Correlation of society and literature | Best Article

Sharing Is Caring:

সমাজ ও সাহিত‍্যের মেলবন্ধন – মৃণাল বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

সমাজবদ্ধ মানুষই, এখনো পর্যন্ত আমাদের জ্ঞানের নিরিখে পৃথিবী তথা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব।এবং সে তার বিচার ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর সমস্ত জীবজগতের উপর তার প্রভুত্ব কায়েম করেছে। সেখানে সে কখনো মহান আবার কখনো জল্লাদ।এবং তার এই দুই প্রকারের গুনই তার কর্ম এবং সাহিত্যচর্চার মধ‍্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। আর এই সমাজ ও সাহিত‍্যকে পাশাপাশি রেখে চর্চা করতে গেলে প্রথম প্রশ্নটাই, যেটা মাথায় আসে সেটা হলো, সমাজ আগে না সাহিত্য? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে মানব সভ‍্যতার একদম ঊষা লগ্নে পৌঁছে যেতে হবে যেখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষের সাথে জংলি জানোয়ারদের আচার আচরণের মধ‍্যে কোন তফাৎ ছিল না।

মানুষকেও পশুদের মতোই নিজেদের দৈহিক পরাক্রম, শক্তি, শারীরিক গঠন এবং ক্ষিপ্রতাকে কাজে লাগিয়ে জন্তু জানোয়ার শিকার করে তাদের মতোই কাঁচা মাংস ভক্ষণ করতে হতো এবং গাছের ফল মূল, সে তো এখনো আমরা কাঁচা বা পাকা দুই অবস্থাতেই খাই। এরপরে মানুষ ধীরে ধীরে সমাজবদ্ধ হতে শুরু করে, অর্থাৎ পরস্পর দলবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করে এবং এতে করে পরস্পরের সাহচর্য বা সহযোগিতার সুফল তারা বিভিন্ন বিপদে আপদে একসাথে থাকার দরুন অনুভব করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ গোষ্ঠীবদ্ধভাবে একটা সমাজ ব‍্যবস্থার সুফল তারা অনুভব করতে শুরু করে।

কিন্তু এর একটা মারাত্মক কুফলও তৈরি হয়েছিল যার অভিশাপ এই পৃথিবীবাসীকে আজও বহন করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আর সেটা হলো বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং তাদের মধ‍্যে এলাকা দখলের লড়াই। পারস্পরিক হিংস্রতা, হানাহানি আর মানুষের হাতে মানুষেরই হত‍্যার রক্তাক্ত ইতিহাস। এর আবার একটা ভালো দিকও রয়েছে, আর সেটা হলো সভ‍্যতার উন্মেষ বা আধুনিকতায় উত্তরণ। নতুন নতুন প্রযুক্তি, একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা এবং যোগ‍্যতমের টিকে থাকার নিমিত্তে অদম‍্য লড়াই। এবং জনবসতির ক্রম প্রসারণ এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা আবিষ্কার। তবে আজকের আলোচ‍্য বিষয় মানব সভ‍্যতার ইতিহাসের অগ্রগতির এই দিকটা নয়। তাই শুরুর আলোচ‍্য বিষয়েই পুনরায় ফিরে যাওয়া যাক।

এরও বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মানুষ যখন প্রথম প্রধানত গুহায় বাস করা শুরু করলো এবং আগুনের ব‍্যবহার শিখলো বা জন্তু জানোয়ারদের হত‍্যা করার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োগ করা শিখলো, তখন মানুষের জীবনে নিজেকে নিয়ে ভাববার অনেকটা অবকাশ সৃষ্টি হয় এবং মানুষ বিভিন্ন প্রস্তর খন্ডে বা গুহার দেওয়ালে আঁকিবুঁকি দেওয়া শুরু করে এবং প্রথম প্রথম নিজের অজান্তেই সেগুলো অর্থবহুল হয়ে ওঠে এবং এই ক্রিয়াকলাপই কোন একটা সময়ে ভাষা বা মনের ভাব প্রকাশের মাধ‍্যম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। প্রথমে আমরা সবাই জানি, মানুষের প্রথম আধুনিক ভাষা হলো ক‍্যালিগ্রাফি বা ছবির মাধ‍্যমে ভাব বিনিময়। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে মিশরীয়রা হায়ারোগ্লিফিক পদ্ধতির মাধ্যমে মনের ভাব লিপিবদ্ধ করতো।

এর পরবর্তীতে আসে পাথরের গায়ে খোদাই করে কিছু মূল্যবান বক্তব্যকে মানুষের সম্মুখে তুলে ধরা বা বিভিন্ন গাছের, বিশেষত শুকনো পাতার উপরে বিভিন্ন ভেষজ রঙের ব‍্যবহার করে আধুনিক লিপিতে সাহিত্য চর্চার যুগ। তারও আগে আমাদের ভারতবর্ষের বৈদিক যুগে যেভাবে বিদ্যা বা জ্ঞান আদান প্রদান করা হতো, তাকে বলা হতো শ্রুতি। অর্থাৎ মুখে মুখে শুনে মুখস্থ করা বা মনে রাখার প্রচেষ্টা এবং সেই স্মৃতিকে পাথেয় করে প্রাপ্ত শিক্ষাকে পরবর্তী প্রজন্মে বিতরণ করা বা বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং এই বৈদিক যুগের পরবর্তীতে বিশেষত আমাদের দেশে রামায়ণ এবং মহাভারত এই দুটি মহাকাব‍্য তালপাতার লিপিতে লেখা। এবং এই মহাকাব‍্য দুটিই আমাদের জানা বা প্রাপ্ত প্রথম সেই সমসাময়িক যুগের জীবন্ত দস্তাবেজ বা দলিল।

যেমন জীবাশ্ম অর্থাৎ মাটির তলায় বা পাথরের ভাজে চাপা পরে থাকা প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীদের দৈহিক অবশেষ যার মাধ‍্যমে আমরা আদিম পৃথিবীতে উপস্থিত বিচরণশীল কিন্তু বর্তমানে অবলুপ্ত প্রাণীদের সম্বন্ধে সম‍্যক জ্ঞান লাভ করতে পারি ঠিক সেইরকমই প্রাচীন যুগের সমাজ ব‍্যবস্থা বা ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা জ্ঞান অর্জন করতে পারি পুরোনো আমলে, বিশেষত সংস্কৃত বা পালি ভাষায় রচিত প্রাচীন এই তালপাতার লিপিগুলি বিভিন্ন সূত্র বা ধ্বংসাবশেষ থেকে খুঁজে পাওয়ার সময় থেকে। সেইসব যুগের মানুষের আচার, ব‍্যবহার, পোশাক পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, শিল্পকলা, ব‍্যবসা বাণিজ্য বা যুদ্ধের কলাকৌশল বা নীতি কিংবা সমাজে নারী বা পুরুষের তুলনামূলক অবস্থান বা প্রাধান্য এবং পারস্পরিক সম্পর্ক; এইরূপ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এই সমসাময়িক সাহিত‍্যগুলি। অর্থাৎ সাহিত‍্যকে এক্ষেত্রে সমাজের আয়না বা দর্পণ বলা যেতে পারে।

আবার সমাজ গড়ে উঠেছে বা বিকশিত হয়েছে বা যুগের প্রয়োজনে পরিবর্তিত হচ্ছে বলেই তার সাথে সাথে একই পদচারণায় সাহিত‍্যও বিকশিত বা আধুনিক হচ্ছে বা হতে বাধ‍্য হচ্ছে। এবং সভ‍্যতার অগ্রগতির হাত ধরে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতির ধারাবাহিক ক্রম সংমিশ্রণের মধ‍্য দিয়ে ভাষা, শিল্পচর্চা বা শিল্পকলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মিশ্র শাখার উদ্ভব হয়েছে। যেমন গান্ধার শিল্প বা হিন্দু ও মুসলিম শিল্পকলার মিশ্রণের মধ‍্য দিয়ে গড়ে ওঠা ইন্দো-ইসলামীয় স্থাপত‍্যকলা। সমসাময়িক সেই যুগে বহু হিন্দু মন্দিরের স্থাপত‍্যশৈলীতে গম্বুজ এবং খিলানের ব‍্যবহার পরিলক্ষিত হয়, যেগুলি মূলত মুসলিম স্থাপত‍্যের মধ‍্যেই দেখা যায়।

আবার মুসলিম স্থাপত‍্যে প্রধানত ইঁটের ব‍্যবহারই প্রচলিত। কিন্তু ভারতে মুসলিম আমলে তৈরি মসজিদ বা সমাধি সৌধ নির্মাণে পাথরের ব‍্যবহার বেশী চোখে পড়ে যেটা হিন্দু মন্দির নির্মাণে বেশী ব‍্যবহৃত হতো। অর্থাৎ সাহিত‍্য ও সমাজ পরস্পর ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থাৎ সমাজকে সাহিত‍্য বা শিল্পকলার ক‍্যানভাস বা বিচরণ ক্ষেত্রও বলা যেতে পারে।

বৈদিক যুগের সমসাময়িক লেখনী থেকেই আমরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চালচলন বা জীবিকার প্রচলিত নিয়মের ব‍্যাপারে প্রথম একটা আধুনিক চিন্তা বা মানসিকতার আভাস অনুভব করি। যেখানে সমাজের সমস্ত মানুষকে তাদের কাজের বিনিময়ে চারটি বর্ণ বা শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। অর্থাৎ যারা লেখাপড়া বা জ্ঞান বিতরণের কাজ করতেন বা সমাজ সংস্কারক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন তারা হলেন ব্রাক্ষ্মণ। আবার যারা যুদ্ধ বিগ্রহ, দেশ পরিচালনা বা সমাজের আইন শৃঙ্খলার রক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তারা হলেন ক্ষত্রিয়। যারা ব‍্যবসা বাণিজ্য বা চাষাবাদ করতেন তারা ছিলেন বৈশ্য বা বণিক সম্প্রদায় এবং বাকি যারা অন্য তিন শ্রেণির মানুষের সেবামূলক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা পরিচিতি লাভ করেন শূদ্র হিসেবে।

আবার মহাভারতের লেখনীতে সেই যুগের যে সমাজ ব‍্যবস্থার বর্ণনা দেখতে পাই তাতে করে আমরা যেসব প্রচলিত ঘটনার কথা জানতে পারি সেগুলি হলো যথাক্রমে বহুবিবাহ প্রথা এবং সেটা সমাজের সব স্তরেই; কুমারী কন্যাদের মাতৃত্বলাভ বিশেষত পারিবারিক অনুষ্ঠানে আগত মুনি ঋষিদের আতিথেয়তা করা কালীন মুনি ঋষিদের কাছ থেকে সন্তুষ্টিকরণ হেতু প্রাপ্ত বরদানের মাধ‍্যমে; জুয়া খেলার মধ‍্য দিয়ে সম্পত্তি এবং এমনকি নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে বেঁচে দেওয়ার মতো নিকৃষ্ট কাজও সমাজের বুকে স্বীকৃত বা মান‍্যতা প্রাপ্ত ছিল। এবং সেই বিক্রি হয়ে যাওয়া মহিলার হেনস্তা বা শারীরিক নির্যাতনও নীরবে সহ্য করে নেওয়ার মতো মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষোচিত মানসিকতা। অর্থাৎ সেই যুগে নারীকে পণ্য হিসেবেই দেখা হতো পুরুষ শাসিত সমাজে।

বৈদিক যুগে নারী শিক্ষার কথা কোথাও উল্লেখ নেই। ঘোষা, গার্গী, মৈত্রেয়ী, লোপামুদ্রা- এরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ব্রহ্মচর্য পালনের নিমিত্তে গুরুগৃহে সমাজের উপরের তিনটি স্তরের শুধুমাত্র পুরুষ সন্তানেরাই বিদ্যালাভের জন্য গমন করতো এবং সেখানেই পুঁথিগত শিক্ষালাভের পাশাপাশি ক্ষত্রিয় শিশুদের যুদ্ধ করার কলাকৌশল, বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র চালানোর হাতে কলমে শিক্ষা যেমন তরবারি এবং গদা চালানো, ধনুর্বিদ‍্যা প্রভৃতিও প্রাপ্ত হতো। কিন্তু মেয়েদের শিক্ষার ব‍্যাপারে কোনরকম চিন্তাভাবনার বহিঃপ্রকাশ পরিলক্ষিত হয়নি। সেইসময় মহিলাদের স্থান ছিল বাড়ি বা প্রাসাদের অন্দরমহলে।

পরবর্তীতে নারী শিক্ষার প্রচলন, বিশেষত আমাদের দেশে প্রথম শুরু হয় সিংহ হৃদয়, মানবহিতৈষী মহান সমাজ সংস্কারক বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় সমসাময়িক ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড ডালহৌসির তত্বাবধানে আইন প্রচলনের মধ‍্য দিয়ে। প্রাচীন ভারতে, বিশেষ করে রাজস্থানের রাজপুত সম্প্রদায় এবং উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণদের মধ‍্যে যে নিষ্ঠুর সতীদাহ প্রথার প্রচলন ছিল, অর্থাৎ পতিদেবতার মৃত‍্যু ঘটলে তার দাসী রূপী জীবিত স্ত্রীকেও স্বামীর সাথে চিতার আগুনে সহমরণের শাস্ত্রীয় রীতির মধ‍্য দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জীবন্ত পুড়ে মরতে হত। অনেকটা মিশরীয় সভ‍্যতায় ফারাও বা সম্রাটের মৃত‍্যুর পর তার সমাধিতে, যেগুলো পিরামিড নামে জগৎ বিখ‍্যাত, সেখানে বেস কিছু দাস দাসী এবং প্রিয় পশুদেরকেও আবদ্ধ করে দেওয়া হতো ফারাও-এর মৃত শরীর বা আত্মাকে সেবা বা দেখাশোনা করার জন্য।

এখানেও বঙ্গ বা রাজস্থানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের জীবন যে কতটা অভিশপ্ত ছিল তা সহজেই অনুমেয়। কারণ স্ত্রী আগে মরলে স্বামীদের স্ত্রী’র সাথে সহমরণে যাওয়ার পক্ষে কোনও যুক্তি বা ব‍্যাখ‍্যার কোথাও উল্লেখ নেই। পরবর্তীতে মহান সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় লর্ড বেন্টিঙ্ক-এর সহযোগিতায় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই হিংস্র অমানবিক প্রচলিত নিয়মের অবসানের মধ‍্য দিয়ে ভারতবর্ষের ইতিহাসের এই নৃশংস অন্ধকারময় যুগের পরিসমাপ্তি ঘটে।

আধুনিক বাংলা সাহিত‍্যে কথা সাহিত‍্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়রে লেখনী আমাদের কাছে তৎকালীন সমাজের জীবন্ত দলিল। অস্পৃশ্যতার মতো কুসংস্কার, বিশেষত উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ বা পুরোহিত শ্রেণির যে গোঁড়ামি বা তার দ্বারা প্রায় প্রত‍্যহই সৃষ্ট হওয়া নতুন নতুন অবশ্য পালনীয় নিয়মের শৃঙ্খলে সমাজ ব‍্যবস্থা যেভাবে প্রায় আবদ্ধ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছিল এবং নিম্ন বর্ণের মানুষদের জীবন বিভীষিকা রূপ অভিশাপে পর্যবসিত হয়েছিল তার কুফল আমরা দেখতে পাই মহান কথাশিল্পীর লেখনীতে। বিভূতিভূষণের লেখনীতে প্রকৃতির যে নিখুঁত বর্ণনা পাই তা এককথায় অতুলনীয়। আবার বিভিন্ন সময়ে সাহিত‍্যিকরা তাদের মূল্যবান লেখনীর মাধ‍্যমে সমাজের বুকে চাপিয়ে দেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে সোচ্চার হয়েছেন এবং সরকার বা আইন প্রণেতাকে জোর করে বাধ‍্য করেছেন সেই জনবিরোধী আইনকে লঘু করতে বা তার পরিবর্তে পালনযোগ‍্য নতুন আইন সৃষ্টি করতে।

অর্থাৎ একটা সমাজকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা সেখানে আরোপিত অতিরজ্ঞিত ক্ষতিসাধনকারী নিয়মের প্রয়োজনে শিথিলতা ঘটিয়ে মানুষেরই হিতে সমাজ ব‍্যবস্থাকে বিঘ্নিত না করে আইনকে সঠিক মাত্রায় ব‍্যবহার করার ক্ষেত্রে সাহিত‍্যের একটা বিশাল অবদান বা গুরুত্ব রয়েছে। সাহিত‍্যই যেমন পারে মানুষের অন্তরের কোমলতা, মাধুর্য বা ক্ষমা গুণকে কাজে লাগিয়ে ভাতৃত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে ঠিক সেইভাবেই এই সাহিত‍্যই পারে মানুষের মনের খারাপ বা আসুরিক প্রবৃত্তিগুলোকে লেখনীর মধ‍্য দিয়ে প্রকাশ করে একটা সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ ব‍্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে পক্ষান্তরে এই সমাজকেই পঙ্গু করে দিতে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এইধরনের অজস্র উদাহরণ নিশ্চয়ই আমাদের অবগত আছে। কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ রাখীবন্ধন উৎসব করেছিলেন দুটো মূল জনগোষ্ঠীকে কাছে আনার জন্যে। কাজী নজরুল লিখেছিলেন তার সেই বিখ্যাত কবিতা, “একই বৃন্তে দুটি কুসুম “।

তাই, সাহিত‍্যকেই ঘুরিয়ে সমাজ গড়ার কারিগর বললে মনে হয় খুব একটা ভুল বলা হবেনা। আবার সাহিত্য যেহেতু সমাজের আয়না তাই সাহিত‍্যের আয়নায় প্রতিফলিত হতে গেলে সমাজ ব‍্যবস্থাকেও টিকিয়ে রাখতে হবে যে কোন মূল্যে। তবে দুটোই মানুষের নিমিত্তে শুভ ফলদায়ক হোক এটাই কামনা থাক সমাজ সংস্কারক এবং সাহিত‍্যিকদের কাছে আজকের দিনে।

মৃণাল বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় | Mrinal Bandyopadhyay

Bardhaman District Pancham Dol 2023 | পঞ্চম দোল – বসু পরিবার ও দেবকী বসু

Mother’s Day History Information | মাতৃদিবসের উৎপত্তি, তাৎপর্য ও বাঙালি প্রতিক্রিয়া | 2023

Women’s role in Christian society | খ্রীষ্টীয় সমাজে নারীর অবস্থান

May Day History Review | ঐতিহাসিক মে দিবস

English Literature | The Relationship between Literature and Society | Literature and Society | What is the relationship between literature and society? | Correlation of society and literature – Journal | The Relationship of Literature and Society | Correlation of society and literature pdf | relationship between literature and society pdf | relationship between literature and society essay | Correlation of society and literature notes | literature and society notes | literature and society summary | society and literature subject | literature and society definition | Correlation of society and literature – Video

Essay – Correlation of society and literature | Society Lover | Literature Lover | Correlation of society and literature – images | Literature and Society: A Reflection | (PDF) Literature and Society | literature is the mirror of society | Bengali Essay – Correlation of society and literature | Short Article | Best Article | Bengali Article | Definite Article | Article Submission | Trending Article – Correlation of society and literature | New Subject Article | Article Collection | Article Writer | Creative Writer | Correlation of society and literature in English

Leave a Comment