Poetry of Rajkumar Byadh
Bangla Kobita Selection | Read Online Bengali Poetry
চিন্তা কিন্তু
একবার না হয় এলে সবুজ পাতা ভরা গাছের নীচে
ডাকিয়ো না হয় আমার নাম ধরে একবার
তোমার দৃষ্টি আমার দিকে নয় মেলে দিও গাছের দিকে
বাতাসের বুকে কান পেতে রেখো
শুনতে পাবে দরদমাখা কন্ঠস্বর
আর পাতার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাবে
আকাশে জ্বলে বাঁকা চাঁদ
প্রকৃতির সৃজন সুন্দর
বাতাসে ভাসে হাস্নুহানাফুলের গন্ধ
শান্ত কান্তি পরিবেশে
সুন্দর ভাবনা হয়ে আসে আরও প্রাণময়
একবার না হয় এলে সবুজ পাতা ভরা গাছের নীচে
অনুভূতি মাখা
ভালোবাসার কথারা এসে মেশে গাছের নীচে
তারপর মন খুলে ভাবিয়া দেখো
এখানে অচেনা সুখানুভূতি ফিরে পাওয়া সম্ভব
আলোর দাগে
আলো মিশে যায় আর
বাতাসের শরীরে
ফুলের ঘ্রাণ বড় বেশি লাবণ্যময়
ভাবনা কিন্তু চলে গেছে
নক্ষত্র ভরা আকাশের দিকে
প্রেম
আজ শব্দের সঙ্গে আসে প্রেম
তোমার ভাব সৌন্দর্য
দীর্ঘ ভাবের মনোভাব ও কথা স্বপ্ন
শরীরের কোথাও তীক্ষ্ণ আলোর ছটা
এই আনন্দময় অনুভবে
আজ শব্দের সঙ্গে আসে প্রেম
ভাব সৌন্দর্য।
ঈপ্সিত মন জড়ায় গলা
চেষ্টা সেই উপায়
শ্রান্তভাব সরিয়ে সুখ উজ্জ্বল
এবং সঞ্চিত প্রেম প্রাপ্য
প্রেরণার মধ্যে আলিঙ্গন কি নাচায় পুচ্ছ
অনুভব স্বপ্নের মতন
চকচকে আলো থেকে
বিষয় সুখ অপূর্ব অগাধ অবধি ?
লাবণ্য আছেই যৌবনে মিশে
উত্তাল লোনাজল
আবেগের মধ্যে প্রিয়
সান্নিধ্যে লাবণ্য আছে হয়নি লালন করা
এই উন্মুক্ত বুকের আগল
খেলায় খেলায়
জোয়ার বাড়ে
দীর্ঘশ্বাসের মনোভাব একই
এবং মুগ্ধ দু-জন!
আজ শব্দের সঙ্গে আসে প্রেম
তোমার ভাব সৌন্দর্য।
সমান
এ পাড় ও পাড় দু-পাড় সমান
আহত হচ্ছে সুস্থ সমাজ
দুষ্ট জাতি দিনে দিনে হচ্ছে শক্তিমান
চলছে কেবল নোংরারাজ
মানবতা আর না থাকে
স্বজনে পোষণে অহংকার
ধর্ম সত্তা কোথায় রাখে
নতুন ক’রে আবার কেন অনাচার
কাদের স্বার্থে করো দ্বন্দ্ব
মানুষ হয়ে আবার কেন অমানুষ হও
হারিয়েছে ফের স্নেহ-ছন্দ
বলেনি কেউ তুমি শত্রু নও
বুঝি, সচেতন হবার সময় এসেছে
অপরাধীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর
মানুষ মানবতার নতুন গান গেয়েছে
চেতনাকে সুন্দর ক’রে সাজানোর
কোথায় প্রেম
ধর্মীয় অনেক স্থান ভাজা পাঁপরের মতো
ঠুনকো প্ররোচনায় ভেঙে যাচ্ছে
গুঁড়ো হয়ে যায়
মানুষের পৃথিবীতে মানুষে মানুষে ব্যবধান কত
ঘৃণা দিয়ে দিয়ে ঘৃণিত করে রাখা
অমানবিক পরিচয় নজরে ভেসে ওঠে আজও
কে দলিত কে উচ্চবর্ণ
দলিতের যুবককে পিটিয়ে খুন করে এমনও কছু উচ্চবর্ণ
দলিত কাটে না তাদের হাত
দলিত জ্বালিয়ে দেয় না তাদের ঘর
দলিত নেয় না কোনো প্রতিশোধ
শুধু পায় না ন্যায্য বিচার
তোমাদের বানানো নিয়মে তোমরা হয়েছ মোড়ল
এই মোড়লি এই অন্যায় আর কতকাল দেখাতে চাও এবে
দেশটা কারোর বাপের নয়
যে প্রকৃতির সৃজনে তুমি ও তোমরা সৃজিত
সেই একই প্রকৃতির সৃজনে সৃজিত সকলে
এ মাটি তোমার বাপের একার না
এ পথ তোমার বাপের একার না
এ পাহাড় ও ঝর্ণাধারা তোমার বাপের একার না
তুমি যাকে ঘৃণা কর সে তোমাকে ঘৃণা করে না
তুমি অভিনয় দেখাতে পারো তাকে
সে অভিনয় জানলেও মিথ্যে
তোমাকে দেখাবে না কোনদিন
এখানেই পার্থক্য সত্যিকারের কে উদার
আর কে উদারবিহীন
অবশ্য, দলিতের ছোঁয়া তোমাদের রুটিতে
তোমাদের অন্নে লেগে আছে
দলিতরা ফলায় শস্য
যত দেবতা আছে বিশ্ব চরাচরে
তারা দলিতের ছোঁয়া খেয়ে ধন্য ধন্য হয়ে গেছেন
উচ্চবর্ণ শব্দ অতি ছোঁয়াচে রোগ
রোগ তোমাদের মনের
প্রকৃতির বিচারে তুমিও সামান্য নগণ্য
দলিতের থেকেও নিম্ন রুচির প্রাণী
কেননা তাদের কাছে আত্মমর্যাদার
আত্মাহংকারের বশে তো নেই
তাছাড়া তাদের মতো
শ্রদ্ধা ভক্তি সহনশীল ও বিনয়ীভাব
আর তোমাদের দেওয়া
লাঞ্ছনা গঞ্জনা আরও কত মিথ্যা অপবাদ
সহ্য করার মতো শক্তি
তোমাদের মধ্যে নেই, আর
তোমাদের মতো চার দেওয়ালের
ভিতরে থেকে ষড়যন্ত্রের বীজ
বুনতে তো পারেই না
পাপের ভাগীদার সকলে
উদাহরণ
তুমিও জেনেছ জীব হত্যা করা মহা পাপ
জীব মিত্র হোক বা শত্রু
জীব হত্যা করা মহা পাপ
সাক্ষাৎ জেনে বুঝে
কেউ কেউ কিনে নিচ্ছ
মুর্গী ছাগল উট গরু দুম্বার কাঁচা মাংস
নিত্য মাছের বাজারে
জীবন্ত মাছ পছন্দ ক’রে ক’রে
দস্তুর মতো দাম মিটিয়ে
মাছ বিক্রেতাদের কাছে জীবন্ত মাছ কিনে কিনে
কেউ কেউ হিসাব কষে বলেন
এতগুলি পিস করো ভাই
যে খাটে তুমি শুয়ে কিংবা বসে
আজ সে জড় পদার্থ
তার আর অক্সিজেন দেবার ক্ষমতা নেই
