New Bengali Novel 2022 | খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৩) | উপন্যাস

Sharing Is Caring:

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৩) [Bengali Novel]

তেঁতুলবাগান মোড় থেকে কিছুক্ষণ আগে বাসটা ছেড়ে চলে গেছে। স্বাতী মেয়েকে নিয়ে একটু বিপাকে পড়ে গেলো। পরেরবার প্রায় আধঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে। নটা পঞ্চাশের ট্রেনটা না পেলে, না জানি সারাটা রাত হয়তো প্লাটফর্মে কাটাতে হবে। আশঙ্কায় বুকটা দুরু দুরু করে উঠলো স্বাতীর। দোটানায় পড়ে কিছুটা টাল খেলো সে। তবে জীবনে ঝুঁকি নিতে শিখেছে বলেই পেছনে ফেরার কথা না ভেবে বাসে চেপে বসলো। সাড়ে আটটা নাগাদ বাস ছাড়লো। সময় মেপে চললে শোয়া-ঘন্টায় স্টেশনে বাস পৌঁছে যাবার কথা। মানে নটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ স্টেশনে। গাড়ি নটা পঞ্চাশে অতএব ঠিকঠাক সব কিছুই চললে, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে গাড়ি পেয়ে যাবে।

হঠাৎ একটা ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। ধুলোবালিতে ভরে গেলো চারিদিক। তাকানো যায় না, মুহূর্তে ছোটাছুটি মানুষজনের। কালো মেঘে ছেয়ে গেল সারা আকাশ। বিদ্যুৎ চমকানো আলোতে অন্ধকারকে ফালাফালা করে, আলোর ঝলকানি সার্চ লাইটের মতো দিক্বিদিক চমকে দিতে থাকলো। বৃষ্টির ফোঁটা বাড়তে বাড়তে, তুমুল আকার নিলো। ক্রমশ ঝড়ের দাপটও বেড়ে চলেছে। বাসের মধ্যে মেয়েকে বুকে চেপে বসে আছে স্বাতী। জনা কয়েক যাত্রী অন্যান্য শিটে। কতক্ষণ এভাবে চলবে ভেবে অস্থির হয় সে। যদি স্টেশনে সময় মতো পৌঁছতে না পারে – মাথাটা কেমন যেন ঠনঠনিয়ে ওঠে। সকালের কাটা অংশে একটু হাত বুলিয়ে নেয় সে। কতক্ষণ এভাবে ঝড়- বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছিলো মনে নেই তার। একটু কমতে থাকলে, কয়েকজন যাত্রী জোরাজুরিতে- বাস ছাড়লো ড্রাইভার। অন্ধকারের বুক চিরে বাসটা চলতে থাকে। ঘড়ির কাঁটা টিকটিক করে এগোয়, থামতে পারে না । কিন্তু বাস থামে। আবার চলতে থাকে । নিয়মের ফাঁদে তাকে বাঁধা পড়তেই হয়। নিয়মের গতিপথ ছেড়ে তার চলার অভিপ্রায় তৈরি করতে পারেনা। বারবার ঘড়ি দেখে স্বাতী। হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকুনি ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটার থেকেও গতিতে চলতে থাকে। নটা চল্লিশ, পঁয়তাল্লিশ, পঞ্চাশ। বাসটা এসে যখন স্টেশনে থামলো তখন দশটা বেজে পঁচিশ। মেয়েকে নিয়ে ছুটে এসে দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালো স্বাতী।দশ- পনেরো মিনিট আগেই গাড়িটা ছেড়ে চলে গেছে। বিরক্তিতে মুখটা তেতো হয়ে গেলো তার। মনে মনে বাস ড্রাইভারের শ্রাদ্ধ করে ছাড়লো। মেয়েকে নিয়ে একা বড় অসহায় অবস্থায় পড়লো সে। এত বড় প্লাটফর্মে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কটা লোক। তাও ক্রমশ ফাঁকা হয়ে আসছে। কি করবো- কি করবো, আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকে স্বাতী। আস্তে আস্তে পা বাড়ালো স্টেশন মাস্টারের অফিসের দিকে।

 – স্যর, আজকের রাতের মতো আমার থাকার জায়গা করে দিতে হবে। গাড়ি ছেড়ে গেছে । মেয়েকে নিয়ে কোথায় থাকবো না হলে।

বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ় স্টেশন মাস্টার। মোটা কাঁচের চশমাটা হাতের তালুতে চেপে নাকের ডগা থেকে উপরে তুলে, একবার পরখ করল আগন্তুককে।

 – এখানে থাকার জায়গা থাকলেও, সেখানে তো তোমার থাকা যাবে না, মা। রাতের স্টেশন চত্বর শিয়াল – কুকুরের দখলে থাকে। তোমাকে তো সেখানে থাকতে বলতে পারি না।

 – তাহলে কি হবে আমার, বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় থাকবো ? এই অসহায় অবস্থায় কেউ কি একটু সাহায্য করবে না । মেয়েকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্বাতী।

 – দাঁড়াও দেখি একটু। বলে স্টেশন মাস্টার নিজের ঘর ছেড়ে বাইরে এলো। প্ল্যাটফর্ম থেকে বাইরের রাস্তায় নেমে বার দুয়েক নাম ধরে ডাকলো।

 – আরশাদ – এই আরশাদ ।

 বছর পঁয়ত্রিশের লুঙ্গি পরা একজন মানুষ সামনে এসে দাঁড়ালো।

 – কি বাবু ।

 – আরশাদ তোমাকে একটু দায়িত্ব নিতে হবে। আজ রাতের মতো মা- মেয়ের একটু থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কাল সকাল ছটা বাহান্নর ট্রেন, ওইটা ধরিয়ে দিলেই চলবে।

 – আপনি যখন বলতেছেন, তা তো করবোই। কিন্তু ম্যাডাম আমার ঝুপড়ি ঘরে থাকতে পারবেন তো? আমতা আমতা কথাগুলো আরশাদের।

 – রাতটুকু নিরাপদ আশ্রয় হলেই যথেষ্ট, – বললে স্বাতী।

অতএব মা- মেয়ে রাতের আশ্রয় হিসেবে এক মুসলমান রিকশাচালকের বস্তির ঝুপড়ি ঘরে আশ্রয় নেবে। ভেবে, স্বাতীর বুকটা কেঁপে উঠলেও প্রৌঢ় স্টেশন মাস্টারের শরীরী ভাষায় পূর্ণ নিরাপত্তা প্রকাশ পেয়ে তারা রিকশায় উঠে বসলো।

আলো-আঁধারির মোরাম বিছানো রাস্তায় রিকশা যতো এগিয়ে চলে, মেয়েকে চেপে ধরে অজানা আশঙ্কায় কেমন যেন নিজেকে ওজনহীন মনে হয়। বিনা বাক্য ব্যয়ে রিক্সা যখন বস্তির মধ্যে পৌঁছালো। মধ্যরাত্রি ছুঁই ছুঁই সময়সীমাতেও বস্তিবাসীর কলবলানী বন্ধ হয়নি। অধিকাংশ বস্তিবাসী রিকশাচালক নয়তো জন মজুর। তাদের বাড়ি ফেরা। রান্না- খাওয়া‌। সময়টা মধ্য রাত্রির সময় ছুঁয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

 – রিজিয়া দরজা খোলো, দেখো কুটুম্ব এসেছে ।বস্তি বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে আরশাদের ডাক।
বাঁশের আগল ঠেলে দরমার ঘর থেকে বেরিয়ে এলো এক মহিলা।

 – কে গো? ঠিক চিনলাম না তো।

 – চিনতে পারবে নি তো, নতুন মানুষ। চলেন ম্যাডাম- গরিবের ঘরে চলেন । আরশাদ ইঙ্গিতে ঘরে নিয়ে যেতে বললে বউকে।

রাতে ডাল, ভাত, চচ্চড়ি সহ আহার করতে হলো অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাতীকে। সামান্য আলাপচারিতায় পরিচয় পর্ব মিটেছিলো রিজিয়ার সাথে। আলাদা ঘরে কাঠের চারপাইতে শুতে দিয়েছিলো মা মেয়েকে। আরশাদ বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে পাশের ঘরেই রাত কাটালো। বিছানায় পিঠ পেতেও স্বাতীর ঘুম আসছিলো না। মেয়েটা না খেয়েই অকাতরে ঘুমোচ্ছে। স্বাতীর মনে প্রশ্নের ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে। জীবনে কত কিছুই না ঘটে যায়। এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তার জীবনে, তার জন্য প্রস্তুত না থাকলেও অঘটন কিছু হয়নি । বাকি সময়টুকু কি অপেক্ষা করছে, তা তার ভবিতব্যই বলতে পারবে।

দু চোখের পাতা বোঝাতে চাইলেও পারে না। অজানা একটা আতঙ্ক তাকে ঘিরে থাকে। বাড়ি ফিরলে তার জন্য কি অপেক্ষা করে আছে, ভাবলে বুকটা কেঁপে ওঠে। এমনিতে খালি হাতে ফেরাটা শঙ্খ কতটা মেনে নেবে জানে না স্বাতী। আবার বাবার সঙ্গে সরাসরি টাকার ব্যাপারে কথা বলতে হবে। বললে, কি জুটবে কে জানে। তার ওপর রাতের গাড়ি না পেয়ে বাইরে রাত কাটানো । অন্যের ঘরে। বস্তির ঝুপড়িতে। রিক্সাওয়ালা এক মুসলমানের ঘরে।এতো কিছুর পর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে স্বাতীর। বিধাতা কি নিষ্ঠুর পরিহাস তোমার। ছোট্ট ঘুপচি ঘরটায় বিছানায় ছটফট করতে থাকে স্বাতী। ঘেমে নেয়ে একশা হতে থাকে। উঠে বসে আঁচল দিয়ে মুখটা মোছে। হাতে কুপি জ্বেলে রিজিয়া ঘরে আসে।

 – দিদি ঘুমোতে পারোনি বুঝি গরমে। কষ্টটা হচ্ছে গো। আমাদের তো পাংখা নেই। এই নাও গো, হাতপাখা দিয়ে একটু বাতাস নিও। শরীরটা ঠান্ডা হবে। আমাদের অভ্যাসটা আছে গো দিদি, তোমরা শহরের মানুষ তোমাদের সহ্য হবে নি। তো এক রাতের কষ্টটা নাও বোনের বাড়ি ।তারপর নিজের বাড়ি গিয়ে আরাম করে ঘুমিও।

 – এমন কথা বলছো কেন গো ? তোমরা যে রাতের আশ্রয়টুকু দিয়েছো, আমার ইজ্জত বাঁচিয়েছো। তার জন্য তোমাদের কাছে চিরকাল ঋণী হয়ে থাকবো। এইটুকুই বা কে করে বলো ? তোমার স্বামী তো দেবতুল্য মানুষ গো ! নিজেদের থাকার জন্যই যথেষ্ট নয় এই বাড়ি। তা সত্ত্বেও স্টেশন মাস্টারের সামান্য কথায়, বিনা বাধায় আমার দায়িত্ব নিলে। রাতের জন্য খাওয়া দিলে। তোমরা কষ্ট করে আমাদের মা-মেয়েকে চৌকিতে শুতে দিলে। এটা কি কম।

 – কি যে বলো দিদি? ও মানুষটাই এমন গো, লোকের উপকার করতে পারলে যেন ধন্যি হয়। স্টেশন বাবুরে কতদিন রেঁধে খাওয়াতে হতো। পেথম পেথম স্টেশনে হোটেল ছিলো না। বাবু খাবে কি ? নতুন মানুষ দুপুরে- রাতে খাবার দিয়ে আসতো। কিছুতেই এলোক পয়সা নেবে না। বাবুও ছাড়বে না। তাহলে তোদের ভাত খাবো না। তোর দাদা তোরে টাকা দিলে নিবি না কেন রে? আমাকে দাদা ভাবতে পারিস না। ব্যাস আর কিছু বলার আছে, মানুষের কোন জাত নেই গো দিদি। সবই আল্লাহতালার সৃষ্টি। মানুষ এই ভাগ করেছে ।আমাদের মুসলমান বলে অনেক মানুষ আমাদের ঘেন্না করে। আমি বলি হিন্দু- মুসলমান সব মানুষই এক। সকলের রক্ত এক। মাংস এক। চুল এক। সকলকে খাটতে হয় খেতে হয়। দিদি, এবার একটু ঘুমোও গো। সকালেই তোমাকে গাড়ি ধরতে হবে । রাত ভোর হয়ে এলো বুঝি।

স্বাতী নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে থাকে রিজিয়ার মুখের পানে। বস্তির একটা অশিক্ষিত পরিবার রিকশা চালিয়ে তাদের দিন গুজরান। প্রাচুর্যতা যাদের কল্পনাতীত। নিজেদের টুকু জোগাড়ের সারাটা দিন অফুরন্ত পরিশ্রম করা। তাদের মধ্যে মনুষ্যত্বের কি অটুট বন্ধণ। মানসিকতায় তারা কত উজ্জ্বল। মানুষের উপকার করতে পারলে তারা নিজেদের ধন্য মনে করে, কোন আবেগ নেই -উচ্ছ্বাস নেই ।অথচ জীবনের প্রতি তাদের বোধ , মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা। সীমাহীন শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এলো স্বাতীর। ভাবতে থাকে মনে মনে আমরা হলে এভাবে ভাবতাম। এভাবে বিশ্বাস করতাম কোন মানুষকে। জাত্যাভিমানে নিজেদেরই কেউকেটা ভাবি আমরা। অথচ আমরা নিজেদের শিক্ষিত বলি । শিক্ষার বড়াই করি । বাস্তবের মনুষ্যত্বের শিক্ষা নিতে হলে এদের মতো মানুষের সঙ্গ পেতে হবে।

বস্তির নিস্তব্ধতা কখন আসে কেউ জানে না ।জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে চোখের পাতা বন্ধ হয় না স্বাতীর। মাঝে মাঝেই কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দের তেড়ে যাওয়া। নেশা করা মাতাল মানুষগুলোর চিৎকার-চেঁচামেচি ।গরমে বেশ অস্বস্তি হতে থাকা স্বাতী, হাত পাখায় মেয়েকে হাওয়া করে চলেছে। নিজেদের সংসারের সঙ্গে তুলনা করে স্বাতী, স্বামী- সন্তান। ঘর-বাড়ি। অর্থ – প্রাচুর্য ।সবই আছে। কিন্তু তবুও কত ঘাটতি, কিছু দেবার থেকে নেবার মানসিকতা বেশি, কেমন একটা কুটিল চক্রে জীবন পরিচালনা হতে থাকে। নিজের সংসারে নিজেকে কখনো যন্ত্রের মতো মনে হয়। কখনো বা নিজেকে একটা আস্ত জন্তু ভাবে । মানুষ হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে কম। সেই ছোট্ট বয়স থেকে সহনশীলতায় অভ্যাস ছিলো বলে, নিজেকে শত কষ্ট, লাঞ্ছনা সহ্য করেও সংসারে টিকিয়ে রেখেছে। মা বলতো, মেয়েরা তরল পদার্থের মতো, যে পাত্রে ঢালবে- তারই রূপ নেবে ।অন্যথা হতে নেই, অন্যথা করতে নেই। কথার ভিড়েতে কখন যে দু চোখের পাতা এক হয়ে গিয়েছিলো স্বাতীর বুঝতেই পারেনি। রিজিয়ারদাকে ঘুমটা ছেড়ে গেলো।

 – কই গো দিদি, এবার উঠে পড়ো। রওনা দেবার সময় হয়ে গেল যে, দেরি হলে কিন্তু আজকের দিনটাও থাকতে হবে।

উঠে পড়ে স্বাতী। মেয়ে কেউ তুলে নেয়। মুখে হাতে জল দেয়। কাপড়চোপড় ঠিকঠাক করে নেয়। তারই মাঝে রিজিয়া একটু জল খাবার দেয়। অনিচ্ছা সত্ত্বেও খেতেই হয় তাদের। আরশাদ-রিজিয়ার সংসারে একটা রাতের অতিথি হয়ে এটুকু বুঝেছে স্বাতী, মানুষের আতিথেয়তায় এরা কতখানি আন্তরিক। চারিত্রিক দৃঢ়তায় কতটা সাবলীল। জীবনের এই সময়টুকু না কাটালে জানতেই পারতো না। পৃথিবীতে এখনো প্রকৃত মানুষ আছে, মানুষের ভালোবাসা আজও বেঁচে আছে।

 – ম্যাডাম, আসেন গো। আর দেরি হলে কিন্তু ট্রেনটা ফেল হতে পারে। আরশাদের ডাক পড়ে।
মেয়েকে নিয়ে স্বাতী রিকশায় ওঠার সময়- রিজিয়াকে কাছে ডেকে, বিদায় নেবার আগে কটা টাকা হাতে দিতে গেলো।

 – এটা কি করছো গো দিদি? বোনের বাড়িটাকে হোটেল ভাবলে।

 – দিদি হলে , বোনকে দেয় না বুঝি ?

 – আবার যদি কোনদিন বোনের বাড়ি আসো ।সেদিন নিশ্চয়ই নেবো। আজ নয়।

আদরে বুকে জড়িয়ে ধরে স্বাতী। আরশাদের তাড়াতে রিকশায় চেপে বসলে মা ও মেয়ে।
স্টেশনে পৌঁছে, কাউন্টার থেকে টিকিট কাটলো স্বাতী। স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে দেখা করলে।

 – কোন অসুবিধা হয়নি তো মা ? প্রৌঢ় স্টেশন মাস্টার চশমাটা খুলে রেখে জিজ্ঞেস করলো স্বাতীকে।

 – না, না। অসুবিধা আমার হয়নি, হয়েছে ওদের।

আরশাদ দাঁড়িয়েছিলো পাশেই। বললে , -না বাবু, আমার অসুবিধা কিসের।

 – চিরটা কাল একই রয়ে গেলি। চশমাটা পরে নিয়ে বললে, – যা দু’নম্বরে গাড়ি আসবে। তুলে দিয়ে আয় ।পুরস্কার পরকালেই নিবি আর কি।

দু’নম্বর প্লাটফর্মে গাড়ি ঢুকলো। স্বাতী মেয়েকে নিয়ে উঠে বসলো জানালার ধারে। গাড়ি চলতে থাকলে স্বাতী সামান্য হাত নাড়লো। আরশাদ হাত দুটো জড়ো করে যেন নমস্কার করলো।

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | মৌসম সামন্ত (অসুর)

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ২) | উপন্যাস

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment