New Bengali Novel 2022 | খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৪) | উপন্যাস

Sharing Is Caring:

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৪) [Bengali Novel]

সন্ধ্যের পর যখন স্বাতী বাড়ি ঢুকলো, শঙ্খ ছেলে দুটোকে টিউশনিতে দিতে গেছে। কাপড় পাল্টে বাথরুমে গিয়ে কল ছেড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলো। গায়ে- মুখে সাবান বুলিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি ধুয়ে মুছে ফেললো। মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে কাপড় পরে পাখার তলায় বসলো কিছু সময়। মেয়েটা ক্লান্তিতে বিছানায় শুয়ে। একটা অজানা আশঙ্কায় তার বুকটা কেমন কেঁপে উঠলো। শঙ্খ কথাটা জানতে চাইলে কি উত্তর দেবে। কাল না ফেরার কারণটা ? কেন আসিনি ? রাতের ট্রেন পায়নি ?তাহলে কোথায় ছিলাম ? প্রশ্ন বাণে জর্জরিত হতে হবে তাকে। সঠিক উত্তর না পেলে কপালে কি আছে, কেউ জানে না।
ওভেনে চা বসিয়ে কাপ প্লেটগুলো কল খুলে বেশিনে ধুয়ে নিলো। কাপের টুং টাং আওয়াজ ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো। শঙ্খর জন্য চা রেখে নিজের কাপটা নিয়ে ঘরে ঢুকে বিছানায় বসলো স্বাতী। চায়ের কাপে এক চুমুক দিলে মাত্র ঘরে ঢুকলো শঙ্খ।

 — চা খাবে তো ? স্বাতীর জিজ্ঞাসা।

 — আছে ? থাকলে দাও। জামাটা খুলতে খুলতে বললে শঙ্খ।

হাতের কাপটা টেবিলে রেখে, সঙ্খর জন্য চা আনতে গেলো স্বাতী।

 — ধরো, বিস্কুট দেবো ?

 — না, লাগবে না । কাপটা হাতে নিলো শঙ্খ। চায়ে চুমুক দিলো। কাল রাতের গাড়ি ধরোনি ?

 — না, দেরি হচ্ছিলো বের হতে। গাড়ি পাবোনা ভেবে সকালে বেরোলাম। একটু গুছিয়ে বলতে চেষ্টা করলো স্বাতী।

 — কিছু কথা হলো ? স্বার্থান্বেষী প্রশ্নের শুরু।

 — বলেছি। ভীত সন্ত্রস্ত পলকা জবাব। তুমি নিজে থাকলে ভালো হতো।

 — কেন ? তোমার কথার গুরুত্ব নেই ? একটু যেনো ঝাঁঝালো।

 — বাবা তোমায় কথা বলতে বলেছে ।অসহায় আত্মসমর্পণ।

 — আমাকে বাবার সঙ্গে কথা বলতে হবে তার মানে? তুমি যে কথা বলেছো, আমি তো সেই কথাই বলবো ? এতে আমি- তুমি আসছো কেনো ? হ্যাঁ বা না একটা কথা হবে। পারদের মাত্রা একটু চড়তে লাগলো শঙ্খর।

 — আমার কিছু করার নেই। কিচেন রুমে ঢুকে পড়লো স্বাতী, রাতের রান্নার জন্য তৈরি হতে লাগলো।

 — এটা তো দায় এড়ানো কথা। কিন্তু তোমারও দায় আছে। আমার একার নয়। একটু চেঁচিয়ে শোনানোর জন্য বললো শঙ্খ।

 — আমার ও অতো বোঝার দরকার নেই। অনেক দায় পালন করেছি। এবার তোমার দায় তুমি সামলাও । স্বাতী অনুরূপ জানান দিলো।

 — শেখানো বুলি বলছো মনে হচ্ছে ? শঙ্খ কিছুটা ক্ষিপ্ত।

 — বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কথাটা খাটে । বড়দের জন্য নয়। ব্যস্ততার মাঝেই কথাটা বলে- দ্বিতীয় ওভেনে হাড়িটা বসালো স্বাতী, রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় অন্য কথায় কান দিলে না। শুভ্র আর অভ্র পড়ে ফিরলো মাত্র। ওদের গলার আওয়াজে সচকিত হলো স্বাতী।

এই সময় টা দুই ভাই টিভির চ্যানেল গুলোতে, কার্টুন দেখতে থাকে।‌শুভ্র বারে বারে রিমোট দিয়ে চ্যানেল পরিবর্তন করে। অভ্রর পছন্দের কার্টুন দেখতে দেয়না।এই নিয়ে দুই ভাই খুনসুটি করে। চিৎকার চেঁচামেচি করে দুজনে। মায়ের কানে এলেও রান্না ঘরে ব্যস্ত থাকার জন্য আসে না।

বেশ কিছুটা সময় এভাবেই কেটে যায়, শুভ্র আর অভ্রর। দুই ভাই টিভির রিমোট নিয়ে একটু কাড়াকাড়ি করে। অভ্রর দাপট একটু বেশিই ছোট ভাইয়ের উপরে, তাই হয়তো রিমোট ব্যবহার করতে দেয় না ভাইকে। একসময় মায়ের ডাকে সচকিত হয় দুই ভাই। খাবার জন্য ডাক পড়েছে টেবিলে।

‌‌ খাবার টেবিলে একসঙ্গে খেতে বসলো সকলে। ছোট মেয়েটা না খেয়েই ঘুমিয়ে কাতর। ডেকেও তোলা গেলো না। শঙ্খ বারণ করাতে ডাকাডাকি বন্ধ করলো স্বাতী।
অভ্র বলল, – মা দিদাকে নিয়ে এলে না কেনো ? দিদা এলে খুব দারুণ হতো।

 — জমিতে কাজ চলছে। পরে আসবে বলেছে । জলের গ্লাসটা শুভ্রর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললো স্বাতী।

জল খেয়ে গ্লাসটা মাা’র দিকে এগিয়ে দিলে শুভ্র, সরাসরি মাকে বললে, – পুজোর সময় বরং দিদাকে নিয়ে আসবে। একসঙ্গে অনেক দিন মজা করা হবে। দাদু ও আসবে । তখন তো চাষ থাকবে না।
শঙ্খ মুখে ভাতের গ্রাসটা তুলতে গিয়েও মৃদু ধমক দিলো ছেলেদের। খাবার সময় বেশি কথা হয়ে যাচ্ছে। সময়ের কাজ সময় হবে। আগাম অতো ভাবতে হবে না। খেয়ে নিয়ে ঘরে যাও।

অভ্র কিছু বলতে যাচ্ছিলো, মা’র চোখে চোখ পড়তেই চুপ করে গেলো। মায়ের চোখের ভাষা অভ্র পড়তে পেরেছে ঠিকঠাক। হয়তো বা একটু কষ্টও হয়েছে। সেই ছোট্ট থেকেই মা’র কষ্টের কাছাকাছি আসতে চায় সে। কিন্তু পারে না। তার অধিকার নেই। এ বয়সে কারো থাকে না। থাকতে নেই।
ছোট্ট একটা সংসারে অধিকার আর কর্তব্যের লড়াইয়ে- কেমন যেন দুটো শিবিরে ভাগ হয়ে আছে। এক শিবির অধিকার চায় কর্তব্য পালনের ভূমিকা বন্ধ রেখে। অপর শিবির আগে কর্তব্য তারপর অধিকার পেতে চায়। অতএব দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটানো মুশ্কিলতর হতে যাচ্ছে। কারণ অধিকার আর কর্তব্য অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটা বাদ দিয়ে অন্যটা হয় না।

খাবার টেবিল ছেড়ে সকলে যখন উঠে গেলো। সব থালা-বাসন কলঘরে রেখে সাফ সুতরো করে ঘরে ঢুকলো স্বাতী। আঁচলে হাত মুখ মুছতে গিয়েও তোয়ালে টা টেনে নিলে আলনা থেকে হাত মুছতে মুছতে লক্ষ্য করলো সিগারেটের সুখ টানে ব্যস্ত শঙ্খ। পাশের ঘরে অভ্র- শুভ্র দুই ভাই শুয়ে পড়েছে। মশারি ভালো করে গুঁজে ঠিকঠাক করে দিলে। ঘরের মধ্যে হালকা সবুজ আলো জ্বেলে, লাইট অফ করে দরজা ভিজিয়ে নিজের ঘরে ফিরে এলো স্বাতী‌। তখনো চুপচাপ বসে শঙ্খ। হয়তো মনে মনে হিসেব করছিলো, কিভাবে কি করবে। স্বাতী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শোবার আগে যেমন, চুল আঁচড়িয়ে বিনুনী করে। তেমনই ব্যস্ত হলো নিজের কাজে।

 — কাল কিভাবে কথাটা বলেছিলে তুমি ? প্রশ্নটা সরাসরি করে শঙ্খ স্বাতীকে।

 — যেমনটা চাওয়া উচিত সেভাবেই।অবলীলায় বললে স্বাতী।

 — তাহলে তখন বললে যে, আমাকে কথা বলতে বলেছেন। গলাটা একটু রুক্ষ্ণ।

 — যেটা বলেছে তাই বললাম তো। আলতো গলা স্বাতীর।

— আমাকে কি গলায় গামছা লাগিয়ে ভিক্ষা মাঙতে হবে? বললো শঙ্খ।

 — বারবার চাওয়া তো ভিক্ষের সমান। বললে স্বাতী।

 — তার মানে? সেটাই বলতে চেয়েছেন বুঝি ? তাহলে কাল রাতেই চলে এলে না কেনো ? কি এমন সোহাগ পেলে যে রাতটা থাকতে হলো ? ক্ষুব্ধ শঙ্খ। কিছুটা অস্থির।
রাতে না ফেরার কথায় কেমন যেনো কুঁকড়ে গেলো স্বাতী। তবুও মনের জোর তৈরি করে দাঁড়াতে চেষ্টা করলো। বললো, – মার কাছে থাকার জন্য সোহাগ – অসহাগের কি আছে ?

 — অত সকালে গাড়ি ধরেছো ? বাড়ি থেকে ক’টায় বেরিয়েছো? কে পৌঁছে দিলে তোমাদের প্রশ্ন বাণে সম্মুখ সমরে শঙ্খ।

কোন কথার উত্তর দিলো না স্বাতী। উত্তর তার মুখে নেই। সারা শরীর তার পাথরের মতোন নিশ্চল। যে কেউ ধাক্কা দিলে পড়ে ভেঙে চুর চুর হয়ে যাবে। হঠাৎই তার শরীরখানা কেমন যেনো কাঁপতে লাগলো। চোখ ছাপিয়ে জল বেরোতে চাইলেও কোন রকমে চেপে রাখলো তাকে ।বুকের মধ্যে একটা হাকার করে উঠলো। হায় ভগবান, এর থেকে কোনভাবে যদি মৃত্যু হয়ে যেতো অপার শান্তি পেতাম। সেখানে চেয়েও মার খেলাম ।এখানে না পেয়ে মার খেতে হবে ।মাঝের শূন্যতা আমি কি দিয়ে ভরাবো ? তুমি বলো, আমি তো কোন অন্যায় করিনি ?

 — কথার উত্তর দিচ্ছো না যে ? একটু উগ্র যেন শঙ্খ।

 — সব কথার উত্তর আমার দেবার নয়। আগোছালো উত্তর স্বাতীর।

 — কথার উত্তর দেবে না মানে? চুলের গোছা মুঠো হাতে ধরে শঙ্খ। কি বলতে চাইছো তুমি ?

— আহ্ – লাগছে ছাড়ো।

মুঠো আলগা হয় শঙ্খর। কিন্তু যেটা জানতে চেয়েছি তার উত্তর দাও।

 — সকালের ট্রেনে তুমি কি করে এলে? সাড়ে ছটায় তুমি মেয়েকে নিয়ে একাই চলে এলে স্টেশনে ?
রাত জাগা পাখিটা ক্রা- ক্রা- ক্রখ ডাক দিতে দিতে ওদেরই ছাদে এসে বসলো মনে হলো। মাঝে- মাঝে রাত্রে জানা ঝাপটানো আওয়াজ আর এমন ডাক এর আগেও শুনেছে স্বাতী । আজ যেনো স্বাতীর মনের গহন অন্তর স্পর্শ করে। তারই অব্যক্ত যন্ত্রণার একটা অস্ফুট চিৎকার গগন থেকে গগনে ছড়িয়ে দিলে পাখিটা।

ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললো স্বাতী। গতকালের পরম আতিথেয়তার কথা কাকে বলবে সে? সে কি বিশ্বাস করবেে ? সে কি মূল্য দেবে ? সে যে পরিস্থিতির মধ্যে ছিলো, তার জীবন কতটা বিপন্ন ছিলো। কেউ তার খোঁজ নেয়নি ।নেবে না। ঝড়-বৃষ্টির রাতে একটা মেয়ে, ছোট্ট একটা বাচ্চা সাথে কিন্তু সাহসিক পাড়ি তাকে দিতে হয়েছে। একদিকে স্বার্থপরতার ধিক্কার। পিতৃকুলেও মানসিক ঠাঁই নেই। অন্যখানে নিজের ঘর- নিজের স্বামী সন্তান এখানেও লালসা চরিতার্থের শিকার সে। হায় বিধাতা — তোমার কি লীলা। প্রকৃতির নিয়মই ভাঙাগড়া। পৃথিবীর অবস্থান ই পরিবর্তনীয়। মানুষের জীবন ঘাত- প্রতিঘাতে ভরা। সংসারে ওঠাা-পড়া থাকেই। নদীর জোয়ার- ভাঁটা আজও নিয়ম মতোই হতে থাকে। জোয়ারে জল নদী ভরে যায়। ভাঁটার টানে সমস্ত আবর্জনা টেনে নিয়ে নদীর পাড় সাফ-সুতরো। চকচকে। ঝলমলে। আবার নতুন শুরু হওয়ার অপেক্ষায় যেনো, অথচ স্বাতী আজও যে তিমিরে সেই তিমিরেই। জীবনটা তার দু টাকার নোটের মতো। ময়লা, ছেঁড়া- ফাটা। ফেলে দিতেও পারেনা, আবার আদর করে কেউ নেয়ও না। একটা জীবনহীন জীবন– একটা অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব।

 — পরিষ্কার জবাব কিন্তু চাই আমার। চুপ থাকলে ক্ষতিটা তোমারই। ঝাঁঝালো কর্কশ গলা শঙ্খর।
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে স্বাতী। সামনে এগোলে যা, পেছনে গেলেও তাই।

 — তোমার লালসা মেটানোর জন্য মা’র সঙ্গে কিছুটা তর্ক করে তার হাতে মার খেয়েছি। মাথা কূতে রক্ত ঝরে ছিলো। চুলে ঢেকে কাউকে বুঝতে দেইনি। সন্ধ্যাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম, রাস্তায় তুমুল ঝড় বৃষ্টি। যখন বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছলাম বাসটা ছেড়ে চলে গেছে। বাধ্য পরের বাস ধরলাম। ঠিকঠাক চললে হয়তো নটা পঞ্চান্ন পেয়েও যেতাম। বৃষ্টি বাদলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাসটা যখন স্টেশনে পৌঁছালো রাত্রি দশটা বেজে গেছে। ট্রেন যথারীতি চলে গেছে। কি করবো- কোথায় যাবো, ভেবে ভয়ে কুঁকড়ে গেছি। আবার বলতে শুরু করে। তারপরে স্টেশন মাস্টারের ঘরে গেলাম। রাতটুকু মা-মেয়ের থাকার জন্য ব্যবস্থা করতে বললাম। উনি বললেন — রাতের স্টেশন চত্তর মানে বদ লোকের আখড়া। এখানে থাকা যাবে না ‘মা’। মদ জুয়া খেলার মাঠে পরিনত হয়।

‘মা’ সম্বোধনে কথা বলে আমাকে বললেন — রাতের থাকার জায়গা পেয়ে যাবে। কোন অসুবিধা হবে না। তাহলে সকালে গাড়ি ছটা পঁয়ত্রিশের গাড়ী পেয়েও যাবে। এই কথা বলে স্টেশনের বাইরে এসে একজন মুসলিম রিক্সাওয়ালাকে ডাকলেন। তাকে বললেন — আজ রাতের মতো মা -মেয়েকে তোর ঘরে অতিথি হিসেবে রাখতে হবে, এবং সকালের কলকাতার গাড়িটা ধরিয়ে দিতে হবে। লোকটার নাম আরসাদ। আমাদের সেই রাত্রে তাদের রেল লাইনের ধারের বস্তিতে নিজের রিক্সায় নিয়ে গেলো। রাতে আমাদের খাওয়ালো। তাদের’চৌকিপাতা বিছানায় শুতে দিলো।

 — ছিঃ ছিঃ স্বাতী। তুমি এক রিকশাওয়ালা মুসলিমের ঘরে, খেলে -রাত কাটালে, তোমার লজ্জা করলো না। রাগে কাঁপতে থাকে শঙ্খ।

 — মানুষকে মানুষ বলতে শেখো। রিক্সাওয়ালা, মুসলিম বলে ঘৃণা করো না। আমার জন্য সেই রাতে যা করেছে- দেবতা বললেও কম বলা হবে।

