Gidda pahar and Smritivan – Sharmistha Ghosh
গিড্ডা পাহাড় ও স্মৃতিবন – শর্মিষ্ঠা ঘোষ
এই নিয়ে দু’বছর হলো বড় মেয়ে পুজোর সময় বাড়ি আসে না। আমরাই পুজোতে ওর কাছে পৌঁছে যাই। তাই মহালয়ার আগের দিন টাল টোপলা নিয়ে পৌঁছে গেলাম শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুর-শাশুড়ির বয়স হয়েছে এখন আর সে রকম জার্নি করতে পারেন না । তাদের সাথে দেখা করতে হবে পুজোর জামাকাপড় দিতে হবে। পৌঁছে যথারীতি ভুরিভোজ হলো। ছোট মেয়ে আসবে বলে শ্বশুরমশাই স্পেশাল বাজার করেছিলেন। শাশুড়ির হাতের দই রুই চম্পারন মাটন জাস্ট চুমু। সেদিনই হই হই রই রই করে প্রোগ্রাম হয়ে গেল। মহালয়ার ভোরে আমরা সবাই মিলে বেরোবো। মহালয়া শুনে চা খেয়ে বেরিয়ে যাব। বাড়িতে মিল অফ। বাইরেই লাঞ্চ হবে। শ্বশুর মশাই যথারীতি কিন্তু কিন্তু করলেন। ভোর চারটের সময় উঠে শাশুড়ি লাইট জ্বেলে খুট খাট করছেন। আমি চারটে কুড়িতে উঠে ড্রইং রুমের লাইট জ্বাললাম। কোথাও একটা মহালয়ার আওয়াজ শুনতে পেলাম। কারো রেডিওতে। ছোট মেয়েটার টার্গেট টিভিতে মহালয়া দেখবে। পাঁচটার সময় ডেকে দেওয়া গেল তাকেও। টিভিতে যা হল তা একটি নৃত্য নাট্য বই কিছু নয়। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের সেই চণ্ডীপাঠই আমার কাছে এখনো মহালয়া। যাই হোক ঠিক ছিল আমরা ছটার মধ্যে বেরিয়ে যাব। মাঝখানে শ্বশুর মশাই আবার গিয়ে শুয়ে পড়লেন শরীরটা ঠিক লাগছে না। বেরোতে ভরসা পাচ্ছেন না। বললাম আমরা আরেকটু ওয়েট করবো কিনা। গ্যাসের ওষুধ খাবেন কিনা। তো যাই হোক মিনিট ১০ বাদে উনি সম্মতি দিলেন বেরোবেন। ছটার জায়গায় সওয়া ছটায় যাত্রা শুরু হল। আগে থেকে মোটেই ঠিক করা ছিল না কোন দিকে যাব। খবর পাওয়া গেল গজল ডোবায় জল জমে আছে। তাহলে ডুয়ার্স নয় পাহাড় যাব। সেইমতো রওনা দেওয়া গেলো। সিকিমে কিছুদিন আগেই ধ্বস হয়েছে। সেবকের দিকে রাস্তায় বহুৎ জ্যাম। তাই আমরা বেছে নিলাম শুকনার দিকের রাস্তা। মধুবনের দিকেরটা নয়। মহানন্দা সাংচুয়ারির পাশ দিয়ে বরং যে রাস্তাটা রংটং হয়ে চলে গেছে দার্জিলিংয়ের দিকে সেই রাস্তা ধরলাম আমরা। লক্ষ্য কার্শিয়াং। অবধারিত প্রথম ব্রেক রংটং। এখানে একটি দোকানে দুর্দান্ত মোমো পাওয়া যায়। কিন্তু সকালে চা বিস্কিট খেয়ে বেরিয়েছি পেটে খিদে নেই। মোমো না খেলেও আমরা থামলাম রংটং এর টার্নিংয়ের কাছে সেই পার্কটায় । এর আগে যতবার গেছি পার্কের গেটে তালা দেখেছি। প্রবেশ নিষেধ লেখা থাকে কিন্তু এবার দেখলাম পার্ক পরিষ্কার করা হয়েছে গেট খোলা । সুতরাং আমরা সেখানে থামলাম নামলাম এবং ফটো সেশন হলো প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি। এই পার্কের বৈশিষ্ট্য হল পার্কের তিন দিকে খাদ এবং কোন প্রাচীর নেই সেখানে খানিখন কাটি আমরা এগিয়ে চললাম তিন ধরিয়া থেকে। তিন ধরিয়া ভিউ পয়েন্টে আবার ব্রেক। এবং ফটোসেশন। কয় গজ দূরে নতুন গজিয়ে ওঠা পাকা চায়ের দোকান কাম ইটারি। তার ছাদ থেকে ৩৬০ ডিগ্রী ভিউ পাওয়া যায় পাহাড়ের। ভিউর পাশাপাশি উপরি পাওনা আমুল দুধের জলছাড়া চা ম্যাগি ওয়াই-ওয়াই।
শিলিগুড়ির বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই চোখে পড়ছিল দলে দলে বিভিন্ন বয়সের লোকজন বাচ্চা বাচ্চা সেজেগুজে বেলুন হাতে রাস্তায়। বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভোর পাঁচটা থেকেই দেখেছি কত লোক বেড়াতে বেরিয়েছে । মহানন্দা ব্রিজের উপর পৌঁছে দেখি সেই ভিড়। ব্রিজের দুটো দিকেই কাতারে কাতারে লোক। নদীতে যারা তর্পণ করছে তাদের সাথে কেউ এসেছে কেউ আবার নিছকই বেড়ানোর মতলবে। বাইক এবং গাড়িতে এই ভিড় সাথে সাথে চলল শুকনা ফরেস্ট ছাড়িয়ে রংটং হয়ে তিন ধরিয়া পর্যন্ত । ফলে তিনধরিয়ায় যে দোকানে খাওয়ার জন্য থামলাম সে দোকানে মেলার মতো ভিড়। তিনজন মানুষ সমানে খাবার সাপ্লাই দিয়ে হাঁপিয়ে যাচ্ছে। দেরি সইতে না পেরে কেউ কেউ না খেয়ে ফিরে গেল। আমার ছোট মেয়ের খিদে পেয়ে গেছে। আমরা অপেক্ষা করলাম। ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে চার কাপ চা তিন প্লেট ওয়াই-ওয়াই এক প্লেট ম্যাগি জুটলো। তারপর ফের রওনা দেওয়া গেল। তিনধরিয়া ছাড়িয়ে যখন বেরোলাম তখন ঘড়ির কাঁটা সাড়ে আটটা ছাড়িয়ে গেছে। দোকানে আলোচনা শুনছিলাম লোকজন এবার শিলিগুড়ি ফিরে অফিস ধরবে। আমাদের যেহেতু ছুটি নেওয়া আছে ফেরার তাড়া নেই। আমরা এগিয়ে যাব আরো। পথে আর সেরকম ভিড় নেই। বাইকার্স পার্টি বেশিরভাগই ফিরে গেছে। দার্জিলিং যাবার এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল কম। কারণ এটা ঘুর পথ। এগোতে এগোতে লাইনের উপর দুখানা টয় ট্রেনের কামরা দেখলাম। ইঞ্জিনের জন্য অপেক্ষারত। তারপর পথে পাগলা ঝোরা। যতবারই দেখা হোক না কেন দেখে দেখে আশ মেটে না। কত উপর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছে জল। কি তার গর্জন। রাস্তা পেরিয়ে তলা দিয়ে নদী হয়ে বইছে। এই পথে শুধু পাগলাঝোরা নয় পরপর আরো অনেক ঝোরা পড়ে। তবে সেগুলো পাগলা ঝোরার চেয়ে আকারে আয়তনে অনেকই ছোট। এখানেই ফটো সেশন করে বেশিরভাগ লোকজন। আমরাও নেমে ঘুরেফিরে দেখে অবশ্যই ফটোসেশন করে কার্শিয়াং এর দিকে রওনা হলাম। কার্শিয়াং (Kurseong) এ ঢোকার দুটো রাস্তা । একটা গিড্ডা পাহাড়ের (Gidda Pahar) পাশ দিয়ে। এখান থেকে কিলোমিটার সাতেক এগোতে হয়। কার্শিয়াং টাওয়ার তিনধরিয়া থেকে পরিষ্কার দেখা যায়। আমাদের ছোট বেলায় বাড়ির ছাদে উঠে টিভির এন্টেনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভি দেখার দিন মনে পড়ে যায় এই টাওয়ার দেখলেই। আমার মেয়েদের এইসব রোমাঞ্চ জানা নেই। ওরা এই নস্টালজিক ফিলিংস বুঝতেই পারবে না। শুনলাম কার্শিয়াং এ প্রচন্ড যানজট। আমাদের যেহেতু রাত কাটানোর প্রোগ্রাম নেই শুধু শুধু যানজটে পড়ার মনে হয় না। এসব বিবেচনা করে আমরা চললাম গিড্ডা পাহাড়। একটা খাড়াই শর্টকাট আছে। রুটের গাড়ি সেটা ধরে গেল। আমরা চললাম খানিক ঘুর পথে। পাহাড়ের শোভা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। পাহাড় যারা দেখেছে তারা জানে তার বাঁকে বাঁকে কত বিস্ময়। চুলের কাঁটার মত বাঁকে লুকিয়ে থাকে বনফুল চায়ের বাগান দেশলাই বাক্সের মত লাল নীল সবুজ খেলনা বাড়ি পাহাড়ি পাখির ডাক সাথে ঝিঁঝিঁর সঙ্গত নেমে আসা ঝোরার জলের শব্দ পাশ দিয়ে টয় ট্রেনের রাস্তা কু ঝিঁক ঝিঁক খেলনা ট্রেন খাড়াই পাহাড় গভীর খাদ চিরসবুজ অরণ্য এলাচের বন। পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে ছোট্ট দোকানে ঘন দুধের সুস্বাদু চা মোমো চাউমিন ঘাসের বোঝা কাঠকুটো মাথায় পাহাড়ি মানুষ মেঘ বৃষ্টির খেলা পাহাড়ের নীল সবুজের নানা আলো ছায়ার শেড। খানিক দূর দূর ভিউ পয়েন্ট। খানিক থেমে খানিক চলে পাহাড়ের সাথে ভাব ভালোবাসা রহস্য রোমাঞ্চ। স্মৃতির অ্যালবামের পাতা ভরতেই থাকে।
যাই হোক একটু এগোতেই গিড্ডা পাহাড়ের ভিউ পয়েন্ট। দুটো রাস্তার সংযোগস্থল সেটা। সেখান থেকে পরিত্যক্ত রোপওয়ের লোহার কঙ্কাল বড্ড চোখকে পীড়া দিল। হয় সরকার নতুন করে চালানোর উদ্যোগ নিক নয় এই কাঠামো সরানোর ব্যবস্থা করুক। আরেক দিকে জোড়া ফলার মত অনুচ্চ দুটি পাহাড় চূড়া। আমরা আর এগোব না। এখানে খানিকক্ষণ কাটিয়ে ফেরার পথে দেখি সেই টয়ট্রেনের কামরা দুটোতে ইঞ্জিন লেগেছে। টেস্ট রাইড হচ্ছে ফাঁকা কামরা নিয়ে। ফেরার পথে আমরা ঢুকলাম স্মৃতিবন (Smritivan) পার্ক-এ। দুর্দান্ত এই লোকেশান এ একটি সরকারি বাংলো কাম রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা ভেবেছিলাম এখানেই লাঞ্চ করব। কিন্তু জানা গেল কুক নেই। শুধু কফি আর পকোড়া বানিয়ে দিতে পারবে। তাতেই রাজি হয়ে গেলাম কারণ এই স্মৃতিবন টয় ট্রেনের লাইনে এমন একটা ভাইটাল পয়েন্ট বাতাসিয়া লুপের মত এখানেও একটা লুপ আছে। এই রেস্টুরেন্টের পাশের পার্ক ঘিরে টয় ট্রেন পাক খেয়ে ওঠানামা করে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। আমরা কফি আর পকোড়া খেতে খেতেই একটা ট্রেন চলে এলো। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে তাকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে। এই অনবদ্য অভিজ্ঞতার পর আমরা রওনা দিলাম শুকনার দিকে। শুকনা পেট্রোল পাম্পের পাশে দার্জিলিং স্মোক হাউসে দুপুরের লাঞ্চ সেরে বাড়ি ঢুকলাম যখন তখন বেলা গড়িয়ে গেছে। ৮ ঘন্টার ওপর ভ্রমণ শেষে গরম জলে স্নান সেরে এবার গড়িয়ে নেওয়া।
শর্মিষ্ঠা ঘোষ | Sharmistha Ghosh
Lost music and culture in Bengali wedding ceremonies | Bengali Article
Political Consciousness of Marquez | মার্কেসের রাজনৈতিক চেতনা | Article 2023
32 Beshas of Jagannath Mahaprabhu | পুরীর জগন্নাথ মহাপ্রভুর বত্রিশ প্রকার সাজ-শৃঙ্গার
The Jagannath God in Puri | পুরুষ-প্রকৃতি এবং জগন্নাথ
Giddapahar | Giddapahar price | Giddapahar wikipedia | siliguri to gidda pahar distance | Giddapahar places to visit | kurseong to gidda pahar distance | giddapahar view point | giddapahar tea online | gidda pahar wikipedia | Giddapahar Tea Estate | Giddapahar View Point | Smritivan Earthquake Museum | Giddapahar to smritivan memorial distance | Giddapahar to smritivan memorial ticket price | Giddapahar to smritivan memorial timing | smritivan memorial tickets price | smritivan memorial photos | smritivan memorial online ticket booking | Giddapahar to smritivan memorial train | Giddapahar to smritivan memorial bus | kurseong beltar | Kurseong tourist spot | Kurseong distance | kurseong hotels | kurseong homestay | kurseong map | offbeat places near kurseong | kurseong sightseeing packages | Gidda Pahar
Short bengali story | Bengali story pdf | pratilipi bengali story | Short Stories for Children | English Stories for Kids | Moral Stories for Kids | story in english | story hindi | story book | story for kids | short story | story for girls | short story in english | short story for kids | bangla Gidda pahar and Smritivan pdf | Bangla golpo pdf | Bangla golpo story | bangla romantic golpo | choto golpo bangla | bengali story | Sunday suspense golpo | sunday suspense mp3 download | suspense story in hindi | suspense story in english 200 words | Gidda pahar and Smritivan in english
suspense story in english 300 words | Suspense story examples | suspense story in english 100 words | suspense story writing | very short suspense stories for students | Gidda pahar and Smritivan | Top Bangla Golpo Online Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Famous Travelogue – Gidda pahar and Smritivan | Pdf Gidda pahar and Smritivan | Gidda pahar and Smritivan App | Full Gidda pahar and Smritivan Reading | Bangla Golpo Online Reading Blogs
Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English | Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bangla Galpo online | Gidda pahar and Smritivan 2024 | Gidda pahar and Smritivan – Episode | Golpo Dot Com Series | Gidda pahar and Smritivan Video | Travel Story – Gidda pahar and Smritivan | New Bengali Web Story Audio | New Bengali Web Story Video | Gidda pahar and Smritivan Netflix | Audio Story – Gidda pahar and Smritivan | Video Story – Gidda pahar and Smritivan | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2024 | Trending Bangla Golpo Online Reading | Recent Gidda pahar and Smritivan
Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | Bengali Famous Story in pdf | Modern Online Bangla Galpo Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Modern Online Bangla Galpo mp4 | Modern Online Bangla Galpo Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Travel Collection – Gidda pahar and Smritivan