Bangla Golper Desh | Best Bengali Story Collection

Sharing Is Caring:

অবশেষে একদিন – কালনিশা [অমৃকা সরকার]

হঠাৎ একদিন খুব বৃষ্টি। আসিফ দাঁড়িয়ে পড়ল টিনের শিট দেওয়া একটা সেলাই মেশিনের দোকানে। সেদিন সেলাই মেশিনের দোকানটা বন্ধ ছিল। আসিফ আনমনে কী যেন ভাবছিল। তখনই একটা মেয়ে ছাতাটা কোনোমতে বন্ধ করে শিটের তলায় আশ্রয় নিল। মেয়েটির সুশ্রী, শান্ত মুখ। সামনের ছোটো ছোটো চুলগুলো মুখের দিকে এসে পড়েছে। শিশিরের ন্যায় বৃষ্টির ফোঁটা ওর সামনের চুলে আদুরে হয়ে আছে। গায়ের পোশাকের কোথাও কোথাও ভিজে গেছে। বোধহয় বৃষ্টির মাঝে মাঝে হাওয়ার দাপটে বৃষ্টির ছিটে তার জামা ও চুল ভিজিয়ে দিয়েছে। আসিফ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকাতেই মেয়েটি লজ্জা পেয়ে তার পোশাকের ভিজে অংশ কোনোমতে তাড়াতাড়ি ঠিক করতে থাকল।

দুজনেই দাঁড়িয়ে রইল। কেউ কারোর সঙ্গে কথা বলল না। বৃষ্টিও থামছে না। মেয়েটি যেন অসস্তিতে পড়েছে। মেয়েটি বিড়বিড় করে বলতে থাকল‚’কখন যে বৃষ্টি থামবে?’ আসিফ যেন আর নীরব থাকতে পারল না। বলল- ‘কাল খবরে তো বলেছে দুদিন বৃষ্টি হবে, মাঝে মাঝে বিরাম দেবে আকাশ।’ আসিফ আবার বলল- ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ? তোমার নামটা জানলে সুবিধা হত। মানে কথা বলতে সুবিধা হয় আর কি।

আমি সুতৃণা। আমি পড়তে গিয়েছিলাম, এখন বাড়ি যাচ্ছি। আসিফের কথা শুনে ও ওর সাজ পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া না দেখে সুতৃণার খুব ভালো লাগল। সুতৃণার খুব ইচ্ছে একটা বই পাগল মানুষকেই ও জীবনসঙ্গী করবে। এরই মধ্যে আসিফ হঠাৎ একটা বই বার করল। সুতৃণা তাকিয়ে দেখল, “ওমা! এতো রবি ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’।” ও কথাটা বলেও ফেলল। আসিফ এই প্রথমবার দেখল কোনো আজকালকার মেয়ে রবি ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্পটিকে জানে। বৃষ্টি যেন আরও জোরে আসল। মেঘ আকাশে আঁকিবুকি খেলা খেলছে। দুজনেই দুজনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে নিয়েই অবাক হল, আবার কোথায় যেন একটা ভালো লাগাও তৈরি হলো। সুতৃণা আসিফকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কী করেন?’ আমি স্কুলে পড়ায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ায়। আর তুমি আমাকে তুমি করে বলতে পারো। তবে এই কয়েক মিনিটের আলাপে বুঝলাম তুমি অতি সাধারণ। আর সাধারণটাই আমার পছন্দ। জানো তো আমি পরিচালক হতে চাই। এই যা! তোমাকে পাগলের মতো সেন্টিমেন্টাল কথা বলছি। এইটুকু আলাপে আমি যতটা আপন করেছি, তুমি বোধহয় পারনি তাই না?

আসলে না না ব্যাপারটা ওইরকম না। আমি তো আপনার মানে তোমার কথা শুনছি। একটা কথা না বলে পারছি না, আবার বলতে লজ্জাও করছে। সুতৃণা বলল, ‘আমার কিন্তু তোমায় খুব ভালো লেগেছে। তোমার মতো কাউকে আমি এত কাছ থেকে দেখিনি। তুমি পরিচালক? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।

হ্যাঁ এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। আমার যে প্রয়োজন কাউকে! যখন, তুমি বলেছ আমাকে তোমার ভালো লেগেছে। তাহলে তুমি কী হবে আমার চলার পথের সাথী? ‘এমন করে বলে আর লজ্জা দিও না’, একথা বলে সুতৃণা লজ্জায় এবার ওদিকপানে মুখ ফিরিয়ে নিল। বৃষ্টি তখনও পড়ছে। বৃষ্টি আজ যেন কিছুতেই থামছে না। দুজনের সাইকেল দুটি বৃষ্টিতে ভিজতে থাকল। সুতৃণা বলল, ‘তুমি কোথায় থাকো?’ ওই যে বনপুকুরিয়া গ্রামের মাঝে যে মসজিদটা আছে ওই মসজিদের পাশেই আমার বাড়ি। আসবে আমার বাড়ি একদিন? আসিফ বলল। ‘সময় পেলেই যাব’, এই বলেই সুতৃণা বলে উঠল, ‘আচ্ছা আবার কবে দেখা হবে আমাদের?’ ‘কেন? প্রত্যেকদিনই দেখা হবে। তুমি যখন একবার বলেছ ভালোবাসো আমাকে, তখন এ জন্মে আর তোমাকে ছাড়ছি না। এই কথা দিলাম।

সুতৃণা ঘড়ি দেখল। জোরে বলে উঠল ‘হে ভগবান! তিন ঘণ্টা হতে গেল এখানে দাঁড়িয়ে আছি। অনেক দেরি হয়ে গেল।তুমি আমাদের গ্ৰামে প্রতিদিন আসো তো? আমি প্রতিদিন যায় এই রাস্তা দিয়ে। ইস্! তোমার নামটাই তো জানা হলো না – তোমার নাম কী? ‘আমার নাম আসিফ। হ্যাঁ আমি প্রত্যেকদিন এ রাস্তা দিয়ে যায়। আর তোমার বাড়িও আমি ঠিক চিনে যাব। আর আমার ফোন নাম্বারটা তো নাও?’ আসিফ ব্যাগ থেকে একটা কাগজ ছিঁড়ে তাতে নিজের নাম্বারটা লিখে দিল। অনেকক্ষণ আগেই বৃষ্টি থেমে গেছে। সুতৃণা সাইকেলে উঠে আসিফকে বিদায় জানাতেই, আসিফ বলে উঠল, ‘আমাকে ভালোবাসবে তো? আমি কিন্তু ফোনের অপেক্ষায় থাকব।’

সেদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হল। এমন সময় আসিফের ফোন বেজে উঠল। আসিফ ফোন তুলতেই ফোনের ওপারে একটা মহিলা কন্ঠস্বর বলে উঠল, ‘চিনতে পারছ বি.এ সেকেন্ড ইয়ার মেয়েটিকে?’ আসিফ তো চিনতেই পারছে না। আবার সে বলল, ‘মনে পড়ছে বৃষ্টির সকালের দুঃস্বপ্ন?’ এবার আসিফ হেসে উঠল। ‘আমি তো ভাবতেই পারিনি তুমি আমাকে ফোন করবে।’ এইভাবে ওরা কথা বলতে লাগল। দিনকে দিন ওদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে লাগল।

হঠাৎ একদিন আসিফের মসজিদের পাড়া সরগরম হয়ে উঠল। হিন্দু পাড়ার সঙ্গে মুসলমান পাড়ার লোকেদের মধ্যে মার-পিঠ বাধার উপক্রম হল। হিন্দুপাড়ার মেম্বার বলেছে, ‘মুসলিম পাড়ায় রাস্তা গড়ব না।’ মুসলিম পাড়ায় শিক্ষিত লোক খুব কমই ছিল। তাই আসিফকে এ ব্যাপারের জন্য ডাকা হল। আসিফও হিন্দু মেম্বারের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করল না। এই নিয়ে নাটা-ঝামটা চলতে লাগল। এমনি সময়ে সুতৃণার ফোন আসতে লাগল কিন্তু আসিফ তার প্রতি এখন আর দরদ দেখায় না। সব সময় আসিফ এখন জাত নিয়েই কথা বলতে থাকে। একদিন সুতৃণা না বলে পারল না, ‘আচ্ছা তুমি আমাকে ভালোবাস না তোমার জাতিকে ভালোবাস?’ আসিফ বলল, ‘আগে নিজের আত্মসম্মান, তারপর ভালোবাসা। আমরা মুসলিম বলে কী মানুষ না? তোমরা হিন্দুরা কোনোদিনই মুসলিমদের সম্মান দাও না। তুমি আমার সাথে আর যোগাযোগ করো না। যদি আমি তোমার সাথে সম্পর্ক রাখি তাহলে একইভাবে তোমরা হিন্দুরা আমাকে মেরে ফেলবে।’

সুতৃণা প্রচন্ড আঘাত পেল। বলল, ‘ঠিক বলেছ আসিফ ভালোবাসায় জাতপাত, বয়স হয়, এজন্যই তো সমাজ হিন্দুতে-হিন্দু, মুসলিমতে-মুসলিম, মেয়ের ২০ বয়সেতে-ছেলের ২৫ বয়েসের বিয়ে দেয়, মানুষকে নয় ও মানুষের মনকে নয়। তাই আসিফ তুমি মন থেকে সভ্য ঠিকই কিন্তু আজ সমাজের জন্য তুমি বাইরে থেকে অতি সভ্য মানুষ।

মা আমারই মা – কালনিশা [অমৃকা সরকার]

আজ দুপুর বেলায় আশরাফুলের আম্মা কী মারাটা না মারল ওরে। আশরাফুল, আম্মা, আব্বা ও তার ছোট্ট ভাই নিয়ে তাদের পরিবার। ওদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়। ইটের ভাঙ্গা ছোটো বাড়ি, কালো পেপার দেওয়া চালে, একটাই ঘর। এই গরমে আশরাফুলের আম্মা খুব কষ্টে বাইরে রান্না করে। ওর আব্বা ইটভাটায় কাজ করে। সেই সকালে যায় আর রাতে ফেরে। তাই বাড়ির সবটাই আশরাফুলের আম্মাকে দেখতে হয়। এক বছরের ছোটো ছেলে আর চার বছরের বড়ো ছেলেকেও দেখে রাখতে হয়। আম্মা খুব আশা করে বড়োটির নাম রেখেছিল আশরাফুল আর ছোটটির নাম রেখেছে আখতারুল। নাম রাখলে কী হয়, তাদের সংসার চলে না। আশরাফুলের আম্মার শরীরটা তো ভেঙেই পড়েছে।

এই তো সেদিন ঈদ গেল। বড়ো ছেলেটি আম্মার কাছে আবদার করেছিল একটা নকশা করা টুপি কিনে দিতে। জন্মদাতা আম্মা দারিদ্র্যতার কারণে বড়ো ছেলেকে নকশা টুপি কিনে দিতে পারল না। এত সংসারের অভাব অনটন যে ছেলের মায়ের কাছে করা আবদার খাটে না। এই কষ্টে একদিন আশরাফুলের আম্মা আশরার বাপের বলল – তোমার দুটো পয়সা আমার কাছে রাখতি নেই। আমার তো মনটা চায়নে যে আমার ছেলিদের কিছু দেই? তুমি বাড়ি থাকনে আর বড় ছেলেটা বায়না করে। আমার কী কষ্ট হয় নে? আশরার মা একনাগাড়ে বলতে থাকল। আশরার আব্বা সব ধৈর্য ধরে শুনছিল। রেগে গিয়ে বলে উঠল – তোর বলো এর বারি মেরিছি। জানিস নে সেই সকালে কাজে যায় আর রাতি ফিরি। ক টাকা আয় হয় আমার? সব সংসারে দিই। আবার আমার মাথা গরম করাছিস। তোর এর বারি তে শেষ করব। বলতে বলতেই আশরার আব্বা পাশে কেটে রাখা বাঁশের চটা দিয়ে আশরার আম্মারে মারল। সেদিন রাতে কেউ ভাত খেল না।আশরাফুল শুধু ভাত খেল শাক ভাজা দিয়ে। ও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল। রাত হল।

সেদিন রাতে বৃষ্টি নামল গরমের উত্তাপ কমিয়ে দিতে। আশরার আব্বা বারান্দা থেকে উঠে এসে বলল- এ বউ ওঠ। চল ভাত খাবি। জানিস তো সারাদিন রোদে কাজ করি। বাড়ি আসলি যদি তুই ওইরকম করিস আমার ভাল লাগে। চল ওঠ ভাত খাই। তোর খুব লেগিছে বল? চ ভাত খাই। সারা রাত বৃষ্টি হল। পরদিন সকাল হতেই আশরার আব্বা পান্তা খেয়ে কাজে গেল। আশরার আম্মা আশরার ছোট্ট ভাইকে পাশে রেখে কাল রাতে হাওয়া-বাতাসে পড়া পাতা গুলো পরিষ্কার করতে লাগল। আশরাফুল তো উজ্জ্বল এক প্রজন্ম, ও তো এদিকে আর ওদিকে ছোটা-ছুটি করে। কোমরের ঘুনসিতে লোহার টুকরো গুলো ঠনঠন করে বাজিয়ে একবার এপাড়া-ওপাড়া। দুরন্ত ছেলের গতি বুঝতেই তার আম্মার একান্ড। তবে সেদিন একটা ঘটনা ঘটল। হনহনিয়ে পাশের বাড়ি খানমের আম্মি এল। জোরে জোরে ডাকল, ও আশরার আম্মা…..তোমার ছেলি আজ কী করিছে জানো? টাকা চুরি করিছে আমার বাড়ি থেকে। তোমার ছেলি চোর হবে। ওইটুকুনি ছেলি বাব্বা! চুরি করা শিখিছে! আশরার আম্মার মুখখানি লাল হয়ে উঠল। অনবরত নাক ফুলিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়তে লাগল। পাশে থাকা লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল বড় ছেলেকে খুঁজতে, ছোটো ছেলেকে ফেলে রেখে। ছেলেটি কাঁদতে শুরু করল। ওদিকে আশরাফুলকে ওর মা খুঁজে পেল।

সকাল গড়িয়ে দুপুর নামল। সূর্যের রোদ আজ প্রকান্ড। বড় ছেলের ধরে সপাৎ সপাৎ লাঠির বারি। বল তুই চুরি করিছিস কেন। তোর চোর বানায়ছি আমি? বল বল। চার বছরের বাচ্চা ছেলে গা ডলতে ডলতে কেঁদে বলল- আম্মা আমি কবে থেকে তোরে বলছিলাম মুড়ি ভাজা খাব। টুপিও কিনি দিতি বলিলাম, তুই দিসনি। আমার কী খিদি পাইনে? আম্মা কেঁদে আশরাফুল কে জড়িয়ে ধরে বলল- পাগলা আমার, আমারে আর একবার বললি আমি কিনি দিতাম না? আজ তোর আব্বা টাকা দিই গেছে। বাপ আমরা গরিব। একটু সবুর করতি হয়। গরিব রা খেতি না পারলি চুরি করে না। আর কোনোদিন করবি নে। জানবি, গরিব দের জন্ম অপচয় রোধ করতি। বুঝলি না তো? ঠিক বুঝবি বড়ো হলে। কই টাকা খান দে। আশরার আম্মা মাটি থেকে ওঠে খানমের মার দিকে হাত বাড়িয়ে বলল এই নাও দিদি। আর, দিদি কিছু মনে করুনে। আমার মনে হয় ও খুব বড়ো হয়নি। ও হয়ত আবারও তোমার বাড়ি যাবে। কিন্তু ও বড়ো হলি তোমার বাড়ি পা মারাতোও না। আশরাফুলের দিকে ঘুরে ওর আম্মা বলল- আয় বাপ কোলে আয়। চল শিগগির। আমি, তুই আর ভাইরে নে দোকানে যাব। মুড়ি ভাজা কেনব। দশ…টাকার মুড়ি কেনব। চ চ তাতাড় চ। দুপুরের সূর্যের উজ্জ্বল আলোয় ছেলে মায়ের কোলে বসে, মা ও ছেলে গল্প করতে করতে তাদের বাড়ির দিকে যেতে লাগল।

কালনিশা [অমৃকা সরকার] | Amrika Sarkar

Teachers day in honor of teachers | শিক্ষকদের সম্মানে শিক্ষক দিবস

Tebhaga Movement | বাংলায় “তেভাগা আন্দোলন” এবং সলিল চৌধুরীর গণসঙ্গী

স্বামী বিবেকানন্দের যোগ ভাবনা | Top Best 4 Yoga by Swami Vivekananda

Rabindranath Tagore’s love for art and literature

Short bengali story | Bengali story pdf | pratilipi bengali story | Short Stories for Children | English Stories for Kids | Moral Stories for Kids | story in english | story hindi | story book | story for kids | short story | story for girls | short story in english | short story for kids | bangla golpo pdf | Bangla golpo pdf | Bangla golpo story | bangla romantic golpo | choto golpo bangla | bengali story | Sunday suspense golpo | sunday suspense mp3 download | suspense story in hindi | suspense story in english 200 words | Suspense story in english | suspense story in english 300 words | Suspense story examples | suspense story in english 100 words | suspense story writing | very short suspense stories for students | Bangla Golper Desh | Top Bangla Golpo Online Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Famous Story – Bangla Golper Desh | Pdf Bangla Golper Desh | Bangla Golper Desh App | Full Bangla Golper Desh Reading | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English | Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bangla Galpo online | Bangla Golper Desh 2024 | New Bangla Golper Desh – Episode | Golpo Dot Com Series | Bangla Golper Desh Video | Story – Bangla Golper Desh | New Bengali Web Story Audio | New Bengali Web Story Video | Bangla Golper Desh Netflix | Audio Story – Bangla Golper Desh | Video Story – Bangla Golper Desh | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2024 | Trending Bangla Golpo Online Reading | Recent Bangla Golper Desh | Top Bangla Golper Desh | Bangla Golper Desh Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2024 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Bangla Golper Desh | Bengali Famous Story in pdf | Modern Online Bangla Galpo Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Modern Online Bangla Galpo mp4 | Modern Online Bangla Galpo Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Bangla Golper Desh – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Story Collection – Modern Bangla Golper Desh

Leave a Comment