New Bengali Story 2023| অমিতব্যয়ী | মনসুর আলি

Sharing Is Caring:
BENGALI STORY

অমিতব্যয়ী – মনসুর আলি [Bengali Story]

সুমঙ্গল আজ বাড়ি ফিরেই বউয়ের মুখনাড়া শুনতে আরম্ভ করল। ‘তোমাকে না বলেছি গুনে গুনে ৪টে উচ্ছে আনতে। এতগুলো আনবার কী প্রয়োজন ছিল? এনেছে তো এনেছে বাবা নাহয় একটা দুটো বেশি হয়। ওমা, এ যে একেবারে বারোখানা নিয়ে চলে এসেছে। নাহ, তোমাকে আর পাল্টানো গেল না। অনেক চেষ্টা করেছি আমি। সব আমার বেকার হয়েছে। আচ্ছা তোমাকে বলি, এত এত বেশি জিনিস কিনতে তোমার কি পয়সা ব্যয় হয় না? নাকি দোকানদার তোমায় এমনি এমনি দিয়ে দেয়? তুমি বলো তো দেখি আমায়। কী যে করি লোকটাকে নিয়ে। আর পারা গেল না।‘

জয়ার এইসব কথাবার্তা পাশের ঘর থেকে আপার নার্সারিতে পড়া তাদের একরত্তি মেয়ে মৌ শুনতে পেয়ে চেঁচিয়ে মাকে বলে, ‘কী মা? বাবা আজকেও বেশি করে জিনিস কিনে এনেছে?’ মৌ এর ভালো নাম মৌমিতা দাস। বয়স ৫ বছর। বেশ বুদ্ধিমতী আর বাকপটু। বাবাকে বড্ড ভালোবাসে। মেয়ে বলে কথা। আর মেয়েরা সত্যিই তাদের বাবাকে একটু অতিরিক্ত মাত্রায় ভালোবেসে থাকে। মৌকে জয়া বলল, ‘আর বলিস কেন, একেবারে তিন ডবল পরিমাণে কিনে এনেছে। ওমা একী! টম্যাটো এনেছে দেখ, একেবারে পনেরোখানা। উঃ! এ লোককে নিয়ে কী করি আমি! আর ভালো লাগে না।‘ তারপর স্বামীর দিকে তাকিয়ে জয়া বলল, ‘কই দেখি ফর্দটা দাও আমার কাছে। দেখি কত টাকা হয়েছে।‘ সুমঙ্গল ঘরে জামা ছাড়ছিল। দরজার কাছে এসে হাত বাড়িয়ে ফর্দটা জয়ার দিকে এগিয়ে দিলো, ‘দেখো কত হয়েছে।‘ জয়া সেটা কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করে বলল, ‘ভালো কাজ করে ঘরে এসেছ। টোটাল ৩১৩ টাকা হয়েছে। আমি হলে এর জায়গায় ১৫০ কোনওমতেই ছাড়াত না। তুমি কি টাকাকে খোলার কুচি মনে করো নাকি?’

সুমঙ্গল এককালে গরিব ছিল। যখন ছাত্র ছিল ভালো করে দু’মুঠো খেতে পেত না। তারপর কলেজে পড়াকালীন কিছু টিউশন সে ধরেছিল। কলেজ থেকে ফিরে ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়িয়ে আসত। সে ছিল ২০০৪-০৫ সালের কথা। আর এখন এটা ২০২২ সাল। তখন মানে কলেজে পড়ার সময় ও যখন ছাত্রদের বাড়ি থেকে মাইনে পেত তখন ব্যাগ ভর্তি করে বাবা মা আর ভাই বোনের জন্যে খাবার কিনে আনত। কী খাবার বললে লোকের চোখ চড়কগাছে উঠে যাবে। কোনও মাসে হয়ত হুট করে একদিন কোনও বাড়ি থেকে ৭০০ টাকা ফীজ পেল। সে সোজা চলে যেত স্টেশন বাজারে। দেখা গেল নতুন কেনা দুটো নাইলনের ব্যাগে করে ৪খানা মোগলাই, ৪প্লেট চাউমিন, ৫ রকমের মিষ্টির প্রত্যেকটা ১৫খানা করে, ২টো বড় কোল্ড ড্রিংক্সের বোতল, সাথে ৬খানা মিষ্টি পান নিয়ে সাইকেল চালিয়ে মনের সুখে ঘরে ফিরছে। এদিকে হাতে হয়ত এইসব খরচ করে ৫০ কি ৬০ টাকা পড়ে আছে। ওদিকে কোনও খেয়াল নেই ওর। বাড়ি ফিরতেই ওর থেকে ৫ বছরের ছোটো ভাই যতীন আর যতীনের থেকে ৩ বছরের ছোটো বোন আরতি এদের দুজনের মহা আনন্দ। বড়দা খাবার এনেছে। আরতি হয়ত ঘুমচ্ছিল। যতীন ওকে ‘বড়দা খাবার এনেছে’ এই কথা বলতেই তড়াস করে জেগে উঠত। তারপর সেই রাত ১০টায় হয়ত বাবা, মা, ভাই, বোন আর সুমঙ্গল এই ৫জনের ভোজের আসর বসে গেল। সে রাতে কেউ আর ভাত খেলো না হয়ত। খাবার কিন্তু শেষ হতো না। পরদিন সকালের জন্য রেখে দেওয়া হতো। সে এক দারুণ আনন্দের দিন গিয়েছে তাদের।

