Archive Bangla Galpa – Riddho Chakraborty
চোরবাহন – ঋদ্ধ চক্রবর্তী
সূর্যজার বাবার নাম সূর্যচন্দ্র চক্রবর্তী, মানে আমি। সূর্যজার প্রাথমিক কীর্তিকলাপ সম্বন্ধে গল্পাকারে লেখা বিশেষভাবে মনস্থির করিনি। আমার মেয়ের, বলতে গেলে আমাদের জীবনচরিত বাকি অন্যান্য মানুষদের মতনই তবে সূর্যজার জীবনে পর পর এমন কিছু ঘটনা ঘটে গেল যে আর হাতে কলম তুলে নেওয়া ছাড়া উপায় দেখলুম না। সূর্যজার এখন চার বছর বয়স। এরই মধ্যে যে সে একেবারে “কীর্তিবাসিনী” হয়ে উঠেছে, তা আর না বলে, মুখ টিপে থাকা যায় না; মুখ টিপে থাকা গেলেও আমার ডান হাত বাঁধ মানেনি। অবশেষে তাই পত্রিকার পাতায় অবতরণ সূর্যজার সাহসীপনার।
সূর্যজার ব্যাপারে মানে সূর্যজা-ঘটিত কাণ্ডের সম্বন্ধে আমি আরও লিখতে উদ্যত হই কারণ ঘরে আসা পত্রিকার মধ্যে আমার চোখ পড়ে যায়, একজন বাবার লেখা তাঁর নিজের ছেলেদের কাণ্ডকারখানা। প্রথমে সেটাকে সত্য বলে ভেবে নিতে পারিনি। পরে জানতে পারি সেগুলো সত্যি। তখন অবশ্য সূর্যজা সবে দু’বছরের; তিনখানা মামলায় সূর্যজা ইতিমধ্যে জড়িয়ে পড়ে, জট ছাড়িয়ে, কিস্তিমাত করেছে। এমতাবস্থায় স্থির করলাম, সূর্যজার রোমাঞ্চকর লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলে কেমন হয়? আর আজ সূর্যজার প্রথম কাহিনী দিয়ে শেষ পর্যন্ত শুরু করলাম তার জীবনী।
১৯৯৫-এর শেষের দিক। সূর্যজার জন্মানোর প্রায় দশ মাস বাদে, ওকে নিয়ে বাসে ওঠা হল। তার আগে, ও জন্মইস্তক Taxi-গাড়ি বা রিক্সা করেই যাতায়াত করেছে। সূর্যজার প্রথম বাসে চড়া, ওর দ্বিতীয়বার বাসে চড়ার, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে, সূর্যজার Hepatitis-B Vaccine বা টিকার জন্য। এবারে ফের বাসে ওঠা, হাতিবাগানের উদ্দেশ্যে। বেশ নিরুপায় হয়েই যাত্রা করা। সহধর্মিণীর বাক্যবেগে বাধ্য হয়েই হাতিবাগান পর্যটন। ঘরে এমন কোনো জিনিস নেই যার কমতি আছে, তবুও হুজুগ মানুষকে বাড়ির বাইরে চড়-চপেটাঘাত-ঘাড়ধাক্কা দিয়ে হলেও ভবঘুরে করে।
থাকি পাইকপাড়ায়। নিরিবিলি, নির্ঝঞ্ঝাট। হেমন্ত সেতু বা Tallah Bridge–এর ঠিক একান্ন পা আগে। সকালে ভালোই বাজার বসে বাড়ির নীচে, তাই আর দূরে বাজার করতে যাওয়ার সমস্যাটা নেই। না হলে তো রবিবার-রোব্বার টালা সেতু পেরিয়ে, তার চৌমাথায়, আরেকটা ছোটো খালের সেতু পেরিয়ে পাখির হাট তো বসেই। নামেই “পাখির হাট”: সেখানে পাখির বহর তো রয়েছে উপরন্তু কত পোষ্যের যে বহর আছে তা গুনে শেষ করা যাবে না– একদিকে কুকুর ও খরগোশ, অন্যদিকে অগণিত গাছগাছালি ও বহুব্রীহি সরঞ্জাম। সুযোগ-সুবিধার শেষ নেই। তারপর হাতের কাছে শ্যামবাজার–আর কী চাই?
কথামতো এক সন্ধ্যায়, হাতিবাগানে যাওয়া ঠিক হলো। সূর্যজাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো হয় না বিশেষ । বাড়িতে আমার মা ছিলেন, তবে সূর্যজাকে তাঁর কাছে রেখে যাবার সাহস হলো না। বলা তো যায় না, যত শান্তই বাচ্চা হোক, খানিকটা বড় হয়ে গেলে তারাও বুঝে যায় কখন কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, কার ওপর করতে হবে, যতই গুরুজনেরা “তাদের” কীর্তিকলাপ বুঝুক বা বেয়াকুব হয়ে “তাদের” মিষ্টি অত্যাচার সহ্য করুক। সাজগোজ সেরে, গোছগাছ করে, সূর্যজাকে কোলে নিয়ে আমার স্ত্রী ইন্দুস্মিতার সঙ্গে ধীরপদে হেমন্ত সেতুর দিকে হাঁটছি। সেতুর তলদেশে এসে সিঁড়ি আরোহন করে পৌঁছে গেলাম সেতুর মূল রাস্তায়। সারিসারি গাড়ি, যানবাহন, মোটর-চালিত দু’চাকা, চারচাকা, ছোট হাতি, বড় হাতি প্রভৃতি বিরামহীনভাবে সতর্কতার বাঁশি বাজিয়ে কান ফাটিয়ে সকলে ছুটছে দু’দিক থেকে। সেতুর মাঝ বরাবর Road Divider বা রাস্তা বিভাজক না থাকা স্বত্বেও গাড়িগুলি বিনা ধাক্কায় কিভাবে দৌড়চ্ছে সেটাই সবচেয়ে অবাকের! আগত বাসের দিকে বাঁহাত লম্বা করে নাড়িয়ে ও ডান হাতে সূর্যজাকে সামলে বাস দাঁড় করালাম। স্ত্রীও সহযোগিতা করেছিল, যতই ওর থলেধারী বাঁ হাত বাস দাঁড় করানোর ছুতোর ঝাঁকুনিতে নাচুক না কেন। লোকেদের ঢল আমাদের ক্রমশ ঠেলে বাসের সিঁড়ির ওপরে তো তুললোই সাথে সাথে বাসের ভেতরে পিছন দিকে ঢুকিয়ে দিল। একটা বেবারের সন্ধেতে যে এত মানুষের ভিড় হতে পারে সেটা একেবারে অবিশ্বাস্য! আমি সূর্যজার দিকে সারাক্ষণ লক্ষ্য রাখছিলাম। ও যেমন শান্ত তেমনি রয়ে গেল, শুধু ওর উৎসুক চোখ দুটো খালি এদিক সেদিক পিছিয়ে ফের স্থির হচ্ছিল।
বাসে বিশেষভাবে কোনো খালি আসন ছিল না। ৭৮/১ বাসের গমনপথে ঠাসা যাত্রী কোনদিনই দেখিনি। হ্যাঁচকা মেরে বাস ফের ছুটতে শুরু করল। স্ত্রীর সামনে যিনি বসেছিলেন, তিনি হয়তো আমাদের দুজনকেই লক্ষ্য করেছিলেন সাথে কোলের শিশু নিয়ে উঠতে, তাই আগ বাড়িয়ে বললেন, “বাচ্ছাটাকে দিন না। দাঁড়িয়ে আর কতক্ষণ যাবেন? তবে ইন্দু বা আমাকে কাউকে বসতে বলল না। তখনই ইন্দু বলল,”সুযিকে দাও। উনি নিয়ে বসুন। ধন্যবাদ দিদি।“বলে দুজনের মুখে হাসির রেখা ফুটলো। টালার সেতু বাস অতিক্রম করতে যাবে- এমন সময় দেখলাম লাল বাতি। বাস থামতেই সূর্যজাকে ভদ্রমহিলার হাতে তুলে দিলাম। ভদ্রমহিলাকে দেখে খারাপ মনে হলো না-গড়ন হৃষ্ট-পুষ্ট, মাথায় কুচকুচে কচিকচি-করে কাটা ঘাসের মতো খেলানো চুল, শরীর সুগঠিত তবে পরিধানে বগল-কাটা গেঞ্জি-জাতীয় জামাবিশেষ আর ঢলঢলে কালো পায়জামা। হাতে দু’জোড়া মোটা বালা।
বাস সবুজ সংকেত পেয়ে ফের চলতে শুরু করল। টালার মুখে বাসের ভিড়ের অবনমন না ঘটায়, শ্যামবাজারে ভিড় হ্রাসের সম্ভাবনার আভা চোখে ঝিলিক মারতে লাগলো। ইন্দু একটা seat পেলে হয়। যাই হোক, সূর্যজাকে নিয়ে বসার চিন্তা নেই। বাগবাজার BATA-এ এসে ফের যান দাঁড়ালো। একটা মহিলাদের আসন আর দু’টো পুরুষের আসন খালি হলো। তবে ওনারা দরজার কাছে দাঁড়ালেন, নামলেন না। বুঝলাম, শ্যামবাজারে অবরোহণ করবেন। ইতিমধ্যে, টিকিট-বিক্রেতা কন্ডাক্টর “দেখি-দেখি”, বলে ডান হাতের আঙুলে মোড়া টিকিটগুচ্ছের মাথায় বুড়ো আঙ্গুলের ডগা দিয়ে চিড়িক-চিড়িক করতে আরম্ভ করেছেন। কন্ডাক্টর যে কিভাবে তার আঙুলের খাঁজ দিয়ে সুন্দর করে টাকার পাতাগুলো সমান্তরাল মুড়ে রাখেন সেটা যতটা আশ্চর্যের ততটাই নয়নাভিরাম। সাথে তার টাকার চাকতি-ভরা ঝোলাটির কথা ছেড়েই দিলাম।
তিনজনের টিকিট পেয়ে আমার ছোটোবেলার কথা মনে পড়লো যখন আমি টিকিট জমাতাম। এটা প্রায় বাল্যকালীন বাসযাত্রীদেরই অবিচ্ছেদ্য শখ। প্রথমে টিকিট জমিয়ে বইয়ের ভিতরে রাখতাম। বই খুলতে গিয়ে হাওয়ার চোটে অর্ধেক উড়ে যেতো। তারপরে সুতোয় বা বেষ্টক(girder)-এ মুড়ে রাখতাম। পরে দেখলাম, সুতোয় থেকে ধীরে ধীরে টিকিটের থাক-এ দু’পাশ থেকে ছিঁড়ে যাচ্ছে আর girder গরমে গলে টিকিটের থাক-কে আঁটিয়ে দিচ্ছে। তখন থেকে টিকিটের শখ উঠে গেলো। সে সবের আর আজকের দিনে অস্তিত্ব নেই।
টিকিটের গড়ন একেবারে নিখুঁত আয়তক্ষেত্র বা rectangle। টিকিট প্রস্তুতকারক যন্ত্র কী এবং কেমনভাবে চালিত, তার দৃঢ় জ্ঞান আমার নেই। টিকিটের সবচেয়ে ওপরে টিকিটের নম্বর উল্লেখ করা থাকে। আগে আগে টিকিটের এমন সমস্ত নম্বর পেতাম, দেখে উৎফুল্ল বোধ করতাম নয়তো দুঃখে গুমরে যেতাম। বহু মানুষের ৯-এর প্রতি একটা গভীর টান রয়েছে। আমার সেটি নেই। যেমন ধরুন প্রায়ই আমি ভিন্ন নম্বরের শেষে ‘৯’ বা ‘১’ থাকলেই মনে হত– ইস ! যদি ১০০, ২০০, ৩৪০, ৯৯০ পেতাম, কতই না ভালো হতো–Just miss….. কিছুই নয় এসব, বালখিল্যের খেয়ালখুশি, ছেলেমানুষ মনস্তত্ত্ব।
টিকিট-এ একক-দশক-শতক এই তিনটি সংখ্যা নিয়ে টিকিটের “নম্বর”। তার তলায় থাকে নির্দিষ্ট বাস-এর “গমন সংখ্যা” বা বাস-এর নাম যেমন এই ৭৮/১, ২৩০, ইত্যাদি। অবশ্য বাসের “নাম” বহু সময়ে বাসের প্রান্তে গায়ের পাশে লেখা থাকে যেমন ‘গুড়িয়া’, ‘আকাশ’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, প্রভৃতি। গমন সংখ্যার তলায় বাসের নম্বর বা Registered Numberplate–এর নম্বর।
অবশেষে টিকিটের ভাড়া। কোনো কোনো টিকিটে ‘UP-DN’–ও ছাপা থাকে ভাড়ার আগে। যে জিনিসটা আগে কোনো টিকিটেই দেখিনি সেটা হল NTS বা (Non-Transferrable service) বেহাত-বিরোধী কাজ-এর সতর্কতা ছাপতে– যা আপাতত আমি ২৩০-এর গমনপথের টিকিটে পেয়েছিলাম। টিকিটগুলির যত্নসহকারে ভাব-বিন্যাস পর্ব শেষ হলো।
ভাবতে ভাবতে এদিক সেদিক দেখছি–চালকের আসন, আসনের পেছনে ঠিক জেলখানার মত গ্রিল-তোলা কারুকাজ, তার ওপরেই WB দিয়ে লেখা বাসের নম্বর আর মা কালীর ছবি ধুলো-পড়া জবার মালা জড়ানো। আসনগুলির উপর জানালার ঠিক ওপরে লেখা সতর্কবাণী,”বয়স যদি তিন, পুরো ভাড়া দিন”, “মালের দায়িত্ব আরোহীর”- “আপনার ব্যবহার আপনার পরিচয়” খুব কমই দেখা যায়। অবশেষে “পকেটমার হইতে সাবধান”। আর ঠিক তখনই যানবাহনে শোরগোল পড়ে গেল। ইতিমধ্যে Bus–এ অনেক কিছু ঘটে গেছে। শ্যামবাজার আসতেই কেউ বলছেন,” আমার phoneটা কোথায় গেল!” কেউ বলছেন,” আমার কানের দুল! হাতের ঘড়ি!! টাকা? আংটি?!”
যারা শ্যামবাজারে নামতে যাবেন তাদের ধরা হলো। কেউ গন্তব্য ছেড়ে ছুটলো তাদের পেছনে। Bus তন্ন-তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। প্রায় অনেকেই অস্থির। আমিও হতভম্ব। কপাল দিয়ে গলগলিয়ে ঘাম ঝরছে; আমারও কিছু চুরি গেল না তো ?
ইতিমধ্যে সূর্যজার পাশে যে মহিলা বসেছিলেন তিনি, যে সূর্যজাকে নিয়ে আছেন, তাঁকে ইতস্ততের মধ্যে ফেলে দিলেন। সূর্যজাকে নিয়ে নাড়াচাড়া, তোলা-নামানো, হেলানো-দোলানো–তবু মহিলার হাতের আংটি আর কানের দুল পাওয়া যায় না। মহিলা হয়তো দেখেননি তাঁর হাতব্যাগের সমান ফুটো যতক্ষণ না সেখান থেকে পয়সা গড়িয়ে পড়ল। এবার মহিলা-মহিলা বচসা শুরু হয়ে খণ্ডযুদ্ধ লেগে গেল। গলার আওয়াজ যে কত deciBel পৌঁছালো তার আন্দাজ কঠিন। সূর্যজা যেন আরও জোরে ঝাঁকুনি খেতে লাগলো। শুধু তাই নয়, মহিলার চুল টানলো, তাঁর বুকে হাতগুলো দাপাদাপি করল। আর কেঁদে উঠলো। খানিকক্ষণ আগে থেকেই ওর এমন আচরণ লক্ষ্য করছি। ইন্দুও ঘাবড়ে গেল। তখন আর সূর্যজাকে ওনার কোল থেকে তুলে আমার হাতে দিয়ে দিল।
চুপ করানোর চেষ্টা করলাম। চুপ করেও গেল। ওর শরীরের দিকে লক্ষ্য করতে গিয়ে দেখি, ওর বাঁ পায়ের মল আর ডান হাতের বালা উধাও। মুখ শুকিয়ে গেল। চোখের শিরা বেরিয়ে এল। কেউ নিশ্চয় চুরি করেছে। কারণ বাসে ওঠার সময়ও সেসব হাতে আর পায়ে ছিল। মহিলাদের আসনের তলায়ও যদি পড়ে থাকতো, নিশ্চয়ই পাওয়া যেত। এধারে ওধারে পায়ের কাছেও পেলাম না। নিখুঁত চুরি!
ইতিমধ্যে বাস শ্যামবাজার থেকে বেঁকে বিধান সরণিতে পড়েছে। টাউন স্কুলে বাস আসবো আসবো করছে। মাথা ঠান্ডা রেখে সূর্যজাকে ইন্দুর হাতে তুলে দিলাম,”ধরো এখন। পরে নিচ্ছি।“ থলে আর সূর্যজার ভারে ও বেশ জবুথবু হয়ে রইল। Denim পায়জামার পকেটে mobile phone বা চলমানটা ছিল কিনা, দেখতে তাই হাত ঢোকালাম। হ্যাঁ আছে। এবার সন্তর্পণে, প্রায় লোক চক্ষুর আড়ালে, একটি চলমান বার্তা টেপাটিপি করে লিখে গোপেন্দু O.C.-কে পাঠালাম। এক হাতে মাথার উপর ইস্পাতের লম্বা rod আর এক হাতে চলমানে লিখে পাঠালাম। বাসের নাম ও নম্বর পাঠিয়েই শ্যামপুকুর থানায় দূরভাষে কথা কইলাম। ওই থানার Officer-in-Charge গোপেন্দু গাঙ্গুলী আমার চেনাশোনা। কাউকে জানতে দিলাম না থানার দূরভাষে কথা বলছি। “তাড়াতাড়ি এসো,” মুখের কাছে চলমান নিয়ে গিয়ে বললাম, “চলমানে বার্তা পাঠিয়েছি। হাতিবাগানে যেতে এখন একটু দেরী আছে। টাউন স্কুল ছাড়ালাম। তুমি এসো।“ গোপেন্দু উত্তর দিল, “এত তাড়া কিসের? কি হয়েছে?” আমি মুখের কাছে ফের চলমান নিয়ে গিয়ে বললাম, “এখন বলা যাবে না। আসবার পর বুঝতে পারবে,” বলেই দূরভাষের সংযোগ বোতাম টিপে কেটে দিলাম। লক্ষ্য করিনি, সামনের ভদ্রলোক আমায় বেশ ভ্রু কুঁচকে দেখছিলেন।
হাতিবাগানের সন্ধেবেলার ভিড় ও রাস্তায় যানজট যে দেখেছে, সে জানে কেমনভাবে শ্যামবাজার থেকে হাতিবাগান বাজার পৌঁছতে আধঘন্টা কেটে যায়। গোপেন্দু তবে দেরী করেনি। দূরে দেখলাম পুলিশের গাড়ি রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ঠিক হাতিবাগানের চৌরাস্তার মোড়ে। বাসের চালক থতমত খেয়ে গিয়েছিল বোধহয়, যার জন্য বিরাট হ্যাঁচকার সাথে পুলিশের গাড়ি কোনোমতে পাশ কাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারল “স্টার” থিয়েটারের ফুটপাতে।
ততক্ষণে বাসের যাত্রীরূপী স্ত্রী-পুরুষউভয় চোরেরা ধাক্কাধাক্কি মেরে কেউ সামনের Emergency Exit বা সঙ্কট দরজা দিয়ে ঝাঁপ মারছে, রাস্তায় চলন্ত গাড়ির মুখে চিবুক থুবড়ে পড়ছে, কেউ ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাচ্ছে চালক ও কন্ডাক্টরের দরজা দিয়ে। ইন্দু, সূর্যজা আর আমি, কোনোমতে নিজেদের হ্যাঁচকা থেকে বেঁচেছিলাম। সূর্যজা যে কাঁদেনি এই রক্ষে!
চৌরাস্তামুখী গাড়ি সব থেমে গেল। হাতকড়া হাতে বন্দুকধারী পুলিশ কেউ বাসে উঠলো, কেউ চোরেদের পেছনে ছুটলো আর আহতদের শুশ্রূষা শুরু করল। বাস থেকে নেমে গোপেন্দুকে চিনতে পারলাম। ও দূর থেকে হাত নেড়ে একছুটে আমাদের দিকে এলো, আর আমার কোলে থাকা সূর্যজার গাল টিপে দিল।
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। চোরবাহনের চোরেরা অবশেষে ধরা পড়ল। এই চত্বরে ক’দিন ধরেই পকেটমারী বেড়েছে। খবর আসছে কিছু তবে তার উপশম হচ্ছিল না। বাসে যারা অধিকাংশ বসে থাকে কন্ডাক্টার ও চালক সমেত সকলেই চৌর্যবৃত্তিতে first class। আজ একটা কান্ড ঘটিয়ে দিলেন। সাংবাদিকেরা এই এলো বলে।“
তৎক্ষণাৎ আমি বললুম,” তা ঠিক। তবে আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে। আমরা আসি। সুযি মায়ের পায়ের মল যদি পান, রাখবেন। না পেলে অসুবিধা নেই। হাতের বালাটি পেলে অবশ্যই জানাবেন। ওটা সোনার।“
ঋদ্ধ চক্রবর্তী | Riddho Chakraborty
Main Theme of the Shadow Lines | ছায়া | Shawkat Noor
Why 15th August chosen as Independence Day? | Probodh Kumar Mridha
New 18+ Bangla Galpo | বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা | Saswata Bose
100 questions and answers about Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
Short bengali story | Bengali story pdf | pratilipi bengali story | Short Stories for Children | English Stories for Kids | Moral Stories for Kids | story in english | story hindi | story book | story for kids | short story | story for girls | short story in english | short story for kids | bangla golpo pdf | Bangla golpo pdf | Bangla golpo story | bangla romantic golpo | choto golpo bangla | bengali story | Sunday suspense golpo | sunday suspense mp3 download | suspense story in hindi | suspense story in english 200 words | Suspense story in english | suspense story in english 300 words | Suspense story examples | suspense story in english 100 words | suspense story writing | very short suspense stories for students | Archive Bangla Galpa | Top Bangla Golpo Online Reading | New Read Online Bengali Story | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Bangla Golpo Online Reading pdf | Famous Story – Archive Bangla Galpa | Pdf Archive Bangla Galpa | Archive Bangla Galpa App | Full Archive Bangla Galpa Reading | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Bengali Story in English | Bangla Golpo Online Reading Ebook | Full Bangla Galpo online | Archive Bangla Galpa 2024 | New Archive Bangla Galpa – Episode | Golpo Dot Com Series | Archive Bangla Galpa Video | Story – Archive Bangla Galpa | New Bengali Web Story Audio | New Bengali Web Story Video | Archive Bangla Galpa Netflix | Audio Story – Archive Bangla Galpa | Video Story – Archive Bangla Galpa | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2024 | Trending Bangla Golpo Online Reading | Recent Archive Bangla Galpa | Top Archive Bangla Galpa | Archive Bangla Galpa Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2024 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Archive Bangla Galpa | Bengali Famous Story in pdf | Modern Online Bangla Galpo Download | Bangla Golpo Online Reading mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Modern Online Bangla Galpo mp4 | Modern Online Bangla Galpo Library | New Bengali Web Story Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Archive Bangla Galpa – audio | Bengali Famous Story – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Story Collection – Modern Archive Bangla Galpa