Bangla Kobita Selection – Rajkumar Byadh
ভারতবর্ষ – রাজকুমার ব্যাধ
এই দেশেতে জনম আমার
এ দেশ ছেড়ে কোথাও গেলে
মন বসে না আমার আর
এ দেশ ছাড়া শান্তি নাহি মেলে
মাঠে মাঠে ফলে নানান ফসল
রবির আলোয় হাসে সোনার কমল
এই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ
এই দেশেরই অন্ন জলে হই গো সবল
ওই দেখা যায় বয়ে চলে জাহ্নবী
তারই পাশে নাচে হাওয়ায় কাশফুল
বুনোহাঁস আনন্দিতে আসে নদীর কোলে
তারা ঢেউয়ের দোলায় দোলে দোদুল
তাল খেজুরের পাতায় বাবুই পাখির
সংসার অরূপে সাজানো কেবল
এই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ
এই দেশেরই অন্ন জলে হই গো সবল
জীবনানন্দ দাশ: এক অনন্য জীবন – রাজকুমার ব্যাধ
তুমি যে এক অনন্য জীবন কথার ঢেউ বাঙালির মনে,
তুমি প্রিয় কবি: তোমার সৃজনে আমি কৃতার্থ হই মোহনে
তোমার কবিতায় অরূপ প্রতিকৃতিতে অনুরাগী পাঠকবৃন্দ ধন্য
জীবনানন্দ ছাড়া কবিতা কথা ভাবা হয় না পরিপূর্ণ;
রবীন্দ্রের পরে তোমার স্থান আলোকে আলোড়িতময় সমালোচনা,
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তার মনের কোণে সূক্ষ্ম প্রতিক্রিয়া কে করে সন্ধান,
যুগের ভাবধারায় সাময়িক কথায় হয় না সমাধান
বাঙালি মন ভুলিনি তোমাকে হে প্রিয় জীবনানন্দ
রবীন্দ্রের পরে কবিতা কথাকে দিলে প্রাণ আরও আধুনিক ছন্দ,
তোমার সৃজন অপরিহার্য আলোক সম্পাতে সমালোচনা;
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তোমার কাব্যকথায় আছে অবক্তব্য যন্ত্রণা
কেউ কেউ বোঝেন কেউ বা বোঝেন না;
আহা কি অপরূপ শব্দ চয়নে রস সৌন্দর্য-ব্যাখ্যান
অনুভবে আপ্লুত নির্ভরযোগ্য সবই কবিতা যেন চিত্র তাজা প্রাণ;
তোমার সৃজন বিভিন্ন আঙ্গিকে অনবদ্য তাই এত সমালোচনা;
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তোমাকে ঘিরে হয় না পূর্ণাঙ্গ আলোচনা,
আজও একমত নয় সব আছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা
জীবনানন্দ নিয়ে এলেন যুগান্তরের নব্য হাওয়া
বাংলা কাব্যে আন্তরিকতার মাঝে বিতর্ক দেখে যাওয়া;
তোমার সৃজন নতুনত্ব শব্দ আলোক সম্পাতে সমালোচনা,
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় – রাজকুমার ব্যাধ
বাঙলা সাহিত্য ভাণ্ডারে
একাধারে কবি নাট্যকার
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তুমি যে
সবার প্রিয় গ্রাম বাঙলার
তোমার হৃদয় ছিল কি দারুণ
স্বদেশী ভাব-ধারায়
ধন ধান্য পুষ্প ভরা
আজও তো গেয়ে যাই।
দ্বিজেন্দ্রলালের সাহিত্য সাধনা
কতটুকু জানি তাঁর সমালোচনা
তাঁর কথা শ্রম দিয়ে ভাবলে
সার্থক হবে যে মানি ক্ষুদ্র জ্ঞান
বাঙলা সাহিত্যকে করে গেছেন সমৃদ্ধ
গাহি তাই দ্বিজেন্দ্রলালের জয় গান।
তাঁর সাহিত্যসাধনা এনে দেয়
বাঙালীর জীবনে নব চেতনা
নিঃসন্দেহ এই কথা বলা যায়
তুমি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ক্ষণজন্মা।
দোষ দেবে কার – রাজকুমার ব্যাধ
তুমি বললে:
‘আনন্দকে খুঁজে পেয়েছি,
সম্ভবত হাতছানি দিয়ে ডাকে।’
পরে তুমি নিজেকে ধিক্কার দিলে
তোমার অনুভব আর তোমার
অস্পষ্ট ভাবনাকে।
মূলত:
তুমি নও
তোমারই বোধ হতভাগ্য এক
ও কোনোদিনই
তোমাকে সুন্দর হবার সুযোগ দেবে না
যখনই তুমি ভালোভাবে বাঁচার কথা ভাববে
তোমার অপক্ক বোধ
তোমাকে ঠকাবে বারেবার।
আর তুমি ব্যর্থতার অসহ্য যন্ত্রণা বুকে নিয়ে
দাঁতে দাঁত চেপে ছটফট করবে
জীবন সংগ্রামের কাছে
তুমি পরাজিত নও
তুমি পরাজিত তোমার অপক্ক বোধের কাছে।
কেননা তুমি তোমার বোধকে
শান দিয়ে রাখোনি
তাহলে দোষ দেবে কার?
বাস্তবিক – রাজকুমার ব্যাধ
কান আর গিলতে পারে না চিৎকার
উন্নয়ন আক্রান্ত চারিদিকে
কর্মক্ষেত্রের জৌলুসতা
দুমড়ে মুচড়ে
কোনো টুঁ-শব্দ নেই
আগেরই গড়ে ওঠা উন্নয়ন
ধাপে ধাপে লয়প্রাপ্ত
নতুন করে শিল্পকর্ম
দণ্ডায়মান হবার প্রয়াসে ব্যর্থ
যদি স্তোকবাক্যে মিটত বেকারত্ব
স্বরচিত স্বপ্নছবি আঁকত না কেউ
ইদানীং
চালাকির দ্বারা
ভিন্ন পর্যায়ে মহৎ ওরা
পরিবর্তনের স্বাদ ও সূচনা
বুভুক্ষের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়ে
এবং এখানে এখন – রাজকুমার ব্যাধ
আমার কবিতা কথার পংক্তিগুলো
আন্দোলনরত
শোষকবাহিনীর বিরুদ্ধে
প্রতিনিয়ত
প্রতিধ্বনি
সাক্ষ্য বহন করে
কবিতা কথার পংক্তিগুলো –
বিষয়
ভেবে দেখার জন্য বোধ কাজ করে
দরদ দিয়ে দেখি
প্রতিনিয়ত কবিতা কথা
মনে হয় পথ দেখায় –
কুটিল
জটিল
থাকে না ;
সংগ্রাম ছাড়া
জীবন
বাঁচার সফলতা পায় না
অলীক কল্পকথা
আলোকিত হয় এভাবেই
প্রকৃতি রুষ্ট – রাজকুমার ব্যাধ
কোথায় গেল
কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি ?
ভাবছি কতই কথা
একি অনাসৃষ্টি!
আবাদের জমি চারিদিকে শুকনো –
ওই সাদা বক আসে যায় দেখি রুগ্ন!
খালে বিলে নেই জল টলটল –
বুনোহাঁস সাগরে বুঝি করে কোলাহল;
মানুষের অনাচারে প্রকৃতি রুষ্ট;
প্রকৃতির মন নেই তাই তুষ্ট।
সোনার বাংলা থেকে
হারিয়ে গেছে বন্যা,
কোথায় গেল বৃষ্টি যে
সে মেঘের প্রিয় কন্যা;
বৈশাখ গেল জ্যৈষ্ঠ গেল
এলো আষাঢ় –
হায়রে বৃষ্টি নেইকো দেখা
শুধু তোমার।
ওগো পদ্ম তাকাও এবার
দেখি রূপ ও ভঙ্গি তোমার
প্রেমিক ছাড়া মধু সঞ্চয়
বিষয় এমন বড়ই লজ্জিত
যাওয়া আসা
অনুভূতি – রাজকুমার ব্যাধ
একলা আমি বসে আছি
প্রিয় নদীর পারে,
মনের কথা মনে ভাবি
তোমার অভিসারে।
তোমার
গুণের কথা শুনেছি,
রূপ
না দেখে ভালোবেসেছি,
তোমায় আপন মনে করি –
কল্পছবি আঁকি বারেবারে।
জীবনের পরম বন্ধু তুমি
একবার আসিও কাছে –
সকল কথা বলার মাঝে
একটি কথা বলার আছে।
সকল অপরাধ
ক্ষমিয়ো প্রভু,
লজ্জা আমায় আর
দিওনা কভু;
পরিহাসে ভরা জীবন নিয়ে –
কেমনে দাঁড়াবো তোমার দ্বারে।
আমাদের কোন কথা শেষ নেই – রাজকুমার ব্যাধ
তোমার কথা মনের
বুঝি শেষ হয় না
তোমার দৃষ্টি থেকে স্মৃতিচিহ্ন
হারিয়ে কোথাও যায় না
তোমার বুকের আকর্ষণ থেকে
ঢেউ দেশান্তরে যায় না
তোমার পথে চলা পায়ে পায়ে
স্বপ্ন বীজ ফুরিয়ে যায় না।
২
আমরা চোখ মেললে
ফুল বাতাসের শরীরে
সুঘ্রাণ মাখিয়ে দেয়
আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে
জটিল কোন রহস্য
বাস্তবিক থাকে না ঢাকা ।
৩
আমাদের আকাঙ্ক্ষিত আশা
প্রতিটি প্রশ্বাসে বেঁচে থাকে
আমাদের দুর্লভ জীবনে
তুমি নিশ্চয়ই টের পাও
আমাদের স্বপ্নকে
সাজিয়ে দিচ্ছে সময়।
আচরণ – রাজকুমার ব্যাধ
যদি তার জন্যে বাঁচার রসদ হারিয়ে যায়
তার মসনদে থাকা না থাকা দুই-ই সমান
ক্ষমতার বলে আরও কিছুদিন
টিকে থাকা সম্ভব তার
সেই থাকার কোনো গুরুত্ব হয় না
যে রাজ্যে সন্তান সম প্রজার মুখে হাসি নেই
নিজের সুখে আত্মসুখী হবেই সে
বিড়াল ইঁদুর দেখে নিষ্ঠাবান হয়েছে কবে
যার মনের কোণে কুটিল বিষ
কিংবা মিছরি ছুরি
সরলতা কখনোই সাদামাটা নয় তার
বোকার হদ্যগুলো মানুষ চিনলো না এখনও
কেমন সুখে আছো বন্ধুরা
ঘরে ঘরে ডিগ্রিধারী কর্মবিহীনে
মানসিক রোগের শিকার হয় – হয় বুঝি
ওই কোন্ জন গেয়ে চলে সঙ্গীত
জটিল কুটিল দেব ও দেবীর শাসনে
আচরণ সেজে উঠেছে অশোভনে
বেশ – রাজকুমার ব্যাধ
আজ বেশ অনিন্দ্যসুন্দর আকাশমন, –
শান্ত নদীর বুকে নীলাকাশের রূপস্নান ;
বুনোহাঁস জলে করে খেলা বিকাশ শোভন,
বাউলসুরে মাঝিভাই মনোমুগ্ধে গাহে গান।
চিরচেনা পৃথিবীকে কখনও ভাবিনি পুরান
শুধু মনে হয় শরীর জরা জীর্ণ হয়ে আসে!
হেসেছি আমি পরমাত্মাকে হয়নি হাসানো
বিবেকের কাছে হয়েছি নিন্দুক অনায়াসে।
দোষে গুণে মানুষ – হয়নি গড়া বিবেকনীড়
অনাদরে সময় অপচয়ে জীবন শ্রান্তে আকুল ;
ঝিলমিল স্বপ্নের কাছে – নত উন্নত উর্বরে শির
পরিহাসে বুঝি হেসে গেল বাতাস মৃদুল মৃদুল!
মন ওরে প্রিয় মন মনকে কেবল সুধাই
মহাজীবনের গান কবে তবে গাহিবে ভাই?
যখন – রাজকুমার ব্যাধ
এত যে পরিহাস! গরিবের বেলায় ওরে মন
মানুষ চিনতে হও আরও সচেতন।
মুখোশে ঢাকা মুখ করো হে চিহ্নিত
দুষ্টের বৃদ্ধি বিনাশ করিও নিশ্চিত
হে চির ঋজুমন ভুলিও তাদের প্রলোভন।
যখন নিজের সঙ্গে কথা বলি
নিজেকে বেবাক একাকী লাগে না।
অজানা ভাবনা নিজেরই মধ্যে আদান-প্রদান
চোখের পলক পড়ার আগে
মন ঝড়ের আগে ছুটে যাওয়ার আগে
প্রশ্বাসের সাথে সম্পর্ক রাখতেই হয়;
মন চায়লেই কন্ঠ গায়তে পারে না
সেও নেয় সময়ের সহযোগী।
ধারণা ব্যাপারে মনের আগে বোধ টের পায়
বিপদ যখন গাঢ়
নিজের সাথে পূর্বালোচনা করলে
আলোচনার কাছে গোপন থাকে না
মনের কথা
চোখে আলো থাকলে
ভাল-মন্দের সাক্ষী থাকে
চোখ ও মন
নেতা – রাজকুমার ব্যাধ
নেতারে মানো; পায়য়ে দাও সিংহাসন
মন্ত্রী হয়ে পরে ভোলে প্রতিশ্রুতিময় বচন!
তোমার কাজে লাগুক আর নাই বা লাগুক
অভিনয় অদ্ভুত সাদা পোষাক পড়ে তিরিক্কিমুখ
দুস্থ আশায় থাকে করুণ কিশমিশের মতন।
ভান্ডারে লোভ যা আছে নয়কো আলো
বেকারগুলো কর্মহীনে বাঁচার ঠিকানা হারাল
যাদের ওপর বিশ্বাস তারা খুবই ফাঁকিবাজ
তারা কেবল রেখে যায় গম্ভীর আওয়াজ
চির চেনা মন্ত্রীর কাছে দুস্থ তুমি নহে প্রিয়জন ।
কথা স্বপ্ন – রাজকুমার ব্যাধ
অবাক হয়ে তাকিয়ে রজনী
চোখের ক্ষুরধার আলোপানে
নরম বুকে রহস্য কী
অনুভূতি জাগে প্রিয় প্রাণের?
লজ্জা ভুলে বোধ অরূপে মুগ্ধ
গর্বটি উন্নত, স্নেহে বন্ধন
তন্মুহূর্তে ধন্য প্রেমিক
তার শোভনে রাঙা হয়ে রয় স্বপন।
সব চাওয়া হয় না পাওয়া – রাজকুমার ব্যাধ
কান্তি ছন্দে মাত্রাবিহীন এখন
পাতার নিচে চাওয়া তোমার
প্রাণপ্রিয়ার হৃদয় রাঙে
চোখের আলোয় স্বপ্ন বৃদ্ধি
পদ্যে শব্দ কান্তি কালজয়ী
সকল ইচ্ছার মধ্যে ধন্ধ কোথাও নেই
বিষয় অনুভূতে লাবণ্যয়
পাতার নিচে লক্ষ্য তোমার তাজা
এক জন্মে সব চাওয়া হয় না পাওয়া
রত্ন খুবই দামী চুনি চমকে উর্বর
ভাণ্ডের অরূপ সত্তা দখল নিতে
পাতার নিচে লক্ষ্য তোমার নিখুঁত
তুমি আছ – রাজকুমার ব্যাধ
কাতর মুখ মৌনতায় ঝুঁকে নদীর দিকে
তার হাতে আঁকা প্রিয় ছবি ভাসিয়ে দেয় নদীবক্ষে
স্রোতে স্রোতে ভেসে গেল কাছে থেকে দূরে অনেক দূরে
নিরুত্তর মন ভাবে কোনো স্মৃতিকথা এই মুহূর্তে –
হাসি এভাবেই ঠোঁট থেকে হারিয়ে যায় কত
উদাসে উতল বাতাস জড়ানো জীবন
অশ্রু বিন্দুতে বাঁকা চাঁদ ম্লান অনিবার
কোনো মন ব’লে যায় – শান্ত হও – শান্ত হও –
কথাপ্রিয় প্রিয়কথা ভাবে সে
আহত জোনাকির মতন জীবন কাতর
কোথাও ঘটে গেছে বিচ্ছেদ পর্ব
অজান্তে কোনো ভুল
তুমি আছ – আছ তুমি
ভাবি, হবে সংশোধন একদিন –
ধন্য – রাজকুমার ব্যাধ
ধন্য প্রকৃতি মানুষে কি পারে সু-শোভিতে
জলের ঠোঁটে শিশির বানিয়ে দিতে
খুব সকালে পথে চলা পায়ে পায়ে
চোখের পাতায় কুয়াশা শিশির বিন্দু হয়ে
মানুষ কি তা পারে বানিয়ে দিতে?
হিমেল বাতাস আসে উত্তুরে
কাঁপছে অসহায় গরিব দাদু থুত্থুরে
মন্দিরে মসজিদে দান যায় কত শত
মানবের মাঝে ভগবান আল্লাহ্ জাগ্রত
ঠকঠক কাঁপিছে কঠিন শীতে।
আপনি বলো, ‘গরম পোষাকে আরামে শুই’
দুস্থের নগ্নশিশু সারারাত শীতে শব্দ করে কুঁই কুঁই
মানবের মাঝে মানবের ব্যবধান কতই
কেন জানি না ভালোরা হয় বোকা ঋজু এতই
থাকে না কিছুই তাদের বরাতে; সৎ হওয়াতে।
কাতর মনে ও – রাজকুমার ব্যাধ
কাতর মনে ও কী কথা ভাবে?
তুমি ওগো মিছে ভাব আছ পরাভবে।
তুমি যার ছবি এঁকেছ হিয়াতে
সে তো রয় কল্পকথাতে;
স্বপনে যাকে দেখনি তাকে কেমনে পাবে
মেলে না স্বপ্ন বাস্তবে এ কথা কে বুঝাবে?
চেতনবিহীন নও তো তুমি
জানে কথা ওগো অন্তর্যামী;
অভিমানী ওগো, তুমি থাক নীরবে।
কল্পছবি রাখ যে তৃষিত বুকে
আশা ভালোবাসায় ভাবকথা দুঃখসুখে;
তোমার প্রেম তুমি ছাড়া
বোঝে তা কে বা অনুভবে।
সোচ্চার আওয়াজ – রাজকুমার ব্যাধ
চোরের ওই মুখের হাসি
কেন দেখ মন রাশি রাশি
ওরা প্রাপকের লয়ে ধন হয় ভদ্র মানব।
মুখোশের আড়ালে দানব
অভিনয়ে পক্ক সব –
লুঠেরা দেখায় বড়ই সদাই দয়ার অর্ণব।
ঘুমের ঘরে জাগাও চেতন
অযোগ্যের অপশাসন
অমানবিক আচরণ সয়েছ অনেক আর নয়।
ভগবান কম্পিত নয় কোনো ত্রাসে;
তিক্ত তিক্ত ভাবনা কত আসে;
সর্বনাশীর সর্বনাশের খেলায়
সোনালী ভবিষ্যৎ আর না ডোবাতে চায়
জাগরিত মন মদ-মত্ততায়;
সোচ্চারে শক্ত সোচ্চারে শক্ত কর মুগ্ধ মনোময়।
শোন ও বন্ধু এবার ভেবে দেখার পালা;
পরিবর্তন বিনা কখনোই জুড়াবে না বুকের জ্বালা;
বেকারগুলো বেকারত্বে ধুকছে কেবল ঘরে ঘরে!
উন্নয়নের চাকা গিয়েছে থেমে!
ওদের আগে নামাও চেয়ার থেকে টেনে –
ওই কোন্ জন হাঁকিছে – জাগরে অবোধ ওরে!
সাগর নদী ওই নাচিছে নব জোয়ারে
শিল্পী আঁকে নতুন দিনের ছবি আহারে – বাহারে;
ওদের নাড়িতে জেগেছে ভয়ের কাঁপন!
এবার মুখোশ ওদের ফেল ছিঁড়ে
দেবতারে জাগাও মনের মন্দিরে –
আয়োজনে আওয়াজ সোচ্চারে
সোচ্চার আওয়াজে চেতন জাগরণ।
স্বপ্নমূলক প্রেম – রাজকুমার ব্যাধ
মনের মতন কথা ছিল এক স্বপ্নের বাগিচায়
গাছের ফাঁকে দৃষ্টি সুন্দর ছিল নারীর মনোলোভায়
তুমি গান গায়লে মনে থাকে না কোনো ভয়
নারীর মনোলোভায় অনিন্দ্যসুন্দর হয় হৃদয় –
স্বপ্নের মতন সেই স্বপ্নটি গাছ জীবনের ফাঁকে
প্রিয় কি রূপ আবডালে কতদিনই বা থাকে
কিছু বলবার জন্যেই তো তোমার কাছে আসা;
স্বপ্নতে দেখি – স্বপ্নতে দেখি – স্বপ্নতে হয়েছে ভালোবাসা –
কথা আমার – রাজকুমার ব্যাধ
কথা আমার, তোমাকে যদি দিতে পারি
সুন্দরতমা তোমাতে, তোমাতেই সৌরভ
মায়া অনুভূতির স্নেহের তীর্থে থেকে
স্বর্গদেশের মতন অনুভবে চির গৌরব।
হে সজনী আমার, সামলে যদি চল
বুঝবে চাঁদ একদিনের আবেগে হয়নি সুন্দর গোল
সঞ্চিতে রাখ তোমার মুহূর্ত-জাত প্রেম
ধীরে ধীরে হবে সখী আশা তোমার সফল।
হঠাৎ করে কখনো মন নাচে নাগো
খুশি এলে, মন গাহে গান প্রিয় স্নেহের টানে
উদাস তখনই হয় মর্মে উদাস উদয় হলে
বড় যে প্রেম জীবনের থেকে, কথা সবাই জানে।
ইচ্ছারা জেগে থাকে – রাজকুমার ব্যাধ
স্বপ্নের বুকে এই যে রঙিন অনুভূতি
এ কি আমাদের জন্যে কোনো বিশুদ্ধ প্রেরণা
চেতনার উদ্ভাসিতে চমক কোনো সত্তার ?
বেঁচে থাকা জীবনে
ইচ্ছারা জেগে থাকে
আঁধারে জ্বলে থাকা দীপের মত;
জোনাকিমালার মত
ছবিটা রয়েছে আঁকা
স্বপ্নের বুকে সুন্দর।
এসো চন্দ্রপ্রভা – রাজকুমার ব্যাধ
এসো গো চন্দ্রপ্রভা, আয়ত মনে রাখব মায়ায়।
শোভনে শোভন বাড়ায়।।
যদিও ধূলা-পথে জানা সুরে চেনা সুখে
গান তো গেয়ে যাই -যে কথাটা আসে মুখে
উঠল ধ্বনি আনন্দে প্রাণেরই সীমানায়।।
না পারি ভুলতে কোনো স্মৃতি
এসো গো প্রিয়ে শোনাব মধুর গীতি
সেই আশাতে তোমার আসার আশায়
পথের দিকে তাকিয়ে থাকি সদাই, হায়।।
কী কথা বলব বল – রাজকুমার ব্যাধ
কী কথা বলব বল শূন্য জীবনে?
কথা যে স্বপনে কত রয়েছে যতনে ।।
কী হবে ভাবিয়া একেলা ?
বোঝে না কেউ মন কেন উতলা ?
নীরবে শুধু পেয়ে গেলাম হেলা
জানি না, এখানেই যাতনা,
হৃদয় নিয়েছে সহে কেমনে ?
মর্মের কথা গাহিলে গান হয়ে যায়
সেই গান আমি ছাড়া কে বা শুনতে পায় ?
স্বপ্নছবি এঁকে রাখি জোছনা রাতের গায় ।।
স্বপ্নের বনে রইল ফুটে ফুল
বোঝে না কেউ তাই ভাবনা সব লাগে ভুল
চোখের আকাশে ব্যথার মেঘ হয়েছে আকুল
সময় কত কাটিয়ে নিলাম আমি আমার সনে ।।
বারোমাস – রাজকুমার ব্যাধ
মিথ্যুকের পাল্লা ভারি
বিঘ্ন অতি ঝকমারি!
নেই সততার হার
দেখ তো চমৎকার!
মিথ্যুকের পরাজয়
দেরিতে আজও হয়!
ভেবে দেখ মনপ্রাণ
পাবে কথার প্রমাণ;
আতঙ্কে মিথ্যুক কাঁদে
পড়ে জটিল ফাঁদে!
মজার বিষয় হল
সৎ ও অসৎ বল –
উভয়ে আলো বাতাস
আজও পায় বারোমাস।
তুমি আসবে – রাজকুমার ব্যাধ
‘চোরের মায়ের বড় গলা’
বাক্যরচনা একদম নিখুঁত;
চোরগুলো সব মাথার তাজ হয়ে
আমাদের রক্তে নেই বিদ্যুৎ!
অসতের হুকুম মানিয়ে নেওয়া
কবে থেকে এসে গেছে রেওয়াজ;
চেয়ার ধরে রাখার যোগ্য নয়
উল্টে শোনায় সোচ্চার আওয়াজ!
যারা জেগে ঘুমিয়ে থাকে সুখে
তাদের ঘুম ভাঙে না কোনদিন;
যারা খিদে পেটে ঘুমিয়ে থাকে
তারা জেগে থেকেও হয়ে থাকে সেই দীন!
যখন ব্যভিচারে ভরে যাবে
বলেছিলে তুমি আসবে –
পৃথিবী দুর্নীতিতে ভরপুর
তোমার কথা রাখতে এসো তবে।
কথা দেয় কথা রাখে না
অতীতও মনে থাকে না!
কৃষ্ণ ভোলে প্রেমময় বৃন্দাবন ?
মথুরায় রাজভবনে কৃষ্ণমন!
আশার বাণী – রাজকুমার ব্যাধ
শিশির মাখা জোছনা রাতে কে তুমি?
বিরহাকুলে ব্যথার নীরে সিক্ত মনোভূমি।।
বেঁচে থাকা জীবনে আসবে ঝড় কত
উতলে কখনো ভেব না ভাঙা হৃদয় এত
দেখ, দৃপ্ত চেতন তোমাতে শোভা পায় জানি।।
ভাবলে জীবন সংগীতের মত সুন্দর
গাহিলে শুনিলে মুগ্ধ হয় মন্থরে অন্তর
দুঃখ সরিয়ে বাঁচিয়ে রাখো আশার বাণী।।
প্রার্থিত ফল – রাজকুমার ব্যাধ
দুঃখসুখের ভালোবাসায়
তোমার ভাবনায় রেখেছি মন
এই জীবনের বিষাদগুলো সরিয়ে
আলোকের পথে নিষ্পলক দৃষ্টি
ছুঁয়ে থাকে জীবন্ত এক নরকঙ্কালকে
জেনেছি আপন বলতে আছে একজন কেউ
আর সব মায়া মিথ্যা
মনে মনে যতবার খুঁজি তোমাকে
দৃপ্ত তৃপ্ত শুদ্ধ আত্মা
সুপ্তভাবের চেতনায় বলে গেল বুঝি
তুমি নির্মল
পেয়েছো নতুন হৃদয়ের সন্ধান
ভয় কিসের এগিয়ে যাও শান্তি শান্তি শান্তি
নদীর পার – রাজকুমার ব্যাধ
নদীর পার! নদীর পার!
কাশফুলের চমকে উজলে স্নিগ্ধ নদীর পার –
নদীর পার।
বুনোহাঁস নদীর কোলে
মাতোয়ারা তারা কোলাহলে
ওই পারে বাঁধা তরণী ঢেউয়ের দোলায় দোলে,
মাঝিও ভাঁটিয়ালি গান গায় চমৎকার –
নদীর পার।
আগের মতো কলস কাঁখে আসে না দল বেঁধে বধূ
শোনাও তো যায় না রাখালের মোহন বাঁশির সুর মধুর মধু।
তবুও নদী শোভনে অপরূপ
নেই মনে কোনও দ্বিধা বিরূপ
আজও ঢেউয়ের নাচন তার –
ছলাৎ ছলাৎ নদীর পার।
ও মেঘ বৃষ্টি দে – রাজকুমার ব্যাধ
আকাশ ঘিরে আয়রে মেঘ
ও মেঘ বৃষ্টি দে
ওই তৃষিত চাতকের
বুক ফাটা আর্তনাদ
তুমি শুনতে পাও
শুকিয়ে যাওয়া নদীর মুখে
নেইকো হাসি
দুপুর বেলায় রোদ গরমে
গাছের ডালে
বসে থাকা পাখিরা
হাঁপাচ্ছে খুব
আকাশ ঘিরে আয়রে মেঘ
ও মেঘ বৃষ্টি দে
রাজকুমার ব্যাধ | Rajkumar Byadh
Tahiya lagi besha | তাহিয়া লাগি বেশ | অভিজিৎ পাল
2023 New Bengali Story | স্থিতিস্থাপক | মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান
2023 New Bengali Story | ভাত সরা | কুহেলী দাশগুপ্ত
Shabdodweep Web Magazine | High Challenger | Shabdodweep Founder | Sabuj Basinda | Bengali Poetry | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Poetry Collection | Book Fair 2022 | bengali poetry | bengali poetry books | bengali poetry books pdf | bengali poetry on love | bangla kobita | poetry collection books | poetry collections for beginners | poetry collection online | poetry collection in urdu | Online Best Bangla Kobita submissions
poetry collection clothing | new poetry | new poetry 2022 | new poetry in hindi | new poetry in english | new poetry books | new poetry sad | new poems | new poems in english | new poems in hindi | Kobita Bangla Collection in pdf | new poems in urdu | bangla poets | indian poetry | indian poetry in english | indian poetry in urdu | indian poems | indian poems about life | indian poems about love | indian poems about death | Best Bangla Kobita Selection | Best Bangla Kobita Selection 2023 | story writing competition india | story competition | poetry competition | poetry competitions australia 2022 | poetry competitions uk
poetry competitions for students | poetry competitions ireland | poetry competition crossword | writing competition | writing competition malaysia | Kobita Bangla Collection in mp3 | writing competition hong kong | writing competition game | Best Bangla Kobita Selection pdf | Best Bangla Kobita Selection pdf book | Best Bangla Kobita Selection – video | Shabdodweep Writer | bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem
poetry reading | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | Online Best Bangla Kobita examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems
good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | Bangla Kobita Selection about life | freedom poem | sad poetry about life | Natun Bangla Kabita 2023 | Kobita Bangla Lyrics 2023 book | Natun Bangla Kabita 2023 pdf book | Writer – Kobita Bangla Lyrics 2023 | Top Writer – Bangla Kobita Selection 2023 | Top poet – Bangla Kobita Selection 2023 | Poet list – Bangla Kobita Selection 2023 | Top poetry – Bangla Kobita Selection 2023
Bangla Full Kobita | Online Bangla Kobita Selection 2023 | Full Bangla Kobita PDF | New Bangla Kabita Collection | Shabdodweep Online Poetry Story | Bangla Kobita Selection Video Collection | Audio Bangla Kobita Selection | Bangla Kobitar Collection in mp3 | Bangla Kobitar collection in pdf | Indian Bengali poetry store | Bangla Kobita Archive | All best bengali poetry | Indian Bengali Poem | Best poem in Bengali Forever | Best Collection of Bengali Poetry in pdf | Best Bangla Kobita Selection Libray in pdf | Autograph of Bengali Poetry
India’s Best Bengali Writer | Shabdodweep Full Bengali Poetry Book | Bengali Poetry Book in Google Bookstore | Google Bengali Poetry Book | Shabdodweep World Web Magazine | Shabdodweep International Magazine | Top newest Bengali Poetry | Bangla Kobita in Live | Live Bangla Kobita Selection | Bengali Poetry Recitation Studio | Sabuj Basinda Studio for Bengali Poetry | Bangla Kobita Sankalan 2023 | Shabdodweep Kabita Sankalan | New Bengali Poetry Memory | History of Bengali Poetry | History of Bangla Kobita | Documentary film of Bengali Poetry | Selection of Bengali Poetry | Live of Bengali Poetry | Live Audio Bengali Poetry | New Bengali Poetry Selection | Full ebook bengali poetry | Audio Mp3 Bengali Live Kobita | Shabdodweep Writing Platform