New Bengali Novel 2022 | খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) | উপন্যাস

Sharing Is Caring:

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) [Bengali Novel]

নাজিরপুর স্টেশনে যখন নামলো স্বাতী। তখন পশ্চিমে সূর্য হেলে পড়েছে। মেয়েকে নিয়ে কোনরকমে টেনে বাস রাস্তায় এসে দাঁড়ালো। একটু আগেই বাসটা ছেড়ে চলে গেছে, অগত্যা আরো একটুক্ষণ দাঁড়াতে হবে। অন্ধকার নামার অপেক্ষায় রাস্তায় আলোগুলো জ্বলে উঠেছে একটু আগেই।
স্বাতীর মনে এক অব্যক্ত যন্ত্রণা, কিভাবে জানাবে মায়ের কাছে ভেবে লজ্জায় শিউরে উঠতে থাকে। বাবার কাছে কোনদিন এভাবে বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়। বাবাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করে সে, সঙ্গে একটা ভয় থাকে – যেটা কোন কিছু হঠাৎ করে চাওয়া, কোন কিছু দমদম বলে ফেলা ,কোনভাবেই হয়ে ওঠে না। আসলে যেভাবেই জীবনটা শৈশব থেকে গড়ে উঠেছিলো তার।

স্বাতী। স্বাতীলেখা মিত্র। সত্যেন মাস্টারের একমাত্র মেয়ে। লেখাপড়ায় স্বভাবে সত্য মাস্টারের মেয়ে বলে গর্ব করার মতোই। বানিপুর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে হায়ার সেকেন্ডারি পাস করার পর, দূরের কলেজ বলে সত্য বাবু মেয়েকে কলেজে ভর্তি করলো না। যদিও কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছিলো, কলকাতায় হোস্টেলে রেখে পড়াশোনা করানোর জন্য।

 – কি যে বলো।আমাদের গ্রামের মেয়েরা হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে, তা হয় না ।ছেলে হলে হয়তো ভেবে দেখতাম, তাছাড়া তোমার বৌদি ছাড়বে না। মাস্টারি ঢঙেই বোঝাতে চাইলো সত্যের মাস্টার।

 – স্বাতী মা আমার, লেখাপড়ায় ভালো। মাঝপথে পড়া ছেড়ে করবেই বা কি ? সরাসরি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল সনাতন।

 – সনাতন, মেয়েদের মূল কাজ সংসারেই । আমাদের গেরস্থ ঘরের মেয়েরা কখনোই চাকরি করতে যাবে না। লেখাপড়া জ্ঞান বিকাশের জন্য। জীবনকে বোঝার জন্য ।মানবিক সম্পর্ককে বোঝার জন্য। অপরকে মানিয়ে চলার জন্য ।মোদ্দা কথা, সংসার জীবনে সকলকে নিয়ে মানিয়ে চলতে শেখায় এই শিক্ষা। অতএব মেয়েদের যেমন লেখাপড়ার বা শিক্ষা দরকার আছে, তাবলে উচ্চ শিক্ষার দরকার নেই মেয়েদের এ কথা বলছিনা, কিন্তু মেয়েরা বাড়ির বাইরে থেকে পড়াশোনা করবে এটা হয় না।

 – বুঝেছি তোমার কথা, বলতে চাইছো মেয়েরা বাড়ির বাইরে থেকে পড়াশোনা করলে ভালোর থেকে মন্দের সুযোগটা বেশি। ঠিক কিনা ?

 – অবশ্যই , তাই আমি দ্বন্দ্বের মধ্যে যেতে রাজি না।

 – কিন্তু মাস্টারদা, বাইরে থাকলে সব ছেলেমেয়ে খারাপ হবেই – এ কথা আবার ঠিক নয়।

 – সনাতন, আমি কিন্তু ভালোর আগে মন্দটাকেই ভেবে নিই।খারাপটা আগে ভাবলে সতর্ক থাকতে সুবিধা পাবে বুঝলে। সমাজ আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে দেখছো, ভোগ বিলাসিতায় মানুষ যেভাবে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছে -তাতে গ্রাম শহরের পার্থক্য কোথায়? রাস্তাঘাটে চলাফেরায় দেখতেই পাচ্ছ ,ছেলেমেয়েরা কতটা বেপরোয়া।

 – তা বলে তুমি মুড়ি-মুড়কি এক করে দেবে । সকলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে না, দাদা।

 – মুড়ি-মুড়কি নয়, ভেবে নে এক ঝুড়ি আমের মধ্যে দু চার খান পচা আম থাকলে, ভালো আমকেই পচাবে, পচা আমকে ভালো করার ক্ষমতা কোন আমের থাকবে ? সংখ্যায় অনেক বেশি হলেই বা!

 – যুক্তি তর্কে তোমার সাথে এঁটে উঠতে পারবো না দাদা ।তবে আমি যেটা জানি স্বাতী তেমন মেয়ে নয়, যে তার বাড়ির ঐতিহ্যকে বিসর্জন দেবে ।বাপ- মায়ের মাথা হেঁট হবে ,তেমন কাজ জীবনে করতে পারবে না।এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।

 – সনাতন, ছেলে- মেয়েদের উপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখা ভালো, তবে তা অন্ধের মতো কখনোই নয়। ষোলো- আঠারো বছর বয়সটা ভুলেরই বয়স ।শুধু বিশ্বাস দিয়ে এই বয়সটাকে ছেড়ে দিলে হবে না। আদেশ- নির্দেশ কতখানি বজায় আছে, সেটাকে পরখ করতে হবে। তা লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা নজর রাখতে হবে।

 – তাহলে মেয়েটার মাঝপথে সব বন্ধই করে দেবে? তা এরপর কি ভাবছো মেয়েকে নিয়ে?

 – কি আর ভাবার আছে, সংসারের কাজে একটু হাত লাগিয়ে- সড়গড়ো হোক দেখে শুনে বিয়ে দেব ।এছাড়া আর কি করার আছে বল না?

 – এইটুকু মেয়ের বিয়ে দেবার কথা ভাবছো! তুমি তো মাস্টার ,তোমার চিন্তা অন্য হতে পারতো।

 – মাস্টারি আমার পেশা, প্রথম কিন্তু আমি বাবা। মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবনের কথাই আগে ভাববো, আমার বাড়িতে কেন- সব বাড়িতেই মেয়েদের জীবনের আঠারো-কুড়ি বছরের প্রথম জীবন বাপ বাড়িতে । পরের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কিন্তু স্বামীর বাড়ি। সেটাই আসল ঠিকানা, যাবতীয় শেকড়-বাকড় সেখানেই।

বাসটা সামনে এসে যখন দাঁড়ালো- সন্ধ্যার অন্ধকার চাদর বিছিয়েছে সারা এলাকায় ।মেয়েকে নিয়ে বাসে উঠে বসল স্বাতী। কালো স্লেটের মতো অন্ধকার চিরে বাসটা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চললো। বারবার আনমনা হয়ে পড়ছিলো স্বাতী। বাসের দোলাচলে মেয়েটা মায়ের কোলে ঘুমে ঢলে পড়ছিলো। দুহাতে বুকের মধ্যে পরম মমতায় মেয়েকে জড়িয়ে ছিলো মা। মেয়েদের জীবনে বাপের বাড়ি ফেরার একটা আলাদা স্বাদ থাকে। আলাদা একটা অনুভূতি থাকে। যত বাড়ির কাছাকাছি আসা যায়, একটা রোমাঞ্চ লাগে শরীরে মনে- যেন কত কাল সেই শৈশব- কৈশোরের স্মৃতির পরশ পায়নি ।উত্তেজনায় মনটা ছটফট করতে থাকে, কতক্ষণে আর পৌঁছাবে। যেন বড্ড বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। রাস্তা যেন ফুরাতে চায় না, শত প্রশ্নের ভিড় কিলবিল করতে থাকে মাথার মধ্যে। যেন শব্দের যাঁতাকলে ঘুরপাক খেতে থাকে অন্তিম সময় কালটা। কিন্তু এখন স্বাতীর কোন অনুভূতি নেই। মনের মধ্যে ঘুরপাক খায় একটা বিশেষ শব্দ। বাপ বাড়ি আসা তার কাছে আনন্দের- উত্তেজনার কোন বিষয় নয়, কেমন একটা স্বার্থপর ভাবনা। কতদিন পর মা’র কাছে আসছে মেয়েটা, মায়ের সঙ্গে কত কথা বলবে -গল্প করবে। মায়ের শরীরের সেই পরিচিত ঘ্রাণটা কতদিন পরে নেবে। কতো পরিচিত গন্ধ অথচ স্বাতীর মন ভুলতেই বসেছে, কারণ মনের অবস্থাই নেই শৈশব-কৈশোরকে ভাবনার। বাস্তব বড় কঠিন। বড় নিষ্ঠুর ।বাস্তব বড় অসহায় । ছন্নছাড়া।

তেঁতুলবাগান মোড়ে বাসটা যখন পৌঁছালো ঘড়িতে তখন আটটা বেজে কুড়ি মিনিট। বাস থেকে নেমে তিন চাকার রিকশা ভ্যানে উঠে বসলো স্বাতী মেয়েকে নিয়ে। এখনো প্রায় আধঘণ্টার পথ যেতে হবে। মা এতো রাতে দেখে হয়তো শিউরে উঠবে ! বলবে কি রে? তুই এখন, মানে এতো রাতে ? জামাই আসেনি? আয়- আয় ঘরে আয়, খারাপ কিছু হয়নি তো মা ? হাজারো প্রশ্ন বাণ আছড়ে পড়বে মায়ের মুখ থেকে। কদিন থাকবি তো ? ব্যাগ- পত্রর তেমন তো কিছুই আনিসনি। কিছু হয়েছে নাকি রে স্বাতী ? জামাইয়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করেছিস বুঝি ? রাগ করে চলে আসিস নি তো ?

মায়ের সব প্রশ্নকেই ম্লান হেসে সরিয়ে রাখতে হবে স্বাতীকে। বোঝাতেই হবে মাকে, তোমাকে দেখার জন্য মন কেমন করছিলো তাই চলে এলাম।

-তবে থাকবি তো, দু চার দিন?
এ প্রশ্নের উত্তর স্বাতী সহজে দিতে পারে না। একটু গম্ভীর হয়ে সময় নিতে হয়। ছেলে দুটোরই স্কুল রয়েছে। তোমার জামাইয়ের ছুটি শেষ হয়ে এলো, থাকার কি যো আছে আমার। ছুটি ছাটা পড়ুক তারপরে এসে কদিন থাকবো।

মার মুখটা বন্ধ হলেও। বুকটা কেমন খাঁ- খাঁ করে ওঠে। চিরকাল চাপা স্বভাবের মেয়ে। নিজের কোন কষ্টের ভাগীদার চায়না কোন কালেই। সেই ছোট্টবেলার অভ্যাস। কোন কষ্টের কথা মাকে বলবে না ।এক কথায় কষ্টের শেয়ার কাউকেই করেনা না বন্ধু – বান্ধব না নিজের বাবা মা’কে।
স্বাতী যখন বাড়িতে ঢুকলো তখন প্রায় রাত্রি ন’টা বেজে দশ। মেয়েকে দেখে মা’র আনন্দ যেমন হলো মনের মধ্যে শঙ্কাও জেগে উঠলো।

সকালে চা খেতে খেতে মা-মেয়ের কথার মাঝে, স্বাতী মাকে বললে তার আগমনের হেতু। নতুন ঘর করবে উপর তলার, তাই টাকা চাই। যা নিয়ে গত কয়েকদিন সংসারে প্রচুর অশান্তি। আগে যা যখন চেয়েছি, তোমরা যেভাবে হোক দিয়েছো। অতএব চাওয়ার সীমা বেড়েই চলেছে। আমি মেনে নিতে পারিনি বলে, আমার উপর অত্যাচার হয়েছে। অথচ ওর নিজের চেষ্টাতেই ওটা করতে পারে আর পাঁচ জন মানুষ যেমন করে । হাত পাতা অভ্যাসটাকে আমি ঘৃণা করি। অসহায় হলেও তবু মেনে নিতাম। কিন্তু এ এক জঘন্যতম অভ্যাস। মানসিক চাপ দিয়ে, অত্যাচার করে, বউকে দিয়ে বাপের বাড়ি থেকে আদায় করা- এটা মানা যায় না। সত্যেন বাবু কথাগুলো শুনে গুম খেয়ে চুপচাপ বসে রইলো। একমাত্র মেয়ে বলে সোনা- দানা, দান সামগ্রীতে ভরিয়ে দিয়েছিলো। পরে পরে গাড়ি কেনা, বাড়ি মেরামতের সময়, টাকা দিয়েছি। তার জন্য ফসলি জমি বিক্রি করে দিয়েছি। মেয়ে- জামাই সুখে থাকুক এটাই ছিলো একমাত্র কামনা। কিন্তু এভাবে তো যোগানো সম্ভব নয়। তাছাড়া সরকারি চাকরি করা- একজন মানুষ অসহায় হতে পারে না, অসহায় মানুষ সাহায্য চায়। সহায় সম্পন্ন কেউ যদি নিজের রেখে অপরকে চাপ দিয়ে আদায় করার লোভে থাকে, মস্ত অন্যায়- মেনে নেওয়া যায় না। মানুষের একটা আদর্শ থাকা উচিত, আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কোন কাজ করা অন্যায়। পাপ।

সত্যের বাবু স্বাতীকে কে বললে, – তোমাকে এসব নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করতে হবে না। সংসারে ঝগড়াঝাঁটিও করবে না। চাওয়া- পাওয়ার, প্রশ্ন থাকলে তুমি বলবে, যেন জামাই আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে । নিজেকে কোন মতেই ছোট ভাববে না। ন্যায়- অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা যার মধ্যে থাকে, তার মধ্যে জানবে- মনুষ্যত্ব বেঁচে আছে। মনুষ্যত্ব ই মানুষকে মহান করে। মহৎ করে।

 – আমি সব দিক ভেবে দেখেছি বাবা। অবুঝ নই সেটা তো তোমরা জানো। কিন্তু আমি শেষ হয়ে গেছি। জের বার হয়ে গেছি। ন্যায়- অন্যায়, ভালো- মন্দ, বোধ ওর মধ্যে নেই । কিভাবে বলবো তোমাদের, কিভাবে বোঝাবো ?

 – তাহলে তুই কি ভাবছিস ? মায়ের প্রশ্ন স্বাতীকে।

 – ভাববার কি আর আছে? পচা নর্দমায় যখন আমার বসবাস, গন্ধ লাগছে বললে তো চলবে না। আক্ষেপ করল মায়ের কথার। তুমি যদি ক’দিনের জন্য ওই মানুষের ঘর করে আসতে…

মায়ের হাতের চড়টা স্বাতীর মাথায় একটা ঘা বসিয়ে দিলো, রাগে নিজেকে সামলাতে পারলো না।

 – যত বড়ো মুখ নয়- তত বড়ো কথা !

কপালের কাছে একটু কেটে রক্ত বের হতে লাগলো স্বাতীর। মায়ের আঙ্গুলের আংটির
আঘাত লেগেছে হয়তো।
সনাতন বাবু স্ত্রীকে ভীষণ দাবড়িয়ে,- এ তুমি কি করলে? মেয়েকে মারলে- ওর বুকের ব্যথাটা বুঝতে চাইলে না ?

একটু ডেটল দিয়ে মুছিয়ে, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মাথায় একটু বেঁধে দিলেন।
উদাস ভাবে তাকিয়ে ছিল স্বাতী, খোলা জানালার দিকে। জানালার গরাদ ভেদ করে সকালের পূর্ব আকাশে সোনা রোদ্দুর গায়ে মেখেছিলো। দূরে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘগুলো ঢেউ খেলতে খেলতে সরে সরে যাচ্ছিলো।

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

Porokia Prem Ekaal Sekaal | পরকীয়া প্রেম (একাল সেকাল) | 2023

Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | মৌসম সামন্ত (অসুর)

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment