Bengali Story 2022 | জয়ন্ত কুমার সরকার | গল্পগুচ্ছ ২০২২

জয়ন্ত কুমার সরকার – সূচিপত্র [Bengali Story]
গল্প আড্ডা মজলিশ [Bengali Story]
চাকরীতে আমার প্রথম পোষ্টিং বাড়ীর থেকে বেশ দূরের এক ব্লক অফিসে ; আমার শহর বিষ্ণুপুর থেকে বাস পাল্টে অফিসে যেতে হত । অফিস থেকে ফিরেই পাড়ার মোড়ে এক বন্ধুর হারমোনিয়াম দোকানে রোজ বসতাম, তখন বন্ধুটি হারমোনিয়ামে সুর বাঁধত ; কাজের ফাঁকেই টুকটাক কথাবার্তা গল্প হত, মাঝেমাঝেই ওর বাড়ির ভেতর থেকে চা-মুড়ি-তেলেভাজা আসত ; সপ্তাহে দু-এক দিন গানের মজলিশও বসত ; রোজ অফিস ফেরত বাড়িতে ঢুঁ মেরেই ছুটতাম ঐ মোড়ের দোকানের আড্ডায় । চাকরীর আগে ক্লাবও করেছি চুটিয়ে, ঐ দোকানের সামনের মাঠটায় বাচ্চাদের খেলাতাম আমরা কয়েকজন, শহরের অন্য একটা ক্লাবের দু-তিনজন ট্রেনার আসত আমাদের সাহায্যের জন্য । খেলার শেষে সন্ধ্যের গোঁড়ায় হৈ হৈ করে কচিকাঁচা ছেলেমেয়েগুলো বাড়ি ফিরত আর গোটা এলাকাটা সরগরম হয়ে উঠত বাচ্চাগুলোর তান্ডবে ; তখন পাড়ার ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলাম আমি, ইমেজটা ভালই ছিল আমার । বন্ধুদের সাথে গল্প, নাটকের রিহার্সাল, রক্তদান শিবির, বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা, খরচের হিসাব, চাঁদা আদায় এসব মাঠ থেকে ফিরে হারমোনিয়াম দোকানে বসেই হয়ে যেত । পরে পরে বাচ্চাদের খেলাতে মাঠে যাওয়া আর হয়ে উঠত না, সন্ধ্যের পর অফিসে থেকে ফিরে ঐ দোকানেই বসতাম, পাড়ার শহরের হাল-হকিকত গল্প গুজব সবই হত, একটা অমোঘ টান ছিল ঐ আড্ডায় । দিন বদলের সাথে সাথে সব কিছুই পাল্টে যায়, সময়ই সবকিছু পাল্টে দেয় ; এখন মধ্য গগনে অফিস সামলে সংসার সামলে আড্ডার আর সময় কোথায়, নিয়মিত বন্ধুদের সাথে গল্পগুজব, ঠাট্টা-ইয়ার্কি হয় আর কই ! মন মানসিকতা পাল্টেছে যে, তখনকার মতো কম বয়সের আবেগ, উদ্যম, প্রাণ চঞ্চলতা আছে কি ! এখন আড্ডায় বসি পুজোর ছুটির সময়, পুরানো পাড়ায়, পুরানো বন্ধুরা জড়ো হলে ।
নিন্দুকেরা বলে বাঙালী আড্ডাবাজ, বিশ্বজোড়া এই বদনাম থেকে বাঙালীরা যে একেবারে মুক্ত নয় তা আমরা সকলে জানলেও আড্ডায় বসেন না এমন বাঙালি কি খুঁজে পাবেন, সে হাই-প্রোফাইল সফল বঙ্গ সন্তানই হোক বা আমাদের মত ছা-পোষা মধ্যবিত্তই হোক ; গল্পে-গানে-আড্ডায় রসিক বাঙালীর জুড়ি মেলা ভার । আড্ডা শব্দটার ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই । এটা কেবল বাঙালীরই, একেবারে নিজস্ব, বাঙালীর পরম্পরার অঙ্গই বলা যায়। আগের সময়ে বেশীর ভাগ শহুরে শিক্ষিত যুবক গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন করত, তাদের আড্ডা ছিল অন্যরকম ; গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষ মোড়ের চা-দোকান বা চণ্ডীমণ্ডপে আড্ডা জমাত । মেয়েদের পি-এন-পি-সি র মতই কুট-কিচালি থেকে গ্রামের কোন মেয়ে কাকে ল্যাং মারল বা কে কাকে কটা চিঠি পাঠাল এ সবই থাকত আড্ডার বিষয়বস্তু । স্বাধীনোত্তর সময়ে নিছক আলস্যের সময় কাটানোর কেন্দ্রস্থল হিসাবে আড্ডা প্রাধান্য পেয়েছে ; ক্রমে নানান পেশার সফল মানুষজন নিজের নিজের পছন্দের জায়গায় সময় কাটাতে জড়ো হতেন ; কফি হাউস, চা-দোকান, হোটেল-রেস্তোরার নির্দিষ্ট কয়েকটা টেবিলে আড্ডা চলত; সৃজনশীল চিন্তার ভাব বিনিময়, সাহিত্য-কবিতা-বিজ্ঞান-নাটক-যাত্রা-সিনেমা সবই থাকত আলোচনায়, উঠতি কবিরা ছন্দ মেলাতেন, কেউ বা গানের নতুন সুর খুঁজে পেতেন আড্ডায় বসে। ‘কফি হাউসের আড্ডা‘টা তো মিথ হয়ে আছে রসিক বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে । এসব আড্ডা কপালে বদনাম বয়ে আনলেও বাঙালীরা আড্ডায় বসে প্রাণ ফিরে পায়, মনের স্ফুরণ, বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া দিতে বাঙালীর আড্ডা জুড়ি মেলা ভার ; একান্নবর্তী পরিবারে পুজো, বিয়েবাড়ি উপলক্ষে জড়ো হলে তুতো সম্পর্কের মধ্যেও আড্ডা চলত। এখন আবার আড্ডার ওয়েবসাইট খুলেছে । চ্যাট করা তো দুজনে হয়, এই চ্যাটিং গ্রুপের মধ্যে অনেকে থাকতে পারে ; তবে যতই নেটে আড্ডা দিন, একসাথে বসে চা-পেঁয়াজি-মুড়িমাখা বা তাসের আড্ডা কিম্বা চুটকির হাসির ফুলঝুরির মজা যে আলাদা সে আর বলে দিতে হয় ! কি বলেন আপনারা ; কাজের ফাঁকে একটু গল্প-গুজব হাসি ঠাট্টা করাটা কি অন্যায়, তাতে তো মাথাও খানিক বিশ্রাম পায় ; আড্ডা কাজের উদ্যম বাড়ায় ; মনকে নতুন কিছু ভাবতে সাহায্য করে, অনেক সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায় ; তাই বাঙালীর জীবনে ‘গল্প-আড্ডা-মজলিশের’ একটা জায়গা থেকেই যায়, নিন্দুকেরা যে যাই বলুক তাতে আড্ডাবাজ বাঙালীর কিছু যায় আসে না ।
মনে করা [Bengali Story]
প্রতিদিনের জীবনে আমরা অনেক কিছু শিখি, অনেক কিছু দেখি, কত বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়। ঘটে যাওয়া সবকিছু কি পরে মনে করতে পারি! কিছু ঘটনা স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হয়, কিছু ঘটনা ক্ষণস্থায়ী হয়। মানুষের মস্তিষ্ক একটা পুরো জীবনের সমস্ত জ্ঞান ও তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে, যা উন্নতমানের কম্পিউটারও পারে না। যে কোন কাজ করতে গেলে সর্বদাই আগের ঘটনার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা দিয়েই আমরা কাজ করি। অতীত মনে করতে পারি বলেই খারাপ ভালোর তফাৎ বুঝতে পারি, নিজেকে উন্নত করতে পারি। মনে করতে পারাটা স্বাভাবিক অভ্যাস, এজন্য কোন কসরত করতে হয় না, জোর করে মস্তিষ্ককে কাজ করানো যায় না। ঠিক সময়ে ঠিক কথা মনে করতে না পারলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়, ক্ষতিও হয়। তীক্ষ্ণ স্মৃতি বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করে। একই বই পড়ে অনেকে পরীক্ষা দেয়, কিন্তু যার স্মৃতি তীক্ষ্ণ, সে-ই সেরা হয়। মনে করতে না পারা, ভুলে যাওয়ার জন্য কত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। নতুন কিছু শিখলে তা পরে মনের চেতন থেকে অবচেতন স্তরে চলে যায়, পরে মনে করতে চেষ্টা করলে আবার চেতন স্তরে স্মৃতির পুনরুদ্রেক ঘটে, আমরা মনে করতে পারি। ‘আঙ্কেল পোজার’কে মনে আছে! তিনি কোর্ট খুলে রেখে ভুলে যেতেন, খুঁজে বেড়াতেন ঘরময়, শেষে দেখা যেত ওটার উপরেই উনি বসেছিলেন। সুকুমার রায়ের ‘হারিয়ে পাওয়া’ কবিতায় ‘ঠাকুরদাদার চশমা কোথায়’ নিয়ে হুলুস্থুল, শেষে কপাল থেকে খসে পড়ল চশমা। অ্যালজাইমার রোগের শুরু এরকমই হয়, ক্রমে স্মৃতিভ্রংশ বাড়ে, নিজের পরিবারের মানুষকে চিনতে পারেন না, খাবার খেয়ে মনে থাকে না, নিজের বাড়ি ভেবে অন্য বাড়িতে ঢুকে পড়েন। স্মৃতিভ্রমের বিড়ম্বনায় মানুষ কত অসহায় হয়ে পড়ে না ভেবে হাসির খোরাক করে ফেলি আমরা চেতনে-অবচেতনে!
হার জিত [Bengali Story]
হারতে হারতে যে জিতে যায় তাকেই বাজিগর বলে। হাল না ছাড়ার মনোভাব মনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। এই চ্যালেঞ্জ জেতার খিদেটা বাড়িয়ে দেয়। হার মানে নিছক ব্যর্থতা নয়, সামনে এগিয়ে যাওয়ার সোপান হল হার। তাই হেরে যাওয়া মানেই সব শেষ নয়, হারতে হারতেই জয় আসে। একসময় আমি হতাশ হয়েছিলাম। তখনও পড়া শেষ হয়নি, ফাইনাল ইয়ার; বাবাকে অফিস কর্তৃপক্ষ হঠাৎ জানায় চাকরী আর মাত্র একমাস। বাবা খুবই মুষড়ে পড়লেন, আমিও দিশেহারা, সংসারটা চলবে কি করে, দুম করে এমন দু:সংবাদ! জমিজমা নেই, পারিবারিক কোন ব্যবসাও নেই। চাকরী ছাড়া কোন পথ নেই আমার। টিউশানি থেকে কটা টাকা পাই, বাড়ির বড় ছেলে,কি করব ঠিক করতে পারছি না। হতাশা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। তখন আমি টাইপ-স্টেনো প্রাকটিস করতাম, বাবার অফিসের এক সহকর্মী খুব সাহায্য করছেন, চাকরীর এক্সটেনশনের জন্য। একসময় এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে কল পেলাম। দাঁতে দাঁত দিয়ে প্রাকটিস করছি । লিখিত পরীক্ষায় সফল হয়ে ইন্টারভিউ- এ বাক পেলাম। সফল হয়েছিলাম সেদিন। আমরা শুধু রেজাল্ট দিয়েই সফলতা মাপি, রেজাল্ট খারাপ, ব্যস! সব শেষ! একবার একাডেমিক রেজাল্ট খারাপের সঙ্গে জীবনে সফল হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। হারটা লজ্জার নয়, মুষড়ে পড়ে হাল ছেড়ে দেওয়াটা লজ্জার । জিতবই আমি, এই ভাবনা মনে লালন করা, নিজের উপর বিশ্বাস রাখাটাই আমার একমাত্র কর্তব্য। কোন সাফল্যের পথই সোজা নয়। জীবনে সফল হতে হলে দীর্ঘ পরিশ্রম আর লাগাতার চেষ্টা প্রয়োজন। সাহিত্যিক মতি নন্দীর কোনি বার বার হেরেও তাই হাল ছাড়েনি, তার ক্ষীত্দা তাকে হাল ছাড়তে দেননি। দৃঢ় সাহসী মনোভাবই জয়লাভ এনে দেয়।
কুসংস্কার [Bengali Story]
গাড়ী চালাতে গিয়ে সামনে বিড়াল, ব্যস! শত চেষ্টাতেও ড্রাইভার গাড়ী এগিয়ে নিয়ে যাবে না। থমকে দাঁড়িয়ে ব্র্যাক গিয়ার, তারপর সামনে এগোনো। যাত্রাপথে বিড়াল মানেই অশুভ ইঙ্গিত, বিশ্বাসটা এরকমই। বিড়াল কালো হলে তো কথাই নেই। একজন মানুষের বিশ্বাস ভাঙ্গা ভীষণ শক্ত, অন্ধবিশ্বাস ভাঙ্গা তো আরও শক্ত। তেমনই পাতিলেবু-কাঁচা লঙ্কা ব্যবসায় অশুভ দৃষ্টি রোধ করে, ঘরের চৌকাঠে বসতে নেই, পরীক্ষার দিন ডিম খেলে গোল্লা পেতে হয়, ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখা অশুভ, রাত্রিবেলা কাউকে সূচ দিতে নেই,এরকম হাজারো কুসংস্কার জড়িয়ে আছে আমাদের মনে, জীবনের রোজনামচায়। শিশু বয়স থেকে মনে গেঁথে দেওয়া হয়,এটা করতে নেই,ওটা করবে না, মা-কাকীমার সাবধান বানী রক্তে মজ্জায় মিশে যায়, বিশ্বাস ক্রমে দৃঢ় হয়। অশিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষের মনে লালিত হয় এসব ধারণা। কোনরকম যুক্তি, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়াই অনেক শিক্ষিত আধুনিক প্রজন্মের মানুষও অন্ধবিশ্বাসের শিকার হন। কোন যুক্তিতে জোড়া-শালিক মঙ্গলজনক, আর কেনই বা এক শালিক অশুভ হবে বলুন তো ! এসব বিশ্বাস ক্ষতিকর নয় বলে অনেক সময় মেনে নিই আমরা। দ্বাবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের বলে বলীয়ান আধুনিক মানুষ যখন মঙ্গলগ্রহে বসবাসের ঠিকানা খুঁজছে, ঠিক তখনই দেশের অন্য প্রান্তে ডাইনী সন্দেহে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। কি অদ্ভুত বৈপরীত্য!তুকতাক মন্ত্রবিদ্যা গরীবগুর্বো প্রান্তিক মানুষকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে মানুষ দিশেহারা, ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করছে ওঝা, তান্ত্রিক, ভুয়ো সাধুর অশুভ আঁতাত। একমাত্র যুক্তিবাদী বিজ্ঞান চেতনা দিয়ে মানুষের বুদ্ধির উন্মেষ ঘটাতে পারলে তবেই রেহাই মিলবে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারের করালগ্রাস থেকে।
জয়ন্ত কুমার সরকার | Jayanta Kumar Sarkar
Top Bengali Story 2022 | আমাদের একাল-সেকাল | গল্প ২০২২
Top Bengali Article 2022 | বসন্ত উৎসব | প্রবন্ধ ২০২২
Bengali Story 2023 | সন্ধ্যে নামার আগে | গল্প ২০২৩
Travel Story 2022 | আমার বেড়ানো | পণ্ডিচেরী | মহাবলীপূরম | তিরুপতিধাম | কন্যাকুমারী
অর্ধেক আকাশের মজলিশ | অন্ধজ্যোৎস্নার গল্প | সেকেলে গপ্পো | মিষ্টি প্রেমের গল্প | রবিবারের আড্ডা | গল্প-আড্ডা-স্মৃতিচারণে | নদীর ধারের আড্ডা | আবার হবে গল্প-আড্ডা-ক্লাস | ফিচার লেখকদের আড্ডা-গল্প | গল্প আড্ডা গানে | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন | রম্যরচনা | গল্প আড্ডা মজলিশ
bengali story | bengali story books for child pdf | bengali story books for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali story books pdf | bengali story for kids | bengali story reading | short bengali story pdf | short bengali story analysis | short bengali story characteristics | short bengali story competition | short bengali story definition | short bengali story english | bengali story competitions for students | bengali story competitions ireland | writing competitions ireland | bengali story writing practice | bengali story writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is bengali story writing | bengali story trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Shabdodweep bengali story | Long Article | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder