God Vishwakarma History | Avijit Pal | Best Article 2023

Sharing Is Caring:

এক লৌকিক বিশ্বকর্মার কথা – অভিজিৎ পাল [God Vishwakarma History]

স্বর্গের ভাস্কর্য ও শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা। তিনি বৈদিক সময় থেকে দেবশিল্পীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন। বিরাট মাপের নির্মাণ দক্ষতার জন্য তিনি দেবসমাজে সমসময় আদৃত হয়েছেন। তিনিই সূর্যের কিছুটা তেজ লাগব করে শিবের ত্রিশূল, বিষ্ণুর সুদর্শন ও ইন্দ্রের বজ্র—এই তিন অমোঘ অস্ত্র তৈরি করেছিলেন। বৈদিক সাহিত্যে বিশ্বকর্মার মূলত দ্বিবিধ রূপ পাওয়া যায়—ত্বষ্টা ও বিশ্বকর্মা। ত্বষ্টা স্বরূপে বিশ্বকর্মার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋক্-বেদের প্রথম মণ্ডলে। ঋক্-বেদ, শুক্লযজুর্বেদ ও অথর্ববেদে বিশ্বকর্মার মন্ত্র পাওয়া যায়। ঋক্-বেদ ছাড়াও বেদের নিরুক্ত, বাল্মীকি রামায়ণ ও ব্যাসকৃত মহাভারতে ত্বষ্টা ও বিশ্বকর্মার উল্লেখ পাওয়া যায়। রামায়ণের আরণ্যকাণ্ডে বিশ্বকর্মার বাস্তুকার পরিচয় রয়েছে। অন্যদিকে মহাভারতের আদিপর্বে বিশ্বকর্মা বাস্তুকার হিসেবে উপস্থিত থাকলেও, মহাভারতের বনপর্বে শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি ত্বষ্টা দ্বাদশ আদিত্যের মধ্যে একজন হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। চারবেদের অন্যতম প্রধান ও শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার সায়নাচার্য ত্বষ্টাকে অগ্নিরূপে বিশ্লেষণ করেছেন। প্রাচীন ভারতীয় আর্য সাহিত্যের মধ্যে বিশেষত বেদ পরবর্তী সাহিত্যের মধ্যে বিশেষ করে শতপথ ব্রাহ্মণেই ত্বষ্টা হিসেবে বিশ্বকর্মার রূপটি পাওয়া যায়। অবশ্য এই ব্রাহ্মণগ্ৰন্থে তিনি অগ্নিস্বরূপ সৃষ্টিময় অগ্নিপুরুষ। পুরাণবৃত্তের শেষপর্বের পুরাণগুলির মধ্যে ভাগবত পুরাণের ষষ্ঠ স্কন্ধের দশম অধ্যায়ে ত্বষ্টা ও বিশ্বকর্মাকে দুই পৃথক সত্তায় উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। অথচ প্রায় সমসময়ে রচিত দেবীভাগবত পুরাণের দ্বিতীয় স্কন্ধের ষষ্ঠ অধ্যায়ে ত্বষ্টা ও বিশ্বকর্মা দুই সত্তা পরস্পর মিলে মিশে এক হয়ে গেছেন। বলা যেতে পারে, পুরাণের শেষপর্ব থেকেই খানিক মিলেমিশে গিয়ে, খানিক বিবর্তিত হয়ে বিশ্বকর্মার নব্যরূপ লাভ হয়েছিল। আবার এই দীর্ঘ পর্বের মধ্যেই বিশ্বকর্মা প্রজাবর্ধক, প্রজাপালক প্রজাপতির স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। অষ্টাদশ মহাপুরাণ ও একাধিক উপপুরাণ নির্মাণের এই দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বকর্মার স্বরূপ আরও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম একাধিক বিবর্তন লাভ করেছে। এত রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলে ত্বষ্টা তথা বিশ্বকর্মার ভাবনাটি সারা ভারতে এক রকম থাকতে পারেনি। বিশ্বকর্মার তত্ত্ব, অবয়ব, তাঁর কাজকর্ম, তাঁর হাতের বিভিন্ন অস্ত্র, তাঁর বাহন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এক এক রকম হয়ে পড়েছে। এমনকি পূর্ব ভারতের পাশাপাশি দুই প্রদেশ ওড়িশা ও বঙ্গদেশের বিশ্বকর্মার ভাবনাতেও একাধিক পার্থক্য তৈরি হয়েছে।

অখণ্ড বঙ্গদেশে বিশ্বকর্মা যে মধ্যযুগেও আদৃত ছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে বাংলার নিজস্ব পুরাণগুলিতে, অর্থাৎ মঙ্গলকাব্যে। বিশেষ করে বাংলার মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, দুর্গামঙ্গল, শীতলামঙ্গল ও জগন্নাথমঙ্গলে দেবশিল্পী রূপে বিশ্বকর্মার বিশেষ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তবে বাংলার মঙ্গলকাব্যে যে বিশ্বকর্মার ভাবনা রয়েছে তার সঙ্গে বর্তমানে বহুল প্রচলিত বিশ্বকর্মার ভাবনাটি সম্পূর্ণরূপে এক নয়, আবার সম্পূর্ণ আলাদাও নয়। হাল আমলে যে বিশ্বকর্মার ভাবনাটি বঙ্গদেশে প্রায় সর্বত্র প্রচলিত রয়েছে তার সঙ্গে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে বঙ্গে গড়ে ওঠা কলকারখানার শ্রমিক-মজুরদের বিশ্বকর্মা উপাসনার রীতি ও ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। উনিশ শতকের আগে পর্যন্ত বঙ্গদেশে বৃহত্তর শিল্প-কারখানা ছিল না। ফলে বাংলার সৃষ্টিশীল শ্রমজীবী সমাজের মধ্যে স্বকীয় বিশ্বকর্মা পূজা বা স্মরণের রীতি থাকলেও সমবেত প্রয়াসে বিগ্রহ তৈরি করে সেভাবে বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন করা হতো না। সমাজের বিভিন্ন স্তরের শ্রমজীবী শিল্পী সম্প্রদায়ের মধ্যে পারিবারিক প্রয়াসে বিশ্বকর্মা পূজার প্রচলন সেই সময়েও ছিল, এখনও যথেষ্ট রয়েছে। আধুনিক পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার তড়া-আঁটপুর অঞ্চলের তাঁতি সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিশ্বকর্মার পূজা প্রচলিত রয়েছে, তা অনেকাংশে লৌকিক রীতিতে সমৃদ্ধ ও কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন। এই অঞ্চলের বিশ্বকর্মার রূপ ও বিগ্ৰহ নির্মাণের উপাদান খাঁটি লৌকিক। মূলত সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এখন বিশ্বকর্মার যে ধরনের বিগ্রহ দেখা যায় তাতে বিশ্বকর্মা নারায়ণের মতোই একজন সুঠাম সুদর্শন পুরুষ। তিনি চতুর্বাহুতে চার রকমের অস্ত্র তথা নির্মাণ-যন্ত্র ধরেন ও কৃষ্ণ-গজবাহনে চলাফেরা করেন। প্রায় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বিশ্বকর্মার মৃত্তিকা নির্মিত বিগ্ৰহই বহুল প্রচলিত। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বকর্মার ধাতু মূর্তির মধ্যে মূলত পিতলের মূর্তির পূজার প্রচলন ক্রমশ বাড়ছে। এই আধুনিক মূর্তিগুলি মাটির তৈরি বিশ্বকর্মার অবয়বের সঙ্গে প্রায় এক রকম। বঙ্গদেশে বিশ্বকর্মার একক কোনো প্রাচীন স্থায়ী মন্দির নেই। অবশ্য হাল আমলে কলকাতার যাদবপুর কামারপাড়া সংলগ্ন অঞ্চলে একটি বিশ্বকর্মার মন্দির তৈরি হয়েছে এবং সেই মন্দিরে শ্বেতপাথরের বিশ্বকর্মা মূর্তিতে দেবতার দুবেলা নিত্যপূজা করা হয়। এই মন্দিরের মূর্তিশৈলীতে রাজস্থানী মার্বেল-মূর্তিশিল্পের ছাপ রয়েছে। কমবেশি সারা পূর্ব-ভারতেই বিশ্বকর্মার বার্ষিক পূজা মূলত ভাদ্র সংক্রান্তিতে পালিত হয়। অথচ হুগলির তড়া-আঁটপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের তাঁতি সমাজের বিশ্বকর্মা পূজা এসব দিক থেকে প্রায় সম্পূর্ণই আলাদা।

Cambodian idol of Vishvakarma
Image Credit – Wikipedia

হুগলি জেলার তড়া-আঁটপুর অঞ্চলের বিশ্বকর্মার মূর্তি তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক শোলা কেটে। মূর্তি নির্মাতারা প্রথমে মোটা গড়নের শোলার ডাঁটি বিভিন্ন মাপে প্রয়োজন মতো কেটে নেন। তারপর বিশ্বকর্মাকে দ্বিভুজ দেবতার আকৃতি দেওয়ার জন্য জ্যামিতিক মাপে টুকরো টুকরো শোলা একত্রে জমিয়ে রাখা হয়। একই সঙ্গে বিশ্বকর্মার বাহন তৈরির জন্য বড় শোলার ডাঁটি থেকে একইভাবে বিভিন্ন টুকরো কেটে রাখা হয়। একটি অখণ্ড শোলা থেকে অখণ্ড পূর্ণ অবয়বের বিশ্বকর্মা বা ঘোড়া তৈরি করা হয় না। একাধিক সরু, মোটা, চ্যাপ্টা, সোজা, বাঁকানো শোলা প্রয়োজন অনুযায়ী ধারাল ফলার ছুরি দিয়ে আলতো করে কেটে নেওয়ার পর তা প্রায় একদিন প্রয়োজন মতো রঙে ডুবিয়ে রাখা হয়। শোলা যেহেতু জলে ভাসে তাই মাঝে মাঝে ভেসে থাকা শোলাকে একটু পাল্টে উল্টে নিয়ে শোলাগুলিকে ভালোভাবে রঙে ছাপিয়ে নেওয়া হয়। সময়ের অভাবে শোলাগুলিকে হাতে করে ঘন তরল রঙ মাখিয়ে শুকিয়ে নেওয়ার রীতিও রয়েছে। এভাবে রঙ দেওয়া হলে শোলার বাইরের অংশেই শুধু রঙ ধরে। সাধারণত লাল, হলুদ ও সবুজ রঙে শোলাগুলি ছোপানোর রেওয়াজ রয়েছে। এর ফলে শোলার স্বাভাবিক সাদা রঙ ছাড়াও লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের শোলা বিশ্বকর্মার মূর্তিতে রঙের বৈচিত্র্য আনে। শোলা শিল্পীরা শুধুমাত্র তাঁদের ঐতিহ্য মেনে এখনও মাত্র তিনটি রঙেই শোলা রঙ করেন। আধুনিক কৃত্রিম রকমারি রঙ মূল তিনটি রঞ্জকের মতো সমান সহজলভ্য হলেও শিল্পীরা শুধুমাত্র ঐতিহ্য বহন করতে রকমারি রঙের ব্যবহার থেকে নিজেদের দূরে রাখাকে এই শিল্পের স্বাভাবিক রীতি ও পরম্পরা বলে বিশ্বাস করেন।

সাধারণত তড়া-আঁটপুর ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের এই লোকায়ত বিশ্বকর্মার মুখ, বুক ও দুই হাত সহ গায়ের ওপরের অংশ আগে থেকে কেটে রাখা হলুদ রঙের শোলা দিয়ে তৈরি করা হয়। বিশ্বকর্মার পায়ের অংশ তৈরি করতে লাল বা সাদা রঙের শোলা ব্যবহার করা হয়। বিশ্বকর্মা যে ঘোড়ার ওপর বসে থাকেন সেই ঘোড়ার মুখ সাদা রঙের শোলা দিয়ে তৈরি হলেও ঘোড়ার বাকি অংশ তৈরিতে সবুজ ও লাল শোলার ব্যবহার করা হয়। ঘোড়ার ওপর বিশ্বকর্মাকে দুপাশে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। বিশ্বকর্মার সারা শরীরে কোনো অলংকারের ব্যবহার করা না হলেও বিশ্বকর্মার মাথায় একটি খুব ছোট মাপের ডুমো করে কাটা শোলার টুকরো বসানো হয় মুকুটের মতো করে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় এক-একটি শোলার টুকরো অন্যটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় সাদা সুতো, নারকেল পাতার নতুন কাঠি ও সাদা ঘন বাণিজ্যিক আঠার সাহায্যে। শোলার ভেতরে থাকা কাঠিগুলি পুরো মূর্তিটিকে পাকা অবয়ব দিতে যেমন সাহায্য করে তেমনই আবার শোলার মূর্তির একটু হলেও ওজন বৃদ্ধির কাজ করে। বিশ্বকর্মার প্রাথমিক রঙিন মূর্তি তৈরি করার পর খুব সরু তুলি আর কালো রঙ দিয়ে বিশ্বকর্মার হলুদ রঙের মুখমণ্ডলে দুটি পটলচেরা চোখ, চোখের ঠিক ওপরে উন্নত ভ্রু, দুই রেখায় তৈরি নাক, নাকের ঠিক নিচে এক ফালি সরু গোঁফ আঁকা হয় আর এরপরে বিশ্বকর্মার বাহন ঘোড়ার মুখে একই কালো রঙ দিয়েই দুটি চোখ, নাসা ও মুখ আঁকা হয়। তারপর বিশ্বকর্মার গোঁফের নিচে লাল রঙের ব্যবহারে আঁকা হয় একফালি সরু ঠোঁট ও ঘোড়ার মুখের সামনের দিকে দীর্ঘ লাল লাগাম। বিশ্বকর্মার বিগ্রহ ও ঘোড়ার চোখ-মুখ প্রভৃতি কালো ও লাল রঙ দিয়ে সম্পূর্ণ আঁকা হলে উভয়ের ছোট ছোট কান তৈরি করা হয় শোলা কেটে। বিশ্বকর্মার বাহন ঘোড়াটির দেহভঙ্গির সঙ্গে রাঢ়বঙ্গে বহুল প্রচলিত পোড়ামাটির তৈরি মানতের ঘোড়ার সহজেই মিল পাওয়া যায়। এমনকি ঘোড়ার দাঁড়ানোর ভঙ্গিমায় পর্যন্ত মিল রয়েছে। আঁটপুরের বিখ্যাত ৺শ্রীগোবিন্দজীউর মন্দিরের গায়ে টেরাকোটায় চিত্রিত ঘোড়ার সঙ্গেও এই বিশ্বকর্মার বাহন ঘোড়ার মিল রয়েছে। ৺শ্রীগোবিন্দজীউর মন্দির ও তার কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত আরও কয়েকটি মন্দিরে ঘোড়ায় চড়া দ্বিভুজ মূর্তির কয়েকটি টেরাকোটা রয়েছে। এগুলি এই অঞ্চলে প্রচলিত লৌকিক বিশ্বকর্মার টেরাকোটা নাকি ঘোড়ায় চড়া কোনো সাধারণ যোদ্ধা বা সমসময়ের কোনো স্থানীয় কাল্ট বা কল্পিত পীর তা এখন নিশ্চিত করা দুষ্কর। হুগলির তড়া-আঁটপুর অঞ্চলের শোলার তৈরি এই লৌকিক বিশ্বকর্মার পূজা করা হয় মূলত পৌষ মাসে। কোনো কোনো পরিবারে পৌষ সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পূজা করা হলেও অনেক পরিবার কোনো একটি শনিবার বা অবসর মতো দিন বেছে নিয়ে বিশ্বকর্মার পূজা উদ্‌যাপন করেন। অর্থাৎ তিথি, নক্ষত্র, দিনক্ষণের ব্রাহ্মণ্য নিয়মাবলী এখানে অনেকটাই শিথিল। তবে নিয়মের মধ্যে যেটি অবশ্যকর্তব্য মনে করা হয় তা হলো তাঁতযন্ত্রগুলি পূজার আগে ভালো করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নিয়ে নতুন সুতো দিয়ে সাজাতে হয়। কোনো কোনো পরিবারে এই দিনে তাঁতযন্ত্রকে অখণ্ড বিশ্রাম দেওয়ার রীতি রয়েছে। বিশ্বকর্মার পূজার সময় শোলার বিশ্বকর্মাকে কাঠের পাটাতন বা পিঁড়িতে বসানো হয়। বিশ্বকর্মার আসনের সামনে আতপ চালের পিটুলি দিয়ে আলপনা দেওয়া হয়। বিশ্বকর্মা পূজার এই আলপনার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো পদ্ম ও চক্র। সাধারণত পৌষের শীতের সহজলভ্য দীপ, ধূপ, ফুল, ফল ও ছানার তৈরি সন্দেশ এই পূজায় ব্যবহৃত হয়। তবে রান্না করা অন্নভোগ দেওয়ার বদলে আতপ চাল ও গোটা ফলের নৈবদ্য সাজিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। শোলার তৈরি বিশ্বকর্মার পূজার সময় দেবতার পূজার পর উপস্থিত তাঁতযন্ত্রেও ফুল দিয়ে যন্ত্ররূপ দেবতার বা যন্ত্রমধ্যে বিরাজমান দেবতার পূজা করা হয়। এ যেন যে যন্ত্র শ্রমজীবী মানুষের জীবিকা নির্বাহের সাহায্য করে তার প্রতি তাকে জীবন্তজ্ঞানে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশেরই একটি লৌকিক অনুষ্ঠান। আধুনিক অনুষ্ঠানমঞ্চে নাট্য বা নৃত্যশিল্পী যেমন কোনো কিছু উপস্থাপনের আগে মঞ্চকে প্রণাম করে মঞ্চে ওঠেন এক্ষেত্রে যেন তেমনভাবেই তাঁতশিল্পীরা সমস্ত পূজান্তে বিরামের পর আবার নতুন করে তাঁত চালানোর আগে তাঁতযন্ত্রকে প্রণাম করে নিজেদের ভেতরকার শিল্পীসত্তা সাহায্যে নববস্ত্র নির্মাণের যজ্ঞে মাতেন। সময়ের পার্থক্যে অনেক পরিবারে এই বিশ্বকর্মার পূজা দেবল ব্রাহ্মণরা করলেও এখনও বহু পরিবারে অব্রাহ্মণ নারী ও পুরুষ নিজেরাই নিজেদের বাড়ির বিশ্বকর্মার পূজা নিজেরা নিজেদের মতো করে করেন।

অভিজিৎ পাল | Avijit Pal

Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022

স্বামী বিবেকানন্দের যোগ ভাবনা | Top Best 4 Yoga by Swami Vivekananda

New Bengali Article 2023 | ওড়িশার পটচিত্রে ভগবতী কালী দেবী | প্রবন্ধ ২০২৩

Traditional Seth Family Durga Puja | চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী হরিহর শেঠ পরিবারের দুর্গাপূজা

Bengali Article | Vishwakarma God | God Vishwakarma History | God Vishwakarma History Article 2023 | God Vishwakarma History in pdf | Bengali Literature | Bangla Prabandha | Shabdodweep Article | High Challenger | Trending Topic – God Vishwakarma History | Latest Article – God Vishwakarma History | Article God Vishwakarma History | Full Article Collection | Shabdodweep Article Collection | Pdf Article | New Article | Sabuj Basinda | God Vishwakarma History in India | God Vishwakarma History in Bengali | God Vishwakarma History – Images | Bangla Article Full Collection | Best Articles in pdf 2023 | God Vishwakarma History – Article | God Vishwakarma History – Avijit Pal | Article Trend – God Vishwakarma History | History of Vishwakarma Puja | Shabdodweep Article Collection | Read God Vishwakarma History Online | Best God Vishwakarma History

Leave a Comment