Limerick of Swapankumar Pahari
Bangla Limerick Collection | Best Lyrical Poetry
লিমেরিকগুচ্ছ
১
নেহাৎ খেয়ালে বেশবাস ছেড়ে
অঙ্গে জড়ালে জাল,
মৎস্যকন্যা ভেবেই বুঝিবা
সৈকতই হোলো কাল!
হৈ-হৈ ক’রে স্থানীয় জেলেরা
সঙ্গে ওদের ন্যাংটো ছেলেরা
হিঁচড়ে-ছেঁচড়ে টেনে টেনে নিয়ে
পেরিয়ে চললে খাল!
২
পাঁজি দেখে কাঁজি খায় মাঝিদের বুড়িটি।
তাই দেখে হেসে মরে বেপাড়ার ছুঁড়িটি।
ছুঁড়িটার হাসি দেখে
জমে গেল একে একে
এক দুই তিন ক’রে সোমত্ত কুড়িটি!
৩
বয়-ফ্রেণ্ড নেই—বন্ধুমহলে
মুখ দেখানোই ভার।
সমাধানে তাই সুন্দরী শেষে
জোটালে চমৎকার
হ্যাণ্ডসাম এক রোবট-তরুণ
নিজ নাম বলে: কুমার অরুণ
ফের যোগ করে,হবু বর আমি
মিস মালবিকা দাঁ-র।
৪
দুম্ ক’রে সোজা রিকোয়েস্ট ক’রে
পেয়ে গিয়েছিল ছবিটি—
জুলজুলে চোখে দেখতে দেখতে
পুরো অজ্ঞান লোভীটি!
হুঁশ ফিরে এলে টানা সারাদিন
ভিডিওতে ঝাড়ে যত ‘অ্যাকটিন’
অত:পর তা send ক’রে দ্যায়—
অভিনেত্রী, না কবিটি?
৫
নিজ মুণ্ডুটা উপড়ে নিজেই খেলছিল গেণ্ডুয়া!
যেই শোনে বলে, হাসির খোরাক—
খবরটা আচাভুয়া।
শেষটা যখন কবন্ধ হাঁটে
ট্রাঙ্কে সেঁধিয়ে সারা রাত কাটে
ওখান থেকেই শুনছে তখন
শ্যালের হুক্কাহুয়া!
৬
আত্মহত্যা করার দায়ে লোকটা গেলে ফেঁসে–
লৌহ লগুড়ে যমদূত তাকে বাড়ি মেরে ধরে ঠেসে!
যতই বলছে: ক’রে দিন মাফ
এবারের মত, ধর্মের বাপ
সে কি আর শোনে? শুনলো, যখন পাত্তি দেখালে শেষে!
৭
উৎকট রাগে পেয়ে গিয়ে বাগে
কেটে নিয়েছিল মাথা।
তাও খালি হাতে—অস্ত্র ছাড়াই—
খবর কি আর যা তা?
তাই জেনে এক আধুনিক কবি
সুযোগ পেয়েও ভুলবে কি ভবী
ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে লিখেই ফেললে
একটি বিজয়-গাথা!
৮
মুঠোয় ধরবে এতটাই সরু কাঁকাল।
ধরতে গেলেই পিছলে বেদম নাকাল!
সুন্দরীকে আনতে বাগে
এই দ্যাখো না পুজোর আগে
স্তব-প্রার্থনা শুরু করে দিল পাঁকাল!
৯
এক যে জিগোলো—পুরুষ যৌনকর্মী
বাহামায় থাকে, যদিও আসলে বর্মী।
তার ছিল এক প্রিয় মক্কেল
রিসেপশানিস্ট মিস সরখেল
সে নাকি আবার আদপে মৌনধর্মী!
১০
চাঁদের আলোয় দিব্যি পড়েন কেতাব।
চশমা ছাড়াই বোঝেন “দিল কি বেতাব”।
এবছর তাই দিশি সরকার
ঘোষণা করেছে দেয়া দরকার
অর্থ না হোক—অন্তত: ‘পেঁচা’ খেতাব!
১১
সামান্য লেসবিয়ান ছিলেন শ্রীমতী পর্কুপাইন ।
অ্যাড-মাহাত্ম্যে পার্টনারও জোটে কুমারী বালিকা বাইন!
দিন কাটে পুরো বিন্দাস
কেউ কারো নয় হীন দাস
রেখেছিল তাই তিন দাস যার একজন বাঘু বাইন।
১২
নারকেল গাছে উঠে গিয়ে মেয়ে
পাড়ছিল ক’টা ডাব।
ডাব পাড়া হ’ল, তার সাথে হ’ল
আরো কিছু বেশি লাভ।
গেছো মেয়ে দেখে পথিক তরুণ
খুশি হ’য়ে বলে: আঙটি পরুন
পরিয়েও দিল, দেখা গেল ওতে
মিনে করা আছে: LOVE
১৩
হঠাৎ ন্যাংটো দেখতে পেয়েই প’ড়ে গেল জোর প্রেমে!
পটাবার কথা ভাবতে ভাবতে নেয়ে ওঠে পুরো ঘেমে!
সমাধানে অতি দ্রুত
যেমনটি লোকশ্রুত
মনদীঘিটিতে ডুবসাঁতারেই গভীরে গিয়েছে নেমে!
১৪
স্পর্শে যখন হর্ষে মাতাল দর্শক
পরমুহূর্তে কাষ্ঠনারীর ধর্ষক!
রে-রে-রে-রে তেড়ে এসেছে রক্ষী
হা-হা হি-হি হাসে যক্ষ-যক্ষী
সংগ্রহশালা হ’য়ে ওঠে রোমহর্ষক!
১৫
বুকের বাগানে ফুটেছিল দু’টি ফুল।
তুলতে গিয়েই ক’রে ফেলে মহাভুল।
কেই বা জানতো ওদুটো চুচুক
যা হবার হবে–আঁধার ঘুচুক
আরে আরে কার নরম হাতটা গায়ে যেন চুলবুল!
১৬
লন্ডনের এক বড় ব্যবসায়ী
সুখ্যাতা মিস নিকোলে।
মনখানা তার খুশিই থাকতো
মালগুলো বেশ বিকোলে।
মাল মানে শুধু ডাইনোর ডিম
বেচতো কর্মচারীদের টীম
টীমের মধ্যে সেরা জন ফের সেক্স পার্টনার শ্রীকোলে!
১৭
ফ্যানের তলায় ন্যাংটো ঘুমোয়
এলোমেলো কেশ আগাছা।
খোলা জানলায় দেখে ফেললে তা
পাশের বাড়ির জাগা ছা।
ছায়ের বয়েস বিশ
প্রথমে ছুঁড়লে কিস্
পরে ফোটো খিঁচে বিক্রি ক’রে তা
আগা খান হোলো আগা শা!
১৮
মরুর দেশের শুখা সুন্দরী
পীরিতের গাঙে ডুবে
চেহারা ফিরিয়ে এগিয়ে চললো
উৎসের মুখে পূবে।
ক্রমে এসে গেলে ডেস্টিনেশান
দ্যাখো শুরুয়াৎ মিস্টি সেশান
দু’হাত বাড়ায়ে রয়েছে দাঁড়ায়ে
প্রিয়তম ভানু দুবে!
১৯
চাহিদা মাফিক উদোম ছবিটি
পেয়েছিল উপহার।
পাল্টা আপন ন্যাংটো ছবিটি
পাঠালে চমৎকার!
জমে ওঠে প্রেম নিকষিত হেম
বেশ ক’বছর চললো এ গেম
পরিণতি পেলো পর্নো ছবিতে—
এখন সুপার স্টার!
২০
এক যে আছিল ভারী সুপাত্র
নাম ছিল তার পোস্কার–
এক বছরেই একশোটা বিয়ে
করেছিল, এতে দোষ কার?
সবকটাই তো প্রেম ক’রে বিয়ে
মাল্যবদলে মন্দিরে গিয়ে
বৎসরান্তে বউরা দিয়েছে
ঘুঁটের মালা পুরস্কার!
২১
পুরো বেখেয়ালে গিন্নির শাড়ি প’রে
এই তো সেদিন একদম কাকভোরে
বেরিয়ে পড়েন বেডরুম থেকে
সাঁতারের ক্লাসে জমলো কে কে
দেখবেন তিনি পুরো তদন্ত ক’রে!
২২
এক যে আছিল তন্বী যুবতী
শহর কানেটিকাটে,
সুন্দরী আর শিক্ষিতা তাই
থাকতো বেজায় ডাঁটে।
তবু একদিন নিজ ড্রাইভার
চকিতে চুমুটি দিলে উপহার
অঙ্গুরীয়টি পরিয়ে দিয়েছে
ডাঁটখানা তুলে লাটে!
২৩
পাশের পাড়ার রামু দে-র ভাই কামু দে।
সবাই বলতো লোকটা ভীষণ আমুদে।
ঘুমোতো যখন এক চোখ খোলা
নাগালে রাখতো ঝালমুড়িছোলা
মাঝে মাঝে খেতো খোলা চক্ষুটা না মুদে!
২৪
কন্যেপণের ফিরিস্তিতে পাত্তর অজ্ঞান!
পাত্রী তখন কান ধ’রে কন: ঢঙ সাড়ো না ক্যান্?
লাগব না তো তেমন কিসু
হও সদি বেশ এট্টু নিসু
পিঠেই তোমার সাপসি,– সবাই সানাই বাঝিয়ে দ্যান!
২৫
এক যে জিগোলো কাকে যে ভিগোলো
কাকে যে দিল্ সে কিস্–
ঠিকঠাক কিছু মাথায় ঢোকে না
পেয়ে গেল তবু ফীস্।
আবছায়া রাতে টলতে টলতে
কাকে যেন কিছু বলতে বলতে
ফের গাড়িটায় উঠতে পেরেছে
আদৌ করেনি মিস্।
২৬
লকডাউনে কাজ জোটে না—
হঠাৎ পেলেন বরাত—
শুভ্র শাঁখে গড়তে হবে
একটি শাঁখের করাত!
রইল নাওয়া, রইল খাওয়া
পরচর্চার বৈঠা বাওয়া
ঝড়ের বেগে কর্ম সারেন, —
বিনিদ্র যা ছ’রাত!
২৭
আন্ধারে বাড়িমুখো হাঁটছিল একা সে।
আচমকা কাকে দেখে হ’য়ে গেল ফ্যাকাসে?
যদিও সে ষণ্ডা
ভয়ে তবু মণ্ডা
যেই না গিলতে এলো–ধাঁই ক’রে ব্যাঁকা সে!
২৮
এক যে আছিল অদ্ভুত মেয়ে
থাকতো সে মিসিসিপিতে,
তার ছিল এক আজব হ্যাবিট
জল খেতো মেপে ছিপিতে!
ছিপিতে ধরতো ৫ মিলি
লোকেও বলতো খুব সিলি
তবুও কি আর যায় অভ্যেস—
জানা গেল গুহালিপিতে।
২৯
হঠাৎ সামনে মানুষ দেখেই
হাত-পা যখন ঠাণ্ডা,
ভিতু ভূতটার মাথায় অমনি
দুম ক’রে পড়ে ডাণ্ডা!
ভূতটা ছাড়ে পরিত্রাহি
ঘাবড়ে গিয়ে দেখছে রাহী
পুলিশের বড় কত্তা শ্রীযুত
ভূতহরিনাথ হাণ্ডা!
৩০
হুড়কো বধূ হুড়কো ফেলেই পালায়।
হুড়কো তবু পেছন পেছন জ্বালায়!
শেষটা যখন ফেললে ধ’রে
ফিরবে না আর কেমন ক’রে
দু’জন মিলে ডুয়েট নাচটা ঝালায়!
৩১
বরটা যখন পক্ষীরাজের ঘোড়া,
দিব্যি তখন পাখনা মেলেই ওড়া!
মাঠ-ঘাট-বন ছাড়িয়ে
দুজনাই গেল হারিয়ে
সত্যি কি, ভাই, ফিরছে না আর ওরা?
৩২
মাংস খেয়ে গাছপাঁঠার
দ্যাখ না কেমন নাচ পাঁঠার!
নাচছে তিড়িং-তিড়িং
সঙ্গে পিডিং-পিডিং
তাও আরেকটা সাচ পাঁঠার!
৩৩
এক ছিল ভারি ডাকাবুকো বৌ
সাকিন সাঁতরাগাছিতে,
পাছে হড়কায়—এপ্রকার ভয়ে
বরে বেঁধে রাখে কাছিতে!
তথাপি বরটা সদা হরষিত
বৌটাও তাই রয় পুলকিত
কেননা রাতেই কোমর জড়িয়ে
মেতে ওঠে নাচানাচিতে!
৩৪
বৌয়ের প্রেমে পাগলা যখন বর,
বৌটা ঢেঁচায়:বেঁধে ফেলি ওকে ধর!
হুটোপাটি আর হট্টগোলে
যাত্রাপালার অট্টরোলে
পাগলাগারদে দিতে হোলো তৎপর!
৩৫
সকাল থেকেই মাথা ধ’রে আছে–
কে যে ধ’রে আছে যায় না বোঝা।
ইন্টারনেটে সার্চ ক’রে তাই
প্রশ্নখানার জবাব খোঁজা।
মিলেও গিয়েছে জবাব
বাজাচ্ছে তাই রবাব
পাগলা কবির দু’কানে তখনো
দুইটি খাগের কলম গোঁজা।
৩৬
উটকো বৌটি হুট ক’রে এক
শুঁটকো ছোঁড়ার সাথে
হঠাৎ সেদিন ভাগলবা হোলো
অমাবস্যার রাতে!
চলেছে উটের পিঠে
মুখে বাত মিঠে মিঠে
গাছ থেকে নেমে কে আসে রে ওটা
ল্যাঙচাতে ল্যাঙচাতে?
৩৭
মোটে বিশ লাখ নিকে করেছেন ত্রিশ লাখ সন্তান।
ক্রমে সমস্যা তিল থেকে তালে
যেন বা তা অফুরান।
দুর্ভাবনায় অনিদ্রা রোগ
বাড়িয়ে তুললে আরো দুর্ভোগ
সোজা গরমেটে চেয়ে বসলেন আর্থিক অনুদান!
৩৮
জাপান গিয়ে আপান খোঁজেন পাপানবাবুর ভাই।
সন্ধ্যে কিনা, তাই তো এখন বোতলটি তাঁর চাই।
তাই জেনে এক দয়ালু জাপানি
যার আবার কিনা বেজায় হাঁপানি
হাঁফাতে হাঁফাতে তুলে দিলে হাতে কাশির সিরাপটাই!
৩৯
গানবাড়িতে থাকেন তিনি–মিসেস মুরুগান।
বাড়ির কাছে পৌঁছে গেলে অমনি শোনো গান।
সঙ্গতে তার বিচিত্র বোল
তবলার সাথে বাজে ঢাক-ঢোল
মাঝেমাঝেই গিটকিরিতে কালোয়াতির তান।
৪০
বায়না মেটাতে পিঠে তুলে নিয়ে চলেছিল গুটিগুটি
“আন্ধার বীচে ব্যাঙ নাকি পিঠে?”-ধরেছে পুলিশ দুটি।
ব্যাঙ রপ্তানি দেশে নিষিদ্ধ
জানো না কি তাও, এই যে বৃদ্ধ
ছেড়ে দিতে পারি–পাওনা গণ্ডা মেটাও তো মোটামুটি!
৪১
এক যে আছিল মস্ত পেটুক, থাকতো নাকি সে ঘানায়।
একটা হোটেলে এতই খেলো যে টেনে নিয়ে গেল থানায়।
থানায় কি আর পুষবে হাতি
কিংবা তস্য নিকট জ্ঞাতি
ভাগ্যিস্ খেল খতম হইল থানায় ডাকাত হানায়।
৪২
পাটকাঠিখানা দিব্যি চলেছে হেঁটে।
সাথে ওটা কে রে– কুমড়োপটাশ বেঁটে?
পাটকাঠি আর কুমড়োপটাশ
দু’পায়ে খড়ম খটাস খটাস
একে অন্যের গায়ে যে রয়েছে সেঁটে!
৪৩
বাঘের গায়ের জোরটুকু তাঁর চাই।
ব্যাঘ্রদুগ্ধ তাই তো সেবন ভাই!
জোগানে পড়লে টান
ব্যাঘ্রী দেয় যোগান—
কলকাত্তার চিড়িয়াখানার রাই।
৪৪
ঠোঁটটা আমার চুরি করেছিস কেন রে হারামজাদা?
এক্ষুনি আমি কেটে নিয়ে ওটা করবোই তোকে খাঁদা!
এই না বলেই দুরন্ত টিয়ে
টানাটানি করে নাকখানা নিয়ে
পাখিটা চেঁচায়, বুড়োটা চেঁচায়—দৌড়ে আসে পেয়াদা!
৪৫
সবেমাত্তর মুখ বাড়িয়েছে—আরে!
পুষি ক্যাটটা যে আঁখিয়োঁ সে গোলি মারে!
অমনি পাল্টা গোলী
তেড়েফুঁড়ে গেল চোলি
শুরু হয়ে গেল হোলি নিমেষে পৌঁছে বারে!
৪৬
আছোলা বাঁশটা কাঁধে ফেলে চলে
কাকে বুঝি ওটা দেবে,
মাগনায় নাকি প্রাপ্য রয়েছে—
ভাবছি কে ওটা নেবে?
খানিক বাদেই চিৎকার
চিৎকার নাকি শীৎকার
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে স্থানীয় লোকেরা চুল-দাড়ি ছেঁড়ে ভেবে।
৪৭
এইরে খেয়েছে, কি হবে এখন? চাদ্দিকে চোখ বুলিয়ে
ঝোপের আড়ালে প্যাণ্টখানা খুলে কাঁধেই নিয়েছে ঝুলিয়ে।
ব’সে পড়েছে কি পড়েনি
ঠাঁই থেকে মোটে নড়েনি
কর্ণকুহরে ষণ্ড-বচন : চোখে কি তোমার ঠুলি হে?
৪৮
আজগুবি রাতে গুবগুবি হাতে গাইছে আজব গানা।
কেউ না বুঝুক ভূতেরা তো বোঝে গানের অর্থখানা।
খোলা মাঠে তাই জমে গেল ভিড়
ভিড়ের চাপে যে বাপু অস্থির
তবুও কি আর থামে অনুরোধ
গান চলে একটানা।
৪৯
আরে আরে ও যে আমাকেই ছোঁড়ে কিস।
থাক না বাইকে–আদৌ করেনি মিস।
আমিও পেছন-ধাওয়া
কোথায় পালাবে বাওয়া
মোড়ে পাকড়েছি–চাইছে এখন ফীস!
৫০
পাদুকা জোড়াটি উপাধান হ’লে
পড়েন পাদুকাপুরাণ।
ভক্ত নেড়ির ল্যাজের ব্যজনে
গরমে প্রাণটি জুড়ান।
মাঝে মাঝে চলে হাসা
নেড়িটারও ভালোবাসা
চাটছে এখন গাল দু’টি তাই আনন্দ অফুরান।
৫১
কলকাত্তার চিনে পট্টিতে
থাকতো সে এক চিনেম্যান।
আজব খবর—সে ছিল আবার
শুধুমাত্তর দিনে ম্যান!
রাত নামলেই অঙ্গে ব্লাউজ- শাড়ি
তখন যেনবা খাঁটি বঙ্গীয় নারী
নৈশ পার্টিতে আঁখি ঢুলুঢুলু
রাত কাটছে না বিনে ম্যান!
৫২
আহ্লাদে পুরো আটখানা হ’য়ে পুরোটাই গেলে গ’লে
নবীন প্রেমিক চটজলদি তা সযত্নে ছাঁচে তোলে।
উভয়ে পেয়েছে চাই যেমনটি
মার্জার-গলে বেঁধেছে ঘণ্টি
আপত্তি কিসে টয়লেটখানা স্বর্গোদ্যান হ’লে?
৫৩
ভোলগা নদীর পাড়েই থাকতো পাগলাটে এক রুশ।
তার যে পোষ্য বাঘের পোলাটা খেতো সে পাঁঠার জুস্!
ওর আবার ছিল পড়ার রুটিন
তাই জেনে দেশনায়ক পুতিন
বাঘুর জন্যে পাঠিয়ে দিলেন একটি লবেনচুস!
৫৪
বডি পেণ্টিং কর্মশালায় ঘুরে দেখছিল বিকেলে।
হঠাৎ দেখলে কালো মেয়েটাকে পেণ্ট ক’রে দিলে নিকেলে।
ন্যাংটো রূপোর মূর্তি
দেখে জেগে ওঠে ফুর্তি
গোলাপটা হাতে ধরিয়ে দেবে কি–মূর্তি বলছে, কী কেলে!
৫৫
এক যে আছিল কাঁচাপাকা মেয়ে রঙটাও কাঁচাপাকা
শিল্পী দেখলে মেয়ে নয় তো এ–আস্ত রূপের ঝাঁকা।
অনুরোধ ক’রে ঝাঁকাটিকে তাই
থুতু দিয়ে পটে আটকালে ভাই
সবাই করছে–ধন্য ধন্য, বলিহারি তোর আঁকা!
৫৬
প্রিয়তম দিল্ উপহার দিলে গোলাপ।
কেইবা জানতো ওটাই বকাবে প্রলাপ!
সারাতে এলেন বদ্যি
নাক থেকে ঝরে সদ্দি
নিদান বুঝেই বিধান দিলেন জোলাপ!
৫৭
পওহারী বাবা সেজে খাচ্ছিল হাওয়া।
হাঁ-মুখে ঢুকেছে তাই যেমনটি চাওয়া!
অতএব পেট ফুলে ঢাক
আতঙ্কে করে হাঁকডাক
এবার কী হবে তবে–বলো দিকি বাওয়া?
৫৮
দু’চোখে স্বপ্ন পথে পথে ফেরে কেউ বলে বং-দালি
আচমকা দ্যাখে ঠিক সামনেই একটি রূপের ডালি।
ডালি থেকে শুধু রূপটুকু ছেনে
তুলির ডগায় টান-টোনে এনে
বানালে এ্যায়সা রঙের ঘণ্ট–ক্রিটিকে দিচ্ছে তালি!
৫৯
হাতিটাকে যেই শূন্যে তুলেছে পালোয়ান
হাতিটা চেঁচায় : গেছি রে, গেছি রে,– আলো আন।
দু’চোখে দেখি যে পুরো আন্ধার
কাজ নেই আর কোনো ধান্দার
ভীষণ কাঁপুনি—চাই যে একটা আলোয়ান!
৬০
হাওয়াই দ্বীপে চলেন ট্রিপে পায়ে হাওয়াই চটি।
সাগর পেরোতে দেখেন কিনা সম্বল ভটভটি!
কোঈ বাত নহীঁ—ইয়ে তো আচ্ছা
হামভী একঠো জোয়ান বাচ্ছা
ভটভটি চেপে পৌঁছে যাবো খেতে খেতে চটপটি!
৬১
মস্ত পেটুক গোলকচন্দ্র বল।
ভুরিভোজ খেয়ে একেবারে ফুটবল!
ওটাই এখন কিনতে
ক্লাব এসেছে তিনটে
ওদের মধ্যে বেপাড়ারও দু’টি দল!!
৬২
বিয়ের আগেই হবু বৌ গেলে খোয়া
দুঃখ ভুলতে সিধে চললেন গোয়া।
সৈকতে এক পাগলী চীনা
বরমাল্যটি দিয়াছে কিনা
আহ্লাদে তাই গিলতে লাগেন মোয়া।
৬৩
নাণ্টুর বোন ফাণ্টুস কনীনিকা
বিবাহ করিল—১ বছরের ঠিকা!
বৎসরান্তে বাচ্চাটি সহ
বিদায় বেলায় ‘তুমি আর নহ’
উচ্চারিয়া সে করিল একটি নিকাহ্।
৬৪
পথের মাঝে হঠাৎ দেখা–অনেক দিনের সই।
সই বললে: আয় লো বসি, মনের কথা কই!
পরাণ খুলে কইতে দেখি
সই উধাও—একলা একি
মনের কথা রইল মনে—গামছাবাঁধা দই!
৬৫
ডানপিটে মেয়েটার নাম ছিল বুলা।
নেহাৎ-ই খেয়ালবশে শেখে হুল্যা-হুল্যা।
অবিশ্যি হাওয়াই গিয়ে
সেরেও নিয়েছে বিয়ে-টিয়ে
এখন চ্যানেলে তাই দ্যাখে ছেলেগুলা!
৬৬
রসকলি আর গলায় কণ্ঠি– এক ন্যাড়া আর নেড়ি
বাস্তুলাগোয়া মস্ত জমিতে বানালো মাছের ভেড়ি।
অগৌণে হ’লে বেশ বড়লোক
শোনামাত্তর লোকে গেলে ঢোক
তবুও দু’জনে রোজ দু’বেলাই গাঁয়ে করে মাছ ফেরি!
৬৭
চাঁদের পিদিম জ্বলছে যখন লক্ষ তারার হাটে,
পাগলাটে বুড়ো বেরিয়ে পড়েছে তেপান্তরের মাঠে।
সঙ্গে নিয়েছে ইয়া বড় থলে
‘পিদিমটা চাই’, হাঁক পেড়ে বলে,
‘গেরাহ্যি নেই?’ হুঙ্কার ছেড়ে থলেখান পাতে ডাঁটে!
৬৮
ঘুম ভাঙতেই ঘেউটা দিচ্ছে ডন।
তা দেখে রসিক মনিবটি তার কন :
বৈঠকটাও দিবি
গুণে দেখবেন বিবি
ঘেউটা বললে, চা খাওয়ান তো ‘খন!
৬৯
প্রবল জোয়ারে চলেছিল ভেসে ভেসে।
আচমকা এক টোপ গিলে গেল ফেঁসে!
মৎস্য-শিকারি তুলেছে ডাঙায়
দ্বীপে কেবা আর চক্ষু রাঙায়
মৎস্য-কন্যা ম’রে গেল হেসে হেসে!
৭০
সুযোগ পেলেই বৌকে নাচান বরটি।
উদ্দাম নাচে ভাঙলো নাহয় ঘরটি!
আবার দেখুন মওকা পেয়ে
বরকে নাচায় ধিঙ্গি মেয়ে
বৌ কাঁধে বর স্পীড তুলেছেন ফর্টি!
৭১
তালঢ্যাঙা তাই হাতটা বাড়িয়ে তালটা নিয়েছে পেড়ে–
মাটি ফুঁড়ে যেন আরেকটা গাছ রে-রে ক’রে এলো তেড়ে!
দেখা গেল সেও বিলকুল ঢ্যাঙা
পাকড়ে রয়েছে বড়সড় ঠ্যাঙা
চুরির শাস্তি ঠ্যাঙ ভাঙবে সে—বসলো শেকড় গেড়ে!
৭২
শাদির জন্যে বুড়ো সাদ্দাম খুঁজছিল এক ছুঁড়ি।
বেহেস্তে গিয়ে পেয়েও গিয়েছে–নাম নাকি ওর নূরী।
চাঁদনি রাতের গুলবাগিচায়
সাদ্দাম যেই নজদীক যায়
জুলজুলে চোখে দেখতে পেলে সে ছুঁড়ি যে ওড়ায় ঘুড়ি!
৭৩
হাতটেবিলেই নিত্যি সারেন আহার।
খাবার টেবিল কী আর করবে তাঁহার?
অগত্যা ঐ মস্ত টেবিল
পেইমেণ্ট দিতে বিজলি-পেবিল
বেচেই দিলেন জীমূতবাহন নাহার!
৭৪
প্রেম করেছেন মধুরকণ্ঠ,
কন্যে মধুরকণ্ঠী।
ফোনালাপ ক্রমে প্রেমে গেলে জমে
উভয়ে হারালে মনটি!
শেষটা যেদিন মুখোমুখি দ্যাখা
দু’পক্ষই যে ভারি ভ্যাবাচ্যাকা
তৃতীয় পক্ষ জানলো না কেউ
হারালো যে যার ফোনটি!
৭৫
ফ্রান্সের এক খাসা সুন্দরী
নাম ছিল তার ফ্রাঁস।
আজব খেয়ালে চাষ করলে সে ইয়া বড় বড় ডাঁস!
একদিন সেই সখের খামার
ঘেঁটে গিয়ে যেই চাষের গ্রামার
তাড়া করে, আহা, মালকিন নাচে,
মুখে বোল ফোটে : জ দাঁস!
৭৬
আজব মানুষ গণেশবাবু ধনেশ পোষেন খাঁচায়।
আবার দেখুন ধনেশ তাঁকে কেমন ক’রে নাচায়!
হুঁকোয় যখন গুড়ুক-গুড়ুক
নাচ জুড়ে দেয় তুড়ুক-তুড়ুক
নাচন দেখে নাচতে নাচতে গণেশ তখন মাচায়!
৭৭
তালঢ্যাঙা দিদি তালটা কুড়িয়ে নাচছিল তালে তালে,
বেহ্মদত্যি গাছ থেকে নেমে
গাল ঘষে দিল গালে!
লজ্জায় দিদি লাল
উল্টে ঘষেছে গাল
লম্বু দিদির বিয়েটাও হ’ল
প্রেম জমে কালে কালে!
৭৮
সারারাত কেটে গেছিল কখন স্বর্গীয় ফুলশয্যায়।
প্রভাতে বসন প’রে নিতে তাই
বাঁধো বাঁধো ঠ্যাকে লজ্জায়!
উভয়েই তাই বিনা আবরণ
বৃক্ষশাখায় করে আরোহণ
হবা ও আদম সেজে বসে থাকে বৃক্ষপত্র সজ্জায়!
৭৯
খাঁটি বঙ্গীয় দম্পতি এক থাকতো বেঙ্গালুরুতে।
বিয়ে করেছিল মন্দিরে তবু
ডাকতে হয়নি পুরুতে!
অভিমানে তাই ফুলশয্যায়
নববধূ গেল ভুল শয্যায়
মেঝেতে শুয়েই কাটালে সে রাত নবজীবনের শুরুতে!
৮০
নাইবা থাকুক স্বজন তাহার
আছে নেড়ি কুত্তাটি,
আদরের বিনিময়ে তাই দ্যাখো উদ্যোগ পরিপাটি!
লেজে আটকানো ছোট হাতপাখা
ব্যজনে আহা রে আরামটি পাকা
এই না হ’লে কি নাসাগর্জনে
সুনিদ্রা হয় খাঁটি?
৮১
খুশিতে নাচছে কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে।
হুলোটার মাথা ঘেঁটে দিয়ে সব ঘুলিয়ে!
শেষটা অগ্নিবাণে
ফ্রান্সের এই কানে
স্টেজেই দু’জনে পুড়ে ম’লো খোলাখুলি হে!
৮২
এক যে আছিল ম্যারিকাবাসিনী
নাম সুহাসিনী মুলে
হাসির কারণে বিখ্যাতা ছিল—
হাসিটাও প্রাণ খুলে!
প্রদর্শনীতে তিন বেলা শোয়ে
অমলিন হাসি ছিল র’য়েস’য়ে
হায় রে, শোয়ের মাঝখানেই যে দাঁতকপাটি এলো খুলে!
৮৩
ন্যাড়া দুটো মাথা নাগালে পেয়েই জমে উঠেছিল বাজনা!
মাটি ফুঁড়ে উঠে কোতোয়াল বলে : দিতে হবে আজ খাজনা।
কেটে গেল তাল, কাঁচুমাচু মুখ
উড়ে গেল নয়া বাজনার সুখ
তবু দুর্মুখ হয়বা কী ক’রে, এটুকু বললে : আজ না!
৮৪
ঝগড়া ক’রেই একলা থাকতে
এসে পড়েছিল গুহাতে।
হোল্ডলসহ হরেক সামান কাটবে কি আর চুহাতে?
চুহা না থাকুক—তবে পিছে পিছে
ছুছুন্দর কি পিছু নিল মিছে
লজ্জা ঢাকতে বিবসনা তাই
জড়িয়ে ধরেছে দু’হাতে!
৮৫
পাত্রী খুঁজতে খুঁজতে শেষে
চিড়িয়াখানায় এসে
দখিন রায়ের কন্যেটিকেই
ফেললে ভালোবেসে!
সমাল্য তাই হাস্যমুখে
এগিয়েছে কি পরম সুখে
‘হালুম’ ছেড়ে পাত্রী ঘাড়ে
পাত্র মরে হেসে!
৮৬
ঘুনসিটুকুও নাই কটিদেশে–পূর্ণ দিগম্বরী
সাইকেলে চেপে পাঁই-পাঁই ছোটে
একি দেখি হরি হরি!
প্রকাশ্য দিবালোকে
সবাই দেখছে ওকে
কারো মুখে কোনো কথাই সরে না–
পাগলি নাকি এ গোরী?
৮৭
ডাকসাইটে সুন্দরীটি সাজেন ডাকের গয়নায়।
ফ্যাশান শোয়ে যাবেন বুঝি? নাকি যাবেন ময়নায়?
ময়নাতে ওঁর বাপের বাড়ি
সকাল সকাল তাইতো পাড়ি
ট্রাকবাহনে চলেন দেবী, বলেন: কোনো ভয় নাই!
৮৮
আসমানে জমে পেঁজা-তুলো-মেঘ–
ওতেই মাদুর পেতে
আজগুবি বুড়ো ঘুমোতে চললে
আপন খেয়ালে মেতে!
ক্রমাগত উঠে সাধের পাহাড়ে
হাঁফ ধ’রে যায়—বেচারা, আহা রে
শেযটা দ্যাখে কি—মেঘের ছানারা
নেমেছে ধানের ক্ষেতে!
৮৯
বাঁশের চাইতে কঞ্চি কিন্তু দড়।
কঞ্চি কেটেই মূর্তি এবার গড়ো।
মূর্তিটা দেখে চমৎকৃত
আমদর্শক পরম প্রীত
ক্রিটিক যে জন করছে তখন গড়ও।
৯০
রুমির বাবা কুমির চাষে ছিলেন এতই দড়
বিখ্যাত সব মানুষ এসে করতো তাঁকে গড়ও!
করবে না-ই বা কেন
দৃশ্য যখন হেন
মানুষখেকো কুমিরগুলো খায় কিনা ঘাস-খড়ও!
৯১
উড়ো মেঘে চেপে যাচ্ছিল উড়ে উড়ে।
কলকাতাবাসী বারিপদার এক উড়ে।
পুরো নিখরচা
চায়ে পে চর্চা
পরের সকালে গোটা কলকাতা জুড়ে।
৯২
আজব দেশেই থাকতো সে এক
ভারি আজগুবি বুড়ো।
দুপুরবেলায় খাবার কেবল
টাটকা রোদের গুঁড়ো!
রাতেও তেমনি আজব খাবার
একবার নয়—চাই বারবার
জ্যোৎস্নার গুঁড়ো দুধভাতে মেখে পুরো!
৯৩
বুড়ো সাদ্দাম খাচ্ছিল আম
আঁটিতে যে ছিল পোকা,
খেতে খেতে ওটা যেই না দেখেছে
বুড়ো বিলকুল বোকা!
কী করে এখন—পায় না যে কুল
সত্যি—নাকি এ চক্ষের ভুল
তরাসে চেঁচায় শরীর প্যাঁচায়
যেন বা ছোট্ট খোকা!
৯৪
পথের মোড়ে পাগলা কুকুর ঘেউ ঘেউ ঘেউ ডাকে।
হঠাৎ ক’রে দৌড়ে এসে কামড়ে দিল তাকে।
আর কোথা যায়, ঘটলো কি যে
লোকটাও কি বুঝলো নিজে
তড়িৎ বেগে পেছন ফিরেই পাল্টা কামড় নাকে!
৯৫
ব্যোমশঙ্কর পাঁড়ে রয় যে নিঝুম টাঁড়ে।
ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ তুলে দিয়ে ‘চায়ে’ সেবন ভাঁড়ে।
কোথায় রে ভাই, কোথায়?
ঐ যে দ্যাখো হোথায়
আপন গৃহের বারান্দাতে
ময়না পাখির দাঁড়ে!
৯৬
হাতির সঙ্গে হাতাহাতি ক’রে লোকটা যখন ক্লান্ত।
হাতিটা তখন বললে, এখন
এক কাপ কফি আন তো!
যেই না পেয়েছে কফি এক কাপ
হাতড়ে পকেট, আরে বাপ বাপ
পেমেণ্ট দিয়েছে, কফির কাপটা পেয়েছে যে জন শ্রান্ত!
৯৭
কী আশ্চর্য, ভাইরাস-ভয়ে রাত-দিন থাকে সিঁটিয়ে!
এদিকে আবার মওকা পেয়েই একটাকে মারে পিটিয়ে!
ডেডবডিখানা ভালো ক’রে দেখে
বেশ ক’টা ছবি তুলে দিল রেখে
বন্ধুকে বলে: নলগুলো ছাড়া এ যেন দেখছি লিটি হে!
৯৮
অনলাইনেই প্রেম ক’রে বিয়ে
শেষটাও অনলাইনে!
যথাসময়েই ফুটফুটে শিশু
আটকে গেল না আইনে!
ক’বছর বাদে এই তো সদ্য
শিশুটি এখন লিখছে পদ্য
ইস্কুলে যায় — দুইটি বিনুনি
পড়ছে কেলাস নাইনে!
৯৯
দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটান
নিশায় থাকেন জেগে,
এমন কেন জানতে চাইলে
ফট ক’রে যান রেগে!
ঘাবড়ে যদি গেছেন থেমে
কুলকুলিয়ে দারুণ ঘেমে
উল্টোমুখো দৌড় লাগান দেখার মতো বেগে!
১০০
চাঁদের পিদিম জ্বলছে যখন
লক্ষ তারার হাটে,
পাগলাটে বুড়ো বেরিয়ে পড়েছে
তেপান্তরের মাঠে।
সঙ্গে নিয়েছে ইয়া বড় থলে
‘পিদিমটা চাই’, হাঁক পেড়ে বলে,
‘গেরাহ্যি নেই?’ হুঙ্কার ছেড়ে
থলেখান পাতে ডাঁটে!
১০১
লক্ষ তারার পিদিম জ্বলে মস্ত চাঁদের হাটে।
কয়টা তারা?—গুনতে বুড়োর সমস্ত রাত কাটে।
ভোরের দিকে ঘুলিয়ে মাথা
বুড়োর যখন মেজাজ যা তা
হঠাৎ ক’রে দৌড় লাগায় পাড়ার শ্মশানঘাটে!
১০২
পুঁয়েই পাওয়া–আর কিছু নয়
ফুঁয়েই দিলেন সারিয়ে।
বদ্যিরা এসে একে একে তার
দাড়িখানা দিলে নাড়িয়ে!
বলে, কেয়া বাত, ধন্য ধন্য
কে আর বলবে তুমি নগণ্য
ওঝাটি ওসব গায়ে মাখলে না—
সবাইকে দিলে তাড়িয়ে!
১০৩
কেউ কারো মুখ দেখেনি তবুও
ঘটা ক’রে হোলো বিয়ে।
শাস্ত্রীয় রীতি সবটা মেনেই
কপালে সিঁদুর দিয়ে!
ফুলশয্যাও হ’য়ে গেল যথারীতি
মাস্কে কি আর আটকাবে প্রেম-প্রীতি?
বৎসরান্তে বাচ্চার মাকে
কে ডাকছো ভাই ‘প্রিয়ে’?
১০৪
রই ঘেঁটে খালি হাতে পাকড়ালে কই,
কইটা মিনতি করে: ছেড়ে দে না সই!
দয়াময়ী–ভারি দয়া
কইটাও বড়ো পয়া
ছাড়া পেয়ে পিছে পিছে চলেছে যে ঐ!
১০৫
অনলাইনে প্রেম করেছেন
অনলাইনেই বিয়ে,
শাস্ত্রীয় সব আচার মেনে
টোপর মাথায় দিয়ে!
অনলাইনেই ফুলশয্যা
আধুনিক তাই নেই লজ্জা
কে যেন কিন্তু কিন্তু ক’রেই
বলছে: আসলে ইয়ে….
১০৬
ইমামবাড়ার ইমাম
লুকিয়ে-চুরিয়ে পান খাচ্ছিল
ওতে নাকি ছিল কিমাম!
খানিক বাদেই ঝিমুনিটি এলে
চিবোতে চিবোতে কপ ক’রে গেলে
দোকানীকে বলে, কোচটা দাও তো
ব’সে ব’সে থোড়া ঝিমাম!
১০৭
খেয়ালবশে পাশবালিশের খোলের মাথা কেটে
আর কিছু নয়, মুণ্ডুখানায় লাগিয়ে ছিলেন সেঁটে!
খানিক বাদেই মোল্লা ক’জন
তা ধরো প্রায় একটি ডজন
সামনে এসে হল্লা ক’রে মুণ্ডু দিলে ঘেঁটে!
১০৮
এক লক্ষ পুত্র তাঁর
সোয়া লক্ষ নাতি।
কুত্র বসতি হইবেক তাহা
খোঁজেন আঁতিপাঁতি।
পৃথিবীর ঘ্রাণ পেয়ে
ভিন গ্রহ থেকে ধেয়ে
এলো কি সব্বোনেশে
অদ্ভুত জাতি?
১০৯
আষাঢ়ে মেঘের ছানাপোনাগুলো
যেই না লেগেছে কাঁদতে,
বুড়ো দৌড়োলো চোখের জলটা
বালতিতে থোড়া বাঁধতে!
তাছাড়া ভরবে যত খালি টিন
টিন থেকে জল খাবে সারাদিন
ঐ জলটাই লাগবে যে তার
ভাত-তরকারি রাঁধতে!
১১০
হাদিসে হদিস পেয়ে বেহদিস প্রেমে
কুরানে জুড়ান ঘিলু আদৌ না থেমে।
এর পর ভার্সিটি
ফেল মেরে, চার সিটি
ঝেড়েই না বেহেস্তে বাঁধানো ফ্রেমে!
১১১
নাকেশ্বরীর নাকের কদর করতে
কাব্যচুঞ্চু এলেন কলম ধরতে!
নাকের ডগায় আসন পাতা
কবির কলম ভরায় খাতা
যতক্ষণ না কেউ আসে তা পড়তে!
১১২
গঞ্জিকা সেবি মঞ্জিকা দেবী চলেন নৈশ বিহারে।
এক রাত্তিরে কোলকাতা থেকে টলতে টলতে তিহারে।
না না জেলে নয়–ফিয়াঁসের সাথে
জেলের বাইরে ককটেলে মাতে
শেষটা যখন পুরো চিৎপাত ফিয়াঁসে সাজায় শ্রীহারে!
১১৩
হুঁকোর খোলের মুণ্ডু ধড়ে যদিও মোটে একটা।
উদ্ভট এই মুণ্ডুখানা দেখতে চাইলে দ্যাখ তা।
সমস্যা নেই কিচ্ছুটি
হোস্ যদি ঠিক বিচ্ছুটি
বুড়োর বাড়িতে খেয়েই আসিস আজব খাবার ‘ক্যাঁকতা’!
১১৪
আজগুবি বটে—মাসে মাসে নাকি
দাড়ি বাড়ে তাঁর পাঁচ ফুট!
নিয়মিত দাড়ি বেচেই এখন
পরতে লাগেন স্যুট-বুট!
ধুতি-পাঞ্জাবি ছেড়েছেন বুড়ো
রোজ দু’বেলাই মছলির মুড়ো
কোত্থেকে এক ছুঁড়িও জুটেছে
সত্যি নাকি তা ঝুটমুট?
১১৫
সবুজ দাড়ির অবুঝ বুড়োর
বটের তলায় বাস।
চড়া রোদ্দুরে শীতল ছায়ায়
চিৎপাত—যেন লাশ!
চরতে চরতে বোকা এক পাঁঠা
কী বেআক্কেলে—চাটছে যে গা-টা
আরে, আরে, ও যে দাড়িটা চিবোয়—
ওটা কি দুব্বো ঘাস!
১১৬
হাতির হাতে দিলুম রঙের তুলি।
হাতটা লেখে পার্টির গরম বুলি।
সারা দেয়াল জুড়ে
দুপুর-রোদে পুড়ে
ক্যামেরা বাগিয়ে সবাই ফোটো তুলি।
১১৭
এক যে আছিল নেপালী যুবক
সবাই ডাকতো ঘিসিং।
সে নাকি আবার বিয়ে করেছিল আদিবাসী মেয়ে—মিসিং!
মিসিং বৌটা মিসিং যখন
পড়শি-জনেরা কইছে তখন
বৌটা কিন্তু ভালো নয় ভাই কইছি ফিসিং-ফিসিং!
১১৮
হাল ফ্যাশানের উঠতি যুবক
মাথায় বাবরি চুল,
বৌ-ভ্রমে কাঁধে শালীকে চাপিয়ে
করলে সে মহাভুল!
ক্ষেপে গিয়ে তাই মহা-আধুনিকা
মোল্লা ছাড়াই ক’রে নিলে নিকাহ্
একটি রাতেই সাধের বাবরি
পুরোটাই নির্মূল!
১১৯
বোতল-ভূতের পাল্লায় প’ড়ে
বোতলে নিজেকে সেঁধিয়ে
ওখান থেকেই চিল্লাতে থাকে
শোনো, শোনো বৌ–খেঁদি হে!
কী বলবো, ভাই, –বন্ধু আমার
ভেবো না আমাকে নেহাৎ চামার
ভূত ব্যাটাই যে কেড়ে নিলে সব—
বিদেয় করো না পেঁদিয়ে!
১২০
খাস বিলেতের আসল সাহেব
নাম ছিল তার হিকি
কেষ্ট ভজার দীক্ষা নিয়ে
ন্যাড়া মুণ্ডুতে টিকি!
ক’দিন বাদে ঐ টিকিতে
জুটলো এসে পরম মিতে
সুড়সুড়ি দেয়া আস্ত দুটি
উকুনসহ নিকি!
১২১
মহরম তাই কাঁদাকাঁদি ক’রে
কাঁধাকাঁধি চলে তাজিয়া।
চলতে চলতে দুই বস্তিতে
বেধে গেল জোর কাজিয়া!
কাজিয়া থামাতে হাজির মোল্লা
রক্তচক্ষু গোল্লা-গোল্লা
তোল্লা দিতেই সামনে মাইকে
গান গেয়ে ওঠে নাজিয়া!
১২২
অনেক মাথা খাটিয়ে শেষে
কাঁঠালের আমসত্ত্ব
বানিয়ে ওটা বেচতে গেল
শ্রীমদ্ভাঁড়ু দত্ত।
বেচতে ব’সে গাঁয়ের হাটে
ভিড়ের চাপে মাথাই ফাটে
ফাটুক মাথা, হাসছে তবু
ব্যাপারটা কী? মত্ত?
১২৩
ভাজা মাছটি উল্টে খেতে
আদৌ তো জানেন না!
অগত্যা ওইটুকুই খাওয়া,
ওপিঠটা দেখেন না।
ওটা অবিশ্যি পাচ্ছে পুষি
মনখানা তাই বেজায় খুশি
ওর যে আবার মাছটুকু চাই—
কাঁটায় ভারি ঘেন্না!
১২৪
তিল থেকে তাল গ’ড়ে ঐ তালে পিঠে
গড়া হ’লে চেখে দেখি বেশ মিঠে মিঠে।
গরমাগরম ক’টা খাই
খেতে খেতে ওঠে শুধু হাই
মিডিয়াতেও যে ছবি সুপার হিট হে!
১২৫
বয়েস হলেও যাননি আদৌ বুড়িয়ে।
সময় কাটান মাঠে-ঘাটে ঘুড়ি উড়িয়ে।
তাতেও যখন ভরলো না মন
ঘুড়িতে চেপেই শ্রীবৃন্দাবন
দেখে সব্বার প্রাণখানা যায় জুড়িয়ে!
১২৬
চিঠিপত্তর লেখেন না কেউ তাঁকে।
কী দুঃখু তাঁর, তবুও বলেন কাকে?
শেষকালে তাই বাগিয়ে কলম
বানিয়ে একটা দুখের মলম
পাঠিয়ে দিলেন নিজ ঠিকানায় ডাকে।
১২৭
বাবুই পাখির বাসার মতন চুলে
একটি উকুন পথটা হারায় ভুলে।
দয়ার শরীর চুলের মালিক
পুষলে তখন একটি শালিক
ভারি সাবধানে চঞ্চুতে নিল তুলে।।
১২৮
এক যে ছিল শেয়াল মামা
তার যে ছিল দাড়ি,
ব্যাঙ্কে বাঁধা রেখেই ওটা
বানিয়ে নিল বাড়ি।
বছর শেষে দেনার দায়ে
পালিয়ে যেতে চাপলে নায়ে
সী অফ করতে কুমীর ভায়া
এলেন তাড়াতাড়ি।
১২৯
উইপোকা চাষ করে দুই ভাই মিলে।
আস্ত লাইব্রেরি তাই খেতে দিলে।
খুশি হয়ে যত উই
বলে ওঠে, গাঁইগুঁই
শুনছি না তোমাদের, খাবো আজ গিলে।
১৩০
ছেলেধরা আছে ঠিকই মেয়েধরা নাই তো!
তাই বলি, ভাবনা কী? জঙ্গলে যাই তো!
নেচে নেচে ধেই ধেই
মোড়ে পৌঁছতেই
শূন্যে তুলেছে শুঁড়ে মেয়েধরা ভাই তো?
১৩১
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
যেই না শোনে বাঘা
হালুম ছেড়ে লম্ফ পেড়ে
এক পলকে ভাগা!
ভয় পেয়েছে? একটুও না
বেজায় ব্যস্ত–কেউ ছুঁয়ো না
মঞ্চে উঠে গাইবে কিনা
ডাকছে লেডি গাগা!
১৩২
একাই মিঞা বাইক চালান
সঙ্গী তবু বাইশ।
সার্কাস নয় – পথিক যত
চেঁচায়, nice, nice!
পেছন সীটে, কাঁধে, মাথায়
সবাই যখন আসন পাতায়
মাইকেলি তার দাড়িখানায়
ঝুলছে দু’জন guys…
১৩৩
হামিদুল তুমিদুল দুই দুলে মিলে
মামীর কানের দুল ফেলেছিল গিলে।
সমাধানে শ্যাকরা
বুড়ো এক ড্যাকরা
পেট-পুকুরেই ডুবুরি নামিয়ে দিলে!
১৩৪
ব্যাঙেদের সাথে লাফাতে লাফাতে হয়েছিল বুঝি ব্যাঙ।
তাই হয়তোবা আচমকা ওকে কপ ক’রে গেলে চ্যাঙ।
বয়েই গিয়েছে পাগলা বুড়োর
কৌটো যখন নস্যিগুঁড়োর
তারই এক টিপ নাকে গুঁজে নিয়ে
উদরে ড্যা-ড্যাং-ড্যাং!
১৩৫
ভয়ানক দুখে চেপে ধ’রে নিজ টুঁটি
ধরাধাম থেকে অকালে নিলেন ছুটি!
আশি বছরের তরুণ তুর্কি
খাওয়া শেষ ক’রে গরম মুড়কি
কেমন ক’রে যে সাজালে মরণ-ঘুঁটি!
১৩৬
টাকের মালিক বিজয় মালিক টাক দিয়েছেন ভাড়ায়।
ভাড়াটে ক’জন গাইছে ভজন শুনে ভক্তেরা দাঁড়ায়।
শুনতে শুনতে ভাবে গদগদ
কেউবা চাইলো খানিকটা মদও
সব্বার মুখে ‘আহা’ ‘উহু’ সাথে মুণ্ডুগুলোয় নাড়ায়।
১৩৭
আমাদের এই পাড়ার উকিল বৃক্ষমিত্র ভাদুড়ী।
তেনার ধারণা বিগত জন্মে ছিলেন একটা বাদুড়ই।
এপ্রকার কথা মনে পড়ে গেলে
অতি দ্রুত গতি, ভারি অবহেলে
হেঁট মুণ্ডুটি ঝোলেন বৃক্ষে–বপুখানা দ্যাখো আদুরই!
১৩৮
গাজা থেকে গাঁজা টেনে ফিরছিল স্বদেশে।
হঠাৎ হোঁচট খেলো আজগুবি ব-দেশে।
হোলো নাকি দিগভ্রম
থোড়া বেশী নাকি কম
শূন্যে লাফিয়ে ওঠে—শূন্য প্রদেশে!
১৩৯
পাটকাঠি দিয়ে গড়া হয়েছিল হাড় ডিগডিগে ছুকরি।
কি ক’রে যেন সে পেয়ে গেল হাতে
মস্ত ধারালো কুকরি!
আচমকা ওটা উঁচিয়ে
কনুইগুঁতোয় খুঁচিয়ে
শিল্পীকে বলে, পাকা আম খাবো—
এনে দাও এক টুকরি!
১৪০
নারদের মতো ঢেঁকিটি বাহন, খাবে ঢেঁকিশাক ভাজা।
এতে নাকি যত ভিটামিন আছে শরীরটা রাখে তাজা।
আর কোনো কিছু চাই না তাহার
সারাদিন শুধু এটাই আহার
ঢেঁকিটা কেবল যখন তখন ডাকে:
আ যা বেটা, আ যা!
১৪১
ঘাঘরা-চোলি খেলছে হোলি
খেলার সাথী হাফ প্যান্ট।
এই দ্যাখো না এদের সাথে
যোগ দিয়েছে টাফ প্যান্ট!
টাফ প্যান্ট কে? চিনলে না তো?
ইনিই তো ঐ মিসেস গাতো
শর্টসে দ্যাখো ইনজিরিতে
খোদাই করা ‘লাভ প্যান্ট’!
১৪২
ঘাটের মডা ঘাটেই ছিল প’ড়ে।
কেউ নেই তো?–ভাবে চুপটি ক’রে।
উঠে পড়ে ধড়ফড়
দু’গালেই কষে চড়
গাঁয়ের পথে চলেছে কাকভোরে!
১৪৩
তিন বেড়ালে ডিনার সারে চেয়ার-টেবিল পেতে!
জানতে পেরে খটাশ ভায়া এলেন ডিনার খেতে।
দোর পাহারায় জাত খেঁকি
গুনতিতে পুরো সাত খেঁকি
খ্যাঁক্ ক’রে যে কামড়ে ধ’রে ঝুনে দিয়েছে তেতে!
১৪৪
দু’নাসারন্ধ্রে দুটি সিগারেট গুঁজে
ধরিয়ে নেবেন দেশলাইখানা খুঁজে।
মুখ-চিমনিটা ছাড়ে যেই ধোঁয়া
বুড়ো ততক্ষণে চিৎপাত-শোয়া
বুড়ি দ্যাখে আর বকে শুধু মুখ বুজে।
স্বপনকুমার পাহাড়ী | Swapankumar Pahari
Traveler Swami Vivekananda | পরিব্রাজক বিবেকানন্দ | 2023
What is Language and Culture | ভাষা ও সংস্কৃতি | Best 2023
Connection of Myth and Reality | Best Article 2023
Famous Nolen Gur Shilpa in Bengal | Article 2023
Shabdodweep Web Magazine | Bangla Limerick Collection | Swapankumar Pahari
Limericks are a form of light-hearted, often humorous, poetry that has captivated readers for generations. The distinct rhythm and playful nature of limericks make them a delightful way to engage with poetry. In the realm of Bengali poetry, Bangla limericks stand out for their cultural nuances and linguistic creativity. This article explores the fascinating world of Bangla Limerick Collection, showcasing how this poetic form fits seamlessly within the broader landscape of Bengali literature.
If you’re a fan of Bengali poetry, or a curious reader interested in discovering something unique, the Bangla limerick collection featured here will give you an insight into the lighter, fun side of Bengali literature. Featuring some of the most beloved renowned poets, this collection reflects the ingenuity of Bengali writers in blending humor, rhythm, and meaningful commentary.
The Origins of Bangla Limericks in Bengali Poetry
The limerick form, although traditionally associated with English poetry, has made its way into Bengali literary circles with a unique twist. A Bangla limerick typically follows the same AABBA rhyme scheme as its English counterpart, but the subject matter and language are distinctly Bengali.
Bengali poets often use Bangla limericks to reflect upon cultural observations, social scenarios, and playful narratives that resonate with Bengali speakers. The form is appreciated for its capacity to deliver humor while maintaining the depth of the Bengali cultural context.
Bengali literature has long been home to various poetic forms, ranging from the deeply philosophical to the incredibly light-hearted. Bangla limericks, however, occupy a special niche, often providing comic relief, but still showcasing the linguistic mastery that defines Bengali poetry.
The Magic of Bangla Limerick Collection
A Bangla limerick collection is a compilation of witty, rhythmic verses that offer a fresh take on traditional poetry. These limericks provide a break from more serious works while still embodying the essence of Bengali poetry. In each limerick, you’ll encounter unique expressions and clever wordplay that add to the rich tradition of Bengali literature.
The Bangla limerick collection is not just for light entertainment—it reflects the creativity and intellectual brilliance of the poets who contribute to it. From poets like Swapankumar Pahari, whose limericks are often filled with both wit and insight, these collections bring out the whimsical side of Bengali literary tradition.
Through Bangla limericks, readers can experience the playful and often satirical humor that characterizes Bengali culture. This humorous poetry, while delightful, also provides a mirror into the social and political fabric of Bengali society, revealing the versatility of the Bengali literature tradition.
Notable Works in the Bangla Limerick Collection
While Bangla limericks have evolved over time, they have consistently reflected the creative spirit of Bengali writers. One of the most prominent contributors to Bangla limerick collections is Swapankumar Pahari, a respected poet featured on Shabdodweep Web Magazine. His works, infused with humor and sharp wit, have captured the attention of readers across generations.
Pahari’s Bengali limericks often touch upon everyday life in Bengal, using light-hearted verse to tackle both personal and societal themes. His ability to blend humor with commentary makes his works stand out in the collection. He proves that even in the lightest of forms like the limerick, one can delve into deeper reflections on life, love, and the world around us.
Apart from Pahari, the Bangla limerick collection on Shabdodweep Web Magazine includes various other poets who have embraced the limerick form. They continue to add to the dynamic and evolving world of Bengali literature, making it a treasure trove for anyone interested in exploring different facets of Bengali poetic forms.
How Bangla Limericks Contribute to Bengali Literature
Bengali literature is known for its vast diversity and emotional range. While many works of Bengali poetry delve into serious themes, such as patriotism, spirituality, and philosophy, Bangla limericks offer a refreshing contrast. They bring out the humorous, quirky, and satirical side of the Bengali literary tradition.
The inclusion of Bangla limericks in Bengali poetry demonstrates the ability of Bengali poets to adapt global poetic forms to suit local contexts. Through humor, these limericks often reflect the social and cultural climate of Bengal, making them a valuable addition to the broader world of Bengali literature.
Moreover, Bangla limericks serve as an entry point for younger generations to engage with Bengali poetry. Their accessibility and fun nature make them an appealing starting point for those new to the world of Bengali literature, sparking interest in more serious forms of poetry down the line.
Why You Should Explore the Bangla Limerick Collection on Shabdodweep Web Magazine
At Shabdodweep Web Magazine, we are committed to showcasing the richness and diversity of Bengali poetry. Our Bangla limerick collection features some of the most talented poets, including Swapankumar Pahari, whose contributions have enriched the world of Bengali literature. Through our platform, we aim to bring together the best of Bengali poetry, from limericks to classical works.
Whether you’re a long-time admirer of Bengali literature or someone looking to explore Bengali limericks for the first time, Shabdodweep Web Magazine offers a treasure trove of content that celebrates the humor, creativity, and cultural richness of Bengali poetry.
FAQ: Bangla Limerick Collection
- What is a Bangla limerick?
A Bangla limerick is a humorous five-line poem that follows the traditional AABBA rhyme scheme. It combines wit and rhythm with playful language and cultural references unique to Bengali society. - How does a Bangla limerick differ from other forms of Bengali poetry?
Unlike more serious forms of Bengali poetry, Bangla limericks are light-hearted, humorous, and often satirical. They follow the same basic rhyme structure as English limericks but are tailored to reflect Bengali cultural themes and humor. - Where can I read more Bangla limericks online?
You can explore an extensive collection of Bangla limericks and other works of Bengali poetry on Shabdodweep Web Magazine. The magazine features contributions from renowned poets like Swapankumar Pahari and many others. - Why are Bangla limericks important in Bengali literature?
Bangla limericks offer a lighthearted yet insightful perspective on life and society. They provide a fun, accessible way for readers to engage with Bengali literature, showcasing the diversity of Bengali poetic forms.
Conclusion
A Bangla limerick collection is more than just a series of amusing poems—it’s a testament to the creativity and depth of Bengali poetry. Through the contributions of poets like Swapankumar Pahari, Bangla limericks have carved their own niche in the world of Bengali literature. At Shabdodweep Web Magazine, we continue to celebrate these poetic gems, offering a blend of humor, insight, and cultural commentary for readers of all ages. Whether you’re a fan of light verse or a serious student of Bengali literature, our collection has something for everyone.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio
ভালো লাগলো।