Bangla Kobita Bookmark – Pratim Ghosh
চড়াই পাখী – প্রতিম ঘোষ
চড়াই পাখি ও চড়াই পাখী
তোমরা হলে বামুন পাখী
সাদাটে ছাই পালকে পাখী
ছোট গড়নে মিষ্ট চেহারা পাখী
ফুড়ুৎ করে বেড়াও তুমি উড়তে
গিন্নী মা দিয়েছিলেন চাল শুকতে
ছোট পাখীর দল এল তাতে বসতে
এলেন লাঠি নিয়ে পাখী তাড়াতে
বামুন পাখীরা এর মধ্যেই পেরেছে
তাদের পেট অনুযায়ী খেয়ে ফেলেছে
তোমাদের জ্বালায় দানা শস্য কমছে
তবুও মানুষ চড়াই পাখী দের চাইছে।
ঘুলঘুলিতে বাসা বাঁধতে ওস্তাদ তোমারা
তোমাদের ভুলতে পারি আমারা
এ বাড়ির কর্তা করলেন ঘুলঘুলি পরিষ্কার
করলে বাসা ঘুলঘুলিতে অপর বাড়ির
গর্বিত চোখে তাকিয়ে তোমারে দেখি
অমূল্য রতন স্বপ্ন মাগী
তোমায় নিয়ে মিষ্টি মধুর স্বপ্ন আঁকি
তোমাদের পানে নজর রাখি
উন্নয়নের রাস চৌধারে উঠেছে জাগি
বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে সমাজ উঠেছে জাগি
বামুন পাখীদের ছোট প্রাণে নৈরাজ্য জাগি
নিঃশ্বাসের অভাবে আলোড়ন জাগি
বামুন পাখীরা ধীরে ধীরে নগর ছাড়ে
গ্রাম গঞ্জে আস্তানা গড়ে
সেথায় পরিমিত থাকার অভাব পড়ে
তথাপি তারা মারা পড়ে।
কলম আজি চিন্তিত হয়েছে অধিক
আমার দীর্ঘদিনের বন্ধুর কষ্ট অধিক
দেবে কি লুপ্ত করে হে একুশ শতক
ফুড়ুৎ করে উড়তে দেখে না বহুদিন চোখ।
দিশার গগন – প্রতিম ঘোষ
ভাবনা কাহারে কয়,
ভাবনা নিজ মনে সুপ্ত রয়।
নিজ বল, অর্থ, দিশাতে পরিস্ফুট হয়
ঘটা করে ছড়ালে নিজ চাহিদা
মিলিবে না তোমার চাহিদা।
সফল হব তৈরি কর মনটা।
বৃথা কাউরে দেখাবে না দরদ
সকলের মনে বাজে শারদ,
যার সুরে হারাবে নিজ বোধ।
পৃথিবীতে আসে জাতক জাতকী
তাদের কিরূপে সমাদর করি!
সকলের কাছে আবেদন করি।
কমান্ড কমান্ট দুই ভাই,
ধনী গরীব দুই ভাই,
উভয়ের পার্থক্য পাই,
নিজের চেও না মহত্ত্ব
থাকো কর্মে লিপ্ত,
এটাই তোমার দায়িত্ব।
তোমার দ্বারা কি হবে
তুমি কি কখন জানবে
ভাবনা তোমায় করাবে,
তোমাকে যদি সমাজ চায়,
সমাজ তোমাকে টানিয়া নেয়,
তুমি নাম মাত্র, তোমারে করানো হয়।
প্রাণের কথা – প্রতিম ঘোষ
প্রাণ প্রাণের জন্য।
জীবন জীবনের জন্য।
দয়া মনের মাঝে,
মায়া লুপ্ত সকলের মাঝে।
মায়ার বাঁধনে মমতা রয়।
ভালোবাসা অন্তরে রয়
সততা সঙ্গী জীবনে
মিথ্যা রয়ছে সাথে।
কর্ম জীবনের ব্রত,
দম্ভ জীবনের নাহি ব্রত,
ফরিযাদী অগ্রসর নাহি করে,
ধর্ম অক্ষয় হয়ে থাকে।
ভাগ্য অবশ্যই আছে,
দুর্ভাগা প্রতি পদে পদে,
শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কাছে,
শিশুকালে শিক্ষা নাও আগে।
তোমার শিক্ষা অতিথি হয়ে,
নব পথ নব দিক চিনায়ে দেবে।
সারাজীবন অন্তরঙ্গ ভাবে।
জীবন যুদ্ধের অস্ত্র ও’ যে।
মানসিকতার শূন্য বেদীতে
শিক্ষা জ্ঞান নেই যাদের মাঝে
মানসিকতার পূর্ণ বেদীতে,
শিক্ষিত জ্ঞানী নাও ওদের বুকে টেনে।
মানুষ – প্রতিম ঘোষ
মান হুঁশ নিয়ে গড়া মানুষ,
মানবিকতা পূর্ণ মানুষ
মানবিক হীন মানুষ।
শিক্ষার দুয়ারে পারদর্শী মানুষ
শিক্ষার দুয়ারে চেতনাহীন মানুষ
অজ্ঞতা হীনমন্য বেকুব মানুষ,
কে করে বিচার মানুষের প্রভেদ
বিদ্যা মান সম্মান আনে ভেদ।
হুঁশ-হীন বিচারহীন মানুষ উন্মাদ।
লোভ,লালসা,যাকে করে গ্রাস,
তার মনে জাগে বাজে অভ্যাস।
পাপ এসে করবে তার সর্বনাশ।
যার মন বাঁধা সত্যের কাছে
পা ফালে ভেবে,চিন্তে সব কাজে
মঙ্গলের সুর আছে তার কাছে।
সঠিক কাজ সঠিক নিয়মে
যে নাই করতে পারে,
দুর্দশা তারে ঘিরে ধরে;
মান হুঁশ বিনা হয় না মানুষ,
থুবড়ে পরা লোক গুলিরে বাঁচাও মানুষ,
সবারে মর্যাদা দাও মানুষ।।
রবি কবি – প্রতিম ঘোষ
কবির কবি শ্রেষ্ঠ কবি
নামটি যাঁর রবি,
আলোক ছটায় রাঙিয়ে
গগন রবি শ্রেষ্ঠ প্রকৃতিতে,
লেখার মালায় উজ্জ্বলতা রেখে
আমাদের রবি খ্যাত জগতে।
গগনের রবি আঁধার ঘোঁচায় দিবাকালে
আমাদের রবি লেখায় বেঁচে চিরকাল।
গগনের রবির আলোকে গ্রহেরা আলো পায়।
রবির লেখা বিনা পাঠ সমাপ্ত নাহি হয়।
গগনের রবি ছাড়া সমগ্র জীব আকুল
রবির জ্ঞান আহরণ বিনা জীব ব্যকুল।
বিজ্ঞানী অজানা রবির কর্ম করে উদ্গঠিত
সাহিত্যিক ঠাকুর রবির কর্মে উদ্বেলিত।
গগন রবির উজ্জ্বল আলোক জাগ্রত,
ঠাকুর ররি পরলোকগত,তাঁর লেখায় জাগ্রত
আমাদের রবি,সকলের রবি সদা পূজিত
নোবেলের আলোকে হয়েছেন মহিমান্বিত।।
কবির মৃত্যু নেই – প্রতিম ঘোষ
শতেক অনাসৃষ্টির মাঝে হয় সৃষ্টি আবির্ভূতা
যতেক সময়ে সৃষ্টিকর্তা হন বহির্ভূতা।
কলম নিয়ে যিনি সদাই ভাষা সৃষ্টিকর্তা
কবিতার জন্য পান তিনি অমরত্বতা।
অগ্রজ যারা সাহিত্য দিয়েছিলেন মন প্রাণ
তাদের দেখে হয়েছে মুগ্ধ আমার ছোট প্রাণ
বয়স সময় পৃথিবী থেকে হয়েছে তাঁদের পতন
যবে পাঠ করেছি তাদের লেখা উদ্ভাসিত মন
দেখেছি তাদের মুখ কেবল নামের আড়ালে
একটি জীবন্ত কবি শরীর রাখতে আগলে।
কবি মনের কার্যকারিতা ক’জনা ভাবলে
কবির কবিতা বিচার হয় কবির মুখাগ্নি হলে।
ভয়ঙ্কর একুশ ডিজিটাল যুগ আহ্বান কবিগণ
শরীরের পতন হবে নিশ্চয় কবির কবিতায় ধ্যান
কবি চিতায় গেলেও থাকবে অমরত্বতা
কবির মৃত্যু নেই তার লেখনীতে থাকবে জাগ্রতা।
শূন্যতা – প্রতিম ঘোষ
স্বপনের বিরাট রাত ওঠে চমকে
বিরাট কালো রাত ওঠে শিউরে
দেয় কারে যেন শীতল ভাবে ধমকে
আঁধার রাত বেড়ায় খুঁজে কাউরে।
জনমানবহীন নিশীথে কায়-মানবহীন
শূন্যতা যেথা বারেক পরছে আছড়ে
কিভাবে কাটায় রাত মূক আবরণ
হীন এই রাত বারেক মন বলছে।
শূন্য যেথা ভয়শূন্য হতেই হবে
মরিয়া প্রাণে সাহস সঞ্চার কর
অগ্র পশ্চাৎ ভেবে এগোতে হবে
গভীর রাত নিগূঢ়ভাবে মানতে হবে।
শেষ চুমা – প্রতিম ঘোষ
আজকে আমার ভাগ্য হয়েছিল মন্দ,
ঊনিশ বছর ধরে তাই আমি নিস্তব্ধ,
চুমা দিনে চুমু খাওয়া হয়েছে বন্ধ,
মা আজ কথা বলা করেছিল স্তব্ধ,
মুখাগ্নি করে দিয়েছিনু শেষ চুমা,
তোমার কাছে মা চাই ক্ষমা,
এই কি ছিল জীবনের মহিমা,
শিশু হতে দিয়েছো কত চুমা
মাতৃস্নেহ পেয়েছি শিশু হতে,
জেগে তা আজও প্রাণেতে,
মার স্নেহ দেয়নি আমায় বুঝতে,
ঠিক ভুল সব রাখতে প্রাণেতে
তার প্রেম রেখেছি ছায়াতে,
মায়াময় দিনখানি পারিনা ভুলিতে,
মাতৃবন্দনা করি তার মৃত্যু তিথিতে,
মাতৃ আশীর্বাদ চাই আমার যবানীতে।
এ জগতে মা বিনা শ্রেষ্ঠ কেহ নাই
মা বিনা প্রাণে কোনো সুর নাই
মা ডাকে আছে যতেক জাদু
মা ডাকে আছে শতেক মধু।
তুলনা – প্রতিম ঘোষ
অতীত পানে তাকিয়ে দেখি
বর্তমান অনুজ্জ্বলতা দেখি
বিশ একুশের কলেজ পাশের
ফারাক দেখে মন হয় অস্থির।
বিশের চার দশকে স্বাধীনতা
বিশের নয়ের দশকে মননশীলতা
ভিন্ন সময়ের যুবকরা ছিল এক
পরিজন আবদ্ধ একুশের যুবক
ভিন্ন ধরনের কর্ম থাকতো মনে
পড়াশোনার পাশাপাশি নিতে চিনে
একুশের সদ্য কিশোর সদ্য তরুণ
বিশের সদ্য কিশোর সদ্য তরুণ
কভু পারবে না হতে হবে হাতে গোনা
বিশ দিয়েছে ইতিহাসের থালা খানা
বিশের কলেজ যাত্রীর মেধা আলাদা
একুশের কলেজ যাত্রীর ভাব আলাদা
মন সবারে চায় – প্রতিম ঘোষ
বাধাপ্রদ জন চায় প্রতিবল
প্রকট জীবনে আনো মনোবল
চলার পথে যতেক বাঁধা
মানব হরি কে দাও পদমর্যাদা।
আমরা করব জয় নিশ্চয়
আনিও মনে কভু ভয়
দেরি হলেও করব বিজয়
মন সদা তোমাদের চায়।
সকলে বক্ষে ফিরে আয়
তোরা আমাদের প্রাণ প্রিয়
পূর্বের আকাশ লালিমা ছড়ায়
পশ্চিমে শুকতারা অস্ত যায়।
তুচ্ছ জীবনে বিঘ্ন রয়
যতেক দুঃখ সবার রয়
সবার চেষ্টা থাকলে পাশে
করব জয় মোরা হেসে।
আমরা দেবো সবারে মর্যাদা
কাউরে করব না অমর্যাদা
ভাষার তরী নৌকা ভাষায়
আকুল প্রাণ সবারে চায়।
ব্যর্থতা – প্রতিম ঘোষ
শ্রীকৃষ্ণ আমায় ভুল বুঝলে
আরাধ্য দেবী কাছ ছাড়লে
তাইতো ফেলে আঘাত দিলে
বুক পায়ে যন্ত্রণায় ঘরে রাখলে
এই সময়ে নারীর মান খোয়ালে
প্রমীলা বাহিনীকে খাপিয়ে দিলে
দীর্ঘকাল যারা লালসায় বদ্ধ ছিল
তাদের বিরুদ্ধে কেমন রুখে দাঁড়াল।
আসল যারা নারীটির মান নিয়েছিল
তারা এখনো আইনের চোখে না এলো
কি হবে তাদের মাথাদের আটক করে!
শক্তি না পেলে পিশাচ এমন করতে পারে!
ঘুঘুর বাসা হয় কেকার মৌলিক সম্পদ
কাকের বাসা হয় কুহুর যৌগিক সম্পদ
যারা মানুষের সম্বল তারা কিভাবে বাড়ায়
হাত করতে অসামাজিক কাজে হেলায় হত্যায়।
প্রশাসন তোমার কার্য দেখে মনে ধিক জন্মায়
যাকে সন্দেহ করলে দীর্ঘ সময়ের জেরায়
তার মুখ হতে আসল আসামীর নাম না আসায়।
তিলোত্তমার নারীবর্গের কাছে ব্যর্থতা কাঁদায়।
সম্মান রক্ষার্থে – প্রতিম ঘোষ
যতেক শতেক লক্ষাধিক আন্দোলন কারি দল
তাহার মাঝে আছেন কিছু স্টেথোস্কোপের দল
জ্ঞানী হয়েও অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার আগে
ঠেকাস হাত অপারেশনে সফলের জন্য চান আগে
শক্তি দেখান তাঁরা ঈশ্বরের প্রতি চরম ভক্তি।
তাইতো বলি মানব হয়ে ভাঙিস না কো চুক্তি।
মা আসছেন বছরে একটিবার সন্তান হয়ে
দেখাবি তাঁকে ক্ষোভ গুমর ছেড়ে যা শান্ত হয়ে
কর শক্তির আরাধনা নচেৎ অসুরকুল কে শাস্তি
দিবি কোন জোরে অকালবোধনে রাম হয়ে ক্ষান্তি
গিয়েছিলেন সতীর সতীর্থকে রক্ষার্থে রাবণের সাথে
যুদ্ধ করতে সেও এক সতীর জন্য মোকাবিলা যুদ্ধক্ষেত্রে।
একুশের নব শিক্ষিত ভেবো না অসুরের দল দুর্বল
ইন্দ্রজিৎ কি এমনি নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে পূজা করছিল
বীর লক্ষ্মণকে বিভীষণ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল
বলেই রাম রাবণের যুদ্ধে রাম জয়ী হতে পেরেছিলে।
এক অভয়া প্রাণ দিয়েছে শত অভয়াকে রক্ষার্থে
জ্ঞানবানদের সহজে খুঁজতে শক্তি চাই ভিন্ন পথে
আমরা ব্রতী হব সব কাজে এর মাঝে খুঁজব অসুরদের
একবিংশে উঠুক ঢেউ নবজাতকদের তোদের হাত ধরে
বেড়িয়ে ঠাকুর দেখতে চষে শুধুমাত্র ভণ্ডদলের নাচ
পূজায় মায়ের কাছে হোক আবদার এটাই হল কাজ
অভয়াদের মুক্তি অসুরদের দাও শাস্তি করি প্রার্থনা
শত আগরবাতি নিয়ে হোক মিছিল করি কামনা
লালমুখো দের হাতে দলিত নারীই এগিয়েছিল পূজার
কাজে নীল আন্দোলনে হয়ে জয়ী পেয়েছি স্বাদ মুক্তির
পূজার সময় সাজে তিলোত্তমা হরেক আলোয় সজ্জায়
পূজার রাত তিলোত্তমা উঠুক সেজে শত মশাল সজ্জায়।
পূজার কালে ভিন্ন প্রান্তের মানুষ তিলোত্তমা ভরায়
তারা বুঝুক তিলোত্তমার সংগ্রাম চলছে কোন ধারায়
ইতিহাস শেখায় উৎসব নয় আন্দোলন চলুক ভিন্ন পর্যায়।
ওরে দুরাচারি ঘরের স্ত্রী কে ধর্ষণ করে মেটেনি আশ
বাইরের মায়েদের প্রতি লোভে জেল কুঠুরি পাশ
ভাগ্যহীনা রমণী দেশ মাতৃকার বিরূপ কোপ দেখতে চাস
শত মানুষের কোপে অবহেলিত কোপে ধ্বংস হতে চাস
আমরা তরুণ যুগ যুগান্তর হতে করেছি সংগ্রাম
জয় আমাদের প্রাপ্য জানিয়ে গেলেম আগাম।
ননীচোরা গোপাল – প্রতিম ঘোষ
গোপালেরস্বর নমঃ বাল কৃষ্ণ কেশবায় নমঃ
গোবিন্দ শ্রী মধুসূদন নামে খ্যাত গোপাল।।
শত অষ্ট নামে শ্রী কৃষ্ণ জগতে বিখ্যাত।
হরি নামে প্রচার করেছেন বৈষ্ণব গুরুদল
কিশোর কিশোরী রাধা কৃষ্ণ হয়েছেন পূজিত
দিকে দিকে মঠ নির্মাণ করেছেন বৈষ্ণব গুরু
চতুর্দশ শতকে বৈষ্ণব পদাবলী লিখেছিলেন
বিদ্যাপতি চন্ডীদাস ষোড়শ শতক হতে হয়েছে
বিকাশ রাধা কৃষ্ণের প্রেমরস ও প্রেমলীলা।
বিংশ শতক অবধি রাধা কৃষ্ণ নিয়ে ছিলেন
আমার পরম শ্রদ্ধেয় বৈষ্ণব গোসাঞি সকল।।
একবিংশে শ্রী কৃষ্ণ এসেছেন গোপাল নামে
ঘরে ঘরে চলেছে বাল কৃষ্ণ গোপাল পূজা।
সেই কারণে জনপ্রিয় হয়েছে জন্মাষ্টমী ব্রত।
গোপাল নামে চারবেলা খাবার দিলে হন তুষ্ট।।
বৈষ্ণব বৈষ্ণবী না হয়ে গৃহে কর গোপাল পূজা
হরেক সাজে কর তারে সজ্জিত ইহা তাঁর মোহ
গোপালের সাথে নিজেরাও থেকো সজ্জিত।
ননীচোরা গোপাল নামে হতে চান বিখ্যাত।।
যে করবে গোপাল পূজা পাবে সে কৃষ্ণের আশীষ
গোপাল কৃষ্ণ গোপাল কৃষ্ণ গোপাল নমঃ।
সত্য সরূপিনী – প্রতিম ঘোষ
মা দেবকী নন্দন মা যশোদা দ্বারা লালিত
একবিংশ শতকে গোপাল রূপে নামাঙ্কিত
শত অষ্ট নাম ধারী তোমার চরণে আশ্রিত
চলমান শতকে চাও কি বৈষ্ণব বৈষ্ণবী!
ঘটমান শতকে গোপাল পূজা করুক সংসারী।
বাল কৃষ্ণ রূপে হলে আর্বিভূত তুমি
তোমার চরণে প্রণাম জানায় ক্ষমাপ্রার্থী
গোপাল নামে ভিন্ন রূপে হও তুমি সজ্জিত
ঘাঘরা পরে দুই হাতে বাঁশি নিয়ে হও সজ্জিত,
গলায় মালা কানে দুল হাতে বালা বাজু পরে
পায়ে নূপুর দিয়ে মাথায় মুকুট পরে
গৃহকর্ত্রী দ্বারা হয়ে সজ্জিত থাকো বসে সিংহাসনে।
ননীচোরা চারবেলা অন্ন দিয়ে করেন তোমায় সেবা
রাতে অপরূপ শয্যায় যাও তুমি নিদ্রায়।
একবিংশের নর-নারী থাকে তবু দুর্দশায়
নারীর মান কেড়ে যে শিক্ষিত রাক্ষস দেখায়
আমি হলেম ভিন্ন রূপী ভিন্ন আমার পর্যায়।
যুগে যুগে এই সাহসী অসুরদের ক্ষমতা হারায়
তুমি তাদের রেখেছিলে পর্যাপ্ত শিক্ষায়।
সাধারণ মানুষ পারবে কি দেখিয়ে দক্ষতা
যাদের অবলম্বন ধন আছে কেবল শূন্যতা।
মানব প্রেম ঈশ্বর প্রেম যদি সম হয়
তুমি জাগো একবিংশ ভোগে দুর্দশায়
যদি আমাদের কিছু থাকে ভুল সবার হয়ে
নিজে ক্ষমা চাই করতে অসুর কুলের পরাজয়
গোপাল রূপী কৃষ্ণ দাও এনে সুদীর্ঘ জয়
একবিংশের বতর্মান ভবিষ্যৎ যা দেখে পায় ভয়,
নর নারী সুদীর্ঘ কর্ম চলুক নিজ দক্ষতায়
মহৎ দান সিন্দুর দান করে যারা একটি নারীকে পায়
কিভাবে অন্য নারীকে দেখে কুৎসিত হয়?
আপন দক্ষতা যেন ইহলোকে বড় হয়
একবিংশের অতি সাধারণ মানুষ তা ভুলে যায়
পরিশেষে তাদের নরক বাস দেখে অশ্রু বার হয়।
গোপাল রূপী কৃষ্ণ তাদের আনো সঠিক শিক্ষায়
এ যুগের মানুষ শিক্ষা কম্পিউটারে যদি দক্ষ হয়
এরা কভু সত্য যুগের ন্যায় বসবে না সাধনায়
গোপাল রূপে বলে দাও মানবের কল্যাণ হয়।।
গোপাল গোপাল – প্রতিম ঘোষ
ওঁ নমঃ ব্রক্ষণ্যদেবায় গোব্রাক্ষণ হিতায় চ
জগদ্ধিতায় বাল কৃষ্ণ গোপালয় নমো নমঃ
পাপী হওয়ায় হয়েছে পাপাত্মা পাপসম্ভবঃ
পাপ হতে উদ্ধার কর হে বাল কৃষ্ণ গোপাল
শত কোটি প্রণাম বাসুদেব দেবকী নন্দলাল
শত সহস্র কোটি প্রণাম গ্রহণ করো গোপাল
কংসের জেলে মা দেবকী জন্ম দিলেন তোমায়
ননী চোরা গোপাল যশোদার কাছে লালিত হয়
মা দেবকী হন অভিভূত দেখে গোপাল তোমায়
হে বাল কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপতি
ননী চোরা বাল কৃষ্ণ গোপাল নমোহস্তুতে।
আলোছায়া – প্রতিম ঘোষ
যেদিকে চাই ছড়িয়ে মায়া
প্রেরণা পরেছে ঢাকা আলো ছায়া,
শূন্য পানে চেয়ে দেখি
পরম জনেদের ত্বরে একাকী
নীরব শূন্যতা গ্রাস করে
সরব হই সৃষ্টি করে,
অক্ষর জুড়ে শব্দ গড়ে
লেখার জগতে দি নেড়ে।
মাটির কাছে প্রাণের পরশ
ছায়া মাখা আলেয়ার আবেশ,
কতজনার বাসনায় পূর্ণতা পেয়ে
শব্দ সব এসেছে ধেয়ে।
ছায়া তটে সুপ্ত ভাষা
হৃদয়ে জেগেছে ক্ষণিক আসা,
দুরাশা মাখা চিন্তা রেখা
ছন্দ দিয়ে শব্দ মাখা।
চলার পথে – প্রতিম ঘোষ
প্রৌঢ়ে এসে পাই না খুঁজে যৌবনের ছায়া-
চলার পথে কেবল রয়ছে ফেলে আসা মায়া,
যৌবনে ছিল যা অতি প্রয়োজন প্রৌঢ়ে নিস্প্রয়োজন।
মর্যাদার আঙিনায় শিক্ষার সার্টিফিকেট ছিল প্রয়োজন।
সময়ের সাথে জিনিসের চাহিদা মিটে গেছে,
শুধুমাত্র স্মৃতি মনে বাসা বেঁধে আছে।
কত চিহ্ন ছড়িয়ে আছে মায়া হয়ে চারিধারে
নেইকো তার হিসাব মনোমত সংসার ভাণ্ডারে
বয়সের সাথে বয়ে যায় সময় সন্তর্পণে অতি ধীরে,
সীমা হীন দিশা শেষ হয়ে সময়ের পরে।
কত ইচ্ছা জমা আছে এ চলার পথে,
মনোজগতে পরে আছে ঢাকা পারিনা বুঝিতে।
ফাটকা – প্রতিম ঘোষ
পর্যবেক্ষণ পর্যালোচনা পরীক্ষণীয় প্রার্থনীয়-
সব কিছু দেখিত বুঝিতে হল সবিনয়,
নীরব নিন্দনীয় নিরাসক্ত নিবাস,
ধরণ কারণ সঠিক যার আবাস
সহজ সরল সংবেদনশীল সমাজ,
হিংস্র ধূর্ত ভণ্ড সংকট দলবাজ,
বাঁধা বিফলতা বিবেচনা বিষয় –
তথাপি অগ্রগতি হচ্ছে মানুষ ক্রমান্বয়
রিক্ততা রয়েছে রীতিমতো রিপোর্ট,
তবুও রয়েছে হরেকরকম সবার বিভ্রাট:
দমন দম্ভ হবে দৌরাত্ম্য দিয়ে,
সকলে আছে সামনের পানে তাকিয়ে,
মায়া মনে আছে নানা মাধ্যম মিশে-
দয়ালু হয়ে সবার কাছে যাও মিশে,
হৃদয়ের হাঁপাচ্ছে হারিয়ে হদিস,
দাও জনে জনে মনের মতো জিনিস।
তুমি এসো – প্রতিম ঘোষ
বিশ্বাস যবে শ্রেষ্ঠ উপাদান
শ্রদ্ধা ভক্তি করে গর্জন,
নগণ্য মানুষের নেই ধারনা
ঈশ্বর দেখাও তোমার নমুনা।
প্রতি প্রাণে আছেন পরমেশ্বর
কলিকালে আবির্ভূত হবেন কল্কিশ্বর
হিংসা হাহাকারের হোক পতন
অধর্ম হ্রাসে ধর্মের আগমন।
সামান্য মানুষের বুদ্ধি স্বল্প
তাই তাদের প্রার্থনা অল্প,
যুগাবতার দেব এস ভূমিতে
তোমার অপেক্ষা করি ধরাতে।
অবিশ্বাস্য ভাবে তোমার অবস্থান
কালী রাম তুমি ভগবান।
জন্মভূমি জগত ভূমিরে রক্ষা
কল্কিদেব কর মানুষের সুরক্ষা।
তুমি কি আসবে! – প্রতিম ঘোষ
নদী তটে উঠিতেছে ঝড়
কলিযুগে হবে সত্যযুগের গড়।
সততা ধর্মকর্ম ছিল যবে
লালিত বর্জিত মুদ্রিত জীবে
শঠতা ধর্মহীন ক্রমবর্ধমান এবে
দয়াহীন সমাজে দেব আসবে!
মথুরা অযোধ্যা বৃন্দাবন ধাম
ভগবান করেছেন সর্বত্র কাম
কলিকালে ভগবান আসিলেন ভবে
নিমাই রামকৃষ্ণ মানুষ তবে।
যিনি কৃষ্ণ তিনি রাম
হরে কৃষ্ণ হরে রাম।
সত্য ধর্মময় হোক সর্বত্র
মিথ্যা ভণ্ডামির হোক বিদায়
ঈশ্বর হও তুমি জাগ্রত
বিশ্ব মানবজাতিরে কর আশ্রিত
রামনামে হবে জাগরণ দেশে
মানুষেরে করো ক্ষমা দেশ-বিদেশে।
আহ্বান – প্রতিম ঘোষ
কাশের দলে ঢেউ তুলে
শিউলি বন জাগিয়ে তুলে,
শরত রাণী তুমি এলে,
নীল স্তূপাকৃত মেঘমালা
গগনে পেখম তোলা।
চৌধার উঠিছে মাতি,
আসছে শারদীয় তিথি
বাতাসে সুরের ধ্বনি
এস তুমি জননী!
তোমার আরাধনা করি
মর্তে তোমাকে আহ্বান সারি।
সময় কার্য – প্রতিম ঘোষ
আজ যে বৃদ্ধ কাল ছিল যুবক,
আজ যে শিশু কাল হবে যুবক,
বৃদ্ধের ছিল হরেক কর্ম ব্যস্ততা,
নবীনের আগমনে প্রবীণের স্থিরতা।
রাত আসে দিন যায় যুগ বদলায়,
রীতিনীতি কার্যকারিতা বদলায়;
বাল্যকাল যুবক বেলার দক্ষতা,
প্রবীণে পৌঁছে কেবল অদক্ষতা।
সময় নিয়ম বড়ই কঠোর
জীবনের চলার পথ নিষ্ঠুর,
কালের ঘড়ি বাজায় ঘণ্টা;
মূল্যহীন শিক্ষা শেষে লবঘন্টা।
ভাগ্যের বিচারে হলে অর্থ প্রাপ্তি?
বৃদ্ধ কালে আসে খনিক তৃপ্তি,
অর্থহীন প্রৌঢ়ের নাই শান্তি,
যুবকে কার্যের অভাবে অশান্তি।
দুরাশা ঘেরা পরিহাস ত্যাজী
প্রভু দেখিও না তোমার মর্জি।
বাল্য যুবকদের দাও পরিধি,
মানুষের দাও শান্তি মৃত্যু অবধি।
উঠল ঝড় – প্রতিম ঘোষ
সোনার বাংলায় উঠল ঝড়
ব্যবসায় বসল জি.এস.টি কর,
দুনিয়ার নিয়ম বদল হয়
সময় যবে পাল্টে যায়,
সময়ের সাথে চলতে গেলে
দুনিয়ার কানুন নয় পাললে;
নিয়মকানুন যদি না পারো শিখতে
পারবে না বাঁচা চলা মিশতে।
সমাজের সাথে টিকতে গেলে
চলবে নাকো কিছুতেই পিছিয়ে এলে,
চরম দিনে পরম কিছু করতে
সঠিক কর্ম নিয়মিত হবে গড়তে।
শপথ – প্রতিম ঘোষ
দেশকে করতে স্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা দিয়েছিলেন বলিদান
রক্ত ঝড়ানো সেই মুক্তি দাতাদের করি আজ শ্রদ্ধা দান।
মুক্তিদাতারা সংসার মোহ ত্যাগ করেন দেশের জন্যে
আমরা স্বাধীনদেশ পেয়েছি তাদের আত্মত্যাগের জন্যে।
মহান বীর সৈনিকদের স্মরণ করে আজ শপথ করো
পূর্ণ স্বাধীন দেশ ও দেশমাতার সু চিন্তা সর্বদা করো।
একজন দেশের নাগরিক হয়ে নিজেকে বিচার করো
দেশ কে গর্ভধারিণীর ন্যায় ভালোবাসো শ্রদ্ধা করো।
অরুণের তেজ বরুণের স্নিগ্ধতায় দেশকে জাগ্রত করো
প্রেমের সৌরভ ছড়িয়ে শ্রদ্ধার আবেশে প্রণমিত করো।
প্রাণের সাগর – প্রতিম ঘোষ
অতীতে ছিল একটি সাগর
পরশে ঘেরা উত্তম সাগর,
ধন্য তুমি প্রাণের সাগর
যে সাগরে নেই কাঁকর
বর্ণ ঘেরা সেই সাগর
আছে ভাষার পাথর।
বয়ে না বারি যে সাগরে
আছে কেবল করুণা ঘিরে
সেই সাগরের পরশ পেয়ে
বর পেল মেয়ে স্বামী হারিয়ে,
যে সাগরের ছোঁয়া পেয়ে
অবলা পেল শিক্ষা পেয়ে
সেই সাগরে দিলেম বাতি
দিলেম অঞ্জলি প্রণতি।
চিরতরে – প্রতিম ঘোষ
ছিলেম ৩৬৫ দিন সবার সাথে
বিদায় দিনে বেদনা জাগে চিত্তে।
ভালো -মন্দে কেটেছে দিন সারাবছর
থেকেছি মুখ বুজে কাটিনি ওজর,
থাকব ইতিহাসে অসংখ্য স্মৃতি নিয়ে
করবে স্মৃতিচারণ প্রয়োজনে মন দিয়ে।
আমার অগ্রজ সালেরা যেমন আছে
থাকব চিরতরে মিশে তাদের কাছে,
ঘূর্ণন পৃথিবীতে আমার কনিষ্ঠ সাল
এসে পরের ৩৬৫ দিনের ধরবে হাল।
তার মাঝে আসবে সুখ-দুঃখ উৎসব
আসবে নিত্য নতুন নানা প্রস্তাব।
নব সালের আলিঙ্গনে হবে সুশ্রী তাহা
কনিষ্ঠের দুলিয়া উঠিবে হিয়া।
আসলে দুঃখ কনিষ্ঠ উদ্বিগ্ন হবে
অশ্রু মাখা দিনটি সহ্য করে নেবে,
পারব না ফিরতে নতুন করে
পুরানো ইতিহাস ঘেঁটো মনে করে,
বিশ্বের কাছে সালের মূল্য সময়ে
দরকারি কাজে খুঁজলে পাবে অসময়ে।
আহ্বান – প্রতিম ঘোষ
আনন্দ মাখ নতুন বছর
আনো খুশির জোয়ার
ধরণীর প্রতি প্রাণে জোয়ার
সকলে হোক উদ্ভাসিত উজ্জ্বলতায়
প্রতি জীবনে আনো প্রেরণা
নব বছর জাগাও সকলেরে চেতনা
মুগ্ধ চিত্তে হোক কামনা
প্রতি জীবের সুখের আল্পনা।
স্মৃতির আড়ালে যারা আছে
তলুকিয়ে কথা তাদের মাঝে
বিদায় জানিয়েছে যে গেছে
বরণ করে নিলেম তোমারে কাছে।
সুখে দুঃখে থাকো বছর
আনন্দে কাটুক বিশ্ব সংসার
২০২৩ লহ শ্রদ্ধা ভালবাসা
দাও প্রতি জীবনে ভরসা।
জোটবদ্ধ – প্রতিম ঘোষ
শব্দ চাষী শব্দ বোনে
অক্ষর দিয়ে নিজ গুনে,
শব্দরা সব ছড়িয়ে আছে
শব্দ গুলি বেছে বেছে।
পরস্পরের সাথে এক করে
শব্দ চাষী চাষ করে।
খাতা হল মাঠ চাষীর
কলম হল লাঙল চাষীর।
ছন্দ দেয় চাষের কাজে
সার আছে চাষীর মগজে,
সারি-বন্দী শব্দ ছড়িয়ে থাকে
চাষীর শব্দ তাতেই থাকে,
ছন্দে পাশাপাশি সাজিয়ে শব্দ
কাব্য গল্পে করে জব্দ।
কলম দিয়ে খনন করে
পাতায় শব্দ ঝড়ে পরে।
অঢেল শব্দ জুড়ে জুড়ে
চাষী সুমিষ্ট কাহিনী গড়ে।
শব্দ চাষী মনে নবীন
বয়সে যতই হোক প্রবীণ।
শব্দ চাষী সাহিত্য প্রেমিক
হয়েছে পরিণত লেখক শ্রমিক।
শব্দ চাষীর মূল্য লেখায়
পাঠক তাকে ধন্য করায়।
কহ নাই – প্রতিম ঘোষ
ধনী যদি হতে চাও
মন সুন্দর করে নাও।
সকল কে ভালোবাসা দাও
সুখী জীবনের ভাগীদার হও।
জীবনে কিছু চেও না
যতই থাকুক নিজের পাওনা
পাওয়ার হিসাব নিও না
পরের ভুল বিচার করোনা
যদি কাউকে কিছু বল।
তাকে সামনে সরাসরি বল।
কারোর পিছনে নিন্দার ফল,
নিজের পাপ কোড়ানো হল।
অন্যে তোমায় কষ্ট দেবে,
সব সহ্য করে নেবে,
ভগবান কে বলে দেবে,
তোমার ঠিক -ভুল শুধরে নেবে।
সর্বদা চলবে সঠিক পথে
সদা থাকো সত্য কথাতে,
বাক্য বল মিষ্ট ভাষাতে,
জীবনের মূলধন সরল পথে।
তোমাকে কেউ ছেড়ে গেছে
আপনার ভুল নিশ্চিত হয়েছে
মনে তার প্রভাব পড়েছে
তাকে ক্ষমা করতে পেড়েছে।
সর্বদা আনন্দে থাকতে চাই
আপনার বলে কিছু নাই।
ঈশ্বরের চরণতল যেন পাই
ভগবান বিনা কেহ নাই।
তোমারে – প্রতিম ঘোষ
আমি অতি সামান্য
চাহিদা অতি নগণ্য,
দাও মোরে চৈতন্য,
চাই হতে ধন্য!
তোমার কৃপা পেতে,
চরণতলে স্থান পেতে,
চাই হে মাতে!
কর কৃতজ্ঞ চিত্তে।
আমার আছে কামনা
একটি শুধু বাসনা,
জাগ্রত হোক চেতনা,
পাই বাঁচার ঠিকানা।
পূর্ব জন্মের ভুলে
ইহ জন্ম প্রতিকূলে,
ইহ জন্মের ভুলে
হয়না পরজন্ম অনুকূলে!
জানিনে সঠিক পথ
করছি আজি শপথ
আমার নাই মত
চেনাও আমায় পথ।
মানুষের জন্য কর্ম
চাই করতে কর্তব্যকর্ম
হতে চাই মানবপ্রেমিক,
তোমারে পেতে ধার্মিক।
সৎকর্ম সৎ-চিন্তা বিনা
জীবনে আসেনা চেতনা
মানুষের জন্য আয়
সামান্য নিজের ব্যয়
হই না সেবায় কৃপণ
দাও আমায় জীবন
মানুষের মাঝেই ভগবান
সেথায় আছে দিন।
ভগবান – প্রতিম ঘোষ
কর্কটক্রান্তি অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে
পরিণত যবে এপ্রিলের সৌর্য-করোজ্জ্বলে
প্রখর তাপদাহে মাত্রাহীন গরমে
ওষ্ঠাগত প্রাণ মরছে মরমে।
উন্নয়ন নেশায় মাঠ-পুকুর-বন
ধ্বংস করে হয়ছে নগরায়ন
প্রাপ্ত প্রকৃতি পরিণত অপ্রকৃতে
তিক্ত দাবদাহ কদর্য আকৃতিতে,
অসহ্য গরমে অসহায় হয়ে
যাহারা পরছে অসুস্থ হয়ে
ভগবান কৃপাময়ী তাপ মুক্তি
ঘটিয়ে কর্কটীয়রে দাও মুক্তি,
ভগবান পরমেশ্বর ভগবান পরমেশ্বর
পরমেশ্বর পরমেশ্বর ভগবান ভগবান
ভগবান জনার্দন ভগবান জনার্দন
জনার্দন জনার্দন ভগবান ভগবান।।
স্মরণ – প্রতিম ঘোষ
একশত একষট্টি বছর বয়স যার
তিনি বাংলা সাহিত্যের অহংকার।
যাঁর কলম তরবারি ক্ষুরধার
অষ্টাদশ শতকের মহান বীর
ভিন্নধর্মী লেখায় যিনি প্রতিভাধর
গীতাঞ্জলির পাতায় যিনি দুর্বার,
নোবেলজয়ী ভারত মাতার সু-সন্তান
মরণ- জয়ী রেখেছেন ধরে আসন।
অক্ষম বাঙালি পারেনি পুরানে শূন্যস্থান
অমর কবি বিশ্বকবির পদতলে শিরস্ত্রাণ।
জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে তাঁর উত্থান
কবিগুরু প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন।
গগনের রবির কিরণে বিশ্বে উষ্ণতা
বিদ্যায় রবির পাঠে আসে মুগ্ধতা,
এস নির্মল হও উজ্জ্বল,
ধরণী হয়েছে আজ উত্তাল,
আজ কবিতিথি হও জাগরণ
কবির কবিতা-গানে করি তাঁরে স্মরণ।
বিশ্ব সভায় গর্বিত নাম রবীন্দ্রনাথ
তোমারে শতকোটি প্রণাম নাথ।
দিশা দাও – প্রতিম ঘোষ
এক গালে চড় মারলে,
অন্য গাল ওঠে জ্বলে,
সে যদি যায় খেপে;
মরবে সর্বনাশা অভিশাপে।
একটি চড় বদলে দিলি!
তোরে আর কী বলি??
হস্ত কি ভুল করলি!
পূর্ণিমায় একাদশী হলে,
অমাবস্যা এসে গেলে।
আঁধার পথে হাতড়ে বেড়াই
আলোর নিশানা না পাই।
ভান্ত নীতি চলার পথে,
ঠিক জন্মের পর হতে;
প্রথম শুরু সাচ্চা হয়
পরেই তা ভেস্তে যায়।
কোন অভিশাপে এমন কুফল
বুঝে উঠতেই হয়েছি বিফল।
বিধির বিধান কে খন্ডবে।
কর্মফল কে রক্ষা করবে!
জীবনের আজ নাই অর্থ
শিক্ষা কর্ম সংসার দূরস্থ
পরের অধীনে বাঁচাতে ত্রস্ত
বিশ্ব সংসার তোমার হস্তে
তোমার অধীনে রাখো পার্শে।
ক্লান্তি আমার ক্ষম প্রভু!
মধ্য বয়স হলে নিভু
বৃদ্ধ বয়স আসবে তবু
তখন হব আরও কাবু।
তোমায় যবে পেরেছি বুঝতে
এ আত্মারে রক্ষা করতে
দিশা দাও দেবেশ প্রাণেতে
শত পাপের ভাগীদার বলেই
যতেক যাতনা ভুগে যাই,
দাও আশিস ব্রতী হই,
তোমার পথে মতি হই,
নব উদ্যম জাগরিত হয়
মুক্ত করি সকল সংশয়।
অসহায় নিরাশ্রয় প্রাণগুলির রক্ষায়
অন্তর বারেক কাঁদায়।
তোমারে দিলেম – প্রতিম ঘোষ
ইন্দ্রিয় সুখে দেখি বেজায় দুখ!
সঠিক দিকে তাকায় না চোখ!
জগতে কর্ম নানা ভাবে আছে;
অজ্ঞানতায় গ্লানি আছে।
ভক্তি আসলে জ্ঞান ফেরে,
মুক্তি পথ আসিয়া পরে,
চলার পথে হরেক বাঁধা,
জীবন যুদ্ধে দেখি ধাঁধা,
আত্মা পরমাত্মার কাছে করে নিবেদন।
চাহি না কোনো বিনোদন,
বুদ্ধি মন শরীরের পতন।
চলা-বলা খাওয়া হারিয়েছে চেতন।
বৃথা আপন সুখ চিন্তন;
আমার জীবন করি দান।
দাও শুধু তোমার চরণ।
যেমন চলাও তেমন চলি,
যেমন বলাও তেমন বলি,
তুমি হলে আমার দর্পণ।
নেই কোনো নিজ চাহিদা,
তোমায় ডাকার চাহি কায়দা।
এ জড় জীবন ফাঁকা,
আপন জনেরা দিল ধোঁকা,
মা-বাপ হল কেবল সার।
তুমি নিত্য নেই তোমার অতীত,
তোমায় পেতে গাই গীত,
দাও সঠিক গাইতে ভজন,
তুমি বিনা কেউ নয় আপন।
আমার দেহ নিয়ে নই আচ্ছন্ন,
জাগতিক লাভ-ক্ষতিতে নই আচ্ছন্ন –
তাতে যে সুখ-দুখ নই মোহাচ্ছন্ন।
গুরুর ছাওয়ায় জ্ঞানে হই দক্ষ,
লাভ করিতে চাই লক্ষ,
হে পরামাত্মা পুরিত করো আত্মার কামনার্থ।
তোমাকে দিলেম যবে মন।
ফ্লাটে বস্তির উঠান – প্রতিম ঘোষ
গরিবের ঘিঞ্জি এলাকাকে কহে বস্তি
অর্থহীন জীবন দেয়না তাদের স্বস্তি
পাশাপাশি ঘেঁষাঘেঁষি ভাবে তাদের বসতি
স্বাস্থ্যহীন দুর্গন্ধময়ের মাঝে জ্বলে জীবনবাতি
বড়লোকের আকাশ চুম্বিকে কহে ফ্ল্যাট
অর্থবানরা যাকে সাজিয়ে দেখায় ঠাটবাট
সাজানো -গোছানো আবদ্ধ ঘরে হারায় স্বস্তি
মূল্যহীন নামাঙ্কিত বসতি বড়লোকের বস্তি
গরীবের বস্তিতে ভোর হতে হৈচৈ
লোকগুলো খোঁজে বাঁচার মন্ত্র কৈ
দগ্ধ প্রাণ ভগ্ন দশার খোঁজে মুক্তি
বস্তি নামে কলোনির ইহাই তৃপ্তি
বড়লোকের ফ্লাটে দিনরাত মোবাইলে কথা
আভিজাত্যের চটকে সকলে ধন্য তথা
প্রতিকারহীন ভারসাম্যহীন তৃপ্তিহীন মানুষের কথা
একটি ফ্লাটে একটি পাড়ার কথা।
ছেঁড়া শয্যায় বস্তিবাসীর আরামের ঘুম
সাজানো শয্যায় ফ্লাটবাসীর ভাবনার
গরীবের বস্তিতে শুকনো জীবন গাঁথা
ধনীর ফ্লাটে বস্তির আঙিনা গাঁথা।
বিকৃত স্বভাব – প্রতিম ঘোষ
যত আছে পুরানো কালিমা সাফ হোক বরুণের আগমনে
দাও অন্তরের সব নগ্নতা ভ্রষ্ট করে অরুণের তপ্ত কিরণে
জঙ্গল রাজত্বে বাস করতে মন চায়না
সারাক্ষণ হৃদয়ে কাঁটা বিঁধছে বলতে পারিনা
অতীত বর্তমান লুপ্ত ঘনঘটায় যার ভার সহ্য করিতে পারিনে
আগত ভবিষ্যৎ এস অবলীলায় ভগ্ন সমাজ উঠুক গড়ে উন্নয়নে।
এলে একা যাবে একা বৃথা মায়ার প্রতি আসক্তি হয়ে বিষাক্ত জীবন গড়া
আসলে লিপ্সা কামে আসবে মোহ যাতে অগাধ পাপকর্মে জড়িয়ে পড়া
ভোগ বিলাস নিমর্ম যা মন চায় না
কন্টকে আবর্তিত হতে কাউকে বলছি না
কলুষিত হয়ে অতি বাসনা ভোগের জন্য বন্ধ করো চিন্তা ধারা।
এই শরীর শেষ হলে বিকৃত স্বভাবের জন্য আত্মা নীচ পথে করবে নড়াচড়া।
ভক্তি – প্রতিম ঘোষ
প্রতিম ঘোষ
শুদ্ধ ভাবে মুক্ত কন্ঠে
ভগবানের নাম ভজ উচ্চ কন্ঠে
তিনি কৃপাসিন্ধু দীনবন্ধু জগবন্ধু
জড় জগতে তিনি কেন্দ্রবিন্দু।
জীব শ্রেষ্ঠ মানুষই পারে
আরাধনা করতে ভক্তি ভরে
যদি চাও আত্মার মুক্তি
প্রাণে আনো নিজ শক্তি,
অনাড়ম্বরে ভগবান পূজা নেন
ভগবানের নাম জপ একমনে
সকল কর্মে রাখো স্মরণে
আনায়ন করো তাঁরে প্রাণে,
মুক্তি কোথাও না পাই
ভগবানের মাঝেই খুঁজে পাই
সংসারে আমার কিছু নাই
কৃষ্ণ -ভগবান বিনা কিছু নাই।
একটি কবিতার মৃত্যু – প্রতিম ঘোষ
মনের অভ্যন্তরে যবে জেগেছিল কাব্যিক ভাব,
তাল, সুর ছন্দ মাত্রায় এনে ভাব
শূন্য পাতায় কালির পরশে অক্ষরেরা সব,
পাশাপাশি সেজেগুজে আনল কাল্পিক ভাব,
ভাবনা চিন্তার মন্ত্রে আনলে
নব একটি কবিতার জন্ম দিলে।
সেই কবিতা প্রকাশিত হলে,
পাঠকের সু-চিন্তায় সমালোচনা হয়ে
সমাচোলকের দ্বন্দ্বে তার বিকাশ হারিয়ে,
কাল্পিক মর্যাদা দিল হটিয়ে,
কবিতার বিকাশ পরল লুটিয়ে
আমার ভাবিত কবিতা হারিয়ে,
সে বাস্তবের শুকনো ভূমিতে
যায় চলে অন্য জগতে
কবিতার অপমৃত্যু ঘটল বিচারেতে।
ফুটপাতবাসী – প্রতিম ঘোষ
শহরের ফুটপাতে ঘুমের আমেজ
মার্বেলে বাঁধানো বিছানা সতেজ
আরাম করে শুয়ে নটবর,
ভূমির রাজত্ব দেখিয়েছে উদার।
দিনের রবি খেলা করে গগনে
আমেজ করে মুদে দু-নয়নে,
শীতের রজনীতে ঢেকে শরীর কম্বলে,
ফুটের বিছানায় ঘুমিয়ে সদলবলে।
জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে রবে,
জটিল ভাগ্যে জন্ম হলে কে পাশে রবে,
বিধাতার সংসারে খোলা আকাশ পাশে রবে,
পথের ধূলা অমৃত হয়ে জীবনকে রক্ষা করবে।
বারো মাস ফুটপাতে বাস করে,
যারা জীবন যুদ্ধ জয় করে,
তাদের দাম ক’জনা দিতে পারে!
তুচ্ছ ফুটপাত বাসী সেলাম তোমারে।
জীবন ছটা – প্রতিম ঘোষ
ওরে মন দুঃখ করিস না!
যা পেয়েছিস গ্রহণ কর না!
বিধাতার আশীর্বাদ ফেলিস না,
ধৈর্য ধরে অপেক্ষা কর না!
যোগ্য কর নিজেকে সমাজে,
কামনা কর চাহিদা মিটুক সহজে,
বই পড় মনোযোগ দিয়ে,
শিক্ষা সমাপ্তি হবে তড়তড়িয়ে।
সংক্ষেপে কথা চিন্তা গম্ভীর ভাবে;
পরিমিত আহারে কর্ম করি নির্ভীক ভাবে
সাহসের সাথে কাটাই জীবন
পরিকল্পিত ভাবে তৈরি করি জীবন।
আমাকে নিয়ে মশকরা যারা করে,
আমাকে নিয়ে দুর্ভাবনা যারা করে,
তাদের কাছে দৃষ্টান্ত হতে চাই
হুইল চিয়ারে বসে অধ্যাপক হব তাই,
একটি মানব জীবন করব জয়।
ইতিহাসে এম.এ. করে হইছি উদয়,
অরুণ আলোক যেমন ছড়ায় ছটা
বিশেষ চাহিদা নিয়ে ছড়াব জীবন ছটা।
প্রতিজ্ঞা – প্রতিম ঘোষ
মঙ্গল দীপ জালি প্রভু
স্বাধীন ভারত আঁধার না হয় কভু
মুক্ত হোক সর্ব দ্বেষ,
করি কামনা মনের হরষে
দাও ভিত্তি করি গাঁথা,
দেশমাতার চরণে ঠেকাই মাথা।
ধন্য কর ভারত সন্তান
রাখো ভারত মাতার সম্মান,
মহান দেশ ভারতবর্ষের করব না হীনতা
চলার পথে রাখবো সহিষ্ণুতা
করিব পালন ভারত মাতার আজ্ঞা
সাধ-শতবর্ষে স্বাধীনতায় আবদ্ধ প্রতিজ্ঞায়।
নিয়ম – প্রতিম ঘোষ
নিয়ম করে বাঁচতে গেলে,
নিয়ম কানুন পালতে হয়।
নিয়ম মাফিক চলতে হলে,
নিয়ম ঘড়ি মানতে হয়।
নিয়ম শৃঙ্খলে থাকতে হলে,
নিয়ম লঙ্ঘন রোধ করতে হবে।
নিয়ম সাড়,অনিয়ম অসাড় জীবনে
নিয়ম নিয়মিত পালো শরীরে।
নিয়মে আহার, পরিমিত খাওয়া
নিয়ম করে সকল কর্ম করা,
নিয়ম সুধা, নিয়ম রস,নিয়ম মান্য করা
নিয়মের চৌকাঠে,মন সৌগন্ধে ভরা।
নিয়ম নির্মম, নিয়ম নির্মল,নিয়ম মগ্ন হওয়া,
নিয়ম দক্ষ রাজার মুক্ত ভাবনা হতে পাওয়া।
খুকীর বলা – প্রতিম ঘোষ
খুকী বলে, জানো কাকু!
ফলেছিল, খেত ভরা ইক্ষু,
সব নিয়ে গেল ডাকু।
তাদের সবার হাতে ছিল চাকু,
কি! ভয়ানক ওদের বার্তাকু।
শুনে থ! হলেম অকু।
ভয়ে হলেম উড়ুক্কু,
মন করে আঁকু-পাঁকু,
এ তো ভারী কু!
নিরীহ চাষীর ছিল,ঐ ফসল টুকু।
চাষী ঋণে ঋণে অকু
হবে আরো, রঙ্কু।।
কলম – প্রতিম ঘোষ
দু-পয়সা ভিক্ষা দান না করে,
একটি কলম দাও দান করে,
যার মূল্য শেষ হবে না বিচারে,
সঠিক সময়ে দিও দান করে,
ওরা প্রতিবন্ধী নয় শক্তিশালী,
সবলদের ন্যায় কর্ম বিলাসী,
শিক্ষা ওদের বল, ভিক্ষা মাগী,
জীবন বাঁচতে ওদের কর জ্ঞানী,
শিশু থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা পেলে,
জ্ঞানের সৌরভে কাউরে পাশে পেলে,
জীবনে উপার্জনের দিশা পেতে পারে,
কলম পেষা কর্ম প্রতিবন্ধীরে দাও দান করে,
কলমের শক্তি বিনা যে কর্ম অচল।
দুর্বল প্রতিবন্ধী বিনা করো না সচল।
কলম প্রতিবন্ধী জীবনের একমাত্র বল।
কলম প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা দিতে চল
কলম নায়ক – প্রতিম ঘোষ
রবীন্দ্রনাথ একটি মহান জীবন
হয়েছিল কি তাঁর প্রয়াণ!
প্রয়াণ তিথি হয় পালন
হয়েছে কি নামের মরণ
রবীন্দ্রনাথ একটি বিশেষ প্রতিভা
বিশ্বজুড়ে আছে যার প্রভা
সৌরভে গৌরবে দেয় আভা
নয় কো তাহা ক্ষণপ্রভা
রবীন্দ্রনাথ মানে জ্ঞানের মঞ্চ
পুঁথিগত শিক্ষা যাঁর রঙ্গমঞ্চ
ছাতিম তলায় প্রকৃতিতে শিক্ষামঞ্চ
নব আঙ্গিকে চেতনার মঞ্চ
শ্রেষ্ঠ কবি শ্রেষ্ঠ লেখক
প্রণাম তোমায় কলম নায়ক।
কবি রবেন চিরতরে বেঁচে
অমর লেখনীতে সর্ব উচ্চে।
প্রতিম ঘোষ | Pratim Ghosh
Bengali Article 2023 | দুর্গা পূজার কথকতা | প্রবন্ধ ২০২৩
Bengali Poetry 2023 | ডাঃ মাধাই মিদ্যা | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Bengali Poetry 2023 | মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Bengali Poetry 2023 | শিবপ্রসাদ পুরকায়স্থ | কবিতাগুচ্ছ ২০২৩
Shabdodweep Web Magazine | Bangla Kobita Bookmark | Pratim Ghosh
Bengali literature is a treasure trove of rich stories, emotions, and cultural depth. Among the most cherished forms of expression in Bengali literature is Bangla Kobita (Bengali poetry), which has been a source of artistic inspiration for centuries. Within this tradition, the Bangla Kobita Bookmark is an essential feature for poetry lovers who want to save their favorite poems and explore the depth of Bengali Literature at their leisure.
If you’re passionate about Bengali Poetry, discovering the magic of Bangla Kobita through an organized Bookmark system will enhance your reading experience. This article will delve into the concept of the Bangla Kobita Bookmark, its significance in Bengali poetry, and how it aids in preserving literary works for future generations.
What is Bangla Kobita Bookmark?
A Bangla Kobita Bookmark is more than just a tool to mark pages. It’s a way for readers to organize and revisit their favorite Bengali Poems. In the context of Bengali literature, poetry is not just an art form; it’s a way of preserving history, emotions, and cultural nuances. By using Bangla Kobita Bookmarks, readers can easily revisit important poems or verses, creating a personalized anthology of Bengali Poetry.
Whether it’s Bangla Kobita Full Time, where long forms of poetry are written and explored, or shorter, rhythmic Bengali Rhymes, the Bangla Kobita Bookmark allows poetry lovers to easily navigate and cherish the gems of Bengali literature.
Why Is the Bangla Kobita Bookmark Important for Poetry Lovers?
For poetry lovers, the Bangla Kobita Bookmark serves as a tool for deepening their connection to Bengali Literature. As a rich tradition, Bengali Poetry has a vast collection of verses, ranging from ancient texts to modern-day compositions. The Bangla Kobita Bookmark becomes a bridge to preserving these works in a meaningful way.
For instance, Bangla Kobita Full Time often involves lengthy, intricate poems that might require multiple readings to fully appreciate. By marking certain passages, readers can easily return to those sections and absorb the beauty of the verse again.
In addition, the Bangla Kobita Bookmark offers a space for readers to record their thoughts and interpretations, making it easier to reflect on the emotional and intellectual impact of Bengali Poetry. Whether it’s a love poem or a verse that captures the struggles of society, the ability to bookmark and return to these poems allows for a deeper, more personal connection to the poetry.
The Role of Bengali Poetry in Shaping Bangla Kobita Bookmarks
Bengali Literature is deeply intertwined with the culture, emotions, and values of the Bengali-speaking world. Poetry has played an integral role in shaping this literary tradition. From Rabindranath Tagore’s soulful lyrics to Kazi Nazrul Islam’s rebellious verses, Bengali Poetry has been an essential means of expressing social and cultural sentiments.
With the rise of digital media, the Bangla Kobita Bookmark has transcended traditional physical bookmarks. In the digital age, online platforms like Shabdodweep Web Magazine allow readers to create virtual Bangla Kobita Bookmarks, making it easier than ever to curate a collection of Bengali Poems, Rhymes, and Bengali Literature. These platforms also enable readers to share their favorite poems, fostering a community of poetry lovers who appreciate the richness of Bengali literature.
Shabdodweep Web Magazine, for instance, is an ideal platform for exploring and bookmarking a wide variety of Bengali Poetry. The magazine features poems from poets such as Pratim Ghosh, whose works explore deep emotional and social themes through the Bangla Kobita form. By utilizing the Bangla Kobita Bookmark, readers can easily track these works and explore the themes in greater depth.
How Can You Make the Most of Bangla Kobita Bookmarks?
To truly benefit from the Bangla Kobita Bookmark, here are a few tips on how to make the most of it:
Create a Personal Anthology: Use Bangla Kobita Bookmarks to create a digital or physical anthology of your favorite poems. Save poems that resonate with you, and revisit them whenever you want to relive those emotions or reflect on their meanings.
Follow Themes and Poets: Track specific poets, or themes that interest you, such as love, loss, or nature. This will allow you to explore works under those themes more efficiently.
Engage with the Community: Use Bangla Kobita Bookmarks to share your curated poetry collection with others. Whether on social media or literary forums, sharing your bookmarks can foster discussions and insights.
Revisit and Reflect: Make it a habit to return to your bookmarked poems and reflect on how your interpretation has changed over time. The beauty of Bengali Poetry lies in its timelessness and its ability to evoke new emotions with each reading.
FAQ About Bangla Kobita Bookmark
- What is a Bangla Kobita Bookmark?
A Bangla Kobita Bookmark is a tool used to mark and save favorite Bengali Poems or verses in a book or digital platform. It helps poetry lovers revisit and reflect on meaningful poetry. - Why should I use Bangla Kobita Bookmark?
The Bangla Kobita Bookmark helps you organize your favorite poems, making it easier to return to them whenever you wish. It enhances your engagement with Bengali Literature. - How does Shabdodweep Web Magazine use the Bangla Kobita Bookmark?
At Shabdodweep Web Magazine, readers can use the Bangla Kobita Bookmark to save and explore poems by poets. The platform offers easy navigation for readers to enjoy Bengali Poetry. - Can I share my Bangla Kobita Bookmarks?
Yes, digital Bangla Kobita Bookmarks can be shared on social media and other platforms, allowing you to connect with other poetry lovers and engage in discussions about Bengali Literature. - Who is Pratim Ghosh?
Pratim Ghosh is a talented poet whose works are featured on Shabdodweep Web Magazine. His poetry, which follows the Bangla Kobita Shayari Pattern, explores contemporary themes with emotional depth.
Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio