World of Possibilities Mean | Best Shabdodweep Article

Sharing Is Caring:

অমিত সম্ভাবনাময় আমার পৃথিবী – বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী

আমার মধ্যে এক ধরনের পারিপার্শ্বিকতা বিরোধী মনোভাব সততই ক্রিয়াশীল। আবার এই মনোভাব বহু বছরের খাপ খাওয়ানোর মনোভাব গড়ে উঠতে উঠতে ভারসাম্যহীন হয়ে খুঁজে যাচ্ছে এবং মাঝেমধ্যে পেয়ে যাচ্ছে যা সে পেলে খুশি হয়। অনাবিল আনন্দ মুখরিত সে ইহলোক ত্যাগ যেন দূরবর্তী বাসনা।যার দূর থেকে আরও দূরে রেশ মিলিয়ে যেতে যেতে বলে যায় তোমার জন্য যে অমিত সম্ভাবনাময় পৃথিবীর কল্পিত অস্তিত্ব, তা তুমি ভোগ করো। সব পেয়েছির দেশ রচিত হোক তোমার জন্য যা তোমার পারিপার্শ্বিক সামাজিক পরিবেশে কোন বৈকল্য সৃষ্টি করতে পারে না।আসলে এর প্রেক্ষিতই তোমাকে ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা, মনে মনে ‘ বলে সোচ্চারিত হতে সাহায্য করেছে। আমার মন তখন কৌতুক পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে মনোবৈকল্য হেতু আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম তা অকল্পনীয় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারছে।আমি অত্যন্ত সুখ উপলব্ধির ভিন্ন দেশ যেন আবিষ্কার করে ফেলেছি। আমি পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে, তেপান্তরের মাঠ পার হয়ে কোথায়, কোথায় যেন হারিয়ে যাব। সে এমন একটা দেশ, যে দেশের নাম কেউ শোনেনি। যে দেশটার রাষ্ট্রিক অস্তিত্ব সম্পূর্ণতাই আমার মগজাস্ত্র প্রসূত।যার নাগরিক সভ্যতা পৃথিবীর সব দেশের নাগরিক সভ্যতার চেয়ে অনেক উন্নত। রাষ্ট্র শাসন ব্যবস্থায় কোন গলদ নেই। শাসনপ্রণালী রচনায় সব মানুষের সমান অধিকার, সমান সুযোগ-সুবিধা দেবার কথা বলা হয়েছে। সাম্যের অধিকার অর্জন ও রক্ষায় কোন রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের কথা কেউ কখনো শোনেনি। যে দেশটা জ্ঞান বিজ্ঞান, শিল্প সাহিত্য, ভাস্কর্য তথা চৌষট্টি কলার কোন অংশে কমতি নেই, খামতি নেই।

আবার নাগরিক সভ্যতার নিদর্শনের বহর এমনই যে কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় এতটুকু বিঘ্ন ঘটাতে পারে না। অর্থাৎ স্বাধীনতা ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য।অন্যের অনুশাসন মেনে চলতে হয় না। বলবৎ যোগ্য এমন কোন বিধি নেই যা নাগরিক সভ্যতার লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত প্রকাশ্যে হাজির করে গর্হিত কর্মের বিচার করতে পারে।না আছে ধর্মের অনুশাসন, না কোন ধর্মগুরুর আধিপত্য।তা বলে দিশাহীন মুক্ত বিচরণ ক্ষেত্র ভাবলে ভুল হবে।দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে নাগরিকরা যাপনকাল অতিবাহিত করলে যে হুঁশ তাল লয়ের অবক্ষয় দেখা দেবে সে সম্পর্কে নাগরিকবৃন্দ হুঁশিয়ার।নাগরিক সমাজ, প্রতিটি নাগরিক সমাজ নব নব উদ্ভাবনে মজে আছে।তাদের উদ্যম ভালো করে লক্ষ্য করার মতো।নদী মাতৃক সভ্যতায় যেমন নদীর জোয়ারের মতো প্লাবনরূপ প্রত্যক্ষিত হয়, আমার কল্পিত সমাজে তার বহমানতা। কোন আকার – আকৃতি আগে থেকে গঠিত থাকে না।আগে হতে রচিতও নয়।সবই বানানো।যা ফলদায়ক এবং উপযোগী হোক এই সবাই চায়।হয়তো হয়ও তাই। কারণ এর পিছনে নিরন্তর শুভেচ্ছা চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। তাই সৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গি, এই দু’য়ের মধ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে মানুষ এবং মানুষ নির্মিত যান্ত্রিকশক্তি। এখন তাই মানুষের লক্ষ্য সৃজনশীলতার প্রকৃষ্ট নিদর্শন হিসেবে কিছু খাড়া করতে পারা।যার বেশি কিছু চাওয়ার থাকবে না।

আমার কল্পরাজ্যের আউটলাইন তথা গ্রাফিক্যাল ডিজাইন সম্পর্কে তো আগেই জানিয়েছি। আর যদি আনুষঙ্গিক কিছু বাদ পড়ে থাকে তবে আমার মনোরাজ্যের কাল্পনিক সদ্ভাব অনুযায়ী ভেবে নেওয়া যেতে পারে।তবে আমি সুযোগ পেলেই অনুপুঙ্খ জানানোর প্রচেষ্টা করব। এতক্ষণ যা বললাম তা নিয়ে তত্ত্বগত কচকচিতে অযথা বাগাড়ম্বর করে ফেললাম হয়তো।কিন্তু প্রদীপ জ্বালাতে গেলে সলতে পাকানোর একটি পর্ব থাকে।আমার কল্পরাজ্যের মধ্যে বিরাজ করছে একটা রামরাজ্য।কথায় বলে না, যেন রামরাজত্ব পাওয়া।আমি সেই রামের কাছে যেতে চাই যেখানে গেলে স্বর্গরাজ্যের সুখ পাওয়া সম্ভব। আর দ্বিতীয় সীতার না থাকাই ভালো।নারীবাদী মতবাদ এবং নারীকেন্দ্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হোক, এমনকি নারীবাদী সরকার শাসনতন্ত্র পরিচালনা করুক।আমিও নারী।নারীকে নির্যাতিত দেখতে চাই না।অবমাননা মোটেও নয়। পুরুষের কাঠিন্য ও অস্থিরতা অতিবৈশ্বিক পরিবেশ রচনা করে।নারী যেহেতু পুরুষের বীর্য শরীরে ধারণ করে অতি যত্নে এবং অবিচলভাবে সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার সহনশীলতা সঞ্জাত, সেই দৃষ্টান্ত পুরুষের কাছে আশা করা যায় না।বরং আমার কল্পরাষ্ট্রে অতন্দ্র প্রহরার ভূমিকা হোক পুরুষের।বহিঃ শত্রুর আক্রমণ রুখে দেওয়ার মতো শোনালেও আসলে ঝড়‌, বজ্রপাত, অতিবৃষ্টির ফলে প্লাবন ও বন্যা, ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, উল্কাপাত, দাবানল, আগ্নেয়গিরির হঠাৎ অগ্নুৎপাতের ফলে স্তম্ভিত জনপদের লোকক্ষয়, পঙ্গপাল হানার ফলে শষ্যহানি, এসব বিপর্যয় মোকাবিলায় আপৎকালীন সহায়তা দানের অতন্দ্র প্রহরী হবে পুরুষ।তাহলে শুরু করি আমার কল্পিত উপাখ্যান। যার কল্পনার আবরণ উন্মোচন করার পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে উপাখ্যানের রসদ।

আমি অ্যানা ইভ আর আমার স্বপ্নের পুরুষ মসিয়ে আদম।আমাদের বিচরণভূমি যা সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক সম্বলিত, তাদের নিয়ে রচিত হবে আমাদের কল্পরাজ্য। তারপর একে একে আসবে আমাদের যৌথ পরিবার ও সমাজ গঠনের নানাবিধ পরিকল্পনার আভাস। যার অস্তিত্ব নেই রাজ্যের বাসিন্দারা নির্মাণ করবে। তার জন্যে প্রথমেই আমরা এই ভূমণ্ডল ছেড়ে বেছে নিয়েছি আমাদের উপযোগী একটি কল্পমন্ডল।আসলে গুনগত দিক দিয়ে দেখতে গেলে কতকগুলো অভ্যাস আগে থেকে তৈরি হওয়া দরকার।আমাদের নেই রাজ্যের বাসিন্দাদের ওই সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিক বীক্ষা অধিগত।তা না হলে সুসংহত কাল্পনিক রাষ্ট্রের অভিধায় ভূষিত করা সম্ভব হয় না ।

“আমি আমার মতো করে সাজাব আমার পৃথিবী।পুরুষের বীর্য জরায়ুতে ধারণ করে নিষিক্ত হয়ে সন্তান উৎপাদনে ব্রতী হব।ওরা দীর্ঘ সময় পার করে দেবে কল্পরাজ্যের রাজনীতি, সমাজ গঠন, বাস্তুতন্ত্র, দর্শনশাস্ত্র, বিজ্ঞান, চারুশিল্প রচনা, ও আগে আমি যা যা বলেছি সেই মতো।” অ্যানা চিত্রকল্প স্বরূপ যেন তুলির টানে বলল।” তাহলে গুণমুগ্ধ শ্রোতা হিসেবে আমি তোমার পাশে থেকে কথাগুলো শুনতে পছন্দ করব।” মসিয়ের স্বভাবসিদ্ধ গলা শোনা গেল। অ্যানা বলে চলল বিশুদ্ধ উত্তর আধুনিকয়ানা মেয়ের মতো,” আমার পছন্দের কল্পরাষ্ট্রের প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৃত সঙ্গদানে মসিয়ের উদারনৈতিক মনোভাব আশা করি, মশিয়ে, হে আমার প্রিয় সহচর।”

মসিয়ে আদম বিশেষ উল্লসিত হলেন অ্যানা ইভের দূরদর্শিতায়।উল্লেখ্য যে পারিপার্শ্বিক সহচরের ভূমিকা অ্যানা ইভকে এখন খুশিই করছে।এর কারণ হয়তো মনে মনে যে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রতিষ্ঠা করতে পারে তার পক্ষে আনন্দজ্জ্বল সময় অতিবাহিত করা সহজতর। আদম নিজেও চান তাঁর মানসিক গঠন অপটিমিষ্টিক ভিউ দ্বারা পরিচালিত হোক।এতে সার্বিক সুখকর পরিস্থিতি বহাল থাকায় কোন দুশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রেমজ বাস্তবের প্রবাহ যদি প্যারাডাইজ কিংবা জন্নতের জগতে বিচরণ করে তবে তো ভালই। হঠাৎ অ্যানা একটা কথা বলল,” কল্পরাজ্যের রাজধানীর কথা বলতে গেলে আমি সুদূর আকাশ রাজ্যের ছায়াপথ ‘ আকাশগঙ্গা ‘ র কথাই বলবো।উত্তর আকাশের ধ্রুবতারা যেমন করে অথই সমুদ্রে ভেসে চলা এবং নতুন দেশের খোঁজে বের হওয়া জাহাজগুলোর নাবিকদের পথ দেখাত, নাহয় তেমনটিই হবে আমাদের পথ চলা।সময়ের সে রূপ কে না প্রত্যক্ষ করতে চায়।”

দূর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মাঝখানে দু’একটি ছোট জাহাজ ভেসে চলেছিল।সমুদ্রের ঘোলা জলের ওপর উঁচু নীচু পাক খেয়ে ঘুরে ঘুরে এলাকা বাড়াতে বাড়াতে উড়ে যাচ্ছিল সী-গাল। একটি দু’টি, ক্রমশঃ আরও।ওরা টিপ করে জলের মাছ ঝুপ ঝাপ ধরে খায়।ওদের ওড়ায় সমুদ্রের নিঃসঙ্গতা বোঝা যায় না।অ্যানা ইভ সেদিকে চেয়ে এক খন্ড পাথরের ওপর হাঁটু মুড়ে বসে বলে চলেছিল তার কথা।সেই পাথর খন্ডের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে দু’হাত হাঁটুর ওপর রেখে মুখোমুখি হয়ে অবাক বিস্ময়ে আদম তার প্রেয়সীর মনের কথাগুলো শুনছিল।দুরে সমুদ্রের বালুকা বেলাভূমিতে ইতস্তত: চলাফেরা করছিল নানা ডিজাইন ও রকমারি রং য়ের পোশাক পরা ভিনদেশী নাবিক ও জেলেরা।বেশ কিছুক্ষণ পর ওরা হাত ধরাধরি করে হাঁটতে শুরু করল।

হাঁটতে হাঁটতে মসিয়ে আদম অ্যানার সরু কোমর জড়িয়ে ধরে বললেন,” আমি তাত্ত্বিক গবেষক নই তাতো তুমি জানো ইভ।একজন প্রেমিক পুরুষ আমি।যে নাকি তার প্রেমিকার সব কাজেই সহায়তা দান করে যাবে আজীবন।আচ্ছা, আমি বলছি যে কথাটা সেটা হল রক্ত মাংসের মানুষ তো আমরা।আমরা যা পারি, এই নভোমণ্ডলের অন্য কোন প্রাণী তা পারে না।নতুন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অবিচল থেকে আমাদের কাজ করে যেতে হবে তা জানি।”

ইভ সে কথা শুনে বলল,” আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে একত্র হব।সেই পরিমন্ভলের ভিতরে থেকে বিশ্বায়নের নব পর্যায় সূচিত করব। সমাজতাত্ত্বিকদের কাছে নব নব সৃষ্টির উদ্যম পৌঁছে যাবে।দার্শনিকরা দর্শনশাস্ত্রের সংসাধনের কাজে নিয়োজিত হবে।”

“বা : তোমার ধীশক্তির তুলনা তো শুধু তুমিই।বেশ, বেশ বলো আর কি বলবে।একটা কল্পরাজ্যের পটভূমি গড়ে, তার বাস্তবায়ন করার প্রবল বাসনা যদি পূর্ণতা পায়, তবে তো ভালোই।আমি যত তোমাকে দেখছি, তোমার কথা শুনছি ততই উৎসাহ বোধ করছি।বেশ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার।” মসিয়ে আর্দ্র গলায় বললেন। তখন ইভ আবার বলল ,” হয়তো বহু সময়ের অপেক্ষা করতে হবে আমাদের।আমি একটা কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের গুণ সময়ের সাথে সাথে পারে না হেন কাজ নেই।”

“বেশ বলেছো” মসিয়ে আদম বললেন।
“আমার কাল্পনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি বোঝাব যে মানুষ যা কিছু করেছে বা যা কিছু করছে সব কিছুরই আদিতে থাকে কল্পনার থিওরি।তত্ত্ব থেকে খাড়া করতে হয় প্রতিকৃতি রচনা।অর্থাৎ ইনফ্রাস্ট্রাকচার।”
“কিন্তু প্রথমে কেউ সেকথা বিশ্বাস করে না।”
“অর্থাৎ পেসিমিস্টিক ভিউ পয়েন্ট সে অর্থে কাজ করে, এই তো ?”
“দৃষ্টির স্বচ্ছতা, কাজের মূল্যায়ন, আন্তরিকতা, এবং তত্ত্বগত জোরালো আবেদন তোমার নারী মনের স্বরাজ্য গঠন সম্পূর্ণ করতে পারে”

“এই জগতের সৃষ্টি বর্ধনের জন্য নারীরাই অগ্রণী। কই প্রাচীন ইতিহাসে তো নারীজাতি কোন অঘটন ঘটায় নি।সংগ্রামের সব অধ্যায় দেখি পুরুষদের নিয়ে। সাম্যের অধিকার কেন পুরুষ জাতির কাছ থেকে আদায় করতে হবে।এ নারীজাতিদের কাছে অসম্মানের। আমি নারী বলে অধিকার আদায়ের জন্য পুরুষ জাতির দ্বারে ভিখারির মতো হতেও চাইনা।আপন ক্ষমতা বলে নারী অর্জন করুক সাম্যের অধিকার, সম্মানের অধিকার।”
এরপর আমি কাজে নেমে পড়ি। আমি গোড়ার দিকে যা যা ভেবে নিয়েছিলাম তা কার্যকরী করতে বহু সময় অতিবাহিত করলাম।আদম যথাসাধ্য করে চলেছে।আমরা ক্রমশঃ কল্পরাষ্ট্রের নাগরিক হতে চলেছি।একটি স্বপ্নের রামরাজ্য বলা যায় একে।

বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী | Biswajit Roy Choudhury

32 Beshas of Jagannath Mahaprabhu | পুরীর জগন্নাথ মহাপ্রভুর বত্রিশ প্রকার সাজ-শৃঙ্গার

ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | History of Tattoo | Reasons for using tattoos | 2023

Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্‌শা ও তাৎপর্য | 2023

Fathers Day History | পিতৃ দিবসের ইতিহাস ও বাঙালি আবেগ | 2023

Possibility | Possible World | World of Possibilities Mean | Bengali Article – World of Possibilities Mean | The World of Possibilities | possible world theory | possible world semantics | possibility wikipedia | possiblity synonym | World of Possibilities Mean Article | What does World of Possibilities Means | Everything is possible | Motivational Article | Best article | World of Possibilities Mean in Bengali | World of Possibilities Mean Motivation | Full of possibilities | Possibilities work | Possibilities of motivation | Possiblities in Earth | Winning Possibilities | Best World of Possibilities Mean | Movie – World of Possibilities Mean | Concept of Possibility | Concept – World of Possibilities Mean | Great possibilities | World of Possibilities Mean in audio | World of Possibilities Mean

Superb Possibilities | World of Possibilities Mean in Hindi | World of Possibilities Mean in Video | Shabdodweep Article | Shabdodweep Wikipedia | World of Possibilities Mean in mp4 | Wikipedia World of Possibilities Mean

Leave a Comment