 — নিজের মান- ইজ্জত খুইয়ে এসেছো এক মুসলিম বস্তিতে। আবার তাকে দেবতা বলে সাফাই গাইছো। তোমার এ বাড়িতে পা ঢুকলো কি করে? মারের চোটে স্বাতী মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে।
কাঁদতে কাঁদতে পা জড়িয়ে ধরে শঙ্খর। বলে — তুমি বিশ্বাস করো, আমি কোন পাপ করিনি। সারাটা রাত প্রায় ঘুমোতে পারিনি। গরমে ঘেমে নেয়ে বিছানায় বসে ছিলাম। বস্তির ঘর সম্পর্কে এমন কোন ধারণা ছিলো না। আরশাদের বউ, রিজিয়া ভোর রাত্রি পর্যন্ত আমার কাছে বসে গল্প করলো। নিজেদের সুখ দুঃখের কথা বললো, মানুষের উপকার করতে পারলে তার স্বামী কত খুশি হয়। স্টেশন মাস্টারকে কতোদিন ওরা দুবেলা রান্না করে খাইয়েছে।

 — সুন্দরী মেয়ে পেলে রাতের অন্ধকারে ওরা চিরকালই খুশি হয়। ফোঁস করে ওঠে শঙ্খ।
আহত বাঘিনীর মত ক্ষিপ্ত হয় স্বাতী। বলে,- আমার সম্পর্কে যা কিছু বলো। প্রতিবাদ করবো না কিন্তু ওদের নামে যা তা বলবে না। ওরা আমার জন্য দেবতা তুল্য কাজ করেছে। ওদের নামে কেউ অপবাদ দিক আমি মেনে নেব না।

 — বাহ্- বাহ্। এতো যদি পিরিত, ছেড়ে চলে এলে কেনো ? ব্যঙ্গোক্তি শঙ্খর।

 — কি বলতে চাও তুমি ? ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাতী।

বাদ-প্রতিবাদে কথা কাটা-কাটিতে- রাতটা শেষ হয়েছিলো সেদিন।

জয়নাল আবেদিন | Joynal Abedin

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ১) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ২) | উপন্যাস

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৩) | উপন্যাস

খুঁজে ফিরি বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | বিশল্যকরণী | রামায়নের বিশল্যকরনী | বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা | লাল বিশল্যকরণী | মৃতসঞ্জীবনী গাছ | বিশল্যকরণী গাছের গুনাগুন | মৃত সঞ্জীবনী গাছের উপকারিতা | বিশল্যকরণী গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম | বিশল্যকরণী কী | বাঁচানো হোক বিশল্যকরণী | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ | সেরা বাংলা গল্প | গল্প ও গল্পকার | সেরা সাহিত্যিক | সেরা গল্পকার ২০২২ | বাংলা বিশ্ব গল্প | বাংলা গল্প ২০২২ | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Bisholyokoroni | bengali novel | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | bengali story | bengali story books for child pdf | bengali novel for adults | bengali story books | bengali story books for child | bengali novel pdf | bengali story for kids | bengali novel reading | short story | bengali novel analysis | bengali novel characteristics | bengali novel competition | short story definition | short story english | short story for kids | short story generator | short story ideas | bengali novel length | long story short | bengali novel meaning | long story | long story instagram | story writing competition | story writing competition topics | story writing competition for students | story writing competition malayalam | bengali novel competition india | story competition | writing competition | writing competition malaysia | writing competition london | writing competition hong kong | writing competition game | writing competition essay | writing competition australia | writing competition prizes | writing competition for students | writing competition 2022 | writing competitions nz | writing competitions ireland | writing competitions in africa 2022 | writing competitions for high school students | writing competitions for teens | writing competitions australia 2022 | writing cmpetitions 2022 | writing competitions uk | bengali novel writing | bangla news article | bangla article rewriter | article writing | bengali novel ai | bengali novel app | article writing book | bengali novel bot | bengali novel description | bengali novel example | article writing examples for students | article writing for class 8 | article writing for class 9 | bengali novel format | bengali novel generator | article writing global warming | article writing igcse | article writing in english | article writing jobs | article writing jobs for students | article writing jobs work from home | article writing lesson plan | bengali novel on child labour | article writing on global warming | article writing pdf | bengali novel practice | article writing topics | trending topics for article writing 2022 | what is article writing | bengali novel trends 2023 | bengali novel topics 2023 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment