New Bengali Poetry 2023 | ডাঃ মাধাই মিদ্যা | কবিতাগুচ্ছ

Sharing Is Caring:


ডাঃ মাধাই মিদ্যা – সূচিপত্র [Bengali Poetry]

তুমি কত সুন্দর – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

তুমি কত সুন্দর …,
তোমার পদযুগল আমার দর্শন;
তোমার নয়ন যুগল, আমার মস্তিষ্ক।

তোমার রূপের লাবণ্যে আমার মনের স্ক্যানারে স্ক্যান করে রাখি, চোখের তারায়। মনে হয় সুডোল স্তন যুগল হিমালয়ের হিমশৈল।

শেরপার অ্যাওয়ার্ড পেতে হয় ছুটে যেতে,
রঙ্গ রসের পিচ্ছিলতায় পিছলে পড়ি গভীর খাদে !
হিমালয়ের হিমশৈলের শীতল বক্ষে উষ্ণতা ছড়াতে মনটা কাঁদে।

শরীরের শারীরিক ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে রঙিন; বসন্তের পড়ন্ত বিকেলের হরিণের অপেক্ষায় হরিণী।
আমার প্রেমিক শুধু আমার এবং আমিও শুধু তাঁর; লিলিফুলের মাঝে তাঁর পদচারণ।

দিন শেষ হওয়ার পরে এবং ছায়া মুছে যাওয়ার আগে,ওগো আমার প্রিয়তম, ফিরে এসো এবং
রুক্ষ পর্বতের গজলা হরিণ বা হরিণশাবকের মতো হয়ে ওঠো।

আমাদের কিছু বলা দরকার – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

আমি বয়সে তরুণ, সেখানে আপনারা প্রবীণ;
তাই আমার ভয় হতেই পারে,
আমি যা জানি তা আপনাদের বলার সাহস পাইনি।
আমি ভেবেছিলাম, ‘বয়সই কথা বলবে; কিন্তু?

যাঁরা বয়সে প্রাচীন, তাঁরাই যে শুধু জ্ঞানবান, তা নয়,বয়স্করাই যে শুধু যা সমুচিত তা বোঝেন, এরকম নয়।
আমাদেরও কিছু বলার থাকে;

আমি যা জানি তা আমিও বলব।
তোষামোদি বুদ্ধিজীবী; রক্ত পিপাসু সরকারের পোষ্য কুকুরের সদৃশ; আস্তাকুড়ে জঞ্জাল!
আমি কোনও পক্ষপাতিত্ব দেখাব না,
কাউকে তোষামোদও করব না;

যেহেতু আমি শপথ করেছি ; শয়তানকে উৎখাত করেই ছাড়বো!যদি তোষামোদিতে পারদর্শী হতাম,
তবে আমার নির্মাতা অচিরেই আমাকে ত্যাগ করতো ।

আপনি কেন তাঁর কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন? যে তিনি কারোর কথা মানেন না!
স্বৈরাচারীতার সর্বোচ্চ সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং মিথ্যা কথার জননী;
যে পাপের প্রায়শ্চিত্ত না করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে ঠেলে ফেলেন!

ঘুম ভাঙ্গার পর – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

প্রেম ভালোবাসা সব ফিকে হয়ে যায়; কর্ম ব্যস্ততায়।
স্বপ্নেরা আসা ও যাওয়া করতে থাকে দুই চোখ ভরে,কল্পনার পাখায় ভর করে ভবিষ্যৎ চলতে থাকে বহুদূরে!
সারারাত আমার শয্যায় আমি একজনের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে বসেছিলাম,
যাঁকে আমার হৃদয় ভালোবাসে।

তাঁর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকলাম কিন্তু তাঁর দেখা পেলাম না!
তরুণীদের মধ্যে আমার প্রেমিকা ঠিক যেন কাঁটাগাছের মধ্যে ফুটে থাকা লিলিফুল।

আমার প্রেমিকার কপোতের অবস্থান; যেন শৈলের ফাটলে যেন পাহাড়ি এলাকার গুপ্ত স্থানে,
আমাকে দেখতে দাও; তোমার মুখশ্রী,
আমাকে শুনতে দাও তোমার কণ্ঠস্বর!
কেননা তোমার মুখশ্রী লাবণ্যময়,
তোমার কণ্ঠস্বর মধুর।

সারা রাত কাটাতে পারি তোমার বুকে মাথা রেখে,
সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কিন্তু ভোরে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠতেই;
ঘুম ভাঙ্গার মুহূর্তে তাড়া দেয় কর্ম পরিচালনার দায়িত্ব ।শুরু হয়ে যায় কর্তব্যের লড়াই,
ফলস্বরূপ দিন শেষে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।

BENGALI POETRY

বাংলাই দেখাবে ভবিষ্যত – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

কংগ্রেস সিপিআইএম বিজেপি তৃণমূল জানি না কার ভুল!
চাই সিস্টেমের পরিবর্তন আমূল। জনগণের দুর্দশায় ভিক্ষা দেয়, ভোটে জেতার আসায়।

তৃনমূলের জোড়া ফুল; চুরি করে বেমালুম ,
মূর্খ বর্বর নির্বাচন কমিশনার……..
কেউই কি রেখে ছিলো তার খবর?
“এটা খাই সেটা খাই সব লাগে তিক্ত
সব থেকে ভালো লাগে খেতে ভোটারের রক্ত”।

সারদার নারদার অর্থ, খেয়েছিল কোন কোন তারকা?সে হোক চলচ্চিত্র কিংবা অন্যত্র।
সরকার সবই জানতো; কুনাল করেছিল সেটা ব্যক্ত।

অ্যালকেমিস্ট রোজভ্যালি অর্থ সম্পত্তি দিয়ে কিনেছিল কলকাতার অলিগলি ও ফুটফুটে ফুলকলি,
১০ কোটির ৮ কোটি; হয়েছিল সেই দিন বলি! রাজ্য বাসীর কলিজাটা দিদি তুই কি করে খেলি?

রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট; কুসংস্কারে দেশ,
৫০০ টাকায় ভবিষ্যৎ নষ্ট; আছি আমরা বেশ।

খোকা যাবে টাকা রাখতে; আরব সাগরের তীরে,
সঙ্গে যাবে কে? টাকা নিয়ে গেল ইডি টেনে; মোটা ভুঁড়ি খুঁড়ে,বাংলা তার মেয়েকে চায় প্রচার বিশ্বজুড়ে।

‘সাহারায়’ সোনার তরী দিচ্ছে পাড়ি; খোকা খুকির খুঁজতে বাড়ি, বিশ্ব বাংলার বসন পরি।
চড়াম চড়াম গুঁড়া বাতাসা; বাংলাই দেখাবে ভবিষ্যতের আশা, ঝালমুড়ি আর চপের ব্যবসা ।

শাসকের নবী – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

ভারতের রাজপথে; মানুষ ধর্ষিত হয় দিন ও রাতে!
মনিপুর কি বাংলা, পৈশাচিক অত্যাচার করছে হেংলা ।

ইউপি কি দিল্লি; মা বোনের সম্ভ্রম নিয়ে করছে খিল্লি, যতসব বেহায়া বিল্লি।
নির্ভয়া অভয়া হাঁসখালী বাঁশতলী কামদুনি জামবোনী আজও কাঁদছে বহু রমণী!
রাজনীতি করেছে না কি তাঁদের সম্ভ্রমহানি ?

বল ভাই কাঙাল বাংলার কি আকাল ?
সুনাম ছিল সেকালে, দুর্নামে ভরে গেল একালে ।
খুন ধর্ষণ রাহাজানি বেঈমানি শয়তানি নাজেহাল
বাংলার মানীগুণী।
রবিঠাকুরের নোবেল চুরি কে করলো এই বাটপারি?

বিজয় মালিয়া ললিত মোদী হয় নীরব যদি; মেহুলী চোঙ্গি এরাই প্রকৃত শাসক সঙ্গী।
যতীন মেহেতা বিনয় মিশ্র নীরব মোদী তবে কি তারা শাসকের নবী ?

কে করবে বিচার এদের, চারপাটি দাঁত কার আছে?
লাগে না দশের কাজে; দেশকে চুষে খায় সে,
রাজনীতিরই বেশে ঘরে বসেই গোখরো পোষে।
মৃত্যু হয় তাদের; খাটে যারা চাষে পোষে, ভবিষ্যতে
কী হবে এমন দেশের?

নিজেও মরে – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

ভুল আর মিথ্যা কভু নয় সততা,
করো যত সততার বড়াই …
মিথ্যাটাকে ভুল বলে পুস্তিকা যত ছড়াই ।
বিচারের দায়ে দাঁড়াতে হবে;
কারণ ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!

শিশু যদি ভুল ভাবে বিদ্যুৎ করে স্পর্শ
বিদ্যুৎ কি বলবে ? খোকা স্পর্শ করো না,
ধরো না হাত, মৃত্যু তোমায় করবে না মাফ!

রাজার ক্ষমতার জোরে রাজা রাজ্যের প্রজারে যদি মারে, সে রাজ্য নিজেও মরে …
পাপের ঘোরে আর্তনাদ করে!

রোমান থেকে অটোম্যান
পারস্য থেকে গ্রিস
মিশর থেকে ব্যাবিলন
সব সময়ের সাথে সাথে হয়েছিল বিলীন।

ভুল আর মিথ্যার অভিনয় করো তুমি
যত ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ততো,
পাপ আছে যত…।
মিথ্যাকে ভুল বলে যত দাও জেলে
বিচারের দিনে সব যাবে আগুনে গলে ।

সত্য নয় – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব নয় —
ছেলেরা কেবল বন্ধু হয়,
কথাটি একেবারে সত্য নয় ।

মরণ কালে বন্ধু পাওয়া ভীষণ দায়;
ইয়োলোকে মায়ে-ই পরম বন্ধু হয় !
যে কিনা সকল বিপদে আপদে সাথে রয়।
পরকালেই বন্ধু আছে নিজের কাছে
মানুষের হৃদয় মাঝে সকাল সাঁঝে।

মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব নয় —
ছেলেরা কেবল বন্ধু হয়,
কথাটি একেবারে সত্য নয় ।

মাতোব্বরে কয় ভুলনা ভাই
“মূর্খ বন্ধুর থেকে শিক্ষিত শত্রু ভালো “।
হৃদয়ে প্রেমের আলো জ্বালো—
” মূর্খ বন্ধুর সাথে স্বর্গে যাওয়ার চেয়ে
শিক্ষিত শত্রু সাথে নরকে যাওয়া ভালো “!

মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব নয় —
ছেলেরা কেবল বন্ধু হয়,
কথাটি একেবারে সত্য নয় ।

মডিফাই গণতন্ত্র – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

রাজতন্ত্র আছে আজও জীবন্ত …
কঙ্কাল সার প্রজাদের মারে ধরে জেলে পোরে মিথ্যা মামলা করে ।

এমন সরকার নেই দরকার মোদের তরে;
রাজতন্ত্র মডিফাই করে হয়ে গিয়েছে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র !
পুলিশ ঘুষ নেয় রাস্তায় ধরে; মানুষ কি আছে আজ-ও জীবন্ত ?
জনগণ আজ হয়ে গিয়েছে সর্বস্বান্ত !!

মডিফাই করা গণতন্ত্র পুড়িয়ে মারে তাদের জীবন্ত;ধর্ষণের পরে প্রশাসন বসে থাকে ঠান্ডা ঘরে।
চায়ের দোকানে চিনি চুরির দায়ে শিশু শ্রমিকের নিয়ে যায় শ্রীঘরে !!

মডিফাই গণতন্ত্রের স্বৈরতন্ত্রের জোরে মূর্খ নেতা প্রফেসরের মগ ছুড়ে মারে…।
ইভিএমের জোরে মডিফাই গণতন্ত্র মানুষের মতামতের ধর্ষণ করে অবিরত !!!
এখন-ও জনগণ সংযত; বুলেটের ক্ষতের ভয় আছে কত শত ।

ক্ষয়ে যায় ভাগে ভাগে – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

জগতের জাগতিকতায়, সমাজের উলঙ্গতায়
হারিয়ে যাচ্ছি আমি নিঃসঙ্গতায়!

গাধায় করে চাকুরী; মেধায় হয় ভিখারী —।
রাষ্ট্র জুড়ে বুদ্ধিজীবীরা করে হকারি
বিক্রি হয় সরকারি চাকরি।

শালীনতার নেই মাত্র লেশ; আছে কেবল মলিনতার বেশ।
ভুলিয়ে দেয় যান্ত্রিকতায় – জীবন শৈলীর চাহিদায় যন্ত্র হয়ে যায় জীবন সাথী ‌।
বের হয়ে যায় জীবনের জৈবিক রস ! বুঝে ওঠার আগেই মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ে যায় ভাগে ভাগে !!

ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রশ্মির প্রভাবে মস্তিষ্কে তৈরি হয় মানুষ হবার অভাব;
খারাপ স্বভাব নিয়ে রেপ কোরে সেভ করে,
মোবাইলের চার্জ রয়ে যায় কিন্তু নিজের চার্জ কখন যে ফুরিয়ে যায় বুঝে ওঠা‌ দায়।

মিথ্যা ভালোবাসা – ডাঃ মাধাই মিদ্যা

লোভ লালসা মেরে ফেলে প্রেম ভালবাসা
জন্ম দেয় পৈশাচিক নিষ্ঠুরতার স্বার্থপরতা !
জয়ী হবে তুমি যদি সইতে পারো; অবিরত
রজনী শত শত… অর্থে বিশ্রাম রত
দুরাচারের নীরবতা।

আশা ভরসা প্রেরণা করুণা যা ছিল প্রার্থনা
সবকিছু শেষ হয়ে যায় বিদায় নিলে প্রিয়জন!
শ্রাদ্ধের প্রয়োজনে শুরু হয় আয়োজন, বিন্দু মাত্র থাকে না বিয়োজন ।
এটি কি নয় মনোরঞ্জন?

ছলনার ছলাকলায় প্রকাশ পায়
মনের না বলা কথা। পেতে চায় স্বার্থ,
শারীরিক আকুলতায় ! আনন্দ কুড়ায় হৃদয় জুড়ায় সহবাসের আঁকড়ায়
বিপরীতের মিথ্যা ভালবাসায়।

এটি ছিল লাভ অ্যাফেয়ার [Bengali Poetry]

হাওয়া খারাপ খুব খারাপ হওয়া!
ঘরে ঘরে বাবা; তদন্ত কমিশন মারছে থাবা।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে বারুদের গন্ধে; ভবিষ্যতের সমাজের হচ্ছে সন্ধ্যে। রন্ধ্রে

হাওয়া খারাপ খুব খারাপ হওয়া!
ঘরে ঘরে বাবা; তদন্ত কমিশন মারছে থাবা।
শিক্ষা গেল রসাতলে; মাদক এলো দুয়ারে দুয়ারে।
অসাধু ব্যবসায়ী ভরে গিয়েছে বাজারে,
ডাক্তার থেকে মোক্তার সবাই এখন জোকার।

হাওয়া খারাপ খুব খারাপ হওয়া!
ঘরে ঘরে বাবা; তদন্ত কমিশন মারছে থাবা।
জ্ঞানী বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী সবই এখন রাজনীতি, রাজা নেই আছে রাজনীতি; বুঝে নাও এটা কেমন রীতি!

হাওয়া খারাপ খুব খারাপ হওয়া!
ঘরে ঘরে বাবা; তদন্ত কমিশন মারছে থাবা।
ধর্ষিতার নিয়ে করতে যাও এফ আই আর; পাবেনা সুবিচার!
করো যদি প্রতিবাদ; খেতে হবে জেলের ভাত।
বলা হতে পারে; এটি ছিল লাভ অ্যাফেয়ার।

হলো না তা-আর [Bengali Poetry]

আশায় আশায় বাঁধি বাসা
তোমায় দেবো ভালোবাসা স্বপ্ন ছিল;
তুমি আমায় প্রেম পিপাসা।

যৌবন তেষ্টায় তোমার চেষ্টায়
দেখিতে চেয়েছিলাম জগত শেষটায়,
হলো না …তা-আর আমার এ জনমে;
হতাশায় ভেসে গেল আশার বাসা!

বাবা তোমার জন্য পেয়েছিল পাত্র খাসা
আমি তো নিম্নমানের বর্ণহীন অস্পৃশ্য!
জল জঙ্গল আমায় পেশা।

তোমার রঙের উজ্জ্বলতায় উদ্ভাসিত পূর্ণিমার চাঁদ জোয়ার জলে ঢেউ তোলে ছলাৎ ছলাৎ…
জল জঙ্গলের পেশায় আমি জেলে।

আবার আসবো বলে চলে গেলে,
আমার ভালোবাসার নিরাশায় ফেলে ?

মানুষ সত্য প্রমাণিত [Bengali Poetry]

আকাশ গঙ্গার ওপারে,কত কোটি তারা আছে
কে গুনতে পারে?
বৈজ্ঞানিক সব – জ্যোতির্বিদ আর কে কে আছে…?

তারা সব মিথ্যা বলে;সত্য অঙ্ক কসে
আজকের জেটি পরীক্ষিত প্রমাণ,
কালকের সেটি ভুল সিদ্ধান্ত।
থিওলজিস্টরা সেটি জানতো!

মাটির ভিতরে আগুন আছে
কে বা আগে মানতো?
ধর্ম শাস্ত্রে লেখা আছে;
নবীরা তা মানতো ‘আদ্যোপান্ত’!

লোহিত সাগর হয়ে ছিল বিভক্ত-
মূসার লাঠি মস্ত বড় সাপ জ্যান্ত,
ইজরায়েলের ইতিহাস আজও জীবন্ত!

দুনিয়াতে আছে যত মানব প্রজাতি
ওরা সবাই আদম সন্তান, এটা যদি মানতো…?
সমস্ত বিবাদ হত খানতো!

ভায়ে ভায়ে দ্বন্দ্ব করিস যত…..
শয়তান সন্তান অট্টহাসি হাসে তত!
মানুষ ছাড়া হয় না কিছু;
সমস্ত কিছু মানুষের পিছু পিছু
এবিষয়ে ঈশ্বরের উক্তি আছে কিছু —

“তোমরা কি জান না যে, তোমরা ঈশ্বরের মন্দির এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের অন্তরে বাস করেন?
যদি কেহ ঈশ্বরের মন্দির নষ্ট করে, তবে ঈশ্বর তাহাকে নষ্ট করিবেন, কারণ ঈশ্বরের মন্দির পবিত্র,আর সেই মন্দির তোমরাই”।

সত্য কথা [Bengali Poetry]

কবির কল্পনা; মানুষের জল্পনা
হয়ে যায় কাব্যের আল্পনা।
আসে তখন সফলতা…..
যদি হয় সমাজের সমালোচনা
যে থাকে সমালোচনার শীর্ষে:
তার কাব্য চলে যায় সবার ঊর্ধ্বে।

হিংসে করে ও থামানো যাবে না তাকে
সত্য হোক কিংবা মিথ্যা।
করিবো গল্প কথা;জুড়ায়ে দেব মন ব্যথা!
খুঁজে দেখ ইতিহাসের পাতা।

“চন্ডিদাস রজকিনীর” জীবন গাঁথা
ফুটে ওঠে তোমার – আমার মুখের কথা।
“বিজয় গুপ্তের “কাব্য কথা
প্রচারিত হয় বাংলার যেথা সেথা।

আগামী দিনের প্রবণতা;
রোবট গড়বে সভ্যতা!
মানুষের হাতে হবে; মানবতার হত্যা,
তখন ফিরবে কি মানুষের চেতনতা!

চলে যখন শাসকের অত্যাচার –
গর্জে ওঠে কবির কলমের সোচ্চার!
কবির নেই অর্থ ‘অস্ত্র ‘কেনার সামর্থ্য
কবির কলমের জোর আনবে নতুন ভোর।

কবির কল্পনা সমাজের চেতনা,
কবির জল্পনা শাসকের যাতনা,
প্রজার আর্তনাদের স্বর দিকে দিকে
ঘুরে ফেরে কাব্যের জোরে —
নিশীথ সূর্যের দেশের মতো করে!!

শিশুর ভবিষ্যৎ [Bengali Poetry]

মনে পড়ে ছেলে বেলা
খাওয়া জুড়ত না দুবেলা!
সকালে উপোষ দুপুরে খুদ সন্ধ্যায় ফ্যান
এভাবে চলে যেত তিন বেলা।

জীবনের সকাল বেলা বেচে;
দিতাম খাবারের জ্বালায়…
বড় লোকেদের পায়ের তলায়!

মনে পড়ে শৈশব
ওরা কেড়ে নিল মৈ-শব,
উঠবো কি করে উপরে ভাই সব!

পৃথিবীর বুকে আছে যত টুকাই
ওরা তো সব আমার ভাই;
ভাইয়ের দুঃখ করিব মোচন
অনুশোচনার বার্তা নিয়ে করিলাম পণ
আমরা এ সময়ের করিব খণ্ডন।

শিক্ষিত হতে হবে ওরে আপনজন,
তবেই জুটি ‘বে’ তিন বেলা ভক্ষণ!
নিজেরে করিতে হবে রক্ষণ।

স্কুলে গেলাম যখন
মাস্টারমশাই বলল তখন।
পড়বি তোরা এখন ?
জমিদারের গরু চরাবি কখন?
চোখের জলে বললাম মহাশয়…
আমাদের কি কোন কালে হবেনা আশ্রয়?

ছুটিতে গেল কৈশোর
মানুষ না হয়ে হলাম পশু শুয়োর!
চলছে ঘোর; হবে না ভোর,
উঠবে না সূর্য জীবনে মোর!!

মনের বাসর [Bengali Poetry]

আমি আর রাত জাগি না জানো !
আমি তোমায় ভালোবাসি এ কথাটাই মানো,
আমি নিচু জাতের বংশজাতক যেদিন শোনো–
সেদিন ফিরিয়ে নিয়েছো তোমার ‘মন’ ও !

সেদিন আমার চাকরি ছিল না এ কথাটা আমিও মানি,
আজ পতিতালয়ে তোমার ঠাঁই হয়েছে এটাও আমি জানি।
তোমার উঁচু বংশজাত স্বামী বিবাহ করেছে দুই খানি !
টাকা দিলে কিছু কিছু উঁচু নিচু থাকে না বিভেদ কিছু সহ্য হয়ে যায় তখন সব কিছু।

আমি আর রাত জাগি না জানো !
টাকাও আছে আমার কাছে এ কথাটা ও মান;
সত্য কথাটা বলি তোমায় এখন তুমি শোনো
আমিও যাই তোমার কাছে রাত্রে ঘন ঘন।

তুমি চিনতে পারোনি আমার এখনো…;
তোমার জন্য আজও আছে মনের বাসর সাজানো!
একদিন সব থেমে যাবে কবর হবে গোছানো;
সেদিনও অপেক্ষায় থাকবে এই জঘন্য…;
আমি সেই নিচু বংশজাত তারুণ্য ।

ব্যথিত চিত্তে পথ চলে ভৃত্য [Bengali Poetry]

চাঁদ উঠেছিল গগনে
আমি দেখেছিলাম তোমার স্বপনে
প্রেমলীলা চলছিল বেশ গোপনে !

রঙ্গ রসের শোভাবর্ধন দেখিয়েছিলে
চাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না ভরাক্ষণে;
আজও কোথায় খুঁজে ফিরি এক মনে,
জলে জঙ্গলে বাসে ট্রামে মনের গহনে ।

স্ত্রী আমার সাক্ষাৎ বিষ্ণুপ্রিয়া,
তবুও আমি খুঁজি আজ মনোপ্রিয়া
বেদনায় কাঁদে মোর হৃয়া !

হৃদয় জোড়া অদ্ভুত পিড়া,
খাচ্ছে কুরে সংসার কিড়া—
তবুও যদি থাকতে পারতাম হয়ে একজোড়া।

সময় হয়েছে ; বয়স গিয়েছে বেড়ে,
মনটা আমায় আছে পড়ে ; পরঘরোনীর গড়ে ।
রূপ যৌবন কাঙ্ক্ষিত নয় ; আকাঙ্ক্ষিত হৃদয় ব্যথিত চিত্তে পথ চলে ভৃত্য
দেখিতে পাই তোমায় এটাই জীবন নিত্য।

বাংলার ওলী সৈয়দ মুজতবা আলী [Bengali Poetry]

উনিশত চার আসে নাকো বারবার;
এসে ছিল বাংলায় একবার …
জনমে ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী সে বার।

সাহিত্যে লড়েছিলেন ত্রিদেশীয় জানা আছে সবার
আজকের বলেন দেখি অজানা আছে কার কার ?
পাকিস্তানের বাসিন্দা সৈয়দ মুজতবা আলী এবার,
সম্পাদনা করেছিলেন ব্রিটিশ ভারতে কতশত বার
বাংলায় অপেক্ষায় ছিলেন জীবন অবসান হবার !

বহুভাষী বাঙালি আপনিই সূর্যের মতো স্বর্ণালী ঝরে পড়ে 

বাংলা সংস্কৃত ইংরেজি আরবি উর্দু ফার্সি হিন্দি গুজরাটি 

ফরাসি জার্মান ইতালীয় সহ পনেরটি ভাষার বর্ণালী !
চলে গেলেন উনিশত চুয়াত্তরে আমাদের ফেলি!
বাংলার ওলী স্যার সৈয়দ মুজতবা আলী ।

জীবনের স্মৃতি কথা লিখেছিলেন ভ্রমণ কাহিনী
আপনার লেখায় আছে না কি মোহিনী ?
রাবেয়া খাতুন হয়েছিলেন জীবন সঙ্গিনী ।

কর্মধর্ম জীবনে রেখে গিয়েছিলেন অসামান্য ঝাঁপি
আমি কলম ধরার সময় হৃদয়ের পাল্লায় মাপি।
বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে দেখাতে পারি আঁখি।

হায়না [Bengali Poetry]

হায়না হায়না হায়না
চারি দিকে হায়না
করছে যা খুশি বায়না ।

স্বাধীনতা ছাড়া তারা কিছু খায় না
কে মরে বা কে বাঁচে তাতে—
তাদের কিছুই যায় না আসে না !

তারা যে কেবল মাত্র খায় – না
মানুষ হতে কখনো দেয় না ।
উন্নয়নের নামে করে শুধু কান্না
জ্যান্ত খায় তারা ; করে নাকো কখনো রান্না ।
রক্ত মাংস হাড় চামড়া কিছুই বাদ দেয় না!

শিক্ষা স্বাস্থ্য বাস্তু রাখছে না কিছুই আস্ত।
সমস্ত সম্পত্তি করছে হস্তগত —
ক্ষমতার জোরে লালসার সুরে
কথা বলে মোরে যা কিছু আছে
নেব সব জোর করে !

গগন তলে তপন অস্তগেলে
দাও বিসর্জন পুরুষত্বের !
চন্দন চর্চিত ললাটে মিথ্যার মলাটে
সমস্ত লেখা হবে দার্শনিকের বলাতে
বিচার হবে তোমাদের জনগণের আদালতে !

দেখা দেব [Bengali Poetry]

এ ভীষণ যন্ত্রণা; হৃদয়ে না মনে,
তা ভাই বলতে পারবো না !
আত্মার মন আর শরীরের মন
এক হয় যখন, দ্বন্দ্ব হয় তখন ।

যন্ত্রণা আর সইবো না
করে দেখি সমস্ত ভাবনা ।
সক্রেটিস হবো না ; নেপোলিয়ন ও কল্পনা !
কালিদাসের পথে হাঁটতে চাই না !

অচেনা অচিন পথের পথিক হয়ে
রয়ে যাব অনন্তকাল তোমার পাশে ।
ভোরের দূর্বাঘাসে রাত্রির রজনীগন্ধার সুবাসে
শিতের দিনে নবান্নের ভাতের মাড়ে
গ্রীষ্মের দুপুরে বটের ছায়ায় কলের তলায়
বর্ষাকালে দিঘির জলে শ্যাঁমলা ফুলে।

দুঃখে তোমার প্রেরণা দেব, আনন্দেতে স্বপ্ন হয়ে দেখা দেব ।
মরণ কালে বন্ধু হয়ে দেখা দেব ।

লড়াইটা চালাতে চাই [Bengali Poetry]

সারা দিন খেলি আমি ভাইরাসের সাথে
রাতদিন ঘুরে বেড়াই ব্যাকটেরিয়ার পাশে
লড়াই করে বেঁচে আছি পশুর সাথে !

খাওয়ার জন্য বাঁচি – না ,
বাঁচার জন্য খাই , এটা তো জানি না ভাই ।
নড়াইলটা চালাতে চাই
যতক্ষণ বেঁচে আছি ভাই।
যতক্ষণ এ দেহে আছে প্রাণ
ততক্ষণ মগজে দাও শান।
না হলেই সমাজের ধারে হবে খান খান
আর যাবে তোমার জান!!

ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস তার থেকেও ডেঞ্জারাস মানুষের বিশ্বাস !
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কবলেও
আছে বাঁচার আশ্বাস —
মানুষের কবলেও আছে বিশ্বাস
ছাড়িতে দেবে না তোমার নিঃশ্বাস !!
ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের ও আছে তবুও সিগন্যাল
মানুষের মতো নেই আর ক্রিমিনাল ।

প্রেমহীন ভালোবাসা [Bengali Poetry]

সীমাহীন প্রেম দিতে চেয়েছিলাম আমি
তাই মনে হয় আমার কাছে আসোনি?
পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চেয়েছিলাম আমি
তাই হয়তো আমার ভালো বাসোনি?

নগ্ন প্রায় পোষাক ছাড়তে বলেছিলাম
বলেছিলে আমাকে মধ্যযুগের বর্বর দূর হও এবার……..,
তারপর যা হলো সব ইতিহাস ।

প্রেমহীন ভালোবাসার দুর্গতির নেইকো শেষ,
দেখিয়ে দেয় ধোঁয়াশায় ভরা দুরাশা !
নিরাশার খাঁচায় বন্দি হৃদয়ে
পরিবর্তন হতে চায় নীরবতায় হিংস্রতায় নিষ্ঠুরতায় উন্মাদনায় পরলোক গমনতায়!!

বাসি জীবনে এসে বলছো ভালবাসি
একি করছো তুমি?মধ্যযুগের বর্বর আমি!
অবশেষে আমাকে করবে স্বামী?
যৌবন শেষে বৃদ্ধ বয়সে, কি করে বল এসে?
কোথায় গেল তোমার স্বামী ভালোবেসে?

হবে তোমাদের অবসান [Bengali Poetry]

ওই যে দূরে সম্মুখ সমরে কলকাতার অন্দরে
কাঁদছে ওরা! হাসছো বেদুইন সরকার তোমরা ।
ওরা কারা জানো? ওরা হলো শিক্ষিত মার্জিত অহিংসুক যন্ত্রপাতিহীন বিশ্বকর্মা।
ওরা কারা জানো? ওরা হলো তোমার আমার ঘরের শিক্ষার প্রদীপ জ্বালানোর সেই সলতে।
ওরা কারা জানো ? তোমার আমার বাঁচার পথ বাঙালির গৌরব।
ওরা কারা জানো ? ওরা হলো সমাজ গড়ার কারিগর।
ওরা কারা জানো ? তোমার আমার ঘরের বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
ওরা কারা জানো? বাঙালীর এবং বাংলার অহংকার ।
হাসছে কারা জানো? রক্তচোষা চশমখোরের দল।
হাসছে কারা জানো? চশমখোর নির্লজ্জ বেহায়া সরকার।
হাসছে কারা জানো?হিংস্র হায়েনা, বাঙালি বলে চেনা যায় না।
হাসছে কারা জানো? তথাকথিত বুদ্ধিজীবী শয়তানের দল।
হাসছে কারা জানো? চেতনা হীন বেইমান, হবে তোমাদের অবসান!

নতুনের আগমন হবে [Bengali Poetry]

শাসকের ভীষণ অত্যাচার —-
গণতন্ত্র নাকি ব্যভিচার ?
দিকে দিকে শোনা যায় হা-হা-কার!

রাজতন্ত্রের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে,
প্রভাব ফেলছে গণতন্ত্রের যন্ত্রে।
রাজতন্ত্র নাকি গণতন্ত্র বুঝি না —
এ কোন্ সন্ত!

ক্ষমতা চাই যুগ যুগ যুগান্ত
নবীন নবাগত যতসব আগত ;
গণতন্ত্রের মন্ত্র বলে
পা চাটা তাদের শেখাতো।

পা চাটতে চাটতে জ্বীব গিয়েছে ক্ষয়ে,
ভবিষ্যতের কন্ঠ কাঁপছে ভয়ে
দেশ -ও কাঁপছে বেকারত্বের জ্বরে ।

বিদ্রোহের মৃত্যু হবে না যেন
শিক্ষিত সমাজের ম্যালিগন্যান্ট
ম্যালেরিয়ার হবে না কেন?

বল পাবে তবে; বলসেভিক আসবে যবে
ফিদেল কাস্ত্রো জন্ম নেবে কবে ?
ভারতের ভূমির পরে …
সেদিন নতুনের আগমন হবে ।

নাগরিক তখন গণতন্ত্রের সাধ নেবে
ব্যর্থতার রাত্রির অবসরে,
নতুনের আগমন হবে …
ভারতের ঘরে ঘরে ।

ডাঃ মাধাই মিদ্যা | Dr. Madhai Middya

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | নীলমাধব প্রামাণিক

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | কল্যাণ সুন্দর হালদার

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | শুভশ্রী রায়

New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | শান্তনু গুড়িয়া

story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdodweep Founder

Leave a Comment