New Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | নিমাই জানা

Sharing Is Caring:
BENGALI POETRY

শিথিল সাপের ঘর্মগ্রন্থি ও বিভূতি রাজের স্নায়ুপথ [Bengali Poetry]

দ্বাদশ আদিত্যের শরীর নিয়ে আমাদের বক্ররেখার মতো চাঁদ ও গোলার্ধহীন বিছানার দিকে মুখ করে থাকা আমার তৃতীয় নারী, চতুর্থ সন্তান ও তৃতীয় বাবারা মাটির ফাটলের ভেতর থেকে তিনটি মশাল নিয়ে কুমেরু পুরুষ হতে হতে আমার সারা শরীরের স্নায়ুপথ গুলি কঠিন কার্বনিক জীবাশ্ম দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে শিথিল উপসাগরের দিকে

ব্রহ্মাস্থানে বসে থাকা আগুন পাখিটি রাতের দাঁত ও নখ দিয়ে নিজের শরীর থেকে ধূসর রঙের সাপগুলোর সাথে দেবদারু বীজ রোপণ করে দিচ্ছে, আবার ঘাম বিন্দুর ভেতরে বৃষ্টি হলেই আমাদের শুক্র চিহ্নগুলো ফুলে উঠছে বিভূতি রাজের মতো
দুই পা দিয়ে নৌ কম্পাসটি ভেঙে দিচ্ছি গম বাগানের ভেতর, মানুষের রিপু ছড়িয়ে থাকতে পারে দুই হাতে আর্তনাদ ভেজা কাঠবিড়ালির অলৌকিক হয়ে যাওয়ার আগে, বিশ্বামিত্র মুনি তিনবার মাইক্রোস্কোপে দেখে নিচ্ছেন জীবাণুদের চলন
একটা দেওয়াল ঘড়িও গলা বাড়িয়ে আমার দুটো হাত দিয়ে নেমে যাচ্ছে কবর থেকে উঠে আসা নেশা খাওয়া মানুষের মতো, যারা কংক্রিট ঘরের নিচে দাঁড়িয়ে নিজের গলা থেকে উগরে দেওয়া রক্তাক্ত বমিকে আবারো নিজেই গিলে গিলে খায়

আমি ঊর্ধ্ব, আমি কালিন্দী, আমি জনাকীর্ণ পথ, আমি কাকতালীয় সঙ্গম, পাথর, পাথরকুচি আর ব্যবচ্ছিন্ন রেনাল ইনফেকশন, ঘাতকের পেছনের চুলগুলো সামনে ঝুলিয়ে দিতেই নক্ষত্রদের দ্বিতীয়বার জন্ম হলো
মৃত্যু নদীর আর কোন অভিমান নেই একা একা শরীরে দ্রৌপদী চিতাগুলো নিয়ে নিজের পাঁচ আঙুলের সাদা আঙ্গুল বক্ষের ভেতর ভরে রাখে, জীবিত জীবদ্দশার পাঁজর হীন উলঙ্গ পুরুষেরা চাঁপাতলায় গোলাপ ওষুধ খাচ্ছে
আমার হাত দুটো এখনো বাধা আছে হেরোডেটাসের সময় থেকে ডান রেচনতন্ত্রের শিরাগুলো ফুলে ও ফেটে ফিনকি দেওয়া রক্তের মতো বেরিয়ে আসছে,
পায়ের কাছে কেউ দীর্ঘ কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে সাদা ভগাঙ্কুর গুলোর শ্বেতসার মিশ্রিত কাদামাটি রক্তে মিশে আমাদের পূর্ববর্তী বারানসী ঘাটের দিকে চলে যাচ্ছে

সাদা তরুক্ষীর আগুন খাচ্ছে নগ্ন সিন্ধু নারীদের সাথে, সব হরিৎ পাখিরা আমার মতো নিধিবর পুরুষ হয়ে যাচ্ছে

জিঙ্ক সালফেট ও ব্রহ্মাণ্ড যৌগের কন্ট্রাসেপটিক জিভ [Bengali Poetry]

অসমযোজী অন্ধকারের সব ক্যালকুলাস পাখিগুলো কুমেরুর দীর্ঘ কৃষকদের নগ্ন অভিসার খুঁজছে তৃতীয় প্রহরীদের মতো , চতুর্থ রক্তাল্পতার সব পাখিরাই নিজেদের রজঃ রক্তের এক একটি সাপের কুণ্ডলী খোলসগুলো রেখে আসে কার্বনেটের মাথার ভেতর

সম্যক পুরুষদের আর্তনাদ নেই, সর্বদাই পাঞ্চালী উপসাগরের মতো দেখায় আমার শরীর, গলিত কফি বাগান জুড়ে কিছু জিংক সালফেট বিষয়ক অরণ্যের আর্তনাদ জেগে উঠেছে তৃতীয় অঙ্গাণু থেকে বরফ গলে আসার পর, ঋষিদের মতো অজগরের একটা নীল রাক্ষস সুতোর মতো ঝুলে আছি ব্রহ্মাণ্ড যোগের হা মুখের জিহ্বা গহ্বর থেকে
আমি শুধু রাত্রি গভীর হলেই একাকী কনট্রাসেপটিক জিভে তলা থেকে নীল সাপেদের বিষাক্ত কোমর ধরে একা একা পেন্ডুলামের সরীসৃপ শরীর দোলাচ্ছি
আমি দুই হাতে নৌকা চালানোর নাম করে অস্ত্রের নিয়ে একাকী ঘুরে বেড়ায় তৃতীয় ব্রহ্মযোনির ভেতর, আকাশ থেকে একে একে সমুদ্র গর্ভের ঈশ্বর ও নীল শুকতারা পাখিগুলোকে টমেটো ফলের মতো শীর্ষাসন ক্ষেত্রে নিয়ে যায়

বিবিধ প্রোটিয়াম দাঁতের ক্ষয়জাতে অসুখ বেড়ে উঠছে,
আমি সারারাত বিয়োগান্ত্বক অযোগবাহের ধনাত্মক ৯ কার পাখিগুলোকে নীল ময়ূরীর মতো কোক শাস্ত্র পড়িয়ে যাচ্ছি, দীর্ঘ সাপ গুলো স্পাইরাল উড়ে যাচ্ছে পালকের মতো জল ও যদু বংশীয় রাজাদের একেকটা ঋণাত্মক অপ্রকৃত ভগ্নাংশের দিকে রক্তাক্ত নারী ৩২ দৈর্ঘ্যের লাল ব্লাউজের হুকে ঝুলে থাকতে থাকতে গভীর অন্ধকারের নীল জামরুল বাগানে আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের তৃতীয় মায়ের শরীর

ফলিকল স্টিমুলেটিং এর মতই নিরাভরণ চোখে একদিন মধ্যরাতে জলপাই পোশাক পরে থাকা নীল জলজ সেনাবাহিনীরা লাল প্রবালের মতো মৃগ নাভি খুঁড়ে নেয়, রাতে শুধু ক্লোরেনকাইমার ছেঁড়া উদ্ভিদগুলো একাকী বসে বসে বিকার জনিত রোদে ভিজে ৩ পেগ গলায় ঢালছে , পৃথিবীর সব রঙ্গন ফলের অর্ধ উন্মাদ পাগল গুলোই হরিশ্চন্দ্রপুর আবিষ্কার করে আমি তার হাতে গণিতের পিথাগোরাস খুঁজছিলাম

রাত মানেই নিঃশর্ত বৃষ্টি , আমাদের গর্ভপাতের কক্ষের ভেতর শল্য চিকিৎসকটি রসায়ন মৃত্যুর রঙের রূপান্তরিত চুল্লী খুলে আমার শুকনো করোটি বের করল

লাল রংয়ের পাখি ও ঈশ্বরপুরের যুধিষ্ঠির নক্ষত্রেরা [Bengali Poetry]

আমি চারটি দাঁত দিয়ে লাল জবার স্তন ছিঁড়ে ফেলছি এক মুখ লাল করা রুদ্রাণীর গোপন সাংকেতিক চিহ্নের অযুত নৌকা বিলাসের পর,
উড়ে যাচ্ছি ঈশ্বরপুরের দিকে,

অলৌকিক জনার্দন চিহ্নের এক একটা তরুক্ষীর নীল শিরা বিন্যাস ছিঁড়ে খাবে বলে আদিত্য ও সুত শরীরের যুধিষ্ঠির একাকী নির্মধুপুরে অবিন্যস্ত ছায়া রেখার কাছে ঈশ্বর হয়ে নিজের মুকুট খুলে রেখে চতুর্থ মহাকাল ইছামতি শরীরের সাথে মিশে যাচ্ছেন

বিশুদ্ধ পিরামিড দানাগুলো আবহাওয়া বিকারে মিলিয়ে দিচ্ছি, আমি দুই হাতে হিমবাহ খুঁজছি অ্যাসপিরিন ঠোঁটের মতো
আমার উচ্চচাপের পাখিগুলো একদিন গভীর মহানাদ ফেটে বেরিয়ে আসা বদ রক্ত খেয়ে শ্মশানে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে আছে অসংখ্য মৃত দেহকে পুজো করবে বলে

ঘাটের দিকেই আধ পোড়া নাভি , সংকীর্তন করছি নিজের স্নায়বিক মন্ডলে, রাতের সব হরিনাভ পুড়িয়ে পুড়িয়ে আতর মেখে নিচ্ছে একদল মরুপ্রদেশের পুরুষ,
স্বমেহনে আছি সমকামী ছায়ায় দাঁড়িয়ে

কিছু প্রতিফলনের ছায়া রেখাগুলোকে নিয়ে আমি বাৎস্যায়ন পড়ছি একাকী ফেরাস অ্যাসকর্বড দাঁতালো যতি চিহ্ন দিয়ে, আত্মহত্যার পরমানন্দপুর নেই বলেই প্রতিটি পর্যায় সারণীতে এক একটা ক্ষারীয় লিথিয়াম ঝুলে আছে শ্মশান চুল্লির মতো, একটা মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার ত্রিভুজ লাল পারদের একাকী অন্তর্বাস পুড়ে যাওয়ার পর আচমন ছেড়ে ব্রহ্ম পুজোয় বসে পড়লাম
প্রতিদিন রাতেই কিছু ভৌতিক অন্ধকারে তোমার শরীরে পদার্থবিদ্যার এমন এক আকন্ঠ পানীয় বিষ ঢেলে দেই, অ্যাবস্ট্রাক্ট সংক্রমিত মাংসপিন্ডের এফ এন সি জমাট মাংসের দলাগুলো দুটো বাজ পাখির নিঃশ্বাসের শব্দ নিয়ে আর্তনাদ লিখছে,
জীবাশ্মের পলাশ ফুলে গজিয়ে উঠেছে আমাদের বিশ্বামিত্র বংশধর রংঠা বর্ণহীন পরিচ্ছদের নিচে
তুষার-শুদ্ধ আরাবল্লী যুগে উঠে আমি ক্ষত্রিয় হতে চাইছি হৃদপিন্ডের ৬৪ ইঞ্চি বর্গক্ষেত্র জুড়ে

এক একটি রক্ত তঞ্চনের আদিম ঘোড়া বারবার মোমের মতো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া অপাদান চিহ্নের ঘাসগুলোকে উপড়ে খেয়ে নিচ্ছে, মৃত্যুকে দীর্ঘ দেখায় সরু শুক্রাণুর মতো আগুনের কাছে দাঁড়ালে

অবকল ও নটরাজ ফার্নিচারের তৃতীয় শঙ্খচূড় সাপ [Bengali Poetry]

অবধূতের শরীর নিয়ে আমি জ্ঞানযোগের এক একটা সন্ন্যাস পদের নিধুবনে গিয়ে শব ব্যবচ্ছেদ করে ফিরছি গভীর রাতের মেরুদণ্ডহীন স্থপতিদের সাথে ,

বিষ লগ্নের সব পাখিরা আমাদের মত এটা নীল গম খেতে ঢুকে গেল মস্তিষ্কের ধূসর ঘি গন্ধ খাবে বলে
বিলুপ্ত প্রায় নরম খাজুরাহের ভেতর থাকা আদি ভৌগোলিক শিল্পীটি চিৎকার করে বলে উঠে দ্বিপদ-উপপাদ্যের মতো আমার স্তনের কবিতা লেখো, বৃষ্টি অর্জুনকেও ভিজিয়ে ছিল আগুন ধনুকের কাছে এলে
নটরাজ ফার্নিচার মানেই কতকগুলো মৃত্যুকে পোড়ানোর জন্য ভেজা কাঠের শরীর গুলো গুড়ো গুড়ো ছাই নিয়ে অসংখ্য জীবাশ্মের গুণিতক সংখ্যাগুলো রোপণ করে গেছে চতুর্থ একাদশীর মত ।

আমি নীল, √ শংকরপুরে এসে অস্ত্যর্থক জরায়ুর ভেতর থেকে ইরাবতীর শরীর আবিষ্কার করি জনপদের মানুষদের তৃতীয় মস্তিষ্কের একটা দক্ষ শঙ্খচূড় রোপণের জন্য
প্রতিটি রাত মানেই আলেকজান্ডার ও ঔষধি গোপনেই এসে একা একা বিধ্বংসী অস্ত্রাগার থেকে কালো বাবলা গাছের
শর্করা বিষয়ক সব নিউট্রন দাঁতগুলোকে ধারালো ছুরির উপর নিজের তলপেট কেটে বের করা মাংস টাঙিয়ে রাখছি উলম্ব হুকে,
আমি পৃথিবীর মতো দীর্ঘতম ঘুমের জন্য জিভের তলায় একসাথে ১০১টি অ্যামিট্রিপটিলিন রেখে দিয়েছি শীতকালীন বাদামি অক্ষম পুরুষদের মতো, একাকী শাঁখ বাজাই ম্যাসিডোনিয়াদের নীল নৌকা থেকে লাফ দিয়ে নেমে যাওয়ার আগে আরো একটা ধনাত্মক গহ্বরের ভেতর টিলুরিয়াম মাদার নিরাময় ঔষধিটি শরীরের অবাঞ্ছিত মাংসাশীদের হত্যা করে বাড়ি ফিরে

ঘুম কতোটা সম্পৃক্ত হলে একটা মৃত্যু ২৪ টা রাসলীলা ক্ষেত্র নিয়ে গলার কাছে জমে থাকা রক্তে আঙ্গুল ডুবিয়ে লিখে ফেলে তার অবৈধ নাশপাতিদের কথা, শঙ্খ মানেই শাঁখ মুঠোয় অন্ধকার ও বরফ নদীরা গর্ভপাত রেখে যাচ্ছে

কৌরব রঙের জ্যোৎস্না ও সাদা জবার সেকচক বৃষ্টি [Bengali Poetry]

ক্লাভিউনেট পটাশিয়ামের মতোই আমার শরীরের ঔ দৈর্ঘ্যের রক্তবিন্দুর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল সামান্তরিক পরাবৃত্তের মানুষ, গলিত অন্ধকারের নীল জ্যোৎস্নার নিচে উলঙ্গ দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্নার মতো কোন এক কাল্পনিক নারীকে হত্যা করে আগুন রঙের ভৌগোলিক বৃষ্টি

মৃত হরিণীদের নীতিমালাকে শঙ্খযোগীর মতো মনে হল
ছায়ার মতো হত্যাকারী দাঁড়িয়ে থাকে নীল শ্মশানের দিকে মুখ করে, শ্মশান মানেই অদৃশ্য পটাশিয়াম সায়ানাইড নামক রুদ্রাক্ষ মেশানো মহাকাল তৃতীয় পৃথিবীর আত্মহত্যার স্থল
লেক্টেডের মতো পিচ্ছিল বর্গক্ষেত্র বুকের ভিতর থেকে ঋষি, জরা, নির্বাণ, স্নায়ু, প্রকৃতি ও ধনুকের মতো দক্ষ নীল সেনারা উদ্বায়ী অসুখ নিয়ে বারবার কৌরব অধ্যুষিত রণক্ষেত্রে চলে যায় আমাদের ভেতরে এখনো অশরীরী সন্দীপন ছিল বলে
চন্দ্রভাগা মধ্যাহ্নে নেমে আমি ধারালো অস্ত্রাগারে ঢোকার পর অশ্ব গন্ধের সব অক্ষরবৃত্ত সন্ন্যাসিনীগণ নিজেদের ধারালো অক্ষৌহিণী সম্প্রদান করছে বিবিধ শুক্র গ্রহের কাছে , শ্বেত জবা ফুলের চাষ করছে সেকচক ঘাটের কাছে দাঁড়ানো একটা স্তন খোলা চাঁদের অর্ধ উন্মাদ

লাল ঠোঁট পেরিয়ে যাওয়া পাখি গুলো তৃতীয় বর্ণান্তরে দাঁড়িয়ে আজ এক ক্যালসিফেরাস নারীদের কঠিন পোশাক নিজের ভেতরে লুকিয়ে রাখে অদৃশ্য ল্যাকটোজেন দানা খাবে বলে
চাঁদের ভেতর অশরীরীরা নেমে আসলে আমরা শুধু গোখরা সাপের প্রতিটি সম্প্রদান কারকের অদ্ভুত স্থানাঙ্ক জ্যামিতি নিয়ে একটা রাতের গোলার্ধ হীন মহিষাসুর আঁকতে থাকি
প্রতিদিন ঘোড়াগুলো হিমগিরির মতো সূক্ষ্ম সরয়ূ শরীরে নেমে আসলে আমাদের সমাঙ্গ দর্শন ঘটে যায়,

আমি আধ্যাত্মিক রাতে এক মৈথুন হীন চশমা নিয়ে নিজের মুখের গন্ধর্ব দোষ পুড়িয়ে ফেলি তিনটি অজগরের তলপেট ছিঁড়ে, আমি মাংসাশী পুরুষ খাদ্য ভক্ষণ করছি

বসন্ত পর্ব ও হলুদ ক্যারোটিন – নিমাই জানা [Bengali Poetry]

বসন্ত মানেই নিয়ন্ত্রিত জরায়ুর ভেতর থাকা আগুনের এক দগ্ধ শরীর, অবৈধ দিনের প্রহেলিকা জ্বলে কালো ছত্রাকের মূলত্রানের ভেতর, সকলেই স্বপরাগী সমাকলন নারীর মতো দেখতে
আমার প্রতিটি লোমকুপে বৈরাগ্য ঢুকে গেলেই আমি কেমন বন্ধ্যা পুরুষ হয়ে যাই রাত্রিকালীন ১/২৪ প্রকৃত ভগ্নাংশের গর্ভদণ্ডের ভেতর
অট্টহাসিতে নেমে যায় আমার প্রাচীন তিলোত্তমা নৌকাটি,
প্রাচীন বংশগতি আমাদের সহবাসের নাম, বংশপরম্পরায় কৃষ্ণচূড়া মেধা শরীরের সব ঐশীচিহ্ন নিয়ে উন্মত্ত হয়ে গেছে খেয়াঘাটে এসে তারপর আমাদের সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি , উদ্বাস্তু হয়ে গেছে সকল পাটিগণিত বিবস্ত্র অধ্যায় , নিজেদের কাছে রাত্রির গুণক রাশি বলে আর কিছু থাকলো না মহানাদ অক্ষরের পরে
এক ধনাত্মক পুরুষ একা একা হাঁটে নৈমিত্তিক স্বৈরাচারী হয়ে আমাদের কোন দাগ না থাকার ফলেই নিজেকেই হত্যা করতে কোন তরোয়াল লাগে না
আসলে ,কৃষ্ণচূড়ার পাশে দাঁড়ালেই রাত্রি আরও দীর্ঘতর হয় অবিবাহিত ভৌগলিক চিহ্নের মতো
চাঁদ সব সময়ই কম্পিউটারের স্ক্রিন সেভারের পরকীয়াকে নির্দেশ করে

পুরোহিত ও বসন্ত রঙের মীরা – নিমাই জানা [Bengali Poetry]

সব কবিতার শেষে একটি পূর্ণচ্ছেদ আর কিছু অবিবাহিত পুরুষ সর্বদা জিরো ভগ্নাংশের ব্রাহ্মণ পুরোহিত হয়ে যায়
ব্রহ্মাত্মা আর হলুদ দুপুরের প্রহর কখনোই এক সমাক্ষরেখায় থাকে না
ব্রাহ্মণ হয়ে যায় পুরোহিতের নাভি , পুরোহিত কখনোই ব্রাহ্মণ নয়
সকলের পিঠের কাছে জন্মেঞ্জয় পুরোহিত বসেছিল খুব পুরনো এক বিনিদ্র মেডিকেল শপের নিচে, ওভরাল এল কিনতে সর্বদাই গোপনীয়তা রাখা উচিত নয়
আমি মীরা নামের আগে দীর্ঘ ঈ কার চিহ্নটি বসানোর পর ভঙ্গিল হয়ে গেছে গন্ধরাজ পাখিদের ঠোঁট
জীবাশ্ম নামের কোনো প্রস্তর যুগের বন্ধু ছিল না আমার
নীলনদে ডোবানো ঠোঁটের কাছে দাঁড়িয়ে ড্রোটাভেরিন আর পিচ্ছিল ঠোঁটের গলনাঙ্ক মেপে নিতে নেই ভোর সন্ধ্যাবেলায়
নোনাচরে দাঁড়িয়ে দেখে নিতে হয় একোনাইট মাদার নামে বিষধর থলিটি জনহীন নদীর চরে দাঁড়িয়ে কতজনকে হত্যা করতে শিখেছে অবৈধ দুপুরে
নিজেকে হত্যা করতে ১৩ দিন বিষাক্ত কক্ষে রাখার পর কৃষ্ণচূড়ার ঠোঁট মুখে রাখলে তবেই জন্ম নেবে বিশুদ্ধ পরকীয়া
জ্বর মুখে কতজন সহবাসের সম্পাদ্য মুখস্ত করে

বসন্ত ও প্রাচীন বৃক্ষের স্থূলকোণ – নিমাই জানা [Bengali Poetry]

আমি উলঙ্গ শরীরে দেখি সকলেই পালক রঙের পরিচ্ছদ খুলে রেখে নোনা হাওয়ার মাইটোসিস ছাত্রী হয়ে যাচ্ছে প্রাচীন বৃক্ষ তলায় , বোধিবৃক্ষের পুং জনন তন্ত্রের স্থূলকোণ পরিমাপ কত
এক দীর্ঘকায় ছাড়পত্র লিখে দেওয়ার পর গোপনে নীরব হয়ে বসে থেকেছি ইছামতীর কাছে , নদীটি প্রাচীন অন্তিম সহবাসের ভৌম জল মেখে নিয়েছে ক্যাকটাস গাছের আয়ু মিশিয়ে
আমাদের জীবন লিখে চলেন মনু ও সাত্ত্বিক , শুক্রাণু কিলবিল করে উঠলেই লিউকোরিয়া রোগীদের কাছে হাঁটু মুড়ে বসি গাণিতিক রজঃস্রাবের কথা তুলে ধরে
রৈখিক বন্ধনীর মতো কোন অসুখ দীর্ঘতর নয় , শ্মশানের কাছ থেকে ফিরে এসে সকলেই একটি আবছায়া ফাটিলাইজার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের শরীরে গজিয়ে ওঠা রজনীগন্ধা ফুলগুলো তুলে নিচ্ছে গোপন অসুখের মতো
ল্যাকটিনাইজিং হরমোন একটি নীরবতার নাম
কাঁচের পালকের উপর অজস্র সিমটোম্যাটিক্যাল ক্ষত রেখে দেওয়ার পর পুরুষরাই নারী হয়ে যায় অবৈধ কাঁঠালিচাঁপা তলায় রাতের কোন নিজস্ব পোশাক নেই ,
শিউলি ফুলের প্রতিটি পুরুষ শিউলি ফুল মাথায় নিয়ে নোনা উর্বরতায় নেমে যায় মহাপর্ব শিখে নেওয়ার পর

বিলিরুবিন ছায়াপথ ও গণিত – নিমাই জানা [Bengali Poetry]

একটি বিলিরুবিন ভাঙ্গা শরীর কাঁচের আয়নার তলপেটে দাঁড়িয়ে নিজের পাণ্ডবেশ্বর ছায়াকে পথিক ভেবে নিতে পারে
সমাধির পর দাঁড়িয়ে কতবার অসুখের ট্রাপিজিয়াম ভেঙে ফেলেন আস্তিক্য, তপোবনে কেউ স্বৈরাচারী গণিত বিশারদ ছিলেন না
তাই পাণ্ডবেশ্বর একাই নীল ট্রাপিজিয়াম
সন্ন্যাসীর লিটমাস ঠোঁটে পলাশ পাখিরা ফেলে যায় সূক্ষ্মকোণের সূর্য ও চাঁদের অবৈধ তাপীয় অবকলন ,
আমি রাতের ইমপোটেন্সি পুরুষদের চুম্বকীয় দৈর্ঘ্যকে আঁকড়ে রাখি বাবলা গাছের তলায়
বাবলা গাছের কোনদিন বিধবা নারী পোশাক ছিল না ,
শরীর থেকে থার্মাল আয়োনাইজেশন দেখতে দেখতেই একটি প্রাচীন নাবিক ঋষিজটার মূলরোম উপড়ে ফেলে
আমাকে কালো রঙের জ্বর আঁকড়ে ধরে প্রতিদিন সপ্তম প্রহরে ভাঙ্গা দাঁতের ভেতর নিয়ে ঢুকে যাই ফিজিকেল সায়েন্সের আইসোটোপ সংসার খাতায়
একটি নারী সর্বদাই আইসোটোপের মতোই অমৃত স্থানাঙ্কে অবস্থান করে
ডান অলিন্দের উপর থাকা পর্ণমোচী শিশুরা ছায়াবৃত্ত এঁকে যায় মৌসুমী সন্ধ্যাবেলায়

লীলাক্ষেত্র ও পীত রঙের যমুনা – নিমাই জানা [Bengali Poetry]

আমি এক ফেরিওয়ালার বৈরাগ্য রঙের অন্তর্বাসগুলো কিনে ফেলি প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় ,
ব্যাকরণ ছাত্রীরা একটি দুপুরের সন্ধি বিচ্ছেদ লিখতে পারেনা কোনমতেই, কৃষ্ণচূড়ার ক্রনিক অসুখ জোরালো হলে গায়ত্রী গেয়ে ওঠে বিষাদ যোগের কালো সাপ
মৃত যমুনার তীরে দাঁড়িয়ে শুধু জলক্রীড়ার সমার্থক শব্দ পড়ে নিতে পারি বিরজা ক্ষেত্র দিয়ে, পুলিনবিহারী এক অসম্পৃক্ত দ্রবণের নাম যাদের ক্লিভেজে বিভাজ্যতা রং নেই
আমি সবুজ দ্রাঘিমার আগুন পুষে রেখেছি প্রায় এক শতাব্দী ধরে
নীরবতাই সবথেকে বড়ো ম্যাগনিফাইং গ্লাসের মতো চকচকে, চুম্বকীয় দৈর্ঘ্যের নাব্যতা মাখতে মাখতে প্রাচীন নাবিক ফিনফিনে গর্ভনিরোধক কিনে বাড়ি ফিরে আসে নিকোটিন বৃক্ষের তলা দিয়ে
আমি তাদের মৃত ম্যানেনজাইটিস রোগী বলে দানাদার দামোদরে নেমে যাই ডলফিন বিউটি পার্লারের ভ্রু হীন কার্সিনোমা নারীটির হাফহাতা ব্লাউজের পাশ দিয়ে
আমাদের দেখে ঘৃতাহুতি দেয় তিন মাথার মোড়ের প্রেতযজ্ঞ ও গোলাপি পুরোহিত
পুষ্কর নাম দিয়েছি গতকাল, শোকের কোন অশ্রুবিন্দু নেই বলে শোক একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ বিসর্গ চিহ্ন ফেলে ধ্রুবতারা হয়ে গেছে ক্যাকটাস বৃক্ষ তলায়
বারানসী অবৈধ ব্রহ্মার যতিচিহ্ন লুকিয়ে রাখে অনুপম আনন্দে
দ্রবণহীন অশোক কবিতার মধ্যবিন্দুতে দাঁড়িয়ে কেবল শ্মশানের
কাঠপাখি উড়িয়ে চলে একযোজী মৌলের মতো
আমি রাতের নেফারতিতি দেহে টাঙ্গানো জলীয় ওষুধ খেয়ে বাড়ি ফিরি বসন্ত পোশাক পরে,
১০.১৫ একটি সিঁড়ি ভাঙা সাপ ও হিমোগ্লোবিনের নাম

নিমাই জানা | Nimai Jana

Top New Bengali Poetry 2023 | পূর্ণা গাঙ্গুলী | কবিতাগুচ্ছ

Top Best Bengali Poetry 2023 | বিকাশ চন্দ | কবিতাগুচ্ছ

Top Best Bengali Poetry 2023 | কবিতাগুচ্ছ | গোবিন্দ মোদক

New Bengali Poetry 2023 | সুমিতা চৌধুরী | কবিতাগুচ্ছ

বসন্ত পর্ব ও হলুদ ক্যারোটিন | পুরোহিত ও বসন্ত রঙের মীরা | বসন্ত ও প্রাচীন বৃক্ষের স্থূলকোণ | বিলিরুবিন ছায়াপথ ও গণিত | লীলাক্ষেত্র ও পীত রঙের যমুনা | লীলাক্ষেত্র | বিলিরুবিন কি | সিরাম বিলিরুবিন কি | বিলিভার্ডিন | বিলিরুবিন এর কাজ কি | বিলিরুবিন পরীক্ষা | বিলিরুবিন তৈরি হয় কিভাবে | বিলিরুবিন তৈরি হয় কোথায় | বসন্ত বিলাস | বসন্ত বিলাপ | বসন্ত বিলাপ হুমায়ূন আহমেদ | বসন্তের আগমন | ঋতু রাজ বসন্তের আগমন | বসন্তের আগমন কবিতা | বসন্তকালের উৎসব | বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয় কেন | বসন্তের ফুল ও পাখি | বসন্তের ফুল ও ফল | হলুদ ক্যারোটিন | মীরাবাঈ | শ্রী কৃষ্ণ ভক্ত মীরা | মীরাবাঈ কেন বিখ্যাত | রাধা ও মীরা | মীরা ভজন | বিটা ক্যারোটিন কি | ক্যারোটিন এর কাজ কি | ক্যারোটিনয়েড কি | কবিতাগুচ্ছ | বাংলা কবিতা | সেরা বাংলা কবিতা ২০২৩ | কবিতাসমগ্র ২০২৩ | বাংলার লেখক | কবি ও কবিতা | শব্দদ্বীপের কবি | শব্দদ্বীপের লেখক | শব্দদ্বীপ

bee poem | poem about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer poem | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdoweep Founder

Leave a Comment