Driving Experience Canada 2023 | ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ১১ এবং শেষ)

Sharing Is Caring:
Driving Experience Canada 6

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – ১১) – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

গল্পের শেষের দিকে চলে এসেছি আমরা। দশ পর্বে শেষ করার ইচ্ছে থাকলেও হয়তো পরের পর্বে শেষ হবে। এর মধ্যে অনেক খুঁটিনাটি ঘটনা বলা হয়নি। যাদের কথা উল্লেখ করেছি, তারা ছাড়াও আরও অনেকের ঘটনা আমার ড্রাইভিংয়ের গতিপথকে প্রভাবিত করেছে। তবে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি থাকার সুবিধার কোন অন্ত নেই!

কনসেনট্রিকস এর পরে অন্য চাকরির জন্য যখন বিভিন্নজনের মারফতে কর্মী নিয়োগের খবর পেলাম তখন গাড়ি নিয়ে বেশ কয়েকটা লোকেশনে চষে বেড়িয়েছি। প্রথমে একদিন গেছি ভিক্টোরিয়া রোডের অফিসে। ওখানে সামনে রাস্তায় পার্কিং করা যায় না। পেছনে জায়গা আছে, তাও মাত্র দুই-একটা গাড়ি রাখার। ওদের অফিসটাও একেবারে যাকে বলে আরও অনেকগুলো অফিসে ঘেরা। শহরের কেন্দ্রে। আমি আগেই ওই জায়গায় একবার ঘুরে এসেছিলাম। কোথায় গাড়ি পার্ক করবো বা কোথায় রোডের নির্দেশনা কি রয়েছে সেটা চাক্ষুষ দেখে নিতে। এতদিন ড্রাইভিংয়ের পরও ওখানে সরাসরি গিয়ে উপস্থিত হওয়ার সাহস জুগিয়ে চলতে না পারাটাও একপ্রকার ব্যর্থতার পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু যদি পথ কঠিন হয়, ছোট ছোট পদক্ষেপে এগিয়েই সেটা পার হওয়া উচিত। পার্ক করতে গিয়ে দেখলাম আরেকটা সমস্যা যেটা এর আগের দিন চোখে পড়েনি। কোন জায়গা থেকে পার্কিং করবো সেটা দেওয়া থাকলেও কোথায় এর শেষ সেটা দেওয়া নেই! তাই আমি মোটামুটি নিজস্ব ধারণায় পার্কিং করে ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে চললাম। ফিরে এসে দেখি আমার গাড়ির কিছুটা সামনেই একটা বেশ ঢাউস সাইজের সবুজ রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ওখানে কিছু কর্মী ঘাস মাড়াইয়ের কাজ করছিল। পার্কিং-এর ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম। ওরা আমাকে কিছুটা ধারণা দিলো।

পরের বার গেলাম বাসা থেকে কিছুটা দূরের এক জায়গায় – জর্জ স্ট্রিট। একই পথে ঘুরে সিডনির সরকারি হাসপাতালে যাওয়া যায়। এবারের রাস্তাটাও আগে কিছুটা চেনার উপায় খুঁজতে একদিন রাতের বেলা জুয়েলকে নিয়ে এক ঢুঁ মেরে আসলাম। পরে নিজে যখন রওয়ানা হলাম তখন পৌঁছলাম ঠিকঠাক ভাবেই। সমস্যা হলো ফিরে আসার সময়। ওখানে একটা গোল চক্কর আছে যেখানে গাড়িগুলো নির্দেশনা দেখে চক্রাকারে চলে। এর একটা জায়গায় এসে সোজা পথে না গিয়ে বাম দিকে ঘুরে যেতে হতো। ওখানেই ভুল করে পরের রাস্তায় চলে গেলাম। তখনও টের পাইনি ভুল পথে এগিয়ে চলেছি। এরপর কিছুদূর গিয়েই আশপাশের সবকিছু এলোমেলো ঠেকলো। আমার হাইওয়েতে থাকার কথা আর তখন ক্রমশ একটা সরু রাস্তার পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছি। বুঝতে পেরে একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি ঘুরিয়ে দাঁড় করালাম। গাড়িতে বসে প্রথমে দেখলাম আসলে কোন দিকে আমাকে এখন মোড় নিতে হবে। আরেকবার ম্যাপেও দেখে নিলাম। শুরু করলাম গাড়ি ঘোরানো। কিন্তু এবার ওই জায়গায় পৌঁছে বোধগম্য হল এদিক থেকে সরাসরি বাসার পথের যে হাইওয়ে সেটাতে যাওয়া যাবে না। এর জন্য গোল চক্কর দিয়ে ঘুরে যেতে হবে সোজা পথে। এরপর পুরো পথ ঘুরে আবার আগের জায়গায় আসতে হবে। পরের বার তাই কোনভাবেই ভুল করা চলে না। ভুল হয়নি আর পুরো রাস্তায় বেশ স্বচ্ছন্দেই বাসায় ফেরত আসি।

এসব ছোটখাটো ভুল আমাকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পথে চিন্তা করে এগুতে শিখিয়েছে। একই পথে সুমন আমাকে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে। আমরা গিয়েছিলাম রেজিউমে জমা দিতে। ঘটনাটা অবশ্য ড্রাইভিং শেখার প্রথম দিককার। পরিস্থিতি তখন এমন ছিল যে কোন নতুন পথে আমাকে কেউ নিয়ে না গেলে সাহস জুগিয়ে চলা মুশকিল হতো। এক্ষেত্রে শুরুটা জুয়েলের হাত ধরে হলেও পরবর্তীতে সুমন আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেছে আর যাওয়ার সময় বরাবরই পথের দিক নির্দেশনা বুঝিয়ে দিত। কিন্তু আমার সাহস গাড়ি চালানোর ব্যাপারে বরাবরই ছিল বেশ টলমল। এক্ষেত্রে সাহস জুগিয়ে চললেও চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়া আর হয়ে ওঠেনি।

আরও একদিনের কথা মনে পড়ছে। তখন চাকরির বাজারে রীতিমতো আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে করোনা অতিমারী। হন্যে হয়ে ঘুরলেও চাকরির কোন বন্দোবস্ত করতে পারছিলাম না। সেই সূত্রে নোভা স্কসিয়া ওয়ার্কসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছিলাম সকালে। এখানকার সরকারি সংস্থা যারা চাকরি খোঁজার ব্যাপারে সাহায্য সহায়তা করে থাকে। যদিও ক্যানাডিয়ানরাই মূলত এদের মাধ্যমে উপকৃত হয় বেশি। এর মূল কারণ হচ্ছে সরকারি প্রণোদনা। প্রবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হলেও এখানকার স্থানীয় লোকজনের জন্য এ সুবিধা দিয়ে থাকে ক্যানাডিয়ান সরকার। যদি কোন স্থানীয় চাকরি প্রত্যাশী নোভা স্কসিয়া ওয়ার্কসের বরাতে কাজ পেয়ে যায় সেক্ষেত্রে সরকার ওই প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। অনেকেই বলে চাকরিতে ভাগ্যের কোন প্রয়োজন নেই! তবে এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করে বলবো, আপনার চেষ্টায় যদি সত্তর ভাগ কাজ হয় আর বাকিটা অবশ্যই ভাগ্যের ছোঁয়ায় হবে। কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও চেষ্টা করছিলাম যাতে কিছু একটা হয়। বলা তো যায় না কোথায় লুকিয়ে আছে সোনার হরিণ!! আগেই জানা ছিল ওদের অফিসের সামনে বা পেছনে পার্কিং-এর কোন জায়গা নেই। মোটামুটি কাছাকাছি দূরত্বের মধ্যে ছিল কফির দোকান- র্টিম হর্টনস। এর আগেও এখানে বহুবার পার্কিং করেছি। কখনো কোন সমস্যা হয়নি। হয়তো সেদিন অন্যরকম কোন অস্বস্তিকর সময় অপেক্ষায় ছিল। প্রতিদিনের মত ও-ই দিনও গাড়ি টিমের পার্কিং-এ রেখে কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আসার পথে বাঁধলো বিপত্তি। ফিরে এসে গাড়ি ঘুরিয়ে ওখান থেকে বের হওয়ার আগেই এক ষণ্ডামার্কা ক্যানাডিয়ান লোক এসে বেশ ঝাঁঝাল গলায় আমাকে ইঙ্গিত করে বলে, “তুমি যদি এখানে গাড়ি পার্ক করো তাহলে এখানকার কফি কিনতে হবে, আমি এই জায়গায় ট্যাক্স পরিশোধ করি। তোমরা এসে বিনামূল্যে পার্কিং করে চলে যাওয়ার জন্য করি না! আমার কথা বুঝেছ?? “
আমি বেশ হম্বিতম্বি খেয়ে সরি বলে সটকে পড়লাম ওই যাত্রায়। তখন পর্যন্ত এভাবে কোন ক্যানাডিয়ান এতটা খারাপ ভাবে কখনো কিছু বলেছে বলে মনে পড়ে না।

BENGALI NOVEL

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা (কানাডা পর্ব – শেষ) – অতনু দাশ গুপ্ত [Driving Experience Canada 2023]

যা-ই হোক, ঘটনাটা আচমকা হওয়ায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই জায়গা থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে যাই সোজা বাসার দিকে। তবে যে কানাডিয়ানের ব্যবহার খারাপ, তাকে সামলানো মুশকিল। হয়তো ওইদিন টিমে গিয়ে এক গ্লাস কফি কিনলেই বিষয়টা মিটমাট হয়ে যেত। মূলত অমন রূঢ় ব্যবহারের পর ওর কথা মেনে কফি কিনে খাবো সেটা দূর দূর পর্যন্ত অসম্ভব, অন্তত আমার ক্ষেত্রে! কথাটা ভালোভাবে বললে হয়তো নিজেই গিয়ে কিছু কিনতাম! পরেরদিনই আবার আরেকবার গিয়েছিলাম নোভা স্কসিয়া ওয়ার্কসের অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল বলে, গাড়ি ছাড়াই! ব্যাপারটা ভেতরের অফিসারকে খুলে বললাম। ওই মেয়েও খুব হতবাক হয়ে বলতে লাগলো, ওরাও অন্য কোন জায়গায় সুবিধা করতে না পারায় টিমের পার্কিং-এ গাড়ি রাখে, আজও রেখেছে। তবে প্রায়ই কফি বা এটা সেটা টিমস থেকে কেনা ওদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। অতএব উপসংহারে এটাই বলা যায়, অর্থই অনর্থের মূল!!

ড্রাইভিং যখন শুরু করি তখন আশেপাশের ছেলেপুলেদের সহযোগিতা ছাড়াও ক্যানাডিয়ান এক গাড়ি কোচিং কোম্পানিতে ক্লাস নিয়েছিলাম। এর মালিক পল হলেও ওরা দুইজনই গাড়ি চালানোর ক্লাস করাতো। আরেকজন ডেভিড। আমার ক্লাস নিয়েছিল ও। সুমনের মতে, এদের কাছে ক্লাস করার সুবিধা হলো মূল ড্রাইভিং টেস্টের দিন এদের কাছ থেকে গাড়ি ধার নেওয়া যায়। নিজস্ব গাড়িতে অনেক ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে যা অনেক সময় আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে। তবে পরীক্ষার দিন নিরীক্ষক পুরো গাড়ির কলকব্জা চেক করার সময় টুকটাক কিছু পেলেই বাতিলের তালিকায় ফেলে দিতে পারেন। ওদের গাড়ি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সেসব সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। তবে প্রতিদিন ড্রাইভিংয়ের খরচ বেশ চওড়া – পঞ্চাশ ডলার প্রতি ঘন্টায়। সে যা- ই হোক, সোমবারের এক হিমশীতল সকালে পল তার সাদা রঙের হোন্ডা গাড়িতে আমার ট্রেনিং ক্লাস নিতে হাজির। গাড়িতে করে আমাদের গন্তব্যস্হল হল উইটনি পিয়ারের ড্রাইভিং করার জায়গায়। বলা বাহুল্য ওখানে এর আগে কখনো যাওয়া হয়নি। প্রথমে ডেভিড নিজে শুরু করলেও পরে আমার হাতেই স্টিয়ারিং ছেড়ে দিল। আরও একটা মজার ব্যাপার হলো পাশের যে সিটে প্রশিক্ষক বসেছেন ওর পায়ের নিচেই আরেকটা ব্রেকিং প্যাডেল রয়েছে যাতে আনাড়ি ড্রাইভারের কোন ভুল হলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। খুব সম্ভবত এটা ট্রেনিং করার সব গাড়িতেই থাকে। বেশ কয়েকবার ডেভকে ওই প্যাডেলের ব্যবহার করতে হয়েছে ইতিমধ্যেই। ওখান থেকে শুরু হয়ে ভেতরের দিকের ওই সমস্ত রাস্তায় আমরা ঘুরেফিরে একই পথে ফিরে এসেছি। এখানে গাড়ির ট্রাফিক তুলনামূলকভাবে কম। মূলত কোন জায়গায় কিভাবে গাড়ি থামাবেন, বিভিন্ন থেমে চলার চিহ্ন, আরও কিছু সাইন যেমন- পথচারী পারাপার, স্কুলের জায়গা, ডানে-বায়ে ঘোরার নিদের্শনাগুলো শেখানোর চেষ্টা করেছে ডেভ। তবে এক্ষেত্রে টাকা পয়সার একটা ঝামেলা পোহানো চলেছে। আমি কয়েকটা ক্লাসের পর কাজের সিডিউল নিয়ে ঝামেলায় পড়ি। তখন থেকে ক্লাস এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

পরে আমার আরেক সহপাঠিনী রুচিও ওখানে ক্লাস শেষ করে লাইসেন্স পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে যায়। হয়তো ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে অনেক খরচের পাশাপাশি সময়ও ঠিকঠাক কাজে লাগানো যেত। মূলত ভালো চাকরির অনিশ্চয়তা, অতিমারীর কারণে চাকরির ওই সময়ের অচলাবস্থা কাটিয়ে হ্যালিফ্যক্সের দিকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে পরীক্ষার সময় নেওয়ার পরও আর অংশগ্রহণ করা হয়নি। তবে লাইসেন্স পরীক্ষার রোড টেস্টের সুবিধা হচ্ছে এই যে, টাকা জমা দেওয়ার কাগজের রিসিটটা সযত্নে রেখে দিলে ওটা কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না। যখন আপনি প্রস্তুতি শেষ করবেন, এরপর আবার পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে দিন। কোন সমস্যা নেই!

রুচির ক্লাস করার ধরণ অনুসরণ করলে হয়তো অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। যেমন- ও পুরো ড্রাইভিং কোর্স নিয়েছিল। এক্ষেত্রে ওর প্রশিক্ষক ছিল পল নিজেই। রুচির ভাষ্যমতে, পল অনেক ধৈর্যশীল ছিলেন সবকিছুর ক্ষেত্রেই যা ডেভিড ছিল না। আমি নিজে পলকে অনেকবার ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বললেও আমার ক্লাস নিতে আসতো ডেভ। অনুমান করলেও কেন জানি মনে হয় ওদের মধ্যে এমন কোন বোঝাপড়া ছিল যাতে পল শুধু পুরো কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের ক্লাস করাবেন আর বাকিদের ডেভিড। পুরো কোর্স শেষে প্রশিক্ষণকারীকে সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়। এর সাথে ডিসকাউন্ট পাওয়ার একটা কথাও জানিয়েছিল রুচি। ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। কোন চাকরির সুবাদে স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়া যায় সেই ব্যাপারের কোন হাল প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যেও করতে না পারার খেসারত আমাকে পদে পদে দিতে হয়েছে। চাকরি বৃত্তান্তে এসব নিয়ে আপনাদের অনেক গল্প শুনিয়েছি কিন্তু তারপরও রয়ে যায় অসংখ্য না বলা কথা।

লাইসেন্স পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা দিতে ওদের সরকারি ওয়েবসাইটে গাইড পাওয়া যায় সেটা ভালোভাবে পড়ে প্রস্তুতি নিতে হয়। এছাড়াও প্রশ্নের নমুনাপত্র পাওয়া যায় যেটা কাজে আসবে। অতিমারীর প্রাথমিক ধাক্কার পর এ বছরের শুরুতে যখন আমি হ্যালিফ্যাক্সের দিকে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই তখন আবারও একবার ক্লাস নিতে চেয়েছিলাম যাতে করে ওদের গাড়িটা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যায়। তারিখও নিয়ে ফেলি। যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। এবারও যথারীতি পলকে পাওয়া যায়নি কিন্তু ডেভিডের জবাব এলো। যখন কল করলাম তখন আমাকে অন্য আরেকটা নাম্বারে যোগাযোগ করতে বললো ও। কল রিসিভ করে আরও হতবাক হয়ে শুনলাম, নারী কন্ঠ! উনি আমাকে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দিলেন। পরে যখন ডেভ এসে উপস্থিত হলো তখন রহস্যের জট খুললো। অতিমারীর পরপরই পলের সাথে আর কাজ করছে না ডেভ। এখন সে নিজেই প্রশিক্ষণ দেয়। যিনি ফোন রিসিভ করে আজকের ক্লাসের ব্যবস্থা করিয়ে দিয়েছেন তিনি ডেভের সহধর্মিণী ভিন্ন আর কেউ নন! ওইদিন গল্পের এক পর্যায়ে ডেভ বললো, টাকা পয়সা বা অফিসের কোন ব্যাপার ও দেখে না, সবটাই দেখভাল করেন মিসেস ডেভ।

মূলত ও-ই সময়ের ডেভের সাথে করা তিনদিনের ক্লাস আমাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। আর যা ই হোক, পুরো ড্রাইভিং কোর্স শেষ না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছি না। এটাই মনস্থির করেছি! সাফল্য লাভে চড়াই উৎরাই অনেক থাকবে আর থেমে যাওয়া মানেই নিঃশেষ হওয়া নয়। বিরতি আমাদের স্বতঃস্ফূর্ততার পাশাপাশি নতুন উদ্যোমে শুরু করার প্রেরণাও জোগায়। জয়ী বা পরাজিত হওয়া কারও ভাগ্যে লেখা থাকে না, তা অর্জন বা বর্জন করতে হয়।

অতনু দাশ গুপ্ত | Atonu Das Gupta

Ananta Bikeler Rupkathara | অনন্ত বিকেলের রূপকথারা | New Bengali Story 2023

Matritva | মাতৃত্ব | পুনম মায়মুনী | New Bengali Story 2023

Pancha Byanjan | পঞ্চব্যঞ্জন | জয়ন্ত কুমার সরকার | রম্যরচনা | 2023

Gaai | গাই | শওকত নূর | New Bengali Story 2023

ড্রাইভিংয়ের যত কেচ্ছা | ড্রাইভিংয়ের যত গল্প | পথ ও প্রবাসের গল্প | ড্রাইভিংয়ে পেট্রোল খরচ কমানোর উপায় | ড্রাইভিং সিটে নারী | নতুন ড্রাইভারদের জন্য সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | সেরা ১০ ড্রাইভিং টিপস | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২৩ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২৩

Trip to Canada from India | Canada trip cost from India | Canada trip package from India | 7 Days Canada tour package | Canada family Tour Package | Canada Tour Packages with visa from India | USA and Canada Tour packages from India | Canada tour Package Price | snow driving experience | performance driving experience | f1 driving experience near me | bmw i4 driving experience | mosport driving experience | porsche driving experience | bmw m4 driving experience | bmw driving school | Driving license in Canada | Driving in Canada for Visitors | Young Drivers of Canada | Shabdodweep Founder | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep Story | Shabdodweep Writer | Driving Experience Canada 2023 | Pdf guide – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 guide download | Driving Experience Canada 2023 full book | Driving Experience Canada 2023 video download | travel guide – Driving Experience Canada 2023 | guide book – Driving Experience Canada 2023 | Trending video – Driving Experience Canada 2023 | Trend topic – Driving Experience Canada 2023 | Recent video – Driving Experience Canada 2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada 2023 – Atonu Das Gupta |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada – top guide pdf |  2023 | Driving Experience Canada 2023 – Shabdodweep Novel | Driving Experience Canada

Leave a Comment