কেননা তাকে হত্যা করা হয়েছে অনেক আগে
তাকে হত্যা করেই তো তোমার খাট হয়েছে
হয়েছে আরও কত আসবাব পত্র
এ সব কথা শোনার পর ভাববে বলবে
অত বেছে চলা সম্ভব নয়
এমন উদাহরণ দিলে তো আরও দেওয়া সম্ভব
তাতে মানুষের সহমত পাওয়া যাবে
কিন্তু কোনো পরিবর্তন হবে না
তবে যতটা পারা যায়
লোভ লালসা অতিরিক্ত আয়েস থেকে
সকলের সচেতন থাকা শ্রেয়
তাতে জীব থেকে জীবনের মঙ্গল
বিষয়
কিন্তু বিষয় ভাববার কিছু নেই
শরীর সুস্থ রাখা বড়ই প্রয়োজন
বুড়ো বয়সে ভোটাধিকারের জন্য
কতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবেন
বাড়িতে থাকা অনেক ভালো
হাত খরচের জন্য
সামান্য কিছু টাকা পেয়ে খুশি হন
আরে এই বাচ্চারা নতুন ভোটাধিকার পেয়ে
অত আনন্দ করার কি আছে
কিছু টাকা নিয়ে আয়েস কর
মাছ মাংস কিনে খা
যদি তেলানি দেখাস তো
লাঠির আঘাত পায়ে পাবি
তোদের কাউকে ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে হবে না
লোক আছে ভোট করিয়ে নেওয়ার
তাহলে বুঝুন বন্ধুরা
এরা ইংরেজদের থেকেও বিপজ্জনক
কূট বুদ্ধিতে কম নয়
এই তো স্বাধীন দেশের স্বাধীনতার স্বাদ
মন্ত্রীনীতি
ধর্ম নেই ধর্মের জায়গাতে
আইন ও নেই আগেরই জায়গাতে
রাজনীতি ও ঠিক তাই
কিছু সংখ্যক লোকেদের জন্য
দেশবাসী আস্থা হারায়
কিছু সংখ্যক লোক
খেয়াল খুশি অনিয়ম সৃজন করে
তাদের অন্যায় সিদ্ধান্ত
দেশবাসীর কাঁধে চাপিয়ে
তারা আরামের নিশ্বাস নেয়
এ যে অসহ্য জুলুম
এমন সব শোষকদের হিংস্র থাবা থেকে
দেশবাসী রক্ষা পাবে কেমন করে
কোনো পরিবর্তনে স্বস্তি নেই
প্রতিনিয়ত অমানবিক ছবি স্পষ্ট হয়ে আসে
জবাবদিহি করার সাহস থাকে না কারোর
লোভী মনেরা ভাবে
আমরায় দেবতা আর সব পশু
ধর্ম আমরায় ভাঙব গড়ব
আইন আমরায় ভাঙব গড়ব
রাজনীতি তো নেই
মন্ত্রীনীতি যেমন ইচ্ছা নাচাব ঘুরাব
আমরা ছয়কে নয় করতে পারি
কেননা আমরায় সমাজের শ্রেষ্ঠ
সমাজের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমত্তার পরিচয়
প্রকাশ করে যায় আজও
তোমরা মাথামোটারা বুঝেও
আমাদের লোম ছিঁড়তেই পারবে না
আমাদের মাথা নেড়া করতে পারবে না
তোমাদের মাথা নেড়া করে
আমরায় আরাম কেদারাতে বসে হাসি
হা – হা – হা – হা – হা
আরও আনন্দ উপভোগ করব
হা – হা – হা – হা – হা
একেই বলে মন্ত্রীনীতি
আবির্ভূত হও মাগো
দুর্গতি নাশিনী দুর্গার পুজোর রেওয়াজ আছে
জগতে তোমার আবির্ভাব নেই সেই রূপে
যদি সত্যিই আবির্ভাব থাকত তোমার
জগতে এত অসুরের অনাচার দেখা যেত না
অসহায় পিতা ও মাতার প্রিয় কন্যা ধর্ষিত হয়
খুন হয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে
অসুরের শাসনে আইন ব্যবস্থা বিনাশিত
সুন্দর এ মর্তধাম ধর্ম গ্লানিতে পরিণত
দিন যত যায় দানব দানবীর পাল্লা ভারি হয়
প্রতিনিয়ত অধর্মের ভিত শক্ত হয়
মানুষ বুঝতেই চায় না
মানুষ মন একটু একটু লোভ সঞ্চয় করতে করতে
সে মানুষও অসুরের খাতার পাতায় লিপিবদ্ধ
মাটির প্রতিমা রূপে তোমার আবির্ভাব আর কতদিন দেখব
তুমি জীবন্ত রক্ত মাংসের প্রতিমা হয়ে
রুদ্রাণী বেশে রণ চণ্ডিকা রূপে
তোমার এ জগতে তুমি আর একটি বার আবির্ভূত হও মাগো
অসুর কর নিধন অধর্মের এই অভিনীত পূজন
তুমি কর প্রতিহার তুমি বাঁচাও মাগো অসহায়দের
সার্থক হয়ে উঠুক মাগো তোমার জগতে তোমার পূজন
মূর্তিমান সাবধান
মানুষের মন
জেগে উঠল আজ,
আওয়াজ
দৃঢ় উচ্চারণ –
আন্দোলন !
উঠল তুফান
ছন্নছাড়া হবেই –
পতন ঘটবেই
আসিল আহ্বান –
ছায় বিদ্যমান।
ন্যায়ের আওয়াজ
দেখে বিশ্ববাসী;
রয় পাশাপাশি –
কম্পিত ধড়িবাজ
নহে মাথা নত;
এত অহংকার
ভেঙে হবে চুর
হবে দূর দূর
রে চমৎকার।
জনতা ক্ষেপিয়ে
রাজ করা যায় না,
এ শোভা দীর্ঘ পায় না –
ভাঙে ছন্দ প্রিয়ে!
দূরদর্শিতায়
লেগেছে ঘুণ কবে
বুঝেনি অনুভবে –
দাম্ভিকতায় !
বাচ্চার স্লোগান
লজ্জা দেয় না তাকে
মনে ভরা বিষ থাকে
থাকো সাবধান!
ভেবেছিল
স্বর্গ ভুবন
উত্তাল আজ
রাজাধিরাজ
ডরে কম্পন!
ভেবেছিল যারা
দিকে দিকে অবোধ
নেই প্রতিরোধ
তাই মাতোয়ারা!
ছিল না দরকার
কোনো স্নেহ প্রেম
ভোট ভোট গেম
জিতা চায় বারবার!
কার মেয়ের
ছিঁড়ে গেছে লজ্জা
কথার পরিচর্যা
থাক বাদের!
এত উন্নত
তবু ভরে না মন
বোকাচুপ শোষণ
দেখাব কত!
আহারে মর্তবাসী
বোঝেও না – বোঝালে
শেখেও না – ঠকালে
আমরা স্বর্গবাসী!
ওপর তলা থেকে
নেব যা সিদ্ধান্ত
তাতেই হবে শান্ত
মুখটা রাখো দেখে!
মাতব্বর দেখাও
আমাদের ওপর
এবে কেন নিরুত্তর
পড়ে পড়ে মার খাও!
ভারতবর্ষ
এই দেশেতে জনম আমার
এ দেশ ছেড়ে কোথাও গেলে
মন বসে না আমার আর
এ দেশ ছাড়া শান্তি নাহি মেলে
মাঠে মাঠে ফলে নানান ফসল
রবির আলোয় হাসে সোনার কমল
এই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ
এই দেশেরই অন্ন জলে হই গো সবল
ওই দেখা যায় বয়ে চলে জাহ্নবী
তারই পাশে নাচে হাওয়ায় কাশফুল
বুনোহাঁস আনন্দিতে আসে নদীর কোলে
তারা ঢেউয়ের দোলায় দোলে দোদুল
তাল খেজুরের পাতায় বাবুই পাখির
সংসার অরূপে সাজানো কেবল
এই আমাদের দেশ ভারতবর্ষ
এই দেশেরই অন্ন জলে হই গো সবল
জীবনানন্দ দাশ: এক অনন্য জীবন
তুমি যে এক অনন্য জীবন কথার ঢেউ বাঙালির মনে,
তুমি প্রিয় কবি: তোমার সৃজনে আমি কৃতার্থ হই মোহনে
তোমার কবিতায় অরূপ প্রতিকৃতিতে অনুরাগী পাঠকবৃন্দ ধন্য
জীবনানন্দ ছাড়া কবিতা কথা ভাবা হয় না পরিপূর্ণ;
রবীন্দ্রের পরে তোমার স্থান আলোকে আলোড়িতময় সমালোচনা,
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তার মনের কোণে সূক্ষ্ম প্রতিক্রিয়া কে করে সন্ধান,
যুগের ভাবধারায় সাময়িক কথায় হয় না সমাধান
বাঙালি মন ভুলিনি তোমাকে হে প্রিয় জীবনানন্দ
রবীন্দ্রের পরে কবিতা কথাকে দিলে প্রাণ আরও আধুনিক ছন্দ,
তোমার সৃজন অপরিহার্য আলোক সম্পাতে সমালোচনা;
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তোমার কাব্যকথায় আছে অবক্তব্য যন্ত্রণা
কেউ কেউ বোঝেন কেউ বা বোঝেন না;
আহা কি অপরূপ শব্দ চয়নে রস সৌন্দর্য-ব্যাখ্যান
অনুভবে আপ্লুত নির্ভরযোগ্য সবই কবিতা যেন চিত্র তাজা প্রাণ;
তোমার সৃজন বিভিন্ন আঙ্গিকে অনবদ্য তাই এত সমালোচনা;
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
তোমাকে ঘিরে হয় না পূর্ণাঙ্গ আলোচনা,
আজও একমত নয় সব আছে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা
জীবনানন্দ নিয়ে এলেন যুগান্তরের নব্য হাওয়া
বাংলা কাব্যে আন্তরিকতার মাঝে বিতর্ক দেখে যাওয়া;
তোমার সৃজন নতুনত্ব শব্দ আলোক সম্পাতে সমালোচনা,
সেই ঢেউ ঐকান্তিক আমাদের সাহিত্য জীবনের প্রেরণা।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
বাঙলা সাহিত্য ভাণ্ডারে
একাধারে কবি নাট্যকার
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তুমি যে
সবার প্রিয় গ্রাম বাঙলার
তোমার হৃদয় ছিল কি দারুণ
স্বদেশী ভাব-ধারায়
ধন ধান্য পুষ্প ভরা
আজও তো গেয়ে যাই।
দ্বিজেন্দ্রলালের সাহিত্য সাধনা
কতটুকু জানি তাঁর সমালোচনা
তাঁর কথা শ্রম দিয়ে ভাবলে
সার্থক হবে যে মানি ক্ষুদ্র জ্ঞান
বাঙলা সাহিত্যকে করে গেছেন সমৃদ্ধ
গাহি তাই দ্বিজেন্দ্রলালের জয় গান।
তাঁর সাহিত্যসাধনা এনে দেয়
বাঙালীর জীবনে নব চেতনা
নিঃসন্দেহ এই কথা বলা যায়
তুমি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ক্ষণজন্মা।
দোষ দেবে কার
তুমি বললে:
‘আনন্দকে খুঁজে পেয়েছি,
সম্ভবত হাতছানি দিয়ে ডাকে।’
পরে তুমি নিজেকে ধিক্কার দিলে
তোমার অনুভব আর তোমার
অস্পষ্ট ভাবনাকে।
মূলত:
তুমি নও
তোমারই বোধ হতভাগ্য এক
ও কোনোদিনই
তোমাকে সুন্দর হবার সুযোগ দেবে না
যখনই তুমি ভালোভাবে বাঁচার কথা ভাববে
তোমার অপক্ক বোধ
তোমাকে ঠকাবে বারেবার।
আর তুমি ব্যর্থতার অসহ্য যন্ত্রণা বুকে নিয়ে
দাঁতে দাঁত চেপে ছটফট করবে
জীবন সংগ্রামের কাছে
তুমি পরাজিত নও
তুমি পরাজিত তোমার অপক্ক বোধের কাছে।
কেননা তুমি তোমার বোধকে
শান দিয়ে রাখোনি
তাহলে দোষ দেবে কার?
বাস্তবিক
কান আর গিলতে পারে না চিৎকার
উন্নয়ন আক্রান্ত চারিদিকে
কর্মক্ষেত্রের জৌলুসতা
দুমড়ে মুচড়ে
কোনো টুঁ-শব্দ নেই
আগেরই গড়ে ওঠা উন্নয়ন
ধাপে ধাপে লয়প্রাপ্ত
নতুন করে শিল্পকর্ম
দণ্ডায়মান হবার প্রয়াসে ব্যর্থ
যদি স্তোকবাক্যে মিটত বেকারত্ব
স্বরচিত স্বপ্নছবি আঁকত না কেউ
ইদানীং
চালাকির দ্বারা
ভিন্ন পর্যায়ে মহৎ ওরা
পরিবর্তনের স্বাদ ও সূচনা
বুভুক্ষের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়ে
এবং এখানে এখন
আমার কবিতা কথার পংক্তিগুলো
আন্দোলনরত
শোষকবাহিনীর বিরুদ্ধে
প্রতিনিয়ত
প্রতিধ্বনি
সাক্ষ্য বহন করে
কবিতা কথার পংক্তিগুলো –
বিষয়
ভেবে দেখার জন্য বোধ কাজ করে
দরদ দিয়ে দেখি
প্রতিনিয়ত কবিতা কথা
মনে হয় পথ দেখায় –
কুটিল
জটিল
থাকে না;
সংগ্রাম ছাড়া
জীবন
বাঁচার সফলতা পায় না
অলীক কল্পকথা
আলোকিত হয় এভাবেই
প্রকৃতি রুষ্ট
কোথায় গেল
কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি ?
ভাবছি কতই কথা
একি অনাসৃষ্টি!
আবাদের জমি চারিদিকে শুকনো –
ওই সাদা বক আসে যায় দেখি রুগ্ন!
খালে বিলে নেই জল টলটল –
বুনোহাঁস সাগরে বুঝি করে কোলাহল;
মানুষের অনাচারে প্রকৃতি রুষ্ট;
প্রকৃতির মন নেই তাই তুষ্ট।
সোনার বাংলা থেকে
হারিয়ে গেছে বন্যা,
কোথায় গেল বৃষ্টি যে
সে মেঘের প্রিয় কন্যা;
বৈশাখ গেল জ্যৈষ্ঠ গেল
এলো আষাঢ় –
হায়রে বৃষ্টি নেইকো দেখা
শুধু তোমার।
ওগো পদ্ম তাকাও এবার
দেখি রূপ ও ভঙ্গি তোমার
প্রেমিক ছাড়া মধু সঞ্চয়
বিষয় এমন বড়ই লজ্জিত
যাওয়া আসা
অনুভূতি
একলা আমি বসে আছি
প্রিয় নদীর পারে,
মনের কথা মনে ভাবি
তোমার অভিসারে।
তোমার
গুণের কথা শুনেছি,
রূপ
না দেখে ভালোবেসেছি,
তোমায় আপন মনে করি –
কল্পছবি আঁকি বারেবারে।
জীবনের পরম বন্ধু তুমি
একবার আসিও কাছে –
সকল কথা বলার মাঝে
একটি কথা বলার আছে।
সকল অপরাধ
ক্ষমিয়ো প্রভু,
লজ্জা আমায় আর
দিওনা কভু;
পরিহাসে ভরা জীবন নিয়ে –
কেমনে দাঁড়াবো তোমার দ্বারে।
আমাদের কোন কথা শেষ নেই
১
তোমার কথা মনের
বুঝি শেষ হয় না
তোমার দৃষ্টি থেকে স্মৃতিচিহ্ন
হারিয়ে কোথাও যায় না
তোমার বুকের আকর্ষণ থেকে
ঢেউ দেশান্তরে যায় না
তোমার পথে চলা পায়ে পায়ে
স্বপ্ন বীজ ফুরিয়ে যায় না।
২
আমরা চোখ মেললে
ফুল বাতাসের শরীরে
সুঘ্রাণ মাখিয়ে দেয়
আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে
জটিল কোন রহস্য
বাস্তবিক থাকে না ঢাকা ।
৩
আমাদের আকাঙ্ক্ষিত আশা
প্রতিটি প্রশ্বাসে বেঁচে থাকে
আমাদের দুর্লভ জীবনে
তুমি নিশ্চয়ই টের পাও
আমাদের স্বপ্নকে
সাজিয়ে দিচ্ছে সময়।
আচরণ
যদি তার জন্যে বাঁচার রসদ হারিয়ে যায়
তার মসনদে থাকা না থাকা দুই-ই সমান
ক্ষমতার বলে আরও কিছুদিন
টিকে থাকা সম্ভব তার
সেই থাকার কোনো গুরুত্ব হয় না
যে রাজ্যে সন্তান সম প্রজার মুখে হাসি নেই
নিজের সুখে আত্মসুখী হবেই সে
বিড়াল ইঁদুর দেখে নিষ্ঠাবান হয়েছে কবে
যার মনের কোণে কুটিল বিষ
কিংবা মিছরি ছুরি
সরলতা কখনোই সাদামাটা নয় তার
বোকার হদ্যগুলো মানুষ চিনলো না এখনও
কেমন সুখে আছো বন্ধুরা
ঘরে ঘরে ডিগ্রিধারী কর্মবিহীনে
মানসিক রোগের শিকার হয় – হয় বুঝি
ওই কোন্ জন গেয়ে চলে সঙ্গীত
জটিল কুটিল দেব ও দেবীর শাসনে
আচরণ সেজে উঠেছে অশোভনে
বেশ
আজ বেশ অনিন্দ্যসুন্দর আকাশমন –
শান্ত নদীর বুকে নীলাকাশের রূপস্নান;
বুনোহাঁস জলে করে খেলা বিকাশ শোভন,
বাউলসুরে মাঝিভাই মনোমুগ্ধে গাহে গান।
চিরচেনা পৃথিবীকে কখনও ভাবিনি পুরান
শুধু মনে হয় শরীর জরা জীর্ণ হয়ে আসে!
হেসেছি আমি পরমাত্মাকে হয়নি হাসানো
বিবেকের কাছে হয়েছি নিন্দুক অনায়াসে।
দোষে গুণে মানুষ – হয়নি গড়া বিবেকনীড়
অনাদরে সময় অপচয়ে জীবন শ্রান্তে আকুল;
ঝিলমিল স্বপ্নের কাছে – নত উন্নত উর্বরে শির
পরিহাসে বুঝি হেসে গেল বাতাস মৃদুল মৃদুল!
মন ওরে প্রিয় মন মনকে কেবল সুধাই
মহাজীবনের গান কবে তবে গাহিবে ভাই?
যখন
এত যে পরিহাস! গরিবের বেলায় ওরে মন
মানুষ চিনতে হও আরও সচেতন।
মুখোশে ঢাকা মুখ করো হে চিহ্নিত
দুষ্টের বৃদ্ধি বিনাশ করিও নিশ্চিত
হে চির ঋজুমন ভুলিও তাদের প্রলোভন।
যখন নিজের সঙ্গে কথা বলি
নিজেকে বেবাক একাকী লাগে না।
অজানা ভাবনা নিজেরই মধ্যে আদান-প্রদান
চোখের পলক পড়ার আগে
মন ঝড়ের আগে ছুটে যাওয়ার আগে
প্রশ্বাসের সাথে সম্পর্ক রাখতেই হয়;
মন চায়লেই কন্ঠ গায়তে পারে না
সেও নেয় সময়ের সহযোগী।
ধারণা ব্যাপারে মনের আগে বোধ টের পায়
বিপদ যখন গাঢ়
নিজের সাথে পূর্বালোচনা করলে
আলোচনার কাছে গোপন থাকে না
মনের কথা
চোখে আলো থাকলে
ভাল-মন্দের সাক্ষী থাকে
চোখ ও মন
নেতা
নেতারে মানো; পায়য়ে দাও সিংহাসন
মন্ত্রী হয়ে পরে ভোলে প্রতিশ্রুতিময় বচন!
তোমার কাজে লাগুক আর নাই বা লাগুক
অভিনয় অদ্ভুত সাদা পোষাক পড়ে তিরিক্কিমুখ
দুস্থ আশায় থাকে করুণ কিশমিশের মতন।
ভান্ডারে লোভ যা আছে নয়কো আলো
বেকারগুলো কর্মহীনে বাঁচার ঠিকানা হারাল
যাদের ওপর বিশ্বাস তারা খুবই ফাঁকিবাজ
তারা কেবল রেখে যায় গম্ভীর আওয়াজ
চির চেনা মন্ত্রীর কাছে দুস্থ তুমি নহে প্রিয়জন।
কথা স্বপ্ন
অবাক হয়ে তাকিয়ে রজনী
চোখের ক্ষুরধার আলোপানে
নরম বুকে রহস্য কী
অনুভূতি জাগে প্রিয় প্রাণের?
লজ্জা ভুলে বোধ অরূপে মুগ্ধ
গর্বটি উন্নত, স্নেহে বন্ধন
তন্মুহূর্তে ধন্য প্রেমিক
তার শোভনে রাঙা হয়ে রয় স্বপন।
সব চাওয়া হয় না পাওয়া
কান্তি ছন্দে মাত্রাবিহীন এখন
পাতার নিচে চাওয়া তোমার
প্রাণপ্রিয়ার হৃদয় রাঙে
চোখের আলোয় স্বপ্ন বৃদ্ধি
পদ্যে শব্দ কান্তি কালজয়ী
সকল ইচ্ছার মধ্যে ধন্ধ কোথাও নেই
বিষয় অনুভূতে লাবণ্যয়
পাতার নিচে লক্ষ্য তোমার তাজা
এক জন্মে সব চাওয়া হয় না পাওয়া
রত্ন খুবই দামী চুনি চমকে উর্বর
ভাণ্ডের অরূপ সত্তা দখল নিতে
পাতার নিচে লক্ষ্য তোমার নিখুঁত
তুমি আছ
কাতর মুখ মৌনতায় ঝুঁকে নদীর দিকে
তার হাতে আঁকা প্রিয় ছবি ভাসিয়ে দেয় নদীবক্ষে
স্রোতে স্রোতে ভেসে গেল কাছে থেকে দূরে অনেক দূরে
নিরুত্তর মন ভাবে কোনো স্মৃতিকথা এই মুহূর্তে –
হাসি এভাবেই ঠোঁট থেকে হারিয়ে যায় কত
উদাসে উতল বাতাস জড়ানো জীবন
অশ্রু বিন্দুতে বাঁকা চাঁদ ম্লান অনিবার
কোনো মন ব’লে যায় – শান্ত হও – শান্ত হও –
কথাপ্রিয় প্রিয়কথা ভাবে সে
আহত জোনাকির মতন জীবন কাতর
কোথাও ঘটে গেছে বিচ্ছেদ পর্ব
অজান্তে কোনো ভুল
তুমি আছ – আছ তুমি
ভাবি, হবে সংশোধন একদিন –
ধন্য
ধন্য প্রকৃতি মানুষে কি পারে সু-শোভিতে
জলের ঠোঁটে শিশির বানিয়ে দিতে
খুব সকালে পথে চলা পায়ে পায়ে
চোখের পাতায় কুয়াশা শিশির বিন্দু হয়ে
মানুষ কি তা পারে বানিয়ে দিতে?
হিমেল বাতাস আসে উত্তুরে
কাঁপছে অসহায় গরিব দাদু থুত্থুরে
মন্দিরে মসজিদে দান যায় কত শত
মানবের মাঝে ভগবান আল্লাহ্ জাগ্রত
ঠকঠক কাঁপিছে কঠিন শীতে।
আপনি বলো, ‘গরম পোষাকে আরামে শুই’
দুস্থের নগ্নশিশু সারারাত শীতে শব্দ করে কুঁই কুঁই
মানবের মাঝে মানবের ব্যবধান কতই
কেন জানি না ভালোরা হয় বোকা ঋজু এতই
থাকে না কিছুই তাদের বরাতে; সৎ হওয়াতে।
কাতর মনে ও
কাতর মনে ও কী কথা ভাবে?
তুমি ওগো মিছে ভাব আছ পরাভবে।
তুমি যার ছবি এঁকেছ হিয়াতে
সে তো রয় কল্পকথাতে;
স্বপনে যাকে দেখনি তাকে কেমনে পাবে
মেলে না স্বপ্ন বাস্তবে এ কথা কে বুঝাবে?
চেতনবিহীন নও তো তুমি
জানে কথা ওগো অন্তর্যামী;
অভিমানী ওগো, তুমি থাক নীরবে।
কল্পছবি রাখ যে তৃষিত বুকে
আশা ভালোবাসায় ভাবকথা দুঃখসুখে;
তোমার প্রেম তুমি ছাড়া
বোঝে তা কে বা অনুভবে।
সোচ্চার আওয়াজ
চোরের ওই মুখের হাসি
কেন দেখ মন রাশি রাশি
ওরা প্রাপকের লয়ে ধন হয় ভদ্র মানব।
মুখোশের আড়ালে দানব
অভিনয়ে পক্ক সব –
লুঠেরা দেখায় বড়ই সদাই দয়ার অর্ণব।
ঘুমের ঘরে জাগাও চেতন
অযোগ্যের অপশাসন
অমানবিক আচরণ সয়েছ অনেক আর নয়।
ভগবান কম্পিত নয় কোনো ত্রাসে;
তিক্ত তিক্ত ভাবনা কত আসে;
সর্বনাশীর সর্বনাশের খেলায়
সোনালী ভবিষ্যৎ আর না ডোবাতে চায়
জাগরিত মন মদ-মত্ততায়;
সোচ্চারে শক্ত সোচ্চারে শক্ত কর মুগ্ধ মনোময়।
শোন ও বন্ধু এবার ভেবে দেখার পালা;
পরিবর্তন বিনা কখনোই জুড়াবে না বুকের জ্বালা;
বেকারগুলো বেকারত্বে ধুকছে কেবল ঘরে ঘরে!
উন্নয়নের চাকা গিয়েছে থেমে!
ওদের আগে নামাও চেয়ার থেকে টেনে –
ওই কোন্ জন হাঁকিছে – জাগরে অবোধ ওরে!
সাগর নদী ওই নাচিছে নব জোয়ারে
শিল্পী আঁকে নতুন দিনের ছবি আহারে – বাহারে;
ওদের নাড়িতে জেগেছে ভয়ের কাঁপন!
এবার মুখোশ ওদের ফেল ছিঁড়ে
দেবতারে জাগাও মনের মন্দিরে –
আয়োজনে আওয়াজ সোচ্চারে
সোচ্চার আওয়াজে চেতন জাগরণ।
স্বপ্নমূলক প্রেম
মনের মতন কথা ছিল এক স্বপ্নের বাগিচায়
গাছের ফাঁকে দৃষ্টি সুন্দর ছিল নারীর মনোলোভায়
তুমি গান গায়লে মনে থাকে না কোনো ভয়
নারীর মনোলোভায় অনিন্দ্যসুন্দর হয় হৃদয় –
স্বপ্নের মতন সেই স্বপ্নটি গাছ জীবনের ফাঁকে
প্রিয় কি রূপ আবডালে কতদিনই বা থাকে
কিছু বলবার জন্যেই তো তোমার কাছে আসা;
স্বপ্নতে দেখি – স্বপ্নতে দেখি – স্বপ্নতে হয়েছে ভালোবাসা –
কথা আমার
কথা আমার, তোমাকে যদি দিতে পারি
সুন্দরতমা তোমাতে, তোমাতেই সৌরভ
মায়া অনুভূতির স্নেহের তীর্থে থেকে
স্বর্গদেশের মতন অনুভবে চির গৌরব।
হে সজনী আমার, সামলে যদি চল
বুঝবে চাঁদ একদিনের আবেগে হয়নি সুন্দর গোল
সঞ্চিতে রাখ তোমার মুহূর্ত-জাত প্রেম
ধীরে ধীরে হবে সখী আশা তোমার সফল।
হঠাৎ করে কখনো মন নাচে নাগো
খুশি এলে, মন গাহে গান প্রিয় স্নেহের টানে
উদাস তখনই হয় মর্মে উদাস উদয় হলে
বড় যে প্রেম জীবনের থেকে, কথা সবাই জানে।
ইচ্ছারা জেগে থাকে
স্বপ্নের বুকে এই যে রঙিন অনুভূতি
এ কি আমাদের জন্যে কোনো বিশুদ্ধ প্রেরণা
চেতনার উদ্ভাসিতে চমক কোনো সত্তার ?
বেঁচে থাকা জীবনে
ইচ্ছারা জেগে থাকে
আঁধারে জ্বলে থাকা দীপের মত;
জোনাকিমালার মত
ছবিটা রয়েছে আঁকা
স্বপ্নের বুকে সুন্দর।
এসো চন্দ্রপ্রভা
এসো গো চন্দ্রপ্রভা, আয়ত মনে রাখব মায়ায়।
শোভনে শোভন বাড়ায়।।
যদিও ধূলা-পথে জানা সুরে চেনা সুখে
গান তো গেয়ে যাই -যে কথাটা আসে মুখে
উঠল ধ্বনি আনন্দে প্রাণেরই সীমানায়।।
না পারি ভুলতে কোনো স্মৃতি
এসো গো প্রিয়ে শোনাব মধুর গীতি
সেই আশাতে তোমার আসার আশায়
পথের দিকে তাকিয়ে থাকি সদাই, হায়।।
কী কথা বলব বল
কী কথা বলব বল শূন্য জীবনে?
কথা যে স্বপনে কত রয়েছে যতনে ।।
কী হবে ভাবিয়া একেলা?
বোঝে না কেউ মন কেন উতলা?
নীরবে শুধু পেয়ে গেলাম হেলা
জানি না, এখানেই যাতনা,
হৃদয় নিয়েছে সহে কেমনে ?
মর্মের কথা গাহিলে গান হয়ে যায়
সেই গান আমি ছাড়া কে বা শুনতে পায়?
স্বপ্নছবি এঁকে রাখি জোছনা রাতের গায় ।।
স্বপ্নের বনে রইল ফুটে ফুল
বোঝে না কেউ তাই ভাবনা সব লাগে ভুল
চোখের আকাশে ব্যথার মেঘ হয়েছে আকুল
সময় কত কাটিয়ে নিলাম আমি আমার সনে।।
বারোমাস
মিথ্যুকের পাল্লা ভারি
বিঘ্ন অতি ঝকমারি!
নেই সততার হার
দেখ তো চমৎকার!
মিথ্যুকের পরাজয়
দেরিতে আজও হয়!
ভেবে দেখ মনপ্রাণ
পাবে কথার প্রমাণ;
আতঙ্কে মিথ্যুক কাঁদে
পড়ে জটিল ফাঁদে!
মজার বিষয় হল
সৎ ও অসৎ বল –
উভয়ে আলো বাতাস
আজও পায় বারোমাস।
তুমি আসবে
‘চোরের মায়ের বড় গলা’
বাক্যরচনা একদম নিখুঁত;
চোরগুলো সব মাথার তাজ হয়ে
আমাদের রক্তে নেই বিদ্যুৎ!
অসতের হুকুম মানিয়ে নেওয়া
কবে থেকে এসে গেছে রেওয়াজ;
চেয়ার ধরে রাখার যোগ্য নয়
উল্টে শোনায় সোচ্চার আওয়াজ!
যারা জেগে ঘুমিয়ে থাকে সুখে
তাদের ঘুম ভাঙে না কোনদিন;
যারা খিদে পেটে ঘুমিয়ে থাকে
তারা জেগে থেকেও হয়ে থাকে সেই দীন!
যখন ব্যভিচারে ভরে যাবে
বলেছিলে তুমি আসবে –
পৃথিবী দুর্নীতিতে ভরপুর
তোমার কথা রাখতে এসো তবে।
কথা দেয় কথা রাখে না
অতীতও মনে থাকে না!
কৃষ্ণ ভোলে প্রেমময় বৃন্দাবন ?
মথুরায় রাজভবনে কৃষ্ণমন!
আশার বাণী
শিশির মাখা জোছনা রাতে কে তুমি?
বিরহাকুলে ব্যথার নীরে সিক্ত মনোভূমি।।
বেঁচে থাকা জীবনে আসবে ঝড় কত
উতলে কখনো ভেব না ভাঙা হৃদয় এত
দেখ, দৃপ্ত চেতন তোমাতে শোভা পায় জানি।।
ভাবলে জীবন সংগীতের মত সুন্দর
গাহিলে শুনিলে মুগ্ধ হয় মন্থরে অন্তর
দুঃখ সরিয়ে বাঁচিয়ে রাখো আশার বাণী।।
প্রার্থিত ফল
দুঃখসুখের ভালোবাসায়
তোমার ভাবনায় রেখেছি মন
এই জীবনের বিষাদগুলো সরিয়ে
আলোকের পথে নিষ্পলক দৃষ্টি
ছুঁয়ে থাকে জীবন্ত এক নরকঙ্কালকে
জেনেছি আপন বলতে আছে একজন কেউ
আর সব মায়া মিথ্যা
মনে মনে যতবার খুঁজি তোমাকে
দৃপ্ত তৃপ্ত শুদ্ধ আত্মা
সুপ্তভাবের চেতনায় বলে গেল বুঝি
তুমি নির্মল
পেয়েছো নতুন হৃদয়ের সন্ধান
ভয় কিসের এগিয়ে যাও শান্তি শান্তি শান্তি
নদীর পার
নদীর পার! নদীর পার!
কাশফুলের চমকে উজলে স্নিগ্ধ নদীর পার –
নদীর পার।
বুনোহাঁস নদীর কোলে
মাতোয়ারা তারা কোলাহলে
ওই পারে বাঁধা তরণী ঢেউয়ের দোলায় দোলে,
মাঝিও ভাঁটিয়ালি গান গায় চমৎকার –
নদীর পার।
আগের মতো কলস কাঁখে আসে না দল বেঁধে বধূ
শোনাও তো যায় না রাখালের মোহন বাঁশির সুর মধুর মধু।
তবুও নদী শোভনে অপরূপ
নেই মনে কোনও দ্বিধা বিরূপ
আজও ঢেউয়ের নাচন তার –
ছলাৎ ছলাৎ নদীর পার।
ও মেঘ বৃষ্টি দে
আকাশ ঘিরে আয়রে মেঘ
ও মেঘ বৃষ্টি দে
ওই তৃষিত চাতকের
বুক ফাটা আর্তনাদ
তুমি শুনতে পাও
শুকিয়ে যাওয়া নদীর মুখে
নেইকো হাসি
দুপুর বেলায় রোদ গরমে
গাছের ডালে
বসে থাকা পাখিরা
হাঁপাচ্ছে খুব
আকাশ ঘিরে আয়রে মেঘ
ও মেঘ বৃষ্টি দে
অর্বাচীনের দেশে চতুর অবতার অনেক
তুমি না হয় ধুয়ে নিয়েছ শোক ও রক্তচিহ্ন
এখনও ধুয়ে নিতে পারোনি পাপগুচ্ছ
মনকে ভাবাতে শিখবে কবে
আত্মার কাছে নতজানু কবে হবে
অশুদ্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস শুদ্ধ করবে কবে
কুটিল বিষ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার আর
ছিলিমের পর ছিলিম টেনে টেনে
চক্ষু বুজে থাকবে কতদিন
তুমি থামাতে পারোনি ঈর্ষা দ্বন্দ্ব বিভাজনের ইতিহাস
অর্বাচীনের সাথে শব্দের চাতুরী করবে কতদিন
তোমাদের উদ্যত মন শোষণের আতসবাজি
আর কত জ্বালাবে
উদীয়মান অর্বাচীন ভদ্র সভ্য সমাজসেবীর বোধ থামাতে
মুণ্ডু ফটাস ফটাস ফাটাবে কত
থামাও তোমাদের নিষ্ঠুর অট্টহাসির সমূহ উচ্ছ্বাস
তোমারা নিজেদেরকে ভাব অবতার
ধিক্কার জানাই তোমাদের এই ধূর্ত স্পর্ধার মদ-মত্ততার ভাবধারাকে
অবতার নয় অন্ধকারের শরিক তোমরা
মুখোশের আড়ালে উদ্বেগ তোমাদের
অর্বাচীনের দেশের সম্পদ
তোমাদের মাথায় রাজমুকুট হয়ে
তোমারা নিজেরা থেকে হয়েছ দেবতা গায়ের জোরে
ভয় দেখিয়ে ক্ষমতার বলে
মৃত্যু তোমাদেরও আছে রাজন হে মন্ত্রীবর
মুখোশের আড়ালে পাপগুচ্ছ লুকাবে কোথায়
নাও হে ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস
আরও কিছুদিন বাঁচিয়ে রাখার জন্যে বর প্রদান করি
তোমারাও বাঁচো আর অর্বাচীন দেশের মানুষকে
বেশি আরও বেশি অর্বাচীন করে রাখো
আর তোমারা অবতার হয়ে থাকো
প্রয়োজন হলে যেখানে যেমন – যেমন ইচ্ছা
হও বামন অবতার
স্বাদহীন স্বাধীনতার কবিতা
এখন শুধু যা দেখি সবই অন্য রকম
ভাঙা মনের আকাঙ্ক্ষা তৃপ্তি সান্ত্বনা
এসবই দেখছি কদাকার বিমূর্ত ভাব
এ জীর্ণ ছেঁড়া চাদররাত্রি জড়িয়ে
ফুটপাতের শিশুটির গোঙানি বাতাসে বেড়ায় উড়ে
অদ্ভুত মনুষ্য জীবন – এমনটা হবার কথা এতটা ছিল না হয়তো
সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ স্তব্ধ
আজকাল হামেশাই দেখি
কৃষকের বিষণ্ণ মুখ
আর দীনমজুরের জীবন জীর্ণ ধুলোর মতো
এ সবই করুণ দৃশ্য সুবিধাভোগীদের অজানা নয়
তাদের হৃদয় শিকড়
আপন আপন স্বার্থে প্রোটিন আস্বাদনে পুষ্ট
পর্যাপ্তের অধিক নষ্ট হলেও ফেলে দেবে
বিলিয়ে দেবার হাত বড়ই কৃপণ
কুটিল জটিল মনগুলোর কথা কি বলব তোমায়
না শোনা আরও ভালো
ইচ্ছা থাকলেও উপায় তো নেই
সব কিছু বদলে নতুন করে সাজানোর
এই যেমন ধরো স্বাধীনতার স্বাদ
সকলকে সমান সমান ভাগ করে দেওয়া
অভূতপূর্ব স্বাধীনতা দেখাবে
ঠিক একটা নদীর বুক চিরে স্টিমার গেলে
নদীর হৃদয় ক্ষত না হয়ে থাকার মতো
চমৎকার এই সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার পরিকাঠামো
অবশ্য দেশের মাটিতে জল এত
আজকাল জলছত্রের বড়ই অভাব
জল কিনে পান করা একটা রেওয়াজ এসে গেছে
অর্থহীনেরও ইচ্ছা হয়
প্যাকেজড্ ড্রিঙ্কিঙ্ ওয়াটার কিনে খেতে
এ পৃথিবীর মনুষ্য জাতি বড়ই বিচিত্রময়
বুকভরা আক্রমণ শোষণ
শুধু দুর্বল মানুষের প্রতি
তোমাদের কূট প্রজ্ঞা আর কূট মেধার কাছে
আর সব মানুষই গাছের কোঠরে থাকা
পাখির ছানার মতো
যদিও স্বাধীনতার স্বাদ চলে গেছে
এক শ্রেণীর মানুষের হাতে
অনুতাপ হওয়া স্বাভাবিক
আমার নিরক্ষর মা আমার কাছে অধ্যাপিকা
আজকের এই হাতের স্পর্শ
আগামীকালের রোদের মাঝে
অনুচ্চারিত থাকবে না
আজকের এ ভালো লাগা
এ ভালোবাসা
আগামীকালের স্বপ্নের ভেতর
রেখে যাবে নতুন অভিজ্ঞতা
বর্ণিত ঝংকৃত শব্দে
আমি এঁকে যায় নতুন দিনের ছবি
যদি কারোর প্রয়োজনে লাগে
তবে বিশ্ব মাতৃভূমি আমারও জননী
বিশ্ব মাতৃভূমিকে শুনিয়ে যাচ্ছি কথা
কী এক গভীর মায়ায়
নীরবে সয়ে যাও স্পর্ধাবানদের
ছুঁড়ে দেওয়া বারুদের উগ্র ঝাঁজ অসহ্য যন্ত্রণা
আমার গর্ভধারিণী মা আমাকে বলে ছিল
খোকা মাটির মতো খাঁটি
যদি না হতে পারো
মনে রেখো এই বিশ্ব মাতৃভূমি এও তোমার আর এক মা
একে কোনদিন অসম্মান ক’রো না
মা আমার সবার কাছে নিরক্ষর
আমার মা আমার কাছে অধ্যাপিকা
সত্য বলতে ভয় পাই না
আমার ঠিকঠাক কথাগুলো একশ্রেণী মানুষের জ্বালা লাগে
অনুচিতের মাঝে উচিত চুপ হয়ে থাকে কতক্ষণ
অনুচিতের মাঝে কথা ধরা পুরনো অভ্যাস
ওদেরই উৎপাতে পুরনো সম্পর্ক
মানে সেই অভ্যাস থেমেও থাকে না
যারা সমঝদার তারা নিরপেক্ষের পথে থাকে
যারা ঘৃণ্য জগতের রুচিতে সাঁতার কাটে
তারা ভালোকে ঘৃণা করতে অন্যকে শেখায়
নিম্ন রুচির মন থাকবেই
এদের বিবেকের পথ অন্ধকারে আবদ্ধ
এরা নিজেরাই প্রজ্ঞাবান নিজেদের ঢাক নিজেরাই পাঠাতে অভ্যস্ত
কোথায় যাচ্ছি কি জন্য অত সদুত্তর না দেওয়া ভালো
আমি না বললেও আর একজন তো বলবেই
কেউ বলল আমি এখুনি আসছি
তার আসার সময় দীর্ঘ হচ্ছে তুমি তিরিক্কি বোধানুভব করছ
সে যখন আরও দেরি করে এল অত প্রশ্ন করতে ভয় পাও
সারাজীবন তুমি চুপ থাকলেও
আন্দোলন কখনও একদম নিশ্চুপ থাকে না
হয়তো এখন নতুন বিপ্লব নেই বললেই চলে
আগের মতো মিছিল স্লোগানের কদরে
অত বাহারে বহর নেই বললেই চলে
কিন্তু মানসিক দিক থেকে কেউ সুস্থ নেই
যদি কখনও একটা আওয়াজ সোচ্চার হয়ে ওঠে
আবার তাজা হয়ে উঠবেই মিছিল স্লোগান
জনরোষ এখনও পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়নি
সব মানুষই অকৃতজ্ঞ তো নয়
অকৃতকার্যে সবাই তো নয়
কম বেশি উচ্ছ্বাস আমি না বললেও থেমে থাকবে না
শান্তির পাশাপাশি অশান্তি ছিল আছে থাকবে
আমি প্রতিবাদ না করলেও থেমে থাকবে না
আমি কোনরকম উচিত না বললেও
বলবার জন্য আর একটি মুখ তৈরি হয়ে আসে
তাই বলে কারোর তর্জনীর শাসানোতে
আন্দোলন একেবারেই বিলুপ্ত থাকবে না
অচেতনের ঘুম যখন ভাঙবে
উপরতলার ঘুম হারিয়ে যাবে
সময়ের স্বতঃস্ফূর্তভাবে
তাদের ক্ষমতা নেই বদলানোর
সাংকেতিক ভাষা
শহীদদের উঁচু মাথা
এখন নীচু আরও নীচু
কাকতাড়ুয়ার মতো বিষাদিত সময়কে
মৌন কাতর ভাষায়
অভিবাদন জানায়
তারপর সাংকেতিক কথা
যে উদ্দেশে শহীদ হওয়া
কে জানত হিংস্র থাবা আরও
বেশি বেশি জন্ম নেবে
ভদ্র বেশ ধারণে
কাছে পাশে মিশে থাকা তাদের দেওয়া
যন্ত্রণায় বেঁকে যাবে শরীর আঘাতে
এত সুবিধাবাদীর উত্থানের চাপে
কিশমিশের মতো শুকিয়ে থাকা মানুষ
তাদের ভদ্রশোষণ কসরতের কাছে
নতজানু হয়ে থাকবে
কে জানত
দেশ মাতৃকা ও জনসাধারণের সুরক্ষা ব্যবস্থার
কথা ভেবেই রক্তাক্ত হওয়া এবং জীবন দান করা
বর্তমান সুবিধাবাদীরা এত এগিয়ে
তবু তাদের দুর্দান্ত লোভ ও মোহ
আকাশ চুম্বন
পিছিয়ে পড়াদের আরও পিছিয়ে রাখার
কুটিল বিষ ষড়যন্ত্র
মুখোশের আবডালে থেকে বর্ণিত
এ বড়ই অমানবিক
যে উদ্দেশ করে স্বাধীনতার আওয়াজ চিৎকার
আজ তো কিছু সংখ্যকের হাতে
তারা তাদের মধ্যে মিলেমিশে
ব্যবহার ও উপভোগে সক্ষম ও পক্ক
দুর্বলকে তর্জনী দেখানোর বিষয়
এ সেই পুরনো স্বভাব
আর তাদের ভয়ংকর উল্লাস
দুর্বল প্রাণের হাড়ে
জিয়ে রাখে আজও
নিরুপায়ের প্রাণের স্পন্দনে আনন্দ নেই
কঙ্কালের মতো জীবন নিয়ে
এরা স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে
এভাবেই এদের ঘর সংসার
কচি কাঁচাদের নিয়ে
শুকনো ঠোঁটে জাগিয়ে তোলে হাসির বাহার
এমন স্বাধীনতার জন্য
শহীদ কেউ তো হয়নি
হে বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ মহান জাতি
তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ
শহীদদের সাংকেতিক
অবক্তব্য নিদারুণ
যন্ত্রণার নিতান্ত গভীর
আপ্লুতময় ভাষা
রাজকুমার ব্যাধ | Rajkumar Byadh
Tahiya lagi besha | তাহিয়া লাগি বেশ | অভিজিৎ পাল
2023 New Bengali Story | স্থিতিস্থাপক | মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান
2023 New Bengali Story | ভাত সরা | কুহেলী দাশগুপ্ত
Shabdodweep Web Magazine | Bangla Kobita Selection | Rajkumar Byadh
Bengali poetry, known for its depth, emotion, and eloquence, has captivated readers for centuries. Whether it’s the timeless verses of Rabindranath Tagore or the contemporary expressions found in modern works, Bangla Kobita (Bengali poems) holds a special place in the hearts of those who appreciate literary art. If you are an avid reader of Bengali poetry, Shabdodweep Web Magazine offers a treasure trove of Selected Bangla Poems that you can immerse yourself in.
In this article, we explore the rich tradition of Bangla Kobita and highlight some exceptional contributions from contemporary poets. We will also showcase the works of Rajkumar Byadh, a noted writer featured regularly on Shabdodweep Web Magazine, and introduce you to a collection of Bengali poetry that speaks to the heart and mind.
Understanding Bangla Kobita: A Brief Overview
Bangla Kobita refers to poetry written in the Bengali language, a rich tradition that spans centuries. From the classical period of Bengali literature to the modern era, poets have used this form of artistic expression to explore various themes such as love, nature, politics, spirituality, and social issues. The beauty of Bengali poetry lies in its ability to evoke profound emotions and resonate with readers across generations.
At Shabdodweep Web Magazine, we bring you a Collection of Bengali Poetry that reflects the diverse aspects of Bengali culture, identity, and history. This collection features both well-known poets and emerging voices, offering readers a comprehensive view of the vibrant landscape of Bangla Kobita.
Rajkumar Byadh: A Prominent Contributor to Shabdodweep Web Magazine
Among the many poets featured on our platform, Rajkumar Byadh stands out for his thought-provoking and powerful poetic expressions. Known for his versatility and emotional depth, Rajkumar’s poems are a rich blend of traditional themes and modern sensibilities. His works explore complex ideas in an accessible manner, making them suitable for a wide audience.
Rajkumar Byadh’s poetry on Shabdodweep Web Magazine is an excellent example of how contemporary poets are keeping the flame of Bangla Kobita alive and relevant in the 21st century. Through his work, readers gain insight into the evolving nature of Bengali poetry while also experiencing the timeless beauty that has defined the genre for generations.
Shabdodweep Web Magazine: Your Destination for Bangla Kobita Selection
Shabdodweep Web Magazine is a leading platform for readers who are passionate about Bengali literature. With a focus on Selected Bangla Poems, we curate a variety of works from both established and emerging poets. Our platform offers readers the opportunity to explore different themes, styles, and forms of Bangla Kobita, ensuring that there is something for everyone to enjoy.
Whether you are new to Bengali poetry or a seasoned enthusiast, our collection provides a perfect blend of old and new, allowing you to discover both classic and contemporary voices. From poignant verses that explore love and loss to powerful poems addressing social issues, Shabdodweep Web Magazine is your go-to source for Collection of Bengali Poetry.
The Impact of Bangla Kobita on Modern Literature
In today’s rapidly changing world, the relevance of Bangla Kobita remains unwavering. Contemporary poets like Rajkumar Byadh continue to experiment with new forms and subjects, while still drawing inspiration from the rich literary tradition of Bengali poetry. The poems published on Shabdodweep Web Magazine not only celebrate the language but also engage with contemporary issues, making them relatable to modern readers.
Through our curated Bangla Kobita Selection, Shabdodweep Web Magazine aims to foster a deeper understanding of Bengali poetry while celebrating its timeless beauty. Whether you are a fan of traditional works or prefer modern poetry, our platform is a space where you can connect with the soul of Bengali literature.
Why You Should Explore Shabdodweep Web Magazine’s Bangla Kobita Selection
There are several reasons why Shabdodweep Web Magazine is the ultimate destination for Selected Bangla Poems:
Expert Curation: Our team of literary experts curates each poem to ensure it aligns with our high standards of quality and relevance.
Diverse Themes: From love and nature to politics and social issues, our selection spans a wide range of topics that appeal to different tastes.
Emerging Voices: In addition to famous poets, we regularly feature new and emerging voices in the world of Bangla Kobita, giving readers fresh perspectives and ideas.
Accessible and Engaging: We make Bengali poetry easy to read and understand, ensuring that all readers – regardless of their familiarity with the language – can enjoy and appreciate the beauty of Bangla Kobita.
Frequently Asked Questions (FAQ)
Q1: What is the significance of Bangla Kobita?
Bangla Kobita is an essential part of Bengali culture and literature. It reflects the emotional depth, philosophical insights, and cultural richness of the Bengali language. Bengali poetry has been a medium for expressing complex human emotions, social issues, and the beauty of nature.
Q2: Where can I find a good collection of Bangla Kobita?
You can explore a curated Bangla Kobita Selection on Shabdodweep Web Magazine, where we feature a range of poems by both classic and contemporary poets. The collection is carefully curated to offer readers a diverse and enriching experience of Bengali poetry.
Q3: Why should I read Bangla Kobita on Shabdodweep Web Magazine?
Shabdodweep Web Magazine offers a carefully selected collection of Bengali poetry. The platform provides readers with easy access to high-quality, thought-provoking poems that cover a variety of themes, making it the perfect destination for both new and seasoned poetry lovers.
Q4: Can I submit my own Bangla Kobita to Shabdodweep Web Magazine?
Yes, we welcome contributions from aspiring poets! If you wish to submit your Bangla Kobita for publication, feel free to contact us through our website. We are always looking for fresh voices to feature on our platform.
By exploring Bangla Kobita Selection on Shabdodweep Web Magazine, you can enjoy the beauty and depth of Bengali poetry while discovering new poets and their works. Join us today and immerse yourself in the world of Bengali poetry like never before.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio