Fathers Day History | পিতৃ দিবসের ইতিহাস ও বাঙালি আবেগ | 2023

Sharing Is Caring:

প্রবোধ কুমার মৃধা – সূচিপত্র [Bengali Article]

পিতৃ দিবস | Fathers Day

বছরের এক একটা দিনকে এক একটা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয় হিসেবে বিশেষিত করে উক্ত‌ দিনটিকে বিশ্বজুড়ে যথার্থ মর্যাদা সহকারে উদযাপন করা হয়। প্রতিটি দিবসেই ‘প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নির্ধারণ করা হয় যা‌ দিবসটির ভূমিকাকে তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ করে তোলে।

পিতৃদিবস (Fathers Day) উদযাপন তেমন একটি আন্তর্জাতিক মানের উদযাপিত দিবস।। বিশ্বব্যাপী পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের স্মারক হিসেবে দিবসটি বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়ে থাকে। সন্তানের জীবনে মাতা এবং পিতার ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। যে‌ কারণে মাকে স্মরণ করে মাতৃ দিবস উদযাপনের পাশাপাশি পিতাকে স্মরণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার উদ্দেশ্যে উদযাপন করা হয়ে থাকে ‘পিতৃদিবস’ (Fathers Day)। আমাদের ব্যক্তি জীবনে মাতা যদি হন পালন কর্ত্রী, পিতা সেখানে রক্ষা কর্তা। ‘ ভূমের্গরীয়সী মাতা, স্বর্গাৎ উচ্চতর পিতা।’

‘পিতরি প্রীতিমাপন্নে প্রীয়ন্তে সর্বদেবতাঃ।’

পিতৃ দিবসটি (Fathers Day) মধ্যযুগ থেকে ইউরোপের ক্যাথলিক দেশগুলিতে মার্চের ১৯ তারিখে সেন্ট জোসেফ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আমেরিকান দেশগুলিতে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিবসটি পালিত হয়। ২০ জুন সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘ফাদার্স ডে‌’ (Fathers Day)। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই জুলাই আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় দিনটি প্রথম পালিত হয়।তার‌ই ফলশ্রুতিতে ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়ার মাইন দুর্ঘটনায় মৃত এক আমেরিকা বাসীর মেয়ে গ্ৰেস গোল্ডেন ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই জুলাইয়ের রবিবার টিকে ফাদার্স ডে‌ (Fathers Day) পালনের প্রস্তাব দেন। তার কয়েক বছর পর সোনোরা স্মার্ট ডড তাঁর পিতা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট-এর স্মৃতিতে ফাদার্স ডে‌ পালনের কথা বলেন এবং পড়াশোনা শেষ করে সোনোরাই ফাদার্স ডে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন।

পরে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন একটি বিবৃতি পত্রে স্বাক্ষর করে প্রত্যেক জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পিতৃদিবস পালনের কথা বলেন। তখন থেকেই উক্ত‌ দিবসটি পালনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ থাকে যে, যেহেতু পিতৃ দিবস উদযাপনের দিনটি নির্দিষ্ট একটি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সেহেতু বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জুন মাসের তৃতীয় রবিবারটিকে নির্ধারিত পিতৃ দিবস রূপে উদযাপন করে থাকে। তবে বিশ্বের এমন বহু দেশ আছে যা‌রা জুনের তৃতীয় রবিবার ব্যতীত অন্যান্য দিনে পিতৃ দিবস পালন করেন। যে‌মন : পর্তুগাল,স্পেন,ক্রোয়েশিয়া, ইতালির মতো দেশে পালিত হয় ১৯শে মার্চ। তাইওয়ানে ৮আগষ্ট, থাইল্যান্ডে ৫ ডিসেম্বর। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিউগিনি প্রভৃতি দেশে পিতৃ দিবস পালিত হয় সেপ্টেম্বর মাসে।

পিতার স্মরণে পিতৃ দিবস (Fathers Day) পালনের নজির না পাওয়া গেলে ও পিতার প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসা তথা কর্তব্যবোধের ভুরি ভুরি উদাহরণ মেলে প্রাচীন ভারতের পুরাণ-মহাকাব্যে।:পিতৃসত্য পালনের নিমিত্ত রামায়ণ মহাকাব্যের নায়ক শ্রীরামচন্দ্র রাজসিংহাসন, রাজসুখ উপেক্ষা করে চতুর্দশ বর্ষব্যাপী বনবাস পালনের মতো কঠোর জীবন যাপনের ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। মহাভারত মহাকাব্যে, পত্নী গঙ্গাদেবী বিদায় নিলে হস্তিনাপতি শান্তনু একদা কুমারী সত্যবতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তার পাণিগ্ৰহণে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। কিন্তু সত্যবতীর পালক পিতা দাসরাজ শর্ত রাখলেন যে‌, তাঁর কন্যার গর্ভজাত সন্তানকে রাজসিংহাসন দানের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। রাজা শান্তনুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন দেবব্রত।সমস্ত অবগত হ‌ওয়ার পর দেবব্রত পিতার মনোতুষ্টির নিমিত্ত দাসরাজের নিকট কথা দিলেন যে, তিনি জীবনে কখনো রাজা হবেন না। চতুর দাসরাজ তখন কুমার দেবব্রতের উদ্দেশ্যে বললেন যে, দেবব্রত রাজা না হলে তার সন্তান তো রাজত্বের দাবিদার হবে। দাসরাজের বাক্য শুনে দেবব্রত প্রতিজ্ঞা করলেন যে, জীবনে তিনি দার পরিগ্ৰহ করবেন না। এই ভাবে পুত্র হয়ে পিতার মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য নিজের জীবনের সমস্ত ঐহিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে হলেন ব্রহ্মচারী ব্রতধারী ভীষ্ম‌।

দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের অভিশাপে হাজার বর্ষের মেয়াদে জরাগ্ৰস্ত রাজা যযাতি পুত্রদের নিকট রাজত্বের প্রলোভন দেখিয়ে যৌবন দানের দাবি রাখলেন। কিন্তু একমাত্র শর্মিষ্ঠার গর্ভজাত কনিষ্ঠ পুত্র পুরু পিতার মনোবাসনা পূর্ণ করতে নিজের যৌবন দান করে হাজার বছরের দীর্ঘ মেয়াদী দুঃসহনীয় জরা নিজের শরীরে ধারণ করলেন। পিতৃভক্তি প্রদর্শনের এ-এক অনন্য নজির।

পত্নী রেণুকার আচরণে রুষ্ট ঋষি জমদগ্নি একে একে পুত্রদেরকে ডে‌কে স্ত্রী রেণুকাকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠ পুত্রদের কোন জন‌ই মাতৃ হত্যায় সম্মত হলেন না। শেষে কনিষ্ঠ পুত্র পরশুরাম একবাক্যে সম্মত হলেন এবং পিতার আদেশে পিতৃ ইচ্ছা পূরণের বাসনায় আপন জননীকে কুঠারাঘাতে হত্যা করলেন। পিতৃ ভক্তির‌ এমন উদাহরণ বিরল।

বিদেশি কল্প কাহিনীর এক ঘটনা: অকুল সমুদ্র বক্ষে চলমান এক জাহাজে হঠাৎ আগুন লাগে।বালক পুত্র ক্যাশাবিয়াঙ্কাকে নিচের পাটাতন কক্ষে‌ রেখে নাবিক পিতা উপরে উঠে যাওয়ার পূর্বে বলে গেলেন যে,যতক্ষণ তিনি না ফেরেন ততক্ষণ ক্যাশাবিয়াঙ্কা যেন সেখানেই অবস্থান করে। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ সর্বগ্ৰাসী রূপ ধারণ করে এগিয়ে আসছে। পিতার আদেশে অবিচল নির্ভীক বালক ক্যাশাবিয়াঙ্কা পিতার আগমনের অপেক্ষায় দন্ডায়মান। ফিরলেন না পিতা আর।স্থান ত্যাগ করলেন না ক্যাশাবিয়াঙ্কাও । পিতৃ আদেশ পালনে আত্মত্যাগের মর্মস্পর্শী উজ্জ্বল করুণ দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে গেলেন।

পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে পালিত হয় পিতৃ দিবস। ভারতে ও পিতৃদিবসন পালনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের বাঙালিরাও পিতৃদিবস পালনের পর্ব থেকে পিছিয়ে নেই।

‘পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতাহিপরমং তপঃ।’

বৈদিক মন্ত্রের উদ্গাতাগণ একদা পিতৃ বন্দনার যে ধারার উদ্বোধন করেছিলেন, সেই ধারার অনুসারী আপামর বাঙালি পিতাকে স্বর্গসুখভোগকারী দেবতাগণের অধিক শ্রেয় বলে মান্য করেন। তবে সব কাল সমান যায় না। নিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বে মানুষের জীবনের সর্বস্তরে পরিবর্তনের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর জনজীবনে সাংসারিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে মূল্যবোধের তারতম্য ঘটে গিয়েছে। ভোগবাদী পাশ্চাত্য জীবন দর্শনের প্রাবল্যে অবক্ষয়িত প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা আজ ভেঙে চুরমার। কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ব্যস্ত গতিশীল আধুনিক জীবন যাত্রায় সাবেক নৈতিকতার স্থলে জায়গা নিয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর যান্ত্রিক মানসিকতা । ব্যক্তিজীবনে ধৈর্যের পরিবর্তে অস্থিরতা ক্রম বর্ধমান। নবীন প্রবীণের চিরন্তন দ্বন্দ্বে ক্ষত বিক্ষত তরুণ সমাজ। এই সমস্ত কিছুর জীবন যন্ত্রণায় বিদ্ধ কিংকর্তব্যবিমূঢ় অনেকেই বার্ধক্যে উপনীত অসমর্থ পিতাদেরকে সেভাবে মানিয়ে নিতে না পেরে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে সাময়িক শান্তি -স্বস্তির অবকাশ খুঁজতে চাইছেন। অথচ বাংলার এই নবীন প্রজন্ম পাশ্চাত্যের প্রভাবে গভীরভাবে প্রভাবিত এবং অনুকরণের মোহে মোহিত হয়ে পিতৃ দিবস উদযাপনের অংশীদার হচ্ছেন । সোশাল মিডিয়ায় নানা ভাবে নানা আঙ্গিকে পিতৃ বন্দনার স্তোত্র সাজিয়ে অন্তরের আকুতি জানাবার চেষ্টা করছেন।

ব্যক্তি-জীবনে জন্মদাতা পিতার ভূমিকা অমূল্য সম্পদ স্বরূপ।ঊর্মি মুখর ভব সমুদ্রে সন্তানের জীবন তরীর কাণ্ডারি তিনি। সন্তানের জন্য মায়ের আত্মত্যাগের পাশাপাশি পিতার স্বার্থত্যাগের মহিমা স্বমহিমায় উজ্জ্বল। ইতিহাসের একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরলে বিষয়টি প্রাঞ্জল হবে বলে আশা রাখি।: মোঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুন যখন কঠিন ব্যাধিতে মুমূর্ষু প্রায়, ডাক্তার-বদ্যি, হেকিম-কবিরাজ দেখিয়ে ও যখন উপশমের কোন লক্ষণ দেখা গেল না তখন অসহায় সম্রাট পিতা শেষ সম্বল হিসেবে আল্লার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে পুত্র হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে দ্বিধা করলেন না। পরের ঘটনা আমরা প্রায় সবাই অবগত।

বাংলার সমাজ জীবনে তথা সাংস্কৃতিক জীবনে ‘পিতা’ শব্দের বহু প্রতিশব্দ প্রচলিত আছে। যেমন: পিতা, জনক, জন্মদাতা, বাবা, তাত‌, বাপি ইত্যাদি। ক্ষেত্র বিশেষে এগুলির এক একটির প্রয়োগ যথেষ্ট মানানশীলতার সাক্ষ্য বহন করে। বর্তমানে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি সমাজের
অনেকেই বাংলায় প্রচলিত পিতা, বাবা ইত্যাদি পরিচিত অথচ ঐতিহ্যবাহী শব্দ সমূহকে বাতিল করে পাশ্চাত্য ভাব ধারার অনুকরণে Papa, Dad বা Daddy ইত্যাদি মুখরোচক ইংরেজি শব্দ চালু করে আত্মশ্লাঘা অনুভব করছেন। ‘মা’ শব্দের mummy রূপের পাশাপাশি ‘বাবা’ শব্দের papa, Daddy না হলে বড়োই সেকেলে আর বেমানান লাগে। আসলে আমরা অনেকেই চাইছি ইংরেজি কালচার আমদানি করে রাতারাতি মেকি ইংরেজ বনে যেতে এবং স্বদেশের ঠাকুরকে ছেড়ে বিদেশের কুকুরকে মান্যতা দিতে। দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা অতি সহজেই বিস্মৃত হয়েছি মধুকবি মধুসূদন দত্তের মাইকেল মধুসূদন ডাট্ হ‌ওয়ার শোচনীয় পরিণতির কথা।

প্রবোধ কুমার মৃধা | Probodh Kumar Mridha

Is it possible to remove tattoo | ট্যাটু রিমুভ কি সম্ভব? | 2023

Advantages & Disadvantages of Tattoo | ট্যাটুর উপকারিতা এবং অপকারিতা | Bengali Article 2023

ট্যাটুর ইতিহাস ও আমরা | History of Tattoo | Reasons for using tattoos | 2023

Emblem of Ramakrishna Mission | রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতীকের অর্থ | নক্‌শা ও তাৎপর্য | 2023

পিতৃ দিবসের ইতিহাস | পিতৃ দিবস | পিতৃ দিবস কেন দরকার | ফাদার্স ডে | পিতৃ দিবসের শুভেচ্ছা | পিতৃ দিবস কবিতা | পিতৃ দিবস বাণী | বিশ্ব বাবা দিবস কবে ২০২২ | বাবা দিবস কত তারিখ ২০২০ | ফাদার্স ডে কবে | বিশ্ব বাবা দিবস ছবি | বাবা দিবসের লেখা | বাবা দিবস কীভাবে হলো | পিতৃ দিবস কবে পালন করা হয় | ফাদার্স ডে অথবা পিতৃ দিবস | ফাদার্স ডের অজানা ইতিহাস | বাবা দিবস নিয়ে কিছু কথা | বাবার অস্তিত্ব চির সত্য | বাবা দিবস কবে ২০২২ | পিতৃপক্ষের সূচনা | বাবার প্রতি ভালোবাসা | বাবা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস | একটি দিন বাবার জন্য | শুভ বাবা দিবস বাংলা স্ট্যাটাস | মাতৃদিবসের উৎপত্তি | বাংলা প্রবন্ধ | বাংলার লেখক | প্রবন্ধ ও প্রাবন্ধিক | সেরা প্রবন্ধ ২০২২ | শব্দদ্বীপ | শব্দদ্বীপের লেখক | বাংলা ম্যাগাজিন | ম্যাগাজিন পত্রিকা | শব্দদ্বীপ ম্যাগাজিন

Fathers Day | Fathers day 2022 | Fathers Day history | History of Father’s Day | National Parents’ Day 2022 | Happy Fathers Day Images | happy fathers day wishes | happy father’s day 2022 | happy father’s day thoughts | happy fathers day in heaven 2022 | happy fathers day wishes in english | happy father’s day 2021 | 56 Fathers Day Wishes | mummy | papa | dad | daddy | Bengali Poetry | Bangla kobita | Kabitaguccha 2022 | Poetry Collection | Book Fair 2022 | Bengali Poem | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Poet | Story | Galpoguccha | Galpo | Bangla Galpo | Bengali Story | Bengali Article | Bangla Prabandha | Probondho | Definite Article | Article Writer | Short Article | Long Article | Article 2022 | Shabdodweep Writer | Shabdodweep | Shabdodweep Founder

Leave a Comment