Poila Baisakh and Bengalis | Bengali New Year

Sharing Is Caring:

Poila Baisakh and Bengalis | Bangla Noboborsho (বাংলা নববর্ষ)

বৈশাখ বর্ষবরণ ও বাঙালি

বসন্তের বাতাসে বিষাদের বন্দিশ বেজে ওঠে। ঋতুরাজ পশ্চিম তটে অস্তরাগে শেষ খেয়ায় পাড়ি দেয় তখনই ঊষার গগনে নবীন অরুণ রাগে বৈশাখের আহ্বান ধ্বনিত হয়,
“এসো হে বৈশাখ এসো এসো”

‘বৈশাখ’ বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস। বৈশাখের পয়লা তারিখ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন যা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। ‘পয়লা’ শব্দের অর্থ ‘প্রথম’ এবং ‘বৈশাখ’ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত। বাংলা নববর্ষ সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।

সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বারোটি মাস বহুকাল আগে থেকেই পালিত হত। এই সৌর পঞ্জিকার শুরু হতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকায়, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ ‘আর্তব উৎসব’ তথা ঋতুকালীন উৎসব হিসেবে পালিত হত। এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ, কারণ তখন কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত। আগেকার দিনে অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হত বলে এই মাসকে বছরের প্রথম মাস ধরা হত। তাই এ মাসের নামই রাখা হয় অগ্রহায়ণ। ‘অগ্র’ অর্থ প্রথম আর ‘হায়ন’ অর্থ বর্ষ বা ধান।

পয়লা বৈশাখের ইতিহাস সম্ভবত ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকেই শুরু হয়। প্রথমে সম্রাট আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল ‘তারিখ-এ-এলাহি’। সিংহাসনে আরোহণের পর আকবর উপলব্ধি করেন, হিজরি বর্ষপঞ্জি কৃষিকাজের জন্য মোটেই উপযোগী নয়, কারণ হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় চন্দ্র বর্ষের ৩১ বছর হয় সৌর বর্ষের ৩০ বছরের সমান। চন্দ্র বছরের হিসাবেই তখন কৃষকশ্রেণীর কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করা হতো অথচ চাষবাস নির্ভর করতো গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে সৌর বছরের হিসাবের ওপর। চন্দ্র বছর হয় ৩৫৪ দিনে আর সেখানে সৌর বছর হয় ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে। ফলে দুটি বর্ষপঞ্জির মধ্যে ব্যবধান থেকে যায় বছরে ১১ বা ১২ দিন। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। তাই ফসল কাটার মরশুমের সাথে খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে নতুন কর ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্দেশ্যে গ্রেগরীয় সৌর সন ও আরবি হিজরি সনের উপর ভিত্তি করে তিনি মুঘল ক্যালেন্ডার পরিবর্তন করে ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়ে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ‘ফসলি সন’, পরে “বঙ্গাব্দ” বা ‘বাংলা বর্ষ’ নামে পরিচিত হয়। তারিখ এ এলাহী ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বা ৯৬৩ হিজরিতে “বঙ্গাব্দ” নামে পরিবর্তিত হয়। ৯৬৩ হিজরি সালের মুহররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস, এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং পয়লা বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়।

তবে ‘বঙ্গাব্দ’ শব্দটি আকবরের সময়কালের কয়েক শত বছর পূর্বে দুটি শিব মন্দিরেও পাওয়া যায়, অনেক ইতিহাসবিদ দাবি করেন, গৌড়বঙ্গের রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকালে বঙ্গাব্দের উৎপত্তি হয়। আনুমানিক জুলীয় বর্ষপঞ্জীর বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ ৫৯৪ এবং গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জীর শনিবার ২০ মার্চ ৫৯৪ বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল। কোনো কোনো পুঁথিতে বঙ্গাব্দকে ‘যবন নৃপতে শকাব্দ’ বলা হয়েছে। রামগোপাল দাসের রসকল্পাবলীর পুঁথিতেও বঙ্গাব্দকে ‘যাবনী বৎসর’ বলা হয়েছে। দিনপঞ্জি ব্যবহারের রীতি আকবরের পূর্বে হুসেন শাহ এর দ্বারাও হয়ে থাকতে পারে। অনেকের মতে, বাংলার মুঘল সুবাদার মুর্শিদকুলি খান প্রথম ‘পুন্যাহ’ এর রীতি শুরু করেন, যার অর্থ হচ্ছে “ভূমি রাজস্ব আদায়ের উৎসবের দিন”, এবং তিনি বাংলা দিনপঞ্জির সূচনা করার জন্য আকবরের রাজস্বের নীতি ব্যবহার করেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ “সূর্যসিদ্ধান্ত” থেকে নক্ষত্রের নামানুসারে বাংলা মাসের নাম গ্রহণ করা হয়েছে। বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ। সম্রাট আকবরের সময়ে মাসের প্রত্যেকটি দিনের আলাদা আলাদা নাম ছিল যা প্রজা সাধারণের মনে রাখা খুবই কষ্ট হত। সম্রাট শাহজাহান সপ্তাহ ভিত্তিক বাংলায় দিনের নামকরণ করেন। বাংলা দিনপঞ্জির সাথে হিজরি ও খ্রিস্টীয় সনের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরি সন চাঁদের হিসাবে এবং খ্রিস্টীয় সন ঘড়ির হিসাবে চলে। তাই হিজরি সনে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে এবং ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে আর বাংলা সনের দিন শুরু হয় ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের সঙ্গেই শুরু হয় বাঙালি নববর্ষ অর্থাৎ পয়লা বৈশাখের উৎসব- যা বাঙালির একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশে বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত নতুন আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ই এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হয়।

আধুনিক নববর্ষ উদ্‌যাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকাণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে আকবরের সময়কাল থেকেই পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদ্‌যাপন শুরু হয়। তখন বসন্তের ফসল সংগ্রহের পর প্রত্যেকে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকলে খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পরদিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। সেই উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। ক্রমে উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়।

এই দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান ঘটনা ছিল হালখাতা তৈরি করা। হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ অর্থাৎ পুরনো বছরের হিসাব বন্ধ করে নতুন হিসাবের খাতা করার প্রক্রিয়া। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির অধিকাংশই এদিন তাদের ব্যবসায়িক হিসেবের নতুন খাতা অর্থাৎ হালখাতার উদ্বোধন করে,। এই উপলক্ষে নতুন খাতায় মঙ্গলচিহ্ন স্বস্তিকা এঁকে মঙ্গলদাত্রী লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের আরাধনা করা হয়। দোকানদাররা তাদের ক্রেতাদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এই প্রথাটি আজও আনুষ্ঠানিকভাবে ঐতিহ্যগতভাবে চলে আসছে। এইদিন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসাবে নতুন ধুতি-পাঞ্জাবি এবং শাড়ি পরার রেওয়াজ প্রচলিত। স্নান সেরে বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করার রীতিও বহুল প্রচলিত। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে চলে মিষ্টান্ন ভোজন।

যে দেশের নাম বাংলা, যে জাতির মাতৃভাষা বাংলা সে জাতির নাম বাঙালি। সেই ঐতিহ্যবাহী বাঙালিরই একান্ত নিজস্ব উৎসব বাংলা নববর্ষ উৎসব- এই উৎসব বিশ্বের আপামর বাঙালিদের একটি সর্বজনীন নিজস্ব উৎসব। বাংলা সনের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ। পশ্চিমবঙ্গে মহাসমারোহে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাংলা নববর্ষারম্ভ পয়লা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটিতে বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার সাথে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে। বাংলার গ্রামীণ এবং নাগরিক জীবনের মেলবন্ধন সাধিত হয়ে সকলে একসূত্রে বাঁধা পড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে সারা চৈত্র মাস জুড়েই চলতে থাকে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি বা মহাবিষুব সংক্রান্তির দিনেই সূর্য মীন রাশি ত্যাগ করে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। এইদিন গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে শিবের গাজন উৎসব উপলক্ষে পালিত হয় চড়ক পূজা বা চড়ক মেলা। এই মেলায় অংশগ্রহণকারী সন্ন্যাসী ভক্তগণ বিভিন্ন শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করে আরাধ্য দেবতার সন্তোষ প্রদানের চেষ্টা করে থাকে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাড়াও আসামের বাঙালি অধ্যুষিত শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি এলাকা, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু ,ত্রিপুরার প্রবাসী বাঙালিরা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠেন পয়লা বৈশাখে বিহু থেকে বৈশাখীতে। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। বর্তমানে তিনটি জাতিসত্তা একত্রে এই উৎসবটি পালন করে। যৌথ এই উৎসবের নাম বৈসাবি উৎসব। পয়লা বৈশাখ উৎসবটি ঐতিহ্যগত হিন্দু নববর্ষ উৎসবের সাথে সম্পর্কিত যা বৈশাখী নামে পরিচিত। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দু ও শিখগণও এই উৎসব পালন করে।

বর্ষবরণের বিখ্যাত বৈশাখী মেলা প্রবাসীদের জন্য এক মিলন মেলা, দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসরে প্রবাসী বাঙালিদের দেয় অফুরন্ত আনন্দ। জাপানে প্রতি বছরই অনেক ঘটা করে বিশাল পরিসরে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা। এছাড়া নিউইয়র্ক, লন্ডনসহ বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় শহরগুলো এবং বিশ্বের সকল প্রান্তের বাঙ্গালীরা ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক এবং বাঙালি সংস্কৃতির সাথে দিনটি উদযাপন করে থাকে। নববর্ষ উদযাপনে মেতে ওঠে গোটা বিশ্ব। সকল বাঙালি এদিন অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ভুলে এক সমৃদ্ধশালী ও সুখময় নতুন বছরের কামনা করে।

বর্ষবরণের এই আবেগকে ঐতিহ্যমন্ডিত করে তুলতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর সুরেই ধ্বনিত হয়,

“বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক… ..
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।”

বাঙালিরা সেই ঐতিহ্যবাহী জাতি যে নিজস্ব নববর্ষ, নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব শক্তিশালী বর্ণমালা, নিজস্ব ষড়ঋতু, নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে গর্বিত এবং সারা বিশ্বে একমাত্র বাঙালিরাই তাদের নিজস্ব ষড়ঋতুকে পৃথক পৃথক পার্বণে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়। –
“বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ”

ছয় ঋতুর বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের সমাহার বাংলাদেশ তথা বাংলা ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও নেই- এটাই বাঙালির সবচেয়ে গর্বের বিষয়। অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক উৎসবে এবং অপার আনন্দের সাথে বাঙালি এর মধ্যেই খুঁজে পেয়েছে তার প্রকৃত পরিচয়। বর্ষবরণের মূল সেই আনন্দ আয়োজন আর বাঙালিয়ানায় পুরো জাতি নিজেকে খুঁজে ফিরে ফেলে আসা গত দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন আর নতুন অনাগত সময়কে বরণের ব্যস্ততায়। বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালি নিজেদের বাঙালিয়ানাকে প্রস্ফুটিত করতে সদাব্যস্ত।

রত্না শ্রেয়া মুখার্জ্জী | Ratna Shreya Mukherjee

Bengali Story 2023 | রূপান্তরের পথে | ডরাইয়া মরে

Traditional Seth Family Durga Puja | চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী হরিহর শেঠ পরিবারের দুর্গাপূজা

Tebhaga Movement | বাংলায় “তেভাগা আন্দোলন” এবং সলিল চৌধুরীর গণসঙ্গী

History of Bengali Poetry | কবিতা কি ও কেন এবং তার ইতিহাস

Poila Baisakh and Bengalis | Shabdodweep Web Magazine | Ratna Shreya Mukherjee

When we think about Poila Baisakh and Bengalis, the first image that comes to mind is vibrant streets, cultural performances, and the sweet aroma of traditional Bengali sweets. Poila Baisakh (পয়লা বৈশাখ), the Bengali New Year (বাংলা নববর্ষ), is not just a festival; it is an emotion deeply rooted in the heart of every Bengali.

Understanding Poila Baisakh and Bengalis

Poila Baisakh and Bengalis are inseparable when it comes to celebrating the spirit of a new year. Following the Bengali lunar calendar, the first day of Baisakh is observed as Noboborsho (নববর্ষ). This day marks new beginnings, fresh hopes, and prosperity for the coming year. Businesses open new account books known as ‘Haal Khata’, and families come together to enjoy traditional meals.

Historical Roots of Poila Baisakh

The tradition of Poila Baisakh and Bengalis dates back to the Mughal era, when Emperor Akbar introduced the Bengali lunar calendar to ease tax collection. Over time, this day evolved into a celebration of Bengali culture and tradition. Today, Pohela Boishakh (পহেলা বৈশাখ) is a proud occasion for every Bengali across the world.

How Bengalis Celebrate Poila Baisakh

The celebration of Poila Baisakh and Bengalis is grand and heartfelt. Here’s how the day typically unfolds:

Wearing New Clothes: It is customary to wear new traditional attire. Men wear Punjabi and Pajama, while women drape themselves in bright sarees.

Cultural Programmes: Communities organise fairs, music concerts, and dance performances. Rabindra Sangeet, folk music, and traditional dances dominate the events.

Traditional Bengali Food: Food is central to the celebrations. Dishes like Shorshe Ilish (Hilsa in mustard sauce), Panta Bhat (fermented rice), and sweets like Rasgulla and Sandesh are enjoyed.

Processions: Colourful processions called ‘Mangal Shobhajatra’ are held, especially in Bangladesh, symbolising unity and cultural pride.

Poila Baisakh and Shabdodweep Web Magazine

Shabdodweep Web Magazine is proud to capture the true essence of Poila Baisakh and Bengalis through heart-touching poetry, short stories, and cultural articles. Our talented writer Ratna Shreya Mukherjee has beautifully portrayed the significance of Poila Baisakh (পয়লা বৈশাখ) in her various works. Her stories bring out the vibrancy, hope, and joy associated with Bengali culture and the Bengali New Year.

At Shabdodweep, we publish creative pieces around Pohela Boishakh, the spirit of Noboborsho, and the traditions surrounding the first day of Baisakh.

  • Significance of Poila Baisakh and Bengalis
  • Poila Baisakh and Bengalis signify:
  • Cultural Pride: It strengthens the bond Bengalis have with their roots.
  • Unity and Togetherness: Festivals and fairs bring people closer, regardless of caste, class, or religion.
  • Economic Prosperity: Businesses start afresh with prayers for success.
  • Spiritual Renewal: People visit temples to seek blessings for the new year.

Why Poila Baisakh Remains Special Even Today

In this fast-paced world, traditions often fade, but Poila Baisakh and Bengalis continue to shine brightly. Even modern Bengalis living abroad celebrate Pohela Boishakh with the same zeal, keeping their connection to Bengali culture alive. From India to Bangladesh and even in foreign lands, the love for the first day of Baisakh remains strong.

Shabdodweep’s Contribution to Celebrating Bengali Culture

Shabdodweep Web Magazine is dedicated to preserving the spirit of Bengali New Year and Poila Baisakh and Bengalis. Through creative articles, poems, and stories, we strive to keep the rich tradition and spirit alive. Writers like Ratna Shreya Mukherjee are at the heart of this mission, bringing authentic Bengali emotions into words.

If you want to experience the true joy and spirit of Poila Baisakh, Shabdodweep Web Magazine is your perfect companion.

FAQ (with RankMath FAQ Schema)

Q1: What is the importance of Poila Baisakh and Bengalis?

Poila Baisakh and Bengalis represent new beginnings, cultural pride, and togetherness, marking the Bengali New Year (Noboborsho) on the first day of Baisakh.

Q2: How do Bengalis celebrate Poila Baisakh?

Bengalis celebrate Poila Baisakh with new clothes, cultural programmes, traditional Bengali food, fairs, and temple visits for blessings.

Q3: Where can I read about Poila Baisakh and Bengali culture?

You can explore beautiful articles and stories about Poila Baisakh and Bengalis at Shabdodweep Web Magazine, written by talented authors like Ratna Shreya Mukherjee.


Sabuj Basinda | Follow our youtube channel – Sabuj Basinda Studio

Leave a Comment