আজ সুমঙ্গল হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। মাস গেলে ভালো বেতন। সরকারি চাকরি। সমাজে দারুণ সম্মান। তবে দোষ ওই একটাই। সেটা হলো একটু বেশি বেশি করে ব্যয় করা। এই তো চারদিন আগের কথা। সেদিন জয়া বলেছিল, ‘মেয়ে অনেকদিন থেকে ‘পায়েস খাব, পায়েস খাব’ করছে। একটু গোবিন্দভোগ চাল এনো। একটু পায়েস করে দিই ওকে। সাথে আমাদেরও একটু খাওয়া হবে’খন। কী বলো?’ সুমঙ্গল স্কুল থেকে ফেরার পথে চালের দোকানে গেল।
দোকানদারকে বলল, ‘দাদা, গোবিন্দভোগ চাল কত করে?’
দোকানদার সোৎসাহে বলল, ‘এই তো দাদা ৮০ টাকা কিলো। নিন না, ক’ কিলো দেবো? ২ কিলো দিই?’
‘না, আমার ৩০০ গ্রাম লাগবে।‘ সুমঙ্গল বলল।
‘আরে দাদা অত অল্প অল্প খেলে হবে? ২ কিলোই নিন। ৫০০ করে ৪দিন খাবেন। চাল ভালো না হলে বলবেন। পয়সা ফেরৎ দেবো।‘ দোকানদার এভাবে তার মালের গ্যারান্টি দিয়ে দিলো।
‘১৬০ টাকা হবে, তাই তো? বলছেন যখন দিয়েই দিন।‘ বলে সুমঙ্গল ২কিলো গোবিন্দভোগ চালের অর্ডার দিয়ে দিলো।

তারপর বাড়িতে এসে তো জয়ার ভীষণমূর্তি দেখা। ‘অ্যাঁ, মোটে ৩০০ গ্রাম চাল হলে খেয়ে পাগল। আর বাবু কিনা আনলেন তো আনলেন একেবারে ২ কিলো। যাও গিয়ে দোকানে ফেরৎ দিয়ে এসো।‘
‘না। আমি আর ফেরৎ দিতে যেতে পারব না। যা একবার কিনেছি তা ফেরৎ দিতে যাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। আজ একটু বেশি করে পায়েস করো। ৫০০ চাল নাও। বাকি দেড় কিলো তুলে রাখো। পরে ৩দিন ধরে খাওয়া হবে।‘ বলে সুমঙ্গল চুপ হলো।
‘হ্যাঁ, বাকি দেড় কিলো দিয়ে আমার শ্রাদ্ধ করবে।‘ ঝাঁঝিয়ে ওঠে জয়া।
ছুটে আসে ঐশী, ‘মা আজেবাজে কথা বোলো না। বাবা এনেছে যখন রেখেই দাও না। পরে পায়েস বানিয়ে সবাই খাওয়া যাবে এখন।‘

একমাস আগের ঘটনা। কল্লোলবাবুর ছোটো মেয়ের বিয়ে ছিল। সুমঙ্গলদের সপরিবারে নেমন্তন্ন ছিল। কল্লোলবাবুদের বাড়ি সুমঙ্গলদের পাড়ায়। জয়া সুমঙ্গলকে গিফট হিসেবে একটা স্টীলের ডাবর আনতে বলেছিল তাদের সীতারাম বাজারের তারা মা ভাণ্ডার থেকে। কিন্তু সুমঙ্গল রাত ৯টায় বাড়ি ফিরল একখানা ৯০০ টাকা দামের কাঁসার ডাবর নিয়ে। তারপর শুরু হলো জয়ার তর্জন। বাধ্য হয়ে সেই ডাবরখানা দোকানে চেঞ্জ করতে আবার সেই রাতে সুমঙ্গলকে সীতারাম বাজারের পথে হাঁটা দিতে হলো। কিছুক্ষণ পর মজার ব্যাপার ঘটে গেল। মাঝরাস্তায় গিয়ে সুমঙ্গল দেখল, তার ফোনটা বেজে উঠেছে। জয়া ফোন করেছে।
— ‘হ্যালো, তুমি দোকানে পৌঁছে গেছ?’
— ‘না। কেন?’
— ‘আর যেতে হবে না। লোককে উপহার দেবো। নিয়ে এসেছ একটা জিনিস। সেটা আবার দোকানে ফেরৎ দেবো? বাদ দাও। নিয়ে চলে এসো। ফেরৎ দেবার দরকার নেই।‘

সুমঙ্গল চলে এল। তবে ওর মন কিন্তু বদলালো না। মানে যেমন অমিতব্যয়ী ছিল তেমনই রয়ে গেল। বউয়ের হাজার অনুশাসনে তার বিন্দুমাত্র নড়চড় হলো না। সুমঙ্গলের মধ্যে যে দর্শনটা কাজ করে তা অন্যরকম। ওর বউ ওকে গত রবিবার বলেছিল, ‘আচ্ছা তুমি যে এভাবে অঢেল পয়সা ব্যয় করছ তার পরিণাম কী হতে পারে ভেবে দেখেছ?’
— ‘কী আবার হবে? কিছুই হবে না। আমি কি রোজগার করি না?’
— ‘না, আমি সেটা বলছি না। এই ধরো হুট করে কোনও বিপদ এসে গেল। দেখা গেল তার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। অথচ তোমার কাছে সেটা নেই। তখন কী করবে?’
— ‘আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।‘
— ‘মানে?’
— ‘মানে সে চিন্তা আমি করে রেখেছি।‘
— ‘কেমন?’
— ‘আমি একটা বিরাট অঙ্কের হেলথ ইন্সিওরেন্স করিয়ে রেখেছি আমাদের ফ্যামিলির জন্য।‘
— ‘ভালো কথা। সে তো গেল শারীরিক অসুস্থতার কথা। এবার ধরো অন্য কোনও বিপদ এসে গেল। যেটা শারীরিক অসুস্থতাজনিত নয়। তখন?’
— ‘ওসব আসবে না। ঈশ্বরের ওপর আমার ভরসা আছে।‘
— ‘এই জায়গাটায় আমার কিছু বলার আছে। মানুষের জীবনে কখন কী ঘটে মানুষ আগে থেকে জানতে পারে না। ঈশ্বরের ওপর ভরসা থাকা ভালো। তবে ভরসা থাকলেই যে জীবনে বিপদ আসবে না এমনটা নয়। কারণ ইতিহাস বলে, কত ভালো, নিষ্পাপ মানুষের জীবনে কতকিছু খারাপ ঘটনা ঘটে গেল। আর তুমি আমি তো ছার। তাই তোমার উচিত এখন থেকে কিছু কিছু করে অর্থ সঞ্চয় করা। আগে যা হয়ে গেছে ছেড়ে দাও। আজ এই মুহূর্ত থেকে নিজেকে বদলে ফেলো। নাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে বলে রাখছি। আমার কথাটা মিলিয়ে নিও। ভেবে দেখো একবার। আমার বয়স তোমার থেকে কম। তা হলেও ছোটো হয়ে তোমাকে এই একটা উপদেশ আমি দিলাম। যদি মনে করো অনর্থক, তাহলে মানতে হবে না। আর যদি ভাবো ঠিক তাহলে দয়া করে মেনে চলার চেষ্টা কোরো। তোমার ভালো হবে। সেইসাথে আমাদেরও।‘

এত কিছু বলা সত্ত্বেও ঠিক তার পরদিন রবিবার সন্ধ্যায় আর-এক ঘটনা।
এখন ডিসেম্বর মাস। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। ২৫শে ডিসেম্বর সুমঙ্গল, জয়া আর ঐশী বেড়াতে যাবে। পুরী। তাই কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন ব্যাগ, জামাকাপড়, জুতো এইসব কিনতে জয়া সুমঙ্গলকে স্টেশন মার্কেট পাঠিয়েছে। সুমঙ্গলরা যে পাড়ায় থাকে অর্থাৎ বিধানপল্লি এলাকায় স্টেশন মার্কেট হলো সবচেয়ে জমাটি বাজার। এখানে বড় বড় দোকানপাট আছে। ফলে বলতে গেলে প্রায় সব জিনিসই পাওয়া যায়। সুমঙ্গল স্টেশন মার্কেটে গিয়ে বাইকটা একটা জায়গায় গ্যারেজ করে সোজা চলে গেল হোটেল রুক্ষ্মিণীতে। সেখানে গিয়ে একপ্লেট চিকেন বিরিয়ানি প্রথমে খেয়ে নিল। তারপর বাড়ির জন্য ৩ প্যাকেট পার্সেল করে দেবার জন্য অর্ডার করল। মনে মনে জয়ার উগ্রমূর্তিও কল্পনা করে নিল। কিন্তু তা তার মনে কোনও রেখা ফেলল না। কারণ আজ অবধি সুমঙ্গল এই পৃথিবীর কাউকে তোয়াক্কা করেনি। আর ভারি তো বউ। এমনটাই সে মনে করে। যাই হোক বিরিয়ানি নিয়ে সে মার্কেটিং করতে বেরিয়ে পড়ল। সব কিনল। বউ যা যা বলে দিয়েছিল। শেষে একট মস্ত গণ্ডগোল বাধিয়ে বসল। সে চলে গেল সোনার দোকানে। গিয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে জয়ার জন্য একটা সোনার আংটি কিনে ফেলল। ভাবছে বাড়ি ফিরে আজ একচোট বাধবে।

রাত সাড়ে ৯টায় বাড়ি ফিরল সুমঙ্গল। জয়া সব জিনিস ব্যাগ থেকে খুলে দেখে শেষে একটা মৌখিক সার্টিফিকেট দিলো সুমঙ্গলকে, ‘বাঃ! বাবুর তাহলে সুমতি হয়েছে। বেকার খরচ বন্ধ হয়েছে দেখছি।‘ বিরিয়ানির ব্যাগটা সুমঙ্গল হাতে করে তার পিছনদিকে আড়াল করে রেখে দিয়েছে। সেটা জয়ার হাতে দিতেই সে শংসাপত্র কিছুটা অকার্যকর হয়ে গেল। ‘কেন, ২ প্যাকেট আনলে হতো না? ৩ প্যাকেটের কী দরকার ছিল?’ মৃদু চেঁচিয়ে ওঠে জয়া। তারপর সুমঙ্গল জয়ার হাতে আংটির ছোট্ট লাল নরম মসৃণ সুন্দর বাক্সটা দিল। ‘এটা আবার কী?’ জয়া ভ্রু কোঁচকাল।
— ‘দেখো না খুলে…’
বাক্সটা খুলে আংটিখানা দেখে জয়া বলল, ‘কী আশ্চর্য এত মোটা সোনার আংটি! এর দাম অনেক নিয়েছে তো?’
— ‘৫ গ্রামের ওপর সোনা আছে। হলমার্ক দেওয়া। বেশি না। ২৫ হাজার।‘
— ‘তোমাকে এই করতে বাজারে পাঠিয়েছি?’
— ‘খারাপ কী করেছি? তুমি অনেকদিন থেকে একটা ভালো আংটি চাই চাই করছিলে, তাই আজ সুযোগ বুঝে কিনে ফেললাম। এটা হাতে পরে পুরী যাবে।‘
— ‘কিন্তু তোমাকে এখন কে কিনতে বলেছে? উঃ বাপ রে! এ লোককে নিয়ে যে কী করি আমি বুঝে পাই না। সব শেষ করে দেবে লোকটা। শেষে নিঃস্ব হয়ে ঘুরে বেড়াবে বোধ হয়।‘

গজগজ করতে করতে দপদপিয়ে কিচেনের দিকে চলে গেল জয়া। কিন্তু বকবকানি শেষ হলো না। তার কিছু কথা ক্ষীণ হয়ে সুমঙ্গলের কানে আসছে যদিও। সে এতক্ষণে ফ্রেশ হয়ে গিয়ে নিজের ঘরে খাটে গা এলিয়ে দিয়েছে। রাত ১২টা। সুমঙ্গল ঘুমচ্ছে। পাশে জয়া। জেগে আছে। তার পাশে ঐশী। সে ঘুমে আচ্ছন্ন। জয়া সুমঙ্গলের কপালে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। যেন মা তার ঘুমন্ত শিশুকে আদর করছে। জয়া মনে মনে শুধু বলছে, ‘তুমি তোমার মতো থাকো। আমার পাগল বর। আমায় ভালোবাসে ভীষণ। আমার বেঁচে থাকা সার্থক।‘

মনসুর আলি | Mansur Ali Gazi

Bengali Article 2023 | জীবানন্দ মহাশয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া

New Bengali Article 2023 | কবিতার কাঠামোগত রূপান্তর

Odisha Goddess Durga | ওড়িশার পটচিত্রে দেবী দুর্গা | 2023

মানব কল্যাণে রামকৃষ্ণ মিশন | Ramakrishna Mission | 2023

bengali story | short bengali story analysis | short bengali story characteristics | short bengali story competition | short bengali story definition | Best Bengali Story | Top Bengali Story | World Bengali Story | International Bengali Story | short bengali story english | writing competitions ireland | bengali story writing practice | bengali story writing topics | trending topics for article writing 2022 | bengali story trends 2022 | content writing topics 2022 | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Shabdodweep bengali story | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment