Best Bangla Golpo Read Online 2023 | উপহারের উপকথা | Jayanta Kumar Sarkar

Sharing Is Caring:

উপহারের উপকথা – জয়ন্ত কুমার সরকার [মুক্তগদ্য] [Bangla Golpo Read Online]

“শুভ জন্মদিন, এই দিনটা যেন বারে বারে ফিরে আসে তোমার জীবনে, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।” প্রিয়জনদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে এই কথাটাই বলে থাকি আমরা। ছোটবেলায়, তখন আমরা জন্মদিনে বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম, মাথায় হাত দিয়ে আর্শীবাদ করতেন বাবা মা গুরুজনেরা। পৃথিবীর আলো প্রথম দেখার দিনটাকে স্মরণে রাখতেই জন্মদিন পালন। এক বছর করে এগিয়ে যাওয়া, অভিজ্ঞতায় পরিপক্ব হয়ে নতুন করে শুরু করার সূচক এই জন্মদিন। আগেকার দিনে মেয়েদের জন্মদিন পালন করতে চাইতেন না বাবা-মায়েরা, তাতে নাকি মেয়েদের বয়সটা সবার সামনে চলে আসে। এখন সময় বদলেছে, নিউক্লিয় পরিবারে একটাই হয়তো সন্তান, ছেলে বা মেয়ে, তাকে ঘিরেই ইচ্ছা পূরণের স্বপ্ন দেখেন বাবা-মা। ফেসবুকের দৌলতে ক’দিন আগে থেকেই ফ্রেণ্ড-সার্কেলের নজরে চলে আসে জন্মদিন আর উইস করার ধুম পড়ে যায়। এখন ঝকঝকে প্যাকেটে বার্থ-ডে স্পেশাল কেক, মোমবাতি-ছুরি সহ প্যাকেজ চলে আসছে হাতে। সুদূরে থাকা আপনজনের জন্যও অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার রেওয়াজ চলছে। জন্মদিনে ভাল খাওয়া-দাওয়ার সাথে পার্টি নাচ গান হুল্লোড় চাই-ই চাই। কেক তো কাটতেই হবে, নইলে যেন জীবন বৃথা, এমন হাবভাব আমাদের এখনকার ছেলেমেয়েদের। জন্মদিন পালনের অঙ্গ এসব। তবে যতই আধুনিক হই না কেন, জন্মদিন পালনের সাবেকী রীতি অনেক পরিবারে এখনও চলে আসছে। সন্তানের শুভকামনায় জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দেন আর যত্ন করে বসিয়ে পায়েস-মিষ্টান্ন খাওয়ান মায়েরা, কেকও কাটা হয়, তবে পায়েস অবশ্যই হতে হবে জন্মদিনে। জন্মদিন মানে আরও একটা বছর পার করে নতুন বছরে পা দেওয়া, সেদিন ভাল খাবার পোষাক-উপহারে খুশী করতে চাই আমরা আমাদের সন্তানদের।

আমাদের সময়ে কেক কাটার প্রচলন তো ছিল না, জন্মদিন নিয়ে মাতামাতিও ছিল না, ভুলেই যেতাম; মা কিন্তু ঠিক মনে রাখতেন কার কবে জন্মদিন, ঐ বিশেষ দিনে সকালে স্নান করে মা নিজে যেতেন পুজো দিতে মন্দিরে। প্রসাদী ফুল মাথায় ছুঁইয়ে বাটি ভর্তি পায়েস খেতে দিয়ে বলতেন, আজ যে তোর জন্মদিন রে! আজ কোন ঝগড়াঝাঁটি নয়, ভাল হয়ে চলবি বাবা সারাদিন! একটু ভাল খাবার, নতুন একটা সাধারণ জামা, সামান্য উপহারে সত্যিই আনন্দে আত্মহারা হতাম তখন। আচ্ছা, যাদের আগামীকালের খাবার জোটানোর চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়, হতদরিদ্র পরিবারের বাবা-মা কি সন্তানের জন্মদিন পালন করার কথা মাথায় রাখতে পারেন, না সময় পান; উপহার তো দূরঅস্ত, প্রতিদিনের খাবার যোগাড় যাদের কাছে অনিশ্চিত, তাদের জন্মদিন পালনের কথা কি মাথায় আসবে কি করে! কি ক্ষতি হয় জন্মদিন না পালন করলে, তখন ভাবতাম ; এখনও ভাবি একটু অন্য ভাবে, সকলের অজান্তেই অনেকের জন্মদিন আসে, চলে যায়, এক এক করে বছর ঘুরে যায় আর বয়স বাড়তে থাকে, শরীর পুরোনা হতে থাকে ক্রমশ:। ছেলেমেয়েরা জন্মদিন কাউন্টডাউনও করে মনে মনে। সে যাই হোক, তাই বলে যাদের সামর্থ্য আছে তারা কেন করবে না একটু আনন্দ! নিত্যদিন পড়াশুনার চাপ, টিউশনি হোমওয়ার্ক থেকে মুক্তির একটা দিন ওদের, চাপ কমাতে একটু অন্যভাবে কাটানো ছেলেমেয়েদের নিয়ে,সেটাই বা কম কিসে। ছোট ছোট উপহারের খুশীতে ছেলেমেয়েদের মুখগুলো কেমন চকচক করে, নতুন করে এগিয়ে যাবার আনন্দ পায় ওরা। খুদে সমবয়সীদের ঘরে ডেকে ছেলেমেয়েদের জন্মদিনের কেক কাটানো, পাত পেড়ে মণ্ডা-মিঠাই-লুচি-তরকারী খাওয়ানোর রেওয়াজ এখন প্রায় সব পরিবারেরই । উপহার দেওয়ার রীতি তো সেই আদিমকাল থেকেই। মানুষ যখন ঘর বেঁধে সমাজ গড়তে শিখেছিল, তখন থেকেই একে অন্যকে খুশী করতে নানান কায়দায় উপহার দিত। বিয়েবাড়ি, পৈতে, অন্নপ্রাশন বা জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করে যাঁরা `উপহার’ দিতে নিষেধ করেন তাদের কেমন যেন মনে হয়। এমন ভাব দেখান যেন, ওঁরা উপহার, গিফ্ট এসবের অনেক ঊর্ধ্বে, উপহার মিডলক্লাস মানসিকতার লোকের চাহিদা, এলিট শ্রেণীর মানুষ ওঁরা, এ সমাজে বাস করছেন নেহাত বাধ্য হয়ে, নাক সিটকানো স্বভাব হয়ে দাঁড়ায় ওঁদের। আমার মতে উপহার নেওয়া বা দেওয়ার মধ্যে কোন নিম্ন রুচি প্রকাশ পায় না। আবহমানকাল ধরেই উপহার দেওয়া-নেওয়ার রীতি চলে আসছে। আগে মহারাজা-বাদশাদের উপঢৌকন দিয়ে খুশী করতেন জমিদার, সামন্তরাজারা। উপহারকে ঘুষ হিসাবে মনে করলেও কিছু করার নেই। ভাইফোঁটায় বোনেরা দাদার কাছ থেকে উপহার পেতে মুখিয়ে থাকে সারাটা বছর। উপহার ভাই-বোনের অম্ল-মধুর সম্পর্ক গভীর হয়, বন্ধন দৃঢ় হয়। অনুষ্ঠান বাড়ীতে মনোমত উপহার না পেলে অনেক গৃহকর্তা মুখ গোমড়া করে থাকেন। অনেকে আবার সারপ্রাইজিং উপহার পছন্দ করেন। আবার উপহারের চাপ উল্টো দিকেও ফিরে আসে। ধনী বাড়ির নিমন্ত্রণে শিক্ষিত ভদ্রসন্তান দামী উপহার না দিতে পেরে লজ্জায় অনুপস্থিত থাকেন। উপহারে কে না খুশী হয়। স্ত্রীকে উপহার দিয়ে খুশী করতে না পারলে আমরা কেমন অসুখী থাকি, স্ত্রী-সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে উপহারের জুড়ি মেলা ভার। বসকে উপহারে খুশী করতে পারলে প্রমোশনের পথ নাকি প্রশস্ত হয় না, ‘ভ্যালেন্টাইনস্-ডে’ তে প্রেমিকার হাতে উপহার তুলে দিতে না পারলে ব্রেক-অফও হতে পারে। বহুজতিক কোম্পানিগুলো কর্মীদের কাজের সাফল্যে ইনসেনটিভ দিয়ে থাকে, বিক্রি বাড়ানোয় উৎসাহ দিতে ডিলারদের বিদেশে বেড়ানোর সুযোগও দেয়। উপহারের রকমফের তো থাকবেই, বৈচিত্র্যই জীবনে বাঁচার রসদ যোগায় যে উপহার ! তবে উপহার পাওয়া যদি অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়, তবে জীবন সুখে কাটে না, লোভের বশবর্তী হয়ে যখন তখন যেখানে সেখানে উপহার প্রত্যাশা করেন অনেকে। না পেয়ে মানসিক অশান্তি ভোগ করেন, যা মোটেও কাম্য নয়।

হাসি-খুশী জীবন সকলের কাম্য। কিন্তু কিছু ত্যাগ করতে হয় জীবনে। অল্পে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, চাহিদা কমাতে হয়, সর্বদা উপহার পাওয়ার মানসিকতা ছাড়তে হবে। ভাবতে হবে, পৃথিবীর সব কিছু সবার ব্যবহারের জন্য নয়, সবাই সব কিছু পায় না, এই ভাবনাটা মনে গেঁথে নিতে হবে। রোজগার যেমন তেমনভাবেই চলতে হবে, আকাঙ্ক্ষা থাকবে না, তা নয়, কিন্তু আকাশচুম্বী চাহিদা নয়। নিজের পরিমণ্ডলে থাকা সদস্যদের মনে পরিষ্কার ধারণা তৈরি করা প্রয়োজন।

যেমনই চেহারা হোক না কেন, হাসলে সকলকেই দেখতে সুন্দর লাগে, হাসলে মন ভাল থাকে, কাজে উদ্দীপনা পাওয়া যায়, হৃদপিণ্ড সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল থাকে; সকালে রাস্তায় বেরিয়ে কারোর সঙ্গে দেখা হলে হালকা করে হাসুন, দেখুন সে-ও উত্তরে হাসবে, সারাটা দিন ঐ অনুভূতিটা আপনার ভাল লাগায় ভরে থাকবে। মন খারাপ কার না হয়, মন খারাপ বা গোমড়া মুখে থাকা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই চাহিদা কমাতে হবে, অল্পে খুশী থাকার চেষ্টা করতে হবে, যতদিন জীবন আছে খুশীতে বাঁচার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে, আর খুশীতে বাঁচতে গেলে চাওয়া পাওয়া কমাতে হবে, বেশী চাইলেই সমস্যা। জীবনে যা পেয়েছি তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা, সমস্যা হলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে একটা একটা করে সমাধান করা, মেডিটেশন করা, পরিবারের সঙ্গে বেশী করে সময় কাটানো, বাবা-মার বা গুরুজনের কাছে পুরানো দিনের গল্প শোনা… এসবই হোল খুশীতে থাকার উপায় আর খুশীতে থাকতে গেলে অল্পে সন্তুষ্ট থাকতেই হবে, নইলে নিজের অজান্তেই ব্লাড সুগার, প্রেসার কোলেস্টেরল আপনাকে বিপাকে ফেলবে ।

উপহার একদিকে সংসারে খুশী আনন্দ বার্তা নিয়ে আসে, কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে উপহার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মনে অশান্তি সৃষ্টি করে। সাধ্যে না কুলিয়ে উঠলেও যদি ঋণ করে অন্যের মন রাখতে অযথা উপহারের জন্য অর্থ ব্যয় করতে হয়, তবে বড় বেদনাদায়ক হয় জীবনপ্রবাহ। বিয়েবাড়ি বা সামাজিক অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ রক্ষা, সামাজিকতা রক্ষার বহর সীমা ছাড়ালে পারিবারিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। সংসারে সম্মানের সাথে ভদ্রভাবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদা নিয়েই তো সন্তুষ্ট থাকা যায় তবুও আমরা বুঝেও বুঝি না, আমরা কেউ কেউ একটুতেই সন্তুষ্ট থাকি, বেশীর ভাগ আমরা অল্পে সুখী থাকি না, নিজেই নিজের অ-সুখের কারণ হই ; আরো উপহার, আরো সুখ, আরো অর্থ, দামী গাড়ী, বিলাসবহুল বাড়ীর নেশায়, বিলাসিতার চরম শিখরে পৌঁছেও আরো সুখ খুঁজে বেড়ায়, পাওয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকি, আমরণ ছুটে বেড়াই সুখ পাখিটার সন্ধানে। ভেবে দেখুন, চাইলেই কি সবাই সব পায়, চাইলেই ছেলে-মেয়ে দারুণ বুদ্ধিমান হবে, ক্লাসে ফার্স্ট, অঙ্কনে, নাচে গানে কুইজে সেরার সেরা…. সব প্রতিযোগিতায় প্রথম হতেই হবে, প্রতিযোগীতার ইঁদুর দৌড়ে ছেলেমেয়েগুলোকে ছোটাচ্ছি তো আমরাই, কেবল টাকা রোজগার নয়…. ভাল লেখাপড়া করে ভাল মনের মানুষ হতে শেখাই না। যার বেশী অর্থ আছে, তার চিন্তা চুরির ভয়, রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুম আসে না, আর যার পরের দিন খাবারের ঠিক নেই, দিনের শেষে নি:সাড়ে কেমন শান্তিতে ঘুমায়! সেটাই তো ভাল! পৃথিবীতে কিছুই তো স্থায়ী নয়, কোন মানুষ, প্রাণী উদ্ভিদ কোন কিছুই স্থায়ী নয়, কেউ কিছু নিয়ে যেতে পারে না, এই সত্যটা বুঝেও বুঝি না আমরা…এটাই অ-সুখ…অল্পেতে খুশীর থাকার পথে এটাই বাধা…জীবনে শান্তির সন্ধানে এই বাধা কাটাতে হবে, এই চেষ্টায় রইলাম। এজন্য উপহার পাওয়ার চেষ্টা, অভ্যাস কোনটাই সুখী জীবনের পক্ষে শুভ নয়। প্রয়োজনে উপহার দিতে হয় স্ত্রী-পুত্র-কন্যা জামাতা কুটুম্ব-আত্মীয়দের সাধ্যমত উপহার দেওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু, জীবনের একটা সময়ে পৌঁছে আর উপহার পেতে নেই, সেই আশা পরিত্যাগ করতে হয়। ত্যাগেই তো আনন্দ, ভোগে আনন্দ নেই, আছে লালসা। পরিবারের কর্তার, নিজে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করলে সংসারের গতি স্বাভাবিক থাকে, শান্তি বজায় থাকে, সেই আশা ও ভরসায় জীবনপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে চাই, পরম্পরা বজায় রাখতে চাই আমরা প্রত্যেকেই।

জয়ন্ত কুমার সরকার | Jayanta Kumar Sarkar

Rabindranath Tagore’s love for art and literature

Loukik Debota Masan Thakur | লৌকিক দেবতা মাশান ঠাকুর | 2022

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | প্রবীর রঞ্জন মণ্ডল

New Bengali Novel 2022 | ফিরি বিশল্যকরণী (পর্ব ৪) | উপন্যাস

Read Online Bangla Golpo | New Read Online Bengali Story | Top Bangla Golpo Read Online Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Best New Bengali Web Story 2023 | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Best Bangla Golpo Read Online in India | World’s Bangla Golpo Read Online Blogs | New Bengali Web Story in Online | Online Interesting Bangla Golpo | Full Read Online Bangla Golpo | New Bengali Web Story Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English | Live Bengali Story pdf | Full Bangla Golpo Read Online | New Live Bengali Story | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Adult Story Video | Horror Live Bengali Story | Bangla Golpo Read Online Audio | Bangla Golpo Read Online Video | Bangla Golpo Read Online Netflix | Full Bangla Galpo Read | Read Online Bengali Story Download | Shabdodweep Competition | Bangla Golpo Read Online Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trend New Bengali Web Story | Recent New Bengali Web Story | Top Live Bengali Story | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Bangla Golpo Read Online 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Read Online | New Bangla Golpo Read Online | Bengali Famous Story in pdf | Golpo Dot Com Download | Bengali Famous Story – audio | Horror Adult Story | Bangla Golpo Read Online Collection | Live Bengali Story – video | New Bengali Web Story APK | New Bengali Web Story Download | Live Bengali Story mp3 | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Bengali Story – audio | Top Read Online Bangla Golpo | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bangla Golpo Read Online | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bangla Golpo Read Online | Shabdodweep Writer

Leave a Comment