Online Bangla Golpo Reading – আবদুস সালাম – সূচিপত্র
আড়াল – আবদুস সালাম
এক
কি গো কি ব্যাপার? চারিদিকে এত লোক কেন?কি হয়েছে ?
রহিম চাচা বলে ” জানো ব্যাটা রেতে্র ব্যালায় শোভান মুড়োলকে পুলিশে ধরে নিং গ্যেলছে”।
আমি বলি সে তো এই অঞ্চলের মান্যগণ্য মানুষ। পুলিশের সাথেই তো এর দহরম মহরম বেশি। কি হয়েছিল?
“কি জানি ব্যাটা। হামরা তো মুরুকখু মানুষ অতো হামরা বুঝিয়েনা “।
চারিদিকে পড়ে গেছে কান্নার রোল। পাড়ার লোকের সব মন খারাপ।এমন একজন মান্যগণ্য ব্যক্তিকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া — ছিঃ- ছিঃ -ছিঃ -ছিঃ ! কি লজ্জা – কি লজ্জা –
গ্রামের লোক সব ভেঙে পড়েছে থানার দিকে। প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের লোক থানায় এসে হাজির। তারা জোর দাবি করছে কেন এমন একজন মহান এবং মানবদরদী লোককে হেনস্থা করা হলো ? তার জবাব চায়! জবাব চায়! জবাব চায়! বলে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলছে। যেমন তেমন করে নিয়ে তো নিয়ে আসা নয় একবারে কোমরে দড়ি বেঁধে চোর ছ্যাঁচড় দের মতো — ভাবাই যায় না। দারোগা বাবুর উপর ক্ষোভ উগরে দিতে শ্লোগানে শ্লোগানে ভরে দিচ্ছে আকাশ।
বিশ্বাস বাবু এই এলাকার মান্যগণ্য লোক। প্রতিদিন তার বাড়িতে কতগুলো দুস্থ লোকের পাত্ পড়ে জানেন?
আমরা তো দেখি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন কানা, খোঁড়া লোক তৃপ্তি ভরে দুবেলা খেয়ে যায়। কার মেয়ের বিয়ের খরচ, কে ডাক্তার দেখাতে পারেনা ওষুধ কিনতে পারে না সব আবদার নীরবে মেনে নেন। সাধ্যমতো যতটুকু পারেন হাত উপুড় করেন। নিরাশ হয়ে কাউকে কোনো দিন ফিরে যেতে দেখিনি।
এমনতর মহান লোককে একেবারে কোমরে দড়ি বেঁধে অপমান করার কোনো যুক্তি হয় না। পুলিশ অফিসারের এই বাড়াবাড়ি কে কোন মতেই সমর্থন করা যায়না। পুলিশের প্রতি অসন্তোষে জমায়েত মানুষের স্লোগান তীব্র হতে তীব্রতর হতে লাগলো। থানা চত্বরের পরিবেশ থমথমে। পুলিশের হেড-অফিস থেকে নিয়ে এসেছেন বাড়তি পুলিশ। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে যাতে করে কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে। হতে পারে যে কোন সময় পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন আসগার সাহেব।
আসগার সাহেব থানায় আসার পরপরই যেন অপরাধের পরিমাণ একটু কম কম মনে হচ্ছে । ভয়ে ছিঁচকে চোর এবং খুচরো অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সাহস করে না নতুন করে কোনো অপরাধ করতে। ওরা সব বুঝে গেছে এখন নতুন কিছুতে হাত দেওয়া মানেই বেধড়ক পিটুনি আর নির্ঘাত হাজতবাস। তাই আপাতত সব ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করেছে। যারা রাঘব বোয়াল তারা কিন্তু থেমে না থাকলে ও অনেকটা পরিস্থিতির চাপে নিজেদের গুটিয়ে রাখছে। কাজকর্মে শালীনতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে।। প্রকাশ্যে কিছু করার সাহস দেখাচ্ছে না কেউ।
অবশ্য নতুন দারোগা বাবু তার দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়া কবে গুটিয়ে নিতেন সন্দেহ নেই ।কবে মাওবাদী এলাকায় বদলি হয়েও মাওবাদীদের হিট লিস্টে নাম লেখাতেন। তাকে এখান থেকে সরানোর বহু চেষ্টাও করা হচ্ছে তলায় তলায়। দুষ্টু চক্রের পাণ্ডারাও কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। এ নেতা সে নেতাকে দিয়ে জোর তদবির করছে। যতো তাড়াতাড়ি তাকে বদলি করা যায়। আশানুরূপ সাফল্য আসেনি।বহু চেষ্টার ফল শূন্যই হয়েছে।
বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তার বাল্যবন্ধু। ছোটবেলায় একই শ্রেণীতে পড়ার সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অনেক দিন না খেয়ে গেছেন স্কুলে। গরীব মানুষের ছেলে মেয়েদের আবার বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসা। স্কুল শেষ করে বাড়ি এলে দুবারের খাওয়া একবারে খাওয়া। কোনো কোনো দিন বন্ধু মুখ শুকনো দেখে টিফিনের একটা অংশ তুলে দিতো। না না করলেও খিদের জ্বালায় সেটা না থেকে হাঁ হয়ে যেতো। এমনি করে অজান্তেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে ওঠে। আর্থিক অনটনের পড়াশোনা এগোয় না বেশি দূর। ক্লাসে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি কোনোদিন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলের সবচেয়ে বেশি নাম্বার পাওয়া ছেলেটিকে নিয়ে শিক্ষক মহাশয়গণের মনে উচ্চ আশা ছিল। কিন্তু না! অসহায় বিধবা মা ছেলেকে বেশি দূর পড়াবার সাহস দেখাননি। বিড়ি বেঁধে সংসারে ভাত কাপড়ের জোগাড় করতেই তো হিমসিম খাচ্ছেন। ছেলের ঘাড়ে ও অলিখিতভাবে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে। আর পড়াশোনা পা ফেলতে পারেনি চৌকাঠ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার আঙিনায়। নেমে পড়তে হয় চাকুরীর সন্ধানে। বাধ্য হয়ে যেতে হয় জোগাড়ির কাজে। অসুস্থ মায়ের ওষুধ কেনা আর পেটে দুটি খাবারের জন্য। এরই মাঝে এখানে সেখানে ফরম পূরণ করে। জেদ চেপে বসে ।যেমন করেই হোক আমাকে চাকরি একটা জোগাড় করতেই হবে। রাত জেগে পড়াশোনা আর দিনে চলে জোগাড়ির কাজ। সুযোগ এসে যায় একদিন।পুলিশের চাকরিটা হয়ে যায়। শশীকান্ত বাবু এলএলবি করে শুরু করেন ওকালতি। বিশেষ সুবিধা না করতে পেরে রাজনীতির ছাতার তলে আশ্রয় নেন। সামনেই বিধান সভার ভোট। এই কেন্দ্রে বার বার সরকারের আশ্রয়ে মনোনীত প্রার্থী হেরে যায়। বিরোধী পক্ষের বরাবরই জিত হয়। বার বার হেরে যাওয়া কেন্দ্রে বিধান সভার প্রার্থী যেঁচে নেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাতে আপত্তি করেনি। জানেই তো এই কেন্দ্রে তারা জিতবে না। অতএব শশীকান্ত বাবুকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দিয়ে দেয়। এভাবেই ঢুকে পড়েন রাজনীতির আঙিনায়। ভাগ্যচক্রে বিপুল ভোটে পাশও করে যায়। একেই বলে রাজছত্র যার কপালে লেখা থাকে তাকে আটকে রাখা যায় না। সেই সুবাদেই আজ মন্ত্রী। যে সে মন্ত্রী নয় একেবারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ।
নতুন দারোগা বাবুর মন্ত্রী বাল্যবন্ধু হওয়ার সুবাদে ছোটখাটো বাধা,ছোটখাটো আপদ কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারে। পেছনে মন্ত্রীর হাত থাকার সুবাদে বহাল তোবিয়েতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন থানায়।
দুই
বহুদিন আগে মার্ডার হওয়া একটা কেসের কূলকিনারা করার জন্য বিশ্বাস বাবুদের গ্রামে আসা ।গ্রাম ঘুরতে ঘুরতে দেখেন বিশ্বাসের বাড়িতে কিছু মস্তান লোকদের আনাগোনা। যাদের কেসহিস্ট্রী ঘেঁটে ঘেঁটে দেখেছেন কে কেমন লোক। আলিশান বাংলা ঘরের দরজায় বসে কিছু কানা, খোঁড়া লোক ।দেখেই একটু দাঁড়িয়ে পড়েন। কি ব্যাপার যারা সমাজের বোঝা তাদের নিয়ে এত দরদ। সত্যিই এতদিনে হয়তো একজন মহানুভবতার দেখা পেলেন।
শকুনের চোখ ভাগাড়ের দিকে। তার মন কিছুতেই মেনে নিল না এমনতর সমাজদরদী লোককে। থানাতে এসে ছক কষে কষে নেমে পড়লেন অনুসন্ধানে। অন্য সব কাজের ফাঁকে চিন্তা করেন এত নিঃস্বার্থ ভালো মানুষ এখনো দুনিয়াতে আছে? মন মেনে নিতে চায় না। সব সময় মনটা খচখচ করে। পরক্ষণেই ভাবেন আল্লাহর দুনিয়াতে সবই সম্ভব। তবে মন খোঁচা দেয় যেখানে মহান আল্লাহতালা বিনা স্বার্থে কিছুই সৃষ্টি করেননি। আবার ভাবছেন হয়তো এমনই ভালো মানুষগুলো আছে বলেই সূর্য সূর্য চন্দ্র পৃথিবীতে উদিত হচ্ছে, বইছে সুমধুর স্নিগ্ধ বাতাস ।আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে বৃষ্টি।
অনুসন্ধিৎসু মন বাহ্যিক কাজ হিসেবে বিশ্বাস বাবুর কাজকর্মের উৎস সন্ধানে আত্মনিয়োগ করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই টের পেলেন মাস্তান গোছের লোক যারা এখানে আসে তারা সবাই বিশ্বাস বাবু দালাল। গ্রামগঞ্জ থেকে খুঁজে খুঁজে ভাত কাপড় এবং কিছু উপরি পাওনার লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে বিশ্বাস বাবুর ডেরায়। উপরতলার লোকেদের হাত করে পাসপোর্ট ভিসার ব্যবস্থা করে নেয়। হবু হাজী সাহেবগণ প্রচুর টাকা পয়সা দান করেন। আরবে যায় মূলত টাকা পয়সা দান করতে। মনের কালিমা দূর করতে।কিন্তু সেখানে ফকিরের আকাল। আরব সরকার মূলতঃ আইন করে বন্ধ করে দিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তিকে। লোকে দেওয়ার জন্য পাগল কিন্তু নেওয়ার লোকের বড্ড অভাব এখানে। ভিক্ষাবৃত্তিকে আরবের লোক ঘেন্না করে। নবী সাহেব বলে গেছেন “পৃথিবীতে জীবন ধারণের জন্য যতগুলো পেশা আছে তার মধ্যে নিকৃষ্টতম পেশা হলো ভিক্ষাবৃত্তি”।
হাজী সাহেবগণ তাই দুস্থ লোক দেখলে তাদের প্রচ্ছন্ন দানশীল মনটাকে ধরে রাখতে পারেন না । আবেগের বশে আইন কে তোয়াক্কা না করে আড়ালে আবডালে হাত উপুড় করে দেন। বিদেশীদের বহু হাজী সাহেব, হাজী সাহেবাগণ হাজার হাজার ডলার দান করেন। রাস্তার পাশে ধড়িবাজ বিশ্বাস বাবুদের লোক পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বসিয়ে দেয় রাস্তায়। দিন শেষে সংগৃহীত টাকা পয়সা ঢেলে নেয়। পুরো হজ্বের মরশুম জুড়ে চলে তাদের কারবার। এই ভিক্ষুক পাচার ও নারী পাচার কান্ডের মূল উদ্যোক্তা হলেন আমাদের বিশ্বাসবাবু।
তিন
জাল গোটাতে শুরু করেছেন। আসন্ন হজ্বের মরশুম। বহু লোকের আনাগোনা। এরই মাঝে তার আবার ওমরাহ ও হজ্ব পালনের এজেন্সি খুলেছেন। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে হজ্ব যাত্রীদের পাসপোর্ট, ভিসা, ভ্যাকসিন নেওয়া ছাড়া কেনাকাটা করার সম্পূর্ণ সহযোগিতা তাদের দল করে দেয়। লোকের মাঝে তার বিশ্বাস যোগ্যতাকে অটুট রাখার জন্য এই সব কাজ করেন। নতুন হাজী সাহেব, সাহেবানদের বিদেশে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হয় না। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে অযথা অসুবিধার হাত থেকে তারা রেহায় পান। এরই মাঝে খরিদ্দার সেজে ঢুকে পড়েন বিশ্বাস বাবুর ডেরায়। পুলিশবাহিনী চারিদিকে মোতায়েন করা হয়েছে।দেনা পাওনার হিসাব করতে করতে চড়া দাম হেঁকে বসে বিশ্বাস বাবু। চিন্তায় করতে পারেননি যে অন্য খরিদ্দারের সাথে পুলিশ বাবুও আজ তার খরিদ্দার।
এক একজন কানা পিছু তিরিশ হাজার আর খোঁড়া পিছু কুড়ি হাজার দিতে হবে। এর কম করতে পারবো না। চারিদিকে বেটা পুলিশদের যে অত্যাচার। তাছাড়া নতুন এক দারোগা এসেছে এর অত্যাচার খুব। ছোট খাট হাত সাফায় কারবার গুলো বন্ধ করে দিতে হলো। একেবার বেটাকে পড়তা মতো পায় বুঝিয়ে দিবো এ বিশ্বাস বাবু কি জিনিষ। বেটা সাপের পাঁচ পা দেখেছে ।
দারোগা বাবু একদম নীচু গলায় বলে দামটা খুব বেশি হচ্ছে বিশ্বাস বাবু। আপনারাই যদি সব নিয়ে নিবেন তো আমারা কি হাত চুষতে বাড়ি যাবো। অযথা এতো পুঁজি লাগিয়ে কি লাভ। আপনি তো সবই জানেন এ কারবারে কতো রিক্স। পাসপোর্ট, ভিসা, ভ্যাকসিন ইত্যাদি করাতে গিয়ে ছোট বাবু, বড়ো বাবু, বেয়ারা সবাইকে বকশিশ দিতে দিতে কতোই বা থাকে আপনিই বলুন।
পাশের ঘরে গিয়ে বসতে বলেন। চা কফি দিয়ে যায় বেয়ারা। কেন না টাকার লেনদেন তো সবার সামনে করা যায় না। অল্প সময়ের মধ্যেই ফোনে স্কোয়ার্ড বাহিনীকে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন। ঘরে ঢুকতেই দারোগা বাবু বাজিয়ে দেন তার বাঁশি। হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে গোপন ঘরে। পড়ানো হলো হাতকড়া। কোমরে বাঁধা হলো দড়ি। টানতে টানতে গ্রামের লোকজনের সামনেই নিয়ে চলল থানার দিকে।
আবদুস সালাম | Abdus Salam
Best Bangla Golpo Reading 2023 | তৃতীয় পক্ষ | Nasir Waden
Galpo Holeo Sotyi | কোনো এক গ্রাম্য বধূ | Debraj Krishnananda Bhattacharya | Best 2023
New 18+ Bangla Galpo | বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা | Saswata Bose
From the Myanmar Diaries | অ-শরীরী | মায়ানমারের ডায়েরীর পাতা থেকে | 2023
Online Bangla Golpo Reading 2023 | Top Online Bangla Golpo Reading | New Online Bangla Golpo Reading | Top Best Story Blogs | Best Story Blogs in pdf | Sabuj Basinda | High Challenger | Famous Bangla Golpo Online Reading | Shabdodweep Read Online Bengali Story | Shabdodweep Writer | Best Bangla Galpo Online pdf | World’s Famous Online Bangla Golpo Reading | Pdf Best Bangla Galpo Online | Natun Best Online Bangla Golpo Reading | Full Best Bangla Galpo Online | Bangla Golpo Online Reading Blogs | Best Story Blogs in Bengali | Live Online Bangla Golpo Reading | Best Online Bangla Golpo Reading Ebook | Full Online Bangla Golpo Reading | New Live Online Bangla Golpo Reading | New Bengali Web Story – Episode | Golpo Dot Com Series | Horror Web Story in Bengali Video | Horror Live Online Bangla Golpo Reading | New Bengali Web Story Audio | New Web Story in Bengali Video | Bangla Golpo Online Reading Netflix | Audio Bangla Golpo Online Reading | Video Best Bangla Galpo Online | Shabdodweep Competition | Story Writing Competition | Bengali Writer | Bengali Writer 2023 | Trending Best Bangla Galpo Online | Recent Online Bangla Golpo Reading | Top Live Bengali Story | Popular New Bengali Web Story | Best Read Online Bengali Story | Read Online Bengali Story 2023 | Shabdodweep Bangla Golpo Online Reading | New Bengali Famous Story | Best Online Bangla Golpo Reading in pdf | Online Bangla Golpo Reading Download | Best Bangla Galpo Online mp3 | Horror Adult Story | Read Online Bengali Story Collection | Best Bangla Galpo Online mp4 | Online Bangla Golpo Reading Library | Online Bangla Golpo Reading Download | Full Live Bengali Story | Bengali Famous Story 2023 | Shabdodweep Bengali Famous Story | New Bengali Famous Story | Bengali Famous Story in pdf | Live Online Bangla Golpo Reading – audio | Best Bangla Galpo Online – video | Bengali Famous Story mp3 | Full Bengali Famous Story | Bengali Literature | Shabdodweep Magazine | Shabdodweep Web Magazine | Live Bengali Story Writer | Shabdodweep Writer | Collection Bangla Golpo Online Reading