
জনগণ যে তিমিরে সেই তিমিরেই পড়ে থাকে।এরা বেশ কিছু দিন রাজত্ব করে, কিন্তু গোল বাধে অতি বাম বা অতি ডান পন্থার রক্ষণশীলতার কাছে। কেউ কেউ আবার চরমপন্থিদের কাছে মাথা নোয়ান। দলীয় স্বার্থে ব্যক্তি হত্যা আর দেশদ্রোহীতায় পিছপা হয় না তারা। নিজেদের মনগড়া অনুশাসন চাপিয়ে দেয়, আরও মুশকিল এই যে অতীত ও বর্তমান ইতিহাস কে ও তারা বিকৃত করতে পিছপা হয় না। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এদের রাজনৈতিক ধর্মের পর্যায়ে পড়ে। আর এখানেই তৈরি হয় বিকৃত ধর্ম আর রাজনৈতিক সুবিধা ভোগীদের অদ্ভুত মেলবন্ধন।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষ পাঁচ বছরে একবার সুযোগ পায় পালটে দেবার। পট পরিবর্তন এর এই সুযোগই গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় জনগণের মস্ত হাতিয়ার। বিনা বিপ্লবে, প্রায় বিনা রক্তপাতে এমন নিঃশব্দে পট পরিবর্তন বুঝি এমন ব্যবস্থাতেই সম্ভব। কিন্তু এই ব্যবস্থার সর্বাঙ্গীণ সাফল্যের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। একমাত্র শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সমাজই দেশ ও সমাজের রক্ষাকবচ হতে পারে, কোনো ধর্মীয় মৌলবাদ দেশ ও সমাজকে গাড্ডায় ফেলে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। যারা গণমুক্তির আশা করেন বিপ্লব যে হেঁটে হেঁটে দোরগোড়ায় আসবে না সে কথা ভাবার সময় তাদের হয়েছে।
উপসংহারে বলি, প্রকৃত ধার্মিক রাজনৈতিক নেতারা যেন দেশ থেকে উধাও হয়ে গেল। তাই মনে হয় ধর্মের রাজনীতি আর রাজনীতির ধর্ম যতদিন না মানব কল্যাণে সাধিত আর শোধিত হবে ততদিন কোনোটাই দীর্ঘমেয়াদী হবে না চিরস্থায়ী তো দূর অস্ত। ক্ষমতার দম্ভ যেমন রাজনীতি কে কলুষিত করে তেমনি মোহান্ধ, আত্মসর্বস্ব ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধর্ম ও সমাজ কে ধারণ করতে পারে না। মেরুকরণ করলেই সাফল্য আসে না, স্বার্থ শূন্য মন নিয়ে প্রকৃত পরার্থপর মানবসেবী রাই পারে ধর্ম আর রাজনীতির মেল বন্ধন সুদৃঢ় করতে।।
সঞ্জিত মণ্ডল | Sanjit Kumar Mandal
Teachers day in honor of teachers | শিক্ষকদের সম্মানে শিক্ষক দিবস
Traditional Seth Family Durga Puja | চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী হরিহর শেঠ পরিবারের দুর্গাপূজা
Bengali Article 2023 | ভৃগুর শক্তিপীঠ ও বড়োমা :: বিল্লপত্তন থেকে বড়বেলুন
New Bengali Article 2023 | হুগলী জেল ও কাজী নজরুল ইসলাম | প্রবন্ধ ২০২৩
How are Religion and Politics Connected | Article – How are Religion and Politics Connected | Best Article in Bengali | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | How are Religion and Politics Connected – essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | Best Article – How are Religion and Politics Connected | Best Article in Bengali pdf | writing competitions in africa 2023 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions 2023 | writing competitions uk | bengali article writing | bangla – How are Religion and Politics Connected | bengali article rewriter | article writing | How are Religion and Politics Connected – writing ai | bengali article writing app | Best Article in Bengali book | Best Article in Bengali – Online | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples – How are Religion and Politics Connected | Viral Video – Best Article in Bengali | Best Article in Bengali Source | bengali article writing format | Best Article in Bengali News | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | Ebook – How are Religion and Politics Connected | PDF How are Religion and Politics Connected | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | Best Article in Bengali Font | article writing on global warming | bengali article writing pdf | article writing practice | Best Article in Bengali Ebook 2023 | what is article writing | content writing topics 2023 | Bangla Prabandha | The Best Article in Bengali | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Article | Best Article in Bengali in pdf 2023 | Trending Best Article in Bengali | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Trend – How are Religion and Politics Connected | How are Religion and Politics Connected in India | How are Religion and Politics Connected – Article in Bengali
Many many thanks to all of you friends of Shbdodweep web Magazine,Your gesture for literature is well appreciated