Education and Politics Notes | Best Article 2023

Sharing Is Caring:

Education and Politics Notes – সঞ্জিত মণ্ডল – সূচিপত্র

শিক্ষা ও রাজনীতি – সঞ্জিত মণ্ডল

শিক্ষা ও রাজনীতির প্রেক্ষিতটা যেমন বিস্তৃত তেমনই প্রণিধানযোগ্য ও বটে। এই প্রেক্ষিতটা বোঝার জন্য প্রথমেই যা জিজ্ঞাস্য হয় তা হলো শিক্ষা কি ও শিক্ষা কাকে বলে, আর রাজনীতিই বা কি এবং শিক্ষার সাথে তার প্রসঙ্গটাই বা কি ও কেন। শিক্ষা সম্বন্ধে প্রথমেই বলি, সম্যক রূপে কোনো কিছু অনুধাবন করা বা বুঝতে পারাই হলো শিক্ষা। ভাষা ভাষা ভাবে কোনো কিছু জানাকে অর্ধ শিক্ষা বা অপরিণত শিক্ষা বলা যায়। এই প্রসঙ্গে এ কথাও বলা যায় যে সম্যক রূপে বোঝার জন্য কোনো পুঁথিগত বিদ্যা বা কোনো ডিগ্রীর দরকার হয় না, বরং যেটা দরকার হয় সেটা হলো গ্রহণ যোগ্যতা আর শেখার আগ্রহ। তাই জানার প্রবল ইচ্ছাকে অনুসন্ধিৎসা, জিজ্ঞাসা বা শিক্ষার আগ্রহ নামে অভিহিত করা যায়। জানা বা শেখার যে প্রবল আগ্রহে পৃথিবীর আদি লগ্নের প্রস্তর যুগ তথা আস্ট্রালোপিথেকাস আফারেন্সিস (Australopithecus Afarensis, those who lived between 3.9 and 2.9 millions years ago and are considered to be one of the earliest hominis those species that developed and comprised the lineage of Homo and Homo’s closest relatives after the split from the line of Chimpanzees).

যুগের মানুষরা যেভাবে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে শিক্ষাকে আত্মীয়করণ করেছিল, এবং কতকাল আগে তা করেছিল তা বোঝার জন্যই, সত্যি বলতে কি উদ্ধৃতি টুকুর প্রয়োজন হল। সেই প্রাথমিক যুগের মানুষের থেকেও বলশালী কোনো প্রাণীর হিংস্র আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার লড়াইয়ে পাথর ছুড়ে মারার শিক্ষার প্রথম আলো বোঝার জন্য। সেই থেকেই তো লড়াই শুরু শিক্ষারও শুরু।সেই আদিম পৃথিবীর প্রাগৈতিহাসিক মানুষকে বিশেষ কোন বিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয় এ বেঁচেবর্তে থাকার লড়াই শিখতে হয়নি। তারা সরাসরি প্রকৃতির বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে কলমে প্রকৃত জীবন শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমান বিশ্বমানব সমাজকে আজকের মহাজাগতিক শিক্ষার পথে অগ্রসর করিয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রথম শিক্ষা যখন প্রকৃতি জাত সেখানে তাহলে রাজনীতির প্রসঙ্গ আসে কি করে। সাধে কি আর আসে, বড় প্রয়োজনে আসে, জটিল জীবনের ঘূর্ণাবর্তের জন্য আসে, নাগরিক জীবনের জটিলতার জন্য আসে, বাঁচার লড়াইয়ে আত্মরক্ষার তাগিদের জন্য আসে, সুস্থ ও সম্পন্ন দেশ ও জাতি গড়ে তোলার জন্য আসে।

শিক্ষায় রাজনীতি আসার প্রসঙ্গ নয় বোঝা গেলো, রাজনীতিটা সঠিক কি সেটা এবার বোঝা যাক। সাধারণ ভাবে দেখতে গেলে রাজার নীতিই হচ্ছে রাজনীতি। রাজা কেমন করে চলবেন বলবেন, কেমন করে তার শাসন দণ্ড ঘোরাবেন, কখন হুঙ্কার ছাড়বেন, কখন মিঁউ মিঁউ করবেন, কখন গদগদ হবেন,কখন লাথি ছুড়বেন এ সবই হলো রাজনীতি। প্রশ্ন উঠতেই পারে কি ভাবে এলো এই নীতি। উত্তরে বলা যায়, মানুষই এনেছে এমন নীতি বা অন্যভাবে বলা যায় মানুষই বানিয়েছে দলপতি নামে এক বিশেষ প্রজাতির নিজেদের মধ্য থেকেই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে, আর দলপতি এক বিশেষ সুবিধা ভোগী শ্রেণী হয়ে উঠেছে সবাইকে নিরাপত্তা দেবার নাম করে। আর এই ভাবেই প্রাদুর্ভাব রাজনীতির। কখনো দম্ভে কখনো আস্ফালনে কখনো প্রভুত্ব করার প্রলোভনে, কখনো জব্দ করার আয়োজনে, কখনো বা সর্বার্থসিদ্ধির উন্মাদনে।

তাহলে কি বলব, যে, প্রথম মানুষ যখন লড়াই করে বাঁচতে শিখেছিল, পাথর ছুড়ে যখন তার থেকেও হিংস্র এবং বলশালী প্রাণীকে মারতে শিখেছিল সেটা কি তাহলে রাজনৈতিক শিক্ষা ছিল? সযত্নে বলি, আত্মরক্ষার শিক্ষা যদি রাজনৈতিক শিক্ষা হয়, তবে সে শিক্ষা মানুষের জন্মগত শিক্ষা সে শিক্ষা মানুষের রক্তের মধ্যে বাসা বেঁধে আছে। আর তাই যদি হয় তাহলে ছাত্ররা রাজনীতি করলে কেন গেলো গেলো রব উঠবে। তারা যদি ন্যায়সঙ্গত বিচার বুদ্ধির সৎ ও কার্যকরী জীবন মুখী শিক্ষা চায় তবে রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা কেন হৈ হৈ করে উঠবে? এবার দেখা যাক সংশোধন বা পরিমার্জনের নামে রাজনৈতিক মতলববাজরা কি ভাবে বিদ্যায়তন গুলিকে কলুষিত করে। যেহেতু আদিম কাল থেকে আজ অবধি মানুষের রক্তেই রাজনীতি প্রবাহিত, মতলববাজরা সেই নরম জায়গাটাকেই টার্গেট করে। এমনভাবে মগজ ধোলাই করতে চায় যে তার টার্গেট তার কথাতেই ওঠ বোস করবে, অন্য কোন কিছুই তার নাকে কানে ঢুকবে না। এদিকে আমরা জানি যে, রাজনৈতিক মতলববাজ হীন শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র আরো পরিশীলিত ও আরো অত্যাধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক আর যুগোপোযোগী হয়ে দেশ ও জাতির নেতৃত্ব প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজনৈতিক পঠন পাঠন যেমন জরুরী তেমনি দেশ ও জাতির জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ক্ষমতা সম্পন্ন যোগ্য নেতা তৈরি করাটাও বাঞ্ছনীয়।

Bangla Galpo

এবার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গের অবতারণা করি, সেটি হল শিক্ষার অঙ্গনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। বাঞ্ছিত আর অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের মধ্যে তফাৎ হলো একটা শান্তির জন্য অন্যটা অশান্তির জন্য। শাসন ব্যবস্থায় যেই থাকুক না কেন সে তার মৌরুসিপাট্টা কায়েমে রাখার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাটাকে কব্জায় রাখতে চায়, এবং নিজের মতাবলম্বী জনগোষ্ঠীর আড়ালে নিজেকে সুরক্ষিত করতে চায়। যেহেতু শিক্ষার মাধ্যমে যে কোনো মততন্ত্র সহজে এবং সুচারুভাবে মগজের মধ্যে অনুপ্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায় তাই শিক্ষাঙ্গনের উপর রাজনৈতিক নজরটা প্রথমেই পড়ে। বর্তমানে দেশ ও কাল ভেদে এই ধারাই পরিলক্ষিত হয়।

আপন আপন দল ও মততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের স্বভাবসিদ্ধ স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে চোখের সামনে দেখা নেতাদের আমরা দেখি অপরিশীলিত ভাষায় মস্তানদের মতো কথা বলছে, কেউ আবার ধর্মের দোহাই দিয়ে ঘোলা জলের চরণামৃত নিয়ে ব্যবসা করছে, কেউ আবার ধর্মের ষাঁড় সেজে গুঁতোতে আসছে। কেউ বা অন্য ভেক ধরে মুখে মিছরির ছুরি নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি স্কুল লেভেলে ও দ্বন্দ্বের বীজ পোঁতার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক স্তরের বাচ্চাদের ও মিছিলে নামিয়ে দিচ্ছে। ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়ে হয়কে নয় আর নয় কে হয় করে দিনকে রাত করে দিচ্ছে।এগুলোকে বলে শিক্ষার পবিত্র অঙ্গন কে রাজনৈতিক কলুষতার পঙ্কিল আবর্তে জোর করে টেনে নামানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টা। সৎ শিক্ষকদের প্রযত্নে ভালো মন্দ বুঝতে পারাটা ছাত্রদের যেমন সৌভাগ্য তেমনই আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র সমাজ পরবর্তী জীবনে সৎ আর আদর্শ নেতা হয়ে দেশভক্ত ও নির্লোভ নেতৃত্ব দানে দেশ ও জাতির উন্নতি বিধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে সেটা দেশ ও জাতির সৌভাগ্য । যবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো এমন রাজনৈতিক নেতা তৈরী করবে সেদিন থেকে দেশ ও জাতির অগ্রগতি কেউ ঠেকাতে পারবে না।

দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে অপদার্থ ও স্বার্থান্বেষী মহলের রাজনৈতিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত রাখা যেমন প্রয়োজন তেমনই ভালো ও মন্দের সঠিক বিচার বিশ্লেষণে সুশিক্ষিত হয়ে ওঠা ছাত্রের দেশের কাণ্ডারি হয়ে ওঠাও খুবই প্রয়োজন। ছাত্ররাই যেহেতু দেশের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি তাই উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক স্বার্থ বিমুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করাও শিক্ষকদের প্রয়োজন। শাসক সমাজের চরিত্রই হচ্ছে যেন তেন প্রকারেণ নিজের শাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখা আর সেটা করার জন্য তারা যে কোনো নিকৃষ্ট পন্থা অবলম্বন করতে পিছপা হয়না। আর সেই শাসক শ্রেণীর অন্যায় এবং অন্যায্য পদক্ষেপের প্রথম প্রতিবাদ হচ্ছে ছাত্ররা। অন্যায় এবং প্রবঞ্চনাটা ছাত্ররা সহজেই বুঝতে পারে বলে।

উপসংহারে আমরা এইটুকু বলতে পারি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনই ছাত্রদের রাজনৈতিক শিক্ষাদান করানোটাও কখনোই অবাঞ্ছনীয় নয়। দেশ ও জাতিকে সঠিক দিশা দানের জন্য রাজনৈতিক সুশিক্ষার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে, এবং রাষ্ট্র কেই দায়িত্ব নিয়ে সেই শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে দেশ ও সমাজ যোগ্য সুনেতৃত্ব পায় এবং উন্নতির পথে এগিয়ে যায়।।

সঞ্জিত মণ্ডল | Sanjit Kumar Mandal

Aged chicken meat | বুড়ো মোরগের মাংস | 2023 New Story

Anabasarakalina besha of Jagannath | অনবসরকালীন বেশ | অভিজিৎ পাল

2023 New Bengali Article | বাংলায় মুসলিম বিজয় ও বাংলা সাহিত্য

19 types of Mashan Thakur | মাসান ঠাকুর | Ranabir Chanda

Education and Politics Notes | Education and Politics | Best Article | Read Education and Politics Notes | New Article | New Modern Bangla Golpo Blogs | Education and Politics Notes in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Full Bengali Article | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Shabdodweep New Article | Shabdodweep Writer | Live Article in pdf | Bengali Article | Shabdodweep Bengali Article | Best Education and Politics Notes | Pdf Education and Politics Notes | Trending topic – Education and Politics Notes | New Articles in pdf | Shabdodweep Article | All Articles collection | Library of Literature | International Article | Long Article | Short Article | Education and Politics Notes in Bengali | All best articles in Bengali | Article Factory | New Article Generation | Historical Articles | Education and Politics Notes in video | Education and Politics Notes MP3 | Shabdodweep Article in English | All Bengali Articles in pdf | Famous Article Writing Websites | Article Publishing Websites

1 thought on “Education and Politics Notes | Best Article 2023”

  1. আপ্লুত ও অনুপ্রাণিত হলাম

    Reply

Leave a Comment