বিকাশ চন্দ – সূচিপত্র – Bengali Poetry
ত্রিকাল দীক্ষা – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
গুঁড়ো গুঁড়ো অন্ধকার উপচে পড়ছিল জনপদ
কুরে কুরে খাচ্ছিল ছোট ছোট জোনাকি পরিবার
পুড়ে যাচ্ছিল রক্ত মাংস হাড় জন্মের বর্ণ ফুল
দিব্যি প্রাণের পুলক পোড়ায় বিলাস বাসরের সাপিনী
কত মৃত্যু হলে জ্বলে নরক প্রভুর অরণ্য আলো
ধর্ষিতা শরীর ঢাকে শাসন পদ্ধতির পোশাকে
অন্তঃসত্ত্বা পরিচয়ে স্বর্গ নরক পর্ব টুকু জানে মৃত্যু
আপাত শূন্যতা ছুঁয়ে মাটিতেই জড়িয়ে মৃতের পরিচয়
আত্মার চিত্রকল্প নির্বিবাদে গড়ায় পিচ্ছিল টেবিলে
শাশ্বত পরাক্রম চক্ষু বেঁধে দাঁড়িয়ে দাঁড়ি পাল্লা হাতে
চরিত্র রূপায়ণ বদলে যায় জন্ম মৃত্যু শ্মশান অবধি
আপাত শূন্যতা ছুঁয়ে সম্ভ্রান্ত বাগানের ছায়া পট আঁকে
নিঃসৃত সময়টুকু জানে জননী জন্মের অনুভূতি
রাজসূয় যজ্ঞের শিখায় স্বভাব দহনে আদিম শয়ান
সমকামী সময়েরা জানে নরমেধ আহুতির দিন
মোচন কালে আড়ালে রাজা রানী কুঁকড়ে ত্রিকাল দীক্ষায়
অচেনা শবের ছায়া – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
অগুনতি ক্ষুধার্ত পেটের সংখ্যা ব্যালটের হিসেবের মতো
চেনা ছন্দে স্মিত হাসি মুখর সকল জন্ম জয়ন্তী
পথশ্রান্ত শরীর বোঝে নির্লজ্জ বাঁধনে বন্ধ্যা ধূলার ধরণী
নিত্য প্রাণের হিম্মতে বেঁচে থাকে প্রতিধ্বনি মানুষের
করিৎকর্মা মন্দির উৎসব খেলায় মাটি গর্ভে জ্বলেপুড়ে খাক
ঝরে পড়ে পুণ্য পোড়া কালো দুধের স্রোত
অবশেষে জানে সে বন্ধ্যা যন্ত্রগণক চপল নানান প্রহর
শেষ ঘণ্টায় লজ্জাহীন সান্ধ্য-প্রস্তুতিতে ছুঁয়ে সকল রাজ্যপাট
বাবা মা পরিবার সন্ততি বোঝে অশনি শংসিত অপলাপ
আবারও বাঘিনী নখ দাঁত বোঝালো জীবনের আড়ষ্ট ভাষা
অকাল শব সাধনায় ঘেরাটোপে নিজস্ব বধ্যভূমি
অসহ্য যন্ত্রণায় ফোঁটা ফোঁটা সূচনা বিন্দু নক্ষত্র ফোটায়
অনুদানের আবহে আসে খুদ কুঁড়ো স্বাভাবিক ভিক্ষে
ক্যামেরার মুখে খুলে পড়ে মধুমতী আলাপন
সকল মায়েরা বাঁচে তাদের নির্যাসে অতিষ্ঠ জীবন
দু’হাত পেতে দাঁড়িয়েছি এখন বড় আণবিক সময়
সাম্রাজ্যের সাধনায় প্রতিরাতে ভেসে যায় অরব ভবিষ্যৎ
চেনা মানুষের গায়ে ভাসে অচেনা শবের ছায়া
জল তর্পণ – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
অসীম নির্জনতায় সংগোপনে উঠে আসে জন্মের প্রতিধ্বনি
অজানা নরক গর্ভে অপরূপ সংসার ফেলে গেছে ভাঙন দহে
ভাঙা বাতিঘরে অক্ষত হৃদয়ে থাকে মাতৃ বন্দনা
পুরনো কথা গানে ভেসে যায় জীবন জাতকের যন্ত্রণা
চেনা চোখের আরাধনায় কেটেছে বহুকাল নৈরাশ্যে
বাঘিনী চোখে নীল আলোর মহরৎ ভেসে যাচ্ছে দিনে রাতে
কোনো দিন দেখা হলে পথের সাথী পুরোনো কথা সুর
দু’জনেই প্রোথিত হবো বটের ঝুরির মতো কালো সময়ে
গহ্বরে অনন্ত রাত আঁচলে বাকলে অমৃত কলসি ভাঙো
হিংস্র জল্লাদেরা ফেলে গেছে অনাবিল জীবনের রক্তাভ শরীর
শুকনো বুকের ইতিকথায় আত্মার আগুন
ফুটিফাটা মাঠে কান পাতলে শোনা যাবে বিশুদ্ধ আশ্বাস
অঙ্কুরের অস্ফুট স্বরলিপি শিকড়ের অন্তর্দাহ আত্ম স্মরণে
জীবনের সাথে এত প্রাণজ সম্মিলন জানে মাটির চাঙড়
কতক মানুষের কাছে কত কোটি মানুষ মেনেছে দাসত্ব জন্ম
আজো ভেজে ঝলসানো জীবনের কন্ঠস্বর জলের তর্পণে
অর্ঘ্য – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
আনন্দ নাকি দুঃখ নির্বোধ কালের বার্তা বাহক দেয়াল
কোনও মুহূর্তে সায়ংকাল ডেকে যাবে চন্দ্রাবলী
চোখের উপর ক্ষয়ে গেছে অক্ষহীন চাঁদের রাত
হঠাৎই তখন মোম গলা জলে ধুয়ে যায় বসন্ত দিন
বেদী মূলে ফুল চন্দন ধূপের সুগন্ধি বাতাবরণ
হাজারো মুখের সারি যুদ্ধ ছায়া হীন
প্রতিদিনই আয়ুকাল ঘিরে রাখে জ্যোতির্ময়ী
চিৎকার করে উড়ে যায় পাখি জাগা রাত
শ্মশান যাত্রীর হরিধ্বনি ঠোক্করে কাঁপে টেলি টাওয়ার
নিঃসময়ে পুত্র কন্যা আরও সব সম্পর্ক বাঁধন চিরকাল
প্রতি মুহূর্তে ছুঁয়ে যায় জ্বলন্ত আগুন
পাখির পালকের কোমলতা ছুঁয়ে লাল নীল সাদা সবুজ
আমার জন্ম কথা জড়িয়ে ধুলো মাটি সংসার ছুঁয়ে
উঠোন থেকে ঘরে ছড়িয়ে আলতা পাটি পায়ের কুসুম
জন্মকাল ছুঁয়ে চিরন্তন মায়া আত্মার আলো
স্পর্শ কথায় জড়িয়ে অনাবিল সময়ের আলাপ
আগুনে অর্ঘ্য সাজায় সকল প্রতিবাদী লাশ
প্রাচী পত্র – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
সূর্য কি জানে তার যাত্রা পথ মাটি ছুঁয়ে থাকে চরাচর
একটা গোটা পৃথিবীর ক্যানভাসে বিনীত আবাহন
কে চায় আগুন শয্যায় হিরণ্ময় আত্মাহুতি এ জীবন কালে
উলঙ্গ কপটতায় বেঁচে বর্তে গীতিময় জীবন্ত প্রাণী
অবিনীত প্রতিদিন মহড়া চলে পোড়ায় কিছু দগ্ধ ভেদ রেখা
সার সার মানুষের উঠে আসা ধুলো মাটি খড়ো ঘরে
কত কথা বর্ণ ময় কাঙ্ক্ষিত শরীরে ভেজে নোনা জলে
বিচিত্র উল্লাস স্নিগ্ধ বিষণ্ণতা দু’ঠোঁটে ছুঁয়ে সুন্দর ক্ষমা
আঙুলের মুদ্রায় জাগে জ্যোতি কাল জানেন বিশেষজ্ঞ
এসময়েই আদিম অবসাদ ঘিরে মোহন স্নিগ্ধতা
কোথাও কুসুম কুসুম উষ্ণ বুকের লুপ্ত যত ভেদাভেদ
অন্তরাত্মা দেখেছিল গাছ পালার ফাঁকে চূর্ণ আলোর অপরাহ্ন
গৃহ কোণে গান খেলা অলকা তিলকা ছোঁয়া রক্তগোলাপ রীতি
তবুও তো সিংহাসন থেকে উড়ে আসে জেহাদি ভীমরুল
সমস্ত ফল্গুধারায় দেব দ্বিজ খুঁজে রাখে ধুলোর আশীর্বাদ
শ্রীহীন কথারা প্রাণময় ভাস্বর প্রাচী পত্রে শ্যাওলা মাখে
হয়তো সন্ন্যাসী নয়তো ঘাতক – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
নাগরিক সময় জানে জলের ঘূর্ণি আত্মার আকুতি
অনির্দিষ্ট মিলন স্বর্গে ভেসে যায় উদ্বাহু সন্ন্যাস কাল
বর্ণচোরা স্রোতে নীল ঢেউ ছিঁড়ে ফেলে সমুদ্র পদ্ম বুক
কেয়া ঝোপ বালিয়াড়ি উধাও শরীর সাগর মেঘ
হা হা বাতাসে বুক ভাঙে শঙ্খ চিল সমুদ্র হাঁস
ঘ্রাণ হীন সময়ে ইচ্ছে স্রোতে ভাসে জীবিত শরীর
স্থল রাত্রি ছিঁড়ে খায় শরীর জানে জলের অভিশাপ
সাক্ষী রক্ত মাখা লাল কাঁকড়া বুক খায় উপকূল সভ্যতা
সৈকতে ফাগুন আগুন চিরকাল মগ্ন অনন্ত উচ্ছ্বাসে
আশ্চর্য বৈভবে বিষণ্ণ বিলাস গিলে খায় বসন্ত সময়
দুলে দুলে পাল শূন্য নৌকা কোথায় পারাপার জন্ম স্রোত
সতীঘাটে মহানন্দে কে শোনায় জীবনের সংলাপ
প্রচলিত রীতি বোঝেনি শুকনো বিধবা রাত্রির বুক
শরীর জুড়ে ছড়িয়ে সমুদ্রের গ্রাস নাচুনি জলের ঘূর্ণি
আকাশ আগুনের নির্মোহ ব্রহ্মাণ্ড গ্রাস জানে শাশ্বত কাল
তবুও উঠোনে জল জননী রোজ থাকে সান্ধ্য অনুরাগে
কত দূরে ভেসে আসে বাউল জারি সারি গান বদর বদর
স্বর্গ সংলাপে গর্ভগৃহে ভাঙচুর হয়তো সন্ন্যাসী নয়তো ঘাতক
বিষাদ মাদল বাজে – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
উচ্চ কক্ষের সঞ্চারী দেখে সূর্যোদয়ের আগুন
অন্ধকারের কোটরে লিফটে ওঠে নামে রাজন্য কদর
মহাশূন্যের মহাশয় ছাদে কতনা মোহন নক্ষত্র তারা দুর্বোধ্যতা
সাজানো বাগানের পরাগ রেণু ওড়ে শ্মশান চিতায়
মৌমাছি প্রজাপতি ঘুম জাগানিয়া পাখি গান চেনা ঠোঁটে
কেউ বলবে চোখের কুয়াশা খসে পড়ে নিঃশব্দে অরূপ শরীরে
মরণ প্রহর গুনছে আকাশের হাহাকার তাহাদের গান
মাটিতে ঝরছে ছিন্নভিন্ন পাষাণ ভাঙা স্রোতের বিলাপ
চুম্বনে কপালের সুখ জানে জননী সকাল সন্তানের মতো
তরুণী ঠোঁটের কথা সুর ভাসে অকালে অমৃত ধারায়
সমস্ত কথারা জুড়ে থাকে জীবন নির্জন কথকতায়
কঠিনে কোমলে অনাহূত বুকের পিপাসা ভেজায় অন্তর্বাস
গোটা জীবনের পরিচ্ছেদ অপাপবিদ্ধ মায়া মঞ্জরি মাখে
অকথিত অশোক বিম্বিসার ভাঙা প্রত্নঘরে ধর্মের ভাগাভাগি
পরিশ্রান্ত সময়ে মৃত্যু সন্তাপ দোলনটুকু মন্দির গীর্জা ঘণ্টায়
ভয় মেশানো রক্ত মজ্জা লীন অন্ধকারে বল্গাহীন দৌড়
নীলকণ্ঠ বিষে পৃথিবীর নীলে পোড়ে আত্মার আর্তনাদ
কেবল মা জানে প্রসারিত হাতের আড়ালে মরণ ডাকে
অকালে হারায় আয়ুর অর্ঘ্য মাদল বাজে উষ্ণ বিষাদ বুকে
অপাপ চিন্ময়ী – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
আশ্চর্য আড়ালে ধরা দেবে বন্ধুর পথে শূন্য হৃদয়
নির্ভার শরীর হারাবার কথা ছিল না নেই ও তেমন
তবুও আশ্চর্য দহনে পোড়ে অনুভূতি সহাবস্থান
নদী জানে স্রোত ফুল জানে ভাষা চির অনুশোচনার
সকল ধর্ম ধ্বজা হীন পরতে পরতে জান্তব প্রহসন
জনারণ্যেও মানুষের বুকের উষ্ণতা চেনে শুঁড়িখানা
জলের ভেতর বদলে গেছে সকল অবকাশ
রাজ রোষে সকল অবশিষ্ট হারায় শস্যের মানুষ
নিজের ঠিকানা জন্ম দেশ ভাঙে জঘন্য রাহাজানি
আশ্চর্য খবরদারী পুষে রাখে কাপালিক ক্রোধ
আলপথে বিষধরী ছুঁয়ে দেখেনি পুরুষ্টু শস্যের শীষ
বাবা নীলকণ্ঠ তাকিয়ে দেখে গোপন রক্ত ঝর্ণা
স্বরবর্ণ অক্ষর বর্ণ মালায় বেমালুম তেজারতি
অন্ন হারা অপু দুর্গা দেখে নন্দন বনে বেপথু প্রদর্শনী
আশ্চর্য ব্যঞ্জনায় মুক্তা হাসি অপেক্ষায় অসাড় প্রত্যঙ্গ
অকাল রাত্রি জুড়ে জাগে আলোর বেণু ভাষা পঙক্তি হীন
আনাড়ি সময় একাকার মাতৃপক্ষ পিতৃপক্ষ হেমন্তের জন্ম বীজে
শরীরে জড়িয়ে আত্মার প্রতীক সে অপাপ চিন্ময়ী
নিরামিষাশী সরীসৃপ জানে – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
গুঁড়ো গুঁড়ো অন্ধকারে উপচে পড়ছিল হৃৎপিণ্ডের স্পর্শ
কুরে কুরে খাচ্ছিল ছোট ছোট জোনাকি পরিবার
পুড়ে যাচ্ছিল রক্ত মাংস হাড় জন্মের রঙ পালক
দিব্যি প্রাণের পুলক পোড়ায় বিলাস বাসরের সাপিনী
জ্বলে নরক প্রভুর অরণ্য পোড়ে বৃক্ষ নারী পুরুষ
ধর্ষিতা শরীর ঢাকে শাসন পদ্ধতির পোশাক সম্ভ্রমে
অন্তঃসত্ত্বা পরিচয়ে স্বর্গ নরক পর্ব টুকু জানে মৃত্যু
আপাত শূন্যতা ছুঁয়ে মাটিতে জড়িয়ে মৃতের পরিচয়
ছিন্নভিন্ন অস্তিত্ব জানে মুক্ত পাখির ওড়াউড়ি ভোরগুলি
রাষ্ট্রীয় উর্দির আড়ালে ঘাতক প্রস্তুতি পালক ছেঁড়ার পালা
রাতের পাপেরা ঘুরে ফেরে পুলকে অবসন্ন করিডোর
সঙ্গ হীন আত্মা নির্বিবাদে গড়ায় পিচ্ছিল টেবিলে কার্পেটে
শাশ্বত পরাক্রম চক্ষু বেঁধে দাঁড়িয়ে দাঁড়ি পাল্লা হাতে
চরিত্র রূপায়ণে বদলে যায় জন্ম মৃত্যু শ্মশান অবধি
আপাত শূন্যতা ছুঁয়ে সম্ভ্রান্ত বাগানের চিত্রকল্প আঁকে
নিঃসৃত সময় টুকু জানে জননী জন্মের অনুভূতি
রাজসূয় যজ্ঞের শিখায় স্বভাব দহনে আদিম শয়ান
সমকামী সময়েরা জানে নরমেধ আহুতির দিন
রাজা রানী কুঁকড়ে আড়ালে গোপন যুদ্ধ ছায়া
নিরামিষাশী সরীসৃপেরা জানে রূপসী ঋতুর স্বাদ বদল
আমার স্বদেশ – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
বিষাদ কালে সেই আগুনের কাছে অন্তর্দাহ
পেছনে পাহারাদার খালি পেট হাঁ-মুখ বাঘ
তবুও প্রেম পরিহার অশ্রু জলের কোমল নীলাঞ্জলী
শহর গ্রাম ভালো বুঝছে থম মেরে বসে বনতলি
রাজনীতি রাজপথ জুড়ে প্রেমময় সময় কুয়াশা ভেজা
আলো ছবি ঘরে চোখের জলে পরকীয়া কথা
টুকরো টুকরো জীবন বোঝে গলায় আটকে বোবা কান্না
রাজ ভবনের সিঁড়ি জানে পায়ে পায়ে লোভী মানুষের গতি
গ্রামের পুকুর কচুরিপানা জানে কারচুপি গ্রাসের আশঙ্কা
আলো আঁধারে পুঁথিপত্রে জেগে ওঠে চিত্রাবলী
পিশাচ প্রকৃতি ছিঁড়ে সৌন্দর্য উঠেছে জাগে মায়াদেবী
সংসার সংবেদী জানে সাদা পাতা জুড়ে রূপান্তরের জলছবি
চাঁদ শিশুর চলনের ছন্দ বোঝে না অলীক শাসন কলা
ঘাসেরাও লজ্জায় অবনত সকালের চূর্ণ কুয়াশার আয়নায়
সকল ভাষার আড়ালে হারিয়ে গেছে প্রত্যাশিত উষ্ণ চুম্বন
অনন্ত বাসনায় দাঁড়িয়ে জনার্দন সেই আগুনের মুখে
হা-পিত্যেশ নিরন্ন কুঁড়ে ঘরে লুকিয়েছে আমার স্বদেশ
প্রজন্ম শেকড় বড়ো সামাজিক – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
যে এলকোহল ছুঁয়ে দেখেনি কেউ সহৃদয় কখনও
সেটাই এখন শান্তি জলের মতো প্রতি ঘণ্টার দোসর
দুটো হাতে মাখা মাখি ভেতরের চঞ্চলতা অধোমুখ
প্রতিদিন জল তর্পণ উষ্ণ ভূমণ্ডলে মুখোশ ঢাকা মানুষ
সর্বস্ব হারানো পথই চেনে বেপথু পথিকের বিষণ্ণ চলা
দু’দিকের গাছ পালার দীর্ঘশ্বাস মিশে গেছে বেদনা বাতাসে
দু’চোখের জলে মিশে গেছে ঝড় বৃষ্টি রোদ গোধূলি অন্ধকার
একটু বাঁচার জন্য ঘর পথে সাথে মৌন মৃত্যু স্রোত
থেকে থেকে মেঘের ডাক ভুবন বিদারী পোড়া পেটে জ্বালা
অচলা সময়ে কাছাকাছি আলো মাখা মুখে চেনা সে ঘরণী
ফল ফুল পাতা গাছে কত শত পাখিদের স্বাগত অন্য স্বদেশ
ঘর বাঁধা স্বপ্ন পথে রক্ত পায়ের ছাপ কোমল স্মৃতি ভরণী
অস্ত কালের স্বপ্ন বোনে চতুর মাকড়সা বোঝে না শৈশব কাল
ঈশ্বরও চমকে ওঠেন প্রকৃতি পিশাচে মজে উন্মাদ সময়
কোন খেলায় মেতেছে পাগল আলো ভাসে পাখির ডানায়
আজন্ম জড়িয়ে পায়ে জমি প্রজন্ম শেকড় বড়ো সামাজিক
আরাধ্যা – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
মরণ প্রহরে দাঁড়িয়ে অভিমান অহেতুক অসম অনুষঙ্গ
কী প্রয়োজন খুঁড়ে ফেলা সচেতন সময়ের দরজা
বহুবার প্রত্যাখ্যাত তবুও ফিরেছি নির্মাণ প্রার্থনায়
পাথর কী পাষাণ জানেনা ঝুলে আছে মৃত্যু ফলক
হাতড়ে ফিরি সবুজ বাগিচা প্রজাপতির পরাগ পূজা
ঘুমের ভেতরও শুনি পাখির ডাক ঝর্ণার জল অবিরল
কতবার খুঁজে ফিরেছি প্রাণের লালন একতারা
বহুধা গানের ভেতর শব্দেরা প্রাণ পেয়ে পাখি হয়ে যায়
দোয়েল পাপিয়া কোয়েল ডাকে বাঁশি সুরে
প্রেম রসিকা পায়ের নূপুরে তোলে দ্রুত লয়ে তাল
কোনো কপটতা নেই বলে ব্যভিচারী জঙ্গলে লুকায়
কেবলই কস্তূরী হরিণ একাই মাতাল মৃগনাভি শ্বাসে
এক আকাশের মায়া মেঘে মাদল বৃষ্টি তোলে সুর
প্রকৃতি বাসনা বাঁধন জাল ছেঁড়ে খোলা হাওয়া
হঠাৎই অজানা সুরেও দুলে ওঠে শরীর বিনোদিনী
শরীরময় শূন্যে বাঁধে আলোর বিনুনি
অন্তরে ছিল চাঁদের সে লজ্জা কাতর কলঙ্ক সব
কালও পুড়েছিলাম একত্রে মনের মানুষ তখন ঘরে
আজও তোমার মণ্ডপে পূজার আয়োজন
কুঁড়ে ঘরে নাট মন্দিরে নশ্বর শরীরে আরাধ্যা
একাত্ম ধরিত্রী মানুষ – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
স্বপ্ন স্থপতি জানে প্রতিদিন সকালে বর্ণ পরিচয়
আত্মদান প্রতিদিনই সেই পুরোনো আখরে
প্রতিটি বয়স জুড়ে আমার বয়সের মতো নিঃশব্দ
প্রবীণ হয়ে ওঠে ভেজা চোখ কথা জানে ঈশ্বর অতিথি
কখনো প্রাণায়াম কেউ কেউ নীরব তপস্যায়
বহুবার জানতে চেয়েছি আত্মা আর দূরাত্মার ছল
তপস্যা ভাঙার কৌশলে এসেছে সুন্দরী উৎফুল্ল সময়ে
তারাও নাকি দেবদাসী হয়তো বা সংসার বান্ধবী
কোন রতি রাগ বিরাগ ভাজনে পথ ভোলা বাউল সন্ন্যাসী
সুবোধ বালক এখনো বর্ণপরিচয়ে খোঁজে প্রত্ন পুঁথি
কিছু ফুল থাকে চিরকাল জলের শালুক
গোছা গোছা শব্দ অক্ষর থোকা থোকা সাজানো কস্তূরী
দৃশ্যত সুন্দর হলে কি লাভ গুণ গন্ধ খোঁজা
মদন শরীর ও ভালো জানে চন্দন গন্ধী রতির বিলাপ
হৃৎস্পন্দনের সাথে আসেনা অন্তর কথা
গাছেদের আড়ালে মৃত বাকলের যন্ত্রণা শেকড়ে শৈশবে
ভালোই জানে হেমন্ত দারুণ নবান্ন খোঁজা
বর্ষা এলে অঙ্কুর বীজে একাত্ম ধরিত্রী মানুষ
বোধিসত্ত্ব বরাভয় – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
ক’দিন আগে অহংকারী রাজা প্রাণ ভয়ে দেখেছে পাতাল ঘর
তেমন করে দেখেনি তারও আগে কত পায়ের ছাপ
কোথাও চিৎকার আহাম্মক চাকরি দে
অন্যেরা বলে চিকিৎসা ওষুধ খাওয়ার
কোথাও চিৎকার মাথার উপর ছাউনি
রাজা জানে ফিরে আসা ত্রিভুবনে শ্বেতকরবী হাতে
জনতার তর্জনী জরুরী ঘি কাঠে যজ্ঞ পূর্ণাহুতি বেলায়
কোন কোন মানুষের চোখ হঠাৎই পাথর স্থির
নির্ভয়ে এগোতে থাকে আগুনের দিকে
রে রে চিৎকারে ছুটে আসে মানুষের শব্দ পথের সারি
আবারও চিৎকার পেয়ে গেছি কৃষ্ণচূড়া মানুষ
মাথার উপর এক ঝাঁক পাখির অনন্ত উল্লাস
আলো ছায়ায় প্রাণের উৎসবে আমাদের স্বরলিপি
আমন আউশ বোরো শূন্য মাঠে শরীরী আবাদ
এখন মাটি ছুঁয়ে আলো আর আহত সময়
কোথাও শিশির ভেজা ভোর কোথাও সাদা হিম সময়
আশ্চর্য চকমকি নদী সমুদ্র এক সাথে কোলাহল
অপেক্ষায় নবীন কথকতা জানে প্রবীণ অবরোহণ
কোথাও বাক্যহীন নিজস্ব জন্ম শিকড় খোঁজে
হাতে হাত আত্মার বন্ধনে বোধিসত্ত্ব বরাভয়
জন্ম পীঠ – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
পাশের পুকুরে হঠাৎ ঢেউ চিক চিক চাঁদের আলো ঢল
ত্রিপল ছাউনির ফুটিফাটা ঘরেও আলোর চিকন
সারা শরীরে পাশাপাশি তোমার চন্দ্রপুকুর মায়া
তুমি উন্মুক্ত করেছো পৃথিবী আর জীবনের অবতল
শৈশবের চির নগ্নতায় তোমারও চোখে জৌলুশ
পৃথিবীর প্রতি কোণে এ সময় ভিন্ন অনুস্বর
অনাসৃষ্টি সময় এলকোহলের হাতে ভাসে ঘর সংসার
বাইরে কালো মেঘ ভেজায় গাঙচিলের সাদা ডানা
জল ঘরে শাপলা শালুক আর পানকৌড়ি ডুব
নিশীথ সময় অট্টালিকা কুঁড়েঘর ফুটপাত নিশ্চুপ
গাছে গাছে নীরব বুনো সংসার মাটিতে আদম ইভ মায়া
উচ্চারণহীন শরীরে মঞ্জরি মাতালো সে গন্ধ অফুরান
জল সই চল সকালের জল ছুঁয়ে স্নানের প্রণাম সারি
আত্মায় আছে গত রাত চন্দ্রকলার আলো আঁধারি
ছিন্নভিন্ন ঘরে ত্রিপল ছাউনি জোড়া শালিকের শিস
ছলনা ছিলনা সব রঙ ধুয়ে মুছে সকালের লাল আলো
সূর্য এখন ভেজা শরীরে চুলে বিলি কাটে বসন্ত বাতাস
ভেজা পায়ে উঠোনে দাঁড়ালে জাগে মানুষের পাড়া
সকল তুলসী তলা হয়ে যায় ঈশ্বরের জন্ম পীঠ
হৃৎস্পন্দন শোনাবো – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
জবা সঙ্কাশ সময় জানেনা রক্ত মাখে সকাল
অদম্য ফুসফুসে জমে উঠেছে শস্যের সংলাপ,
তন্ত্র ধারক শোনায় আবারও জন্ম ফুলের গল্প
উন্মাদ সময়ে বুকে আগলে দুঃসময়ের পাখি।
অচেনা অন্ধকার ঘিরে আছে ভাঙা চোরা পাঁজরে
জল জীবনের চিত্রপটে থমকে গর্ভ জীবনের ছবি,
জমাট কালো মেঘ ছায়ার চাঁদোয়া চেনে না গৃহলক্ষ্মী
একান্ত শরীর আগলে সন্ধ্যায় দু’হাতে পঞ্চমুখী শাঁখ।
ছিন্নভিন্ন গাছের শরীরে পাখিদের ঠোঁটের আদর ডাক
হাজারো দুঃখে দিশেহারা ধান দূর্বা ভিটে হীন ঘর,
পোড়া সময়ে গলায় আত্মস্বর খোঁজে ভালোবাসা মুখ
অপরূপ চেনা সবুজে এখন জলের ভেতর জন্ম অসুখ।
আগুনের ভেতর ছায়ারা দুলছে অবিশ্বাস্য আত্মাহীন
বাতাসের নিঃশ্বাসে কুঁড়ি আলো মুখে পাপড়ি খোলে,
উদ্দাম বাতাসের বিদ্রূপ ধূলিসাৎ সংসার বোঝে সব
আমার বুকে এসো প্রাণের দোসর হৃৎস্পন্দন শোনাবো।
জন্ম জাদু খেলা – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
চতুর্দিকে দোল খাচ্ছে জাতক আনন্দ অবশেষ
সওদাগরের ইচ্ছে কাতর মায়া জানে মহাসাগর
চোখের জলে চিতা ঘরে দেহকাণ্ড পোড়ে
রাজ রোষে সংসারী জীবন দেখে আগুন প্রহর,
কাপালিক চোখের মন্দ ইশারার আড়ালে বশ্যতা
প্রীতি হীন সময়ে ভুবন জুড়ে ছিন্নমূল সবাই ক্রীতদাস।
জল জানে স্রোতের শরীরে ভাসে জীবন মানুষের কথা
বিধাতা বোঝেন এ কেমন খেলা প্রহর বিনাশী,
অস্থির সময়ে গৃহ দীপে পোড়ে প্রিয়জনের পাঁজর
ম্যাজিক চেয়ারে রাজা রানীর আশ্চর্য সমকামী সহবাস,
দূরে গ্রামে আগুন উৎসবে কত শত বুক পোড়ে
নীলকুমারী ঢেকেছে সাদা ওড়নায় নির্বাক মুখ।
মাঝরাতে হঠাৎই আগুন বৃষ্টি লাল শিমুল গ্রামে
মৃত্যুর ভেতর স্বপ্নেরা পুড়ছিল আগুন আলোর পাখি,
মায়া বৃষ্টি ডেকেছিল কেউ কেউ ব্যস্ত উন্মত্ত বাতাসে
সকল অস্বস্তি বেঁচে থাকা মানুষের একান্ত বশ্যতায়,
মানুষের পঞ্চভূতকে মিলিয়ে দেবে উদ্ধত অমৃত উৎসবে
মায়াবী অগ্নি পিণ্ডের জন্ম জাদু খেলা অহংকারী যজ্ঞে।
শরীরে বর্ণ রূপান্তর – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
অনিন্দ্য সৃজনে বেঁধেছো সুখ অলীক কথা সুখ
শরীর জুড়ে উষ্ণতা খুঁজে ছিল কিছু উন্মনা অঙ্কুর,
শ্বাসে প্রশ্বাসে বিনীত ব্রহ্মচর্য ছুঁয়েছিল বর্ষা মেঘ
হৃদয়ে বিন্দু বিন্দু আলোর স্পন্দনে স্পর্শ কাতরতা,
ঠোঁট নড়েছিল অস্ফুট কথারা নির্বাক বসন্ত শেষে
সমস্ত কথারা টুকরো টুকরো জীবনের নিপুণ নম্রতা।
বিমনস্ক নদী জানে মোহনার জল টানে অনন্ত গভীরে
শরীরে জোয়ার ছুঁলে ভেসে যায় আত্মার মনোভূমি,
এপারের অরণ্য ডাকে ওপার ভেসে যায় উতল আনন্দে
একই জল ছবি ঘিরে ধরে সকল ফুলের শরীর,
থমকে থাকে অমৃত কথা নদী জুড়ে ভাসে মৃত ছায়া
শোকের ভেতর গানের ভেতর ভাসে সন্ধি প্রণয়।
সকল অন্ধকারে প্রতিদিন তোমাকে আলোতে সাজাই
জলের মুঠোয় গলে পড়ে অপার নান্দনিক ব্রত যাপন,
মুখের রেখা শিরা ধমনী বোঝে উদগত কান্না হাসি
কতটা গভীরে বেঁচে আছে সরীসৃপ আদিম প্রহরে,
সকল শরীর ভাসে নরম উষ্ণতায় জলজ জন্ম দাগ
হাতে হাত হৃদয়ে বন্যতা শরীরে বর্ণ রূপান্তর।
জ্যোতি কাল – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
শীতের শরীরে তুমিই দিয়েছো ফুল জন্ম কুয়াশার ভোরে
চড়াই উৎরাই ভাঙি পায়ে পায়ে জীবন বাঁধনে জন্মান্তর,
আজকাল পৃথিবীর ক্যানভাসে বিক্ষত কি তুমি শব্দে অক্ষরে
বিধ্বস্ত ঘরের উঠোনে দাঁড়িয়ে কাঁদো প্রত্ন ধ্বংসের বিভ্রমে।
রূপশালী হাওয়া খেলে আমন আউশ বোরো ক্ষেতে ধান শীষে
চিরকাল ঘিরে থাকে শস্যমুখ ফসল সম্ভারে নবান্ন শ্লোক,
কেউ নয় চিরন্তন পলাতক পায়ে পায়ে ফিরে আসা জঙ্গল মহলে
মুক্তির আবাহন ডায়ে বাঁয়ে তবু কেন আঁচড়ায় বাঘিনী থাবা।
রাতের আকাশ জুড়ে নীহারিকা বাঁধা কৃষ্ণগহ্বরে
অনন্ত নীলের অন্তহীন কী ভীষণ কুশলী বশীকরণ,
অক্ষম সেইসব ঋতুর অনুরাগ জড়ালো জন্ম জ্যোতি রাগ
অসম পদসঞ্চারে বিলাসী ক্ষমতায় ডাকে ধ্বংসের আকাল।
মাটিলেপা ছিটে বেড়া ঘর খুঁটিতে এলিয়ে মা জাগরণে
কে কোথায় চলে গেছে পথ বেয়ে অন্ধ চিতায় মাটির গহ্বরে,
ছড়ানো পায়ের উপর শূন্য আঁচলে স্নেহ ছায়া আঁকে অক্ষম আয়ু
তথাগত প্রাণ যদি জন্মান্তর এনে দেয় পূর্ণ জ্যোতি কাল।
জন্মের কালপুরুষ – বিকাশ চন্দ – Bengali Poetry
মোহময় ছিল হয়তো কামনার বিষে পোড়ে সন্ধিকাল
এটাই নিয়ম পৃথিবী ধুয়ে যায় মহাশূন্যের মোহন রূপে,
সে কোন রঙ কি চাঁদের নাকি সূর্য জবা লাল
আহাম্মক সময়ের রাজ্যপাট জানে সকল রূপকথা,
আমিত্ববোধের অস্তিত্বে সহাস্যে মন্ত্র উচ্চারণ
মায়ের কাছে ভেসে যাই ভেসে থাকা চাই জন্ম কালে
চোরা টানে নিরন্তর বুকের ভেতর গভীর নিঃশ্বাস।
চতুর্দিকের তালা বন্ধের শিকল ঘিরে চৌকস হাতের কসরত
কাল ছায়া দেখেছে সকল জীবন মায়া কাজল চোখে,
কাল সর্প দংশনে ধমনী পুড়ছে নীলের জ্বলনে
আগুন নেই অক্ষম শরীর ঝলসে যায় চামড়ার খোলস,
সামনে পেছনে দিক বিদিকে নুয়ে আসা শরীর নিরন্তর
এক সাথে যদি ঘর পাই সক দেয়ালের ঘর তীর্থ ক্ষেত্র হবে।
আকাশে ওড়া মুক্ত পাখিদের সাথে চিল শকুনের চিৎকার
পরিযায়ী পাখিদের মতো দ’বাহুতে জন্মাক নরম পালক,
আমাদের চেনা ঘর দু’চোখের দর্পণে ভাসে
কখন দেশান্তরী প্রত্ন কাল টানে জন্মের কালপুরুষ।
বিকাশ চন্দ | Bikash Chanda
Bengali Article 2023 | শ্রমিক আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু | প্রবন্ধ ২০২৩
Bengali Article 2023 | “স্তন কর” বিরোধী নারী আন্দোলন ও নাঙ্গেলির (Nangeli) আত্মত্যাগ
Bengali Article 2023 | শ্রমিক আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু | প্রবন্ধ ২০২৩
Bengali Article 2023 | আশা নিরাশার দোলাচলে বাঁকুড়া জেলার কাঁসা শিল্প
bee bengali poetry | bengali poetry about self love | story poem | poetry angel | narrative poetry examples | poetry reading near me | prose poetry examples | elegy poem | poetry reading | the tradition jericho brown | poetry websites | protest poetry | prayer bengali poetry | emotional poetry | spoken word poetry | poem about god | percy shelley poems | jane hirshfield | spiritual poems | graveyard poets | chapbook | poems about life | poems to read | found poem examples | poems about life and love | elizabeth bishop poems | poems about women | sister poems that make you cry | famous quotes from literature and poetry | mothers day poems from daughter | poem about community | 8 line poem | inspirational poetry quotes | poem about life journey | positive poems | short poem about life struggles | toni morrison poems | good bones poem | google poem | funny poems for adults | inspirational poems about life | friendship poem in english | paul laurence dunbar poems | freedom poem | sad poetry about life | Shabdodweep Founder