জয়নাল আবেদিন – সূচিপত্র [Bengali Novel]
খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ২) [Bengali Novel]
বাবা মারা যাবার পর ভবানীপুরের তিন কামরার একতলা বাড়িখানা পেয়েছিলো শঙ্খনীল। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ শঙ্খনীল। বড় ছোট বেলেঘাটার বাড়িতেই থেকে গেলো। শঙ্খ মিলিটারির বিএসএফে চাকরি করে। বছরে দুবার বাড়িতে আসে। প্রথম যখন বিয়ের পর হরিয়ানায় পোস্টিং ছিলো। স্বাতী কে নিয়ে কোয়ার্টারে ছিলো বেশ কিছুদিন। নতুনের আনন্দে স্বাতীর জীবনটা বেশ মধুরই কাটছিলো। সারাটা দিন একা একা কাটতো ঘরের মধ্যে। ভাষা সমস্যায় প্রতিবেশী মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে পারতো না। গ্রামের সাধারণ মেয়ে, কথাবার্তায় তেমন চৌকস নয়। আস্তে আস্তে ধাতস্থ হতে হবে, এটা ভেবেই কিছুটা সংযত থাকতো। শঙ্খ মাঝে মাঝে স্বাতীকে হিন্দি শেখাতো। বলা তো দূরের কথা শুনেই হেসে গড়াগড়ি খেতো সে।
– হাসছো যে, এটা শিখতে পারলে সকলের সাথে মনের কথা বলার সুযোগ পাবে। হিন্দি রাষ্ট্রীয় ভাষা ভারতের সবখানে চলবে- ইংরেজির মতো।
– ও তোমার, কর্তা হে – পাতা হে, আমার দ্বারা হবে না । দরকার নেই অন্যের সঙ্গে কথা বলি।
– পাগলী কোথাকার ! আচ্ছা একটা হিন্দির বই এনে দেবো। বাংলায় লেখা আছে- পড়তে সুবিধা হবে।
– তাই দিও চেষ্টা করবো।
বেশি দিন চেষ্টা করতে হলো না বইটা। বেঙ্গলে বদলি হলো শঙ্খ। তখনোই ঠিক হলো ভবানীপুরের বাড়িতেই থাকবে স্বাতীরা। তিন কামরা ঘরের দুটো ভাড়া দিল চুক্তির ভিত্তিতে। একটা নিজের থাকলো। এ সময় শুভ্র পেটে এলো স্বাতীর। আনন্দের সঙ্গে দুঃখের খবর হলো ছুটি শেষ, এ সময়ে শঙ্খকে পাশে পাবে না স্বাতী। তবুও বিশেষ ভাবনা নেই, ভাড়াটে সমরবাবু- সোমাদি খুব ভালো মানুষ। স্বাতীর খুব খেয়াল রাখে। অভয় দেয় – ভাবনা দূর হয় তাতে। পরিবেশ মানুষকে তার নিজের মতো তৈরি করে নেয়। গ্রামের পরিবেশে মানুষ হওয়া স্বাতী বিয়ের পর প্রথম কিছুদিন পরিবারের বেলেঘাটার বাড়িতে থাকার পর, স্বামীর চাকরির স্থলে হরিয়ানায় চলে গেলো। সেখানে কতশত সমস্যায় দিন কাটছিলো, প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাষাগত অমিলের জন্য কথাটুকু বলতে পারতো না। একা একা ঘরের মধ্যে বন্দী হয়েই প্রায় থাকতে হতো। খাবারেও কিছুটা প্রথম প্রথম অসুবিধা হতো। আটা আর আতপ চালের ভাত দুটোতেই অনভ্যস্ত ছিলো স্বাতী। রুটি খেতে পারতো না, করতেও ঠিকমতো পারতো না। রান্নায় একেবারে অপটু, সেই কোনরকমে সেদ্ধ- পোড়া করেই চালিয়ে নিতো। রুটি কখনো শুকনো কাঠ তো ভাত একেবারে গলে জল। কি নিদারুণ কষ্টের দিন। শঙ্খ প্রথম থেকেই একটু হেল্পফুল ছিলো বলেই আস্তে আস্তে স্থিতিশীল হয়েছিলো স্বাতী।নরম নেতিয়ে পড়া দড়ির মতো পাক খেতে খেতে ক্রমশঃ শক্ত হতে থাকলো। পরিবেশ- পরিস্থিতি বুঝে চলার মতো নিজেকে তৈরি করে নিতে শিখলো।
সে দিন সোমাদি বললে, – হ্যাঁরে স্বাতী, শঙ্খ তো এখন আর আসতেই পারবেনা। তোর মার কাছে গিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ গ্রামে বাপু ডাক্তার বদ্যি পেতে গিয়ে নাজেহাল হতে হবে। তার চেয়ে তোর মাকে নিয়ে এসে এখানে রাখলে ভালো হতো। অভিজ্ঞ মানুষ তোর অনেক ভরসা হবে। সুবিধে পাবি, ছোট্ট বাচ্চা- না হলে সামাল দিতে পারবি না।
– হ্যাঁগো সোমাদি, ওর সঙ্গে সেদিন ফোনে কথা বলার সময় বলেছিলাম এই কথাটাই। ও আবার আমার ভাবনার আগেই বাবা- মার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছে। বাবা-মা দুজনেই কুড়ি তারিখে আসছে। দু চার দিন বাবা থেকে, মাকে আমার কাছে রেখে চলে যাবে। শঙ্খ তোর খুব খেয়াল রাখে যাই বলিস। বেচারা! এই সময়টা তোর কাছে থাকতে পারলো না। তোর দাদাকে তো ফোনে খুব করে খেয়াল রাখতে বলেছে। বারবার বলেছে, সোমাদি যেন একটু দেখভাল করে। প্রথম তো, ভয় পাওয়ার ব্যাপার থাকে, একটুতেই নার্ভাস দেখায় ওকে।
– সত্যিই গো সোমাদি, তোমরা আছো বলে একটু বুকে বল পাই। সমরদা তো সকালে দেখলেই বলবে,- কি শরীর ঠিক আছে তো ? ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কোন অসুবিধে হলেই দিদিকে বলবে, কেমন। ওতো প্রথম থেকেই বলে আসছে, তোমাকে না হয় বাবা- মার কাছে রেখে আসবো।
কিন্তু তুমি বলো সোমাদি, সেখানে কি আছে ? এখানে হাত বাড়ালেই হাসপাতাল, ডাক্তার, ওষুধের দোকান। গাড়ি-ঘোড়া কোনটাতেই খামতি নেই। সেখানে সদর হাসপাতাল বহরমপুর। যেতে যেতে কত রোগী মারা যায়। তাছাড়া গাড়ি বলতে তিন চাকার রিক্সা ভ্যান। তাতে তেঁতুল বাগান আসতে আধঘন্টার পথ, রাত বিরেতে মরা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
– বালাই ষাট ! যাসনি ভালো হয়েছে বাবা, তোর মা চলে আসছেন ।আমি তো আছিই। ঠাকুরের কৃপায় কোন অসুবিধা হবে না। সামনের শনিবার কালিঘাট যাবো, তোর দাদাও যাবে। একটা পুজো দিয়ে আসবো।
– সত্যিই সোমাদি, তোমরা আমার জন্য কতো ভাবো !
– এ সময় পাশে থাকা সব মেয়েই ভাবে রে। আমরা তখন উত্তর পাড়ায় থাকি। সুমন পেটে। তখন আমারও তোর মতো অবস্থা। সবে তোর দাদা উত্তরপাড়া ব্রাঞ্চে বদলি হয়েছে। বাড়িটাও কাছাকাছি পেয়ে গেলো। আমাদেরও প্রথম ইস্যু। কি যে ভয় পেতাম, আমারও বাপ বাড়ি বর্ধমান গ্রামে। বাড়িওয়ালার বউ আশাদি যে কি ভালো তোকে বলে বোঝাতে পারবো না। এ অবস্থায় সহায় একটা ঠাকুর ঠিক করে রাখেন বুঝলি ? এরপর তোর দাদা ভবানীপুর ব্রাঞ্চে বদলি হলো। তোদের বাড়িটাও কাছাকাছি পেয়ে গেলাম আমরা। সুমনের বোর্ডিংয়ে থেকে পড়া। ঠাকুর আমাকে তোর জন্য ঠিক করে রেখেছে।
– হ্যাঁ গো সোমাদি, কাল রাতেও ফোনে বলেছিলো। আমার কোন অসুবিধা হলে যেন তোমাদের বলি।বললাম- আমার বলতে লাগে না, ওরা দুজনে যে কতো আপনজন কাছে না থাকলে বিশ্বাস হবে না।
বাবা-মা আসার পর থেকে স্বাতীর মানসিক চাপটা অনেকটাই কমে গেলো। বেশ একটা ফুরফুরে মনে হচ্ছিলো তাকে। মায়ের সেবা- মাকে এই অবস্থায় কাছে পাওয়া, সব মেয়েই আশা করে। কারণ মা’র থেকে কষ্ট বোঝার চেষ্টা অন্য কেউ করে না, করতে চায় না। মেয়ের প্রতি প্রতিটা মায়ের যে স্নেহ ভরা- মমত্বে ভরা মনটা থাকে। এতটা অনুভূতি অন্যের না থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। বরং সেটাই স্বাভাবিক। ব্যতিক্রম সোমাদি- সমরদা, অনেকটা নিজের লোকের মতো। এরকম মানুষ, এতো আন্তরিকতা – এতটা নিঃস্বার্থ দেখাই যায় না। আজ ছোট্ট সংসারেও স্বার্থ ছাড়া কিছু এগোয় না। স্বার্থপরতা আমাদের অস্থিমজ্জায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজমান। বিনা স্বার্থে কাজের কথা আজ আমরা ভুলতে বসেছি। অফিস- আদালতের অভ্যাস আজ বাড়িতেও পোষণ করছি। ফেলো কড়ি-মাখো তেল, বিনা স্বার্থে তুলো পর্যন্ত বওয়া যাবে না। বাবা কদিন থেকে চলে যাবার প্রস্তুতি নিলো। যাবার সময় খরচের যাবতীয় খুঁটিনাটি হিসাব করেই টাকা দিয়ে গেল স্বাতীর মাকে, স্বাতীর যদিও আপত্তি ছিলো তবুও এ সময় টাকা থাকলে কাজে লাগতেই পারে, ভেবে কথা বাড়ায় না। রাতে ফোনে স্বাতী কথাটা বলেছিলো শঙ্খকে। বাবার খরচ করাটা তার পছন্দের নয় জানাতে, শঙ্খর কথাগুলো কানে শীষে গরম করে ঢালার মতো মনে হয়েছিলো।
– কি বলছো তুমি ? এতে তোমার কিছু দায়িত্ব নেই ? সেজন্যই আমাকে ওখানে যাবার কথা বলেছিলে ?
– প্রথম বাচ্চা হওয়ার সময় প্রায় সকলেই বাপ-মায়ের কাছে থাকে। তাই খরচ তো তাদেরই করা উচিৎ।
– কিন্তু তুমি কি জানো না ? সেই গ্রামে ডাক্তার- হাসপাতাল পেতে হলে, অনেক সময় রোগীকে মরতে হয়।
– মরণ লেখা থাকলে কপালে মরতেই হবে।গ্রাম- শহর বলে কথা নয় । ওখানের বদলে এখানে আছো , তাহলে তো সুবিধা হলো।
– তা বলে আমাদের বাড়িতে এসে- আমার প্রয়োজনে বাবা-মা খরচা করে যাবে, এতো নিচ তুমি ? লজ্জা করলো না ভাবতে তোমার ?
– আমি যেটা ভাবি তাতে তোমারও স্বার্থ থাকে, ভুলে যেও না। তোমার স্বার্থ দেখি বলেই , তুমি বড় বড় কথা বলছো।
– নিচ মানসিকতায় আমার স্বার্থ তোমাকে দেখতে হবে না। নিজের বাচ্চার জন্য যে খরচা অন্যের ঘাড়ে চাপাতে পারে, সেই স্বার্থপর মানুষ পৃথিবীতে তোমার মত দুটো আছে কিনা জানা নেই আমার।
ফোন রেখে স্বাতী চুপচাপ বসেছিলো বিছানায়। একটা অব্যক্ত যন্ত্রণায় বুকটা টনটন করে উঠলো। মা একটু আগেই শুয়ে পড়েছে। ঘুমিয়েও পড়েছে মনে হচ্ছে। শঙ্খ যে এতটা নিচে নামতে পারে আগে বুঝতে পারেনি স্বাতী। এই বাড়িটা যখন ও পেলো, দু কাঠা জমির উপর এল সেপের তিনটে ঘর, বাথরুম, কিচেন, সামনে দরজায় ঢুকেই এক চিলতে পাকা উঠোন। পুরনো বাড়ি কিছু কিছু মেরামতির জন্য টাকার প্রয়োজন ছিলো। হাতে টাকা নেই বলে, সে সময় বাবার কাছে হাত পেতে ছিলাম। বাবা দ্বিধা করেনি। কলকাতা শহরে নিজেদের বাড়ি হবে মেয়ে জামাই সুখী হবে। এই কামনাতেই নিজের সম্পত্তি হাতছাড়া করে অপরের সম্পত্তি গড়ে দিয়েছিলো। গাড়ি কেনার জন্যে ও বাবা বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলো। বিনা আয়াসে চাইলেই যদি পাওয়া যায়, তাহলে কষ্ট করে রোজগার করার দরকার নেই কিংবা আয় থাকলেও সেটা খরচ করার দরকার কি। অর্থের থেকেও সম্মানের আলাদা মূল্য আছে, এ কথা সকলের জন্য হয়তো নয়। বিশ্ব সংসারে কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যকে দিয়ে সাহায্য করে অন্যের দুঃখে নিজে কাতর থাকে। আবার কেউ কেউ অন্য কেউ কষ্ট পেলেও- নিজেকে সুখী করার জন্য তার ঘাড় মটকাতে কসুর করবে না। সেটাই তার পবিত্র কর্তব্য মনে করে। একজন মানুষ মেয়ে-জামাইকে সুখী করার জন্য, অনায়াসে নিজের জমি জমা বিক্রি করতে ব্যস্ত। অন্যজন সেটা গ্রহণ করার জন্য শত ছলচাতুরী করে। নিজের স্ত্রীকে দিয়ে অসত্য কথা বলে, সেটা নিজের করায়ত্ত করার চেষ্টায় ব্রত থাকে। মানুষ কতো নিষ্ঠুর । মানুষ কতো স্বার্থপর। মানুষ কতো হিংস্র । কতো ভয়ংকর- বাঘের হিংস্র রূপ দেখা যায়। শিকারকে আঘাত হানার আগে একটা গরর- গরর- শব্দে তাকে জানিয়ে দেয়। ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আমি প্রস্তুত তুমিও নিজেকে তৈরি রাখো। কিন্তু মানুষের হিংস্র রূপ দেখা যায় না। মানুষ যে এই মুহূর্তে হিংস্র তা অন্যকে বুঝতে দেয় না। তার রূপে প্রকাশ পায় না। হাসতে হাসতেই একজন অপরজনকে আঘাত হানতে পারে । খুন করতে পারে। খুন করে হাত ধুয়ে ফেললেই সে কতো পরিষ্কার, সে যেন কতো পবিত্র। স্বাতী ছোট্ট জীবন পরিসরে কতো কিছুই বুঝতে শিখেছে, মানুষ সম্পর্কে তার নতুন কতো বোধ তৈরি হচ্ছে। চিনতে শিখছে নতুন করে। মানুষে মানুষের ন্যূনতম একটা সম্পর্ক থাকলেই সে আত্মীয়। এটা কিন্তু বাস্তবসম্মত নয়, রক্তের সম্পর্ক থাকলেও সে ক্ষেত্রেও যে আত্মীয় হয়ে উঠবে সেটাও বাস্তব নয়। বাস্তব হলো আত্মার সঙ্গে সম্পর্ক হলে – তবেই সে যেই হোক ।বন্ধু-বান্ধব। প্রতিবেশী । ভিন্ন জাতি। ভিনদেশী। অবশ্যই সে আত্মীয়।
রাত্রির নিস্তব্ধতা একটু একটু করে বাড়ছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমেছে। একটা ট্রাম গাড়ি এইমাত্র ঘটাং-ঘটাং শব্দ করে গড় গড়িয়ে চলে গেলো। দূরে কোন গলির মধ্যে কটা কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনলো স্বাতী। চোখের পাতা বন্ধ হচ্ছে না তার চুপচাপ শুয়ে রইলো। রাত জাগা পাখিটার ডানা ঝাপটার শব্দ ক্রা-ক্রা-ক্রা ডাকটা বড় কর্কশ লাগছিলো কানে। এভাবেই চোখের পাতা ভারী হতে হতে কখন জুড়ে গেলো টের পেলো না স্বাতী।
জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin
Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | মৌসম সামন্ত (অসুর)
New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল
New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) | উপন্যাস
খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন
Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing competitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder