Chandi Mandap History | Best Article 2024

Sharing Is Caring:

বিস্মৃতির কুয়াশা ঢাকা : চণ্ডীমণ্ডপ – কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা

কল্পনা পাখা মেলে। আজও কোন প্রবীণ তার নাতি – নাতনিকে ভূতের গল্প শোনায় প্রান্তিক গ্রামের কোনো মাটির ঘরের বিছানায়; অন্ধকার রাতে। আর সে ভূতের ঠিকানা পুরোনো কোনো এক চণ্ডীমণ্ডপের আড়া নয়তো কোনো বট বা নিম গাছ। আর ভূতের, বিশেষত ব্রহ্মদৈত্যের এক পা থাকত চণ্ডীমণ্ডপে আর অন্য পা টি গ্রামের প্রান্তের এক বুড়ো তালগাছে।

চণ্ডীমণ্ডপ। অভিধান মতে – (n) – temple of Durga, raised vestibule (প্রবেশকনক্ষ) in the temple of Goddess Chandi (চণ্ডী)। চণ্ডীমণ্ডপের ইতিহাস অল্প দিনের নয়। তবে মুছে যাওয়া স্মৃতির মত চণ্ডীমণ্ডপের কথা গ্রামীণ জীবন থেকে মুছে গেছে ধরে নেওয়া যেতে পারে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দশক পর্যন্ত চণ্ডী-মণ্ডপ তথা ‘ঠাকুরঘর’ তথা ‘দরজা’ তথা ‘দলুজঘর’ তথা ‘খানকা’র দেখা যেত কোনো কোনো গ্রামে। তারও আগে প্রত্যেক গ্রামে একাধিক চণ্ডীমণ্ডপ থাকাটা ছিল যেন অপরিহার্য্য। গ্রামে গ্রামান্তরে আজও যারা ঘুরে বেড়ায়, তাদের নজরে আসতে পারে কোন এক গ্রামে আটচালা, চারচালা টালি বা খড়ের ছাউনি দেওয়া চণ্ডীমণ্ডপ। গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছের অস্তিত্ব নিয়ে গ্রাম জীবনের কত না গর্ব ছিল! ছিল বর্ধিষ্ণু পরিবারের দুর্গা ও অন্যান্য দেবদেবীর পূজার চল।

সেই সময় জমি জায়গায় অভাব ছিল না। ছিল না ভোগবাদের উৎকট প্রকাশ। সহজেই পারিবারিক বা শরিকানি জায়গায় অনায়াসে মাটির দেয়াল তুলে সুন্দর এক সর্বজনীন আশ্রয়স্থল গড়ে উঠত। প্রাথমিক ভাবে এগুলি দেব দেবীর পূজা উপলক্ষে তৈরি হলেও অন্যান্য উদ্দেশ্যে চণ্ডীমণ্ডপের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। নামকরণটি হয়তো তাই প্রাথমিক উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। এই ঘরের অর্থাৎ চণ্ডীমণ্ডপের সামনে বা তিনদিকে থাকতো বারান্দা।

আজকের প্রজন্মের কাছে এই আশ্রয় স্থলের কোন পরিচয় নেই এবং সেটি স্বাভাবিক। কারণ তাদের নজরে পড়ে না এই চণ্ডীমণ্ডপ গ্রামের অন্দর মহলে। এই আশ্রয় স্থলটি শুধু ‘চণ্ডীমণ্ডপ’ শব্দের মধ্যে ধরা ছিল না। কোনো অঞ্চলে বলা হত ‘ঠাকুরঘর’ কোথাও বা বলা হত। ‘দরজা’ । মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে বলা হত ‘দলুজ ঘর’ বা ‘খানকা’। ‘দলুজি’ও বলা হত কোনো অঞ্চলে। আবার অনেকের মুখে এটি ‘বৈঠকখানা’ নামে পরিচিত। যে নামে ডাকা হোক না কেন, এই চণ্ডীমণ্ডপের বহুমাত্রিক ব্যবহার গ্রামবাসীদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় হয়ে যায়। পরবর্তী সময় ও সমাজজীবনের পরিবর্তনে, স্থানের স্বল্পতায়, সর্বোপরি প্রযুক্তির মাত্রা ছাড়া ব্যবহারে চণ্ডী-মণ্ডপের অস্তিত্ব লোপ পায়। আজকের দিনে স্মৃতি চিহ্ন স্বরূপ হয়তো কোন গ্রামে এক বা একাধিক চণ্ডীমণ্ডপ রয়ে গেছে।

এক সময় প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক পাড়ায় দেখা যেত চণ্ডীমণ্ডপ। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী একক পারিবারিক, যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে উঠত প্রিয় চণ্ডীমণ্ডপ। এটির অবস্থান যাতে সকলের কাছে সহজ বা সরল হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সাধারণত কোনো বর্ধিষ্ণু পরিবারের বাড়ির সম্মুখ ভাগে চণ্ডীমণ্ডপ, যাদের অবদান বেশি এটির নির্মাণে। পরিবার তথা পাড়ার মানুষের কাছে চণ্ডীমণ্ডপ একটি শ্রদ্ধার স্থান। সামনে থাকতো প্রশস্ত উঠোন বা ছোট মাঠ। সারা বছর বিভিন্ন কাজে, সে পারিবারিক হোক পাড়া ভিত্তিক হোক চণ্ডীমণ্ডপ ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়।

ব্যবহারিক তালিকা

১. স্থায়ী মণ্ডপ

পাড়ার পারিবারিক লক্ষ্মী, সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। আবার পাড়ার সবাই মিলে কোনো পুজোর ব্যবস্থা করলেও এখানেই অগ্রাধিকার। এই সব পুজোতে পাড়ার ও অন্য পাড়ার মানুষের সমাগম ও আনন্দ বেশ চোখে পড়ার মত। যেখানে প্রতিযোগিতা থেকে সহযোগিতা বেশি।

২. সালিশি সভার স্থান

বাংলা সাহিত্যের দিকপাল সাহিত্যিকদের কলমে চণ্ডীমণ্ডপের সালিশি সভার নিখুঁত বর্ণনা আমরা পাই বিভিন্ন উপন্যাসে এবং গল্পে। সেগুলো ছিল সমকালীন বাস্তবের চালচিত্র। তাই বলা যায় চণ্ডীমণ্ডপের ইতিহাস অনেক দিনের। আমাদের দেখা চণ্ডী – মণ্ডপে পাড়ার তথা গ্রামের ঝগড়া – বিবাদ তা সে পারিবারিক, বৈষয়িক এবং চুরি – চামারি সম্পর্কীয় ,চণ্ডীমণ্ডপের সালিশি সভায় সমাধানের ব্যবস্থা হত। আইন আদালত এড়িয়ে সাধারণ গ্রামীণ মানুষ এই ব্যবস্থাকে একেবারে অশ্রদ্ধা করতো না বরং নির্ভর করতো।

৩. স্থায়ী বরাসন

আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় শহর ও শহরতলিতে বিয়ের অনুষ্ঠান এবং নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়ন ও ভোজন পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ভাড়া করা ঘরে । গ্রামের দিকেও ক্রমশ এই রকম ব্যবস্থার প্রচলন হচ্ছে। এখন সেখানে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। তবে যখন পাড়ায় পাড়ায় চণ্ডীমণ্ডপ ছিল, তখন বরের জন্য বরাসন ও বরযাত্রীদের বসার জায়গা ছিল চণ্ডীমণ্ডপের মেঝে ও বারান্দায়। এবং ভোজন পর্ব ও বিয়ের মূল অনুষ্ঠান হত প্রশস্ত উঠোনে সামিয়ানা খাঁটিয়ে ।পাড়ার সব পরিবারের জন্য চণ্ডী মণ্ডপের ব্যবহার নিয়ে কোন দ্বিমত ছিল না।

৪. বিনোদনের ঠিকানা

বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকের আগে পর্যন্ত গ্রামীণ জনতা পুরোপুরি প্রযুক্তির পুতুল হয়ে যায়নি। তাই তাদের অবসর বিনোদন হত বিভিন্ন খেলা, গান – বাজনা ও গল্প আড্ডার মধ্যে। এই সব বিষয়গুলোর প্রাথমিক স্থান ছিল চণ্ডীমণ্ডপ। এখানে আসর গুলো হত জমাটি। তাসের আসর তো পুরো পাড়া কে সচকিত করে তুলতো। আর দর্শকের অভাব কোনদিন হত না। অন্যান্য ‘ইনডোর’ খেলার আসর এই চণ্ডীমণ্ডপ। শুধু যুবক বা প্রবীণরা নয়, কচি কাঁচারাও পড়াশুনোর ফাঁকে এবং ছুটির অবসরে তাদের পছন্দের নানা খেলাতে মেতে উঠতো। ওদের মার্বেল খেলা ছিল খুব প্রিয়। কিশোরীরাও বিভিন্ন গ্রামীণ ক্রীড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো অবসরের ফাঁকে।

৫. বর্ষাকালের বন্দীদশা

বেশ কয়েক দশক আগে দূষণহীন আবহাওয়ায় বর্ষার প্রাবল্য ছিল এবং বর্ষাকালে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিধারা চলতো সপ্তাহ ধরে। পাড়ার ঘরবন্দী ছেলে মেয়ে ও প্রবীণরা চণ্ডীমণ্ডপে জড়ো হতো এ সময়। সেখানে নানা গল্প, গান ইত্যাদি জমে উঠতো। এভাবেই একঘেয়েমি কাটাতে চণ্ডীমণ্ডপ ছিল ভরসার স্থল।

৬. গুরু মশায়ের পাঠশালা

যদিও পাঠশালার পাঠ উঠে গেছে অনেকদিন আগে, তবু তার স্মৃতি ধরে রেখেছিল চণ্ডীমণ্ডপ। একসময় চণ্ডী – মণ্ডপে বসতো গুরু মশায়ের পাঠশালা, যার অজস্র কাহিনী বাংলা সাহিত্যের পাতায় পাতায়। বর্তমানের অতি প্রবীণ মানুষদের মুখে আমরা চণ্ডী মণ্ডপে পাঠশালা বসানোর গল্প শুনে থাকি।

৭. টিউশন ঘর

টিউশন পড়ার চল তখন ছিল না। তবে সীমিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এবং গরীব ঘরের মেধাবী ছাত্রছাত্রী , বিশেষত শিক্ষক মশায়ের তাগিদে টিউশন নিত। ভালো রেজাল্ট করার জন্য। আর বলাই বাহুল্য পাড়ার চণ্ডী মণ্ডপের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে হ্যারিকেনের আলোতে চলতো সেই পাঠ পর্ব। নিরিবিলি আবহে সে পাঠের মূল্য অনেক ছিল।

৮. মহড়ার মঞ্চ

গ্রাম জীবনের বিভিন্ন পুজো পার্বণ ও অন্য অনুষ্ঠানে যাত্রা, পুতুল নাচ, নাটক, পালাগান ইত্যাদি হত। এ সব নিয়ে মানুষের উৎসাহ ছিল খুব। এই সব যাত্রা নাটক ইত্যাদির অভিনেতা ছিল গ্রামেরই মানুষ। পাড়ায় পাড়ায় তাই চলতো মহড়া আসন্ন অভিনয়ের জন্য। আর বলাই বাহুল্য, চণ্ডীমণ্ডপ ছিল ওই সব মহড়ার মঞ্চ। যে সন্ধ্যায় মহড়া হত, চণ্ডী মণ্ডপে ভিড় হত দেখার মত। কাছাকাছি যাত্রা পুতুল নাচের আসর বসলে প্রাথমিক ভাবে সংশ্লিষ্ট পাড়ার চণ্ডী মণ্ডপে কুশীলবরা আস্তানা নিত। তাদের সাজের বাক্স পুতুল ইত্যাদি দেখতে পাড়ার তথা গ্রামের ছেলেমেয়েরা খুব ভিড় জ-মাত। চণ্ডীমণ্ডপ মাঝে মাঝে ‘গ্রীনরুম’ হয়ে যেত।

৯. কার্তিক মাসের রামায়ণ পাঠ

সম্পন্ন পরিবার বা ভক্তিপ্রাণ গৃহস্থরা সারা কার্তিক মাস জুড়ে রামায়ণ পাঠের ব্যবস্থা করতো গৃহস্থের সার্বিক কল্যাণের জন্য। ব্রাহ্মণ ডেকে বা নিজেরা।সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বেলে বা হ্যারিকেনের আলোতে শুরু হত রামায়ণ মহাকাব্যের সুললিত পাঠ। বেশ কিছুটা রাত ব্যাপী চলতো এই পাঠ পর্ব। পূর্ণ পুস্তক পড়তে হবে এক মাস সময় সীমার মধ্যে।

১০. নিরিবিলি ঠিকানা

বেশির ভাগ পরিবার নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু নিজেরাই তৈরি করে নিত। সেগুলো তৈরি করার জায়গার অভাব হলে চলে যেত ওই চণ্ডীমণ্ডপে। জাল বোনা, মাদুর বোনা, পাট কেটে দড়ি তৈরি, শার্শি বোনা প্রভৃতি করতো। এগুলো হল প্রয়োজনীয় অবসরকালীন কাজ। গল্প আর আড্ডার ফাঁকে এই কাজগুলো দিব্যি হয়ে যেত। যারা এই কাজ জানতো না তারাও খেলাচ্ছলে শিখে যেত। বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগ এসে এই সব লোক প্রযুক্তি হারিয়ে যাওয়ার পথে।

১১. আত্মীয় কুটুম্বের রাত্রি যাপন

অপেক্ষাকৃত গরীব পরিবারে বেশি সংখ্যক আত্মীয় এলে রাত্রিযাপনের অসুবিধা হতো। সেক্ষেত্রে এই চণ্ডীমণ্ডপ ছিল ভরসা স্থল। পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপ তাই পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের।

১২. সর্বজনীন আশ্রয়

চণ্ডীমণ্ডপ এমন একটি ঘর বা বাড়ি বলা যায় , যেখানে কোন পরিবার স্থায়ী ভাবে বাস করে না, অথচ কেউ না কেউ থাকে। এখানে গ্রীষ্মের দুপুরে বিশ্রামের জন্য রীতিমত ভিড় হত। পাড়ার প্রবীণ আর যুবকরা বিছানা বালিশ নিয়ে চলে আসতো দিবা নিদ্রা দেওয়ার জন্য। সঙ্গে থাকতো তাস । তাসখেলা আড্ডা আর শেষে ঘুম। আবার বর্ষায় ও শীতে আমন ধান রোপণ আর পাকা ধান কাটার সময় যে সমস্ত কাজের লোক অন্য গ্রাম থেকে আসতো বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়িতে , তারা ওই চণ্ডী মণ্ডপে রাত্রিযাপন করতো।

১৩. দুর্যোগে ত্রাণ শিবির

অতি বৃষ্টিতে, বিধ্বংসী ঝড়ে বা আগুনে কোন গরীব পরিবার গৃহহীন হলে আপৎকালীন আশ্রয় পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপ। আর প্রতিবেশীরা সবাই এক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। এই সব চণ্ডীমণ্ডপের নিয়মিত সংস্কার হত যাতে যে কোন সময় উপযোগী থাকে।

১৪. বিরাম বা বিশ্রাম স্থল

গ্রামে গ্রামে যে সব ফেরিওয়ালা, বাসন বিক্রেতা ও অন্যান্য বিক্রেতা ঘুরে ঘুরে ফেরি করতো ,অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে দুপুর বেলা বিশ্রাম নিতে যেত কাছের চণ্ডীমণ্ডপে।

১৫.গল্পের আসর

মাঝে মাঝে এখানে পাড়ার মহিলাদের গল্পের আসর জমে উঠতো। দুপুরে অনেক মহিলা কাঁথা সেলাই করতে বসতো পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপ ফাঁকা পেলে। দুপুরের অবসরে অনেক মহিলা হাজির হত ওই সেলাই এর আসরে। তখন গল্পে রসিকতায় জমে উঠতো চণ্ডীমণ্ডপের মধ্যাহ্ন আসর।

বহুমাত্রিক ব্যবহার পঞ্জিতে আলোচিত বিষয় থেকে বোঝা যায় ‘চণ্ডীমণ্ডপ’ নামের আশ্রয় স্থলটির গুরুত্ব সেই সময়ের গ্রামের মানুষের কাছে। এটিকে সবাই পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য করতো এবং ঘরটির পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কুমারী কন্যারা বা গৃহবধূরা নিয়মিত গোবর গোলা জল দিয়ে মেঝে ও বারান্দা নিকোত। সন্ধ্যায় ঝাট পাট ও সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে দিত। মানুষের বসার জন্য সব সময় মাদুর বা বেঞ্চ রাখা হত। কেবলমাত্র হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে চণ্ডীমণ্ডপ ছিল তা নয়, মুসলিম প্রধান গ্রামেও এই রকম ঘর ছিল। এটিকে বলা হত ‘দলুজ ঘর’ বা ‘দ- লুজি’ বা ‘খানকা’। অঞ্চল ভেদে নামের বিভিন্নতা। এটিও বহুমাত্রিক কাজে ব্যবহার করা হত।

একসময়ের প্রাণচঞ্চল আবাস গৃহটি কালের গর্ভে বিলীন। একান্নবর্তী পরিবারের ভাঙন, জনসংখ্যার বৃদ্ধিতে বাস গৃহ নির্মাণের জন্য জায়গার অভাব, শরীকানি হিংসা ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের অভিঘাতে এই প্রাচীন আশ্রয় স্থলটির বিলুপ্তি। সভ্যতার ক্রম বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মনুষ্য জাতির অগ্রগতি। আর আধুনিক যুগে প্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কারের হাত ধরে মানুষ ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থা ও নাগরিক জীবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে এই প্রাচীন আশ্রয়টির অবলুপ্তির ঘটনা মনে থাকার কথাও নয়! তবে যে সব প্রবীণদের কৈশোর থেকে যৌবন কেটেছে চণ্ডীমণ্ডপের সান্নিধ্যে; তারা কোনদিন ভুলতে কী পারবে এটির অশেষ গুরুত্ব!

শহর জীবনের আঁচে তপ্ত হচ্ছে গ্রামীণ জীবন। গ্রাম্যতা হারানো গ্রামের মানুষ আজ চলতি হাওয়ার পন্থী। চণ্ডীমণ্ডপ সংশ্লিষ্ট গল্পের নটে শাক মুড়োল। শুধু ঝাপসা স্মৃতির ওপার থেকে মনে পড়ে চণ্ডীমণ্ডপের সান্নিধ্যে থাকার মধুর ও সৃজনশীল প্রভাবের কথা; যা গ্রাম জীবনকে সর্বাংশে পূর্ণতা দিত। এবং যা ছিল সহাবস্থানের প্রতীক। গাছ গাছালির ছায়াঘেরা মাটির ঘর, নিকোন উঠোন, তুলসী মঞ্চ, সরল শান্ত নির্মোহ জীবন রসে বিশ্বাসী মানুষ যেমন হারিয়ে গেল; তেমনভাবে সেই সব প্রকৃতি পালিত মানুষের সাধের ‘চণ্ডীমণ্ডপ’ ও ‘দলুজ ঘর’, ও ……..।

কৃষ্ণকিশোর মিদ্যা | Krishna Kishore Middya

Why do newborn baby cry after birth? | Probodh Kumar Mridha

New Style of Durga Puja 2023 | Tanmoy Kabiraj

Best Gangtok Travel Attraction 2023 | Shibaprasad Purakayastha

Is Cheetah and Leopard same? | Anindya Paul | 2023

Chandi Mandap History in Bengal | Article – Chandi Mandap History in Bengal | Best Article in Bengali | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | Chandi Mandap History in Bengal – essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | Best Article – Chandi Mandap History in Bengal | Best Article in Bengali pdf | writing competitions in africa 2023 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions 2024

writing competitions uk | bengali article writing | bangla – Chandi Mandap History | bengali article rewriter | article writing | Chandi Mandap History in Bengal – writing ai | bengali article writing app | Best Article in Bengali book | Best Article in Bengali – Online | bengali article writing description | bengali article writing example | article writing examples – Chandi Mandap History in Bengal | Viral Video – Best Article in Bengali | Best Article in Bengali Source | bengali article writing format | Best Article in Bengali News | bengali article writing generator | article writing global warming | article writing igcse | Ebook – Chandi Mandap History in Bengal

PDF Chandi Mandap History in Bengal | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | Best Article in Bengali Font | article writing on global warming | bengali article writing pdf | article writing practice | Best Article in Bengali Ebook 2023 | what is article writing | content writing topics 2023 | Bangla Prabandha | The Best Article in Bengali | Definite Article | Bengali Article Writer | Short Bengali Article | Long Article | Best Article in Bengali in pdf 2023 | Trending Best Article in Bengali | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder | Trend – Chandi Mandap History in Bengal | Chandi Mandap History in Bengal 2024 | Chandi Mandap History in Bengal – History

Leave a Comment