Poetry of Sukhendu Parui
Touchy Kobita Bangla | Online Poetry Writing Diary
এই তো চাওয়া
এ লেখার পাঠক চাই
নাহলে ‘না’ থাকাটাই,
অক্ষরের মূল্য সাজানো-
পাশে-কাছে রাখা গোছানো
শব্দের শব্দে-মন্ত্রে আমি মানুষ হয়ে যাই।
নিয়ে তো এসেছি ধর্ম রক্তময়
বুকের ধুকপুক ছড়ায় পরিচয়,
খাওয়া পরা আশ্রয় জোগাড় শ্রমে
কোটি কোটি পুরুষ-নারী দিনগত ক্রমে,
সবাই জানায় ‘আমি আছি’ জীবনে কর্মে
টুকরো টাটকা পাওয়া আহ্লাদী বর্মে
এ হিসেব থেকে আমি কি করে পালাই?
আত্মরক্ষা তর্পণ –
প্রেম শরীরী মন্থন
জীবন অমৃত স্বর্গ, নরকেও বাঁচার দোহাই।
অযথা ক্ষোভ হিংসা শত্রুতা ‘কাফের’-
আধিপত্য বিস্তার-গ্রাস, নয় জীবনের জের
শুধু ক’টা দিন নয়, যতক্ষণ জীবন
প্রত্যেক মানুষ চায় অমৃত চুম্বন।
নিঃসঙ্গ মনের বন্ধু
সঙ্গ নেই এমন মন নেই:
বরাতে আজ পরিবেশন
বরাতে তবু পাতে-
পিছলে যায়, পড়ে যেতে পারে
হেলায় কিছু ধরলে,
হেলায় বিশেষ হলে
ভালোবাসাও নড়বড়ে,
ধর্মকেও ধরতে হয় প্রাণে বিশ্বাসে।
আমরা মানুষ মাত্ৰ,
মাত্ৰা পার হতে
রাম-কৃষ্ণ-রামকৃষ্ণ-
জগন্নাথ জগতে,
মানুষ হওয়ার জন্যে জীবন কাটে।
বন্ধু, আমার আমি,
সহযোগী সহপাঠী সহযাত্রী
বিশেষ সবাই বাকি
অবহেলায় কেউ কিছু নাই,
কি যেন? কখন, কোথায়-
কিছু যে রেখেছি ভুলে যাই,
বন্ধু, মনোযোগ ত্যাগে সাধনায়
লুঠ দান প্রেম ঘৃণা হিংসায় –
ঋতু-রিপুময় শরীরী সংসারে,
যে কাছে থাকে –
কথা নয় কাজে,
কর্ম-জ্ঞান, মা ভৈরবী বড় ভালোবাসে।
জীবন এখন
টাকা-ঘুষ কমিশন্ কাটমানি মাইনে শুনি-
একই-আওয়াজ ক্ষমতা লুকোচুরি খাটুনি,
সেখানেও লাইন আছে
আগে পিছে পড়া পাতে-
তাই বুঝি গড়ে ওঠে ভুঁড়ি মোটা কান্তি
কিনে নেবে জগতের যত সুখ শান্তি,
শ্রীহরি মায়া, কিছুদিন যেন কিছু স্বস্তি
ওঁ কৃষ্ণ- বহুতল ভোগ নয় ঝুপড়ি বস্তি,
এরপরে প্রোটিন? ফিরছে প্রাচীন সুর,
বাঘ সিংহ গুরু-ইচ্ছায় আবার ইন্দুর!
সবাই মনে জানে, বিচারে যে কে কোথা যাই
যা হবে দেখা যাবে, পরজন্ম কারো জানা নাই,
এ লেখায় অর্থ নাই, প্রভু-কবির কানাই-
সবাইয়ের কিছু ভালোলাগা ভরপেট পাই।
জোছনা ঘরে
বাইরে গেলে বেশ শীত করে
আলোর উষ্ণতা ঘরে,
হলুদ দেয়ালে আঁকা ছবি
হঠাৎ রঙিন ডানা মেলে,
ছোট্ট ‘রাহি’ বলে-ও মা, এ যে প্রজাপতি
রান্নাঘরে ‘মা’ হাসে বলে -ও তো ছিল-আছে,
প্রজাপতি দেব প্রতিভূ নাকি-
ভাবে-শুভ ও বিয়ের ঢাকি
সুখ ঢাকা বাসনা বাসরে –
ও, ও করেনা কোনো ক্ষতি
‘না, এ কেমন সুন্দর চুপচাপ ওড়ে,’
কই দেখি -এবার ‘পৌলমী’ ছুটে আসে
ছবির ওপরে বসে সে দোলা খায় –
ডাকে ‘আয় এইবেলা উড়ি দুজনায়’,
দেখতে দেখতে তার পাখনা খসে যায়
সাদা পিঁপড়ের মতো শরীর দেখায়,
মা মেয়েকে যা বোঝায় ভোলায়-
মরার জন্যই পাখা গজায়,
‘রাহি’ কাঁদে, কষ্ট হয়, মন কেমন করে,
বেশ ছিলি কেন এলি এই রোশনায়?
কি আশায় ক্ষণিকের এ জোছনা ঘরে?
সেই দিন খুঁজি না আমি
সেই একই দিন রাত সারাটা বছর
গ্রীষ্মে দাবদাহ বর্ষায় বৃষ্টির বহর
শীত এখনো লেপ মুড়ে
বসন্ত নিজেই কোকিল,
শরৎ হাওয়ায় শারদীয়া
হৈমন্তী গালে আঁচিল,
যে ফুলে যেমন রং গন্ধ
যে পাতায় যেমন বাহার,
যে পাহাড়ে যেমন পাথর
পশু পাখির যা আহার,
সমুদ্রের জল আজও নোনা
বাতাস তার মতো
আকাশ তেমনি মেঘ নীল:
বনানী, তোমার নীরব বেদনা
সবাইয়ের জন্য সও কত?
প্রতিবাদে হও সামিল,
এখনো অনুষ্ঠান অন্তরে,
ভালো লাগার তালি
দুরবস্থার দুঃখ-কষ্ট
অশ্রু চোখে মালি,
তবু সেই দিন খুঁজি না আমি
যেদিন আজকে নয়,
তোমার আমার ভালোবাসা
চিরদিন থাক চিন্ময়।
পথের পাঁচালী
পথ কার, সবার চলার, দু তিন চার ছ’ চাকার,
সীমান্ত পথে সৈন্য ট্যাংক কামান, দেশ পাহারার,
শ্রীরামপুরে রাধাকৃষ্ণ বছরে এক দিন ‘রাসে’
পথ দিয়ে চতুর্দোলায় ধরা ছোঁয়া সংসারে,
ফুল, মালা, ফল, বাতাসা পূজায়
আয়োজন যে যেমন পারে চায়,
মাহেশে শ্রীজগন্নাথ লোহার চাকায় রথে-
ঈশ্বর যত পথে শপথে দাবিতে জগতে,
ঢালাই, ভাঙ্গা পাথরে পিচে-
পথ, মেঠো পথ নিচে,
যে পথে পিতা মাতা প্র: প্রাচীন
যে পথ কর্মময় আধুনিক লীন,
শিক্ষা পথে একশো বছর পার,
মাহেশ উচ্চ বিদ্যালয়-
সুধীরবাবু, শশী-মনোজ স্যার
সেই পড়াশোনা স্মৃতিময়,
এক লাইন দেওয়া লেখা তিরিশ লাইনে-
আমার প্রথম কবিতা, হলঘরে হলো তা ঘোষণা,
সুরেশ স্যার পিঠ চাপড়ে ‘যা তো এগিয়ে’
সে লেখা নিখোঁজ আজ তবু কেন মধুর ঘটনা!
এমনি পথের পুঁথি কুড়োতে গিয়ে
ছায়াপথে ছড়া ছবি কবিতা নিয়ে,
পথ তো রয়েছে আগ বাড়িয়ে
কেউ যেন যায় না দাঁড়িয়ে,
এসো, কাছে এসো, যাও এগিয়ে
যত পারো মন খুলে ছড়িয়ে,
পথও সুন্দর হয় করে স্বপ্ন সফল
চলার আদলে যাই সে হয় দখল,
আলতা পা আলতো চলা-যে পথ মাড়ালে
মোহন চৈতন্য মোহ মাতলো আড়ালে,
রত্নাকরও মুগ্ধ দেখে, তার যা পথ-
সে পায়ের তর্জনীতে সোনার আঁগট,
পথের গল্প কাহিনী জমা ইতিহাস
পথের কবিতা চায় জয় উল্লাস,
ফেরার পথে যদি উড়ো খই –
ব্যক্তি-এই ছিল গেলো কই?
যেন সব দু:খ ক্লেশ হর হরি-
পথে রথে নিজেকেই মানুষ করি,
এ পথের পাঁচালিতে ‘উমা দাশগুপ্ত’ নেই,
দুর্গাকে পাওয়া যাবে চলচ্ছবিতেই।
লৌকিক ছবি
ফুলে ঢেকে গেছে শব
অন্য এক বুদ্ধের জীবনাবসান,
গল্প কবিতা গান যত কলরব
নির্বোধ পাতা ডালপালা
ছায়া রোদ বৃষ্টি জ্বালা
লুকোনো পোকা-রাজ রাজ্য রঙ থোকা
চাতুরী মান অভিমান:
মানুষ মানুষকে বাজায় সাজায় –
ঠোঙায় উৎসব,
নিজেকে অন্যকে মারা বাঁচায়-
লজ্জায় কৌরব গৌরব,
রূপ অপরূপ কৃষ্ণ, কীর্তি জ্ঞান
অরূপ রতন ভগবান,
বিশ্বাস ভক্তির শেষ শক্তিতে তবু –
জীবনে লড়ে যেতে হবে, সংগ্রাম
নতুন সৃষ্টির জন্য অভ্যুত্থান:
সহ্যাতীত হানাহানি ধ্বংস ধর্মান্তর ধর্ষণ
স্বাধীনতার সাতাত্তর বছরে জমা খেসারত:
দাহ শেষ, পিছনে তাকাতে নেই
সামনে জীবন সন্ধান,
যেন ভুলে ঢেকে গেছে সব –
শরণাগত হে প্রভু,
এ ভারত কবে হবে ‘হিন্দুস্থান’?
প্রয়াণ প্রণাম,
অতীত ব্যক্তি-কর্মে বর্তমান।
দীপ জ্বালো
প্রদীপের নিচে ঘন ছায়া-অন্ধকার,
দোষ? শরীরটা তার,
আমিও ছুঁয়ে আছি যেন পায়ে পা-
আলোর হিসেবে আকার:
ছোট বড় হয় নাচে আমাদেরই তালে
ভাবনায় যেই দুহাতে আমাকে জড়ালে-
ভালোবাসায় ছায়াকে হারালে
চারিদিকে আলোর আড়ালে,
আমরা মানুষ তাই মেধায় ও মনে
চেতনায় কথা কই সৃষ্টির আসনে,
যত অশুভ-অত্যাচার-অসুর আঁধার কালো
বিজয় জ্যোতির হবে-
দহনে সূর্য স্তবে-
পদ্মা আদিত্য বিভূতি মহালক্ষ্মী আলো,
শ্রদ্ধা ভক্তি কামাক্ষী সুরভী দীপ জ্বালো।
পরিযায়ী
সব পরিযায়ী হয় না অচিন,
ডানায় উড়ে আসে-
দিন পার হয়ে মাসে,
জানে না মায়া, সে যে স্বাধীন!
ঝাঁকে ঝাঁকে দলে দলে
কেউ চেনা নেই বলে,
ভিড়ের বাসরে যেন সংসার লীনl
ছবি ওঠে সেলফি
পাখি হয় সাক্ষী
চিহ্ন নেই কতটুকু সময়ের ঋণ,
কিছু গাছ জলাশয়
নিরিবিলি নির্ভয়
বহু দূরের ডাক আবেগহীন,
দারুণ এখানে বাঁচা
প্রেম না ভালোবাসা
জানে না সে কিসের অধীন.
সন্তান, সেও তো পরিযায়ী
ক্ষোভ দু:খ তা কি? এলাহি,
সমর্থ হলেই বিদায়ী দেবে যে প্রবীণ।
কথাকলি
লেখার কথা যেই না পড়া
যেন অমনি হয় কথা বলা,
সামনে নেই, নেই তো দেখা
ছবির মতো ফুটছে লেখা,
হাসি মজা দু:খ ক্ষোভ
এক জীবনের ভাব অভাব,
টাটকা বাসি হিংসা লোভ
হিসেবের সুখ সামান্য লাভ।
বন্ধুত্ব বা জানাশোনা
সম্পর্ক সে যাই হোক,
এমনি লেখা সরল কথায়
মনে রাখায় নেই যে দাগ।
গল্প ছবি-কথার উপন্যাস
আমাদেরই ঘটনা বিন্যাস,
যেই পড়া হয় ফুটে ওঠে চরিত্ররা সব
দেখা হয় আমরা দেখি দারুণ কলরব,
ছবি তো নয় ঘটছে যেন সামনে সশরীরে
তোমার প্রণয় ও ঘৃণা মনের মন্দিরে,
আমার সাধ সম্বল এই
সবার পূজার ডালি,
থাকবে কিছু অন্তত:
একবারে নয় খালি।
লিখলেই কি বললেই কি-সবাই থাকে ভালো
স্পর্ধা এই শুভর খোঁজে ভালোবাসার আলো,
ভগবানের ইচ্ছা ভেবেই লেখা শুভেচ্ছা
সবাই ভালো থাকুক এই সহজ ইচ্ছা,
বাকির ঘরে প্রচুর থাকে
ফাঁকির ঘরে শূন্য
সবার মনের বাসনাকে
সবাই করুক পূর্ণ।
রাম তো যাবেই
রাম তো গেছে কাঠ কুড়োতে একটু থেকে যাও
সে তো একা তোমরা ক’জন ভয় লাগছে তাও,
সন্ধ্যা হলো বনে জন্তু বাকি গভীর রাত
বন্ধুরা সব পালায় ফেলে সত্যি করে মাত,
কথা দিলেই রাখতে হবে মজাটা তবে কি
সবার খাবার আনলো যে, সে পেলো ফাঁকি,
চুক্তি ছাপ লেখা তো নেই মুখের দেওয়া কথা,
স্বার্থ কূট চালাকি আজ
পিতামাতার দায়ে সমাজ,
মন্থরার এটাই কাজ
কৈকেয়ী ভুলে বদলাতে তাজ,
রাম তো যাবেই বনবাসে পিতৃ সত্য রক্ষা।
চোদ্দো বছর কতো মাসে
সীতা মা কি ভয় তরাসে?
লোভ লালসা ছল চাতুরি,
জীবনের কী শেষ আছে?
কেউ কথা রাখেনি,
হে সুনীল, খ্যাতির আকাশে,
আমিও ঠকেছি, দু:খে কষ্টে –
কঠিন সময়ও ভাসে,
অনেকেই তবু কথা রাখে,
হৃদয় উদার হাত বাড়ালে-
বিশ্বাস কাছে-সঙ্গী-বন্ধু হয়,
জীবন মাতানো একটু প্রণয় –
দরদী দেখেছি, এ অধম, যদি বলো কবি
বুদ্ধি কর্ম প্রচেষ্টার আধুনিক বহু ছবি,
কি পাবে ও কতটুকু এই সার হিসেবে
দেওয়ার ঘরটা শূন্য
(যেন)শুধু পাপ নেই পুণ্য
অন্যের ক্ষতি-ধ্বংস, নিজেকেই যে দেবে,
পরস্পরের দায়-টানে রাজনীতি সংসার
ব্যক্তি থেকে দেশে উন্নয়নের জোয়ার,
হার হবে যে হার গলার না হলে আসক্ত
প্রভু, শ্রীহরি-রাম, ভরসা ভালোবাসার ভক্তl
প্রেম যৌথ
জোড়া শালিক শুভ নাকি অন্য বিনোদন
জড়িয়ে মজা খুশিতে তোমার আমার মন,
হালকা হাসি ভাসছে হাওয়ায় দুজনে তাকাই –
এইতো ছিলো এই এখানে পরক্ষণে নাইl
হঠাৎ দেখি ঠুকরে চলে পাথর মাটির কোনে
এ ওর ঠোঁটে খাবার গোঁজে লাফিয়ে দুজনে,
বাজলো হঠাৎ ট্রেনের বাঁশী,ওরা যে পাখনায়
একটু দূরে টিনের চালে মাতলো ঝগড়ায়l
রোদ-বৃষ্টি ঝড় আয়েলা
মত্ত খুশি ব্যস্ত খেলা –
বেখেয়ালে আমরা, ছড়িয়ে দু’পা-দুহাতে হাত
ভালোবাসা দেখতে খাসা, কর্মে জীবনপাত,
হঠাৎ ঝেড়ে মেরে উঠে নিষ্পলকে দেখি,
সামনে শুধু আমরা, শালিক দুটো নেই কি।
ভালোবাসা পরমার্থ
অপূর্ব, সুন্দর লেখা হলে
পাঠক পড়বেই বহুবার,
যেমন দেখেছে ছবি ‘শোলে’
বিষয় যে “বদলাবার”।
অযথা শুধু লিখে কি হবে
কাগজ কলম তার দাম আছে –
ঠোঙাও সস্তা উৎসবে,
বৈষম্য-কবিদের, এতো বিষম কথা
দুপক্ষ বা বিরোধী না হলে, অচল তা
পেশা অনেক তবু রাজনীতি করে
সহজে যাতে দাবীর ধ্বজা ধরে,
বিখ্যাত কথা “আমরা সবাই কবি”
সবার মনটা আসলে
যেন ভাবনার আদলে,
আমার যেমন অতি তুচ্ছ এই ‘হবি’
অভিমান-যেন নাম নেই তো সম্মান নেই,
এখনি এই, ভবিষ্যতের কোনো গুরুত্ব নেই:
সন্ত্রাস ধ্বংস হত্যায় হিন্দুরা – বাংলাদেশ
কোন্ লেখা নেই,
কবিতার খেই –
নীরবতা যেন কিছু বুকে বিঁধে ‘আহা বেশ’
প্রতিবাদও নেই, নেই লেখক কবি
স্বার্থের দাবী মন্ত্রণার সুধু ক্লিষ্ট ছবি,
বিশ্ব সংস্থা কথা বলে না, মানবতা-অধিকার –
জোট কেন চুপ সেই এক ধর্মের কারবার,
উপরাষ্ট্রপতি তাঁর নিহিত কর্তব্যে –
দৃপ্ত, তাগিদে বিহিত করতে হবে,
আজন্ম ধর্মান্তর-জঙ্গি পোষণ
আইনে সমাজে সন্ত্রাস বিতাড়ন
আধুনিক পৃথিবীতে দেশ – পাকিস্তান,
ভরত অপেক্ষায় পাদুকা আগলে
অসুর রাক্ষস যত ভূত-ছলা দলে –
বদলে রামরাজ্য, সংবিধানে “হিন্দুস্থান’।
নতুন শ্রেণী উঠছে গড়ে
স্বাধীনতার সাতাত্তরে,
মেধা না থাক পদ বেড়ে যাক
হিসাব শেষে ফলত: বিপাক,
মুসলিম সংরক্ষণ আজও –
সুযোগ সুবিধার বহরে,
সত্য কবি প্রকৃতির-মানুষের
নেই কোনো দাবী-স্বার্থ,
সহজ সরল প্রত্যয় জীবনের
ভালোবাসা পরমার্থ l
আয়েলা থেকে ডানা
মাঝে মাঝেই প্রবল ঝড় আসছে
ঘূর্ণি না এমনি, বড্ড ভালোবাসছে,
সঙ্গে বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকায়
বাজ পড়ে যেন ধমকায়,
তারি মধ্যে যদি শিল্ পড়ে
বয়স যেন ওমনি নেমে পড়ে,
বয়স যেন ঋতুর আবহাওয়া
অকারণে চলকে লাফ দেওয়া,
সতর্কতা, কখন যে কি হয়ে যায়,
ডানায় ওড়ে-দোলায়-ঝাপটায়
মানুষ বসতি ধ্বংস হেলায়,
প্রকৃতি নিজেই নিজেকে বদলায়।
সাবধানে, হাঁটুর ওপরে শাড়ি
দেখতে পাচ্ছ না,কাছে এসো,
ছাতাটা ঠিকঠাক দুহাতে ধরো –
এক সঙ্গে ঝগড়া ভাব আড়ি।
পারের দাবী, ছোট্ট আবদার,
শাসন জুড়ে সুন্দর সংসারl
ভালোবাসাবাসী
চলো, ঘুরে আসি
তুমি আর আমি
নির্জন কোনখানে,
যেখানে হাওয়ায় আবেগ
রৌদ্রে মেঘলা
ছায়ায় আনমনা তেজ,
আশপাশে জমি জলা
পুকুর নিদেন,
গাছগাছালি যেন অভিষেক
পা ছড়িয়ে সময়টা বেশ।
না থাক চড়ুই ভোজ বা বাগানে,
জল কিছু ফল আর যা মুখ টানে,
সঙ্গে স্মৃতি -যত কথা বাকি
ভালোবাসা বাসী।
শেখা
ভালোবাসার বর্ণমালা চুমু
সাহস সেও একটুকু দ্বিধায়
বলেই ফেলি -‘তরে একখান দিমু’
“ধ্যাত-তুই না” – কথার মানে বোঝা দায়।
শরীর থেকে নামিয়ে রাখি শাসন
জাপ্টে ধরি আদর করার ফাঁকে,
বৃষ্টি নামে ভাষাহারা যখন
তুমিই বলো আটকানো যায় তাকে।
সামলানো তাও সম্ভব নয়,
ছোটার খেলা ছুটেই হবে শেষ
মগ্ন প্রেম যেন জগৎময়-
এই চাওয়া সময়ের আবেশ।
পরিচয়টা মালা, প্রেম হলো গিয়ে —
বাকি, বর্ণ শেখা হবে সময় নিয়ে।
স্বাধীনতার ৭৬ বছর
যত মত তত পথ শ্রীরামকৃষ্ণ কথা
মানুষের জন্য যেন ভগবান বারতা,
তবে কেন গণতন্ত্র সবাইয়ের জন্য নয়,
প্রত্যেক বছরে কত আত্মাহুতি হয় ?
কারো জন্য জনসংখ্যা বড়-ছোট্ট সংসার
যথেচ্ছ জন্ম কোথাও ধর্ম অহংকার।
ধনীর দরিদ্র মন আজও বকলমায়
দারিদ্রের উদারতা মন ভরে যায়,
ধীরে নীচতাও দীর্ঘ সময়ে বিষবৃক্ষ গড়ে
বঙ্কিমের বাক্য বাণী ফলছে ঘরে ঘরে –
ফুটছে ক্ষোভের লোভের ফুল শীঘ্র সহজে
অসহিংসু সম্বল নেশা সুযোগ খোঁজে,
স্বাধীনতা পালন ভারত-পার ছিয়াত্তর বছর
‘হিন্দুস্থান কি কসম’ প্রচার, অনুষ্ঠানের বহর,
সামান্য এ লেখা উদ্বেলতা আনবে কি মনে
ত্যাগ তিতিখ্যায় এ দেশ অন্য জাগরণে,
তবে কি দেখতে হবে কচ্ছপের জয়
শিবাজীর স্বপ্ন ‘হিন্দুস্থান’ সংগ্রামে লয়,
জন্মে সঠিক নাম হয়নি রাখা
অনাথ আতুর, ব্যথা নিয়ে থাকা,
তন্ত্র জটিল প্রাচীন নিয়ম প্রচলয়
ব্যবহার অবিচার ব’লে কুখ্যাতি হয়,
ধর্মমত ভাগে ভুল, জনবিড়ম্বনায় দেশ,
জন্মের আগেই পাকিস্তান জিন্না আদেশ।
ভোট দেশ গণতন্ত্র টাকায় সংখ্যায়
ভারতবর্ষ বাদ বর্ষ, ভরসা কোথায়।
সময়ের পরিচয়ে সংবিধানে বদল অমোঘ,
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ‘হিন্দুস্থান’ হোক।
অথ : উষ্ণ কথা
গরম কালে গরম খাবার সবাই কেন চায়,
টাটকা বাসি বিষয় তা নয়, স্বাদ উষ্ণতায়।
শীতকালে গরম খাবার সবাই কেন চায়
শীতলতা বিষয় তা নয়, শরীরে পোষায় ।
গরম ছবি জল বা তেলের রঙে ও রেখায়,
ধ্বংস আগুন তীক্ষ্ণ যত রাগ হিংস্রতায়।
গরম লেখা যেই পড়া, উঃ আ: বলে যাকে
ব্যক্তি থেকে রাজ্য রাষ্ট্র সাবধানে থাকে।
গরম প্রেমে যৌবনের একক অধিকার
যোগ সঙ্গ লক্ষ্য তেজ সবই সাধনার।
গরম চুমু, চুমুক চায়ে, গরম চাটুর চেয়ে –
গরম ভালো বলতে বসি দারুণ খাবার খেয়ে।
গরম নিষেধ ভেটো নাকি জোট ধর্মের দেশ,
ভয়ের ভক্তি একরত্তি প্রেমেই জমে বেশ।
দুর্ভাবনা যন্ত্রণা, জোয়ার নেশা,অবুঝ গরম ভয়
দেনার দায় মৃতপ্রায়, করোনা, মৃত্যু গরম নয়।
গরম কিছু বাদ গেলো কি? লিস্টি কোন নেই
টেস্ট করোনা টোস্ট, গরম রোস্টে ক্ষতি নেই:
গরম খবর বাংলা নাকি মরুর সাথে মিল
ফ্ল্যাট বাড়ি আর মানুষ করবে না কিলবিল
দারুণ মজা রঙ্গ চড়া সবাই মিলে উটে
জেলা কি-রাজ্যটাই ঘুরব কয়েক ছুটে॥
বন্ধু
বন্ধু বড় আদুরে ডাক মেলানো অমিল
সুখ দুঃখের ভাগ মানা ভক্তি তিল তিল:
হাজার বন্ধু বাজারে আছে
দেখা হলেই ঠিকরে হাসে
বাঁদিকে আর ডানদিকে ঘাড়
মানে হলো যা হচ্ছে হবার
তেমনি আছি যেমন থাকার
কেউ কারুর ধারি না ধার,
আজকাল আর নেই কথা
সবার যেন দাঁতের ব্যথা,
নানা মুনির নানা মতে
পালায় কথা ভুল চুলোতে
কাটাকুটি চোখের ছানি-রঞ্জিতদা –
‘মা’ কেমন, খবর কি?
হোয়াটস আপে পাঠা কথা
কেন আবার ফোন করছিস,
ও ফটিক, ফিরতি বাজার ব্যাগ দুহাতে
একটু দাঁড়া, অনেক কথা বলার আছে,
ফেসবুকে দে বা ইন্সটাতে
সেলফি তুলে দারুন যাতে:
এও খেলা, সময়টাকে বইয়ে দেয়া
যেন স্রোত ছাড়াই বইছে খেয়া
দূরত্বে তবু করুণাসিন্ধু শ্রী কৃষ্ণ
পরম বন্ধু হে সীতা রাম
অবতারহীন কলিকালে – সর্বশক্তি
ভরসার শেষ নাম ‘ভগবান’l
শেষ প্রেম
সময় হয়েছে শুরু সবে
সবেতেই ভালোবাসা ঝরে
শৈশবে সব প্রথম আলাপ,
ছড়ানো সাজানো মজা
যেন ভালোলাগা খোঁজা
অবুঝ মিঠে উত্তাপ।
অনুভূতি সেটা কি ? কৈশোরে আস্কারা-
কেন ? কে? কোথা হতে? প্রশ্নের ধারা।
যৌবনে শরীরে টান মননে সম্মান
অর্জন ও দাবি – লড়াইয়ের গান
প্রৌঢ় সময় হেলে পড়ে
চোখ পাতে হিসেবের ঘরে
আর প্রশ্ন নয় যেটুকু সঞ্চয়
মনের স্থিতি রূপ বড় মায়াময়।
তবুও শেষ প্রশ্ন : লেখক বালজাক
ভালোবাসায় সারাটা জীবন খাক
শৈশব কৈশোর যৌবন পার –
অভিনয় অভিমান অভিলাস কার
কারো ফর্দ কারো ফাঁদ
ভিক্ষা বুভুক্ষা – প্রতিবাদ –
কত নারী কত ভাবে ভাব বিনিময়
অসহ্য অধৈর্য সংসার সময়-
যৌনতা শরীরী নেশা ভালোবাসা নয়:
শেষ যৌবনে প্রেম যেন সত্যি হয়l
তোমাকে নিয়ে
অন্য অনেক কিছুর মতো
ভালোবাসার সেট হয় না
তোমাকে ছাড়া।
সবার জীবন যেন সবার ধারণা
অমাবস্যা জোছনা-
বিজ্ঞাপনী ওড়না –
ঢাকা ক্ষত সর্বহারা,
সেলফি তুলে শেষ হয় না –
তোমাকে ছাড়া।
সময় আগলে কে তেপান্তরে যেখানে
মেলামেশা মাটিতে আকাশে – ডাকে
কেউ কি আছো ?
জীবজন্তু গাছপালা ফুল পাখি
সব্বাই বলে ওঠে ‘আমি আছি’
তোমরা বাঁচো –
প্রকৃতি নিজেই আত্মহারা:
ভালোবাসার সঞ্চয় হয় না
তোমাকে ছাড়া।
পিঁপড়ের পরিশ্রম পৃথিবীময়
আরশোলার ছোটাছুটি ঘরময়
টিকটিকি গেলে গ্রাস
ভুল ঠিক টিক সাবাস
পাখিও খুঁটে খেতে জানে,
নিশ্চিন্ত আরাম আছে অভিধানে
জীবনের এইরকম ধারা :
ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয় না
তোমাকে ছাড়াl
এক হাত তুলি, দু’হাত তুলি
তিলক-টিপ্ ভক্তি নাচি
গড়াগড়ি সত্যি হাঁচি
কাদা-মাটি, খই বাতাসা
ময়না টিয়া কইছে কথা
জিও, খাঁচায় খাড়া বুলবুলি:
দোষে গুনে-ভালো মন্দে –
মায়ার পাহারা,
ভালোবাসার মানেই হয় না –
তোমাকে ছাড়া ll
সুস্বাদু জীবন
স্বাদ কি শুধু মিষ্টি
টক ঝাল ও তিতা,
সামান্য বা বেশি
হাজার রকম কি তা –
সবজি আছে ফল আছে
চাই মসলা রান্না
ভাগ আছে পরিমাণে
হাজার হাসি কান্না,
হাতির কাছে লঙ্কা বিষ
টিয়ার কাছে মিঠা
মায়ের খুশি ভগবানের
ভাগ্যে মেলে সেটা
আত্মহত্যা দুর্ঘটনা মুহূর্তে হঠাৎ
দীর্ঘ ক্ষতি-ধাক্কা-সংসার সমাজ
(তবু) সব মিলিয়ে যদি মানো
উপভোগ্য নাটকে মিলন;
বিরহ বেদনা আছেই জানো
বাসনায় সুস্বাদু জীবন।
শেষ থেকে শুরু
সেই জ্ঞান হওয়া থেকে শুরু
ভগবান সর্বশক্তি শ্রেষ্ঠ গুরু,
খালি হাতে আসা যাওয়া
পরিক্রমা পরম পাওয়া,
অধ্যাত্ম দর্শন বিজ্ঞান -সব
ছিল-আছে-বহুরূপে কলরব
সুখ দুঃখ হাসি কান্না আসল নকল
সংসার নিয়মের ছল – শৃঙ্খল।
এখন মুঠো ফোন বাক্স ছবি
পড়া লেখা দেখা ও শেখা
মহাকাশ গ্রহতারা -তত্ত্ব এবং
হাজার ধরনের শখ নেশা পেশা
জীবন পারের খোঁজ-কানা কড়ি।
যা কিছু হয়েছে জড়ো
দক্ষতা জ্ঞান ও সম্মান
হিমালয়ের চূঁড়ো;
অন্তত: মনুষ্য জন্ম ও –
জীবন পেয়েছো যখন
অ আ ক খ দিয়ে
ফের শুরু করো।
বন্ধু নদী
কি এসে যায় কি নাম তোমার নদী
নাম মানে তো পরিচয় ও ডাক
বয়ে যাওয়াই স্বরূপ তোমার যদি
দু:খ কষ্ট যতই বুকে থাক।
স্রোত বা গতি, এরই নাম জীবন
আছড়ে পড়া দুপাড় ডোবা ঢেউ,
জোয়ার ভাটা নিত্য আছে যেমন
নদীর প্রেমে ভুল বুঝো না কেউ।
সাঁতার ছাড়াও বুঝতে হবে মন
কোথা ঢালু – গভীর বা মাটি
জলের পাখি, কুমির জলের ঝোপে
ভালোবাসা নদীর পরিপাটি।
ফিরে আসার স্বপ্ন না বা সাধ
সমুদ্রে যে মিলিয়ে যেতে চাও,
নদী তোমার চলার অপবাদ
পারলে তুমি আমায় একটু দাও।
মরণ নিয়ে ভাবনা শিকেয় এখন
উচ্ছলতা তোমার ভালো লাগে,
চোখের জলের দাগ রয়েছে কোথা
বন্ধু, এসো মুছিয়ে তা দিই আগে।
মন খুলে তো কত কথাই হলো
ভালোবাসার – ভাষাই – যেন বাকি,
যে কটা দিন আরো আয়ুর ঘরে
খুশির হাওয়ায় বন্ধু হয়ে থাকি।
হিন্দুস্থান
যে যার অন্ন সংসারেতে
মোটা রুটি শিস দিয়ে যে,
চায়েও এখন সবুজ আছে
সিঁড়ি পিঁড়ি ধুৎ তেরে কি
হাঁটুর নিচে লিফটি নাচে,
ফিরিজ মাছ হাঁস পাখি ডিম্
কিচেন জুড়ে চিকেন কিরিম
ছি: এঁটো হাত কেউ চাটে না
সারাটা দিন চাটছে কে না,
নিত্য শক ও পেটের গ্যাসে-
কারেন্টেরও উনুন আছে
সংসারেতে সবই আছে –
উপভোগ করে মানুষ বাঁচে:
ধুলো? দূর, কোনকালে ফুরিয়েছিলো
বলুক তো কেউ, কোনখানে নেই
ফালতু কুলো – উড়িয়েছিলো,
কাদায় এখন না বলতে নেই :
সোনা রুপো পয়সা এখন
ইস্পাত সব কাঁসার বাসন,
রাগ ঝগড়া তাও হয় সুখ
কথা বলেও মনটা জুড়ুক,
তালপাতা নেই – ট্যাপকল জল
রোজ গল্প জোগায় কে বল,
তৃপ্তিটা কি? শান্তি কোথায়?
কেউ বলেছে সময় কি চায় ?
পড়ার দেখার শোনার বোঝার
সময় না থাক বয়স কাবার,
সব দোষ ওই জনসংখ্যা –
জিনসের নাচ টুপিরও টাক
একটা মেয়ে হারাধনের
দশটা দোহাই সেই ধর্মের :
পঁচাত্তরটা বছর যে পার
গণতন্ত্র কি শুধুই গোনার,
আবার আর এক জিন্না হলে
কবরে যাবো আমরা ম’লে
দেশভাগ ও স্বাধীনতার –
ধর্ম নিয়ে দেশ জেরবার
সময় ছিল শুধরে নেওয়ার
বদল কোথা যা দরকার :
ভাবলো না কেউ ভাবছে না –
জমছে লাখো অভিমান
সময়ের জ্ঞানে তালে ও বদলে
সংবিধানে হোক হিন্দুস্থান।
এসো প্রেমকে সাজাই
ঘর বাঁধতে প্রেম, প্রেম বাঁধতে ঘর
তারই মধ্যে চেনা জানা
সত্যি মিথ্যে অন্ধ কানা
সুদ আসলে মেশা, ধার খুঁজতে মর।
সুখ কি তোর একার চাইবি নিজের কাছে
বুক ভরে কি নিবি তেমন আদর আছে,
আছড়ে পড়ে উপচে পড়ে শরীর জুড়ে ঢেউ
দেনা ছাড়াই দেওয়া নেওয়া ভুল করোনা কেউ।
এক পলকে জন্ম, মৃত্যু আর এক পলে
চুমোয় ভরা ঠোঁট, ‘হাঁ’ টা কি তাহলে,
এক জীবনে জড়িয়ে থাকা সাত জন্মের ভান
ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখা প্রয়োজনের মান
দেখলে তুমি পড়বে প্রেমে ‘না’ এর বেলাও তাই
বাছাই করো সাজ আজ, এসো প্রেমকে সাজাই।
জীবন যেমন (৬)
পোকা মাকড় খুব বেড়েছে
ঔষধ বদল হয়নি কি তাই,
নেশার ঘরে অমৃত বিষ
জন্ম মৃত্যু কিছুই যে নাই।
কেমন আছো জনজীবন
লড়াইটা জমছে কেমন ?
জোগাড় জড়ো বাঁচার রসদ
চশমা পোশাক ক্লিপ প্রসাধন
মুঠোর মধ্যে প্রেম রয়েছে
মূল্য দিয়ে মিলবে যা চাই।
বাছাই করা লড়াই এখন
যাচাই করা মনুষ্য মন,
আসল ভেজাল জাল হয়েছে
গুলিয়ে যাওয়া দোটানাই।
কলম আজও আগুন লেখে
যুদ্ধ নয় – শান্তি পেতে
আগ্রাসীদের হঠে যেতে
ঝাঁপিয়ে পড়ার কলম চাই।
উঠছে গড়ে শিশু কিশোর
যৌবনের শক্তি আদর
দেশের দশের জয়ধ্বজা ওড়াবে সবাই।
অলিখিত কলম যুদ্ধ
রাজ্য-রাষ্ট্র-বিশ্ব সুদ্ধ
জ্ঞানের দাবি সব সময়ের
আধুনিকী জাগরণ
পরিবর্তনের মাঝে দেখি
জনজীবনের মহারণ।।
ভালোবাসা রামধনু
আমার একটা দোলের ছবি চাই –
দারুণ;
বলতেই সে আমায় হাজার ছবি দেখালো
পাঁচ বছর ধরে জমানো
ট্রেনে বাসে মন্দিরে ভ্রমণে
যেখানে সেখানে – কাজে
ইচ্ছেমতো পোশাকে ও ভাবে –
যেন শুধু মনে হলো তাই –
সেলফি – তার আমার,
রঙে দৃশ্যে রামধনু ভালোবাসা;
শেষ যে ছবিটা ছিল খাসা –
ওর কোলে আমার কাঁধে, আমরা চার –
ভাবুন; এই আমি এবং সংসার।
দূর, তোকে আমি কি করে বোঝাই
এখন রঙের সময়, এটাতো ফাগুন,
দাদা দিদি কোথা যায় –
তার মানে রং চায় –
ওই যে মেয়েরা এখন দোকানে যায় –
দেখে যা মজাটা কি রং মাখায়,
রঙের বালতি বেলুন টুপি ও ওড়না
রঙ্গিন প্রশ্রয়ের ঠোঁটে নির্ভয় ঝর্ণা,
যুবক যুবতীরা একধারে
অসম বয়সের ভিড়ে-
অযথা ছুটোছুটি এলোমেলো,
বসে শুয়ে রংস্নান যে পারে যেখানে
সব রং আছড়ে পড়ে সবার শরীরে,
রঙের মধ্যে যেন হৈ হৈ-হা হা-হো হো
শব্দরা তেড়ে আসে- রং মাখে
মিশে যায় খেলা করে উষ্ণ আগুন –
রঙের আদর ও আদরের রং –
ফচকেমী -কত রকমের ঢঙ
একঝাঁক জীবনের প্রফুল্ল ছবি
রঙের বাগানে ;
এখন কোথা খুঁজে পাই তোমাকে –
এতো সবাইয়ের মাঝে
যেখানে রঙের আমি তুমি কবিতা আছে,
যেন কেউ চেনা জানা নাই –
যা: ভালোবাসা রামধনু না ছাই।
পঁচাত্তরে স্বাধীনতা
ভালোবাসা মানেই বিশ্বাস –
অংশত নির্ভর
বিক্ষিপ্ত বিদ্রোহ করে সূচনা –
আসন্ন বিপ্লব,
সুতরাং হতাশ হোয়ো না
ভালো নয় দীর্ঘ দোটানা
সিদ্ধান্ত নিতেই হবে
এবং ঘোষণা;
সন্ত্রাস ধর্মান্তর
লক্ষ্য কোটি হিন্দুর আত্মাহুতি
দুর্ভোগ দুর্দশার পর-
আমি কেবল আল্লার নফর
মূর্তিপূজা কোনো ধর্মের নয় ;
মোগলদের ইতিহাস – মেরে ফেলো –
সংখ্যায় হবে দিগ্বিজয়,
রাজতন্ত্র সেও এক ”গরিবি হটাও”
পরে হলো লিখিত ভর্ৎসনা;
গণতন্ত্র সেও এক ভুল নাকখৎ
অট্টালিকায় বেড়ে ওঠা বট,
মহম্মদ খৃষ্টের বহু আগে
বুড়ি ধৰ্ম-বুড়ি মা- বুড়ি দেশ
চাটু যুক্তি তর্ক চালাকি
নষ্টামির একশেষ
কালিদাস আজও ডাল কাটে;
সাত নয় পাঁচও নয়
জন্মের আগেই জিন্নার ‘পাকিস্তান”
ভারত স্বাধীনতার পঁচাত্তরে
সংবিধানে নেই হিন্দুস্থান।
ভালোবাসার অন্ধকার
জানাশোনা আশীর্বাদ কতকাল
এখনো রয়েছে বেঁচে
তোয়াক্কা করে না
অভাবিত ভুল অভিশাপ
মাশুলে ডোবে না সংস্কার;
এই মাটি দেশ মা রক্ষায়-
ভক্ত পুত্র -তারই যে দায়
কবরের মাটি চাই
শ্মশানে ছয়লাপ ছাই
মাটি না পায় যেন রক্তবীজের ঝাড়
সবুজ ফসল ফলে বাঁচার খাবার
কতরকমের বর্গী -খুন-লুঠ-সন্ত্রাস-
ধর্ষণ ধর্মান্তর
পোশাক বদলের পালা সাজের বহর
ফেলে যাওয়া আবর্জনা ভার
স্তূপাকার থেকে পাহাড়
সভ্যতার অন্ধকার চিরকাল
শস্য ভালোবাসে পঙ্গপাল l
ছিটকে বেরিয়ে গেছে গুলি
বিস্ফোরণ অবাক –
আঙুলে আংটি না ট্রিগার
কে কার, কোথায় আঘাত
ব্যবহার পরীক্ষায়,
এক ছুরিতে খুন ও ফলার:
“হুন্দুস্থান কি কসম”
হিরোর এক লাফ -পগার
এমনি পরম্পরা পার –
খাস হোক বা না হোক
রক্ষা করা খতিয়ান,
মুঠোয় বাজনা ডাক –
হরকরা না হরবোলা-প্রযুক্তির বার
তৃষ্ণায় অবাক জলপান:
দেশভাগ স্বাধীনতা – ৭৬ বছর
সহিষ্ণু ইতিহাস,
অজুহাত তঞ্চকতা তীব্র অভিমান-
রাজনীতির আদর
ভালোবাসা পকেটে গোলাপ
প্যারেড টুপিতে পালক,
বদল বা সংশোধন-সংবিধান –
ভালোবাসার আলোয় হোক
ঘোষণা সোচ্চার
এ ভারত সত্যি হিন্দুস্থানl
হ্যাপি নিউ ইয়ার
ভালো থাকা আবার ভীষণ
ভীষণ শক্ত জানি
সহজ হলে হালকা হলে
হবেই ভীষণ দামী,
স্বপ্ন সফল করে ক’জন
ক’জন পায় মণি
ফেলতে পলক দেখতে পাওয়া
শুধুই পুরাতনী,
শুভেচ্ছা আর প্রার্থনায়
শুভ শক্তি জাগে
ভাগ্য আছে ভাগ্যিস
কর্ম তারও আগে,
ঝরা পাতা চিরকালই
অল্প হাওয়ায় ওড়ে
চড়ুই তবু সহজভাবে
আকাশ ভেবে মরে,
একটা একটা করে যেন
ষাটের ঘরও পার
সংখ্যা নয় বাজছে শুধু
হ্যাপি নিউ ইয়ার।
বৃষ্টি হোক
পৃথিবী নয় নিজের দেশের পথে পথে
শ্মশানে মন্দিরে গ্রামে শহরে ভ্রমণে
জেনেছি সব বেদনার লীলা সাঙ্গ রীতি
প্রেমপদ্ম কাঁটাহীন অসম্ভব যত আধুনিকী;
ভালোবাসা সেও এক প্রস্ফুটিত বেদনা
ব্যক্তিগত অভাবের মতো সঙ্গিনীর খোঁজে
মিলেমিশে একাকার –
নিয়ত এক নীরব ঘোষণা;
দেখো, দেখো, আমি আছি, প্রেম আছে
রক্ত মাংসেও প্রতিমা বাঁচে
ভুল ব্যথা, ভুল ক্লেশ, ভুল রক্ত -দাগ
ভুল পাওয়া জীবন হয় না
তর্কে যদি ধরি বেশ, তবু অভিমান –
নিষ্ফলতা সায়াহ্নে সয় না
এখন অন্য অসময়ে – দুষ্টু অভাব
সহজ অশান্তি সহজ ধ্বংসের লাভ
কারো খুশি খেয়াল অহংকার জেদ
কারো ক্ষতি ক্ষোভ দুর্ভোগ শোক;
যে যায় সে যায় –
যে থাকে বেদনায়,
প্রভু তব প্রেম প্রেরণা চেতনা আলোক –
ধুয়ে দিতে ভুলভাব ঘৃণা ও ক্লেদ
অবিশ্রাম সুচিন্তা সুমতির বৃষ্টি হোক।
মিঠেকড়া
ডালভাজা ঝুরিভাজা চিপস ও বাদাম
নারকেল শুঁটিদানা চানাচুর নাম,
টক ঝাল মিষ্টি ও নোনতা
ফুরফুরে কচি কাঁচা মনটা ।
কে কি হবে তাই নিয়ে হুড়োহুড়ি চলছে
খুনসুটি আহামরি অভিমান জ্বলছে,
ফটো নাও দেখে যাও এবং দেখাও
আমি আছি আমাকে পৃথিবীটা দাও।
‘মা’ বলে তুই ‘মেয়ে’ বাবা বলে ‘মা’
প্রতিবেশী রোয়াকটা বেশি বলে না
পড়শি এখন কোথা পাশের ফ্ল্যাট
দূরত্ব আর মাস্ক – ক্যামেরার ফ্ল্যাশ।
স্বাদ গন্ধ দেখন্তি বিজ্ঞান কতদূর
ভিটামিনে এ-জেড ভিরালে ভরপুর
শৈশব কৈশোর মুঠোফোন ল্যাপটপ
আগামীর যৌবন ক্লিক করা মধুবন।
রং রূপ সাজগোজ ভিড়ের মায়া
আংকিক শুভ লাভ জয় ও জায়া
যত খেলা তত ঢঙ ছায়া কায়া
তর্জনীর মাথাব্যথা ব্যস্ততা ভায়া।
বারানসি বৃদ্ধাবাস ফুলের তোড়া
হাজার রকমারি গল্প কবিতার ঝোরা
পঁচাত্তরে স্বাধীনতা ‘হিন্দুস্থান’ কথার কথা
বিধান তো সং আজ যেন ভুলে ভরা।
ভারতের ইতিহাস সন্ত্রাস ধর্মান্তর
সরকারি নাবালক – সুযোগের যা বহর
নাম যশ ‘গব্বর’ মিডিয়াই যে ধরা
ভালোবাসার ছড়া বড় মিঠে কড়া।
জীবন যে রকম (৪)
‘লুডো’ নাকি মেয়েদের খেলা
অলস দুপুর কিংবা বিকেলবেলা
(এখন দেখি) ট্রেনে বাসে ব্যস্ত তরুণ যুবা
মোবাইলে অলিম্পিক জয়ে
জীবন যেন শুধুই আঙুলখেলা
মরবে না কেউ ‘শোলে’র নেহাত ভয়ে;
মলাট দেখেই গুছিয়ে রাখা বই
কি হয় পড়ে – অত সময় কই,
মনে নেইতো আলাপ কোথায় কবে
এমনি হঠাৎ আটকে যায় অনেক,
‘ভালোবাসা’ শুরু কখন হলো
যা: ফালতু বলিস ভালোবাসার শেষ
ভুলে গেছিস, খুট ধরে মার্ টান
জীবন যেন ভালোবাসার গান
ধরেই নাও- দোষটা কি আর হবে?
জানতে গেলে বই পড়তে হবে
‘কাজে আছি’ পরে কথা
এসব আর সয় না,
ছোট্ট করে অল্প কথায় –
ভালোবাসা বাসি হয়েও হয় না।
জীবন যে রকম (৫)
মাছ গাছ জলাধার মাটির আদর
মাটিই সব
শস্য অমৃত ধান শীষ
সভ্যতা, সভ্যতার কবর,
আলো হাওয়া প্রকৃতির অঙ্গ
ঝড় বৃষ্টি সাজানো আসর
জীবনের গড়া বসবাস –
জোগাড় জড়ো খাদ্য বাসর
মানুষের উৎসব সাজ সর্বনাশ;
তবু শেষ নেই, আছে রূপান্তর
সময় উপচে পড়ে ফুলে
তলানিতে বিষ –
শুধু থাকে অলংকার অহংকার –
আবিষ্কার যা ছিল আছে তার
জীবন মজার বেদনার।
নিজেকে ছুঁয়ে আছি
কোথা জয় পরাজয়-আদিগন্ত সময়,
মায়াবতী নয় লজ্জাবতী:
একটু ছোঁয়া ভুলে বা ভিড়ে,
‘কি? জেলে যাবি নাকি রে’,
ভুল ছোঁয়া – লাভ, খ্যাতি:
এ পৃথিবী ছুঁয়ে আছে শূন্য প্রলয়।
নিজেকে ছুঁয়েছি কত স্নানে
আহারে বিহারে মান অপমানে,
কবিতায়-অসুখে সঙ্গমে,
গল্পে বা গানে, নাই মনে,
নীল কষ্টে ওড়ে হলুদ পাখি
‘সেলফি’ ভিডিও তুলে রাখি,
জয় পরাজয়ে মূল্য ভাগাভাগি হয়
সমস্ত চেতনায় একা বিস্ময়-
নিজেকেই নিজে ছুঁয়ে আছি।
তোমার পরিচয়
বৈশাখে হল্কা হাওয়া
যদি না সইতে পারো,
শীতের দারুণ দৌড়
যদি না বইতে পারো,
বর্ষা জুড়ে ঝর্ণা
তোমার কি মন ভেজায়?
হেমন্ত মন্ত্র মিঠাস
নিজেকে কতটা ভোলাস,
বসন্তে প্রেম-ভালোবাসো
সারাটা বছর নয়?
তুমি যতটুকু যা পারো
সেটাই তোমার পরিচয়।
কাকস্য পরিবেদনা
জানালার রডে বসে উঁকি ঝাঁকি
উঠোনে বাটিতে জল ছিল নাকি,
লোকে বলে কাক জানে
কোন ঋতু কোনখানে,
খাচ্ছিস ফেলছিস পথে ঘাটে
কাক দেখে কি নিয়ে যায় কে
পরচুল, টুপি না টাক
কাকের চোখ এড়াস,
‘রেবা’ বলে, যা যা, জগতে আর নেই পাখি?
জেঠু দাদু পুতি নাতি
কেউ তোর নেই নাকি?
জানিস না, না থাকাটা কি,
তবে যে ঝগড়া হলে ‘মাসি’ সদলে
কোনো কাক মারা গেলে
সারা পাড়া শোরগোলে-
শুধু কা-কা
খা খা, আমার মাথা খা।
সবাই পাঠক
কে বলেছে কিনতে গেলে বই?
উপহারে কেউ আজ মানে না,
জানো না, বাজারে টানে না
ফালতু খরচ জমা কাগজ গাদা
ইঁদুর জানে বইয়ের লাট লেগেছে
পড়া-সে তো ‘নেটে’ চলে দাদা
সর্দি কাশি হাঁচি-ফেউ হেগেছে,
পত্র লেখা? বিদায় পত্রপাঠ
বই ছাপানো? ঝক্কি খরচ উটকো
এখানেও চিটিং চ্যাটিং
কথায় যেন মহা রাগিং
দেখো লাগে কতদিন একেবারে লুপ্ত
আমন্ত্রণী কার্ড নকশা রঙ্গিন
কারুকার্য বাছাইয়ের দিন
কবেই গেছে নেহাত বজায় ঠাট
সবই হয় ‘আপ’ সুবিধায়
অসুবিধা ছোট্ট যেন গুপ্ত।
টাটকা বিয়ে বা বার্ষিকী জন্মদিন অন্নপ্রাশন
গন্ধ খাম রঙ্গিন ফিতে হলুদ ছোঁয়া মন,
রানার রানার বোঝা টানার দিন হয়েছে শেষ
শহর গ্রামে একযুক্তি প্রযুক্তিতে নিঃশেষ,
বইপড়া সেই মজার আলো
তামার থালায় জমকালো,
আবার যেন তেমনটা হোক
শখের ঢের- সবাই পাঠক।
আড়ালে মাপা
বেশি কেউ দেবেই না
কই দেখি? ভেবেই না,
পাতার আড়ালে গাছ
ফুলের আড়ালে ফল
সাঁতারে চিৎ কে, মাছ?
তরমুজের মধ্যেই জল,
কি এমন ভালোবাসিস
পানপাতায় মুখ ঢাকিস,
ওড়নায় চুমু যেন আঁকা
দুধ আলতা পায়ে ছাপা
জল কলসি কাঁখে-
এ সবের আড়ালে কাকে
আঁচলের আড়ালে খুঁজিস?
সংসারের আড়ালে প্রেম
প্রেমের আড়ালে সংসার,
তবু তোর মুখ ভার
আড়ালের এমনি এলেম
কত ঢঙে ঢাক পুঁজিস,
সময়ের সামনে সব হয়
ক্ষুধা তৃপ্তি কষ্ট যত
সমুদ্রের ঢেউ অখ্যাত,
লড়াই-জয় পরাজয়-
আড়ালে ইচ্ছেমতো মাপা।
খোঁজা
বড় ভিড় চারপাশে, হৃদয় গভীরে,
এই চোখে লাখ ছবি
স্মৃতির স্বপ্নের বেঁচে থাকাটার,
তবুও সে খোঁজে কাকে
দেখবে সে নিজেকে নিবিড়ে।
অজস্র কলরব, বিচিত্র হা হা চিৎকার
তোলপাড় একাকার জীবন জোয়ার,
দুকানে আঙ্গুল দিয়ে কান পেতে থাকি
যদি শোনা যায় শুধু
সেই মিঠে সুর-
স্নায়ুময় কিছুক্ষণ শিহরণ ধীরে।
ঠাসাঠাসি ভাবনায় বাসনায় আর
দেহে মনে অনুভবে প্রাণে ঝংকার,
প্রতি পলে ভোগ এতো
মন তবু ভরে না তো,
মৌন মুখর হাওয়া উদার আকাশে
আমার একটু চাওয়া মুখ ফিরে হাসে
স্পন্দন কিছুক্ষণ তবু থাকে ঘিরে।
ভালো থাকা
দুই শালিকে ঝগড়া করে
রান্নাঘরের চালে
এ ওর গায়ে ঠুকরে দেয়
গায়ের ধুলো ঝাড়ে,
একটু ওড়ে দুপায়ে লাফায়
এক পা খাড়া-মাথা চুলকায়,
শুকনো পাতায় নাচে ছড়ায়
তারই ফাঁকে ঢোঁক গিলে খায়,
এ হাঁ করে ও ঠোঁট ঢোকায়
এমনি দুজনে মত্ত খেলা
সবে যখন ফুটলো আলো-
তখন থেকে এখন বেলা –
দেখছিলো সব ছোট্ট ‘মমি’
আসল নাম পৌলমী :
মা ডেকেছে-‘যা না দিদি
নাহলে তুই খা বকুনি
কিংবা দুঘা-বুঝবে ঠ্যালা’
এমন যখন বচন ধরন
বাবার গলা-‘আসছি আমি’
মা বলেন – ‘ওই দেখেছো-
পাঁচিলে গো -জোড়া আসন
শুভ শুভ -এবার-এসো’
এরা তখন এই দু’জনা
ফুড়ুৎ করে আমড়া ডালে
ঘষটে দিলো এ ওর গালে,
যাচ্চো যাও নেই তো মানা
তোমরা হলে জানাশোনা,
ভালো রাখাও ভালো থাকা
কালকে আবার হবে দ্যাখা।
হাসি শোনা
পরি, কেমন আছিস? ভালো,
যেমন দিনের আসা যাওয়া
মেলে রোজকার আলো,
তুই,আমি? বেশ আছি, ওরা ফ্ল্যাটে –
চারতলায় থাকে, ঘর ও বারান্দাতে,
রোয়াক কে গিয়েছি ভুলেই
এ সংসারে উঠোন নেই।
‘মমি’ আমাদের মেয়ে, তার মেয়ে রাহি,
ফোনটা ওকে দাও, শুনি ওর হাসি,
‘আমার দুই দাদু, জানো মামনি
একজনের টাক মাথা, আর–থুতনি দাড়ি,
আমি প্রশ্ন করি : বলতো ছোট্ট পাখি কি ?
‘না চড়াই নয়-উত্তর-ছোট্ট টুনটুনি’
নামতা বলতে পারো? আমি সব পারি:
তিন এক্কে তিন, তিন দুকুনে ছয়
তিন তিরিক্ষে নয়, তিন চারে বারো
আদ্রিজা বলে, চার্ তিনেও তো বারো?
দিদিমণি বলে: ‘রাহিকে ধরে মারো’,
আমি শুধু তার হাসি শুনতে চাই আরো।
হে কৃষ্ণ তব নাম
প্রাপ্য ভাবনাহীন যা দেওয়া –
সবই শুভ দান,
কাঙ্ক্ষিত প্রতি পিতামাতায়
সুধু কি সন্তান?
সমর্থ করাও দায়,
সময়ের্ কানায় কানায় কষ্ট
বা স্বচ্ছলতায়-
ফুটে থাকে সেই অবদান,
সন্তানেরও সংসার হয়
চার দেয়ালে রঙ সময়,
বয়সে পিতামাতার যা সম্বল,
নেই কিছু বা স্থাবর অস্থাবর,
ভরসা আছে তবু যদি
দিকবদল করে নদী
অযথা গল্পে ভয় যোগায়,
সাবধানের মার নেই রক্ষা আাসল
অন্তত:কেমন হবে আগামী আসর
সন্তানের সব ভাগ, ভালো থাক,
যতদিন আয়ু প্রাণবায়ু যথা সম্মান
নাম যে পিতামাতা স্বতঃ স্ববাক
তব নাম হে কৃষ্ণ, না গেয়েও গান।
ফিরবো যখন
আমার ফেরার বেলায় দোহাই তোমার
ফেরার গান শুনিও নাকো।
তখন যেন বৃষ্টি পড়ে ফুলের মতো
ধুইয়ে দেবে তিক্ততা আর যত ক্ষত,
অনেক আলো ছড়িয়ে আসে
নেশার মতো ভুলিয়ে পাশে,
যন্ত্রণা নয় অন্য আদর
যেন হৃদয় ভরিয়ে রাখো।
হোক সে মিছে তবু যেন
তোমার মুখে হাসি থাকে,
হোক সে কঠিন-করুন কথা
লুকিয়ে রেখো ঠোঁটের ফাঁকে,
অঢেল খুশির ছটা যেন
অমল হয়ে ছড়িয়ে থাকে
নূতন আসার স্বপ্ন দিয়ে
সহজ করে জড়িয়ে থাকো।
সুখেন্দু পাড়ুই | Sukhendu Parui
Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান
Padma besha | পদ্ম বেশ | অভিজিৎ পাল
Gaja-Uddharana besha | গজ-উদ্ধারণ বেশ | অভিজিৎ পাল
History of Bengali Poetry | কবিতা কি ও কেন এবং তার ইতিহাস
Shabdodweep Web Magazine | Touchy Kobita Bangla | Sukhendu Parui
Bengali literature is renowned worldwide for its depth, emotional richness, and profound impact on readers. Among the many gems that Bengali poetry offers, Touchy Kobita Bangla (heart touching Bengali poetry) stands out for its ability to evoke deep emotions and connect with the soul. These poems are not just words but experiences that stir one’s inner being. Whether you are a lover of literature or a casual reader, Heart Touching Bengali Kobita holds the power to transport you to a world of emotion, beauty, and introspection.
In this article, we will explore the significance of Touchy Kobita Bangla, its impact on Bengali literature, and how platforms like Shabdodweep Web Magazine bring these timeless works to a broader audience. We will also introduce you to one of the prominent voices in Bengali poetry today – Sukhendu Parui – whose contributions to Bengali Poetry have earned him a special place among poetry enthusiasts.
The Essence of Touchy Kobita Bangla
At the heart of Touchy Kobita Bangla lies the ability to express complex human emotions through simple yet profound verses. These poems often touch on themes of love, sorrow, longing, and nostalgia. The raw emotion that these poems convey resonates deeply with readers, creating an intimate connection between the poet and the audience.
Bengali poetry has a long tradition of expressing the deepest facets of human experience. From Rabindranath Tagore to Jibanananda Das, Bengali poets have always been masters of emotion. Touchy Kobita Bangla continues this tradition, capturing the fragile beauty of the human condition through elegant, impactful verses. The beauty of these poems lies not just in their form but in the truth they convey—truths that many may not express aloud, but that readers feel in their hearts.
Why Is Heart Touching Bengali Kobita So Popular?
Heart Touching Bengali Kobita is popular for several reasons:
Emotional Depth: These poems explore the core of human emotions – love, loss, hope, and despair—which makes them relatable to people of all ages.
Cultural Relevance: Bengali poetry is rooted in the culture and history of Bengal. A good Touchy Kobita Bangla reflects this connection to heritage, making it not only emotionally engaging but also culturally enriching.
Simple Yet Profound: Often written in a simple, accessible language, Heart Touching Bengali Kobita can be understood by a wide audience. Yet, their simplicity does not undermine their depth. The poems linger in the reader’s mind long after they have been read.
Through poetry, readers can experience intense moments of reflection and connect deeply with their own feelings and experiences. These poems are a cathartic outlet for many, providing solace and understanding in moments of personal struggle.
The Role of Shabdodweep Web Magazine in Promoting Bengali Poetry
Shabdodweep Web Magazine has become a go-to platform for Bengali literature enthusiasts. It not only publishes traditional stories and novels but also dedicates a significant portion of its content to the finest Bengali poetry. The magazine has emerged as a trusted authority in the world of Bengali Literature, featuring works from both established and emerging poets. Through its online presence, Shabdodweep Web Magazine has made it easier for readers across the globe to access Touchy Kobita Bangla and experience the beauty of Heart Touching Bengali Kobita.
One of the poets featured regularly in Shabdodweep Web Magazine is Sukhendu Parui, a contemporary poet whose works have been widely praised for their emotional depth and poetic grace. His Touchy Kobita Bangla resonate with readers because of their simple yet profound exploration of human emotions.
Sukhendu Parui: A poet of Touchy Kobita Bangla
Sukhendu Parui is known for his heart-touching poems that explore themes of love, loneliness, and personal reflection, Parui has garnered a devoted following. His works are frequently published in Shabdodweep Web Magazine, where his poetry is celebrated for its emotive power and accessibility.
In his Touchy Kobita Bangla, Parui addresses universal human experiences, often with a sense of nostalgia and longing. His writing speaks to the heart, making him a perfect fit for Shabdodweep Web Magazine, which aims to provide readers with the best of Bengali poetry.
For readers seeking emotional poetry, Sukhendu Parui’s Touchy Kobita Bangla offers an opportunity to connect with deep, personal emotions, making them a must-read on Shabdodweep Web Magazine.
The Impact of Bengali Poetry in Modern Times
Despite the changing literary landscape, Bengali Poetry remains an integral part of Bengali culture and identity. Touchy Kobita Bangla continues to evolve, resonating with modern sensibilities while staying rooted in tradition. Platforms like Shabdodweep Web Magazine have played a pivotal role in keeping the art of Bengali poetry alive by publishing both traditional and contemporary poets.
How Touchy Kobita Bangla Resonates Today
Today, Heart Touching Bengali Kobita is more relevant than ever. As we face an increasingly fast-paced, digital world, poetry provides a space for introspection and emotional release. Readers from all walks of life are turning to Touchy Kobita Bangla for a deeper connection to themselves and to the world around them.
The power of Touchy Kobita Bangla lies in its simplicity and emotional depth. These poems have the ability to evoke powerful feelings, creating a sense of connection that transcends time and place. If you’re looking for poetry that speaks to the heart, look no further than Shabdodweep Web Magazine – your go-to destination for the best Heart Touching Bengali Kobita.
FAQ on Touchy Kobita Bangla
- What is Touchy Kobita Bangla?
Touchy Kobita Bangla refers to Bengali poems that evoke deep emotions, often centered around themes of love, loss, and personal reflection. These poems are known for their emotional depth and simplicity. - Where can I find the best Heart Touching Bengali Kobita?
You can find some of the finest Heart Touching Bengali Kobita on Shabdodweep Web Magazine, which regularly publishes poems from prominent poets like Sukhendu Parui. - Why is Touchy Kobita Bangla so popular?
The emotional resonance and cultural relevance of Touchy Kobita Bangla make them popular. These poems capture universal feelings and allow readers to connect with their innerselves. - How can I access Touchy Kobita Bangla from Shabdodweep Web Magazine?
You can access a variety of Touchy Kobita Bangla and other Bengali poetry by visiting Shabdodweep Web Magazine’s website, where we regularly feature works by both new and established poets.
Conclusion
Whether you are a lifelong lover of Bengali literature or a newcomer to the world of Touchy Kobita Bangla, the poems featured on Shabdodweep Web Magazine offer something for everyone. These heartfelt verses not only entertain but also inspire deep reflection. With poets like Sukhendu Parui contributing to the magazine, Shabdodweep Web Magazine has cemented itself as a leading platform for the finest Bengali poetry.
Whether you’re a lover of Bengali poetry or a newcomer, Shabdodweep Web Magazine is your ultimate destination for discovering and enjoying Touchy Kobita Bangla. Dive into the world of Heart Touching Bengali Kobita today!
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio